15/10/2025
আল্লাহ তাআলা তার বান্দাকে অনেক ধরনের বিপদ দিয়ে পরীক্ষা করেন। এ সময় বান্দার জন্য আবশ্যক হলো আল্লাহর দেওয়া পরীক্ষার ওপর সবর করা এবং তা মেনে নেওয়া।
সবর বা ধৈর্য হলো আল্লাহর নির্ধারিত বিষয়কে মন থেকে গ্রহণ করা, বিপদের সময় বিভিন্ন ধরনের অসংগতিমূলক কথা থেকে জবানকে হিফাজতে রাখা, অসন্তুষ্টিমূলক কোনো বাক্য না বলা, অঙ্গকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ থেকে হিফাজতে রাখা; যেমন: গালে থাপ্পড় দেওয়া, জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলা, চুল ছিঁড়ে ফেলা ইত্যাদি। এসব কাজ আল্লাহর অপছন্দনীয় এবং ধৈর্যধারণের বিপরীত কাজ। তাই এসব থেকে বান্দা অবশ্যই বেঁচে থাকবে।
সুতরাং এই তিনটি বিষয় হলো সবরের স্তম্ভ। বান্দা যখন কোনো কষ্টে পতিত হবে এবং এসব বিষয় পূর্ণভাবে করতে পারবে, তখন তার কষ্টগুলো সুখে পরিণত হবে। মসিবতগুলো ফিরবে অনুগ্রহ বা দয়ামায়া হয়ে। কষ্টকর বিষয়গুলো তার কাছে পরিণত হবে আকর্ষণীয় বিষয় হয়ে।
কেননা মহান আল্লাহ তাআলা বান্দাকে সমূলে উচ্ছেদ ও ধ্বংস করার জন্য বিপদে আপতিত করেন না; বরং আল্লাহ তাআলা তার বান্দাকে বিপদে ফেলেন তাকে পরীক্ষা করার জন্য। আল্লাহ দেখতে চান বান্দা বিপদে পড়ে কতটুকু সবর করে এবং কী পরিমাণ আল্লাহর দাসত্ব করে। কেননা বান্দার জন্য আল্লাহর গোলামি ও দাসত্ব সর্বদা আবশ্যক। সুখ ও সুখময় দিনে যেমন আল্লাহর ইবাদত ও দাসত্ব করা আবশ্যক, তেমনি কষ্ট ও মসিবতের সময়ও আল্লাহর দাসত্ব করা আবশ্যক। এমনিভাবে পছন্দ ও অপছন্দনীয় সবসময়ে আল্লাহর দাসত্ব করা জরুরি। কিন্তু অধিকাংশ বান্দারা এর বিপরীত করে থাকে; তারা তাদের পছন্দের বিষয়ে আল্লাহর দাসত্ব করে থাকে, অথচ অপছন্দনীয় ও কষ্টকর বিষয়ের দাসত্বের মধ্যে রয়েছে বান্দার সম্মান ও মর্যাদার স্তর।
আল ওয়াসিবুল সায়্যিব ইমাম ইবনু কাইয়ুম জাওয়ীহ রহঃ পৃষ্ঠা ২৩