Ali Hossain Apu

Ali Hossain Apu সচেতনতামূলক পোস্ট পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।

19/07/2025

মাঝে মাঝে কাউকে বেশি গুরুত্ব দেওয়াটাই দুরত্ব সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এটা খুবই মজার, আবার কষ্টেরও বাস্তবতা। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে, যারা যার প্রতি ভালোবাসা অনুভব করি, তাকেই নিজের জীবনের অগ্রাধিকার বানিয়ে ফেলি। সবকিছুর আগে তার খেয়াল রাখি, তার প্রয়োজনগুলো পূরণ করতে চেষ্টা করি, তার মুখে হাসি দেখতে পারলেই নিজের মন ভালো হয়ে যায়। আমরা ভাবি, এই ভালোবাসা বা গুরুত্ব একদিন না একদিন সে বুঝবে, সে প্রশংসা করবে, সে হয়তো আমাদের মতো করেই ভাববে।

কিন্তু অনেক সময় বাস্তবতা হয় পুরোপুরি ভিন্ন।

যাকে আপনি প্রতিনিয়ত গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছেন, সে হয়তো আপনাকে সেভাবে ভাবেই না। সে ধরেই নেয়, আপনি তো এমনিতেই থাকবেন—আপনার তো কোনো অভিযোগ নেই, আপনি তো তার সঙ্গেই সুখী। আপনার সবটা দিয়ে ভালোবাসাটা, যত্নটা, আগ্রহটা একসময় তার কাছে হয়ে যায় একঘেয়ে, অনুমানযোগ্য আর গুরুত্বহীন।

মানুষ সহজে যা পেয়ে যায়, তার কদর করতে শেখে না—এটাই চিরন্তন সত্য।

আপনি যদি কাউকে প্রতিদিন খোঁজেন, সে একদিন ভাবতে শুরু করবে আপনি না খুঁজলে আপনি নিজেই অস্থির হয়ে যাবেন। আপনি যদি তার প্রতিটি পোস্টে লাইক দেন, তার প্রতিটি কথার উত্তর দেন, তার প্রতিটি দুঃখে-সুখে সবার আগে পাশে দাঁড়ান, সে একসময় ভাবতে শিখবে আপনি না থাকলেও কিছু আসে যায় না। কারণ আপনি তো আছেই, আপনি তো গুরুত্ব দিতেই থাকবেন।

তখন সে আপনার গুরুত্বকে অবহেলা করতে শিখবে। উত্তর দেবে দেরিতে, আপনার প্রতি আগ্রহ দেখাবে না, ব্যস্ততার অজুহাতে আপনাকে এড়িয়ে চলবে। অথচ আপনি তখনো আগের মতোই তার জন্য পাগল, তার একটু মনোযোগ পাওয়ার জন্য ছুটে চলেছেন।

এই অসম ভালোবাসার জায়গা থেকেই জন্ম নেয় দূরত্ব।

একজন যত এগিয়ে যায়, অন্যজন তত সরে যায়। একজন যত বেশি চায়, অন্যজন তত কম দেয়।

এই কারণেই ভালোবাসা হোক বা বন্ধুত্ব—সেখানে ভারসাম্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্ব দিতে হবে, ভালোবাসতে হবে, কিন্তু সবকিছুর আগে নিজের আত্মসম্মানকে জায়গা দিতে হবে।

যদি দেখেন আপনি প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু সে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে বা আরও পিছিয়ে যাচ্ছে, তাহলে একটু থামুন। দেখুন, সে আদৌ আপনার গুরুত্বের যোগ্য কি না।

নইলে একসময় আপনি নিজেই ক্লান্ত হয়ে পড়বেন—আর তখন নিজেকে দোষ দিয়ে বলবেন, “ওকে এত গুরুত্ব না দিলেই ভালো হতো।”

তাই হৃদয় দিয়ে ভালোবাসুন, কিন্তু নিজেকে ফেলে দিয়ে নয়। নিজের অনুভূতিকে অপমান করে নয়। সব সম্পর্কেই সমতা থাকুক, সম্মান থাকুক—তবেই না হবে আসল বন্ধন।

18/06/2025

যে কাজটি করতে গিয়ে ব্যর্থ হলে তেমন ক্ষতি নেই, কিন্তু সফল হলে ফলাফল হতে পারে চমকে দেওয়ার মতো — এমন কাজে ঝুঁকি না নেওয়াটা সত্যিই বোকামি। আমাদের জীবনে অনেক সময় এমন সিদ্ধান্ত আসে যেখানে দুটো রাস্তা সামনে খোলা থাকে। একটাতে নিশ্চিন্তে হাঁটা যায়, কিন্তু সে পথে কোনো বড় সাফল্য নেই। অন্যটাতে আছে অনিশ্চয়তা, আছে ঝুঁকি, কিন্তু সেই পথেই লুকিয়ে থাকে অভাবনীয় সম্ভাবনা।

অনেকেই ব্যর্থতার ভয়ে পা বাড়াতে চায় না। ভাবে, "যদি না পারি?" অথচ প্রশ্ন হওয়া উচিত, "যদি পারি?" ছোট একটি চেষ্টা কখনো কখনো জীবনের গতিপথ পাল্টে দিতে পারে। হয়তো একটা নতুন দক্ষতা শেখা, একটা নতুন প্রজেক্ট শুরু করা, একটা আইডিয়া বাস্তবে রূপ দেওয়া কিংবা কারও সঙ্গে যোগাযোগ করার সাহস— এগুলো হয়তো ব্যর্থ হলে ক্ষতি হবে না, কিন্তু সফল হলে খুলে যেতে পারে সম্ভাবনার নতুন দরজা।

আমরা ব্যর্থতার ভয়ে পিছিয়ে থাকি, অথচ অনেক সময় সেই ব্যর্থতাগুলোই আমাদের শেখায়, গড়ে তোলে, প্রস্তুত করে বড় সাফল্যের জন্য। তাই সুযোগ থাকলে, সাহস করে এগিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। জীবন এমনিতেই ছোট— তাতে ভয় পেয়ে বসে থাকলে, বড় কিছু অর্জনের সম্ভাবনাও হারিয়ে যাবে। তাই ভয় নয়, কাজ হোক অগ্রাধিকার। সফলতা আপনার অপেক্ষায় আছে, শুধু একটা সাহসী সিদ্ধান্তের দূরত্বে।

আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে কিশোরগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল...
08/05/2025

আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে কিশোরগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল...

একজন ফি*লি*স্তিনী ফুল সংবাদিকদের দেখাচ্ছে Befor সে কেমন ছিলো,,না খেতে পেয়েতার,অবস্থা After কেমন হয়েছে💔 #ইসলামেরআলো
07/05/2025

একজন ফি*লি*স্তিনী ফুল সংবাদিকদের
দেখাচ্ছে Befor সে কেমন ছিলো,,না খেতে পেয়ে
তার,অবস্থা After কেমন হয়েছে💔
#ইসলামেরআলো

07/05/2025

মানুষ চেনার ক্ষেত্রে আমরা অনেক সময় একটি বড় ভুল করি—কাউকে আমাদের প্রতি ব্যবহারের ভিত্তিতে বিচার করি। যখন কারো সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো থাকে, তখন সে আমাদের প্রতি স্বাভাবিকভাবেই সদয় থাকে, সাহায্য করে, হাসিমুখে কথা বলে। আমরা ধরে নিই, এই ব্যক্তি নিশ্চয়ই খুব ভালো মানুষ। কিন্তু বাস্তবতা অনেক জটিল। সম্পর্কের রঙ বদলালে মানুষের আসল চেহারাটাও প্রকাশ পায়।

একজন মানুষ আপনার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে মানেই সে ভালো মানুষ—এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ এই ভালো ব্যবহারটি হতে পারে কেবল সম্পর্কটা ভালো থাকার ফল, তার প্রকৃত স্বভাবের প্রকাশ নয়। সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেলে সেই মানুষই হতে পারে সবচেয়ে বড় শত্রু। আপনি অবাক হয়ে দেখবেন, যাকে এতদিন ভালো মানুষ ভেবেছিলেন, সে-ই আপনার ক্ষতি করার নানা উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছে। তখন বুঝবেন, ভালো ব্যবহারটা ছিল পরিস্থিতির কারণে, অন্তরের সততা থেকে নয়।

তাই মানুষের আসল রূপ চিনতে হলে শুধু নিজের সঙ্গে তার আচরণ পর্যবেক্ষণ করলেই চলবে না। দেখতে হবে, সে অন্যদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করে—বিশেষ করে সেই মানুষদের সঙ্গে, যাদের সঙ্গে তার কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই, অথবা যাদের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব আছে। কেউ যদি ক্ষমতা পাওয়ার পর নিচের মানুষদের অপমান করে, অথবা নিজের স্বার্থে অন্যদের ব্যবহার করে, তবে তা তার চরিত্রের ইঙ্গিত দেয়। নিজের স্বার্থে না থেকেও কেউ যদি নম্র, সহানুভূতিশীল ও ন্যায়পরায়ণ থাকতে পারে, তাহলেই সে সত্যিকারের ভালো মানুষ।

পরিচয় বোঝা যায় বিপদের সময়, সম্পর্ক ভাঙার পরে, যখন লোকটি আর নিজের মুখোশ ধরে রাখার প্রয়োজন মনে করে না। তখন তার আসল চরিত্র, প্রকৃত মনোভাব, এবং সত্যিকারের মূল্যবোধ বেরিয়ে আসে। এজন্য, কাউকে বিচার করার আগে শুধু নিজের অভিজ্ঞতা নয়, চারপাশের মানুষের অভিজ্ঞতাও বুঝে নেওয়া জরুরি। কারণ মানুষের প্রকৃত স্বত্বা প্রকাশ পায় তখনই, যখন সে ভাবতে শুরু করে—“এই সম্পর্কটা আর আমাকে কিছু দেবে না।”

08/01/2025

সুখের সন্ধান: যে ভুল আমরা বারবার করি

আমরা প্রায়ই জীবনের কোনো বিশেষ বস্তুর প্রতি, তা হোক সম্পদ, সাফল্য, বা সম্পর্ক, এমনভাবে আকৃষ্ট হয়ে যাই যে, মনে হয় সেটি না পেলে আমাদের জীবন পূর্ণতা পাবে না। সেই আকাঙ্ক্ষার মধ্যে ডুবে আমরা ভুলে যাই যে সুখ একটি অভ্যন্তরীণ অবস্থা, বাইরের কোনো বস্তু বা ঘটনার উপর নির্ভরশীল নয়।

যখন আমরা ভাবি, "এই জিনিসটা পেলেই আমি সুখী হবো," তখন আমরা নিজের অজান্তেই নিজের সুখকে জটিল করে তুলি। কারণ সেই চাওয়া পূর্ণ না হলে আমরা হতাশ হই, আর পূর্ণ হলেও সেই সুখ বেশিদিন টিকে না। নতুন কোনো আকাঙ্ক্ষা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে, আর আমরা ফের সেই বৃত্তে আটকা পড়ি।

সুখের মূলমন্ত্র হলো বর্তমান মুহূর্তকে গ্রহণ করা, যা আছে তা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা। বাইরে কিছু অর্জন করার চেয়ে নিজের ভেতরের অনুভূতিগুলোকে বোঝা এবং গ্রহণ করাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তাই নিজেকে প্রশ্ন করো: যা তোমার কাছে আছে, তা কি তোমাকে সুখী করতে পারে না? যদি উত্তরটা "হ্যাঁ" হয়, তাহলে নতুন কিছু পাওয়ার জন্য এত আকাঙ্ক্ষা কেন? আর যদি উত্তরটা "না" হয়, তাহলে নতুন কিছু পেলেও তা কতটা দীর্ঘস্থায়ী সুখ দেবে?

সুখ তখনই সহজ হয়, যখন আমরা বুঝি—এটি কোনো গন্তব্য নয়, এটি একটি যাত্রা। নিজের ভেতরেই সুখ খুঁজে নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা আমাদের আসল চ্যালেঞ্জ।

এই মুহূর্তে যা আছে, তা নিয়েই কি তুমি খুশি? নাকি আরও কিছু দরকার মনে হচ্ছে? নিজেকে একবার ভাবতে দাও।

27/12/2024

ভুলের মোহ: লাভের আড়ালে ক্ষতির অন্ধত্ব

জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা কিছু না কিছু সিদ্ধান্ত নেই। কখনো সঠিক, কখনো ভুল। কিন্তু একটা অদ্ভুত বিষয় হলো, অধিকাংশ ভুল কাজ করার সময় আমরা সেটার লাভটাই বড় করে দেখি, আর ক্ষতির দিকটা এড়িয়ে যাই। এটাই আমাদের এক ধরনের মানসিক প্রবণতা, যেটাকে বলা যায় "লাভের মোহ।"

ভুল কাজ করার আগে আমরা হয়তো ভাবি—"এটা করলে এই সুবিধাটা পাবো" বা "সাময়িক আনন্দ বা লাভ হবে।" কিন্তু তখন আমরা বুঝি না, এই সামান্য লাভের আড়ালে কত বড় ক্ষতি লুকিয়ে আছে। উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, পরীক্ষার আগে কেউ যদি নকল করার পরিকল্পনা করে, তখন সে ভাবে যে এটা করলে ভালো নম্বর পাবে। কিন্তু এতে যে নিজের পড়াশোনার প্রতি আস্থা হারায়, ভবিষ্যতে বড় কোনো জায়গায় দাঁড়ানোর যোগ্যতা হারায়, সেটা অনেকেই ভাবতে চায় না।

এভাবে ছোট থেকে বড় অনেক ভুল সিদ্ধান্ত আমরা নিই, কারণ আমরা ক্ষতির দিকটা ভাবি না। ক্ষতির দিকে চোখ বন্ধ করে লাভের দিকটা দেখার অভ্যাস আমাদের জীবনকে ধীরে ধীরে জটিল করে তোলে।

তাহলে উপায় কী?
প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একবার থেমে ভাবো—
১. এই কাজটা যদি করি, সাময়িক লাভের বাইরেও এর দীর্ঘমেয়াদী ফল কী হতে পারে?
২. যদি ক্ষতি হয়, সেটা কতটা গুরুতর হতে পারে?

নিজেকে প্রশ্ন করার এই অভ্যাসটা গড়ে তুললে অনেক ভুল কাজ এড়ানো সম্ভব। লাভ আর ক্ষতির ভারসাম্য বজায় রাখা মানেই জীবনের সঠিক পথে চলার অন্যতম চাবিকাঠি। মনে রাখ, সাময়িক লাভের মোহে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির ফাঁদে পা দেওয়া মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

08/04/2024

Address

Dhaka
Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ali Hossain Apu posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share