Billal'S Lifestyle

Billal'S Lifestyle Motivational for Everyone.

নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচান 👉রাত গভীর হলে যখন শহরের ব্যস্ততা স্তব্ধ হয়ে পড়ে, ঘুমন্ত দেয়ালের ফাঁকে ফাঁকে তখনো জেগে থাকে ...
13/08/2025

নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচান 👉রাত গভীর হলে যখন শহরের ব্যস্ততা স্তব্ধ হয়ে পড়ে, ঘুমন্ত দেয়ালের ফাঁকে ফাঁকে তখনো জেগে থাকে কিছু নিঃশব্দ শিকারি। তারা নয় ছিনতাইকারী, নয় চোর—তারা এক অন্যরকম লুটেরা, যারা ঢুকে পড়ে আপনার যাপিত জীবনের অন্দরমহলে, কেড়ে নেয় আপনার আস্থা, সম্মান, অর্থ, এমনকি আপনার পরিচয়।

এই শিকারিরা আপনার জানালার পাশে এসে দাঁড়ায় না, তারা আসে ইনবক্সের ভেতর দিয়ে। আর তার হাতছানি হয় এক সুদর্শনা নারীর ছবিতে মোড়ানো এক ফাঁদ—যা দেখতে যতটা কোমল, অন্তরে ততটাই করাল।

প্রথম দৃশ্যপটে সে আসে এক নরম ‘হ্যালো’ নিয়ে। নাম—‘পূজা’, ‘সিমরন’, কিংবা ‘মেঘলা’। আপনাকে সে জিজ্ঞেস করে—"Can you send me your WhatsApp number?" আপনি হয়তো ভাবেন, ‘এ আর এমন কী’—ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, প্রভাবশালী কেউ হলে তো এসব আদান-প্রদান হরহামেশাই হয়। কিন্তু আপনি জানেন না, আপনি ঠিক এইখানেই তাঁর পাতা মায়াজালের প্রথম ধাপে পা রাখলেন।

এরপর...

হোয়াটসঅ্যাপে সে আপনাকে নানা প্রশ্ন করে—আপনার পেশা, বসবাস, ব্যবসার ধরণ, পরিচিতজন। কথার ফাঁকে ফাঁকে সে বোঝার চেষ্টা করে আপনি আর্থিকভাবে কতটা স্থিতিশীল। তার দৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দু আপনি নন, আপনার ‘সামর্থ্য’।

পরবর্তী ধাপে, আসে চতুরতার বুনন। সে আপনাকে ছবি পাঠায়—আলোছায়ায় ভরা দৃষ্টিনন্দন কিছু মুহূর্ত। হয়তো কিছু ভিডিওও। আপনিও আবেগের তাড়নায় তাতে ‘লাইক’ দেন। হয়তো মুগ্ধ হয়ে বলেন, “You look nice!”

এই সময়েই আসে ভিডিও কলের প্রস্তাব। সে আর নিজের শরীর লুকিয়ে রাখে না। এক অস্বস্তিকর সাহসে আপনাকে সে টেনে নিয়ে যায় একান্ত আলাপে, যেখানে আপনি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন—এ সত্যি তো? না কি অভিনয়? আপনি বুঝে ওঠার আগেই আপনি তার চরকিতে ঘুরতে শুরু করেন।

আর যারা এই ধাপে সাড়া না দেন—তাদের জন্য অপেক্ষা করে আরেক ফাঁদ। তারা পায় চাকরির অফার, অনলাইনে আয়ের প্রলোভন, ইউটিউব বা ইনভেস্টমেন্ট লিংকের ছলচাতুরি। আপনি সেই লিংকে ক্লিক করতেই, আপনার তথ্য চলে যায় তার দখলে।

তবে, সাম্প্রতিক কৌশল আরও শাণিত। এখন শুধু ব্ল্যাকমেইল নয়, পুরো ডিভাইস নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পাঁয়তারা!

আপনাকে বলবে—“আপনার ফোনে একটি কোড যাবে, সেটা শুধু ‘Ok’ করে দিন।”
আপনি কিছু না ভেবেই দিয়ে দিলেন। পরক্ষণেই সে চেয়ে বসে WhatsApp-এর পিন নম্বর। আপনি দিয়ে দিলে—অভ্যন্তরীণ দরজা খুলে দিলেন আপনি নিজেই। এখন থেকে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, জিমেইল—সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ তার হাতে।

সে পাল্টে ফেলে আপনার পাসওয়ার্ড। আপনার নামেই টাকা চাইতে শুরু করে প্রিয়জনদের কাছ থেকে। আপনি বুঝতেও পারবেন না কখন, কিভাবে আপনার ছবি, গোপন কথোপকথন, ব্যক্তিগত দলিল তার হাতে পৌঁছে গেল।

আপনার একটি ছোট ভুল, একটিমাত্র ক্লিক—পরিণত হলো জীবনভর অনুশোচনার বিষাক্ত সুরে। আপনি একাকী, ভীত, লজ্জিত—কারণ আপনি জানেন না কীভাবে বলবেন যে আপনি ভুল করেছিলেন।

এই প্রতারণার মূল চালিকা নারীসুলভ রূপ। তার আইডিগুলোতে you'll find খোলামেলা ছবি, কখনো নাম সনাতন রূপে, লোকেশন হয়তো ভা-র-ত দেখাবে। ১০ জনের মধ্যে ৮ জন তার ফাঁদে পা দিয়ে দেয়, কারণ তারা জানে—পুরুষের চোখে ‘সৌন্দর্য’ নামক দরজাটি খুলে দিলে ভিতরে প্রবেশ করা সহজ।

এই কাহিনী শুধু ফেসবুকে নয়—হোয়াটসঅ্যাপ, ইমু, ইনস্টাগ্রাম—সবখানেই চলছে।

এ যেন—এক রঙিন জাল, যার ভিতরে ঢুকলেই আর ফেরা হয় না সহজে। আপনি হতে পারেন শিক্ষক, ছাত্র, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক—তবুও এই জাল এড়ানো কঠিন, যদি না থাকে সজাগ চেতনা।

তাই জেনে রাখুন—
■ কোনো অপরিচিত আইডি থেকে মেসেজ এলে কখনোই ব্যক্তিগত নম্বর দেবেন না।
■ ভিডিও কলে যাওয়া, লিঙ্কে ক্লিক করা, ওয়ান-টাইম পিন (OTP) শেয়ার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
■ হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকে ‘Two Step Verification’ চালু রাখুন।
■ সন্দেহজনক মেসেজ বা ভিডিও প্রলোভন দেখলেই রিপোর্ট করুন।
■ আপনার সন্তান, ভাই, বন্ধু বা পরিবারের উঠতি তরুণদের সচেতন করুন এই প্রতারণা নিয়ে।

শেষ কথা—এই যুগে প্রতারণা হচ্ছে কৃত্রিম কোমলতার মুখোশে। যে ভালোবাসার মুখোশ পরে আসে, সে আসলে আপনাকে ভালোবাসে না—আপনার ভিতরটাকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে চায়। আপনি যদি প্রতারিত হন, অপরাধ আপনার না, অপরাধ অন্ধ বিশ্বাসের।

তাই আসুন, জেগে উঠি… জেনে রাখি—

“সুন্দরীর হাসির আড়ালে কখনও কখনও দাঁত বের করা হিংস্রতা লুকিয়ে থাকে।”

আমরা যদি না জানি, তবে হারিয়ে যাবে শুধু আমাদের তথ্য নয়—হারিয়ে যাবে আত্মমর্যাদা, আত্মবিশ্বাস, ও এই জীবনের শান্তি।

📢 সচেতন হোন, শেয়ার করুন—আরও অনেককে বাঁচান এই ডিজিটাল দানবের হাত থেকে।

ভারতীয় ভিসা করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র- 1. মূল পাসপোর্ট (মিনিমাম ৮ মাস মেয়াদ থাকতে হবে)।2. NID Card এর ফটোকপি।3. 2/2 ইঞ্...
08/08/2025

ভারতীয় ভিসা করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র-
1. মূল পাসপোর্ট (মিনিমাম ৮ মাস মেয়াদ থাকতে হবে)।
2. NID Card এর ফটোকপি।
3. 2/2 ইঞ্চি রঙিন ছবি (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড)
4. ইউটিলিটি বিল এর ফটোকপি।
5. পেশা প্রমাণের জন্য-
ক. চাকরিজীবী হলে এন.ও.সি।
খ. ব্যবসায়ী হলে আপডেট ট্রেড লাইসেন্স।
গ. যদি কৃষক থাকেন তাহলে জমির পর্চা।
ঘ. স্টুডেন্ট হলে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড।
6. আর্থিক সচ্ছলতা প্রমানের জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট মিনিমাম ছয় মাস অথবা ডলার androcement মিনিমাম ১৫০ ডলার সমপরিমাণ। অথবা এসবিআই ট্রাভেল কার্ড।
7. পূর্বের ভিসা থাকলে সেই ভিসার কপি।
8. লস্ট পাসপোর্ট থাকলে জিডি কপি, নোটারি এবং লস্ট সার্কুলেশন ( এটা পাবেন আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস থেকে অথবা আপনি যেখানে পাসপোর্ট করেছেন সেখানে গেলেও পাবেন।)।
9. পাসপোর্ট এর কোন তথ্য পরিবর্তন করলে যেমন নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম অথবা বয়স যদি পরিবর্তন হয় তবে তার জন্য কোর্ট এফিডেভিট লাগবে। (কোন এডভোকেটের সঙ্গে যোগাযোগ করে এটা পাবেন)।
10. মেডিকেল পেপারস

গত ১৪ বছর ধরে দৈর্য ধরে আছি 😊 তার পরও আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া।
24/07/2025

গত ১৪ বছর ধরে দৈর্য ধরে আছি 😊 তার পরও আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া।

21/07/2025

নিখোঁজ স্কুল শিক্ষার্থীদের বিষয়ে জরুরি যোগাযোগের নম্বর:

১। মিলিটারি রেস্কিউ ব্রিগেড 01769024202
সিএমএইচ বার্ন ইউনিট 01769016019, 01769019650
সিএমএইচ ইমার্জেন্সি 01769013311
জাতীয় বার্ন ইউনিট 01949043697, 01769957043
ঢাকা মেডিক্যাল বার্ন ইউনিট 01715000616

২। মাইলস্টোন স্কুল Admin Officer 01814774132‬, Vice Principal 01771111766

৩। ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি নাম্বার 999 , বাংলাদেশ পুলিশের ইমার্জেন্সি সেল থেকে বার্ন ইউনিটগুলোর সাথে সংযোগ করিয়ে দিবে।

গল্পের নাম: "চালাক মা, তালাক কন্যা"একটা ছোট শহরে রোজিনা বেগম নামে এক মহিলা থাকতেন। তিনি ছিলেন খুবই বুদ্ধিমতী, কথায় পাকা,...
19/07/2025

গল্পের নাম: "চালাক মা, তালাক কন্যা"

একটা ছোট শহরে রোজিনা বেগম নামে এক মহিলা থাকতেন। তিনি ছিলেন খুবই বুদ্ধিমতী, কথায় পাকা, আর সামান্য বিষয়েও নিজের মত চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেন। তার একমাত্র মেয়ে ছিল সানজিদা। মেয়েটি দেখতে সুন্দর, শিক্ষিত, তবে মা'র প্রভাবে একটু বেশি আত্মবিশ্বাসী আর অহংকারী হয়ে উঠেছিল।

রোজিনা বেগম সবসময় মেয়েকে বলতেন,
– "তোর শ্বশুরবাড়ির কেউ যদি তোকে একটু কষ্ট দেয়, সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করবি! কোনোরকম ছাড় দিবি না। আমরা কি কেউ কম নাকি?"

সানজিদা বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে যায়। স্বামী রাশেদ ছিল সহজ-সরল, ভালো মানুষ, কিন্তু খুব বেশি কথা বলতো না। শ্বশুর-শাশুড়িও ছিলেন শান্ত স্বভাবের। কিন্তু সানজিদা সেখানে একটু কিছু হলেই মায়ের শেখানো পথে প্রতিক্রিয়া দিতো।

একদিন শুধু ডাল পাতলা হয়েছে বলে সে রাগ করে নিজে রান্নাঘরে গিয়ে ডাল ফেলেই দিল। আরেকদিন স্বামী অফিস থেকে দেরি করে আসায় রেগে গিয়ে দরজা খুলতে দেয়নি। দিনদিন তার আচরণ এমন হয়ে উঠছিল যেন সবাই তার দাস।

রাশেদ অনেক চেষ্টা করেও শান্তি আনতে পারলো না। কথা বললে ঝগড়া, চুপ থাকলে অপমান। কয়েক মাস না যেতেই তালাক হয়ে গেল।

রোজিনা বেগম বললেন,
– "ওরা তোকে বুঝতে পারেনি, তুই তো ঠিকই ছিলি।"

তারপর দ্বিতীয় বিয়ে হলো। নতুন শ্বশুরবাড়ি, নতুন স্বামী। কিন্তু একই আচরণ, একই চিন্তাধারা। আবারও তালাক।

এভাবে একে একে তিনবার বিয়ে হলো সানজিদার। কিন্তু মায়ের শেখানো চালাকি, তর্ক, অহংকার, একচেটিয়া মনোভাব – সব কিছুই সম্পর্ক ভেঙে দিতে লাগলো।

শেষে যখন সানজিদা একা হয়ে গেল, তখন একদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবল,
– "সব দোষ কি শুধু তাদেরই ছিল? না কি মা’র চালাকির চেয়ে একটু ভালোবাসা, ধৈর্য আর নম্রতা শিখলেই জীবনটা অন্যরকম হতো?"

গল্পের শেষে বলা যায়—
চালাকি দিয়ে সম্পর্ক টেকে না, টেকে সহনশীলতা, শ্রদ্ধা আর মনের মিল দিয়ে। মায়ের চাতুর্যের ছায়া যদি মেয়ের জীবনে অহংকার হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে প্রেমের জায়গা করে নেয় তালাকের নোটিশ।

–সমাপ্ত।

ার_ইচ্ছা #ছেলেদের

- স্যার,আমাকে চিন‌তে পে‌রে‌ছেন?- না বাবা, আমি তোমা‌কে চিন‌তে পা‌রি‌নি। তুমি কে?- আমি একসময় আপনার ছাত্র ছিলাম।- ও আচ্ছা!...
18/07/2025

- স্যার,আমাকে চিন‌তে পে‌রে‌ছেন?
- না বাবা, আমি তোমা‌কে চিন‌তে পা‌রি‌নি। তুমি কে?
- আমি একসময় আপনার ছাত্র ছিলাম।
- ও আচ্ছা! এখন তু‌মি কি কর‌ছ?
- আমি একজন শিক্ষক।

সা‌বেক ছা‌ত্রের মুখ থে‌কে এই কথা শু‌নে বৃদ্ধ শিক্ষ‌ক অত‌্যন্ত খু‌শি হ‌য়ে বললেন, "বাহ্! খুব ভালো! খুব ভালো! আমার পেশা বেছে নিয়েছ তাহলে!"

যুবক মৃদুহেসে জবাব দিল, "আসলে আমি আপনার মতো একজন শিক্ষক হতে পে‌রে‌ছি ব‌লে নি‌জে‌কে ধন‌্য ম‌নে কর‌ছি। আপনি আমাকে আপনার মতো হতে ভীষণ অনুপ্রাণিত করেছেন স্যার!"

বৃদ্ধ শিক্ষক কিছুটা কৌতূহল নি‌য়ে যুবকের শিক্ষক হওয়ার নেপথ্য কারণ জান‌তে চাই‌লে, যুবক‌ তার শিক্ষক হ‌য়ে উঠার গল্প বল‌তে গি‌য়ে বৃদ্ধ শিক্ষক‌কে স্মরণ ক‌রিয়ে দি‌লে, স্কু‌লে ঘ‌টে যাওয়া একটি ঘটনার কথা।

"ম‌নে আছে স্যার, একদিন আমার এক সহপাঠী বন্ধু, যে আপনারও ছাত্র ছিল, একটি নতুন হাতঘড়ি নি‌য়ে ক্লা‌সে এসেছিল। তার ঘড়ি‌টি এতোটাই সুন্দর ছিল যে আমি কোনভাবেই লোভ সামলা‌তে পা‌রি‌নি। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যেভাবেই হোক ঘ‌ড়ি‌টি আমার চাই। এরপর সুযোগমতো তার প‌কেট থে‌কে ঘ‌ড়িট‌ি চুরি করি আমি। কিছুক্ষণ পর আমার সেই বন্ধু তার ঘড়ির অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে এবং তখনই আমাদের স্যার অর্থাৎ আপনার কাছে অভিযোগ করে। তার এই অ‌ভি‌যোগ শু‌নে আপনি ক্লাসের উদ্দেশ্যে বলে‌ছি‌লেন, "আজ ক্লাস চলাকালীন সম‌য়ে এই ছাত্রের ঘড়িটি চুরি হয়েছে, যেই চুরি করে থাকো, ঘা‌ড়ি‌টি ফিরিয়ে দাও।"

আপনার নির্দেশ শু‌নেও আমি ঘা‌ড়ি‌টি ফেরত দিতে পারিনি।
কারণ, ঘড়িটি ছিল আমার কা‌ছে খুবই আকর্ষণীয়। তাছাড়া, আমরা খুবই গরীব ছিলাম, এমন ঘড়ি কেনার সামর্থ্যও আমাদের ছিল না।

যাই হোক, সেদিন আপনি দরজা বন্ধ করে সবাইকে বেঞ্চ ছে‌ড়ে উঠে দাঁড়ি‌য়ে ক্লাসরু‌মের ফ্লো‌রের ম‌ধ্যে একটি গোলাকার বৃত্ত তৈরি করতে বললেন এবং সবাই‌কে চোখ বন্ধ করার নির্দেশন দি‌লেন, অতঃপর ঘড়ি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আপনি পর্যায়ক্রমে আমাদের সবার পকেট এবং ব্যাগ খুঁজ‌তে লাগ‌লেন। আমরা সবাই আপনার নির্দেশনা মোতাবেক নীরবে দাঁ‌ড়ি‌য়ে রইলাম।

এক এক ক‌রে পকেট এবং ব্যাগ চেক ক‌রতে করতে একটা সময় আপনি যখন আমার ব্যাগে হাত দি‌য়ে ঘ‌ড়ি‌টি খুঁ‌জে পে‌লেন। তখন ভ‌য়ে, লজ্জায় আমার শরীর কাঁপ‌ছিল। কিন্তুু সেই মুহূ‌র্তে, ঘড়ি‌টি আমার কাছ থেকে উদ্ধার হবার পরও আপনি কিছু ব‌লেন‌নি এবং শেষ পর্যন্ত সব ছাত্রকেই চেক কর‌ছি‌লেন। সব‌শে‌ষে, আপ‌নি আমাদের উদ্দেশ্যে বললেন, "ঘ‌ড়ি পাওয়া গে‌ছে, এবার তোমরা সবাই চোখ খুল‌তে পা‌রো।"

ঘ‌ড়ি‌টি পাবার পর আমার সেই বন্ধু‌টি আপনার কা‌ছে জান‌তে চে‌য়ে‌ছিল, ঘ‌ড়ি‌টি কার কাছে পাওয়া গি‌য়ে‌ছিল? ‌আপনি তা‌কে ব‌লে‌ছি‌লেন, ঘ‌ড়ি‌টি কার কাছে পাওয়া গে‌ছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তোমার ঘ‌ড়ি যে পাওয়া গে‌ছে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।

সেই দি‌নের ঘটনা নি‌য়ে পরবর্তী‌তে আপনি আমার সা‌থে আর কো‌নো কথা ব‌লেন‌নি। এমন‌কি সেই গর্হিত কাজের জন‌্য আমাকে তিরস্কার পর্যন্ত করেননি। নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য আপ‌নি আমাকে স্কু‌লের কো‌নো কামরায় নিয়ে যাননি। ঘটনাটি ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়, অথচ আপ‌নি অত‌্যন্ত বু‌দ্ধিমত্তার সা‌থে চু‌রি হওয়া ঘ‌ড়ি‌টি উদ্ধার কর‌লেন এবং সবার সামনে আমার সম্মান রক্ষা করলেন।

সেই ঘটনার পর আমি বহুদিন অনু‌শোচনায় ভুগে‌ছি। ক্লা‌সে ঘ‌টে যাওয়া ওই ঘটনা ওই দিনই শেষ হয়ে গে‌লেও এর রেশ র‌য়ে যায় আমার ম‌নের ম‌ধ্যে। বি‌বে‌কের সাথে যু‌দ্ধে বার বার দং‌শিত হ‌য়ে‌ছি। নীরবে অনুশোচনার আগুনে পুড়েছি।তারপর সিদ্ধান্ত নিলাম, এইসব অ‌নৈ‌তিক কাজ জীবনে আর কখ‌নো করব না। একজন ভা‌লো মানুষ হ‌ব — একজন শিক্ষক হ‌ব। স‌ত্যিকার অ‌র্থে মানুষ গড়ার কা‌রিগর হ‌ব। আপনার কাছ থে‌কে সেদিন আমি স্পষ্ট বার্তা পেয়েছিলাম: একজন শিক্ষকের কেমন হওয়া উ‌চিত। অপমান ছাড়াও মানু‌ষকে সং‌শোধন করা যায় সে‌টি আপনার কাছ থে‌কেই শি‌খে‌ছি। আপনার উদারতা এবং মহানুভবতা আজ আমা‌কে এখানে নিয়ে এসেছে স্যার।

সা‌বেক ছা‌ত্রের কথাগু‌লো শুনতে শুনতে বৃদ্ধ শিক্ষকের চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠল! চোখের জল মুছতে মুছতে মৃদু হেসে শিক্ষক বললেন, "ঘটনাটি আমার দিব্যি ম‌নে আছে। কিন্তুু আমি তোমাকে মনে রাখিনি, কারণ সে সময় শুধু তোমাদের নয়, আমার চোখও বন্ধ ছিল।"

তারপর শিক্ষক দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করে বললেন, "তুমিই বলো বাবা, কোনো শিক্ষক কি সন্তানতুল্য ছাত্রদের চোরের বেশে দেখতে পারে? আমি চাই আমার ছাত্রদের বীরের বেশে দেখে গর্ব করতে।"

লেখা ও ছবি সংগৃহীত।

অন্যের মতামতকে নিজের পক্ষে আনার জন্য কিছু কৌশল এবং মনস্তাত্ত্বিক দিক বিবেচনা করতে হয়। এটি শুধুই যুক্তি দিয়ে হয় না, বরং স...
17/07/2025

অন্যের মতামতকে নিজের পক্ষে আনার জন্য কিছু কৌশল এবং মনস্তাত্ত্বিক দিক বিবেচনা করতে হয়। এটি শুধুই যুক্তি দিয়ে হয় না, বরং সম্পর্ক, সম্মান, অনুভূতি এবং যোগাযোগ দক্ষতার উপরও নির্ভর করে। কিছু কার্যকর পদ্ধতি দেওয়া হলো।

১. প্রথমে বুঝুন, তারপর বোঝান।

তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝুন: তারা কেন এমনটি ভাবছে? তাদের ভয়, উদ্বেগ, বা চাওয়া কী?

প্রশ্ন করুন: “আপনার মনে হয় এটা কেন ভালো হবে না?” এই ধরনের প্রশ্ন তাদের ভেতরের কারণ জানার সুযোগ করে দেয়।

২. সম্মান দেখান ও বিরোধিতা না করে মতভেদ পেশ করুন।

সরাসরি কাউকে বলবেন না- “আপনার মতামত ভুল।”
বরং বলা যেতে পারে- “আপনার পয়েন্টটি আমি বুঝি, তবে আমি অন্যভাবে ভেবেছিলাম…”

৩. সাধারণ স্বার্থ খুঁজে বের করুন।

“আমরা দুজনেই চাই প্রজেক্টটা সফল হোক, তাই না?”
এইভাবে একই লক্ষ্যে একমত হয়ে মতানৈক্য দূর করা সহজ হয়।

৪. তথ্য ও যুক্তি ব্যবহার করুন, তবে তা সহজ ভাষায়।

কঠিন শব্দ নয়, সাধারণ উদাহরণ দিন।
বাস্তব ঘটনা বা ছোট গল্প ব্যবহার করুন। এটি মানুষের মন সহজে গ্রহণ করে।

৫. প্রভাবশালী মানুষ বা উদাহরণ টানুন।

যদি আপনি এমন কারো উদাহরণ দিতে পারেন যাকে তারা শ্রদ্ধা করে, সেটি কার্যকর হয়।
যেমন: “আপনার পছন্দের ম্যানেজারও তো ঠিক এই পদ্ধতিই অনুসরণ করতেন।”

৬. প্রশংসা দিয়ে শুরু করুন।

মানুষের প্রতিরোধ কমে যায় যদি আপনি শুরুতেই বলেন:
“আপনার চিন্তাভাবনা সবসময়ই বাস্তবসম্মত…”
তারপর আপনার অবস্থান পেশ করুন।

৭. সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদেরও গুরুত্ব দিন।

“আপনার কী মনে হয়— আমরা যদি এটা ওভাবে করি, কেমন হয়?”

এতে তারা সহযোগী বোধ করে, বিরোধী নয়।

৮. সময় দিন।

কেউ একবারে মত বদলায় না। ধৈর্য ধরুন।
আপনি যদি শান্ত, যুক্তিপূর্ণ এবং শ্রদ্ধাশীল থাকেন, ধীরে ধীরে মানুষ আপনার কথায় আসতে শুরু করে।

ধরা যাক আপনি চাইছেন আপনার সহকর্মী একটি নতুন সফটওয়্যার ব্যবহার করুক, কিন্তু সে রাজি নয়।
তাকে বলবেন না: “তুমি সবসময় পুরনো পদ্ধতি নিয়ে পড়ে থাকো।”

তাকে বরং বলুন:
“আমি জানি তুমি কাজের গতি বজায় রাখতে চাও, আমিও তাই চাই। আমি এই নতুন সফটওয়্যারটা ব্যবহার করে কাজটা ২০% দ্রুত করেছি। তুমি একবার দেখো, যদি ভালো না লাগে, পুরোনোটাই থাকুক।”

নিজের মত অন্যের উপর চাপিয়ে দিলে কাজ হয় না। বরং বোঝাতে হবে, আপনি তাদের শ্রদ্ধা করেন এবং উভয়ের মঙ্গল হয় এমন কিছুই চাইছেন। এতে মানুষ ধীরে ধীরে আপনার কথায় আসবে।
__________________

এখন সব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি 😭😭
17/07/2025

এখন সব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি 😭😭

09/07/2025

Celebrating my 7th year on Facebook. Thank you for your continuing support. I could never have made it without you. 🙏🤗🎉

হে আল্লাহ গাজার ভাই বোনদেরকে রক্ষা করুন 😭😭সবাই গাজার ভাই বোনদের জন্য দোয়া করুন🙏বিশেষ করে ইজ*রা*য়ী*লদের পণ্য বয়কট করুন।  ...
20/03/2025

হে আল্লাহ গাজার ভাই বোনদেরকে রক্ষা করুন 😭😭
সবাই গাজার ভাই বোনদের জন্য দোয়া করুন🙏
বিশেষ করে ইজ*রা*য়ী*লদের পণ্য বয়কট করুন।

ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। কারণ খুজে পেলাম 😎দিন শেষে জিতে যায় চাচারা... হেরে যায় ভাতিজারা😅😌
17/03/2025

ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। কারণ খুজে পেলাম 😎
দিন শেষে জিতে যায় চাচারা... হেরে যায় ভাতিজারা😅😌

ঢামেক হাসপাতাল থেকে অর্ধশতাধিক দা'লা'ল আটক।আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ঢাকা মেডিকেলের সবই *দা*লা*ল, ২০০৮ সালে আমার আম...
07/03/2025

ঢামেক হাসপাতাল থেকে অর্ধশতাধিক দা'লা'ল আটক।
আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ঢাকা মেডিকেলের সবই *দা*লা*ল, ২০০৮ সালে আমার আম্মাকে নিয়া গেছিলাম তখন ফেস করছি, আর ২০২৩ শে চাচাকে নিয়া গেছিলাম তখনও ফেস করছি।

Address

Ka-93/2/C Kuratoli, Bishwaroa
Bhatara
1229

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Billal'S Lifestyle posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Billal'S Lifestyle:

Share

Filmmaker

Our Endeavor Is To Show Up The Fact Of Reality.