08/11/2024
বাংলাদেশে এমন কোন বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ, সাহসী, এমন সাংবাদিক কি নেই, যিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরকে নিচের প্রশ্নগুলো করতে পারেন....
১। আপনি বলেছেন ব্যাংক সংস্কার করবেন। আপনি কি আদৌ ব্যাংক সংস্কার করছেন, নাকি ধ্বংস করছেন??
২। আপনি যদি সংস্কার ই করেন, তাহলে প্রায় দু মাস ধরে ইসলামি ব্যাংক গুলো সহ আরো কিছু ব্যাংক গ্রাহককে টাকা দিতে পারছেনা কেন?
৩। আপনি একজন গভর্ণর হয়ে সবল ব্যাংক, দুর্বল ব্যাংক থিউরি দাড় করালেন। এটা কি ঠিক? আপনি দায়িত্ব নেওয়ার আগে তো মোটামুটি সব ব্যাংকই ভালো চলছিল। আপনি আসার পর কেন কোন কোন ব্যাংক অনেক সবল, কোন কোন ব্যাংক অনেক দুর্বল হয়ে পড়ল? একজন ব্যাংকের অভিভাবক হিসেবে এটা কি আপনার এক চোখা থিউরি নয়?
৪। এখন গভর্ণর মহোদয় যদি বলেন, ব্যাংকগুলোর চলতি হিসাব নেগেটিভ তাই। তাহলে এই নেগেটিভ হলো কিভাবে? কারো একাউন্টে টাকা না থাকলে তো তাকে টাকা দেওয়ার সিস্টেম নেই। আপনার বাংলাদেশ ব্যাংকের হর্তাকর্তারাই তাহলে দিয়েছে।
আপনি বলেছেন ব্যাংকগুলো ডিপোজিট হারালে সেটা তাদের দোষেই হারাবে। এই নেগেটিভ ব্যালেন্সের দায় যদি বর্তমানে কর্মরত সাধারণ অফিসারদের ভোগ করতে হয়, তাহলে যারা নেগেটিভ ব্যালেন্সে নিয়ে যেতে সহায়তা করছে তার দায় ও আপনাকে নিতে হবে। ব্যাংকের দায় ব্যাংকারের, বাংলাদেশ ব্যাংকের দায় আপনার। আপনি সাধু সেজে বসে থাকলে কিভাবে হবে।
৫। আপনার অসংলগ্ন কথাবার্তার ফলে যে ব্যাংকগুলোর ইমেজ কমেছে, তার দায় কি আপনি নিবেন না?
৬। আপনি টাকা না ছাপিয়ে তারল্য সহায়তার ব্যবস্থা করবেন বলেছেন। ভালো সিদ্ধান্ত। কিন্তু সরাসরি আপনি দায়িত্ব না নিয়ে তথাকথিত সবল ব্যাংক গুলোর সাথে নেগোশিয়েশনে নামিয়ে দিলেন। তারা ১০০ কোটির তারল্য সহায়তা দেওয়ার আগেই নেগেটিভ মার্কেটিং এ নেমে পড়ে ওই ব্যাংক গুলো থেকে হাজার কোটি ডিপোজিট হান্টিং করে নিচ্ছে। অথচ আন্ত ব্যাংকিং লেনদেন ব্যাংক টু ব্যাংক নিভৃতেই হয়। আমার লাগলে অন্য ব্যাংক দেয়, অন্য ব্যাংকের লাগলে আমরা দিই। ঢাক ঢোল পেটানোর কিছু থাকেনা। এই নেগেটিভ মার্কেটিং এর সুযোগ ও আপনিই করে দিয়েছেন।
৭। তাও তারল্য সহায়তার নাম করে করে ব্যাংক গুলোকে এতদিন ঘুরানো, তাদের কাস্টমার নষ্ট করার দায় ও আপনার। দেড় মাস পার হওয়ার পরেও কেন এত দেরি??
৮। আপনি নগদে পর্যবেক্ষক বসালেন। অথচ বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি হুন্ডি লেনদেন হয় বিকাশে। বিকাশের কিছুই করলেন না। আপনি কি কোন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চেয়ারে বসেছেন?
৯। সদিচ্ছা থাকলে কোন ব্যাংকের কাস্টমার নষ্ট না করে, স্বাভাবিক লেনদেন করতে দিয়ে, ব্যাংক গুলোকে সময় বেধে দিয়েও তো সংস্কার করা যেতো। আপনার কি সদিচ্ছার অভাব? এখন ব্যাংক গুলো তাদের ডিপোজিট ও হারাবে, কাস্টমার ও হারাবে। আপনি তো সংস্কারের বিপরিতে সংহার করে দিলেন।
১০। আপনার অসহযোগিতার কারনে অনেকে তো অপ্রয়োজনে টাকা তুলছেই। যার প্রয়োজন তাকেও টাকা দিতে পারছেনা ব্যাংক গুলো। কারো বিয়ে আটকে যাচ্ছে, কেউ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে, কারো বিদেশ যাত্রা আটকে যাচ্ছে, টাকা না পেয়ে সুস্থ মানুষ অসুস্থ হচ্ছে চিন্তায়, কর্মকর্তারা হয়রানির শিকার হচ্ছে, এসব কিছুর অভিশাপ আপনার ও লাগবে।। মিলিয়ে নিয়েন। প্রকৃতি ও সময়, সময়মতই রিভেঞ্জ নেয়........