05/10/2025
বাংলাদেশের সমাজের অন্যতম একটা ডার্ক-সাইড কী জানেন?
এদেশের ছেলে-মেয়েরা সচরাচর নিজেদের বাবা-মাকে অন্য কারো বাবা-মার সাথে তুলনা করে না; চিন্তাও করে না। নিজের অভিভাবকের উপার্জন যেমনই হোক না কেন, সেটা অন্যের অভিভাবকের উপার্জন স্কেলের সাথে তুলনা করে না; ওনাদের সামর্থ্যের বাইরে এমন কিছু স্বপ্ন দেখে হয়তো, কিন্তু সাধারণত আবদার করে না কখনো।
কিন্তু এদেশের বাবা-মারা সবসময় দেখা যায় তাদের সন্তানদের সাথে অন্যের তুলনা করে; ৪-৫ বছরের সন্তান হোক বা ৩৫-৪০ বছরের।বিশ্বাস করেন, সামান্য সামান্য ভুলের কারণে অথবা মর্জি মতো না চলার কারণে সন্তানের মৃত্যু পর্যন্ত কামনা করে এমন অভিভাবকও আছেন।
শারীরিক স্বাস্থ্যের প্রতি এতো লোক-দেখনো যত্ন, মানসিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে দেখেছেন?
পারিবারিক সম্পর্ক (parent-child relationship) মানসিক সমস্যার সঙ্গে significantly রিলেটেড। অর্থাৎ, সন্তান ও পিতামাতা সম্পর্কের বৈশিষ্ট্য, যেমন অত্যধিক নিয়ন্ত্রণ, তুলনা, শ্রদ্ধাহীন ব্যবহার বিপজ্জনক হতে পারে।
২০২২ সালে প্রকাশিত একটি স্টাডি "Overparenting's Consequences in Bangladeshi Society Child's Intelligence, Growth, and Creativity" বলেছে, বাংলাদেশে “overparenting” (অর্থাৎ অভিভাবকদের অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ, আবদার ও উচ্চ প্রত্যাশা) সন্তানের সৃজনশীলতা, বুদ্ধিমত্তা ও মানসিক স্বাস্থ্যকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
পিতা মাতার হক নিয়ে অনেক কথা হয়, কিন্তু সন্তানের হক নিতান্তই অপ্রাসঙ্গিক বিষয়। পিতা মাতা চাইলেই বলতে পারেন - "এমন সন্তান আমার প্রয়োজন নেই" এটা জাস্টিফাইড। কিন্তু সন্তান কখনোই বলতে পারেনা 💔
We often forget that children have their own strengths and passions. Instead of nurturing their uniqueness, we push them to fit a mold that may not suit them, treating success like a rigid formula. The greatest injustice on earth is not giving a child a life of peace.