Sultan Bangladeshi

Sultan Bangladeshi I love Bangladesh and her population

09/08/2025

ময়লা থেকে অসাধারণ জিনিস বানানো,,,,

08/08/2025

লৌহজং মুন্সিগঞ্জ

06/08/2025

✅✅✅বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন মঠ,,,,লাইভ ভিডিও

04/08/2025

ঝাউদিয়া শাহী জামে মসজিদ সম্পর্কে বিস্তারিত

🕌 পরিচিতি

ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ কুষ্টিয়া জেলার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামে অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। জনশ্রুতি অনুসারে এটি সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে নির্মিত, যদিও কোনও প্রত্নতাত্ত্বিক কমিশনের লিখিত প্রমাণ নেই ।

১৯৬৯ সালে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের তালিকায় নথিভুক্ত করে ।

🏛️ স্থাপত্য ও ডিজাইন

মসজিদের মূল কাঠামো চুন, সুরকি ও মাটির টালি দিয়ে নির্মিত।

নির্মাণে প্রাচীর ও মিনার ব্যবহার করা হয়েছে যা গম্বুজ-প্রধান মুঘল স্থাপত্য নির্দেশ করে।

মসজিদটির তিনটি গম্বুজ, তিনটি প্রধান প্রবেশ, এবং চার কোণায় চারটি মিনার রয়েছে ।

উপরের অংশে পাঁচটি ছোট গম্বুজ এবং ভেতরের যাওয়ার দরজায় দুইটি মিনার দেখতে পাওয়া যায়।

ভেতরে তিনটি নামাজের কাতার সম্পূর্ণ ঠাণ্ডা ও আরামদায়ক; দেয়ালগুলোতে অ্যালপনা-আলংকার রয়েছে

📖 ঐতিহাসিক ও লোককথাসমূহ

স্থানীয় বিশ্বাস রয়েছে যে ইরাকের শাহ সুফি আদারি এই অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে অবস্থান গঠন করেন এবং পরবর্তীতে এই মসজিদ নির্মাণ করেন ।

অনেকের ধারণা আছে যে মসজিদটি অলৌকিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে—"অলৌকিক ভাবে নির্মাণ"—এমন লোককথা প্রচলিত ।

🔍 বর্তমান অবস্থা ও দর্শন

বর্তমানে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে মসজিদটি রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে ।

প্রতি বছর বহু ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এবং পর্যটক মসজিদ পরিদর্শন ও নামাজ আদায় করতে আসেন ।

🧭 ভ্রমণ পরিকল্পনা

ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া যেতে বাস ও ট্রেনের সুবর্ণপথ সহজলভ্য: বাস — ক্যাল্যাণপুর থেকে ৬০০‑৭০০ টাকা, এসি ১০০০‑১২০০ টাকা; ট্রেনে সুন্দরবন, মধুমতি, বেনাপোল এক্সপ্রেস (৪১০‑৯৪৩ টাকা) ।

কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে নামার পর চৌড়হাঁস মোড় থেকে সিএনজি বা বাসে ঝাউদিয়া–মাছপাড়া সড়ক হয়ে মসজিদে পৌঁছাতে পারেন ।

কুষ্টিয়া শহরে হোটেল ও খাবারের সুবিধা রয়েছে; সেরা সময়: শীতল পর্যটনকাল নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ।
📋 তথ্যসার

বিষয় বিবরণ

অবস্থান ঝাউদিয়া গ্রাম, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা
নির্মাণকাল নির্দিষ্ট জানা নেই (সম্ভবত আওরঙ্গজেব যুগে)
নির্মাণ উপাদান চুন, সুরকি, মাটির টালি
স্থাপত্য ৩‑গম্বুজ, ৫‑গম্বুজ শোভিত, চার মিনারসহ
সংস্কৃতি লোকশ্রুতি অনুযায়ী অলৌকিক নির্মাণ
বর্তমান দায়িত্ব বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর
ভ্রমণ সুবিধা ঢাকা থেকে বাস ও ট্রেনে সহজ যাত্রা

02/08/2025

এস এম সুলতান (Sheikh Mohammed Sultan), খুলনার নারায়ণগঞ্জ-এ ১০ আগস্ট ১৯২৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১০ অক্টোবর ১৯৯৪ সালে নারায়েলেই প্রয়াণ বরণ করেন । তিনি বাংলাদেশ ও বাংলা শিল্পের অন্যতম পথপ্রদর্শক শিল্পী ছিলেন।

🖼️ পরিচয় ও শৈল্পিক বৈশিষ্ট্য

সুলতানের শিল্প জগতে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি এলো গ্রামীণ চিত্রায়নের মাধ্যমে, যেখানে শক্তিশালী ও মাসলযুক্ত কৃষক, চাষি ও শ্রমিকদের দৈনন্দিন জীবনধারা চিত্রণ করা হয়। তাঁর চিত্রে শক্তিশালী, দৃঢ়, ও অমোঘ এক প্রাণশক্তি দৃশ্যমান হয় ।

প্রাথমিকভাবে Impressionism এবং পশ্চিমা শিল্পধারা থেকে প্রভাবিত হলেও পরবর্তীতে তিনি নিজের স্বতন্ত্র decolonial (উপনিবেশবিরোধী) শৈলী বিকাশ করেন ।

জীবন ও শিক্ষা

মাত্র পাঁচ বছর বিদ্যালয় পাঠ শেষে ইটভাঁড়িতে বাবার পাশেই কাজ শুরু করেন, যেখানে নির্মাণ দেখার সময় নিজেই অঙ্কন করতে শুরু করেন ।

কলকাতায় শিল্পশিক্ষার সুযোগ পেয়ে ১৯৩৮ সালে Government School of Art-এ ভর্তি হন, তবে তিন বছর পড়াশোনা করার পর কলেজ ত্যাগ করেন ।

ভারতের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেন, যেখানে মন্তব্যাধীন সৈন্যদের প্রতিকৃতি আঁকা ছিল তাঁর উপার্জনের উৎস; কিন্তু সেই চিত্রগুলো বড় অংশই সংরক্ষিত হয়নি ।

ক্যারিয়ার ও প্রদর্শনী

প্রথম একক চিত্রপ্রদর্শনী ১৯৪৬-এ শিমলায় (ভারতে) হয়, এরপর লাহোর ও করাচিতে প্রদর্শনী হয় ।

নিজের শিল্প জীবনের ১৯৭৬ সালে ঢাকায় প্রথম প্রদর্শনী হয় শিলপাকলায়; এরপর ১৯৮৭ সালে গ্যুষ ইনস্টিটিউট ঢাকাতে একটি সফল একক প্রদর্শনী করে তাঁর খ্যাতি আরও বৃদ্ধি পায় ।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি

তিনি পেয়েছেন:

**একুশে পদক (১৯৮২)**

**বাংলাদেশ চিত্রশিল্পী সংসদ পুরস্কার (১৯৮৬)**

**স্বাধীনতা পদক (১৯৯৩)**

১৯৮২ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে “Man of Asia” পদবীতে ভূষিত করে এবং ১৯৮৪ সালে তিনি জীবনব্যাপী “artist-in-residence” হন শিলপাকলায় ।

ব্যক্তিত্ব ও জীবনধারা

বহুবর্ষ ধরে নারায়েল জেলার মাশিমদিয়া গ্রামে চিত্রকর্ম ও সাধারণ জীবনের সহাবস্থান ঘটিয়েছেন। ছিলেন নিজস্ব বোহেমিয়ান জীবনচর্যা, অনেক সময় পোকামাকড় ও প্রাণীর সাথে বসবাস করতেন ।

তিনি একটি ওপেন‑এয়ার শিশু শিক্ষা প্রচেষ্টা চালাতেন—“শিশু স্বর্গ” নামে, যেখানে গ্রামীরা আঁকার মাধ্যমে নিজের ভাব প্রকাশ করত ।

উত্তরাধিকার ও স্থায়িত্ব

নারায়েলে তাঁর বাড়ির চালু হয়েছে এস এম সুলতান স্মৃতি জাদুঘর এবং ২০০৯ সালে এস এম সুলতান বেঙ্গল চারুকলা মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়, যা তাঁর নাম ধারণ করে গ্রামীণ শিল্প শিক্ষা অব্যাহত রেখেছে ।

প্রতি বছর S.M. Sultan Gold Medal পুরস্কার দেওয়া হয় বাংলাদেশ শিল্পকলায় সুলতানের জন্মদিনে, যা সম্মাননা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ।

১৯৮৯ সালে তরিক মাসুদ পরিচালিত ৫৪ মিনিট দৈর্ঘ্যের ডকুমেন্টারি Adam Surat (The Inner Strength) তৈরী হয় শিল্পীর জীবন ও দর্শন নিয়ে ।

সারাংশ

এস এম সুলতান ছিলেন এমন এক শিল্পী, যিনি সাধারণ গ্রামীণ মানুষের শক্তি, সাহস ও মানবিকতা চিত্রকলায় তুলে ধরেছেন এক অনন্য, শক্তিশালী ভাষায়। শিল্পকর্মের মাধ্যমে তিনি বাংলার কৃষক‑শ্রমজীবী মানুষের ‘মনের ভিতরের শক্তি’ ফুটিয়ে তুলেছেন। তাঁর জীবন ও শিল্প এখনও বাংলাদেশের শিল্প এবং পরিচয়ের গভীর উৎস হিসেবে সমাদৃত।।

30/07/2025

মুন্সিগঞ্জ জেলার রামপাল উপজেলা (রিকাবিবাজার ইউনিয়নের কাজী কসবা গ্রামে) অবস্থিত ঐতিহাসিক বাবা আদম মসজিদ, যা স্থানীয়ভাবে বাবা আদম শাহিদ মসজিদ নামেও পরিচিত—বাংলাদেশের ষোড়শ শতের উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য নিদর্শন।

🕌 ইতিহাস ও গুরুত্ব

মসজিদটি নির্মিত হয় ১৪৮৩ খ্রিষ্টাব্দে (রেজব ৮৮৮ হিজরি), সুলতান জালালুদ্দিন ফতেহ শাহ-এর শাসনকালে মালিক কাফূর কর্তৃক নির্মিত একটি জামে মসজিদ হিসাবে ।

মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে বাবা আদম শাহিদ নামে একজন মুসলিম সাধকের নামে, যিনি এই এলাকায় ইসলামের প্রচারে এসে স্থানীয় হিন্দু রাজা বল্লাল সেনের বিরুদ্ধে লড়াই করে শহীদ হন এবং এখানে সমাহিত হন ।
🧱 স্থাপত্যশৈলী ও বৈশিষ্ট্য

ছয়টি গম্বুজে ঢাকা মসজিদটি ভেঙে তিন ঝাঁকিতে বিভক্ত পরিবারে গড়া—দুটি করিডোর এবং তিনটি আকায় বণ্টিত ।

পূর্ব দেয়ালে তিনটি খিলানাকৃতির প্রধান প্রবেশ পথ, পশ্চিম দেয়ালে তিনটি মেহরাব রয়েছে সমান্তরালভাবে ।

সূক্ষ্ম টেরাকোটা অলংকরণ, ফুল ও ঝুলন্ত শৃঙ্গল ডিজাইন, এবং রোসেটসহ মডেলিং-এর ব্যবহার প্রাধান্য পেয়েছে ।

চার কোনায় রয়েছে অষ্টভুজ আকৃতির টারেট (প্রাচীন সময়ে বৃত্তাকার), যা আজও অংশত দৃশ্যমান ।
📐 মাত্রা ও রক্ষণাবেক্ষণ

বিষয় বিবরণ

দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৩–৪৬ ফুট (≈১৩.১–১৪.৩০ মিটার)
প্রস্থ প্রায় ৩৬–৩৭.৬ ফুট (≈১১.৪৫ মিটার)
অভ্যন্তর ভূমি এলাকা ≈৭০ মি² (≈৭৫২ বর্গফুট)
গম্বুজ সংখ্যা ৬টি
মসজিদের প্রাচীর মোটা ≈১.৮৫ মিটার
সংরক্ষণ বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে, বেশ ভালো অবস্থায় রক্ষণাবেক্ষণ হয় ।
📍 ভ্রমণ তথ্য ও অবস্থান

ঢাকার থেকে মসজিদটির দূরত্ব ≈ ২৩ কিলোমিটার। রাস্তায় যাওয়ার জন্যে বাস বা ব্যক্তিগত গাড়িতে পৌঁছাতে হয় মুন্সিগঞ্জ শহরে। এরপর রিকশায় (≈৫ কিমি) মসজিদে যাওয়া যায়। জলপথে যেতে চাইলেও ঢাকার সদরঘাট থেকে পূর্ব নির্দিষ্ট লঞ্চে উঠা যায় ।

পর্যটন মৌসুম: নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আবহাওয়া শুষ্ক ও শীতল হওয়ায় বেশ উপযুক্ত সময় ।

➕ সংক্ষিপ্ত সারসংক্ষেপ

বাবা আদম মসজিদ বাংলাদেশের প্রাচীন সুলতানী স্থাপত্যে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, কারুকার্যময় টেরাকোটা ও মসজিদের ছয় গম্বুজে শোভিত।

মসজিদটির সাথে বাবা আদম শাহিদ-এর মাজার সংযুক্ত, যে কারণে এটি ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

মসজিদটি ১৯৪৮ সাল থেকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে নেই এবং ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের ডাকটিকিটেও এই মসজিদের ছবি প্রকাশিত হয়েছে ।

🧭 দর্শকদের জন্য পরামর্শ

ভ্রমণকালে তাজা জামা–জুত বা আবরণ (যথোচিত পরিধান) সঙ্গে রাখার কথা বিবেচনা করবেন।

মসজিদ এলাকায় সাবালক আচরণ ও সংরক্ষণশীলতার জন্য গুরুত্ব দিন।

স্থানীয় গাইডদের কাছে দেশ ও ইতিহাস সম্পর্কিত গল্প জানা যেতে পারে।

27/07/2025

তাড়াশ জমিদার বাড়ি (তাড়াশ ভবন বা রাজবাড়ী) হলো বাংলাদেশের পাবনা জেলায় অবস্থিত একটি উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। নিচে এর ইতিহাস, স্থাপত্য এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য দেওয়া হলো:
🏛️ ইতিহাস

তাড়াশ জমিদার বাড়িটি ১৮ শতকের ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মিত হয় জমিদার রায় বাহাদুর বনওয়ারী লাল রায় কর্তৃক ।

এই জমিদার পরিবারের আগত বাসুদেব তালুকদার বা নারায়ণদেব চৌধুরী নবাব মুর্শিদকুলীর রাজস্ব বিভাগে তার আন্তরিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ ‘রায়’ উপাধি পান এবং তারাশ মহাল লাভ করেন ।

পরবর্তীতে দত্তক পুত্র বনমালী রায় আধুনিকভাবে তাড়াশ ভবনের নির্মাণ করেন ।

১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জমিদার পরিবার এই ভবনটিকে আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করেছিল ।

৮ জানুয়ারি ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এটি সংরক্ষিত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা হিসেবে ঘোষণা করে ।
🧱 স্থাপত্য

এই ভবনের প্রাকৃতিক আয়তন প্রায় ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬০ ফুট প্রস্থ রেকর্ড করা হয়েছে ।

ইউরোপীয় রেনেসাঁ বা গ্রিক প্রভাবিত স্থাপত্যশৈলী দেখা যায়, বিশেষত ভবনের প্রবেশদ্বারের তিনটি বিশাল কোরিন্থিয়ান স্তম্ভ এবং অর্ধবৃত্তাকার ফটকের কারণে ।

নিচ এবং দ্বিতীয় তলায় মোট ১৬টি কক্ষ, ৮০টি দরজা ও ৫৩টি জানালা নির্মিত হয়েছিল পর্যাপ্ত আলো-বাতাস নিশ্চিত করার জন্য ।

প্রবেশপথের প্রস্থ এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল যাতে জমিদারের দুটি হাতি সমস্যা ছাড়াই আসতে পারত—এটি স্থানীয় কিংবদন্তি হিসেবে প্রচলিত ।
✨ বর্তমান অবস্থা ও দর্শনীয়তা

বর্তমানে এই স্থাপনাটি পাবনা জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক সংরক্ষিত ।

বিভিন্ন সময়ে ভবনটি সরকারী অফিস বা পাবনা মেডিকেল কলেজের পরিষেবা কেন্দ্রে ব্যবহৃত হয়েছে ।

বর্তমানে সংস্কার করা হলেও কার্যকরভাবে কোনো ব্যবহার নেই; রাতের বেলায় নিরাপত্তার অভাবে এটি অনিরাপদ হয়ে পড়েছে বলে ব্যবহারকারীরা মন্তব্য করেছেন ।

তাছাড়া অনেকেই এই ভবনটিকে জাদুঘরে পরিণত করার দাবি উত্থাপন করছেন ।
📍 কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে গাড়ি, বাস বা ট্রেনে পাবনা পৌঁছাতে পারেন।

এরপর পাবনা বাইপাস টার্মিনাল থেকে অটো বা রিকশায় ৭–১৫ মিনিটে তাড়াশ রাজবাড়ি পৌঁছানো যায়; ভাড়া সাধারণত ১৫‑৩০ টাকা ।

ভ্রমণকালে কোনো প্রবেশ মূল্য নেই—এটি অনেকেই বিনামূল্যে পরিদর্শন করেন ।

পাবনা শহরে থাকার জন্য বেশ কিছু আবাসিক ও হোটেল রয়েছে, যেমন: প্রবাসী ইন্টারন্যাশনাল, শিলটন, প্রাইম গেস্ট হাউস ইত্যাদি ।
🧭 সারাংশ

তাড়াশ জমিদার বাড়ি হলো ১৮ শতকের রেনেসাঁ প্রভাবিত একটি শ্রেষ্ঠ নিদর্শন, যার নির্মাতা ছিলেন বনওয়ারী লাল রায়।

এটি স্থাপত্য, ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বের কারণে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর দ্বারা সংরক্ষিত।

যদিও এটি বর্তমানে ততটা ব্যবহৃত নয়, স্থানীয়দের দাবি এই জমিদার বাড়ি জাদুঘরে রূপান্তর করা হোক যেন বিকল্প বিপুল পর্যটন আকর্ষণ তৈরি হয়।

26/07/2025

মিনি স্মৃতিসৌধ বালিয়াডাঙ্গী ঠাকুরগাঁও। লাইভ ভিডিও

🤲🤲🤲মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থীদের আল্লাহ সুস্থ করে দিন।।"হে আল্লাহ! তুমি এই নিষ্পাপ শিশুদের ও কিশোরদের শহীদের মর্যাদা দ...
25/07/2025

🤲🤲🤲মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থীদের আল্লাহ সুস্থ করে দিন।।
"হে আল্লাহ! তুমি এই নিষ্পাপ শিশুদের ও কিশোরদের শহীদের মর্যাদা দান করো,
তাদের পরকালের ঘর শান্তিময় করো,
তাদের পরিবারের হৃদয়ে ধৈর্য দান করো,
আর আমাদের সবাইকে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত রাখো। আমিন।"

23/07/2025

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খন্দকার টোলা এলাকায় অবস্থিত ঐতিহাসিক খেরুয়া মসজিদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:

📜 ইতিহাস ও নির্মাণ

মসজিদটি ১৫৮২ সালে নির্মিত হয়, নির্মাতা ছিলেন মোগল সেনাপতি মির্জা মুরাদ খান কাকশাল, যার নাম মসজিদের প্রাচীরের শিলালিপিতে খোদাই করা আছে ।

তবে স্থানীয় একজন খাদেম আব্দুস সামাদ ফকির-এর নামও ছড়িয়ে আছে, যদিও শিলালিপি ভিত্তিক প্রথম নামটিকেই সঠিক ধরে নেওয়া হয়ে থাকে ।

🏛️ স্থাপত্য ও বৈশিষ্ট্য

মিশ্র স্থাপত্য: সুলতানি ও প্রাচীন মোগল যুগের আর্কিটেকচারের মিলিত উদ্ভাস ।

মসজিদের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৭.২৭ মিটার, প্রস্থ ৭.৪২ মিটার, এবং দেয়াল প্রায় ১.৮১ মিটার দাঁতালো ।

তার ছাদে তিনটি সমমাপের আধা গোলাকৃতি গম্বুজ (প্রতি গম্বুজ ব্যাস ~৩.৭১ মিটার) ।

চার কোণে প্রাচীর থেকে সামান্য এগিয়ে চারটি ছোট মিনার অবস্থিত ।

পূর্ব দিকে তিনটি খিলান দরজা, উত্তর ও দক্ষিণে এক করে দরজা; পশ্চিমে তিনটি অলংকার-সজ্জিত মেহরাব ।

ইটের খোদাইকাজে ফুল-পাতা ও ভঙ্গুর প্যানেলের নান্দনিকতা, আর একে ঘিরে সবুজ প্রাকৃতিক প্রাঙ্গণ ।

🌳 পরিবেশ ও রক্ষণাবেক্ষণ

মসজিদটি প্রায় ৫৯ শতক (১৪৭০ মি²) আয়তনের প্লটে অবস্থিত, যা লোহার রেলিং দিয়ে বেষ্টিত ।

মসজিদ চত্বর ঘিরে আছে তাল, নারকেল, আম ও কদমসহ বিভিন্ন গাছপালা, যা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে ।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে সুরক্ষিত এবং ২০০০ সালে এক পর্যায়ে হালকা সংস্কার করা হয়েছিল ।

🙏 ব্যবহার ও প্রসঙ্গ

এখানে প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ ও শুক্রবার জুমা আদায় করা হয়, প্রায় ৯০ জন মুসল্লি একসঙ্গে নামাজে অংশ নিতে পারে ।

এক পাশে ওযুখানা ও খাদেম আব্দুস সামাদের কবর রয়েছে ।

📍 অবস্থান ও যাতায়াত

ঢাকা থেকে দূরত্ব ≈১৬৬ কিমি, বগুড়া জেলা শহর থেকে ≈২৮ কিমি, আর শেরপুর উপজেলা সদর থেকে মাত্র ≈১ কিমি ।

শেরপুর থেকে রিকশা/ভ্যান/সি‌এন‌জিচালিত যান পাওয়া যায় সহজেই ।

📝 সারসংক্ষেপ

বিষয় বিস্তারিত

নাম খেরুয়া মসজিদ
অবস্থান শেরপুর, বগুড়া (খন্দকার টোলা)
নির্মাণ ১৫৮২
নির্মাতা মির্জা মুরাদ খান কাকশাল
আর্কিটেকচারের ধরন সুলতানি-মোগল মিশ্র
মুখ্য বৈশিষ্ট্য ৩ গম্বুজ, ৪ মিনার, ইট-খোদাকাজ, ৫৯ শতক প্লট
ব্যবহার নিয়মিত নামাজ ও জুমা
মনোপনায়ন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর দ্বারা সুরক্ষিত

খাস করে ১৫ শতকের স্থাপত্য, স্থানীয় ব্যবহার ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণে, এই মসজিদটি শুধু ধর্মীয় স্থানই নয়, এক প্রাচীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও বটে। বগুড়া, বিশেষ করে শেরপুরে ঘোরা-ফিরা করেন—তবে খেরুয়া মসজিদ একটি অবশ্যই দেখার মতো স্থান।

কাল আর কাউকে সকাল বেলা ডাকার প্রয়োজন হবে না—“ওঠো, দেরি হয়ে যাবে স্কুলে” এই ডাক আর আসবে না।হোমওয়ার্ক নিয়ে মায়াময় বায়না থা...
22/07/2025

কাল আর কাউকে সকাল বেলা ডাকার প্রয়োজন হবে না—
“ওঠো, দেরি হয়ে যাবে স্কুলে” এই ডাক আর আসবে না।
হোমওয়ার্ক নিয়ে মায়াময় বায়না থাকবে না কারও মুখে,
মিসের কাছে ছোটাছুটি, টিফিন বক্স হারানোর ব্যস্ততা, সব থেমে গেছে।

বাবা আর অফিস যাবার পথে গল্প শুনিয়ে হাত ধরে স্কুলে নিয়ে যাবেন না,
মা আর যত্ন করে বানানো টিফিন গুছিয়ে কপালে চুমু দিয়ে বিদায় জানাবেন না।
“কখন ফিরবে স্কুল থেকে?”—এই অপেক্ষা আজ নেই কারও মনে।

স্কুল শেষে কেউ আর বলবে না, “চলো খেলতে যাই”—
আজ সব আবদার, সব আদর স্তব্ধ হয়ে গেছে হঠাৎ করেই।
আহা! কতগুলো ঘর আজ নিঃস্ব, নিশব্দ, নিস্তব্ধ হয়ে গেলো…

🖤
২১.০৭.২০২৫
উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ | বিমান দুর্ঘটনা | এক অপূরণীয় শোক

✅✅AI দিয়ে সেলেব্রিটিদের ছবি বানানো যায় কিন্তু নিজের ছবি বানানো যায় না।।তা আজ প্রমাণ করলাম,,,, 😁😁😁
20/07/2025

✅✅AI দিয়ে সেলেব্রিটিদের ছবি বানানো যায় কিন্তু নিজের ছবি বানানো যায় না।।
তা আজ প্রমাণ করলাম,,,, 😁😁😁

Address

Dhaka
1207

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sultan Bangladeshi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sultan Bangladeshi:

Share