Bhoot FM.Com-ভুতএফএম.কম

Bhoot FM.Com-ভুতএফএম.কম Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Bhoot FM.Com-ভুতএফএম.কম, Dhaka.

"ভয়ের রাত, অদ্ভুত ঘটনা আর অজানা আতঙ্কে আপনাকে স্বাগতম! এখানে পাবেন বাংলাদেশের নানা ভৌতিক ইতিহাস, অদ্ভুত কাহিনি, আর রহস্যময় স্থানের ভিডিও ও ছবি।
সত্যি না কল্পনা? তা ঠিক করবেন আপনি!
সাহস থাকলে পেজে যুক্ত হন আর মিশে যান অন্ধকারে..."

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Noor Emon, MD Atiqur Islam Alif, Md Sajjad Ahmed, FA HI, ...
24/09/2025

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Noor Emon, MD Atiqur Islam Alif, Md Sajjad Ahmed, FA HI, Md Jubayed Hossan, Mina Das, Mehedi Hasan, BM Shawon Sikder, Asma Binte Waliullah

Big shout out to my newest top fans! 💎 Adil Islam, Papiya Biswas, MD Mamunur Rashid Mamun, K Firoja, Md Zisan AliDrop a ...
23/09/2025

Big shout out to my newest top fans! 💎 Adil Islam, Papiya Biswas, MD Mamunur Rashid Mamun, K Firoja, Md Zisan Ali

Drop a comment to welcome them to our community, fans

🌑 ঠাকুরগাঁওয়ের মহিষকুরি কবরস্থানের ডাক – দ্বিতীয় পর্ব 🌑মাহবুব প্রথম রাতের সেই অভিজ্ঞতার পর থেকে আর শান্তিতে নেই।গ্রামের ...
23/09/2025

🌑 ঠাকুরগাঁওয়ের মহিষকুরি কবরস্থানের ডাক
– দ্বিতীয় পর্ব 🌑

মাহবুব প্রথম রাতের সেই অভিজ্ঞতার পর থেকে আর শান্তিতে নেই।
গ্রামের মানুষ তাকে বারবার প্রশ্ন করছে—
“কবরস্থানে একা কি করছিলি?”
“কেন গেছিস?”
“ভূত-টুত কিছু দেখলি নাকি?”

সে স্পষ্ট কিছুই বলে না।
কারণ সে নিজেও বুঝতে পারছে না, কি দেখেছে সেদিন।
তবে কানে বাজতে থাকা সেই ফিসফিসানি, “এখানেই থাকো…”
এখনও তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।

রাতে চোখ বন্ধ করলেই সে অনুভব করে, কবরস্থানের অন্ধকার পথটা তার সামনে ভেসে ওঠে।
মাটির ভেতর থেকে হঠাৎ হাত বেরিয়ে আসে,
ভেজা মাটির গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসে,
দূরে সেই কালো পোশাকের অবয়ব দাঁড়িয়ে থেকে তাকে ডাকছে।

এক রাতে সে ঘুম ভেঙে দেখে, দরজার বাইরে কে যেন হেঁটে যাচ্ছে।
চাঁদের আলোয় ছায়া পড়ে ঘরের ভেতর।
মনে হলো, সেই একই অবয়ব ঘুরছে চারপাশে।

মাহবুব জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিল।
হৃদপিণ্ড কেঁপে উঠল—
সামনের উঠোনে কেউ নেই, অথচ ছায়াটা মাটির ওপর স্পষ্ট নড়ছে।

সে ঘেমে উঠে বসে পড়লো।
তারপর থেকে আর একা বাইরে বেরোতে সাহস পায় না।
কিন্তু কৌতূহলও তাকে তাড়াচ্ছে।
সে মনে মনে ঠিক করলো, আবারও কবরস্থানে যাবে।

গ্রামের এক বৃদ্ধ তাকে সাবধান করে বললো—
“বাবা, মহিষকুরি কবরস্থান স্রেফ মাটির টিলা না।
এখানে যারা সমাহিত, তাদের ভেতর কেউ কেউ শান্তি পায় নাই।
মাঝরাতে ওরা ডাক দেয়—
যে সাড়া দেবে, সে আর ফিরে আসবে না।”

কথাটা শুনে তার গা শিউরে উঠল।
কিন্তু মন বলল, “না, আমাকে জানতেই হবে সত্য।”

পরদিন রাতে আবার সে কবরস্থানের পথে বেরোল।
চারদিকে অদ্ভুত নীরবতা।
কুকুরের ডাকা নেই, পাখির ডাক নেই, শুধু হাওয়ার সোঁ সোঁ শব্দ।

সে যখন ভেতরে ঢুকল, একেবারে হিম শীতল বাতাস তার গায়ে লাগলো।
কবরের পাশে দাঁড়াতেই মনে হলো, কেউ তার কাঁধে হাত রাখলো।
চমকে ঘুরে দাঁড়াল—কেউ নেই।

হঠাৎ চারপাশ থেকে ভেসে এলো গুনগুন শব্দ।
কেউ যেন একসাথে অনেকগুলো নাম ডাকছে।
কানে এলো—“মাহবুব… মাহবুব…”

তার মাথা ঝিমঝিম করতে লাগল।
মনে হলো মাটির নিচ থেকে হাত বেরিয়ে তার পা আঁকড়ে ধরছে।
সে টানতে লাগল, ছুটতে চাইল, কিন্তু পা যেন জমে গেছে।

ঠিক তখনই চোখে পড়লো, দূরের এক কবরে মৃদু আলো জ্বলছে।
মোমবাতির মতো আলো, কিন্তু কেউ নেই আশেপাশে।
সে ভয় সামলে এগোতে থাকল।

হঠাৎ বাতাস থেমে গেল।
নীরবতার ভেতর থেকে ভেসে এলো এক নারীকণ্ঠ—
“তুই আবার এলে?”

মাহবুবের বুক ধক করে উঠল।
কণ্ঠস্বরটা একদম পাশ থেকে এল, অথচ চোখে কাউকে দেখা গেল না।
সে পেছন ফিরতেই জমাট অন্ধকারের ভেতর থেকে ধীরে ধীরে ভেসে উঠল সেই কালো অবয়ব।

অবয়বটা এবার আগের চেয়ে অনেক কাছে।
চোখ দুটো আগুনের মতো লাল হয়ে জ্বলছে।
ঠোঁট নড়ছে, কিন্তু গলা দিয়ে শব্দ বেরোচ্ছে না।

মাহবুব ভয়ে ঘামতে লাগল, শরীর জমে গেল।
অবয়বটা হাত বাড়িয়ে তার দিকে এগোতে থাকল।
মাহবুবের কানে এবার ভেসে এলো ফিসফিসানি—
“এবার তুই আমার… তুই আর ফিরবি না…”

সে প্রাণপণে চিৎকার দিল, কিন্তু শব্দ গলায় আটকে গেল।
চারপাশ অন্ধকারে ভরে গেল,
কবরগুলোর ভেতর থেকে যেন শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ আসতে লাগল।
মাটি কাঁপতে লাগল, গাছের পাতা ঝরঝর করে নড়তে লাগল।

মাহবুবের মনে হলো, পুরো কবরস্থান জীবন্ত হয়ে গেছে।
সব কবরের ভেতরের আত্মারা জেগে উঠেছে।
আর সবাই তাকে একসাথে ডাকছে।

সে দৌড়াতে চাইল, কিন্তু শরীর যেন কারো হাতে বাঁধা।
অবয়বটা ধীরে ধীরে তার দিকে ঝুঁকে এলো।
চোখের লাল আলো তার চোখের ভেতর ঢুকে গেল।

👉 চলবে…
পরবর্তী পর্বে জানা যাবে— মাহবুব কি আসলেই কবরস্থানের অভিশপ্ত আত্মাদের কবলে চলে গেল?
নাকি এখনও তার বাঁচার কোনো সুযোগ আছে?

📌 চোখ রাখুন 👉 Bhoot FM.Com-ভুতএফএম.কম
#ভৌতিকগল্প #মহিষকুরিকবরস্থান #ঠাকুরগাঁও

🌑 দেওনাই বাজারের শাপলা বিলের অশরীরী  🌑দ্বিতীয় পর্ব-মিজান সেই রাতের ঘটনার পর থেকে আর স্বাভাবিক নেই।লোকজন হাসাহাসি করছে, ক...
22/09/2025

🌑 দেওনাই বাজারের শাপলা বিলের অশরীরী 🌑
দ্বিতীয় পর্ব-

মিজান সেই রাতের ঘটনার পর থেকে আর স্বাভাবিক নেই।
লোকজন হাসাহাসি করছে, কেউ বলছে—“ভূত দেখছে, পাগল হয়ে গেছে।”
কেউ আবার ফিসফিস করে বলছে—“শয়তান কিছু একটা চোখে দেখিয়েছে।”

কিন্তু মিজান জানে, তার চোখে ভুল কিছু হয়নি।
সে শুনেছে বিলের ভেতর থেকে আসা সেই নারীকণ্ঠের কান্না,
সে দেখেছে শাপলার ভেতর থেকে ভেসে উঠা সেই অদ্ভুত ছায়াটাকে।

রাতে সে ঘুমাতে গেলেই ভয়ংকর স্বপ্ন এসে তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়।
স্বপ্নে সে দেখে—শাপলার ভেতর থেকে রক্ত ঝরছে।
বিলের মাঝখান থেকে একটা শাড়ি পরা মহিলা হাত বাড়িয়ে তাকে ডাকছে।
কান্নায় ভরা গলা—“আমায় বাঁচাও... আমায় বাঁচাও...”

মিজান ঘুমের ঘোরেই চিৎকার দিয়ে উঠে বসে।
তার বউ ঘাবড়ে যায়—“কি হয়েছে? আবার কি দেখলা?”
মিজান কপাল মুছতে মুছতে বলে—“ওই একই আওয়াজ… আবারো…”

দিনে সে যতই শক্ত থাকার চেষ্টা করে, রাতে ভেঙে পড়ে।
মাথার ভেতর বাজতে থাকে সেই কান্নার সুর।
এমনকি বাজারে গেলেও দূর থেকে কানে বাজে কান্নার মতো আওয়াজ।
সে ভাবে, “আমিই কি পাগল হয়ে যাচ্ছি?”

লোকজন গা-ঝাড়া দিয়ে বলে—“দূর মিয়া, বিলে জ্বীন-ভূত নাই, সব তোমার মনের ভুল।”
কিন্তু গ্রামের বয়স্ক লোকেরা ভিন্ন কথা বলে।
তারা জানে—শাপলা বিলটা একসময় ছিল কবরখানা লাগোয়া।
অনেক ডুবে যাওয়া মৃতদেহ নাকি বছরের পর বছর ওই বিলের নিচেই চাপা পড়েছে।

এক রাতে মিজান শপথ করলো—সে সত্যটা জানবেই।
নিজেকে বোঝাল—“ভয় পাইলে চলবে না, পালিয়ে গেলে সত্যি কেউ জানব না।”

সে আবার একা একা বেরিয়ে পড়ল শাপলা বিলের দিকে।
চাঁদের আলোয় ভিজে আছে চারপাশ।
ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, দূরের কুকুরের ডাকে রাতটা অস্বাভাবিক মনে হয়।

মিজান পা বাড়ায় পানির ধারে।
শাপলার পাতাগুলো নড়ছে, যেন ভেতরে কিছু লুকিয়ে আছে।
তার বুক ধক ধক করতে থাকে, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে।

হঠাৎ আবার সেই কান্নার শব্দ!
এবার অনেক স্পষ্ট—“মিজান... মিজান... আমারে বাঁচাও...”
মিজান ভয়ে কেঁপে ওঠে—এবার কি তার নাম ধরে ডাকছে?

সে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে, বিলের ভেতর সত্যিই একটা অবয়ব।
ভেসে আছে পানির ওপরে, সাদা কাপড়ে মোড়া, মাথার চুল ভিজে পানিতে টানাটানি করছে।
মুখটা আধো আলোয় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না, তবে চোখ দুটো লালচে আগুনের মতো জ্বলছে।

মিজানের গলা শুকিয়ে আসে।
সে পা পিছাতে চায়, কিন্তু শরীর যেন কাজ করছে না।
পায়ের নিচে কাদায় আটকে গেছে, মনে হয় কেউ টেনে ধরে রেখেছে।

“আমায় ছেড়ে যাস না...”
কণ্ঠটা কানে এলো এবার একেবারে কাছ থেকে।
মিজান অনুভব করল—কেউ যেন তার হাত ধরে টানছে পানির ভেতর।

সে প্রাণপণে চিৎকার করতে গেল, কিন্তু গলা দিয়ে শব্দ বেরোল না।
চারপাশ নিস্তব্ধ, শুধু বিলের ভেতর গুনগুন করে আওয়াজটা বাড়ছে।

তারপর হঠাৎ সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল।

ভোরবেলা কিছু মানুষ জাল নিয়ে মাছ ধরতে এসে তাকে অচেতন অবস্থায় কাদায় পড়ে থাকতে দেখে।
ওরা টেনে তুললো, পানি ঢাললো মুখে, তখন ধীরে ধীরে মিজানের জ্ঞান ফিরলো।

লোকজন জিজ্ঞেস করতে লাগলো—“কি হইছে? এখানে একা একা আবার কেন?”
মিজান কাঁপা কাঁপা গলায় শুধু বললো—
“ওই... ওই মহিলা... আবার আমায় ডাকলো...”

গ্রামের লোক এবার আর সহজে হাসাহাসি করলো না।
কারণ যারা তাকে খুঁজে পেয়েছিল, তারাও শাপলার পাতার নিচে কিছু একটা নড়াচড়া দেখেছে।
তারা শপথ করলো, “আমাদের চোখে ভুল হতে পারে না।”

গ্রামে ভয় ছড়িয়ে গেল।
দেওনাই বাজারের শাপলা বিলকে আর কেউ রাতের বেলা কাছেও যায় না।
কিন্তু মিজান জানে, এই কাহিনী এখানেই শেষ নয়।
ওই ছায়া এখন শুধু বিলেই সীমাবদ্ধ নেই—
সে মিজানের স্বপ্নে ঢুকে পড়েছে, তার নাম ধরে ডাকছে বারবার।

👉 চলবে…
পরবর্তী পর্বে জানা যাবে— মিজান কি সত্যিই সেই অশরীরীর কবল থেকে বাঁচতে পারবে, নাকি তার জীবনও শাপলা বিলে চাপা পড়া আত্মাদের সাথে মিশে যাবে চিরতরে?

📌 চোখ রাখুন 👉 Bhoot FM.Com-ভুতএফএম.কম
#ভৌতিকগল্প #শাপলাবিলেরঅশরীরী #ঠাকুরগাঁও

🌑 কুলিক নদীর ছায়া – দ্বিতীয় পর্ব 🌑পীরগঞ্জের কুলিক নদীটা দিনে শান্ত, অথচ রাত নামলেই এক অন্যরকম রূপ নেয়। আশেপাশের গ্রামবাস...
21/09/2025

🌑 কুলিক নদীর ছায়া – দ্বিতীয় পর্ব 🌑

পীরগঞ্জের কুলিক নদীটা দিনে শান্ত, অথচ রাত নামলেই এক অন্যরকম রূপ নেয়। আশেপাশের গ্রামবাসী রাত নামার পর নদীর ধারে যেতেই ভয় পায়। তাদের বিশ্বাস—এই নদীতে বহু আত্মা আজও ঘুরে বেড়ায়।

সেদিন শফিক আর রমজান মাছ ধরতে গিয়েছিল। রাত তখন প্রায় বারোটা। আকাশে চাঁদ ছিল, কিন্তু হঠাৎ ঘন মেঘ এসে আলো ঢেকে দিল। চারপাশ অন্ধকারে ডুবে গেল।

শফিক বলল—“ভাই, এইটা তো হঠাৎ কী হইল? এত দ্রুত আকাশ ঢাকলো কেমনে?”
রমজান সিগারেটের আগুন টেনে জ্বালাল, বলল—“এই সময় নদী এমনিই অদ্ভুত হয়। তবুও মনটাকে শান্ত রাখ।”

হঠাৎ নদীর ভেতর থেকে গুরগুর শব্দ ভেসে এল। মনে হচ্ছিল কেউ বিশাল একটা ঢিলা পাথর ছুঁড়ে দিয়েছে জলে। শফিক চমকে জাল টেনে নিল।

“এইটা কি রে? ঢেউ না তো!”—শফিক ফিসফিস করল।
রমজান শিউরে উঠল—“না, নদীর নিচে কিছু আছে। আমি কসম করে বলতেছি।”

ঠিক তখনই ভাঙা ঘাটের কাদাজলা থেকে ধীরে ধীরে ভেসে উঠল সাদা অবয়ব। চুল ভিজে ঝুলছে, চোখ অস্বাভাবিক লাল, মুখ শুকনো।

শফিক ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে জাল ছুঁড়ে মারলো। কিন্তু অবয়বটায় পড়তেই সেটা মিলিয়ে গেল। জালটা শুধু পানিতে ভিজে গেল।

“শফিক...”—কেউ ডাকল পেছন থেকে। শফিক ঘুরে দাঁড়াল, কিন্তু সেখানে কেউ নেই। বাঁশঝাড়ের পাতার কাঁপুনিই শুধু।

রমজান চিৎকার করে উঠল—“চল পালাই!”
কিন্তু শফিকের পা নড়ছিল না। মনে হচ্ছিল মাটির ভেতর থেকে কে যেন পা শক্ত করে ধরে রেখেছে।

আবার সেই সাদা অবয়ব। এবার স্পষ্ট দেখা গেল—এটা এক বৃদ্ধা। দাঁত কালচে, চোখে আগুনের মতো আলো।

রমজান ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলল—“এইটা সেই নারী, যে কয়েক বছর আগে কুলিক নদীতে ডুবে গেছিল। সবাই বলত তার লাশ নাকি ঠিকমতো কবর হয়নি।”

বৃদ্ধার মতো অবয়বটা ধীরে ধীরে কাছে এলো। কণ্ঠস্বর কেঁপে উঠল—“আমার ঘুম ভাঙাইছিস, আমার শান্তি নষ্ট করছিস, এখন কেউ বাঁচবা না।”

শফিক বুক ফেটে চিৎকার দিল, কিন্তু শব্দ বের হলো না। গলা আটকে গেল। রমজান মরিয়া হয়ে তাকে টানছিল, কিন্তু শফিকের পা যেন নদীর ভেতরে ডুবে যাচ্ছিল।

অবয়বটা হঠাৎ অদ্ভুত হাসি দিল। সেই হাসি এত ভয়ংকর যে দুই পাড়ে প্রতিধ্বনি হয়ে বাজল। মনে হচ্ছিল শত শত অদৃশ্য আত্মা একসাথে হেসে উঠছে।

বাতাস ভারী হয়ে গেল। নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। রমজান বুঝল—আজ হয়তো শেষ রাত। তবুও সে শফিককে ছাড়ল না।

নদীর ভেতর থেকে এবার আরও ভয়ংকর শব্দ উঠল। যেন বহু লোক একসাথে পানির নিচে গর্জন করছে। শফিকের শরীর অর্ধেক নদীতে ডুবে গেল।

তার চোখ বড় বড় হয়ে উঠল। সে কাঁপা গলায় ফিসফিস করে বলল—“রমজান... পিছনে তাকাস না... কেউ দাঁড়িয়ে আছে...”

রমজানের বুক ধড়ফড় করছে। ঘাম ঝরছে কপাল বেয়ে। সে জানে, যদি পিছনে তাকায় তবে হয়তো আর বাঁচবে না।

কিন্তু সেই মুহূর্তে নদীর পাড় থেকে পায়ের শব্দ শোনা গেল। কেউ একজন ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে।

রমজানের কান ঝাঁকিয়ে উঠল। পায়ের শব্দ থেমে গেল একদম কাছাকাছি।
হঠাৎ কারো নিঃশ্বাস তার ঘাড়ে এসে লাগল।

রমজান কেঁপে উঠল, কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস পেল না।

শফিক মরিয়া হয়ে শেষবারের মতো চিৎকার দিল—“বাঁচা, রমজান... পিছনে যা আছে... সেটা মানুষ না...”

আর সেই মুহূর্তে নদীর ভেতর থেকে হাত বেরিয়ে এসে শফিককে জড়িয়ে ধরল।

শফিকের চোখ নিভে গেল। তার শরীর ধীরে ধীরে জলে তলিয়ে গেল।

রমজান অসহায় চোখে তাকিয়ে থাকল, কিন্তু কিছু করতে পারল না।

ঠিক তখনই তার ঘাড়ে আবারও গরম নিঃশ্বাস পড়ল।

👉 চলবে…

📌 চোখ রাখুন 👉 Bhoot FM.Com-ভুতএফএম.কম
#ভৌতিকগল্প #কুলিকনদীরছায়া #পীরগঞ্জ

গল্প : ৬🌲 শালবনের আতঙ্ক (প্রথম পর্ব) 🌲ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈলের পশ্চিম প্রান্তে বিশাল এক শালবন ছড়িয়ে আছে। দিনের আলোতে ...
20/09/2025

গল্প : ৬
🌲 শালবনের আতঙ্ক (প্রথম পর্ব) 🌲

ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈলের পশ্চিম প্রান্তে বিশাল এক শালবন ছড়িয়ে আছে। দিনের আলোতে এই বনের ভেতর দিয়ে গেলে মনে হয়, যেন প্রকৃতির এক অপূর্ব সৃষ্টি। বাতাসে শালপাতার দুলুনি, পাখির ডাক, গাছের ফাঁকে ফাঁকে সূর্যের আলো— সব মিলিয়ে শান্ত এক পরিবেশ। কিন্তু সূর্য নামলেই এ বন অন্য রূপ নেয়। অন্ধকারের ভেতর প্রতিটি গাছ যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে, প্রতিটি ছায়া যেন কারও দিকে তাকিয়ে থাকে।

গ্রামের প্রবীণরা বলে আসছে— এই বনের নিচেই চাপা আছে বহু অশান্ত আত্মা। অনেক আগে এক ভয়ংকর মহামারিতে গ্রামের শত শত মানুষ মারা যায়। তখন একসাথে তাদের কবর দেওয়া হয়েছিল এই বনে। সেই কবরগুলোর ওপরই আজকের এই ঘন শালবন। তাই নাকি এখানে আত্মারা শান্তি পায়নি, আর মাঝরাতে তারা বের হয়।

বছরের পর বছর ধরে এই বন নিয়ে ভয়ংকর সব গল্প ছড়িয়ে আছে। অনেকে বলে, রাত নামলেই শোনা যায় মেয়েদের কান্না। আবার কেউ বলে, গাছের ডালে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকে লম্বা চুলওয়ালা এক নারী, যার চোখ লাল হয়ে জ্বলজ্বল করে। কেউ আবার দাবি করেছে, গভীর রাতে ভেসে আসে শঙ্খ বাজানোর মতো অদ্ভুত শব্দ, অথচ চারপাশে কোনো মানুষই থাকে না।

গ্রামের তরুণরা এসব কথা বিশ্বাস করত না। বিশেষ করে রফিক নামের এক যুবক। বয়স আনুমানিক তেইশ। দুঃসাহসী, জেদি, আর সবকিছুকে হেসে উড়িয়ে দেওয়া তার স্বভাব। রফিক সবসময় বলত— “ভূত-টুত বলে কিছু নাই। সব গাঁয়ের বুড়োদের বানানো গল্প।”

এক সন্ধ্যায় রফিক কয়েকজন বন্ধুর সাথে আড্ডা দিচ্ছিল চায়ের দোকানে। আলোচনা উঠল শালবনের ভয়ংকর কাহিনি নিয়ে। বন্ধুরা গল্প জমিয়ে বলছিল— কে কোথায় কী শুনেছে, কারা বনে গিয়ে কী দেখেছে। রফিক হেসে উঠে বলল— “সব বাজে কথা। আজকে চাইলে প্রমাণ করে আনতে পারি।”

বন্ধুরা প্রথমে ভেবেছিল মজা করছে। কিন্তু রফিক জেদ ধরে বলল— “আজ রাতেই যাব শালবনে। একা গিয়ে রাত কাটিয়ে আসব। কালকে তোমরা সবাই দেখবা, কিছুই নাই।”

বন্ধুরা তখন উসকানি দিতে লাগল— “দেখি কত বড় সাহস! যদি সত্যিই যাস, তবে তোর নাম হবে গ্রামের বীর। না গেলে কাপুরুষ।”

রফিক চ্যালেঞ্জটা নিল। রাতে একা শালবনে যাওয়া সহজ কথা নয়। কিন্তু সে গায়ের জোরে, আত্মবিশ্বাসে, আর অহংকারে ভর করে সিদ্ধান্ত নিল।

সেদিন রাত আনুমানিক এগারোটার দিকে রফিক বাড়ি থেকে বের হলো। হাতে একটা টর্চ, কোমরে দা, আর মনে অজানা সাহস। আকাশে আধো চাঁদ, চারপাশে অন্ধকারে ঢাকা গ্রাম। বাতাসে শীতলতা, আর কুকুরের হাউমাউ ডাক চারপাশকে আরও ভৌতিক করে তুলছিল।

বনের ধারে পৌঁছাতেই তার সামনে দাঁড়িয়ে গেল এক বৃদ্ধা। গ্রামে সবাই তাকে “দাদি আম্মা” বলে ডাকে। তিনি কাঁপা গলায় বললেন— “বাবা, ওদিকে যাস না। অনেককে আমরা হারাইছি ওই বনে। যারা ঢুকছে, তারা আর আগের মতো ফিরতে পারে নাই।”

রফিক হাসতে হাসতে বলল— “সব কুসংস্কার দাদি। কিছুই হবে না।”

বৃদ্ধা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সরে গেলেন। রফিক ঢুকে পড়ল শালবনের অন্ধকারে।

প্রথমেই সে টের পেল, বনের ভেতরটা যেন আলাদা এক দুনিয়া। বাইরে গ্রামে যতই চাঁদের আলো থাকুক, ভেতরে সব গ্রাস করেছে অন্ধকার। টর্চের আলো সামনের কয়েক হাত পথই শুধু আলোকিত করছে, বাকিটা গা ছমছমে অন্ধকার।

হঠাৎ একটা সোঁ সোঁ শব্দ কানে এল। বাতাসের ঝাপটা, নাকি কারও ফিসফিসানি— রফিক বুঝতে পারল না। সে থামল, কান পেতে শুনল। তখনই শুনতে পেল— যেন কোনো নারী কাঁদছে।

“আমারে বাঁচাও… আমারে বাঁচাও…”

রফিক কেঁপে উঠল। মনে মনে নিজেকে শক্ত করল— “না, না, এসব আমার মনের ভুল।”

কয়েক কদম এগোতেই টর্চের আলো এক গাছের নিচে গিয়ে পড়ল। আর তখনই সে জমে গেল।

সেখানে বসে আছে এক সাদা পোশাক পরা নারী। মাথা নিচু, লম্বা চুল মাটিতে লুটিয়ে আছে। ধীরে ধীরে সে মাথা তুলল। চোখ দুটো জ্বলজ্বল করছে লাল আলোয়। ঠোঁটের কোণে রক্তের রেখা।

রফিকের বুক ধড়ফড় করতে লাগল। সে পিছিয়ে যেতে চাইল, কিন্তু টের পেল— পিছনের পথটা অদৃশ্য হয়ে গেছে! চারদিকে শুধু গাছ, অন্ধকার আর অদ্ভুত ফিসফিসানি।

নারীটি আস্তে আস্তে মাটি থেকে উঠে ভেসে যেতে লাগল। ঠান্ডা কণ্ঠে বলল— “তুই কেন এসেছিস? এটা আমাদের রাজ্য। এখন তুই আর ফিরতে পারবি না।”

রফিকের গা থেকে ঘাম ঝরতে লাগল। টর্চ হঠাৎ নিভে গেল। চারদিক আরও অন্ধকার হয়ে গেল। শুধু সেই নারীর চোখ দুটো জ্বলছে লাল অগ্নিশিখার মতো।

ঠিক তখনই চারপাশে ভেসে এল অসংখ্য ফিসফিসানি। মনে হলো শত শত মানুষ তাকে ঘিরে আছে। কানে ভেসে আসছে— “থেকে যা… থেকে যা… আর ফেরার পথ নেই…”

রফিক হঠাৎ ঠান্ডা এক হাত নিজের কাঁধে অনুভব করল। সে কেঁপে উঠে পিছনে তাকাল। কিছুই নেই। আবার সামনে তাকাতেই দেখল— নারীটি একদম তার চোখের সামনে।

নারীটি ফিসফিস করে বলল— “আজ থেকে তুই আমাদের সাথেই থাকবি…”

রফিক গলা ফাটিয়ে চিৎকার করল। তার শব্দ মিলিয়ে গেল বনের অন্ধকারে…

👉 চলবে…
পরবর্তী পর্বে জানা যাবে— রফিক কি বাঁচতে পারবে, নাকি চিরতরে আটকে যাবে শালবনের অভিশপ্ত আত্মাদের মাঝে?

📌 চোখ রাখুন 👉 Bhoot FM.Com-ভুতএফএম.কম

#ভৌতিকগল্প #শালবনেরআতঙ্ক #ঠাকুরগাঁও

✦ গল্প ৫: নীলকুঠির অভিশাপ (প্রথম পর্ব) ✦ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার ভেতরে গেলেই চোখে পড়ে এক বিশাল ভগ...
19/09/2025

✦ গল্প ৫: নীলকুঠির অভিশাপ (প্রথম পর্ব) ✦

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার ভেতরে গেলেই চোখে পড়ে এক বিশাল ভগ্নপ্রায় দালান।
লোকেরা একে বলে— “নীলকুঠি।”

ইতিহাস বলে, ব্রিটিশ আমলে এখানে এক সাহেব থাকত। স্থানীয় কৃষকদের দিয়ে নীল চাষ করাত। যারা অমান্য করত, তাদের উপর চালানো হতো অমানবিক অত্যাচার। রাতের আঁধারে নাকি এখানে অগণিত আর্তচিৎকার ধ্বনিত হতো। শত শত কৃষকের রক্তে ভিজেছিল এ কুঠিরের মাটি।

স্বাধীনতার পর কুঠির পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে গাছপালা ঢেকে ফেলে পুরো এলাকা। দিনের বেলায়ও অদ্ভুত এক ভুতুড়ে নীরবতা ঘিরে থাকে জায়গাটা। রাতে তো কেউ যাওয়ার সাহসই করে না।

প্রবীণরা বলে— কুঠিরের প্রতিটি ইট, প্রতিটি দেওয়ালে অভিশাপ লেগে আছে। আর সেই অভিশাপ আজও শেষ হয়নি।

একদিন গ্রামের স্কুলপড়ুয়া চার বন্ধু— সজল, মিলন, রাফি আর আরমান— সিদ্ধান্ত নিল তারা ঘুরতে যাবে নীলকুঠি।
তাদের বয়স তখন মাত্র ষোলো-সতেরো। কৌতূহল প্রবল, ভয় নামক জিনিস যেন তাদের অভিধানেই নেই।

শনিবার বিকেলে তারা চারজন মিলে সাইকেল নিয়ে রওনা দিল। আকাশে রোদ তখন ফিকে হয়ে এসেছে, হালকা কুয়াশার মতো কুয়াশা নেমেছে চারদিকে।

কুঠিরের গেটের কাছে পৌঁছে তারা থেমে গেল।
দেয়ালগুলো ভাঙাচোরা, শেওলা আর ঝোপঝাড়ে ঢেকে আছে। ভেতরটা অন্ধকারে ডুবে আছে, যেন কোনো অচেনা দুনিয়ার প্রবেশদ্বার।

সজল হাসতে হাসতে বলল—
“এইটা যে ভূতের বাড়ি, এ তো গুজব ছাড়া কিছু না। চল, ভেতরে ঢুকি।”

আরমান একটু ইতস্তত করে বলল—
“শোন, আমার দাদু বলত রাতে এখানে কেউ ঢুকলে আর ফেরত আসে না।”

মিলন তাকে কাঁধে চাপড় দিয়ে বলল—
“তোর দাদুর গল্পে ভয় পেলে তো চলবে না। আমরা এসেছি প্রমাণ করতে যে এসব কুসংস্কার।”

চারজন মিলে ভেতরে ঢুকল। মেঝেতে জায়গায় জায়গায় ফাঁকা গর্ত, দেওয়ালে ঝুলছে বাদুড়। ভেতরে ঢুকতেই এক অদ্ভুত স্যাঁতসেঁতে গন্ধে শ্বাস রুদ্ধ হয়ে এল।

তারা টর্চ জ্বালিয়ে অন্ধকার ঘরে ঘরে ঘুরতে লাগল। এক কোণে পুরনো টেবিল, আরেক পাশে ভাঙা চেয়ার।
হঠাৎ রাফি একটা ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে গেল। দরজাটা অর্ধেক খোলা, ভেতরে যেন অচেনা অন্ধকার ঘাপটি মেরে আছে।

“চলো, এ ঘরটা দেখি,” বলে রাফি দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকল।

ভেতরে ঢুকতেই টর্চের আলো পড়ল দেওয়ালে— সেখানে লাল রঙের মতো কিছু ছোপ ছোপ দাগ! যেন রক্তের দাগ!

আরমান কেঁপে উঠে বলল—
“এগুলো কি… আসলেই রক্ত?”

হঠাৎ করেই ঘরটা যেন হিমশীতল হয়ে গেল। চারজনের শরীর কাঁপতে শুরু করল।

ঠিক তখনই কানে ভেসে এলো এক কর্কশ আওয়াজ—
“তোমরা… কেন এসেছো…?”

চারজন একসাথে চমকে উঠল। কণ্ঠস্বরটা কোথা থেকে আসছে বোঝা গেল না।

সজল সাহস করে চিৎকার করল—
“কে ওখানে?”

কোনো উত্তর নেই। শুধু হাওয়ার মতো হাহাকার ঘরে ভেসে বেড়াচ্ছে।

হঠাৎ টর্চের আলো নিভে গেল। পুরো ঘর ডুবে গেল অন্ধকারে।
চারজনের নিঃশ্বাস ভারী হয়ে উঠল।

আর তখনই রাফি অনুভব করল, কেউ তার হাত শক্ত করে ধরে আছে।
সে ভয়ে কেঁপে উঠে বলল—
“কে আমার হাত ধরছিস?”

কিন্তু পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মিলন আর সজল একসাথে বলল—
“আমরা কেউ না…”

রাফি চিৎকার করে উঠল। অন্ধকারে যেন ঠান্ডা বরফের মতো এক হাত তাকে টেনে নিচ্ছে ঘরের ভেতর দিকে।

সবাই মিলে রাফিকে ছাড়াতে চেষ্টা করল। কিন্তু অদৃশ্য শক্তি এতটাই প্রবল যে রাফি ধীরে ধীরে অন্ধকারে টেনে নেওয়া হচ্ছিল।

ঠিক তখনই হঠাৎ জানালার বাইরে দেখা গেল— সাদা পোশাক পরা এক সাহেব দাঁড়িয়ে আছে। তার চোখ দুটো জ্বলছে আগুনের মতো, মুখে ভয়ঙ্কর হাসি।

সে হাত তুলে ইশারা করল—“আসো… তোমরা সবাই আসো…”

চারজনের রক্ত হিম হয়ে গেল।

তারা একসাথে দরজার দিকে দৌড় দিল। দরজা ভেঙে বাইরে বেরোতেই দেখল, পুরো কুঠিরটা কাঁপছে।
মেঝে ফেটে গিয়ে ভেতর থেকে উঠছে কালো ধোঁয়া।

হিমশীতল বাতাসে ভেসে এলো শত শত মানুষের আর্তচিৎকার—
“আমাদের মুক্তি দাও… মুক্তি…”

সাইকেল ফেলে দিয়ে তারা প্রাণপণে দৌড়ে পালাল।

পেছনে তাকাতেই দেখল— কুঠিরের জানালায় সাদা সাহেব দাঁড়িয়ে আছে।
চোখে তার শয়তানি আগুন, ঠোঁটে এক ভয়ঙ্কর হাসি।

আর তার কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হলো—
“এখন তোমরা আমার অভিশাপে বাঁধা পড়েছো… নীলকুঠি থেকে কেউ রক্ষা পাবে না…”

---

👉 চলবে…
পরের শুক্রবার আসছে দ্বিতীয় পর্ব—রাফির হাত ধরা সেই অদৃশ্য শক্তি আসলে কে? আর কেন এতদিন পর আবার জেগে উঠল নীলকুঠির অভিশাপ?

📌 চোখ রাখুন 👉 [ Bhoot FM.Com-ভুতএফএম.কম ]
#ভৌতিকগল্প #নীলকুঠিরঅভিশাপ #ঠাকুরগাঁও

Good Morning
19/09/2025

Good Morning

✦ গল্প:৪  হরিপুরের বটতলার নিশির ডাক (প্রথম পর্ব) ✦হরিপুরের সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম চানপুর—ছোট্ট, নিরিবিলি একটা গ্রাম। চারদিক...
18/09/2025

✦ গল্প:৪ হরিপুরের বটতলার নিশির ডাক
(প্রথম পর্ব) ✦

হরিপুরের সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম চানপুর—ছোট্ট, নিরিবিলি একটা গ্রাম। চারদিকে ধানক্ষেত, মাঝে মাঝে তাল-খেজুর গাছের সারি। দিনে গ্রামটা যত শান্ত-স্নিগ্ধ লাগে, রাতে যেন অন্য রূপ ধারণ করে। বিশেষ করে গ্রামের দক্ষিণ প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল সেই বটগাছের কাছে গেলে বুকের ভেতর কেমন জানি অজানা ভয় কাজ করে।

লোকজন একে বলে— “বটতলা।”

এই বটগাছটা নাকি দুই শত বছরের পুরনো। শিকড়গুলো চারদিকে এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে দূর থেকে মনে হয় এক বিশাল দানব হাত-পা মেলে বসে আছে। দিনের আলোতেও নিচে দাঁড়ালে মনে হয় যেন অন্ধকারে ঢুকে গেছেন।

প্রবীণরা বলে, বটতলার গাছটার নিচেই নিশি ঘোরে। নিশি—মানে অশরীরী আত্মা, যে মানুষের আপনজনের কণ্ঠস্বর নকল করে তাকে ডেকে নেয়। একবার যদি কেউ সেই ডাকে সাড়া দেয়, তবে আর ফেরত আসে না।

গ্রামের ইতিহাসে এক ভয়াবহ ঘটনা জড়িয়ে আছে এ বটগাছের সঙ্গে। প্রায় চল্লিশ বছর আগে সুলতানা নামের এক তরুণী হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দেখা গেল, বটগাছের ডালে তার লাল ওড়না ঝুলছে। কিন্তু শরীর আর কখনো খুঁজে পাওয়া গেল না। সেই রাত থেকেই শুরু হলো বটতলার অভিশাপ।

বছরের পর বছর গ্রামবাসী নানা ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা পেয়েছে। কেউ বলেছে, গভীর রাতে গাছের নিচে দিয়ে গেলে হঠাৎ তার বাবার বা মায়ের কণ্ঠস্বর শোনা গেছে—“এই যে, এদিকে আয়।” আবার কেউ বলেছে, দূর থেকে সাদা পোশাক পরা এক মেয়ে দেখা গেছে, গাছের ডালে বসে চুল আচড়াচ্ছে। কাছে যেতেই মিলিয়ে গেছে হাওয়ায়।

গ্রামের বুড়ো হাশেম আলী কসম খেয়ে বলে— এক রাতে বাজার থেকে ফিরছিলেন, হঠাৎ শুনলেন মৃত স্ত্রীর কণ্ঠস্বর তাকে ডাকছে। ভয় পেয়ে দৌড় দিলেও কয়েকদিন জ্বরে কাতর হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন।

কথাগুলো শোনার পর গ্রামের তরুণরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। কেউ বিশ্বাস করে, কেউ আবার এসবকে নিছক কুসংস্কার মনে করে।

এমনই এক রাতে কলেজপড়ুয়া দুই বন্ধু রতন আর নাহিদ ঠিক করল—এই রহস্য ভাঙবেই। রতনের স্বভাব ছিল একরোখা, আর নাহিদও ভয় পেত না সহজে। তারা দুজন টর্চলাইট আর সিগারেট নিয়ে বের হলো অমাবস্যার রাতে।

রাত তখন প্রায় ন’টা। চারপাশে অন্ধকার ঘন হয়ে নেমেছে, শুধু দূরে দূরে জোনাকির ঝিকিমিকি। কাঁচা রাস্তা ধরে তারা বটগাছের কাছে পৌঁছাল। বিশাল গাছটা নীরবে দাঁড়িয়ে আছে, যেন শতাব্দীর রহস্য বুকে নিয়ে।

প্রথমে সবকিছু স্বাভাবিক। চারপাশে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, মাঝে মাঝে শেয়ালের হাঁক। তারা গাছের নিচে বসে সিগারেট ধরাল। রতন হেসে বলল—
“দ্যাখ, ভূত-টুত কিছু নাই। সবই মানুষের বানানো গল্প।”

কথা শেষ হতেই হঠাৎ বাতাস থেমে গেল। চারপাশে এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা নেমে এলো। ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকও হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেল।

ঠিক তখনই রতন শুনতে পেল—তার মা ডাকছে।
“রতন… এদিকে আয় বাবা… তোরে খাবার দিয়ে রাখছি।”

রতন কেঁপে উঠল। কণ্ঠস্বরটা হুবহু তার মায়ের মতো। কিন্তু সে জানে, মা তো এখন বাড়িতেই!

নাহিদ তৎক্ষণাৎ বলল—
“শোন, এটা নিশির ডাক… সাড়া দিস না। নাহলে তুই শেষ।”

কিন্তু কণ্ঠস্বরটা এতটাই পরিচিত, এতটাই আপনজনের মতো, যে রতনের মন গলে গেল। সে ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়াল।

“তুই ভয় পাইস না নাহিদ… আমার মা হইতে পারে।”

নাহিদ চিৎকার করে থামাতে গেল, কিন্তু ঠিক তখনই সে অনুভব করল, তার কাঁধে কেউ ঠান্ডা হাত রাখল।

পেছনে তাকিয়ে দেখল— সাদা কাপড় পরা এক লম্বা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার লম্বা চুল কাঁধে ঝুলে পড়েছে, চোখদুটো জ্বলছে লাল আগুনের মতো। ঠোঁট বেয়ে এক অদ্ভুত হাসি বের হচ্ছে।

নাহিদের গলা শুকিয়ে গেল। সে কিছু বলতে পারল না।

এদিকে রতন হাঁটতে হাঁটতে অন্ধকারে ঢুকে যাচ্ছে, কণ্ঠস্বরের টানে।

চারপাশে এক অদ্ভুত হাহাকার শোনা গেল। বাতাস বয়ে গেল হিমশীতল হয়ে। গাছের ডালগুলো অকারণে দুলতে শুরু করল।

নাহিদ চিৎকার করে ডাকল—
“রতন… ফিরে আয়! এটা নিশি…!”

কিন্তু রতন আর শোনে না। তার শরীরটা অন্ধকারের ভেতরে ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেল।

আর সেই মুহূর্তে বটগাছের ডালে বসা সাদা পোশাকের মেয়েটি চুল আচড়াতে আচড়াতে ফিসফিস করে বলল—
“আজ রাতেও আমি একা থাকব না…”

নাহিদের চোখের সামনে সবকিছু ঝাপসা হয়ে গেল। আর পরক্ষণেই পুরো গ্রাম কেঁপে উঠল এক করুণ আর্তচিৎকারে…

---

👉 চলবে…
পরের বৃহস্পতিবার আসছে দ্বিতীয় পর্ব—রতনের কী হলো, আর বটতলার নিশির রহস্য আসলে কতটা ভয়ংকর!

📌 চোখ রাখুন 👉 [ Bhoot FM.Com-ভুতএফএম.কম ]
#ভৌতিকগল্প #হরিপুর

গল্প : ৩✦ঠাকুরগাঁওয়ের মহিশকুড়ি কবরস্থানের ডাক (প্রথম পর্ব) ✦ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ থেকে কিছুটা ভেতরে গেলে মহিশকুড়ি নামের এ...
17/09/2025

গল্প : ৩
✦ঠাকুরগাঁওয়ের মহিশকুড়ি কবরস্থানের ডাক
(প্রথম পর্ব) ✦

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ থেকে কিছুটা ভেতরে গেলে মহিশকুড়ি নামের একটা পুরনো গ্রাম চোখে পড়ে। চারদিকে শস্যক্ষেত, তাল-খেজুরের সারি আর মাঝেমাঝে কাঁচা রাস্তা। গ্রামের মানুষ এখনো সহজ-সরল, কিন্তু এক নাম শুনলেই তাদের মুখ ভার হয়ে যায়— “মহিশকুড়ি কবরস্থান।”

দিনে কবরস্থানটা যতটা শান্ত মনে হয়, রাত নামলেই তার চেহারা বদলে যায়। জায়গাটা এমনিতেই জনবিরল, চারপাশে বড় বড় কাঁঠাল, কদম আর তেঁতুল গাছ। বাতাসের শব্দও সেখানে অদ্ভুত ঠেকতে থাকে। গ্রামের প্রবীণরা বলে, কবরস্থানটা অন্তত তিনশো বছরের পুরনো। কেউ নিশ্চিত জানে না, কত মানুষের দাফন হয়েছে এখানে।

কবরস্থানের মাঝামাঝি এক জায়গায় আছে বড় একটা গর্ত, যেটাকে সবাই ভয় পায়। কারো মতে, এখানে এক ডাকাতকে জীবন্ত পুঁতে ফেলা হয়েছিল। আবার কেউ বলে, এক সাধু এখানে ধ্যান করতে করতে রহস্যজনকভাবে মারা যান। অমাবস্যার রাতে সেই জায়গা থেকে নাকি অদ্ভুত আওয়াজ শোনা যায়।

বছর পনেরো আগে ঘটে গিয়েছিল এক ভয়ংকর ঘটনা। রহিম নামের এক যুবক জুয়া খেলে হেরে গিয়ে রাগে-অভিমানে রাতে কবরস্থানের ভেতরে চলে যায়। পরদিন সকালে তার লাশ পাওয়া যায় ওই গর্তের পাশেই। চোখদুটো ছিল একেবারে ফাঁকা, আর গলা অদ্ভুতভাবে কাটা। সেই ঘটনার পর থেকেই মহিশকুড়ি কবরস্থানের কাহিনি নতুন রূপ নেয়।

রাতের বেলা যারা ওই পথে হেঁটে যায়, তারা বলে—
🌑 মাটির ভেতর থেকে গোঙানি শোনা যায়, যেন কেউ মুক্তির জন্য ছটফট করছে।
🌑 কখনো কখনো আজান বা দোয়ার মতো আওয়াজ ভেসে আসে, অথচ চারপাশ একেবারে শুনশান।
🌑 কেউ কেউ শপথ করে বলেছে, তারা কবরের উপর সাদা পোশাক পরা এক নারীকে বসে থাকতে দেখেছে।

যুবকরা মাঝে মাঝে কুসংস্কার ভাঙতে গিয়ে সেখানে সাহস দেখায়। কিন্তু খুব কম জনই সেখানে বেশি সময় কাটাতে পারে। কেউ কেউ ফিরে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে, আবার কেউ একেবারে চুপচাপ হয়ে যায়।

এক পূর্ণিমার রাতে কলেজপড়ুয়া দুই বন্ধু রফিক আর করিম ঠিক করল, এই ভয় শুধু গুজব কিনা প্রমাণ করবে। হাতে টর্চলাইট, পকেটে সিগারেট, বুক ভরা সাহস নিয়ে তারা ঢুকে গেল কবরস্থানের ভেতরে। প্রথমে কিছুই হলো না। চারপাশে কেবল ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক আর বাতাসের শব্দ।

তারা বসে সিগারেট ধরাল। রফিক হাসতে হাসতে বলল—
“দ্যাখ, ভূত-টুত কিছু নাই। সবই মানুষ বানানো কাহিনি।”

কথা শেষ হতেই হঠাৎ বাতাস থেমে গেল। চারদিক অস্বাভাবিকভাবে নিস্তব্ধ। দূরের কুকুরগুলো হঠাৎ একসাথে চিৎকার শুরু করল। করিমের গলা শুকিয়ে এল।

তারপর শোনা গেল ভারী এক গোঙানি—
“হাহ… হাহ… বাঁচাও… আমারে বাঁচাও…”

শব্দটা আসছে একেবারে তাদের পাশের কবর থেকে। কবরের মাটি যেন নড়ছে, ফুঁড়ে কিছু বের হতে চাইছে। রফিকের হাত থেকে টর্চ পড়ে গেল। করিম কাঁপতে কাঁপতে দাঁড়াল।

হঠাৎ তারা দেখল, কবরের ওপরে একটা ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে আছে। সাদা কাপড়ে ঢাকা, মুখ দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু চোখদুটো জ্বলছে আগুনের মতো।

মূর্তিটা তাদের দিকে তাকিয়ে গম্ভীর গলায় বলল—
“থামো… তোমরা কেন এসেছ এখানে?”

করিম দৌড় দিতে চাইলো, কিন্তু গেটের কাছে দাঁড়িয়ে আছে আরেকটা ছায়া। চারদিক ঘিরে ধরেছে অদ্ভুত ঠান্ডা।

রফিকের বুক ধড়ফড় করছে, করিমের দাঁত কাঁপছে। তারা বুঝতে পারছে, এ আর গুজব না… এটা সত্যি কিছু।

ঠিক তখনই পেছনের কবর থেকে ভেসে এল ভয়ংকর শব্দ—
“আমারে কবর দিও না… আমি এখনো মরিনি…!”

দুজনের চিৎকার রাতের আকাশ কাঁপিয়ে দিল, কিন্তু গ্রামের কেউ জানল কি না, সেটা আর নিশ্চিত নয়…

---

👉 চলবে…
📌পরের বুধবার আসছে দ্বিতীয় পর্ব। চোখ রাখুন👉
[ Bhoot FM.Com-ভুতএফএম.কম ]

#ভৌতিকগল্প #ঠাকুরগাঁও

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bhoot FM.Com-ভুতএফএম.কম posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bhoot FM.Com-ভুতএফএম.কম:

Share