26/12/2023
কুরআনের ১ম পারা থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আয়াত এবং উপদেশ যা আমার আপনার জীবনে কাজে লাগবে ইনশাল্লাহ।
• দয়াময় পরম দয়ালু আল্লাহর নামে (১:১)
• সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য তিনি সৃষ্টি কুলের মালিক (১:২)
• তিনি পরম দয়ালু অতি মেহেরবান (১:৩)
• তিনি বিচার দিবসের মালিক (১:৪)
• (হে প্রভু,) আমরা তোমারি বন্দেগী করি এবং তোমার কাছেই সাহায্য চাই (১:৫)
• আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন করো (১:৬)
• তাদের পথ যাদের উপর তুমি অনুগ্রহ করেছ, তাদের পথ নয় যাদের ওপর অভিশাপ দেওয়া হয়েছে এবং তাদের পথ নয় যারা পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে (১:৭)
• এই সেই মহাগ্রন্থ আল কুরআন, তাতে কোন সন্দেহ নেই, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে এই কিতাব কেবল তাদের জন্যই পথপ্রদর্শক (২:২)
• যারা গায়েবের উপর ঈমান আনে, যারা নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, তাদের আমি যা কিছু দান করেছি তারা তা থেকে আমার নির্দেশিত পথে ব্যয় করে, যারা তোমার উপর ( অর্থাৎ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যা কিছু নাজিল করা হয়েছে তার উপর ঈমান আনে , ঈমান আনে আগে অন্য নবীদের ওপর যা কিছু নজল করা হয়েছে তার ওপরও, সর্বোপরি তার পরকালের উপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখে (২:৩,৪)
• সত্যিকার অর্থে এ লোক গুলোই তাদের মালিকের কাছ থেকে পাওয়া হেদায়েতের উপর রয়েছে এবং এরাই হচ্ছে প্রকৃত সফলকাম (২:৫)
• যারা এ বিষয়গুলোকে নিশ্চিত অস্বীকার করে তাদের তুমি পরকালের কথা বলে সাবধান করো আর না করো, কার্যত উভয়টাই তার জন্য সমান কথা, এরা কখনো ঈমান আনবে না (২:৬)
• ক্রমাগত কুফরি করার কারণে আল্লাহ তা'আলা তাদের মন ও শোনার উপর মোহর মেরে দিয়েছেন, এদের দেখার উপরও আবরণ পড়ে আছে এবং তাদের জন্য পরকালের কষ্টদায়ক শাস্তি রয়েছে (২:৭)
• মুনাফিকদের অবস্থা হচ্ছে তারা যখন ইমানদারদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে আমরা ঈমান এনেছি যখন একাকী তাদের শয়তানদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে আমরা অবশ্যই তোমাদের সাথে আছি ঈমানের কথা বলে ওদের সাথে আমরা ঠাট্টা করছিলাম মাত্র (২:১৪)
• এদের উদাহরণ হচ্ছে সে হতভাগ্য ব্যক্তির মতো যে অন্ধকারে আগুন জ্বালাতে চাইলো কিন্তু তাদের গোটা পরিবেশটাকে আলোক উজ্জ্বল করে দিল তখন হঠাৎ করে আল্লাহতালা এদের কাছ থেকে আলোটুকু ছিনিয়ে নিলেন এবং তাদের তিনি এমন অন্ধকারে ফেলে রাখলেন যে তারা কিছুই দেখতে পাচ্ছে না (২:১৭)
• এদের অবস্থা হচ্ছে এরা কানেও শোনে না চোখেও দেখেনা মুখ দিয়ে কথা বলতে পারে না এটা সঠিক পথের দিকে ফিরেও আসবে না (২:১৮)
• হে মানুষ তোমরা তোমাদের রবের এবাদত কর যিনি তোমাদের এবং তোমাদের আগে যারা ছিল তাদের সবাইকে পয়দা করেছেন আশা করা যায় তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারবে (২:২১)
• তিনিই সেই মহান রব যিনি জমিনকে তোমাদের জন্য শয্যা বানালেন, আসমানকে বানালেন ছাদ আসমান থেকে পানি পাঠালেন, তা দিয়ে তিনি নানা প্রকারের ফলমূল উৎপাদন করে তোমাদের জীবিকার ব্যবস্থা করলেন, অতঃপর তোমরা জেনে বুঝে এসব কাজে কাউকে আল্লাহ তায়ালার সমকক্ষ বানিয়ো না (২:২২)
• আমি আমার বান্দার উপর যে কিতাব নাযিল করেছি তার সত্যতার ব্যাপারে যদি তোমরা কোন সন্দেহে থাকো তাহলে যাও তার মত করে একটি সূরা তোমরা রচনা করে নিয়ে এসো আল্লাহ ছাড়া তোমাদের আর যেসব বন্ধু-বান্ধব রয়েছে প্রয়োজনে তাদের ডাকো, যদি তোমরা সত্যবাদী হও! আর তোমরা যদি তা না করতে পারো এবং এটা জানা কথাই যে তোমরা তা কখনোই করতে পারবে না তাহলে তোমরা সেই কঠিন আগুনকে ভয় কর যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর এটা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে তাদের জন্য যারা আল্লাহ তায়ালাকে অস্বীকার করে (২:২৩,২৪)
• যারা এই কিতাবের উপর ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে হে নবী তাদের তুমি সুসংবাদ দাও তাদের জন্য রয়েছে এমন এক জান্নাত যার নিচ দিয়ে ঝর্ণা প্রবাহিত হতে থাকবে যখনই তাদের জান্নাতের একটি ফল দেওয়া হবে তখনই তারা বলবে এ ধরনের ফল তো ইতিপূর্বেও আমাদের দেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে এ ধরনের জিনিসই সেখানে দেওয়া হবে তাদের জন্য আরও সেখানে থাকবে পবিত্র সহধর্মী ও সহধর্মিনী এবং তারা সেখানে অনন্তকাল ধরে অবস্থান করবে (২:২৫)
• তোমরা আল্লাহকে কিভাবে অস্বীকার করবে? অথচ তোমরা ছিলে মৃত তিনি তোমাদের জীবন দিয়েছেন পুনরায় তিনি তোমাদের মৃত্যু দেবেন অতঃপর তিনি আবার তোমাদের জীবন দান করবেন এবং তোমাদের একদিন তার কাছেই ফিরিয়ে নেওয়া হবে (২:২৮)
• তিনিই সেই মহান সত্তা যিনি পৃথিবীর সবকিছু তোমাদের জন্য তৈরি করেছেন অতঃপর তিনি আসমানের দিকে মনোনিবেশ করলেন এবং সেগুলোকে সাত আসমানের বিন্যস্ত করলেন তিনি সবকিছু সম্পর্কে সম্যক অবগত রয়েছেন (২:২৯)
• আমি আসমান সমূহ ও জমিনের যাবতীয় গায়ব (সম্পর্কে) জানি এবং তোমরা যা কিছু প্রকাশ করো আর যা কিছু গোপন করো আমি তাও জানি (২:৩৩)
• আমি যখন ফেরেশতাদের বললাম তোমরা আদমের জন্য সেজদা কর অতঃপর তারা আল্লাহর আদেশে সেজদা করলো শুধু ইবলিশ ছাড়া সে সেজদা করতে অস্বীকার করল সে অহংকার করলো এবং সে নাফরমানদের দলে সামিল হয়ে গেল
• যে আমার হেদায়েত মেনে চলবে তাদের কোন ভয় নেই তাদের কোন প্রকার উৎকণ্ঠিত ও হতে হবে না আর যারা সে হেদায়েত অস্বীকার করবে আমার আয়াত মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে তারা হবে জাহান্নামের বাসিন্দা তারা সেখানে চিরদিন থাকবে (২:৩৮,৩৯)
• আমি মোহাম্মদের কাছে যা নাযিল করেছি তোমরা এর উপর ঈমান আনো তোমাদের কাছে যা কিছু আছে তা তার সত্যায়নকারী তোমরা কিছুতেই এর প্রথম অস্বীকারকারী হয়ো না এবং সামান্য মূল্য আমার আয়াত সমুহকে বিক্রি করো না তোমরা শুধু আমাকেই ভয় কর । তোমরা মিথ্যা দিয়ে সত্য গায়ে পোশাক পরিয়ে দিও না এবং জেনে বুঝে সত্য লুকিয়ে রেখোনা (২:৪১,৪২)
• তোমরা নামাজ প্রতিষ্ঠা করো যাকাত আদায় করো যেন আমার সামনে অবনত হয় তাদের সাথে তোমরাও আমার আনুগত্য স্বীকার করো (২:৪৩)
• তোমরা কি মানুষদের ভালো কাজের আদেশ করো এবং বাস্তবায়নের সময় নিজেদের কথা বলে যাও অথচ তোমরা সবাই কিতাব পড়ো কিন্তু কিতাবের এই কথাটি তোমরা কি বুঝনা? (২:৪৪)
• এই ঈমানদার ব্যক্তিরা তোমরা সবর ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাও (২:৪৫)
• হে ঈমানদার ব্যক্তিরা তোমরা সেদিন টিকে ভয় কর যেদিন একজন আরেকজনের কোন কাজে আসবে না একজনের কাছ থেকে আরেকজনের কোন সুপারিশও গ্রহণ করা হবে না, কারো কাছ থেকে কোন মুক্তিপণ নেওয়া হবে না, না তাদের সাহায্য করা হবে (২:৪৮)
• অবশ্যই আমি তোমার কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ পাঠিয়েছি পাপী ব্যক্তিরা ছাড়া তাকে কেউই অস্বীকার করতে পারে না (২:৯৯)
• তুমি কি জানো না আসমানসমূহ ও জমিনের সার্বভৌমত্ব একমাত্র আল্লাহ তায়ালার জন্য নির্দিষ্ট আল্লাহ তাআলা ছাড়া তোমাদের কোন বন্ধু নেই নেই কোন সাহায্যকারীও (২:১০৭)
• যে ব্যক্তি সৎকর্মশীল হয়ে আল্লাহর সামনে নিজের সত্তাকে সমর্পণ করে নেবে তার জন্য তার মালিকের কাছে এর বিনিময়ে থাকবে তাদের কোন ভয় ভীতি নেই আর না তারা সেদিন চিন্তান্বিত হবে (২:১১২)
• পূর্ব-পশ্চিম সবই আল্লাহতালার তোমরা যেদিকে মুখ ফিরাবে সেদিকেই তো আল্লাহ তায়ালা রয়েছেন অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা সর্বব্যাপী এবং জ্ঞানী (২:১১৫)
• ওসমান সমূহ ও জমিনের তিনি হচ্ছেন উদ্ভাবক যখন তিনি কোন একটি বিষয়ের সিদ্ধান্ত করেন সে ব্যাপারে শুধু এতটুকুই বলেন হও আর সাথে সাথেই তা হয়ে যায় (২:১১৭)
• অবশ্যই আমি তোমাকে সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছি, পাঠিয়েছি আজাবের ভীতি প্রদর্শনকারী ও জান্নাতের সুসংবাদি হিসাবে (২:১১৯)
• আল্লাহ তায়ালার হেদায়েত হচ্ছে একমাত্র হেদায়েত তোমার কাছে সঠিক জ্ঞান আসার পরও যদি তুমি তাদের ইচ্ছা অনুসারে চলতে থাকো তাহলে আল্লাহতালা ছাড়া তোমার কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী থাকবে না (২:১২০)
• যাদের আমি কিতাব দিয়েছি তাদের মাঝে এমন কিছু লোকও আছে যারা এ কোরআনকে তেলাওয়াতের হক আদায় করে পড়ে তারা তার উপর ঈমানও আনে যারা একে অস্বীকার করে তারই হচ্ছে আসল ক্ষতিগ্রস্ত লোক (২:১২১)