25/07/2024
ছেলেটাকে গু*লি মারার পর, যখন তার পাশের সবাই চলে গেছিল, তখন এক পুলিশ তাকে লা*থি মারছিল। মুখে র*ক্ত, বুকে র*ক্ত। ছেলেটা চিৎকার করে পুলিশটাকে পেছনে দেখিয়ে বলছিল, "ঐ আমার আব্বা!" পুলিশ তখন আরও দুটো লাথি মেরে বলেছিল, "যা, তোর বাপের কাছে!" পুলিশ চলে গেল, লা*শ নেওয়া হল হাসপাতালের ম*র্গে।
রাতে ওসি সাহেব বাসায় গেলেন। রাত বারোটা, তার ছেলে মুরাদ আসছে না। ছেলের ফোনে মা অনেকবার ফোন করেছিল, কল যাচ্ছিল না । ওসি সাহেব বারবার ফোনে চেষ্টা করছিলেন। হঠাৎ ফোনে কল গেল । রিসিভ করল একজন। ওসি সাহেব চিৎকার করে বলল, "মুরাদ, রাত বারোটা, বাসায় আসবি না? জলদি বাসায় আস!" ওপাশ থেকে একজন উত্তর দিল, "তোর মুরাদ হাসপাতালে, যা নিয়ে আয় গিয়া। ফোনটা কাল থানা থেকে নিয়ে যাইস।"
ওসি সাহেব কণ্ঠটা চিনতে পারলেন। জিজ্ঞাস করলেন, "তুমি কনস্টেবল মুখলেস না?" মুখলেস ও বুঝতে পারল এটা ওসি স্যার। মুখলেস বলল, "স্যার, যাদের গু*লি করতে বলেছিলেন, এটা তাদের একজনের ফোন।" ওসি সাহেবের নির্দেশে আজ প্রায় পাঁচজন নি হ ত, আহত প্রায় বিশজন। ছেলে মুরাদ খুব ভালো ছাত্র ছিল। বাবা যে পুলিশ, ক্লাসের অনেকেই জানত না। বাবা চাইতেন ছেলে বিদেশে পড়ুক, কিন্তু মুরাদ বিদেশ যেতে চাইত না। এক মায়ের এক সন্তান, মাকে ছাড়া এক সেকেন্ডও থাকতে পারত না।
মুরাদের মা পাগলের মতো শুধু চিৎকার করে বলছিল, "আমার ছেলেটা একা কিভাবে থাকবে, কবরে?" ওসি সাহেব নীরব, চোখ দিয়ে পানি আসছে না। ওসি সাহেবের মোবাইল ফোনে তার এক বন্ধু সাংবাদিক একটা ভিডিও পাঠাল। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ কিভাবে গু*লি করে মা রা র পর লা*শকে লাথি মারছে। সাথে লা শে লাথি মারছে একটা রাজ*নৈতিক দলের ছাত্ররাও।এটা ছিল তার সন্তান মুরাদের লা*শ......