30/07/2025
শুভ দুপুর
শ্রীকৃষ্ণ লীলা, সনাতন ধর্মানুসারে ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার শ্রীকৃষ্ণের জীবন কাহিনীকে বোঝায়, অসংখ্য অলৌকিক ঘটনা, দার্শনিক শিক্ষা এবং মানবিক সম্পর্কের জটিলতা দ্বারা পরিপূর্ণ। তাঁর লীলাসমূহ মূলত তিনটি প্রধান পর্যায়ে বিভক্ত করা যেতে পারে:
১. বাল্যলীলা (মথুরা ও গোকুলে):
জন্ম ও কংসের ভয়: মথুরার কারাগারে দেবকী ও বসুদেবের সন্তান রূপে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়। তাঁর মামা কংসের নিষ্ঠুরতা থেকে তাঁকে বাঁচাতে বসুদেব নবজাতক কৃষ্ণকে গোকুলে যমুনা পার করে নন্দ ও যশোদার কাছে রেখে আসেন।
গোপাল ও মাখন চোর: গোকুলে কৃষ্ণ গোপালকদের সাথে বড় হন এবং তাঁর বাল্যকালের অসংখ্য দুষ্টুমি ও অলৌকিক ঘটনার জন্য পরিচিত হন। মাখন চুরি, কংসের পাঠানো অসুরদের (যেমন পূতনা, বকাসুর, অঘাসুর, তৃনাবর্ত) বধ করা, যমলার্জুন উদ্ধার - এগুলি তাঁর বাল্যলীলার কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ।
কালিয় দমন: যমুনার বিষাক্ত জল থেকে গ্রামবাসীকে রক্ষা করার জন্য কৃষ্ণ কালিয় নাগকে দমন করেন।
গোবর্ধন ধারণ: ইন্দ্রের ক্রোধ থেকে ব্রজবাসীকে রক্ষা করতে তিনি নিজের কনিষ্ঠ আঙুলে গোবর্ধন পর্বত ধারণ করেন।
রাসলীলা: গোপীদের সাথে কৃষ্ণের রাসলীলা তাঁর ঐশ্বরিক প্রেমের এক অনন্য প্রকাশ।
২. কৈশোর ও যৌবন লীলা (মথুরা ও দ্বারকা):
কংস বধ ও মথুরায় প্রত্যাবর্তন: কৃষ্ণ ও বলরাম মথুরায় ফিরে এসে কংসকে বধ করেন এবং উগ্রসেনকে রাজা করেন।
গুরুকুল শিক্ষা: কৃষ্ণ ও বলরাম ঋষি সান্দীপনীর কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেন।
দ্বারকা স্থাপন: জরাসন্ধের বারবার আক্রমণের হাত থেকে তাঁর প্রজাদের রক্ষা করার জন্য কৃষ্ণ সমুদ্রের মাঝে দ্বারকা নগরী নির্মাণ করেন এবং সেখানে তাঁর রাজধানী স্থাপন করেন।
রুক্মিণী হরণ ও বিবাহ: বিদর্ভরাজ ভীষ্মকের কন্যা রুক্মিণীকে শিশুপালের হাত থেকে রক্ষা করে কৃষ্ণ তাঁকে বিবাহ করেন। তাঁর আরও অনেক পত্নী ছিলেন, যাদের মধ্যে সত্যভামা, জাম্ববতী প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।
নরকাসুর বধ: কৃষ্ণ ১৬,০০০ বন্দিনী রাজকন্যাকে নরকাসুরের হাত থেকে উদ্ধার করেন এবং তাদের সম্মান রক্ষার্থে তাদের সকলকে বিবাহ করেন।
পারিবারিক জীবন ও পুত্রগণ: দ্বারকায় কৃষ্ণ তাঁর পরিবার এবং পুত্রদের সাথে সুখী জীবন যাপন করেন।
৩. কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ ও মহাভারত:
পাণ্ডবদের সাহায্য: কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৃষ্ণ পাণ্ডবদের পক্ষে সারথি ও পরামর্শদাতা হিসেবে ভূমিকা পালন করেন। তিনি নিজে যুদ্ধ না করলেও অর্জুনের রথের সারথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ভগবদ্গীতা: যুদ্ধের ময়দানে অর্জুন যখন কর্তব্যচ্যুত হয়ে পড়েন, তখন কৃষ্ণ তাঁকে বিশ্বরূপ দর্শন করিয়ে "ভগবদ্গীতা" নামক অমর উপদেশ প্রদান করেন। এটি হিন্দু ধর্মের অন্যতম পবিত্র ধর্মগ্রন্থ।
যুদ্ধ সমাপ্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা: কৃষ্ণের নির্দেশনায় পাণ্ডবরা যুদ্ধে জয়লাভ করে এবং ধর্মের প্রতিষ্ঠা হয়।
৪. অন্ত্যলীলা ও দেহত্যাগ:
যদুবংশের ধ্বংস: অভিশাপের কারণে যদুবংশ নিজেদের মধ্যে বিবাদ করে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
দেহত্যাগ: প্রভাস তীর্থে এক শিকারীর বাণের আঘাতে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর নশ্বর দেহ ত্যাগ করেন এবং নিজ ধামে প্রত্যাবর্তন করেন।
শ্রীকৃষ্ণ লীলা কেবল একটি পৌরাণিক কাহিনী নয়, এটি মানব জীবনের বিভিন্ন দিক, ধর্ম, কর্ম, প্রেম, ভক্তি এবং জ্ঞান সম্পর্কে গভীর বার্তা বহন করে। এই লীলাগুলি যুগে যুগে মানুষকে সঠিক পথে চলতে অনুপ্রাণিত করেছে।
The Krishna Lila, which refers to the life story of Krishna, the eighth incarnation of Lord Vishnu according to Hinduism, is filled with numerous miraculous events, philosophical teachings, and the complexities of human relationships. His Lilas are mainly divided into three
कृष्ण लीला, जो हिंदू धर्म के अनुसार भगवान विष्णु के आठवें अवतार, कृष्ण की जीवन गाथा को दर्शाती है, अनेक चमत्कारी घटनाओं, दार्शनिक शिक्षाओं और मानवीय रिश्तों की जटिलताओं से भरी हुई है। उनकी लीलाएँ मुख्यतः तीन भागों में विभाजित हैं:
্যrnooneveryonefollowers