BD360NEWS

BD360NEWS BD360NEWS | 24/7 Bangla Breaking News BD360NEWS is the online news platform which publishes 24/7 breaking news.
(1)

We cover the latest news of National, Politics, Economics, Crime, Education, Sports Lifestyle, Travel, Science & Tech, Jobs, Health etc.

03/10/2025

একবার এক ঘোড়া সারাদিন পরিশ্রম করবার পর তার আস্তাবলে আসলো বিশ্রাম করার জন্য। সেই সময় একটি বিড়াল আসলো তার সাথে দেখা করতে। ঘোড়া বিড়ালটিকে বলল - কাল কম কাজ করব, অনেক ক্লান্ত লাগছে। তাই কালকে একটু বেশি বিশ্রাম নিবো।

বিড়ালটি তারপর গরুর কাছে গেল। বলল- ঘোড়া তো এখানে একেবারেই থাকতে চাচ্ছে না, কারণ ঘোড়ার মালিক নাকি ঘোড়াকে দিয়ে অনেক পরিশ্রম করায়। তাই ঘোড়া অন্য কোথাও যেতে চায়।

তারপর গরুর সাথে একটি ছাগলের দেখা হল - গরু তখন ছাগলকে বলল-" ঘোড়া তো এখান থেকে চলে যেতে চায় । ঘোড়ার মালিক নাকি ওকে অনেক মারধর করে। সারাদিন অনেক কাজ করায়। ঠিকমত খেতেও দেয় না। "

সন্ধ্যায় সেই ছাগলের সাথে দেখা করতে খরগোশ এল।ছাগল তখন খরগোশ কে বলল - "ঘোড়া তো এখান থেকে যেতে চায়। ওর মালিক নাকি অনেক নিষ্ঠুর। ওকে শুধু মারধর করে। সারাদিন সবার সব কাজ ওকে দিয়েই করায়। ঠিকমতো খাবারও খেতে দেয় না। সে নাকি কালকেই এখান থেকে চলে যাবে। "

সন্ধ্যায় মালিকের এক কর্মচারী ফার্মে এলো। কর্মচারীকে দেখে খরগোশ তাকে বলল - "ঘোড়া তো এখানে থাকতেই চায় না। ও নাকি অন্য ফার্ম খুঁজে পেয়েছে। সেখানে মালিক অনেক ভালো। না মারধর করে, না বেশি কাজ করায়, না ক্ষুধার্ত রাখে। এই কারণে কাল ঘোড়া এখান থেকে চলে যাবে।

সেবক এই কথা শুনে মালিকের কাছে গিয়ে বলল- "ঘোড়া তো বিদ্রোহ করেছে। কালকে নাকি ঘোড়া এখানের সব পশুদের কে নিয়ে আরেকটা ফার্মে চলে যাবে। "

মালিক এই কথা শুনে ভীষণ রেগে গেল এবং সেই রাতেই বিষের ইনজেকশন দিয়ে ঘোড়াকে মেরে ফেলল।

ঘোড়াটি কেন মারা গেল?

না ও এই ধরনের কথা বলেছে, না ও বিদ্রোহ করেছে, ও তো এই ধরনের কোন কিছুই ভাবেনি। ঘোড়াটি শুধুমাত্র একটা বড় ভুল করে ফেলেছিল, আর তা হল ও ওর মনের কথা অন্যকে বলে দিয়েছিল।

জীবনে ওই ঘোড়াটির মতো আমাদেরও ভুল হয়ে যায় যে, আমরা আমাদের মনের কথা অন্যকে বলে ফেলি। একটা কথা মনে রাখবে, পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে যাদের এতটা বুদ্ধি নেই যে, সে তোমার কথা বুঝতে পারবে।

পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে যারা তোমার সামনে তোমার শুভাকাঙ্ক্ষী হওয়ার ভান করবে আর তোমার পিছনে তোমার কষ্টকে মজা বানিয়ে ফেলবে।

আবার কিছু মানুষ আছে যারা তোমার কষ্টটাকে ব্যবহার করবে নিজের ফায়দার জন্য, যার লোকসান ভবিষ্যতে তোমাকেই সহ্য করতে হবে।

এইজন্য তুমি তো কারো অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারবে না। কারো খারাপ নিয়তকেও বদলাতে পারবেনা।

তাই এটাই সবচেয়ে ভালো যে নিজের এবং নিজের পরিবারের কথা কাউকে না বলে নিজের মধ্যে রাখা।।

02/10/2025

#যে_৯টি_টি_কার‌ণে_আপনার_লিভার_নষ্ট_হ‌তে_পা‌রে❓

১)দেরী করে ঘুমোতে যাওয়া এবং দেরী করে ঘুম থেকে ওঠা দুটোই লিভার নষ্টের কারণ। এতে শারীরিক সাইকেলের সম্পূর্ণ উল্টোটা ঘটতে থাকেএবং তার মারাত্মক বাজে প্রভাব পরে লিভারের উপরে।

২) অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠেও আলসেমি করে প্রস্রাবের বেগ হলেও বাথরুমে না গিয়ে তা চেপে শুয়েই থাকেন। এতে লিভারের উপরে চাপ পড়ে এবং লিভার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়।


৩) অতিরিক্ত বেশি খাওয়াদাওয়া করা লিভারের পক্ষে ক্ষতিকর । অনেকেই আবাব বহুক্ষণ সময় না খেয়ে একবারে অনেক বেশি বেশি করে খেয়ে ফেলেন। এতে হঠাৎ করে লিভারের উপরে চাপ বেশি পরে এবং লিভার ড্যামেজ হওয়ার আশংকা থাকে।

৪) সকালের খাবার না খাওয়ায় লিভার পক্ষে ক্ষতিকর। যেহেতু অনেকটা সময় পেট খালি থাকার কারণে অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের পাশাপাশি খাদ্যের অভাবে কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে লিভারও।

৫) অনেক বেশি ঔষধ খেলে লিভার নষ্ট হয়৷ বিশেষ করে ব্যথানাশক ঔষধের জেরে লিভারের কর্মক্ষমতার হ্রাস পায়ে। এছাড়াও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ক্ষতি হয় লিভারের। এতে করে লিভার ড্যামেজ হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দেয়।


৬) কেমিক্যাল সমৃদ্ধ যেকোনো কিছুই লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কিন্তু আলসেমি ও মুখের স্বাদের জন্য আমরা অনেকেই প্রিজারভেটিভ খাবার, আর্টিফিশিয়াল ফুড কালার, আর্টিফিশিয়াল চিনি ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলি যা লিভার নষ্টের অন্যতম কারণ।

৭) খারাপ তেল ও অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। একই তেলে বারবার ভাজা খাবার বা পোড়া তেলের খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া হলে লিভার তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে।

৮) অতিরিক্ত কাঁচা খাবার খাওয়াও লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যেমন আপনি যদি খুব বেশি কাঁচা ফলমূল বা সবজি খেতে থাকেন তাহলে তা হজমের জন্য অতিরিক্ত কাজ করতে হয় পরিপাকতন্ত্রের। এর প্রভাব পড়ে লিভারের উপরেও। সুতরাং অতিরিক্ত খাবেন না।

৯) অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্য পান করা লিভার নষ্টের আরেকটি মূল কারণ। অ্যালকোহলের ক্ষতিকর উপাদান সমূহ লিভারের মারাত্মক ক্ষতির কারণ।

শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

29/09/2025

🧪 কোন রোগের জন্য কোন টেস্ট করাবেন? জেনে নিন, ভুল চিকিৎসা হতে নিরাপদে থাকুন!! 🧬

প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হয়

🔹 জ্বর বা ইনফেকশন হলে:
✅ CBC (Complete Blood Count)
✅ ESR
✅ Dengue, Malaria বা Typhoid Test (উপসর্গ অনুযায়ী)

🔹 ডায়াবেটিস সন্দেহ হলে:
✅ Fasting Blood Sugar (খালি পেটে)
✅ 2 Hours After Breakfast (2HABF)
✅ HbA1c (গত ৩ মাসের গ্লুকোজের গড়)

🔹 থাইরয়েড সমস্যা হলে:
✅ TSH
✅ T3, T4

🔹 লিভারের সমস্যা বা হেপাটাইটিস সন্দেহ হলে:
✅ LFT (Liver Function Test)
✅ HBsAg
✅ Anti-HCV

🔹 কিডনির সমস্যা হলে:
✅ Creatinine
✅ Urea
✅ Urine R/E (Urine Routine and Microscopy)

🔹 হার্টের সমস্যা বা বুক ধড়ফড় করলে:
✅ ECG
✅ Troponin I
✅ Lipid Profile
✅ Echocardiogram (ডাক্তারের পরামর্শে)

🔹 পেট ব্যথা, গ্যাস্ট্রিক বা হজমে সমস্যা হলে:
✅ USG Whole Abdomen
✅ Endoscopy (প্রয়োজনে)
✅ H. Pylori Test

🔹 মেয়েদের PCOS বা অনিয়মিত পিরিয়ড হলে:
✅ USG Lower Abdomen
✅ LH, FSH
✅ Prolactin
✅ TSH
✅ AMH (বাচ্চা নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলে)।

🔹 প্রেগন্যান্সি টেস্ট:
✅ Urine β-hCG
✅ USG Pregnancy Profile

🔹 আর্থ্রাইটিস বা হাড়ের ব্যথা হলে:
✅ RA Factor
✅ CRP
✅ Uric Acid
✅ X-ray (প্রয়োজনে)।

🔹 রক্তস্বল্পতা (অ্যানিমিয়া) সন্দেহে:
✅ CBC
✅ Serum Iron
✅ Ferritin
✅ Vitamin B12

💡 মনে রাখবেন:
বিনা কারণে টেস্ট করানো যেমন ঠিক নয়, তেমনি দেরি করাও বিপজ্জনক। আপনার শরীরের সংকেতকে অবহেলা করবেন না। ভালো চিকিৎসার শুরু হয় সঠিক টেস্টের মাধ্যমে। তাই উপসর্গ দেখলেই দেরি না করে একজন রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনীয় টেস্ট করান।

🩺 সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন!..

সংগৃহিত❤️🥰

26/09/2025

'মানুষ' হিসেবে জন্ম নিয়ে আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতার ভীতর দিয়ে জীবন কাটিয়ে যেতে হয়। এই প্রসঙ্গে হিন্দু ধর্মের একটা চমৎকার পৌরাণিক কাহিনী মনে পড়ে গেলো, যা সংক্ষেপে বলছি।

অমৃতের সন্ধানে দেবতা এবং অসুররা একযোগে সমুদ্র মন্থন করার এক পর্যায়ে যখন ভয়াবহ বিষ (হলাহল) উঠে এলো, তখন সেই বিষকে কোথাও রাখার বা ফেলে দেয়ার যায়গা না পাওয়াতে দেবতা শিব নিজেই সেই বিষ খেয়ে ফেলে জগৎকে নিরাপদ করতে চাইলেন।

শিব যখন সেই বিষ মুখে নিয়ে গিলে ফেললেন, তখন শিবের স্ত্রী পার্বতী এসে তার স্বামীর মুখের ভীতর হাত দিয়ে সেই বিষকে গলার ভীতরই ফিক্স করে দিলেন, যেনো তা শিবের পাকস্থলীতে গিয়ে বিষক্রিয়া না করতে পারে, আবার বাহিরে এসেও অন্যদের বিপদ না ঘটাতে পারে। গলার ভীতর আটকে থাকা সেই বিষের প্রভাবে শিবের গলা নীল হয়ে যায়। সেই থেকে শিবের আরেক নাম হয় 'নীলকণ্ঠ'।

এই পৌরাণিক কাহিনীর ভীতর মানবজাতির জন্য একটা বড়ো শিক্ষা আছে। আর তা হলো- আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই এমন কিছু বিষয় থাকে, যা গিলে ফেলা যেমন বিপদজনক, উগড়ে বের করে দেয়াও বিপদজনক; তাই, জগৎ-সংসারের মঙ্গলের কথা চিন্তা করে আমাদেরকে সেই বিষয় গুলো শিবের মতোই গলায় আটকে রেখে কষ্টের 'নীলকণ্ঠ' হয়ে সারা জীবন চালিয়ে যেতে হয়। কিন্তু তার পরও শান্ত থাকতে হয়। এটাই মানব-জীবন।

24/09/2025

মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি গত মাসে। একমাত্র মেয়ে। ছেলেটা ছোট এখনো কলেজে পড়ে।
আজ মেয়ের বাসায় দাওয়াত পরেছে। ইফতারের দাওয়াত।
কাল রাতেই মেয়েকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করলাম - তোর কি কি খেতে মন চায়? কি আনবো?

মেয়ে আমার এক লম্বা লিস্ট ম্যাসেজ করে পাঠালো। কিন্তু লিস্টের কোথাও মেয়ের পছন্দের কোন কিছু দেখলাম না। আমার মিসেস কে বললাম - মেয়ে তো জীবনেও মিষ্টি খায় নাই। আজ এতগুলা পদের মিষ্টি নিতে বলল কেন?
ফলও তো কোনদিন জোর করে খাওয়াতে পারি নাই। তবুও ৬ পদের ফলের নাম লিখে দিছে। আবার লিখছে ১০ কেজি দেশি দুধ আর ৮ টা দেশি মুরগি নিতে। এগুলাও তো তারে খাওয়াইতে পারতাম না এই বাসায় রেখে। এক মাসেই মেয়ের খাবারের রুচি বদলে গেলো? যাক ভালো অভ্যাস হয়েছে।

সে কোন কথার উত্তর দিলো না। যেন তার এতে কোন মাথা ব্যাথা নেই।

সকাল সকাল উঠে ঠাটারি বাজার গিয়ে দেশি মোরগ নিলাম। আগের রাতে একজনকে গোয়ালের দুধ এনে দিতে বলেছিলাম। সেও নিয়ে হাজির।

যাওয়ার পথে ফল আর মিষ্টি কিনে নিবো।

আমি যখন দুপুর বেলা নামাজে পড় রেডি হচ্ছি তখন আমার স্ত্রী মাত্র কুরআন পড়তে বসলো।
তার মেয়ের বাড়িতে যে তার দাওয়াত সেটা সে পাত্তাই দিচ্ছে না।

জোরে এক ধমক দিয়ে বললাম - মেয়েটার বাসায় তাড়াতাড়ি যাবো। দুটো গল্প করবো তা না উনি দেরি করে যাবে।

সে এখানেও কোন কথা না বলে এক পাতা পড়ে উঠে গেলো রেডি হতে।
ছেলেকেও ধমকিয়ে রেডি করলাম।
আমার বাসা থেকে ওর বাসায় যেতে প্রায় ৪৫ মিনিট লাগে। রাস্তায় জ্যাম থাকলে আরো বেশি সময় লাগে।

এক সিএনজি তে সবার জায়গা হচ্ছে না।
আমি মুরগি দুধ নিয়ে এক সিএনজি তে উঠলাম আর মা ছেলেকে আরেকটায় তুলে দিলাম।
রাস্তা theke ওর লিস্ট করা সব ফল নিলাম।

আমার ভীষণ আনন্দ লাগছে। মেয়েটাকে কত দিন পর দেখবো। কত কথা জমে আছে।
ছেলের চেয়ে মেয়েটাকেই আমার বেশি আপন লাগে। ও জন্মনোর সময় বারবার করে আল্লাহর কাছে বলেছি আল্লাহ একটা জান্নাত দিয়েন আমার ঘরে। মেয়েটার নামও রেখেছি জান্নাত।

ওদের বাসায় গিয়ে দরজায় নক করতেই বেয়াই সাহেব গেট খুলে দিলো। একে একে সবাই আসলো আমাদের স্বাগতম জানাতে। কিন্তু মেয়েটা এলো না।
যা যা এনেছি সব ওদের হাতে তুলে দিচ্ছিলাম কিন্তু কারো মুখে তেমন আনন্দ দেখলাম না।

আমরা বসেছি পরে মেয়েটা দৌড়ে আসলো। আমাকে দেখেই হেসে বললো - তুমি অনেক শুকায় গেছো আব্বা। আমি উঠে দাঁড়িয়ে মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরতে হাত বাড়িয়ে দিলাম।

তখন আমার জান্নাত বললো - আব্বা আমার গায়ে অনেক ঘাম। তুমি ফ্যানের নিচে বসো। রেস্ট নেও। আমি চুলায় রান্না রেখে আসছি। আমি যাই।

আমার হাত দুইটা ওভাবেই নামিয়ে নিলাম।

সে তার মা আর ভাই এর সাথে কুশল বিনিময় করে রান্না ঘরে চলে গেলো।
আমাদের সাথে ড্রইং রুমে বসে রইলো তার শাশুড়ি, শশুর, জামাই আর দেবর।
রোজা রেখেছি তাই পানি খাওয়া সম্ভব না। আজ যে গরম টা পরেছে একদম মগজ গরম হয়ে যাওয়ার মত।

এই ভাবতে ভাবতে দেখি বেয়াই বললেন - আজ অনেক গরম পরেছে। আমার রুমে এসে বসেন। এসি টা চালিয়ে দেই।
তার রুমের দরজা দিয়ে এসিটা চালিয়ে দিলো।

এরপর সবাই নানা বিষয়ে কথা শুরু করলো।

আমার মনটা এসিতেও ঠান্ডা হচ্ছিলো না।
মেয়েটা আমার তখনও চুলার সামনে দাঁড়িয়ে এই গরমে রান্না করছে।

আসরের নামাজের সময় ওরা সবাই যখন নামাজে অন্য রুমে গেলো,মেয়ে আবার আসলো আমাদের কাছে।
এসে চুপিচুপি বলল - আব্বা তোমাকে না বলছিলাম ৩ রকমের মিষ্টি আনতে? তুমি এক রকমের অনলা কেন? মুরগি গুলাও ছোট। তরমুজটাও বেশি বড় না।

শুনে আমার মনটা আরও খারাপ হয়ে গেলো।
আমার স্ত্রী খুব স্বাভাবিক ভাবেই শুনছে।

আমি বললাম - তুই যে মিষ্টি খাস এটাই তো আমি জানিনা।
- আহা আব্বা আমার জন্য না। ওদের জন্য।

রুমে জামাই ঢুকলো আর মেয়ে আমার বলল - তোমরা বসে গল্প করো আমি রান্না করতে যাই।

ওর পুরা গা ঘামে ভেজা।

এই মেয়েকে কত যত্নে রেখেছি। গরমে যেন কষ্ট না করে তাই ওর রুমে সবার আগে এসি দিয়েছিলাম। এখন সেটা ছেলে ব্যবহার করে।
আর এখন মেয়েটা গরমে কত কষ্ট করছে। বিয়েতে জামাই কেও একটা এসি দিয়েছি। এবার গিয়ে দেখলাম ঐটা ওর শ্বশুরের রুমে লাগিয়েছে।

সবাই একেক করে
ইফতারের আগে দিয়ে সবাই টেবিলে বসলো। জামাই মোবাইলে কি যেন দেখছে আর হাসছে।

মেয়ে তখনও রান্নাঘরে।
একটু পর প্রায় ১০-১২ পদের ইফতার টেবিলে পরিবেশন করলো।
আজান দিলো।
মেয়েটা তখন আমার পাশে বসে একটু ইফতার করল।
ইফতার করা অবস্থায় ওর জামাই বলল - চায়ের পানি বসাও নাই?
জান্নাত চেয়ার থেকে উঠে বলল - আল্লাহ একদম ভুলে গেছি।
এই বলে আবার রান্নাঘরে দৌড় দিলো।

আসার পর থেকে মেয়েটার সাথে একটুও কথা বলার সুযোগ পাই নি।

সবার ইফতার শেষে যে যার মত টেবিলে থালা বাটি রেখে চায়ের কাপ নিয়ে উঠে গেলো আবারো এসি রুমে।
আমাদেরও ডাকলো।
আমি তখন বললাম - আমার অত গরম লাগছে না। আমি সামনের রুমেই বসি।

মন চাইলো না। আমার স্ত্রী ও ছেলে গেলো। কিন্তু আমি গেলাম না।
কারন আমার সামনেই জান্নাত সবার এটো থালা নিচ্ছে ধোয়ার জন্য।
আমি বললাম - তোর বাসায় বুয়া নেই?

মেয়ে একটু হেসে বলল - বুয়া আছে। কিন্তু সে তো তার কাজ করে সকালেই চলে গেছে।

ও রান্নাঘরে সব ধোয়া মাজা করছে।
আওয়াজ পাচ্ছি।
এর মধ্যে সবার চায়ের কাপ নিয়ে জামাই জান্নাতের কাছে এনে বলল - এই নাও কাপগুলো।

জান্নাত এগুলাও ধোয়া শুরু করলো।

সব ধোয়া শেষ করে ওড়নায় হাত মুছতে মুছতে আমার কাছে এসে বলল - আব্বা তুমি এখানে কেন? এই রুমে যে গরম। যাও ঐ রুমে গিয়ে বসে ওদের সাথে গল্প করো।

আমি বললাম - তুই আমার পাশে বস। একটু কথা বলি।

ও আবার হেসে বলল - আরে নাহ। রাতের ডিনার এখনো রান্না হয় নাই। ঐটা বসাতে হবে।

এই বলে উঠে গেলো।
আমি বসেই রইলাম।
কিছু ভালো লাগছে না। ভীষণ রাগ রাগ লাগছে।

রাতের রান্না শেষ করে জান্নাত সবাইকে টেবিলে ডাকলো। সবাই একেক করে বসলো।
আমি বললাম - আমার ক্ষুধা নাই। ইফতার বেশি খেয়ে ফেলছি।
জান্নাত জোর করে বলল - একটু হলেও খাওয়া লাগবে।
বেয়াই বেয়াইনো জোর করলো।
খেতে বসলাম কিন্তু খাওয়া ভেতরে যাচ্ছেনা।
সবাই খেতে বসেছে। সবাইকে খাবার বেড়ে দিচ্ছে আমার মেয়ে। কিন্তু সে বসলো না।
বলল সে সবার শেষে খাবে।
খেয়াল করলাম তার হাতে তেলের ছিটে আসা অনেকগুলো দাগ।
আমি জানি সবার খাওয়া শেষে সে আবারো রান্নাঘরে গিয়ে থালাবাটি ধুবে। হয়ত সব শেষ করে আরো কয়েক ঘন্টা পর খাবে।

তাই হলো। আমাদের খাইয়ে সে রান্নাঘরে গেলো ধোয়ার কাজ করতে।

আমার তখন রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে।
আমার স্ত্রীকে বললাম - বাসায় চলো। রাত হইছে।

সেও সম্মতি জানালো।
জান্নাত রান্নাঘর থেকে দৌড়ে আসলো। আর বলল - আরেকটু থাকো তোমরা।

বাকিরাও বলল।

আমি খুব করে বলতে চাচ্ছিলাম যতক্ষন থাকবো তোমাকে শুধু কাজ করতে দেখবো। আমার ভালো লাগবে না।

কিন্তু কিছু না বলে রাত বেশি হয়ে যাচ্ছে সেই দোহাই দিয়ে বেরিয়ে গেলাম।

পুরা রাস্তায় কেউ কোন কথা বললাম না। এবার এক সিএনজতেই আসলাম।

বাসায় ফিরে আর রাগ ধরে রাখতে পারলাম না।
জান্নাতের মাকে বললাম - আমি মেয়েকে কাল যেয়ে নিয়ে আসবো। মেয়ের অবস্থা দেখছো? ঐ বাসার কেউ মেয়েটাকে একটুও হেল্প করে না। সবাই সুন্দর আরাম করে। জামাইটাও একটা গাধা। বসে বসে মোবাইল টিপে। ননসেন্স ফ্যামিলি। এইখানে আর মেয়েকে রাখবো না। অনেক হইছে। তার উপর উনাদের বাজার পছন্দ হয় নাই বলে মেয়েকে না জানি কি বলেছে আর আমরা আসার পর কি কি যেন আরো শুনাবে। না না এখানে না।
ইডিয়েট একেকটা।

মিসেস খুব স্বাভাবিক ভাবে বলল - মাথা ঠান্ডা করো।
এই বলে সে কাপড় বদলাতে লাগলো।
আমি বললাম - আমি আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি তোমাকে দেখে। কিভাবে পারছো এগুলা দেখে স্বাভাবিক হতে? মেয়ের জন্য কি মায়া লাগে না?

শাড়ির পিন খুলতে খুলতে সে খাটেতে বসলো।
আমার দিকে তাকিয়ে বলল - তোমার মেয়ে যা করছে, সেটা আমিও বিয়ের পর থেকে করে আসছি। তোমার কোনদিন মনে হয়নি আমিও কারো মেয়ে। তোমার কোনদিন মনে হয়নি আমারো কষ্ট হয়। তোমার কাছে যেমন সব স্বাভাবিক লেগেছে আমার কাছেও এখন এসব স্বাভাবিক লাগে। আমি আমার বাবার বাড়ি যেতে নিলেই তুমি তোমার মায়ের অসুস্থতায় কে দেখবে তাকে বলে থামিয়ে দিতে। আমার বাবার বাড়ি থেকেও কেউ আসলে তাদের হাতের দিক তাকিয়ে থাকতো সবাই কি এনেছে এই দেখার জন্য। একটু কথা বলারও সুযোগ পেতাম না। নিজের পছন্দ সই খাবার খাই নি কতদিন। এরপর তো ভুলেই গেলাম কি যে আমার পছন্দ। আস্তে আস্তে ধরে নিলাম এটাই স্বাভাবিক জীবন।
আমার জন্য এগুলা নতুন না। তাই আমার কাছে সব স্বাভাবিক ই লেগেছে। যেভাবে আমার মায়ের লেগেছিলো আমার জন্য। শুধু জান্নাতের বাবা হলে হয় না। জান্নাতের স্বামীও হতে হয়। স্ত্রীকে জান্নাতের মত পরিবেশও করে দিতে হয়।

এই বলে সে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলল - রাতে তো খেয়ে এসেছি। গোসল সেরে আসি। সেহেরির রান্না করা লাগবে।

এই বলে সে উঠে বাথরুমের দিকে গেলো।

আমার মুখে শ' মনের একটা তালা দিয়ে গেলো।
মুখ দিয়ে কিছুই বের হচ্ছে না। এতো বছর পর যেন চাপা আগুন বের করলো আজ।

সে একটা কথাও মিথ্যা বলে নাই। স্ত্রীর জন্য যদি সেসময় আমার খারাপ লাগতো আজ হয়ত মেয়ের কপালটাতেও বিবেকবান এক স্বামী জুটতো।

কিছুই ভালো লাগছিলো না আর। উঠে গিয়ে এসি রুম থেকে ছেলেকে ডেকে বের করলাম।
বললাম- তোমার আম্মা এখন রেস্ট করবে।
আসো আমরা সেহেরির রান্নাটা করে ফেলি।

ছেলে বেশ হাসি মুখে আমার সাথে সঙ্গ দিতে চলে আসলো। বুঝতে পারলাম সে আমার মত বিবেকহীন হয় নি।
তার মা গোসল থেকে বেরিয়ে দেখল ছেলে সবজি কাটছে আর আমি চাল ধুয়ে ভাত বসাচ্ছি।

আমি ছেলেকে বলছি - শোন বাবা তোর বৌ যেন তোর মা আর বোনের মত কষ্ট না পায়।

সে দরজার ধারেই দাঁড়িয়ে রইলো। কিছু বলল না। তার চোখের দিকে তাকানোর সাহস হলো না। তবে মনে হলো তার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।

©জাকিয়া হোসেন তৃষা

23/09/2025

স্ত্রী জানালা দিয়ে তাকিয়ে তার স্বামীকে বললো, "আমাদের প্রতিবেশীর কাপড়গুলো তেমন পরিষ্কার না। কীভাবে কাপড় ধুতে হয়, তা মনে হয় মহিলা জানে না।"
তার কথা শুনে তার স্বামী চুপ করে থাকলো।
পরের দিন ভোরে তারা জানালা দিয়ে দেখলো পাশের বাসার কাপড় সব পরিষ্কার।
স্ত্রী বললো, "এতদিনে সে শিখেছে, কীভাবে কাপড় ধুতে হয়! কিন্তু আমি ভাবছি, এটা তাকে শেখালো কে?"
স্বামী বললো, "আমি আমাদের জানালাটা আজ পরিষ্কার করেছি!"

21/09/2025

নিচে লেখাটির বাংলা অনুবাদ দিলামঃ
---

বন্ধুত্বের অবক্ষয় :

সম্প্রতি Harvard Business Review–এর ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় একটি প্রবন্ধ পড়লাম, যা আমার মনে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে “Friendship Recession” বা বন্ধুত্বের অবক্ষয়ের কথা—যেটি ধীরে ধীরে আমাদের জীবনে শেকড় গাড়ছে।

American Perspectives Survey অনুযায়ী, আমেরিকান প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যারা বলেন তাদের কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু নেই—সে সংখ্যা ১৯৯০ সালের পর থেকে চারগুণ বেড়েছে, এখন তা দাঁড়িয়েছে ১২%। আর যাদের “১০ বা তার বেশি ঘনিষ্ঠ বন্ধু” ছিল, সেই সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ কমেছে। আমি বিশ্বাস করি, পরিচিতজন বাড়ছে, কিন্তু গভীর বন্ধুত্ব কমে যাচ্ছে।

আগে ক্যাফে বা বারে সহজেই অপরিচিতদের সাথে আলাপ শুরু হয়ে যেত। এখন মানুষ একা বসে থাকে, ভিড়ের মধ্যেও বিচ্ছিন্ন। যুক্তরাষ্ট্রে একা খাওয়ার প্রবণতা গত দুই বছরে ২৯% বেড়েছে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত “Design for Healthy Friendships” নামে একটি কোর্স চালু করেছে, যা ইঙ্গিত করছে—বন্ধুত্ব গড়ে তোলা ও ধরে রাখা এখন শেখার মতো একটি দক্ষতা হয়ে উঠেছে।

এটি শুধু সামাজিক নয়, সাংস্কৃতিক সংকটও বটে। বন্ধুত্বের জন্য সময় বের করা আর বিলাসিতা নয়, এখন তা অপরিহার্য। নিঃসঙ্গতা আর শুধুই ব্যক্তিগত পছন্দ নয়, এটি অভ্যাসে পরিণত হচ্ছে। যদি আমরা সচেতনভাবে বন্ধুত্বকে অগ্রাধিকার না দিই, তবে নতুন বন্ধু পাওয়া কঠিন হবে এবং পুরনো সম্পর্কও হারিয়ে যাবে।

ধর্মীয় সমাবেশ, ক্লাব, খেলা বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন—যা একসময় বন্ধুত্ব গড়ে তুলত, সেগুলো কমছে। আমরা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, পারিবারিক দায়িত্ব কিংবা এমনকি পোষা প্রাণীর মধ্যে। অনেকে বন্ধুর সাথে দেখা করেন না কারণ পোষা প্রাণীকে একা রেখে যাওয়া যায় না!

আজ বন্ধুত্ব আর দৈনন্দিন জীবনের অংশ নয়; বরং অন্য সব দায়িত্ব শেষ হলে কেবল বন্ধুত্বের সময় হয়। অথচ গবেষণা বলছে, বন্ধুত্বের গুরুত্ব অপরিসীম। বনি ওয়্যারের বই The Top Five Regrets of the Dying–এ একটি অনুতাপ বিশেষভাবে হৃদয় ছুঁয়ে যায়: “ইশ! যদি আমি বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখতাম।”

গবেষণায় দেখা গেছে:

সামাজিক বিচ্ছিন্নতা হৃদরোগ, ডিমেনশিয়া এবং মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়।

এটি দিনে ১৫টি সিগারেট খাওয়ার মতো ক্ষতিকর।

বন্ধুত্ব মানসিক, শারীরিক ও আবেগগত স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।

হার্ভার্ডের ৮০ বছরের দীর্ঘ গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে—জীবনে সুখ ও সুস্থতার সবচেয়ে বড় উৎস সম্পদ বা কর্মজীবন নয়, বরং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।

সত্যিকারের বন্ধুত্ব এক ধরনের বিনিয়োগ—ভুল বোঝাবুঝি মাফ করা, ফোন করা, স্মৃতি তৈরি করা, একসাথে সময় কাটানো।

মির্জা গালিব সুন্দরভাবে বলেছিলেন:
“হে খোদা, আমায় সেই সুযোগ দাও যে আমি বন্ধুদের সাথে থাকতে পারি; কারণ তোমার সাথে তো মৃত্যুর পরও থাকা সম্ভব।”

বন্ধুত্বকে মূল্য দিন, সময় দিন, আর জীবনকে অর্থবহ করে তুলুন প্রিয় সম্পর্কের মাধ্যমে।

21/09/2025

“এক মহিলা যখন তার Husband রাগ হয় তখন তিনি আয়াতুল কুরসি পড়েন আর তার স্বামী বিড়াল হয়ে যান “।তখন আর এক ভাবী বললেন," ভাবী - আয়াতুল কুরসি পড়লে উনার স্বামী বিড়াল হন না বরং ঐ মহিলার সাথের শয়তানটা পালিয়ে যায়” । ভাবীদের এই কথোপকথন আমাকে ভীষন ভাবে অনুপ্রানিত করেছিল।
তার পর থেকে আমি আমার জীবনে আয়াতুল কুরসি পড়ার প্র্যাকটিস করা শুরু করলাম । যখন ই বাসায় কেউ রাগ হতো আমি আয়াতুল কুরসি পড়তে থাকতাম । আলহামদুলিল্লাহ এখন এটা আমার অভ্যাসে পরিনত হয়েছে এবং এতে অনেক শান্তি এসেছে । এক বোনকে যখন আমি এটা বললাম তখন তিনি হেসে বললেন, “রাগের সময় তো আয়াতুল কুরসি মনে আসে না “। তাকে চেষ্টা করে দেখার জন্য বললাম যে পরে অভ্যাসে পরিনত হবে । আপনি যখন আয়াতুল কুরসি বা অন্য কোন দোয়া পড়ার কথা ভাববেন, তখন কোন কঠিন যুক্তিটা দিয়ে অন্যকে হারানো যায় সে কথা টা আপনার মাথায় আসবে না । এতে ঝগড়াও অনেকটা কমে যাবে । এছাড়াও আমি একটি হাদীস কিচেনের দরজায় লিখে রেখেছিলাম — “যখন তুমি চুপ করে থাকবে ফেরেশতারা তোমার হয়ে উত্তর দিবেন “। আপনাদের নিশ্চয় এই হাদীসটা জানা আছে! “হযরত আবূ হুরায়রা ( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ( দঃ) এর উপস্থিতিতে এক ব্যক্তি হযরত আবু বকর ( রাঃ) - কে গালাগালি করল। নবী করীম ( সাঃ) ও আবু বকর ( রাঃ) উভয়ে নীরব রইলেন। লোকটি গালাগালি থাকলে আবু বকর ( রাঃ) উত্তর দিলেন। তখন নবীজি ( সাঃ) উঠে চলে গেলেন। তারপর আবু বকর ( রাঃ) তাঁর সাক্ষাৎ করে বললেন - ইয়া রাসূলুল্লাহ ( দঃ)! সে আমাকে গালি দিলো, আর আমি নিরব রইলাম। আর যখনই আমি উত্তর দিলাম, আপনি চলে এলেন। এর কারণ কি? নবী করীম ( সাঃ) বললেন - যখন তুমি নিরব ছিলে ফেরেশতারা তোমার পক্ষ থেকে উত্তর দিচ্ছিলো। আর যখনই কথা বললে, ফেরেশতারা চলে গেল আর শয়তান এসে বসলো। তাই আমি শয়তানের সাথে থাকতে অপছন্দ করলাম।
এই হাদীসটি আমার আম্মা আমাকে সব সময় মনে করিয়ে দিতেন । আর বলতেন, “কেউ কিছু বললে চুপ করে থাকবে বোবার কোন শত্রু নাই” । একদিন আমার স্বামীর কথার উত্তর দিতে গেলে আমার ৭ বছরের মেয়ে বলে, “মা! তুমি কেনো বাবার কথার উত্তর দিচ্ছ? তুমি না এখানে লিখে রেখেছো যে,চুপ করে থাকলে ফেরেশতারা তোমার হয়ে উত্তর দিবে “। সে দিন মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ওর জন্য অনেক দোয়া করেছি হাদীসটা মনে করিয়ে দেবার জন্য । এর ৯ বছর পর আমার ১৬ বছরের মেয়ে স্কুল থেকে এসে যখন বললো -“মা! সামিরার মন খুব খারাপ কারন ওর বাবা মা অনেক ঝগড়া করছে । আমি বলেছি আমার মা আমার বাবা রাগ করলে কোন উত্তর দেয় না, চুপ করে দোয়া পরে” ।ঐ দিন প্রশান্তিতে মনটা ভরে গিয়েছি্‌ মনে মনে আয়াতুল কুরসি আর বিড়াল হওয়া গল্প বলা ভাবীদের জন্য দোয়া করেছি । আপনিও আজই আয়াতুল কুরসি পড়ার অভ্যাস করুন, দেখবেন ফল ইন শা আল্লাহ পাবেনই ।
অনেকেই ভাবতে পারে তারমানে কেউ অন্যায় ভাবে কিছু করলে বা বললে চুপ থাকবো নাকি ? অন্যায় কে বাধা দেওয়া তো মু'মিন এর কাজ। " মু'মিন পুরুষ ও মু'মিন নারীরা একে অপরের হিতাকাংখী বন্ধু। তারা সৎ কাজের আদেশ করে আর অসৎ কাজে বাধা দেয়।[সূরা তাওবাহ, আয়াত - ৭১]
কিন্তু উপরের আবু বকর ( রাঃ) ঘটনাটা দিয়ে বোঝানো হয়েছে রাগ এর নিয়ন্ত্রণ ও এর ফজিলত। কেউ যখন রাগ করে কথা বলে তখন তার কথার মাঝে নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এমন কথা সে বলে ফেলতে পারে যাতে তার যবানের হিফাজত ও আমল কে নষ্ট করে ফেলে। তাই কেউ খারাপ কিছু বললে রাগ করে তার উত্তর না দিয়ে চুপ থাকা ভালো। ফেরেশতারা আপনার হয়ে তাকে উত্তর দিয়ে দিবে।
Ismat Nayara

19/09/2025
18/09/2025

আচ্ছালামুআলাইকুম,

"ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন"

"ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন"

কি ভাবছেন কেউ মারা গেছে!!!
না কেউ মারা যায়নি।
আমাদের দেশে এই দোয়াটা সাধারণত পড়া হয় কেউ মারা গেলে।

আসলে অর্থ না বোঝলে যেটা হয়।

--- মূলত এই দোয়াটি এসেছে সূরা আল-বাকারাহ এর ১৫৬ নম্বর আয়াত থেকে। "ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন" এ দোয়াটি ১৫৬ নম্বর আয়াতের শেষের দিকের অংশ।
--- এটি শুধু কেউ মারা গেলেই পড়তে হয়না। মূলত এটা পড়তে হয় বিপদে পড়লে।

সূরা আল-বাকারাহ এর ১৫৬ নম্বর আয়াতটি দেয়া হলঃ

الَّذِیۡنَ اِذَاۤ اَصَابَتۡہُمۡ مُّصِیۡبَۃٌ ۙ قَالُوۡۤا اِنَّا لِلّٰہِ وَ اِنَّاۤ اِلَیۡہِ رٰجِعُوۡنَ ﴿۱۵۶﴾ؕ
"যাদের উপর কোন বিপদ নিপতিত হলে তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহরই জন্য এবং নিশ্চয়ই আমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।"

-সূরা আল-বাকারাহ (২:১৫৬)

মহান আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে কোরআন পড়া এবং বোঝার তৌফিক দান করুন

আমিন 🤲

16/09/2025

এক রাজা একটি কুকুরকে সঙ্গে নিয়ে নৌকায় ভ্রমণ করেছিলেন। সেই নৌকায় অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে একজন দার্শনিকও ছিলেন। কুকুরটা খালি অস্থির হচ্ছিল এবং লাফালাফি করছিল।

নৌকার মাঝি মন খারাপ করে ভাবছিল যে, এমন চলতে থাকলে নৌকা যাত্রীদের নিয়ে ডুবে যাবে।
কিন্তু কুকুর তার স্বভাবজাত প্রকৃতির কারণে কিছুতেই থামছিল না।

এইরকম পরিস্থিতি দেখে, রাজাও রাগ করছিলেন কিন্তু কুকুরকে শান্ত করার জন্য কোনও উপায় তিনি খুঁজে পাচ্ছিলেন না।

নৌকাতে বসে দার্শনিক আর থাকতে পারলেন না।
তিনি রাজাকে কাছে গিয়ে বললেন, "রাজা মাসাই, যদি আপনি অনুমতি দেন, আমি এই কুকুরটিকে একটি বিড়াল করে দিতে পারি।"

রাজা অনুমতি দিয়ে দিলেন।

দার্শনিক দুই জন যাত্রীর সাহায্য নিয়ে সেই কুকুরটিকে নদীতে ফেলে দিলেন। কুকুরটি হাঁসফাঁস করতে করতে ভাসমান নৌকা ধরার চেষ্টা করতে লাগলো।

*সে এখন তার জীবনের মূল্য অনুভব করছিল।*

কিছুক্ষণ পর, দার্শনিক তাকে নৌকায় টেনে তুলে নিলেন। তারপর কুকুরটি গোপনে একটি কোণায় গিয়ে চুপ করে বসে রইল।

নৌকার অন্যান্য যাত্রীদের মত রাজাও সেই কুকুরের আচরণ দেখে প্রচন্ড অবাক হলেন।

এবং রাজা দার্শনিককে জিজ্ঞেস করলেন: *"এটি কেন এখন একটি পোষা ছাগলের মত বসে আছে?*"

দার্শনিক বললেন, যতক্ষণ পর্যন্ত নিজে সমস্যায় না পড়ে ততক্ষণ পর্যন্ত অন্যের সমস্যা বুঝতে পারে না,,

*এই কুকুর যখন পানির ক্ষমতা ও নৌকার উপযোগিতা এবং নিজের ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা বুঝতে পারলো তখনই চুপ করে বসে গেল।"

শিক্ষনীয় : আমরা মানুষেরাই ঠিক একরকম। নিজেদের অহংকার ও দাম্ভিকতায় আমরা অন্যদের জীবন অতিষ্ট করি। যখন নিজেদের ক্ষমতা ও ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা বুঝতে পারি, তখনই আমরা চুপসে যাই! তার আগে নয়!

#সংগৃহীতগল্প

নারায়ণগঞ্জে আসছেন ঢালিউডের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও নাট্যকার জাকির হোসেন উজ্জ্বল।তারা আগামী ১৯...
15/09/2025

নারায়ণগঞ্জে আসছেন ঢালিউডের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও নাট্যকার জাকির হোসেন উজ্জ্বল।তারা আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর আসার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

নাট্যকার, অভিনেতা, ছড়াকার, সাংবাদিক ও সংগঠক সাব্বির আহমেদ সেন্টুর হাতে গড়া লেখক ও সাহিত্যিকদের প্রাণের সংগঠন ধ্রুব সাহিত্য পরিষদ এর দুইযুগ পূর্তি উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ এর আলী আহমদ চুনকা নগর মিলনায়তন হলে আয়োজন করবে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।

উক্ত অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক হাবিবুল ইসলাম হাবিব এবং বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের সাধারণ সম্পাদক ও ছোট পর্দার জনপ্রিয় নাট্যকার জাকির হোসেন উজ্জ্বল।

ধ্রুব সাহিত্য পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান মো: দিদার খন্দকার এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ ষ্টিল রি- রোলিং মিলস এসোসিয়েশন এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: রেজাউল করিম রাজু।
মঞ্চ ও টিভি অভিনেতা মোখলেসুর রহমান তোতার সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি ডাইরেক্টর দেশবরেণ্য ছড়াকার আতিক হেলাল, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মো: :শহীদুল্লাহ্,বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন টেলিভিশন নাট্য প্রযোজক মনিরুজ্জামান স্বপন প্রমুখ।

Address

Dhaka
1000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when BD360NEWS posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to BD360NEWS:

Share