22/03/2024
২৪ তম বিসিএস ক্যাডার (শিক্ষা)। গিলবার্ট রেমা। অত্যন্ত সহজ সরল সাধারণ একজন মানুষ। সৎ মানুষ, শিক্ষক মানুষ। বলা চলে ছা’পোষা জীবনে সন্তানাদি প্রতিপালনে বেতনের টাকা খরচ করেন। দরিদ্র কৃষক সন্তান হওয়ায় ছোট থেকেই কষ্ট করে লেখাপড়া করেছেন। হয়েছেন বিসিএস ক্যাডার। সততার জন্য ময়মনসিংহ শহরে বসতবাড়ি করার সামর্থ না থাকায় সামান্য সঞ্চয় আর বাকীটা ব্যাংক ঋণে একখন্ড জমি কিনেছেন ময়মনসিংহ শহর থেকে দূরে অজপাড়াগা রঘুরামপুর পল্লীতে।বসতজমি ক্রয়ের পর কর্মব্যস্ততা এবং উল্টো পথ থাকায় জমি দেখভালের জন্য যাওয়া হয়নি উনার, প্রয়োজনবোধও করেননি।
গিলবার্ট রেমার বর্তমান কর্মস্থল গুরুদয়াল সরকারী কলেজ, কিশোরগঞ্জ। জন্মস্থান সাপমারীকান্দা গ্রাম, হালুয়াঘাট উপজেলা, ময়মনসিংহ। বর্তমান ঠিকানা রাজিবপুর গ্রাম, ধোবাউড়া উপজেলা, ময়মনসিংহ। মোবাইল নাম্বার ০১৮২৯-৭৫৫৭২৬।
গিলবার্ট রেমা “গারো” জাতিগোষ্ঠীর সরকারী চাকুরীজীবী উচ্চশিক্ষিত মানুষ। জমি কিনেছেন ময়মনসিংহ সদর উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামে।দরিদ্র গৃহহীন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্পেশাল এ্যাফেয়ার্স বিভাগ থেকে বরাদ্দকৃত একটি গৃহ তার জমিতে রয়েছে। উনি তা আদৌ জানতেন না। জানা সম্ভব ছিলো না। এর জন্য আবেদনও তিনি করেননি, আবেদন করার কারণও নেই। আনন্দ টিভিতে প্রচারের পর গিলবার্ট রেমা প্রথম জানতে পারেন তার জমিতে একটি সরকারের দানকৃত গৃহস্থাপনা রয়েছে।
“স্বাধীনতা পদক ২০২৪” পুরস্কারের সমাজসেবা ক্যাটাগরিতে ৮ নং ক্রমিকে তালিকাভূক্ত অরন্য চিরানকে এরজন্য দায়ী করলেন বিসিএস (শিক্ষা) ক্যাডার গিলবার্ট রেমা। সমতল অঞ্চলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর জাতীয় সমাজিক সংগঠন “ ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েন” কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান বিপুল হাজং-কে মুঠোফোনে অরন্য চিরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন ২৪তম বিসিএস শিক্ষা কর্মকর্তা গিলবার্ট রেমা। জানতে চান ধুরন্ধর অরন্য চিরানের কাছে তার জমিতে সরকারী গৃহ নির্মাণের কারন, কিন্তু নানা অজুহাতে সহজ সরল গিলবার্ট রেমার প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছে ধুরন্ধর অরন্য চিরান।
এভাবেই বিস্তর অভিযোগের পাহাড় জমে আছে দৃশ্যত সরল বস্তুত ধুরন্ধর অরন্য চিরানের বিরুদ্ধে। এবার তার কুনজর পড়েছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় মর্যাদার প্রতীক “স্বাধীনতা পদক ২০২৪” এর দিকে।
----------------------
রাষ্ট্রীয় মর্যাদা সুরক্ষা , জনস্বার্থ এবং সম্মতিতে কথোপকথন প্রকাশ করা হলো।