04/08/2025
বাংলাদেশে ইসলামের কাজটা হলো জমির আইল ঠেলার মত।
রাষ্ট্র, সাংস্কৃতিক জমিদার, বিদেশি শক্তি—সবাই মিলে জনপরিসরে ইসলামকে কোণঠাসা করে রাখে। ইসলামপ্রিয় জনতার কণ্ঠরোধ করে রাখে।
যখন দরকার তখন রাজনৈতিক দলগুলো তাওহীদি জনতার রাজপথের শক্তিকে ব্যবহার করে। বাকি সময়টা ইসলামকে বেঁধে রাখতে চায় জনপরিসরে খুব ছোট্ট একটা সীমানার ভেতর।
শুরু থেকেই বাংলাদেশের রাষ্ট্র, সমাজ আর রাজনীতির এই এক চরিত্র। হাসিনার আমলে এটা সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গিয়েছিল।
জুলাইয়ের পর ইসলামপন্থী জনতা কথা বলার, নিজ আদর্শ তুলে ধরার একটা সুযোগ পেয়েছিল। এই সুযোগ কারো দয়ায় আসেনি।
২০১৩ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ক্রমাগত রক্ত আর জেল-যুলুমের বিনিময়ে এই তাওহীদি জনতা আওয়ামী জাহেলিয়াতের পতনে ভূমিকা রেখেই এই সুযোগ অর্জন করেছে।
রাষ্ট্র আর সমাজের বৈষম্যের কাঠামোটা অবশ্য বদলায়নি।
গণঅভ্যুত্থানের ধাক্কায় রাষ্ট্রযন্ত্র কিছু সময়ের জন্য দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। প্রতিষ্ঠিত শক্তিগুলো চাইলেও তখন গলা টিপে ধরতে পারেনি, দমন-পীড়নের সুযোগ পায়নি।
কিন্তু সময় যত যাচ্ছে, রাষ্ট্রযন্ত্র, যুলুমের কাঠামো, বৈষম্যের কলকবজা আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। মিথ্যা মামলা, উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার, অপসাংবাদিকতা আর গোয়েন্দা বাহিনীর হয়রানি তারই প্রমাণ।
সময় যত যাবে, এগুলো তত বাড়বে। জনপরিসরে ইসলামকে আবার কোণঠাসা করার চেষ্টা চলবে। চেষ্টা চলবে আমাদের কণ্ঠরোধের।
সাংস্কৃতিক জমিদার, বিদেশী শক্তি আর বৈষম্যের কাঠামো আবারও ইসলামপ্রিয় মানুষের গলার চারপাশে যুলুমের ফাঁস টাইট করার পাঁয়তারা করছে।
আমরা যদি এখন না দাঁড়াই, মজবুত অবস্থান না নেই, তাহলে অতীতের পুনরাবৃত্তি হবে। সমাজ, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও জনপরিসর থেকে আমাদের মুছে দেওয়া হবে আবারো।
তাই যমীনে খুঁটি গাড়তে হবে এখনই। যে যমীন তাওহীদি জনতা রক্ত দিয়ে মুক্ত করেছে, তার ওপর দাবি কোনো মতেই ছাড়া যাবে না। অশুভ শক্তি যত চেষ্টা করুক, ষড়যন্ত্র করুক, ইন শা আল্লাহ, জনপরিসর থেকে ইসলাম ও তাওহীদি জনতাকে আর সরানো যাবে না।
আসুন, এই ভূমির তাওহীদি জনতার মহাকাব্যিক কুরবানীর সাক্ষী শাপলা চত্বরে, ৫ আগস্ট আমরা একত্রিত হই।
এই যমীনের ফিরাউন হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার বর্ষপূর্তির দিনে আমরা শপথ নেই, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই। আর কখনো এই যমীনে ইসলামকে আমরা কোণঠাসা হতে দেব না। বিইযনিল্লাহ.
ইন শা আল্লাহ, ৫-ই আগস্ট দেখা হচ্ছে শাপলা চত্বরে।
এই দ্বীন আমার।
এই যমীন আমার।