13/07/2025
🎬 #প্রবীর_মিত্র: বাংলা চলচ্চিত্রের এক কিংবদন্তি অভিনেতা🌹🌹
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে প্রবীর মিত্র এক উজ্জ্বল নাম। ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তাঁর অতুলনীয় অভিনয় প্রতিভা দিয়ে। নায়ক থেকে শুরু করে পার্শ্বচরিত্র, এমনকি খলচরিত্রেও তিনি ছিলেন সমান দক্ষ ও জনপ্রিয়। তাঁর অভিনয়জীবন শুধু একটানা দীর্ঘই নয়, তা ছিল গুণে-মানেও অতুলনীয়।
🧒 শৈশব ও শিক্ষাঃ প্রবীর মিত্রের জন্ম ১৯৪১ সালের ১৮ আগস্ট তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের চাঁদপুর বা কুমিল্লার চান্দিনায়। তিনি ঢাকার পোগোস স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং পরবর্তীতে সেন্ট গ্রেগরিজ ও জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন। শিক্ষাজীবনেই নাটকের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহ গড়ে ওঠে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে প্রহরী চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তাঁর মঞ্চযাত্রা।
🎭 অভিনয়জীবনের শুরুঃ পুরনো ঢাকার লালকুঠি থিয়েটার থেকে অভিনয় জীবন শুরু করেন প্রবীর মিত্র। ১৯৬৯ সালে পরিচালক এইচ আকবরের জলছবি সিনেমায় প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যা মুক্তি পায় ১৯৭১ সালে। এই সিনেমার মাধ্যমেই দর্শক প্রথমবার প্রবীর মিত্রের অনবদ্য অভিনয়শৈলীর সাক্ষাৎ পান।
🌟 দীর্ঘ ক্যারিয়ার ও উল্লেখযোগ্য সিনেমাঃ প্রবীর মিত্র প্রায় ৪০০-র বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি ছিলেন এমন একজন শিল্পী যিনি একইসঙ্গে নায়ক, খলনায়ক ও পার্শ্বচরিত্রে সমান দক্ষতায় অভিনয় করেছেন। তাঁর কিছু স্মরণীয় চলচ্চিত্র হলো:
তিতাস একটি নদীর নাম (১৯৭৩)
নবাব সিরাজউদ্দৌলা (১৯৮৯)
বড় ভালো লোক ছিল (১৯৮২)
অ্যামার প্রাণের প্রিয়া (২০০৯)
কুসুম কুসুম প্রেম (২০১১)
🏆 পুরস্কার ও সম্মাননাঃ প্রবীর মিত্র তার অসামান্য অভিনয় প্রতিভার জন্য বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার – শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা (১৯৮২, বড় ভালো লোক ছিল)
বাচসাস পুরস্কার – পার্শ্ব চরিত্রে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য দুইবার
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা – ২০১৮ সালে
🕌 ব্যক্তিগত জীবনঃ ১৯৭২ সালে বিয়ের সময় তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
🎬 প্রবীর মিত্র: ছয় দশকের চলচ্চিত্র ইতিহাস যার নামেই লেখা ✨🎭 বাংলা সিনেমার ইতিহাসে এমন কিছু নাম আছে, যাদের অবদান কখনো মুছে যাওয়ার নয়। ঠিক তেমনই একজন কিংবদন্তি — প্রবীর মিত্র।
তাঁর অভিনয় মানেই ছিল এক অন্যরকম অনুভব। নায়ক, খলনায়ক, কিংবা পার্শ্বচরিত্র — যেকোনো রূপেই তিনি ছিলেন পরিপূর্ণ ও প্রভাবশালী।
🧒 জন্ম, শৈশব ও পড়াশোনা
১৮ আগস্ট ১৯৪১ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের চান্দিনা, কুমিল্লায় জন্ম গ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। ঢাকার পোগোস স্কুলে পড়ালেখা করেন এবং সেন্ট গ্রেগরিজ ও জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। ছাত্র
জীবনে নাট্যচর্চার শুরু হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে প্রহরী চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে।
🎭 রূপালি পর্দায় আগমন
লালকুঠি থিয়েটার থেকে মঞ্চাভিনয়ের শুরু হলেও চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু ১৯৬৯ সালে, এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ সিনেমার মাধ্যমে।
১৯৭১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবির মাধ্যমে দর্শক প্রথম পরিচিত হন তাঁর পরিণত, অনুভবনির্ভর অভিনয়শৈলীর সঙ্গে।
🌟 ৬০ বছরের ক্যারিয়ার, ৪০০+ সিনেমা!
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এত দীর্ঘ সময় ধরে সক্রিয় থেকে এত গুণগত অভিনয় করার নজির বিরল।
তিনি নায়ক হিসেবেও সফল ছিলেন, খলনায়ক হিসেবেও প্রশংসিত, আর পার্শ্বচরিত্রে ছিলেন অনন্য।
🎞️ উল্লেখযোগ্য কিছু চলচ্চিত্রঃ
তিতাস একটি নদীর নাম (১৯৭৩)
বড় ভালো লোক ছিল (১৯৮২)
নবাব সিরাজউদ্দৌলা (১৯৮৯)
আমার প্রাণের প্রিয়া (২০০৯)
কুসুম কুসুম প্রেম (২০১১)
🏆 সম্মাননা ও অর্জন
🎖️ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৮২) — শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্র (বড় ভালো লোক ছিল)
🏅 বাচসাস পুরস্কার — একাধিকবার
🌟 জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা – ২০১৮
🕌 ব্যক্তিগত জীবনের পেছনের গল্প
১৯৭২ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নাম নেন হাসান ইমাম। তাঁর স্ত্রী অজন্তা মিত্র ২০০০ সালে মারা যান। চার সন্তানের মধ্যে একজন ২০১২ সালে মারা যান, যা প্রবীর মিত্রের জীবনে গভীর শোকের ছায়া ফেলে।
🕊️ বিদায় কিংবদন্তি…
২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি, ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রবীর মিত্র শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন হারায় এক অনন্য রত্নকে। আজিমপুর কবরস্থানে জানাজা শেষে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
#প্রবীর_মিত্র #প্রবীর_মিত্র_চলচ্চিত্র #প্রবীর_মিত্র_মৃত্যু #বাংলাসিনেমা #বাংলাদেশের_গর্ব