Kishoreganj District কিশোরগঞ্জ জেলা

Kishoreganj District কিশোরগঞ্জ জেলা আপনারা দেখতে পারবেন পুরোনো সব ঐতিহ্য ?
(1)

কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জে ১৮ দিনের বকনা বাছুর প্রতিদিন আধা লিটার দুধ দিচ্ছে।নিয়মিত প্রায় ‘আধা লিটার’ দুধ দিচ্ছে একটি বকন...
24/09/2025

কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জে ১৮ দিনের বকনা বাছুর প্রতিদিন আধা লিটার দুধ দিচ্ছে।

নিয়মিত প্রায় ‘আধা লিটার’ দুধ দিচ্ছে একটি বকনা বাছুর। কয়েক দিন আগে জন্ম নেওয়া এমন একটি বাছুরকে ঘিরে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য।
বাছুরটির মালিক করিমগঞ্জের পূর্ব চরকরণশীর এলাকার বাসিন্দা হারুনুর রশিদ। তাঁর খামারে বাছুরটি দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় লেগে থাকে দিনভর।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, খামারি হারুনুর রশিদের বাড়িতে উৎসুক জনতার ভিড়। অনেকেই বাছুরটির সঙ্গে ছবি তুলছেন। এ সময় খামারিসহ স্থানীয় কয়েকজন বলেন, জন্মের পর থেকেই দুধ দিচ্ছে বাছুরটি। গতকাল পর্যন্ত এটির বয়স ছিল ১৮ দিন।
হারুনুর রশিদ বলেন, প্রতিদিন বাছুরটি প্রায় আধা লিটার দুধ দিচ্ছে। এই দুধ দেখতে ও খেতে সাধারণ গাভির দুধের মতোই। তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এই দুধ পান করেছেন।
বয়সের তুলনায় বাছুরটির ওলানের আকার লক্ষণীয় মাত্রায় বড়। সেখান থেকে দুধ সংগ্রহ করা হচ্ছে। গতকাল দুপুরে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার পূর্ব চরকরণশীর এলাকায়।
বয়সের তুলনায় বাছুরটির ওলানের আকার লক্ষণীয় মাত্রায় বড়। সেখান থেকে দুধ সংগ্রহ করা হচ্ছে। গতকাল দুপুরে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার পূর্ব চরকরণশীর।
নিয়মিত প্রায় ‘আধা লিটার’ দুধ দিচ্ছে একটি বকনা বাছুর। কয়েক দিন আগে জন্ম নেওয়া এমন একটি বাছুরকে ঘিরে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য।
বাছুরটির মালিক করিমগঞ্জের পূর্ব চরকরণশীর এলাকার বাসিন্দা হারুনুর রশিদ। তাঁর খামারে বাছুরটি দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় লেগে থাকে দিনভর।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, খামারি হারুনুর রশিদের বাড়িতে উৎসুক জনতার ভিড়। অনেকেই বাছুরটির সঙ্গে ছবি তুলছেন। এ সময় খামারিসহ স্থানীয় কয়েকজন বলেন, জন্মের পর থেকেই দুধ দিচ্ছে বাছুরটি। গতকাল পর্যন্ত এটির বয়স ছিল ১৮ দিন।
হারুনুর রশিদ বলেন, প্রতিদিন বাছুরটি প্রায় আধা লিটার দুধ দিচ্ছে। এই দুধ দেখতে ও খেতে সাধারণ গাভির দুধের মতোই। তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এই দুধ পান করেছেন।
এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে হারুনুরের বাবা আবদুল কাদির বাচ্চু বলেন, তাঁর ৭০ বছরের জীবনে এমন ঘটনা শোনেননি বা দেখেননি। বাছুরটি দেখতে আসা ব্যক্তিদের একজন তাকবির আহমেদ। তিনি বলেন, নিজের চোখে না দেখলে এটি কেউই বিশ্বাস করবে না। দীর্ঘদিনের কর্মজীবনে প্রথমবারের মতো এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানান করিমগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আউয়াল তালুকদার। তিনি বলেন, বকনা বাছুরের দুধ দেওয়ার বিষয়টি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। প্রলেকটিন হরমোন নির্গত হওয়ার কারণে এমনটি ঘটেছে। এই বাছুরের দুধ পান করলে কোনো সমস্যা হবে না। গাভির দুধ দেখতে ও খেতে যেমন, বাছুরটির দুধও তেমন।

কিশোরগঞ্জ জেলা kishoreganj District

কিশোরগঞ্জ জেলা kishoreganj District সময় করে আপনারাও দেখে আসতে পারেন সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক বাড়িটি।কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজ...
08/09/2025

কিশোরগঞ্জ জেলা kishoreganj District
সময় করে আপনারাও দেখে আসতে পারেন সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক বাড়িটি।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ছোট্ট একটি গ্রাম মসূয়া। বিশ্বনন্দিত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক ও শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের ঐতিহাসিক বাড়ি এই গ্রামে। এ বাড়ির পূর্বে রয়েছে পুকুর ও শান বাঁধানো ঘাট। পশ্চিমে কয়েক একর জায়গাজুড়ে বাড়ি। পূর্বে প্রাচীর ও সিংহ দরজা ছিল যা এখন নেই। পশ্চিমে জরাজীর্ণ ভবন, এখন যেটি ভূমি অফিস। তার একটু পশ্চিমে গেলেই ডাকঘর। বাড়ির ভিতরে রয়েছে কারুকার্যখচিত প্রাচীন দালান, বাগানবাড়ি, হাতির পুকুর, খেলার মাঠ ইত্যাদি। যে বাড়ির এত ঐতিহ্য, সেই বাড়িটি এখন ধ্বংসের পথে। দেখার যেন কেউ নেই।

সত্যজিৎ রায়ের পিতামহের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি এখন সরকারের রাজস্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে আছে। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের উদ্যোগে ২০১২ সালে ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি রেস্ট হাউজসহ বাড়ির সীমানা প্রাচীর ও রাস্তাঘাট সংস্কার করা হয়।

এই বাড়িতে ১৮৬০ সালের ১২ মে জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়ের পিতামহ প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী। তিনি ছিলেন বিখ্যাত শিশুকিশোর পত্রিকা ‘সন্দেশ’র (১৯১৩) প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। তার বাবার নাম ছিল কালীনাথ রায়। পাঁচ বছর বয়সে নিঃসন্তান চাচা হরিকিশোর রায় চৌধুরী তাকে দত্তক পুত্র হিসেবে গ্রহণ করেন।

পিতার দেওয়া কামদারঞ্জন রায় নাম বদলিয়ে রাখেন উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী। কিন্তু দত্তক পুত্র গ্রহণের বেশ কয়েকবছর পর হরিকিশোর রায় চৌধুরী ওরফে নরেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী জন্মগ্রহণ করায় দত্তক পুত্র উপেন্দ্র কিশোরের গুরুত্ব কমতে থাকে। হরিকিশোর রায় চৌধুরী ছিলেন জমিদার। তার স্নেহে লালিত উপেন্দ্রকিশোর ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৮৮০ সালে প্রবেশিকা এবং কলকাতা মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট থেকে বিএ পাস করেন।

এদিকে, হরিকিশোর রায় চৌধুরী ভবিষ্যতে সম্পদের উত্তরাধীকার নিয়ে ঔরসজাত পুত্র ও দত্তক পুত্রের মাঝে যাতে কোনো সংঘাত না বাধে সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এ জন্য বাড়ির চার দেয়ালের বাইরে নকশা করে লোহার খুঁটি দিয়ে দত্তক পুত্রের জন্য সম্পূর্ণ আলাদা বাড়ির সীমানা নির্ধারণ করে দেন। লোহার খুঁটিগুলো আজও রয়েছে।

সীমানা নির্ধারিত বাড়িতে উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর ঔরসে ১৮৮৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন জ্যেষ্ঠ পুত্র সত্যজিৎ রায়ের পিতা শিশুসাহিত্যিক সুকুমার রায়। জন্মের পরই সুকুমার রায়সহ উপেন্দ্রকিশোর চলে যান কলকাতায়। মাঝে মাঝে নিজ বাড়িতে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বেড়াতে আসতেন তিনি। তার মেজো মেয়ে পুণ্যলতার অনেক সাহিত্যকর্মের মধ্যে ছেলেবেলার দিনগুলোতে সেকালের মসুয়ার বর্ণাঢ্য রায় চৌধুরী পরিবারের বিবরণী রয়েছে। হরিকিশোর রায় চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার পুত্র নরেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী মসুয়ায় জমিদারী লাভ করেন। উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী হয়ে পড়েন কলকাতাকেন্দ্রিক। নাতি সত্যজিৎ রায়ের জন্ম কলকাতাতেই এবং বেড়ে ওঠাও কলকাতাতেই।

মসুয়া গ্রামের সত্যজিৎ রায়ের সেই ঐতিহাসিক পৈতৃক ভিটেমাটি ও স্মৃতিচিহ্ন এখন বিলুপ্তির পথে। ভাঙাচোরা এই বাড়িটি দিন দিন ধ্বংস হচ্ছে। বাড়িটি রাজস্ব বিভাগের দখলে থাকলেও বহু জায়গা বেদখল হয়ে গেছে।

অস্কার বিজয়ী বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের ঐতিহাসিক পৈতৃক বাড়িকে একসময় বলা হতো ‘পূর্ব বাংলার জোড়াসাঁকো’। প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শেষ বুধবার এ ঐতিহাসিক বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় বৈশাখী মেলা। মসুয়া গ্রামে সত্যজিৎ রায়ের পরিবারের স্মৃতি চিহ্নটুকু ধরে রাখার জন্য গঠিত হয়েছে সত্যজিৎ রায় স্মৃতি সংসদ। প্রতি বছর ৫ মে পালন করা হয় সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিবস। প্রতিদিন বহু দর্শনার্থী সাহিত্যিক-কবি বাড়িটি পরিদর্শনে আসেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা kishoreganj District কিশোরগঞ্জ জেলাবাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ঢাকা বিভাগের।কিশোরগঞ্জ জেলা আয়তনে ঢাকা ...
04/09/2025

কিশোরগঞ্জ জেলা kishoreganj District
কিশোরগঞ্জ জেলা

বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ঢাকা বিভাগের।কিশোরগঞ্জ জেলা আয়তনে ঢাকা বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ঢাকা বিভাগের সর্বাধিক উত্তর-পূর্বে অবস্থিত একটি জেলা। উপজেলার সংখ্যানুসারে আমাদের কিশোরগঞ্জ বাংলাদেশের 'এ' শ্রেণীভুক্ত জেলার অন্তর্গত। সর্বাধিক উত্তর-পূর্বে অবস্থিত একটি জেলা। উপজেলার সংখ্যানুসারে কিশোরগঞ্জ বাংলাদেশের 'এ' শ্রেণীভুক্ত জেলার অন্তর্গত। কিশোরগঞ্জ জেলার পরিচিতি বাক্য হলো “উজান-ভাটির মিলিত ধারা, নদী-হাওর মাছে ভরা”। হাওর অঞ্চলের জন্য এই জেলা বিখ্যাত।
এটি ঢাকা বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা। হাওর অঞ্চলের জন্য এই জেলা বিখ্যাত।

ইতিহাসঃ-
বঙ্গদেশের প্রাদেশিক মানচিত্রটি ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত থাকা বৃহত্তর ময়মনসিংহ জিলা (টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জের সাথে বর্তমান বিভাগ) প্রদর্শন করছে।
কিশোরগঞ্জের ইতিহাস সুপ্রাচীন। এখানে প্রাচীনকাল থেকেই একটি সুগঠিত গোষ্ঠী আছে এবং এখনোও তা বিরাজ করছে। ষষ্ঠ শতকে বত্রিশ এর বাসিন্দা কৃষ্ণদাস প্রামাণিকের ছেলে নন্দকিশোর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে একটি গঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন; এ গঞ্জ থেকেই কালক্রমে নন্দকিশোরের গঞ্জ বা 'কিশোরগঞ্জ'-এর উৎপত্তি হয়। একাদশ ও দ্বাদশ শতকে পাল, বর্মণ ও সেন শাসকরা এ অঞ্চলে রাজত্ব করে। তাদের পর ছোট ছোট স্বাধীন গোত্র কোচ, হাজং, গারো এবং রাজবংশীরা এখানে বসবাস করে। ১৪৯১ সালে ময়মনসিংহের অধিকাংশ অঞ্চল ফিরোজ শাহ-এর অধীনে থাকলেও কিশোরগঞ্জ সেই মুসলিম শাসনের বাইরে রয়ে যায়। পরবর্তীতে মুঘল সম্রাট আকবরের সময়কালে বেশিরভাগ অঞ্চল মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে থাকলেও জঙ্গলবাড়ি ও এগারসিন্দুর কোচ ও অহম শাসকদের অধীনে রয়ে যায়। ১৫৩৮ সালে এগারসিন্দুরের অহম শাসক মুঘলদের কাছে ও ১৫৮০ সালে জঙ্গলবাড়ির কোচ শাসক ঈসা খাঁর কাছে পরাজিত হয়। ১৫৮০ সালে বার ভূঁইয়াদের প্রধান ঈসা খাঁ এগারসিন্দুরে আকবরের সেনাপতি মান সিংহকে পরাজিত করেন। ঈসা খাঁর মৃত্যুর পর জঙ্গলবাড়ি ও এগারসিন্দুর তার পুত্র মুসা খাঁর অধীনে আসে কিন্তু ১৫৯৯ সালে তিনি মুঘলদের কাছে পরাজিত হন।

অবস্থান ও আয়তনঃ-
কিশোরগঞ্জের ভৌগোলিক আয়তন প্রায় ২,৬৮৯ বর্গ কিলোমিটার। এই আয়তনে ১৩টি উপজেলা রয়েছে। এই জেলার উত্তরে নেত্রকোণা জেলা ও ময়মনসিংহ জেলা, দক্ষিণে নরসিংদী জেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, পূর্বে সুনামগঞ্জ জেলা ও হবিগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে ময়মনসিংহ জেলা ও গাজীপুর জেলা।

প্রশাসনিক এলাকাসমূহঃ-
কিশোরগঞ্জ জেলায় ১৩টি উপজেলা, ৮টি পৌরসভা এবং ১০৮টি ইউনিয়ন রয়েছে।

উপজেলা ও ইউনিয়ন ও পৌরসভা সমূহঃ-

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলাঃ-
০১। কিশোরগঞ্জ পৌরসভা
০২। রশিদাবাদ ইউনিয়ন
০৩। লতিবাবাদ ইউনিয়ন
০৪। মাইজখাপন ইউনিয়ন
০৫। মহিনন্দ ইউনিয়ন
০৬। যশোদল ইউনিয়ন
০৭। বৌলাই ইউনিয়ন
০৮। বিন্নাটি ইউনিয়ন
০৯। মারিয়া ইউনিয়ন
১০। চৌদ্দশত ইউনিয়ন
১১। কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়ন
১২। দানাপাটুলী ইউনিয়ন

হোসেনপুর উপজেলাঃ-
০১। হোসেনপুর পৌরসভা
০২। গোবিন্দপুর ইউনিয়ন
০৩। সিদলা ইউনিয়ন
০৪। জিনারী ইউনিয়ন
০৫। আড়াইবাড়ীয়া ইউনিয়ন
০৬। শাহেদল ইউনিয়ন
০৭। পুমদী ইউনিয়ন

কটিয়াদী উপজেলাঃ-
০১। কটিয়াদী পৌরসভা
০২। বনগ্রাম ইউনিয়ন
০৩। সহশ্রাম ধুলদিয়া ইউনিয়ন
০৪। করগাঁও ইউনিয়ন
০৫। চান্দপুর ইউনিয়ন
০৬। মুমুরদিয়া ইউনিয়ন
০৭। আচমিতা ইউনিয়ন
০৮। মসূয়া ইউনিয়ন
০৯। লোহাজুরী ইউনিয়ন
১০। জালালপুর ইউনিয়ন

পাকুন্দিয়া উপজেলাঃ-
০১। পাকুন্দিয়া পৌরসভা
০২। জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন
০৩। চন্ডিপাশা ইউনিয়ন
০৪। চরফরাদি ইউনিয়ন
০৫। এগারসিন্দুর ইউনিয়ন
০৬। হোসেন্দী ইউনিয়ন
০৭। বুরুদিয়া ইউনিয়ন
০৮। নারান্দী ইউনিয়ন
০৯। পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন
১০। সুখিয়া ইউনিয়ন

করিমগঞ্জ উপজেলাঃ-
০১। করিমগঞ্জ পৌরসভা
০২। কাদিরজঙ্গল ইউনিয়ন
০৩। গুজাদিয়া ইউনিয়ন
০৪। কিরাটন ইউনিয়ন
০৫। বারঘরিয়া ইউনিয়ন
০৬। নিয়ামতপুর ইউনিয়ন
০৭। দেহুন্দা ইউনিয়ন
০৮। সুতারপাড়া ইউনিয়ন
০৯। গুনধর ইউনিয়ন
১০। জয়কা ইউনিয়ন
১১। জাফরাবাদ ইউনিয়ন
১২। নোয়াবাদ ইউনিয়ন

তাড়াইল উপজেলাঃ-
০১। তালজাঙ্গা ইউনিয়ন
০২। রাউতি ইউনিয়ন
০৩। ধলা ইউনিয়ন
০৪। জাওয়ার ইউনিয়ন
০৫। দামিহা ইউনিয়ন
০৬। দিগদাইর ইউনিয়ন
০৭। তাড়াইল-সাচাইল ইউনিয়ন

ইটনা উপজেলাঃ-
০১। রায়টুটি ইউনিয়ন
০২। ধনপুর ইউনিয়ন
০৩। মৃগা ইউনিয়ন
০৪। ইটনা ইউনিয়ন
০৫। বড়িবাড়ী ইউনিয়ন
০৬। বাদলা ইউনিয়ন
০৭। এলংজুড়ি ইউনিয়ন
০৮। জয়সিদ্ধি ইউনিয়ন
০৯। চৌগাংগা ইউনিয়ন

মিঠামইন উপজেলাঃ-
০১। গোপদিঘী ইউনিয়ন
০২। মিঠামইন ইউনিয়ন
০৩। ঘাগড়া ইউনিয়ন
০৪। ঢাকী ইউনিয়ন
০৫। কেওয়ারজোর ইউনিয়ন
০৬। কাটখাল ইউনিয়ন
০৭। বৈরাটি ইউনিয়ন

অষ্টগ্রাম উপজেলাঃ-
০১। দেওঘর ইউনিয়ন
০২। কাস্তুল ইউনিয়ন
০৩। অষ্টগ্রাম ইউনিয়ন
০৪। বাংগালপাড়া ইউনিয়ন
০৫। কলমা ইউনিয়ন
০৬। আদমপুর ইউনিয়ন
০৭। খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়ন
০৮। পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়ন

নিকলী উপজেলাঃ-
০১। নিকলী ইউনিয়ন
০২। দামপাড়া ইউনিয়ন
০৩। কারপাশা ইউনিয়ন
০৪। সিংপুর ইউনিয়ন
০৫। জারইতলা ইউনিয়ন
০৬। গুরই ইউনিয়ন
০৭। ছাতিরচর ইউনিয়ন

বাজিতপুর উপজেলাঃ-
০১। বাজিতপুর পৌরসভা
০২। মাইজচর ইউনিয়ন
০৩। দিলালপুর ইউনিয়ন
০৪। গাজীরচর ইউনিয়ন
০৫। হুমায়ুনপুর ইউনিয়ন
০৬। দিঘীরপাড় ইউনিয়ন
০৭। হালিমপুর ইউনিয়ন
০৮। সরারচর ইউনিয়ন
০৯। বলিয়ার্দী ইউনিয়ন
১০। হিলচিয়া ইউনিয়ন
১১। কৈলাগ ইউনিয়ন
১২। পিরিজপুর ইউনিয়ন

কুলিয়ারচর উপজেলাঃ-
০১। কুলিয়ারচর পৌরসভা
০২। উছমানপুর ইউনিয়ন
০৩। রামদী ইউনিয়ন
০৪। গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়ন
০৫। সালুয়া ইউনিয়ন
০৬। ছয়সূতি ইউনিয়ন
০৭। ফরিদপুর ইউনিয়ন

ভৈরব উপজেলাঃ-
০১। ভৈরব পৌরসভা
০২। আগানগর ইউনিয়ন
০৩। কালিকাপ্রাসাদ ইউনিয়ন
০৪। গজারিয়া ইউনিয়ন
০৫। শিবপুর ইউনিয়ন
০৬। শিমুলকান্দি ইউনিয়ন
০৭। শ্রীনগর ইউনিয়ন
০৮। সাদেকপুর ইউনিয়ন

অর্থনীতিঃ
কিশোরগঞ্জের অর্থনীতির চালিকা শক্তি অনেকটা হাওরের উপর নির্ভরশীল। যেমন: হাওরে প্রচুর মাছ পাওয়া যায় যা দেশের মাছের চাহিদার অধিকাংশই পূরণ করে। তাছাড়া, কিশোরগঞ্জে পাট, ধান এবং অন্যান্য অনেক সবজি উৎপাদিত হয়ে থাকে যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। এখানে প্রচুর মৎস্য এবং পোল্ট্রি খামার রয়েছে। বেশ কিছু ছোট বড় কলকারখানা রয়েছে। এছাড়া ভৈরব এর জুতা শিল্প দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পখাত।

চিত্তাকর্ষক স্থানঃ

জঙ্গলবাড়ি দূর্গঃ-
জঙ্গলবাড়ি দুর্গ ছিল বারো ভূঁইয়াদের প্রধান ঈসা খাঁর দ্বিতীয় রাজধানী। এটি কিশোরগঞ্জ শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি গ্রামে অবস্থিত। দুর্গের ভিতরে ঈসা খাঁ কয়েকটি স্থাপনা গড়ে তোলেন। ১৮৯৭ সালে ভুমিকম্পে দুর্গের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এগারসিন্দুর দূর্গঃ-
এগারসিন্দুর দুর্গ পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর গ্রামে অবস্থিত। গ্রামটি ব্রহ্মপুত্র নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত। ইতিহাসবেত্তা আবুল ফজল রচিত আকবরনামা গ্রন্থে এই গ্রামের নাম উল্লেখ রয়েছে। এটি ছিল অহম শাসকদের রাজধানী। ১৫৩৮ সালে মুঘলরা অহমদের পরাজিত করে এ অঞ্চল দখল করে। এখানেই ১৫৮০ সালে বার ভূঁইয়াদের প্রধান ঈসা খাঁ মুঘল সম্রাট আকবরের সেনাপতি মান সিংহকে পরাজিত করে।

শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানঃ-
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব প্রান্তে প্রায় ৬.৬১ একর জমিতে অবস্থিত বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। প্রতিবছর এ ময়দানে ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ইয়েমেন থেকে আগত শোলাকিয়া 'সাহেব বাড়ির' পূর্বপুরুষ সুফি সৈয়দ আহমেদ তার নিজস্ব তালুকে ১৮২৮ সালে নরসুন্দা নদীর তীরে ঈদের জামাতের আয়োজন করেন। ওই জামাতে ইমামতি করেন সুফি সৈয়দ আহমেদ নিজেই। অনেকের মতে, মোনাজাতে তিনি মুসল্লিদের প্রাচুর্যতা প্রকাশে 'সোয়া লাখ' কথাটি ব্যবহার করেন। আরেক মতে, সেদিনের জামাতে ১ লাখ ২৫ হাজার (অর্থাৎ সোয়া লাখ) লোক জমায়েত হয়। ফলে এর নাম হয় 'সোয়া লাখি'। পরবর্তীতে উচ্চারণের বিবর্তনে শোলাকিয়া নামটি চালু হয়ে যায়।[৫] আবার কেউ কেউ বলেন, মোগল আমলে এখানে অবস্থিত পরগনার রাজস্বের পরিমাণ ছিল সোয়া লাখ টাকা। উচ্চারণের বিবর্তনে সোয়া লাখ থেকে সোয়ালাখিয়া, সেখান থেকে শোলাকিয়া। পরবর্তিতে ১৯৫০ সালে স্থানীয় দেওয়ান মান্নান দাদ খাঁ এই ময়দানকে অতিরিক্ত ৪.৩৫ একর জমি দান করেন।

পাগলা মসজিদঃ-
পাগলা মসজিদ বা পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্স বাংলাদেশের একটি প্রাচীন মসজিদ যা কিশোরগঞ্জ সদরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত। তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদটিতে একটি সুউচ্চ মিনার রয়েছে। মসজিদ কমপ্লেক্সটি ৩ একর ৮৮ শতাংশ জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত।১৯৭৯ সালের ১০ মে থেকে ওয়াকফ্ স্টেট মসজিদটি পরিচালনা করছে। পাগলা মসজিদটি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার হারুয়া নামক স্থানে নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত। জনশ্রুতি অনুসারে, ঈসা খান-র আমলে দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা নামক একজন ব্যক্তি নদীর তীরে বসে নামাজ পড়তেন। পরবর্তীতে স্থানটিতে মসজিদটি নির্মত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারে মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায়। অপর জনশ্রুতি অনুসারে, তৎকালীন কিশোরগঞ্জের হয়বতনগর জমিদার পরিবারের ‘পাগলা বিবি’র নামানুসারে মসজিদটির নামকরণ করা হয়।

শহীদী মসজিদঃ-
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে অবস্থিত আধুনিক স্থাপত্যের এক ঐতিহাসিক নিদর্শন “শহীদী মসজিদ”। মসজিদটির নাম ‘শহীদী মসজিদ” এ নামকরণ নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে কৌতূহলের অন্ত নেই। মূল শহরের প্রাণকেন্দ্রে মসজিদটির অবস্থান। শহীদী মসজিদের ইতিহাস খুব পুরনো না হলেও এটি অত্যন্ত আকর্ষণীয়। মসজিদটিকে আধুনিকরূপে নির্মাণের ক্ষেত্রে যিনি অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি হলেন হযরত মাওলানা আতাহার আলী (রহঃ)। মাওলানা আতাহার আলী পুরান থানার এ মসজিদে আসেন ১৯৩৮ সালে। মসজিদের নির্মাণ সমাপ্তির পর তিনি ১৩৬৪ বাংলা সনের ৮ই কার্তিক মসজিদের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে এক অভূতপূর্ব বিশাল সুউচ্চ পাঁচতলা মিনারের ভিত্তি স্থাপন করেন। এরপরই মসজিদটি ঐতিহাসিক মসজিদে রূপান্তরিত হয় এবং নামকরণ করা হয় “শহীদী মসজিদ” নামে।

চন্দ্রাবতী মন্দিরঃ-
চন্দ্রাবতীর শিবমন্দির ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত প্রথম বাঙালি মহিলা কবি স্মৃতিবিজরিত শিবমন্দির। এটি কিশোরগঞ্জ শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে মাইজখাপন ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামে ফুলেশ্বরী নদীর তীরে অবস্থিত।

দিল্লীর আখড়াঃ-
দিল্লীর আখড়া মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে নির্মিত। এটি মিঠামইন উপজেলায় অবস্থিত।

আওরঙ্গজেব মসজিদঃ-
এক গম্বুজবিশিষ্ট প্রায় ৩৫০ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক আওরঙ্গজেব মসজিদটি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার নারান্দী ইউনিয়নের শালংকায় অবস্থিত। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে এটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে এর নাম তৎকালীন সম্রাটের নামানুসারেই রাখা হয়েছে।

মানব বাবুর বাড়িঃ
মানব বাবুর বাড়ি হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের গাঙ্গাটিয়া গ্রামে অবস্থিত। ১৯০৪ সালে জমিদারির পত্তন হলে ব্রিটিশ জেপি ওয়াইজের কাছ থেকে জমিদারি কিনে নেন গাঙ্গাটিয়ার ভূপতিনাথ চক্রবর্তী। সেখানেই তিনি এই বাড়িটি নির্মাণ করেন।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুঃ-
সড়কপথে ভৈরব ও আশুগঞ্জের মধ্যে অবাধ যোগাযোগের জন্য মেঘনা নদীর উপর নির্মিত নান্দনিক এক সেতুর নাম সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু। ১৯৯৯ সালে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০০২ সালে শেষ হয়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থিত ১.২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯.৬০ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট এই সেতুটিতে ৭টি ১১০ মিটার স্প্যান এবং ২টি ৭৯.৫ মিটার স্প্যান রয়েছে। সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর পূর্ব নাম ছিল বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু, যা ২০১০ সালে পরিবর্তন করা হয়। যদিও স্থানীয়দের কাছে সেতুটি ভৈরব ব্রিজ নামে অধিক পরিচিত।

ভৈরব ব্রীজঃ-
সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু বা ভৈরব ব্রীজের ঠিক পাশেই রয়েছে ১৯৩৭ সালে নির্মিত রাজা ৬ষ্ঠ জর্জ রেল সেতু, যার অন্য নাম হাবিলদার আব্দুল হালিম রেলসেতু। বর্তমানে জর্জ রেল সেতুর পাশে আরো একটি নতুন রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে মেঘনা নদীর তীরে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীদের আগমণ ঘটে। নদী তীরকে তাই নানান প্রাকৃতিক উপকরণে সাজানো হয়েছে। ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশে মুক্ত হাওয়ায় সময় কাটানোর জন্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু বিপুল জনপ্রিয় এক স্থানে পরিণত হয়েছে।

তালজাঙ্গা জমিদার বাড়িঃ-
তালজাঙ্গা জমিদার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। তালজাঙ্গা জমিদার বাড়িটি প্রায় একশ বছর আগে জমিদার বাড়ি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। জমিদার বাড়িটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জমিদার রাজ চন্দ্র রায়। যিনি ছিলেন শিক্ষিত জমিদার, তখনকার সময়ের এম. এ. বি. এল. ডিগ্রিপ্রাপ্ত উকিল ছিলেন। তিনি ১৯১৪ সালে জমিদারি প্রতিষ্ঠা করার পর প্রায় ৩৩ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত জমিদারি করেন। তার জমিদারি শেষ হয় তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। তারপর এই জমিদার বাড়ির জমিদার হন তার ছেলে মহিম চন্দ্র রায়। মহিম চন্দ্র রায়ও বাবার মত ছিলেন শিক্ষিত এবং এম.এ.বি.এল ডিগ্রিপ্রাপ্ত একজন উকিল। তিনি কলকাতা থেকে ডিগ্রী নেওয়ার পর ময়মনসিংহ জজ কোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন এবং সেখানকার সভাপতিও ছিলেন।

নিকলীর বেড়িবাঁধঃ-
নিকলী হাওর কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলায় অবস্থিত। কিশোরগঞ্জ সদর থেকে নিকলি উপজেলার দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। পানিতে দ্বীপের মত ভেসে থাকা ছোট ছোট গ্রাম, স্বচ্ছ জলের খেলা, মাছ ধরতে জেলেদের ব্যস্ততা, রাতারগুলের মত ছোট জলাবন ও খাওয়ার জন্যে হাওরের তরতাজা নানা মাছ। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার এটিকে টুরিস্টস্পট হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

নদ-নদীঃ-
কিশোরগঞ্জ শহরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদী
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র
মেঘনা
কালনী
ধনু
নরসুন্দা
ঘোড়াউত্রা
যোগাযোগ ব্যবস্থা
রাজধানী ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জের সড়ক পথে দূরত্ব ৯৫ কিলোমিটার ও রেলপথে কিশোরগঞ্জের দূরত্ব ১৩৫ কিলোমিটার। সড়ক অথবা রেলপথের মাধ্যমে ভ্রমণ করা যায়। স্থানীয় প্রশাসন আরএইচডি, এলজিইডি ও পৌরসভা সকল রাস্তা তদারকি করে থাকে।

উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানঃ-
পাকুন্দিয়া আদর্শ মহিলা কলেজের একাংশ
কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়
সরযূ বালা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া, কিশোরগঞ্জ
আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার প্রাঙ্গণ
মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট, কিশোরগঞ্জ
কটিয়াদী সরকারি কলেজ
কিশোরগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ
কিশোরগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়
কুলিয়ারচর সরকারি কলেজ
গুরুদয়াল সরকারি কলেজ
জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ
বাজিতপুর সরকারি কলেজ
তাড়াইল মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কলেজ
পাকুন্দিয়া আদর্শ মহিলা কলেজ
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজ
হয়বতনগর এ ইউ কামিল মাদরাসা
সরকারি হাজী আসমত কলেজ, ভৈরব
সরযূ বালা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ মেডিকেল কলেজ
আফতাব উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ

গণমাধ্যমঃ-
দৈনিক
দৈনিক আজকের দেশ
দৈনিক আমার বাংলাদেশ
গৃহকোণ
ভাটির দর্পণ
প্রাত্যহিক চিত্র
কিশোরগঞ্জ নিউজ
পাকুন্দিয়া প্রতিদিন
সাপ্তাহিক
আর্যগৌরব (১৯০৪)
কিশোরগঞ্জ বার্তাবাহ (১৯২৪)
আখতার (উর্দু, ১৯২৬)
কিশোরগঞ্জ বার্তা (১৯৪৬)
প্রতিভা (১৯৫২)
নতুন পত্র (১৯৬২)
পাক্ষিক
নরসুন্দা (১৯৮১)
গ্রামবাংলা (১৯৮৫)
সৃষ্টি (১৯৮৬)
সকাল (১৯৮৮)
সূচনা (১৯৯০)
কিশোরগঞ্জ পরিক্রমা (১৯৯১)
মনিহার (১৯৯১)
কিশোরগঞ্জ প্রবাহ (১৯৯৩)
বিবরণী (কুলিয়ারচর, ১৯৯৩)
মাসিক
জীবনপত্র (২০১৮)

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বঃ-
ঈসা খান - বার ভূঁইয়ার অন্যতম।
মুসা খান - বার ভূঁইয়ার অন্যতম।
সত্যজিৎ রায় - অস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র পরিচালক।
সুকুমার রায় - কবি, গল্প লেখক ও নাট্যকার।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম - বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।
আতিকুর রহমান মিশু - ফুটবলার।
আনন্দকিশোর মজুমদার
আব্দুর রউফ
আবু বকর ছিদ্দিক: সাবেক সংসদ সদস্য।
এম এ মতিন - বীর প্রতীক।
মাজহারুল ইসলাম হিমেল - ফুটবলার।
মুহিউদ্দীন খান - সাহিত্যিক, অনুবাদক ও ইসলামী পন্ডিত।
জাকিয়া নূর লিপি - রাজনিতিবিদ।
বিজয়া রায়
মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া - বীর প্রতীক।
মোনায়েম খান রাজু - ফুটবলার
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম - সাবেক সাংসদ ও মন্ত্রী
সন্দীপ রায়
সুখলতা রাও
মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান - সাবেক অর্থমন্ত্রী।
পুণ্যলতা চক্রবর্তী
নলিনী দাশ
সারদারঞ্জন রায় - ক্রিকেটার।
কফিল আহমেদ
সিরাজুল ইসলাম
কৃষ্ণ ধর
আছিয়া আলম - নারী নেত্রী।
ইফ্‌ফাত আরা
খায়রুল জাহান - বীর প্রতীক।
হাবিবুল ইসলাম ভূঁইয়া - সাবেক আইনমন্ত্রী।
হারুন-উর রশিদ
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
দেবব্রত বড়ুয়া পাল‌-ক্রিকেট খেলোয়াড়।
লিলু মিয়া:বীর বিক্রম
সৈয়দ শাফায়েতুল ইসলাম
ফারহিনা আহমেদ - সচিব।
মোহাম্মদ সাইদুর রহমান - প্রখ্যাত সাংবাদিক।
মোহাম্মদ সেলিম
মাসুম খান
বিপুল ভট্টাচার্য - কন্ঠশিল্পী।
আতহার আলী - ইসলামি পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ।
আবদুল হামিদ - বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি।
এবিএম জাহিদুল হক - সাবেক সাংসদ ও মন্ত্রী
দ্বিজ বংশী দাস - মনসামঙ্গলের কবি।
চন্দ্রাবতী - প্রথম বাঙালি মহিলা কবি।
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী - লেখক, চিত্রশিল্পী।
কেদারনাথ মজুমদার - বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ।
ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী - ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী।
মোহিনীশঙ্কর রায়
ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ - ইসলামিক পন্ডিত।
মোহনকিশোর নমোদাস - ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী।
মনির উদ্দীন ইউসুফ - বিখ্যাত ফার্সীগ্রন্থ শাহনামা অনুবাদক।
এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী- চিকিৎসক এবং বুদ্ধিজীবী।
চুনী গোস্বামী - সাবেক ফুটবল খেলোয়াড়।
নীরদচন্দ্র চৌধুরী - লেখক।
আবদুল মুবীন - সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল।
সঞ্জীবচন্দ্র রায়
ফরহাদ আহম্মেদ কাঞ্চন - রাজনীতিবিদ।
ইনাসুল ফতেহ - জাদুশিল্পী।
এ কে এম খালেকুজ্জামান
মুহিব খান - সাহিত্যিক ও ইসলামী পন্ডিত
এ কে এম শামসুল হক - সাবেক সাংসদ, একুশে পদকপ্রাপ্ত।
আইনুন নিশাত - শিক্ষাবিদ।
আবু আহমদ ফজলুল করিম - সাবেক রাজনীতিবিদ ও চিকিৎসক।
ইমদাদুল হক
দিলারা বেগম
মানু মজুমদার - রাজনীতিবিদ।
খন্দকার মফিজুর রহমান
নীহাররঞ্জন রায় - ইতিহাসবেত্তা।
দেবব্রত বিশ্বাস - রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী।
জয়নুল আবেদীন - বাঙালি চিত্রশিল্পী।
সত্যজিত রায় - চলচ্চিত্র নির্মাতা।
আবুল ফতেহ - কূটনৈতিক ও রাজনীতিবিদ।
জহুরুল ইসলাম - শিল্প উদ্যোক্তা।
জিল্লুর রহমান - বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি।
আইভি রহমান - সংরক্ষিত আসনের সাংসদ।
আবুল কাসেম ফজলুল হক - সাহিত্যিক।
আনন্দমোহন বসু - বাঙালি রাজনীতিবিদ।
ওসমান গণি - বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী।
মিজানুল হক - সাবেক সাংসদ।
হাবিবুর রহমান দয়াল
হারুন-অর-রশিদ
এম এ কুদ্দুস
আনিসুজ্জামান খোকন - সাবেক সাংসদ।
বজলুল করিম ফালু - সাবেক সাংসদ।
ওসমান ফারুক - সাবেক শিক্ষামন্ত্রী।
মুজিবুল হক চুন্নু - সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী।
শামীম আরা নিপা
রিজিয়া পারভীন - কন্ঠশিল্পী।
মোঃ মোজাম্মেল হোসেন - প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি।
রেবতী মোহন বর্মণ - সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবী।
আবু তাহের মোহাম্মদ হায়দার - বীর উত্তম।
নূর মোহাম্মদ - সাংসদ ও সাবেক আইজিপি।
ইলিয়াস কাঞ্চন - চলচ্চিত্র অভিনেতা।
গোলাম মুসাব্বির রাকিব - সংগীতশিল্পী।
শাহ আব্দুল হান্নান - লেখক ও ইসলামী পন্ডিত।
মোশাররফ হোসেন রুবেল - সাবেক ক্রিকেটার।
শেখ রহমান - বাংলাদেশী মার্কিনী রাজনীতিবিদ।
কৃষ্ণা দেবনাথ - বিচারক।
এম এ মান্নান - সাবেক সাংসদ।
মোহাম্মদ নুরুজ্জামান
আব্দুল লতিফ ভূঁইয়া
বিপ্লব কুমার সরকার - বাংলাদেশী পুলিশ কর্মকর্তা।
আলমগীর হোসেন
মনজুর আহমদ বাচ্চু -
সিতারা বেগম - বীরপ্রতীক।
হামিদুজ্জামান খান
কবির উদ্দিন আহমেদ - রাজনীতি।
মজিবুর রহমান
মাসুদ হিলালী - রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য।
মঞ্জুর আহমেদ বাচ্চু মিয়া - রাজনীতিবিদ।
হেমেন্দ্রনাথ মজুমদার
লীলা মজুমদার - বিখ্যাত বাঙালি লেখিকা।
নীরদচন্দ্র চৌধুরী - লেখক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম
আতাউর রহমান খান - সাবেক সাংসদ।
আতাউস সামাদ - একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক।
মির্জা আব্বাস - রাজনীতিবিদ ও সাবেক মন্ত্রী।
শফিকুল ইসলাম
শাহনাজ
খান বাহাদুর আবদুল করিম - সাবেক শিক্ষামন্ত্রী।
আবিদ আজাদ - কবি ও লেখক।
আবিদ আনোয়ার - সাহিত্যিক।
রাহাত খান - লেখক ও সাংবাদিক।
আলাউদ্দিন আহম্মদ - সাবেক সাংসদ।
মুহাম্মদ গোলাম তাওয়াব - সাবেক বিমান বাহিনীর প্রধান।
আসাদুজ্জামান খান - সাবেক মন্ত্রী।
আবদুল মোনেম খান - পৃ্র্ব পাকিস্তানের গভর্নর।
আখতারুজ্জামান মেজর অব - সাবেক সাংসদ।
জীবন রহমান
নাজমুল হাসান পাপন - রাজনীতিবিদ, বিসিবি প্রধান।
মোহাম্মদ নূরুজ্জামান
আবু আহমদ ফজলুল করিম
আবদুর রউফ খান
সৈয়দ-উজ-জামান - সাবেক মন্ত্রী।
এইচ বি এম ইকবাল - সাবেক সাংসদ।
লুৎফা তাহের - সংরক্ষিত আসনের সাংসদ।
লুৎফর রহমান বিশ্বাস
জাকিয়া পারভীন খানম - সংরক্ষিত আসনের সাংসদ।
রাশিদা হামিদ
শাফায়াত জামিল - সাবেক সেনা কর্মকর্তা, বীরবিক্রম।
শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী - একুশে পদকপ্রাপ্ত।
ফজলুর রহমান - সাবেক সংসদ সদস্য।
আফজাল হোসেন - সংসদ সদস্য।
বদরুল আরেফীন - সিনিয়র সচিব।
আমির উদ্দিন আহমেদ - রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য।
মো. আব্দুল কাদির
শেখ খায়রুল কবির কেন্দ্রীয় নেতা, গণঅধিকার পরিষদ।
মির্জা মবিন লেখক ও সাবেক ছাত্রনেতা
সায়মন সাদিক অভিনেতা

তথ্যের ভুল থাকলে অবশ্যই ধরিয়ে দিবেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা kishoreganj District পাগলা মসজিদের দানবক্সে এবার রেকর্ড ৩২ বস্তা টাকা,প্রতি চার মাস পর জেলা শহরের নরসুন্দ...
31/08/2025

কিশোরগঞ্জ জেলা kishoreganj District
পাগলা মসজিদের দানবক্সে এবার রেকর্ড ৩২ বস্তা টাকা,
প্রতি চার মাস পর জেলা শহরের নরসুন্দা নদীতীরের এই মসজিদের দানের সিন্দুকগুলো খোলা হয়। মনোবাসনা পূরণের আশায় এখানে টাকাসহ নানা সম্পদ দান করেন মানুষ।
এর আগে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল দানবাক্সগুলো খোলা হয়। কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবক্সে এবার রেকর্ড ৩২ বস্তা টাকা দান হিসেবে পাওয়া গেছে। এছাড়া পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার। শনিবার সকাল ৭টায় মসজিদটির ১০টি দানবক্স এবং ৩টি ট্রাঙ্ক খোলার মধ্য দিয়ে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়।
পাগলা মসজিদ মাদরাসা ও আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার মোট ৩৪০ জন ছাত্র এবং রূপালী ব্যাংকের ১০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে মোট ৪৪০ জন টাকা গণনার কাজ করছেন। পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ছাড়াও মসজিদ-মাদরাসার ৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের সহায়তা করছেন। এবার চার মাস ১৮ দিন পর মসজিদের দানবক্স খোলা হয়। এর আগে সর্বশেষ গত ১২ এপ্রিল এই মসজিদের দানবক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিল। পরে টাকা গণনা করে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া পাওয়া যায় বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা, রূপা ও হীরার গয়না।
এবার টাকার পরিমাণ আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা এবার মসজিদের ১০টি দানবক্স অন্তত এক মাস আগেই দানের টাকায় পূর্ণ হয়ে গিয়েছিলো। পরে দান অব্যাহত রাখার সুবিধার্থে ৩টি ট্রাঙ্ক যুক্ত করা হয়। এছাড়া বস্তার হিসাবেও এবার সর্বোচ্চ ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।
এদিন সকাল ৭টায় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর নেতৃত্বে দানবক্স খোলা হয়। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জেসমিন আক্তার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল আহমেদ, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল হাসান মারুফ, রূপালী ব্যাংকের এজিএম মোহাম্মদ আলী হারেছী এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণসহ মসজিদ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা শহরের নরসুন্দা নদী তীরের ঐতিহাসিক এই মসজিদটিতে নয়টি লোহার দানবক্স আছে। প্রতি তিন থেকে চার মাস পর পর এই বক্সগুলো খোলা হয়। প্রথমে টাকাগুলো লোহার সিন্দুক থেকে বস্তায় ভরা হয়। পরে মসজিদের দোতলায় নিয়ে মেঝেতে ঢালা হয়। এরপর শুরু হয় টাকা গণনার কাজ।
জানা যায়, প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে এই মসজিদে দান করছেন। যারা দান করতে আসেন তারা বলে থাকেন, এখানে দান করার পরে নাকি তাদের মনের আশা পূরণ হয়েছে। আর এ কারণেই দিন দিন দানের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বলেন, ‘বিগত দিনের থেকে আজকে আরো বেশি সংখ্যক টাকা পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। দানবক্স থেকে পাওয়া সব টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। ব্যাংকে জমা রাখা টাকার লভ্যাংশ থেকে অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্তদের সহায়তা করা হয়ে থাকে। আজকে পর্যন্ত পাগলা মসজিদের ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৯১ কোটি টাকা জমা রয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, সকাল থেকে টাকার বক্স খোলা, বস্তায় ভরে এনে গণনা শেষে ব্যাংক পর্যন্ত সমস্ত টাকা নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তার কাজে তিনিসহ তার পুলিশ সদস্যরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া গণনার দিন ছাড়াও বাকি দিনগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন সিন্দুক নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন।
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর এই মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। সময়ের বিবর্তনে আজ এ মসজিদের পরিধি যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্যও। বর্তমানে ৫.৫ একর ভূমির উপর সম্প্রসারিত পাগলা মসজিদ এলাকায় মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কথিত আছে, এ মসজিদে দান করলে মনের আশা পূরণ হয়। এ জন্য দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ সেখানে দান করতে আসেন। টাকাপয়সা ছাড়াও স্বর্ণালংকারও দান করেন কেউ কেউ। এ ছাড়া গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস মসজিদটিতে দান করার নজির আছে।

কিশোরগঞ্জ জেলা kishoreganj District কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নিরাপদ খাদ্য আইনে অভিযান, ০৫ লক্ষ টাকা জরিমানা৩০/০৮/...
30/08/2025

কিশোরগঞ্জ জেলা kishoreganj District
কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নিরাপদ খাদ্য আইনে অভিযান, ০৫ লক্ষ টাকা জরিমানা

৩০/০৮/২০২৫ খ্রি. তারিখে জনাব আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট, বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত, কিশোরগঞ্জ এর নেতৃত্বে নিরাপদ খাদ্য আইনে সংক্ষিপ্ত বিচারিক প্রক্রিয়ার (সামারি ট্রায়াল) মাধ্যমে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত পরিচালনা করা হয়। বিজ্ঞ আদলত কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল বাজারে অবস্থিত তাসিন ফুডকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত ও মানব সাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রঙ ব্যবহারের অভিযোগে ২ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। অননুমোদিত রঙ জব্দ ও জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়।

কটিয়াদী উপজেলার গচিহাটা বাজারে অবস্থিত চাঁদ ফুড প্রোডাক্টস কে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, অননুমোদিত রঙের ব্যবহার ও নিরাপদ খাদ্য আইনের অন্যান্য ধারা লংঘনের দায়ে ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। অননুমোদিত রঙ জব্দ ও ধ্বংস করা হয়।
পাকুন্দিয়া উপজেলার মাইজহাটি বাজারে অবস্থিত সোনার মদিনা ফুড প্রোডাক্টস কে অনিবন্ধিত অবস্থায় খাদ্য উৎপাদনের দায়ে ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন।

কুলিয়ারচর উপজেলার দ্বাড়িয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত হোযাইফা বেকারীকে পচা ডিম, অননুমোদিত রঙ ব্যবহার ও অন্যান্য অপরাধে ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন।

উক্ত আদালতকে সার্বিক সহযোগিতা করেন জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জনাব শংকর চন্দ্র পাল, পুলিশ, কিশোরগঞ্জ র‍্যাব ও আনসার ব্যাটালিয়নের একটি করে চৌকস দল।

তথ্য সূত্র ও ছবিঃ- বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা কার্যালয় কিশোরগঞ্জ

30/08/2025
কিশোরগঞ্জ জেলা kishoreganj District কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নিরাপদ খাদ্য আইনে অভিযান, ০৫ লক্ষ টাকা জরিমানা২৩/০৮/...
24/08/2025

কিশোরগঞ্জ জেলা kishoreganj District
কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নিরাপদ খাদ্য আইনে অভিযান, ০৫ লক্ষ টাকা জরিমানা

২৩/০৮/২০২৫ খ্রি. তারিখে জনাব আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট, বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত, কিশোরগঞ্জ এর নেতৃত্বে নিরাপদ খাদ্য আইনে সংক্ষিপ্ত বিচারিক প্রক্রিয়ার (সামারি ট্রায়াল) মাধ্যমে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত পরিচালনা করা হয়। উক্ত আদলত কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত পশ্চিমপাড়া এলাকায় অবস্থিত সাদিয়া ফুড প্রোডাক্টসকে অনিবন্ধিত অবস্থায় ভেজাল শিশু খাদ্য উৎপাদন ও বিক্রয় করার অপরাধে ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। এসময় ভেজাল শিশু খাদ্য জব্দ ও ধ্বংস করা হয়।
কটিয়াদী উপজেলার কটিয়াদী সরকারি কলেজের সামনে অবস্থিত মাহি ফুড প্রোডাক্টসকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন এবং অননুমোদিত রঙ ব্যবহার ও অন্যান্য অপরাধে ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড, একই উপজেলার কটিয়াদী বাজারে অবস্থিত সুমন বেকারীকে নিবন্ধন ব্যতীত ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদনের দায়ে ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন।
ভৈরব উপজেলার ফাড়ি রঘুনাথপুর, আলুকান্দা এলাকার মো: লিটন মিয়াকে অনিবন্ধিত অবস্থায় ভেজাল শিশু খাদ্য উৎপাদনের দায়ে ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান এবং ভেজাল শিশু খাদ্য জব্দ ও জনস্মমুখে ধ্বংস করা হয়। একই উপজেলার দুর্জয় মোড়ে অবস্থিত আল আজিজিয়া হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে ফ্রিজে কাচা ও রান্না করা খাবার একত্রে সংরক্ষণ ও নিরপাদ খাদ্য আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন।

উক্ত আদালতকে সার্বিক সহযোগিতা করেন জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জনাব শংকর চন্দ্র পাল, পুলিশ, কিশোরগঞ্জ র‍্যাব ও আনসার ব্যাটালিয়নের একটি করে চৌকস দল।

তথ্য সূত্র ও ছবি: বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা কার্যালয় কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জ জেলা kishoreganj District উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, হোসেনপুর, কিশোরগঞ্জ।নিম্নবর্ণিত হারে এ্যাম্বুলেন্সের ভাড়...
23/08/2025

কিশোরগঞ্জ জেলা kishoreganj District
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, হোসেনপুর, কিশোরগঞ্জ।

নিম্নবর্ণিত হারে এ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া নির্ধারণ ও যোগাযোগ নাম্বার: 01719104491.
এছাড়া রোগীর সাথে ডাক্তার ও নার্স এড হলে অতিরিক্ত ভাড়া যোগ হবে।
(সাধারণ এম্বুলেন্স ব্যাবহারের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত প্রতি কিলোমিটার ১০ টাকা)।

তথ্য সূত্র ও ছবি: Islam

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Kishoreganj District কিশোরগঞ্জ জেলা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Kishoreganj District কিশোরগঞ্জ জেলা:

Share

Category