03/10/2025
▪️শাশুড়ি-বউমার ধৈর্যধারণের ক্ষমতা অর্জন
মানুষ জন্ম থেকে সব গুণে গুনান্বিত হয় না। পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী তাকে নানান গুণ অর্জন করতে হয়। ছেল বিয়ে করানো অবধি শাশুড়ি ঘরের এমন সব মানুষের সাথে চলাফেরা করে, যারা তার মানসিকতা জানে। তার সাথে ওঠাবসা করে। তার ছেলে-মেয়েরা তাকে বুঝে। সে অনুযায়ী তারা কাজ করে। পুত্রবধূর আচার ব্যবহার হয় ভিন্ন৷ পুত্রবধূ এসে সাথে সাথে শাশুড়ির মানসিকতা বুঝে চলাফেরা করা সম্ভব নয়।
তাই শাশুড়ির ধৈর্য গুণ অর্জন করা। যাতে পুত্রবধূর ভুলগুলো শাশুড়ি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে পারে। প্রথম থেকে অধৈর্য হয়ে, বিরক্তি নিয়ে, ত্যক্ত হয়ে ছেলের বউকে গ্রহণ করতে না হয়। যে শাশুড়ি পুত্রবধূর আচরণে ধৈর্য ধরার চেষ্টা করে, আল্লাহ তায়ালা তাকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা প্রদান করেন।
পুত্রবধূ বড় হয় এক পরিবেশে। বিয়ের পর আসে নতুন পরিবেশে। নতুন পরিবেশে শশুর-শাশুড়ির নিয়ম-কানুন ও সবার মনমানসিকতা বুঝতে ধৈর্যগুণ প্রয়োজন। শশুর-শাশুড়ি কেমন, তারা কী পছন্দ করেন, কখন কী করতে হবে ইত্যাদি। ভুল হলে শশুর-শাশুড়ি শুধরে দিলে বিরক্ত না হয়ে ধৈর্যসহকারে শোনা এবং মানা। ভবিষ্যতে সেভাবে চলার চেষ্টা করা। যতবার শশুর বাড়ির লোকজন শুধরে দেবে, ততবার ঠিক করে নেওয়া। ভুলের পুনরাবৃত্তি না করা। পুত্রবধূ যদি ধৈর্য ধরার চেষ্টা করে, তবে আল্লাহ তায়ালা তাকে ধৈর্যধারণের ক্ষমতা প্রদান করেন।
আবু সায়িদ সাদ ইবনে মালিক ইবনে সিনান খুদরি রা. বলেন, রাসূল সা. বলেন, যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করার চেষ্টা করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা প্রদান করবেন। আর কোনো ব্যক্তিকে এমন কোনো দান দেওয়া হয়নি, যা ধৈর্য অপেক্ষা উত্তম ও বিস্তর হতে পারে।
সহিহ বুখারি, হা. ১৪৬৯; সহিহ মুসলিম : হা. ১০৫৩; সুনানে তিরমিযি : হা. ২০২৪।
বইঃ শাশুড়ি-বউমার বন্ধন
লেখকঃ শাহাদাত হুসাইন
প্রকাশনিঃ মাকতাবাতুল আকসা
পৃষ্ঠাঃ ৩৩৬
মূদ্রিত মূল্যঃ ৬৬০
বইয়ের ধরণঃ হার্ডকভার
যোগাযোগঃ 01690-036188