29/03/2024
ডুয়েল কারেন্সি কার্ড এবং তা পাওয়ার নিয়ম
Dual Currency Card বর্তমানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদনে ব্যবহার হয়ে থাকে। বিশেষ করে যারা অনলাইন লেনদেন করেন, বা দেশের বাইরে ভ্রমণ করেন তারা এর গুরুত্ব খুব ভালোই বুঝেন। তবে এই কার্ড সবাই নিতে পারেন না। এর জন্য কিছু ডকুমেন্ট দরকার হয়।
ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কি?
ডুয়েল কারেন্সি কার্ড সাধারণ প্লাস্টিক কার্ডের মতোই, কিন্তু সাধারণ কার্ডের থেকে এটি কিছুটা ভিন্ন। সাধারণ কার্ড দিয়ে আমরা শুধু দেশের ভেতর লেনদেন করি। অন্যদিকে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড এমন এক ধরণের প্লাস্টিক কার্ড যা দিয়ে আপনি চাইলে একইসাথে দুইটি আলাদা আলাদা মুদ্রায় লেনদেন করতে পারবেন।
বিশেষ করে এই কার্ড ব্যবহার করে আপনি বাংলাদেশি মুদ্রার সাথে সাথে মার্কিন ডলারও লেনদেন করতে পারবেন। এসকল কার্ড প্রভাইডার প্রতিষ্ঠানের বিশ্বব্যাপি বিস্ত্রিত নেটওয়ার্ক থাকায় তারা এই সুবিধা দিতে পারে। এই কার্ড সাধারণত ক্রেডিট কার্ড হতে পারে, ডেভিড কার্ড হতে পারে, অথবা প্রিপেইড কার্ডও হতে পারে।
ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের সুবিধা গুলো কি কি?
ইন্টারন্যাশনাল লেনদেনের সুবিধার্থে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড দরকার হয়ে থাকে। এই ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কি কাজে লাগে এখানে নিচে আরো নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হলো:
১। বিদেশ থেকে কোনো পন্য কেনার জন্য আপনার এই ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কাজে লাগবে।
২। দেশের বাইরে ঘুরতে গেলে সেখানে খরচ করার জন্য এটি কাজে লাগবে।
৩। ডিজিটাল মার্কেটিং বা সোসাল মিডিয়ায় কোনো কিছু বুস্ট করার জন্য আপনার এই কার্ড কাজে লাগবে।
৪। ফ্রিলান্সারদের বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্টে এই কার্ড দরকার হয়।
৫। বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল সাইট থেকেও কেনা কাটা করার জন্য এই কার্ড কাজে লাগে।
এছাড়াও আরো অনেক কাজ এই ডুয়েল কারেন্সি কার্ড দিয়ে করা যায়।
ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কিভাবে পাবো?
ডুয়েল কারেন্সি কার্ড পেতে আপনার যে ব্যাংকে একটি ব্যাংক একাউন্ট আছে সেই ব্যাংকে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন। তারা যদি এই কার্ড দিয়ে থাকে তবে তা নিতে পারেন, বা অন্য কোন ব্যাংকে তা দেখতে পারেন। বাংলাদেশে এখন অনেক ব্যাংকই এই ডুয়েল কারেন্সি কার্ড ইসু করে থাকে ।
ডুয়েল কারেন্সি কার্ড করতে কি কি লাগে?
ডুয়েল কারেন্সি কার্ড পেতে হলে আপনার কিছু জিনিস থাকা প্রয়োজন হবে। এর জন্য আপনার কি কি থাকতে হবে তা নিচে উল্লেখ করা হলো।
১। জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি।
২। আপনার পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি।
৩। বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহারের অনুমোদন পেতে আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট।
৪। KYC ফর্ম পূরণ করতে হবে।
আবার ব্যাংকের ভিন্নতার সাথে আপনার অন্য আরো কিছু ডকুমেন্টস সাবমিট করতে হতে পারে। এগুলো সহ ব্যাংকে আবেদন করলে ব্যাংক একটি ফর্ম পূরণ করাবে আপনাকে।
ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের পেমেন্ট লিমিট
১. একটি কার্ডে বছরে বারো হাজার ডলার এন্ডোরসম্যান্ট করা যাবে।
২. অনলাইনে দেশের বাইরে থেকে কোনো সেবা কেনার জন্য এককালীন ৩০০ ডলারের বেশি খরচ করা যাবে না।
৩. তবে বেসিস এর অন্তরভূক্ত আইটি বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কার্ড দিয়ে ৩০০ ডলারের বেশি পে করতে পারবে।
৪. এছাড়া, ভিসা প্রসেসিং ফি, হোটেল বুকিং, মোবাইল ফোনের রোয়ামিং বিল ৩০০ ডলারের বেশি পে করতে পারবে।
বাংলাদেশের কোন কোন ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি কার্ড দেয়?
বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক ব্যাংকই ডুয়েল কারেন্সি কার্ড ইসু করে। বেশির ভাগ ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি ক্রেডিট কার্ড ইসু করলেও খুব কম ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি ডেভিড কার্ড ইসু করে।
যেসকল ব্যাংকে ডুয়েল কারেন্সি ডেভিড কার্ড পাবেন, তাদের নাম হলো:
ইসলামী ব্যাংক
ব্যাংক এশিয়া
স্টান্ডার্ড চার্টার্ড
ইস্টার্ণ ব্যাংক
যেসকল ব্যাংকে ডুয়েল কারেন্সি ক্রেডিট কার্ড পাবেন, তাদের নাম হলো:
সিটি ব্যাংক
ব্যাংক এশিয়া
ডাচ বাংলা ব্যাংক
আপনার কি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড আছে ? আপনি কোন ব্যাংকের কার্ড ইউজ করতেছেন ? মতামত জানান ।
ধন্যবাদ সবাইকে