দৈনিক সকালের খবর

দৈনিক সকালের খবর Doinik Shokaler Khobor || দৈনিক সকালের খবর ||
Top online daily newspaper of Bangladesh

🔥 ডোর টু হেল (Door to Hell): জাহান্নামের দরজা—তুর্কমেনিস্তানের জ্বলন্ত রহস্যভূমিকা:পৃথিবীর বুকে এমন এক স্থান আছে যেখানে ...
18/07/2025

🔥 ডোর টু হেল (Door to Hell): জাহান্নামের দরজা—তুর্কমেনিস্তানের জ্বলন্ত রহস্য

ভূমিকা:
পৃথিবীর বুকে এমন এক স্থান আছে যেখানে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর আগুন জ্বলছে—অথচ কোনো মানুষ একে নেভাতে পারছে না। মধ্য এশিয়ার ছোট্ট দেশ তুর্কমেনিস্তান-এ অবস্থিত এই বিস্ময়কর স্থানের নাম "ডোর টু হেল" বা বাংলায় "জাহান্নামের দরজা"।

📍 কোথায় অবস্থিত?
ডোর টু হেল অবস্থিত দারভাজা (Darvaza) নামক এলাকার গারাগুম (Karakum) মরুভূমিতে, তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশগাবাত থেকে প্রায় ২৬০ কিলোমিটার উত্তর দিকে।

🕳️ কীভাবে সৃষ্টি হলো এই গর্ত?
১৯৭১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের একদল ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞানী তুর্কমেনিস্তানের মরুভূমিতে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধানে খনন কাজ শুরু করেন। তারা একটি জায়গায় শক্তিশালী গ্যাস রিজার্ভ পেয়ে যান। কিন্তু সেই জায়গায় ড্রিল করার সময় ভূমি ধসে পড়ে এবং তৈরি হয় একটি বিপজ্জনক বিশাল গর্ত (ক্রেটার), যার ভেতর থেকে গ্যাস নির্গত হতে থাকে।

ভয় ছিল—এই গ্যাস যদি বাতাসে মিশে যায়, তাহলে তা আশপাশের জনপদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে, এমনকি বিষাক্তও। তখনকার বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্ত নেন, গ্যাসে আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে ফেলা হবে, যাতে নির্গত গ্যাস দ্রুত শেষ হয়ে যায়।

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো—এই আগুন আজও জ্বলছে, অর্ধ শতাব্দী ধরে!

🔥 কেন একে "Door to Hell" বলা হয়?
>> রাতের বেলায় এই গর্তের চারপাশ লাল, কমলা, হলুদ আগুনে জ্বলতে থাকে, দেখে মনে হয় যেন মাটির গভীরে কেউ জাহান্নামের দরজা খুলে দিয়েছে।
>> এটি দেখতে এতটাই ভয়ংকর এবং অস্বাভাবিক, যে স্থানীয় বাসিন্দারা একে প্রথম থেকেই "জাহান্নামের দরজা" নামে ডাকতে শুরু করে।
>> বিশ্বব্যাপী পর্যটকরাও এই স্থানকে “Door to Hell” নামেই চেনেন।

🧪 গর্তটির আয়তন ও বৈশিষ্ট্য:
🔸 ব্যাস (Diameter): প্রায় ৭০ মিটার
🔸 গভীরতা (Depth): প্রায় ৩০ মিটার
🔸 প্রতিনিয়ত মিথেন গ্যাস ও অন্যান্য হাইড্রোকার্বন নির্গত হয়
🔥 আগুন জ্বলছে টানা ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে

🌍 ভ্রমণ ও পর্যটন
আজ এটি তুর্কমেনিস্তানের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক মরুভূমি পেরিয়ে এই জ্বলন্ত গর্ত দেখতে আসেন। বিশেষ করে রাতের সময় এটি এক ভৌতিক, অথচ অভাবনীয় দৃশ্য হয়ে ওঠে।

তুর্কমেন সরকার ২০১০ সালে এটিকে পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে ঘোষণা করে।

🛑 বন্ধ করার উদ্যোগ?
২০২২ সালে তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্ট গুরবানগুলি বারদিমুহামেদোভ ঘোষণা দেন, এই গর্ত বন্ধ করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে, কারণ এটি:

* পরিবেশে মিথেন গ্যাস ছড়াচ্ছে
* দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট হচ্ছে
* আশেপাশের বাসিন্দারাও ঝুঁকিতে থাকছে
তবে এখনো পর্যন্ত এটি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।

📸 Door to Hell নিয়ে মজার তথ্য
>> কিছু ইউটিউবার ও অ্যাডভেঞ্চারার গর্তের মুখে ক্যাম্প করে রাত কাটিয়েছেন!
>> ন্যাশনাল জিওগ্রাফি সহ অনেক বিখ্যাত চ্যানেল এটি নিয়ে ডকুমেন্টারি তৈরি করেছে।
>> এটি একটি মানবসৃষ্ট দুর্ঘটনা, যা এখন এক প্রাকৃতিক বিস্ময়।

✅ উপসংহার
Door to Hell আমাদের দেখায়—মানুষ কখনও কখনও প্রকৃতির শক্তির সামনে কতটা অসহায়। একটি ভুল হিসাব কিভাবে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্ম পর্যন্ত স্থায়ী একটা অগ্নিগহ্বর তৈরি করতে পারে।
তবে এটি একইসঙ্গে আধুনিক বিজ্ঞানের, পরিবেশবিজ্ঞানের এবং অ্যাডভেঞ্চারের এক অসাধারণ উদাহরণ।

Image Credit: wikipedia

শিশুরা জীবনের সূচনা পর্যায়ে থাকে এবং এই সময়ে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য সঠিক পুষ্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্...
14/07/2025

শিশুরা জীবনের সূচনা পর্যায়ে থাকে এবং এই সময়ে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য সঠিক পুষ্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর খাদ্য শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে এবং তাদের সুস্থ, সবল ও সচল রাখে। চলুন জেনে নেই কীভাবে একটি সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যতালিকা শিশুর দৈনন্দিন জীবনে গঠন করা যায়।

🌞 সকালবেলার নাস্তা (Breakfast)
সময়: সকাল ৭টা - ৯টার মধ্যে

উপযুক্ত খাবার:
দুধ (১ গ্লাস) – ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের উৎস
ডিম (১টি) – প্রোটিন ও ভিটামিন ডি
ওটস বা চিড়ার পায়েস
ফল (আপেল/কলা/কমলা) – ভিটামিন সি ও ফাইবার
✅ নাস্তা কখনো বাদ দেওয়া যাবে না, কারণ এটি দিন শুরু করার শক্তি যোগায়।

🥗 দুপুরের খাবার (Lunch)
সময়: দুপুর ১টা - ২টার মধ্যে

উপযুক্ত খাবার:
ভাত/রুটি – শক্তির উৎস
মুসুর/মাছ/ডাল – প্রোটিন
সবজি (লাউ, পালং, মিষ্টি কুমড়া, গাজর ইত্যাদি) – ভিটামিন ও খনিজ
টক দই – হজমে সহায়ক এবং ক্যালসিয়ামের উৎস
✅ রঙিন সবজি এবং ছোট মাছ অন্তর্ভুক্ত করুন, যা চোখ ও হাড়ের জন্য ভালো।

🕓 বিকেলের নাস্তা (Evening Snack)
সময়: বিকেল ৫টা - ৬টার মধ্যে

উপযুক্ত খাবার:
স্যান্ডউইচ বা খিচুড়ি
কলা, আম অথবা আঙুর
এক গ্লাস ফলের রস (প্রাকৃতিক, চিনি ছাড়া)
হালকা বিস্কুট
✅ অতিরিক্ত চিনি ও প্যাকেটজাত জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলতে হবে।

🍲 রাতের খাবার (Dinner)
সময়: রাত ৮টা - ৯টার মধ্যে

উপযুক্ত খাবার:
হালকা ভাত বা রুটি
ডিম/মুরগির মাংস/ডাল
সবজি
এক গ্লাস দুধ
✅ অতিরিক্ত ঝাল ও তেলযুক্ত খাবার না দেওয়া ভালো।

🧠 শিশুদের জন্য অতিরিক্ত টিপস:
💧 পর্যাপ্ত পানি পান করাতে হবে।
🍭 সফট ড্রিংক, চিপস, চকোলেটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার।
⏰ প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার অভ্যাস করানো উচিত।
🍽️ পরিবারের সঙ্গে বসে খাওয়ার মাধ্যমে ভালো খাদ্যাভ্যাস গড়ে ওঠে।

🔚 উপসংহার
শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। তাই তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে পুষ্টিকর খাদ্য অপরিহার্য। অভিভাবকদের দায়িত্ব শিশুদের প্রতি বয়স অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করা এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস থেকে দূরে রাখা।

বাংলাদেশে সাপ, সাপে কাটা এবং চিকিৎসা নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা ও বাস্তবসম্মত সমাধান🔰 ভূমিকাবাংলাদেশের গ্রামাঞ্চল এবং কিছু শ...
29/06/2025

বাংলাদেশে সাপ, সাপে কাটা এবং চিকিৎসা নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা ও বাস্তবসম্মত সমাধান

🔰 ভূমিকা

বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চল এবং কিছু শহরসংলগ্ন অঞ্চলে সাপ একটি পরিচিত নাম। বর্ষা মৌসুমে এবং ফসল কাটার সময় সাপের কামড়ের ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর আনুমানিক ৮,০০০ থেকে ১২,০০০ মানুষ সাপে কাটা রোগে আক্রান্ত হন এবং প্রায় ২০০–৩৫০ জন মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু হতাশাজনকভাবে, এসব মৃত্যুর বড় একটি অংশ চিকিৎসার অভাবে নয়, বরং ভুল ধারণা, কুসংস্কার এবং অজ্ঞতা থেকেই ঘটে।

এই আর্টিকেলে আমরা সাপে কাটা সম্পর্কিত সব প্রচলিত ভুল ধারণা, বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং সঠিক করণীয় নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করব।

❌ বাংলাদেশে প্রচলিত ভুল ধারণা

১. ঝাড়ফুঁক দিয়ে সারে

সাপে কাটা রোগীর শরীরে বিষ ঢুকে গেলে অনেকেই ভেবে থাকেন, ওঝা বা কবিরাজের ঝাড়ফুঁকে বিষ কাটানো সম্ভব। কিন্তু বাস্তবতা হলো—ঝাড়ফুঁক চিকিৎসা নয়, এটি সময় নষ্ট এবং রোগীর মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

২. সাপের বিষ মুখ দিয়ে চুষে ফেলা যায়

এ ধারণাটি খুবই জনপ্রিয় কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল। মুখ দিয়ে বিষ চুষলে বিষাক্ত পদার্থটি চোষা ব্যক্তির মুখ বা গলায় কেটে যাওয়া অংশ দিয়ে প্রবেশ করতে পারে এবং তাকে ঝুঁকিতে ফেলে দেয়।

৩. সব সাপে বিষ থাকে

বাংলাদেশে প্রাপ্ত সাপের মধ্যে মাত্র ২৫–২৭ প্রজাতির সাপে বিষ রয়েছে। বাকিগুলো নির্বিষ বা সামান্য বিষধর। তাই সব সাপে কাটা মানেই মৃত্যু নয়।

৪. সাপে কাটলে প্রথমেই শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে

সব বিষধর সাপের কামড়ে তৎক্ষণাৎ শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে না। এটা নির্ভর করে সাপের ধরন, বিষের পরিমাণ, কামড়ের স্থান এবং রোগীর প্রতিক্রিয়ার ওপর।

৫. দাঁড়াশ সাপ বিষধর না

অনেকেই বিশ্বাস করেন যে ‘দাঁড়াশ’ সাপ নির্বিষ, অথচ রাসেল ভাইপার (Russell's viper)—যাকে অনেকে ভুল করে দাঁড়াশ ভাবে—তা অত্যন্ত বিষধর এবং প্রাণঘাতী।

৬. তাড়াতাড়ি নাড়াচড়া করলেই বিষ দ্রুত বেরিয়ে যাবে

আসলে বেশি নড়াচড়া করলে রক্তসঞ্চালন বাড়ে, ফলে বিষ শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বরং নড়াচড়া কমাতে হবে এবং রোগীকে স্থির রাখতে হবে।

✅ বৈজ্ঞানিক ও সঠিক সমাধান
🔬 ১. সাপে কাটা চিহ্ন ও প্রাথমিক লক্ষণ বোঝা
প্রধান বিষধর সাপ ও লক্ষণসমূহ:
সাপ উপসর্গ
গোখরা (Cobra) চোখের পাতা ভারী, কথা জড়িয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট
চালখেকো (Krait) ঘুমের মধ্যে কামড়, অচেতনতা, প্যারালাইসিস
রাসেল ভাইপার রক্তপাত, ফোলা, কিডনি সমস্যা

🆘 ২. প্রাথমিক চিকিৎসা (First Aid)

সাপে কাটা রোগীর ক্ষেত্রে সময়ই জীবন। নিম্নলিখিত কাজগুলো জরুরি:
>> রোগীকে চাপ মুক্ত রাখুন ও বসাতে বা শোয়াতে বলুন।
>> কাটা জায়গাটি নিচু করে রাখুন, যেন বিষ ধীরে ছড়ায়।
>> অঙ্গটি আলতো কাপড় দিয়ে বাঁধুন, রক্ত সঞ্চালন বন্ধ নয় এমনভাবে।
>> রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যান দ্রুত, ঝাড়ফুঁকের কাছে নয়।
>> জরুরি নম্বর বা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।

💉 ৩. হাসপাতালে চিকিৎসা

সরকারি হাসপাতাল বা বড় মেডিকেল সেন্টারে ‘পলিভ্যালেন্ট এন্টিভেনম (AVS)’ ইনজেকশন দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এটি একমাত্র বৈজ্ঞানিক এবং কার্যকরী চিকিৎসা।

⚠️ মনে রাখবেন, এন্টিভেনম শুধুমাত্র প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে দেওয়া উচিত।

🏥 ৪. বাংলাদেশে কোথায় চিকিৎসা পাওয়া যায়:

>> ঢাকা মেডিকেল কলেজ
>> চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
>> রাজশাহী মেডিকেল কলেজ
>> সাভার এনাম মেডিকেল
>> আইসিডিডিআর,বি (ICDDR,B)

🛡️ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

✅ ঝুঁকি কমাতে যা করবেন:

>> ধানক্ষেত, ঝোপঝাড়ে কাজ করার সময় বুট/মোজা পরুন।

>> রাতের বেলা হাঁটার সময় টর্চ ব্যবহার করুন।

>> বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখুন এবং ইঁদুর নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

>> সাপের বাসস্থান (গর্ত/খাঁচা) বন্ধ করুন।

>> বাচ্চাদের খেলার জায়গা পরিদর্শন করুন—ঝোপঝাড়ে যেন না যায়।

❗ বাচ্চাদের সচেতন করুন:

সাপকে খেলার বস্তু হিসেবে না দেখে ভয় পেতে নয়, সচেতন হতে শেখান। স্কুলে, কমিউনিটিতে সচেতনতা কর্মসূচি হতে পারে খুব কার্যকর।

💬 সচেতনতার গল্প (বাস্তবভিত্তিক উদাহরণ):

কিশোরগঞ্জের গ্রামের এক কৃষক রফিকুল ইসলাম রাতে মাঠে পানি দিতে গিয়ে চালখেকো সাপে কামড় খায়। পরিবারের লোকজন ওঝার কাছে নিয়ে সময় নষ্ট করে। পরে তার শ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই সে মারা যায়। যদি প্রথমেই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হতো, হয়তো সে আজ বেঁচে থাকত।

এই ধরনের ঘটনা প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও ঘটছে।

📣 প্রচারণা ও জনসচেতনতা জরুরি

সরকার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, এবং স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে সাপে কাটা সম্পর্কিত সচেতনতামূলক:

স্কুল-কলেজে কর্মশালা
টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন
সামাজিক মাধ্যমে প্রচার
হাসপাতালের তথ্যকেন্দ্র
গ্রামীণ চিকিৎসক প্রশিক্ষণ

📌 উপসংহার

সাপে কাটা একটি গুরুতর স্বাস্থ্যগত সমস্যা হলেও সঠিক জ্ঞান ও দ্রুত চিকিৎসা পেলে এর ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে এড়ানো যায়। বাংলাদেশে প্রচলিত কুসংস্কার, ভুল ধারণা ও ভুল চিকিৎসা পদ্ধতি মানুষের প্রাণহানির অন্যতম কারণ।

আমরা চাই—
👉 প্রতিটি মানুষ যেন জানে, সাপে কাটা মানেই মৃত্যু নয়
👉 চিকিৎসার জন্য ঝাড়ফুঁক নয়, হাসপাতালই যথেষ্ট
👉 সরকার, সমাজ ও পরিবার মিলেই গড়ে তুলুক সচেতন বাংলাদেশ।

📚 তথ্যসূত্র:
WHO Snakebite Envenoming Guidelines
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ
ICDDR,B – Snakebite Study Reports
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (BMA)

ছবি সুত্র: ইন্টারনেট

তুলসী পাতার উপকারিতা: প্রকৃতির আশীর্বাদতুলসী (Ocimum sanctum)—বাংলা ঘরের বারান্দা বা উঠানে চিরচেনা এক গাছ, যার ধর্মীয় ও ...
29/06/2025

তুলসী পাতার উপকারিতা: প্রকৃতির আশীর্বাদ

তুলসী (Ocimum sanctum)—বাংলা ঘরের বারান্দা বা উঠানে চিরচেনা এক গাছ, যার ধর্মীয় ও ভেষজ গুরুত্ব অনেক। হিন্দু ধর্মে তুলসী পবিত্র হিসেবে পূজিত হলেও, আয়ুর্বেদ ও আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই উদ্ভিদকে এক অনন্য ওষধিগুণসম্পন্ন গাছ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

নিচে তুলসী পাতার বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
তুলসীতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং ইমিউনো-মডুলেটরি উপাদান শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। এটি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের বিরুদ্ধে কাজ করে।

🟢 তথ্যসূত্র:
Mondal, S. et al. (2009). "Ocimum sanctum Linn. – A Review on Phytochemical and Pharmacological Aspects", Indian Journal of Natural Products and Resources.

২. ঠান্ডা, কাশি ও শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা কমায়
তুলসী পাতার রস বা চা গলা ব্যথা, কাশি, অ্যাজমা এবং ব্রঙ্কাইটিসে অত্যন্ত উপকারী। এটি কফনাশক হিসেবে কাজ করে এবং শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখে।

🟢 তথ্যসূত্র:
Singh, S. et al. (2010). Medicinal properties of Tulsi (Ocimum sanctum): A Review, International Journal of Ayurvedic Medicine.

৩. মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায়
তুলসীতে উপস্থিত অ্যাডাপ্টোজেন নামক উপাদান স্ট্রেস হরমোন (কর্টিসল) হ্রাস করে এবং মানসিক প্রশান্তি দেয়। এটি হতাশা ও উদ্বেগ কমাতেও সাহায্য করে।

🟢 তথ্যসূত্র:
Bhattacharyya, D. et al. (2008). "Anxiolytic activity of Ocimum sanctum leaf extract in rats", Indian Journal of Pharmacology.

৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
তুলসী রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। এটি ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে।

🟢 তথ্যসূত্র:
Rai, V. et al. (1997). "Antihyperglycemic effect of Ocimum sanctum leaf extract", Journal of Ethnopharmacology.

৫. হজম শক্তি বৃদ্ধি
তুলসী পাতায় উপস্থিত উপাদান গ্যাস্ট্রিক এসিড নিয়ন্ত্রণে রাখে, হজমে সহায়তা করে এবং গ্যাস, বুক জ্বালাপোড়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

৬. ত্বক ও চুলের যত্নে
তুলসীর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণের কারণে এটি ব্রণ, চুলকানি, স্ক্যাল্প ইনফেকশন এবং খুশকি প্রতিরোধে সাহায্য করে। তুলসীর রস সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করলেও উপকার মেলে।

৭. হৃদরোগ প্রতিরোধে
তুলসী কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

🟢 তথ্যসূত্র:
Geetha, R.K. et al. (2005). "Cardioprotective effect of Ocimum sanctum in isoproterenol induced myocardial infarction", Indian Journal of Experimental Biology.

৮. ক্যান্সার প্রতিরোধে সম্ভাব্য ভূমিকা
গবেষণায় দেখা গেছে, তুলসীতে থাকা ইউজেনল, অ্যাপিজেনিন, এবং রোসমারিনিক অ্যাসিড ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

🟢 তথ্যসূত্র:
Prakash, P. and Gupta, N. (2005). "Therapeutic uses of Ocimum sanctum Linn (tulsi) with a note on eugenol and its pharmacological actions: A short review", Indian Journal of Physiology and Pharmacology.

ব্যবহারের সহজ উপায়:
>> প্রতিদিন সকালে ৪–৫টি কাঁচা তুলসী পাতা চিবিয়ে খাওয়া যায়
>> তুলসী চা তৈরি করে পান করা যেতে পারে
>> ত্বকে প্রয়োগের জন্য পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করা যায়
>> তুলসী তেল বা এক্সট্র্যাক্ট ব্যবহার করা যায়

সতর্কতা:
যদিও তুলসী উপকারী, কিন্তু গর্ভবতী নারী, উচ্চ মাত্রায় রক্তপাতের সমস্যা আছে এমন ব্যক্তি, বা যারা ওষুধ নিচ্ছেন—তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করা উচিত।
উপসংহার:

তুলসী শুধু একটি ধর্মীয় গাছ নয়, বরং একটি অলৌকিক ভেষজ সম্পদ। প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস ও রুটিনে তুলসী অন্তর্ভুক্ত করলে আপনি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারবেন।

📚 তথ্যসূত্র:
* National Center for Biotechnology Information (NCBI)
* Singh, S. et al. (2010). Medicinal properties of Tulsi, Int. J. Ayurvedic Med.
* Mondal, S. et al. (2009). Ocimum sanctum: A Review, IJNPR
* Rai, V. et al. (1997). Hypoglycemic effects of Tulsi, J Ethnopharmacol
* Geetha, R.K. et al. (2005). Cardioprotective role of Ocimum sanctum, IJEB

29/06/2025

জামের বীজ ফেলে দেন? এর উপকারিতা জানলে অবাক হবেন!
জামের বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ
-------------------------------
জামের বীজের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী। নিচে জামের বীজের কিছু প্রধান উপকারিতা তুলে ধরা হলো:

✅ ১. রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
জামের বীজে থাকে জ্যামবোলিন (Jamboline) ও জ্যাম্বোসিন (Jambosine) নামক উপাদান, যা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকর।

✅ ২. হজম শক্তি বাড়ায়
জামের বীজ হজমে সহায়তা করে এবং পাকস্থলীর অ্যাসিডিটি বা গ্যাসজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এটি লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে।

✅ ৩. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ
জামের বীজে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা দেহ থেকে টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে। এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।

✅ ৪. চর্মরোগে উপকারী
জামের বীজ গুঁড়ো করে মধুর সাথে মিশিয়ে মুখে বা ত্বকে লাগালে ব্রণ ও অন্যান্য চর্মরোগে উপকার পাওয়া যায়।

✅ ৫. হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক
জামের বীজে থাকা ফাইটো-কেমিক্যাল ও ফাইবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

✅ ৬. ওজন কমাতে সহায়তা করে
জামের বীজ গুঁড়ো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং অতিরিক্ত খিদে কমায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

📝 ব্যবহারের উপায়:
>> জামের বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে প্রতিদিন ১ চা চামচ খালি পেটে খেতে পারেন।
>> পানি বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
>> চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করাই উত্তম, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য।

ছবি সুত্রঃ ইন্টারনেট

হন্ডুরাসের মাছ বৃষ্টি (Rain of Fish)====================হন্ডুরাসের মাছ বৃষ্টি (Rain of Fish) একটি রহস্যময় ও চমকপ্রদ প্র...
28/06/2025

হন্ডুরাসের মাছ বৃষ্টি (Rain of Fish)
====================
হন্ডুরাসের মাছ বৃষ্টি (Rain of Fish) একটি রহস্যময় ও চমকপ্রদ প্রাকৃতিক ঘটনা যা "Lluvia de Peces" নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত। এটি হন্ডুরাসের ইয়োরো (Yoro) নামক অঞ্চলে প্রতিবছর ঘটে বলে দাবি করা হয়। এই ঘটনায়, বৃষ্টি ঝরার পর রাস্তায়, মাঠে ও ঘাসে ছোট ছোট জ্যান্ত মাছ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

🐟 কী ঘটে "মাছ বৃষ্টি"তে?
প্রতি বছর মে থেকে জুলাই মাসের মধ্যে হন্ডুরাসের ইয়োরো অঞ্চলে প্রচণ্ড বজ্রবৃষ্টি ও ঝড়ের পরে স্থানীয়রা রাস্তাঘাটে ও খোলা জায়গায় ছোট আকারের মাছ (বিশেষ করে মিঠা পানির মাছ) খুঁজে পান। এই মাছগুলো প্রায়ই বৃষ্টির পরে কাদা বা গর্তে জীবিত অবস্থায় দেখা যায়।

📜 ইতিহাস ও বিশ্বাস
১৮০০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে এই ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। ১৯৭০ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের এক গবেষক এই ঘটনাটি নথিভুক্ত করেন। স্থানীয়রা মনে করে, এটি একটি ঈশ্বরিক অলৌকিক ঘটনা, বিশেষ করে একজন স্প্যানিশ পাদ্রী ফাদার José Manuel Subirana-এর দোয়ার ফল।

🔍 বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কী?
>> জলোচ্ছাস বা টর্নেডো থিওরি
কিছু বিজ্ঞানী মনে করেন, দূরের কোনো জলাধার বা নদী থেকে টর্নেডো বা শক্তিশালী বাতাস মাছগুলো টেনে নিয়ে এসে অন্য জায়গায় ফেলে দেয়। কিন্তু ইয়োরো শহরটি সমুদ্র বা নদী থেকে অনেক দূরে!

>>ভূগর্ভস্থ উৎস
আরও একটি ধারণা হলো, এই মাছগুলো স্থানীয় ভূগর্ভস্থ পানির উৎসে বাস করে। ভারী বৃষ্টিতে সেগুলো ওপরে উঠে আসে এবং লোকজন দেখে মনে করে এটি আকাশ থেকে পড়েছে।

>> ওয়াটারস্পাউট বা জল্ভগ্ন ঘূর্ণিঝড়
সমুদ্র বা নদীর উপর থেকে উষ্ণ বাতাস টেনে নিয়ে যায় ছোট মাছ—কেউ এই মাছগুলো আরেক জায়গায় ঝরার পর মাটি থেকে পুনরায় নীচে পড়ে ।

>> বন্যা–নির্ণিত মেকানিজম
ভারী বৃষ্টির ফলে রাস্তা প্লাবিত হলে, স্থানীয় মাছ রাস্তা ধরে উঠে আসে, ফলে এই মাছগুলো পরে ততদিনও থাকতে পারে এবং মানুষ ভুল করে ভাবতে পারে ওরা আকাশ থেকে পড়েছে ।

তবে, যে কোন উপায়েই মাছগুলো বাতাসে ভেসে যেতে পারে , প্রকৃত ঘটনা এখনও বৈজ্ঞানিকভাবে পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।

✝️ ধর্মীয় বর্ণনা
ফাদার José Manuel Subirana নামে এক স্প্যানিশ পাদ্রীর দোয়াকে মাছ বৃষ্টির সূচনা হিসেবে দেখা হয়; তিনি ১৮৫৫–৬৪ সময় ইয়োরোতে কাজ করেছিলেন

এ ধর্মীয় বর্ণনায় বলা হয়, তিনি ত্রিশ দিন প্রার্থনা করার পর বৃষ্টির মধ্য দিয়ে মাছ নেমে মানুষ রক্ষা পায়, এর পর থেকেই এই ঘটনা পুনরাবৃত্তি হয় বলে বিশ্বাস ।

🎉 উৎসব: Festival de la Lluvia de Peces
হন্ডুরাসে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর একটি উৎসব পালিত হয় –
উৎসবে মাছ বৃষ্টিকে ঘিরে লোকগান, খাওয়াদাওয়া, এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এটি পর্যটকদের জন্য একটি বড় আকর্ষণ।

🧐 কিছু চমকপ্রদ তথ্য
>> মাছগুলো সাধারণত ২–৪ ইঞ্চি লম্বা হয়।
>> এগুলো কোনো সাগরের মাছ নয়, বরং মিঠা পানির মাছ।
>> অনেকে মাছগুলোর জীবিত থাকা দেখেছেন, অনেকে মৃত অবস্থায়।

🔚 উপসংহার
"হন্ডুরাসের মাছ বৃষ্টি" এক বিস্ময়কর, রহস্যে ঘেরা প্রাকৃতিক ঘটনা যেটি বৈজ্ঞানিকভাবে পুরোপুরি ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়নি, আবার কেবল কুসংস্কারও বলা যায় না। এই ঘটনাটি একদিকে যেমন মানুষকে চমকে দেয়, অন্যদিকে স্থানীয় সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে।

📱 সিম বন্ধের নতুন নিয়ম ২০২৫: কোন অপারেটরে কতদিন পর সিম নিষ্ক্রিয় হবে? বিটিআরসি'র নির্দেশনা : :বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে...
26/06/2025

📱 সিম বন্ধের নতুন নিয়ম ২০২৫: কোন অপারেটরে কতদিন পর সিম নিষ্ক্রিয় হবে? বিটিআরসি'র নির্দেশনা : :
বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে মোবাইল ফোন এখন শুধুমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং ব্যাংকিং, ব্যবসা, শিক্ষা, অফিসিয়াল ও পার্সোনাল লাইফের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। ফলে প্রতিটি মোবাইল নম্বর হয়ে উঠেছে ব্যবহারকারীর জন্য একটি ডিজিটাল পরিচয়।

এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সিম ব্যবহার না করলে কতদিন পর সেটি বন্ধ বা রিসাইকেল (পুনর্ব্যবহারযোগ্য) হবে— সে বিষয়ে ২০২৫ সালে একটি হালনাগাদ নির্দেশনা দিয়েছে।

🧾 কেন এই নিয়ম চালু করা হয়েছে?
বিটিআরসি জানায়, দেশে ১১ ডিজিটের মোবাইল নম্বর সীমিত। একাধিক মোবাইল অপারেটরে কোটি কোটি নম্বর বরাদ্দ দেওয়া হলেও, এর একটি বড় অংশ দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে। ফলে নতুন গ্রাহকদের জন্য নম্বর সংকট দেখা দেয়।

এই পরিস্থিতি মোকাবিলায়, নিষ্ক্রিয় মোবাইল নম্বর রিসাইকেল করে পুনঃবরাদ্দ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। কিন্তু অনেক গ্রাহক তাদের সিম বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ এবং নির্ধারিত সময়সীমা জানেন না।
📊 কোন অপারেটরে কতদিন পর সিম বন্ধ হবে?

বিটিআরসি এবং মোবাইল অপারেটরদের তথ্য অনুযায়ী, নিচে অপারেটরভিত্তিক নিষ্ক্রিয়তার সময়সীমা তুলে ধরা হলো:
রবি ও এয়ারটেল: ব্যালেন্স মেয়াদ শেষ + ব্যবহার না হওয়া-১২ মাস নিষ্ক্রিয়তার পর
গ্রামীণফোন ও স্কিটো: ব্যালেন্স শেষ + কোনো কল, ডাটা বা এসএমএস না থাকলে-১১ মাস নিষ্ক্রিয়তার পর
বাংলালিংক: ব্যবহার না হওয়া + ব্যালেন্স শেষ-১৩ মাস নিষ্ক্রিয়তার পর
টেলিটক: দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার না হলে-১৪-১৫ মাস পর সিম রিসাইকেল হয়

⏱️ সর্বোচ্চ সময়সীমা কত?
বিটিআরসি সারা দেশের জন্য একটি সাধারণ নির্দেশনা দিয়েছে:
যদি কোনো সিম টানা ৪৫০ দিন অর্থাৎ ১৫ মাস কোনোভাবেই ব্যবহার না হয়, তবে সেটিকে নিষ্ক্রিয় হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
এরপর অপারেটর গ্রাহককে ৩০ দিনের সতর্কতা সময় দেবে। এই সময়ের মধ্যে সিমটি পুনরায় চালু বা ব্যবহার না করলে তা রিসাইকেল বা পুনর্ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
অর্থাৎ, মোট ৪৮০ দিন (প্রায় ১৬ মাস) নিষ্ক্রিয় থাকলে নম্বরটি স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

⚠️ কী কী ব্যবহারকে সক্রিয় ধরা হয়?
আপনার সিম সচল রাখতে নিচের যেকোনো একটি করলেই সিম নিষ্ক্রিয় ধরা হবে না:
✅ রিচার্জ করা
✅ ইনকামিং বা আউটগোয়িং কল করা
✅ ডাটা প্যাক ব্যবহার
✅ এসএমএস প্রেরণ বা গ্রহণ
✅ ইউএসএসডি কোড ব্যবহার (যেমন: *247 #, *121 # ইত্যাদি)
✅ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (বিকাশ, নগদ ইত্যাদি) থেকে ট্রানজেকশন

❌ কী হবে যদি সময়সীমা পেরিয়ে যায়?
যদি আপনি উপরোক্ত ৪৮০ দিনের মধ্যে কোনো ধরনের ব্যবহার না করেন:
>> সিমটিকে “ডিসকানেক্টেড” হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
>> পূর্বের মালিকানার অধিকার বাতিল হবে।
>> সেই নম্বরটি নতুন কোনো গ্রাহককে বিক্রি করে দেওয়া হবে।
>>আপনার ওই মোবাইল নম্বরের সাথে সংযুক্ত সকল অ্যাকাউন্ট (ব্যাংক, বিকাশ, ফেসবুক, ইমেইল) ঝুঁকিতে পড়বে।

✅ কী করলে সিম নিষ্ক্রিয় হবে না?
🔋 অন্তত প্রতি ২ মাসে একবার রিচার্জ করুন
📶 মাঝে মাঝে কল বা ইন্টারনেট ব্যবহার করুন
🔁 অটো রিচার্জ/প্ল্যান চালু রাখলে ভালো
📱 ফোনে সিমটি ঢুকিয়ে অন রাখুন, যদিও ব্যবহার না করেন
🔔 কোনো জরুরি নোটিশ বা এসএমএস পেলে সাড়া দিন

📌 উপসংহার
এই নিয়মগুলো জানার মাধ্যমে আপনি আপনার গুরুত্বপূর্ণ মোবাইল নম্বর রক্ষা করতে পারবেন। শুধুমাত্র না ব্যবহার করার কারণে যেন আপনার গুরুত্বপূর্ণ নম্বরটি অন্য কারো কাছে চলে না যায়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

বিশেষ করে যারা বিদেশে থাকেন, দীর্ঘ সময় সিম ব্যবহার করেন না, অথবা একাধিক সিম একসাথে চালান—তাদের জন্য এই নিয়মগুলো জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

🔗 তথ্যসূত্র:
বিটিআরসি অফিসিয়াল নোটিশ: www.btrc.gov.bd
গ্রামীণফোন কাস্টমার কেয়ার: www.grameenphone.com
বাংলালিংক হেল্প ডেস্ক: www.banglalink.net
রবি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: www.robi.com.bd
টেলিটক সাপোর্ট: www.teletalk.com.bd

📢 আপনার পরিবার, বন্ধু, আত্মীয়দের সাথেও এই তথ্য শেয়ার করুন। তাদের অনেকেই হয়তো জানেন না যে, তাদের সিম অচিরেই নিষ্ক্রিয় হতে পারে।

🔁 শেয়ার করুন, সচেতন হোন!

ছবি সুত্র: https://web.facebook.com/mobileoperator

"আমের বীজ এর উপকারিতা জানলে আর কখনোই ফেলবেন না"আমের বীজ (আমের ভিতরের শক্ত শাঁস বা গুঠি) অনেক সময় আমরা ফেলে দিই, কিন্তু এ...
21/06/2025

"আমের বীজ এর উপকারিতা জানলে আর কখনোই ফেলবেন না"

আমের বীজ (আমের ভিতরের শক্ত শাঁস বা গুঠি) অনেক সময় আমরা ফেলে দিই, কিন্তু এরও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য উপকারিতা। বিশেষত আয়ুর্বেদ ও প্রাকৃতিক চিকিৎসাশাস্ত্রে আমের বীজের ব্যবহার দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে।

নীচে আমের বীজের কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা তুলে ধরা হলো:

✅ ১. ডায়ারিয়া ও পেটের সমস্যা দূর করে
আমের বীজে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান এবং ট্যানিন অন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সহায়তা করে। এটি ডায়ারিয়া, পেট খারাপ বা বদহজমে উপকারী।

✅ ২. রক্তে কোলেস্টেরল কমায়
আমের বীজ ফাইবার সমৃদ্ধ যা খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

✅ ৩. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
গবেষণায় দেখা গেছে, আমের বীজ ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

✅ ৪. চুল পড়া রোধ করে
আমের বীজ থেকে তৈরি তেল মাথার ত্বকে লাগালে চুল পড়া কমে, খুশকি দূর হয় এবং চুল ঘন হয়। এটি প্রাকৃতিক হেয়ার টনিক হিসেবেও কাজ করে।

✅ ৫. ত্বকের যত্নে উপকারী
আমের বীজ গুঁড়ো করে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করলে ব্রণ, র‍্যাশ ও রুক্ষতা কমে যায়। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও সাহায্য করে।

✅ ৬. ওজন কমাতে সহায়ক
আমের বীজ গুঁড়ো ক্ষুধা দমন করে এবং মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে, যা ওজন কমাতে সহায়ক।

📝 ব্যবহারের পদ্ধতি:
>> আমের বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে ছোট কৌটায় সংরক্ষণ করুন।
>> প্রতিদিন ১ চা চামচ হালকা গরম পানির সাথে খেতে পারেন, বিশেষ করে খালি পেটে।
>> চুলে ব্যবহারের জন্য: আমের বীজ গুঁড়ো নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে তেল তৈরি করে ব্যবহার করুন।

⚠️ সতর্কতা:
>> অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয়।
>> গর্ভবতী ও শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ছবি সুত্রঃ ইন্টারনেট।

জামের বীজ ফেলে দেন? এর উপকারিতা জানলে অবাক হবেন!জামের বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ-------------------------------জামের বীজে...
21/06/2025

জামের বীজ ফেলে দেন? এর উপকারিতা জানলে অবাক হবেন!

জামের বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ
-------------------------------
জামের বীজের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী। নিচে জামের বীজের কিছু প্রধান উপকারিতা তুলে ধরা হলো:

✅ ১. রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
জামের বীজে থাকে জ্যামবোলিন (Jamboline) ও জ্যাম্বোসিন (Jambosine) নামক উপাদান, যা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকর।

✅ ২. হজম শক্তি বাড়ায়
জামের বীজ হজমে সহায়তা করে এবং পাকস্থলীর অ্যাসিডিটি বা গ্যাসজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এটি লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে।

✅ ৩. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ
জামের বীজে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা দেহ থেকে টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে। এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।

✅ ৪. চর্মরোগে উপকারী
জামের বীজ গুঁড়ো করে মধুর সাথে মিশিয়ে মুখে বা ত্বকে লাগালে ব্রণ ও অন্যান্য চর্মরোগে উপকার পাওয়া যায়।

✅ ৫. হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক
জামের বীজে থাকা ফাইটো-কেমিক্যাল ও ফাইবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

✅ ৬. ওজন কমাতে সহায়তা করে
জামের বীজ গুঁড়ো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং অতিরিক্ত খিদে কমায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

📝 ব্যবহারের উপায়:
>> জামের বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে প্রতিদিন ১ চা চামচ খালি পেটে খেতে পারেন।
>> পানি বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
>> চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করাই উত্তম, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য।

ছবি সুত্রঃ ইন্টারনেট

Let's see this video
08/10/2024

Let's see this video

Indian Visa Date and Appointment Live

পুরুষ কেন গোপনে কাঁদে? একজন প্রজ্ঞাময় বৃদ্ধকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, পুরুষ কি কাঁদে? তিনি জবাব দিয়েছিলেন, হ্যা, পুরুষ কাঁদে...
23/09/2024

পুরুষ কেন গোপনে কাঁদে?
একজন প্রজ্ঞাময় বৃদ্ধকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, পুরুষ কি কাঁদে?
তিনি জবাব দিয়েছিলেন, হ্যা, পুরুষ কাঁদে, অবশ্যই কাঁদে। যে প্রশ্ন করেছিল সে অবাক হয়ে বললো, পুরুষও কাঁদে?

কখন? কিভাবে? কি এমন কারণ থাকতে পারে, যাতে করে পুরুষ কেঁদে উঠবে?

বৃদ্ধ বললেন,
●পুরুষ কাঁদে, যখন তার মায়ের মত আপন মানুষগুলো এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যায়,
●পুরুষ কাঁদে, যখন সে তার বাবা মা দুজনকেই হারায়,
●পুরুষ কাঁদে, যখন তার সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ে,
●পুরুষ কাঁদে, যখন সে তার মেয়ের বিয়ে দেয়,
●পুরুষ কাঁদে, যখন তার অকৃতজ্ঞ একগুঁয়ে সন্তান তাকে সবার সামনে অপমান করে,
● পুরুষ কাঁদে যখন আপনজন থেকে প্রতারিত হয়,
●পুরুষ কাঁদে, যখন সে বুঝতে পারে সে আসলে ভীষণ অসহায়, জীবন যুদ্ধ তাকে কিভাবে গোলাম বানিয়ে রেখে দিয়েছে,
●পুরুষ কাঁদে, যখন সে তার ভালবাসার মানুষগুলোর ভরণ পোষণ করতে ব্যর্থ হয়, তাদের সামান্যতম সখগুলোও সে যখন আর মিটাতে পারে না,
●পুরুষ কাঁদে, যখন সে তার নিজের মা, মাটি আর দেশ থেকে অনেক দূরে, ভালবাসার মানুষগুলোকে একটু ছুঁতেও পারে না, একটু আদরও করতে পারে না,
●হ্যা, পুরুষ কাঁদে, কিন্তু... সে তখনই কাঁদে যখন সে আঁধারের অতলে...
যখন ঝুম বৃষ্টি নামে...
যখন তার পাশে বালিশটা ছাড়া আর কেউই নেই...
■পুরুষের সেই অশ্রু তার চোখের গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে না, যা অন্য কেউ দেখে ফেলবে,

পুরুষের অশ্রু বেরিয়ে আসে তার হৃদয়ের গহীন থেকে, কখনো সেটা একটা দীর্ঘশ্বাস, কখনো বিস্ময়ে হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকা !

পুরুষের অশ্রুতে তার চামড়ায় ভাঁজ পড়ে, চুল দাড়ি পেকে যায়, তার হাত দু'টো কেঁপে কেঁপে ওঠে।

এতটুকু বলে সেই বৃদ্ধ আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না, নিজেই কেঁদে উঠলেন তিনি, বললেন, হ্যা ঠিক এভাবেই পুরুষ মানুষ কেঁদে ওঠে, কাঁদতে থাকে।
অতৃপ্ত এই পৃথিবীতে আজ যত আয়োজন অর্ধেক তার মিথ্যে মায়া বাকি অর্ধেক তার প্রয়োজন !

সংগৃহীত

13/09/2024

কাছেই আছি, চট করে ঢুুকে পড়বো।

থাকতে দিবেন তো ফখরুল সাহেব?

Address

House Building, Uttara
Dhaka
1230

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when দৈনিক সকালের খবর posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to দৈনিক সকালের খবর:

Share