05/07/2025
সেই প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত ফিলিস্তিন ও ইয়াহুদীদের ঘটনাবলীর টাইমলাইন। এই বিষয়ে সংক্ষেপে কিন্তু স্বচ্ছ ও পরিষ্কারভাবে জানার জন্য পড়ুন "ফিলিস্তিন, ইসরায়েল ও মধ্যপ্রাচ্য সংকটের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস"। মূল বইটির লেখক জোয়েল বিয়েনিন ও লিসা হাজ্জার। অনুবাদ করেছেন ইরফানুর রহমান রাফিন ও ঈশিকা জাহান মুন।
বইটি সংগ্রহ করতে ইনবক্স বা কমেন্টে জানান।
ঈসায়ী সনের আগে
৩৭৬১: ইহুদি পঞ্জিকার প্রথম বছর।
৩৫০০-১২০০: ব্রোঞ্জ যুগ ও কানানীয় রাজ্যগুলোর কাল।
২০০০-১০০১: গোত্রপিতাদের যুগ।
১৮০০: ইব্রাহিম নবির কানানে আগমন।
১৪০০: মুসা নবির যুগ।
১২৫০-১২০০: ইহুদিদের কানানে আগমন।
১১৫০-৯০০: লৌহ যুগ ও ইসরায়েল যুক্তরাজ্যের কাল।
১০৩৫-৯৭০: রাজা দাউদের জীবনকাল।
১০১০-৯৩১: রাজা সোলেমানের জীবনকাল।
১০০৪/১০০৩: জেরুসালেম দাউদের রাজ্যের রাজধানী।
৯৬১-৯২৮: জেরুসালেমে রাজা সোলেমান কর্তৃক নির্মিত হলো প্রথম মন্দির।
৯২৫: উত্তরে ইস্রায়েল রাজ্য ও দক্ষিণে জুদিয়া রাজ্য।
৭২২: অ্যাসিরীয়দের সামারিয়া ও উত্তরের ইস্রায়েল রাজ্য জয়।
৫৯৭: বাবেলের সম্রাট নেবুশাদনেসারের জেরুসালেম জয়।
৫৮৭: বাবেলীয়দের হাতে প্রথম মন্দিরের ধ্বংসসাধন, ইহুদিরা নির্বাসিত।
৫৮৭-৫৩৯: বাবেলের বন্দী পর্ব।
৫৫০: বাবেলে নির্বাসিত ইহুদিদের মধ্যে মসীহ ধারণার বিকাশ।
৫৩৯: পারস্যের খসরু বাবেলের বন্দী ইহুদিদের মুক্তি দিলেন।
৫২০-৫১৫: ইহুদিদের জেরুসালেমে ফেরা।
৫১৬/৫১৫: জেরুসালেমে নির্মিত হলো দ্বিতীয় মন্দির।
৫১৫ - ৭০ ঈসায়ী সন: দ্বিতীয় মন্দির পর্ব ও ইহুদি ধর্মের বর্তমান রূপলাভ।
৪৫০- ১৯৪৮ ঈসায়ী সন ২: হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে জর্দান নদী আর ভূমধ্যসাগরের মধ্যবর্তী ভৌগোলিক অঞ্চলটুকু ফিলিস্তিন নামে পরিচিত ছিল।
১৬৭-৭০: হাসমোনীয় বিদ্রোহ।
৬৩: পম্পেইয়ের জেরুসালেম জয়, রোমের নিয়ন্ত্রণে এল জুদিয়া।
৩৭ - ৪: ঈসায়ী সন রাজা হেরোদের শাসনকাল।
৬-৩০ ঈসায়ী সন: ঈসা নবির জীবনকাল।
ঈসায়ী সনের পরে
৩৫: সাউলের খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ, পরবর্তী জীবনে সেইন্ট পল।
৬০-১০০: সুসমাচারগুলো লিপিবদ্ধ হওয়ার সম্ভাব্য কাল।
৬৭: সেইন্ট পলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল রোম।
৬৬: রোমের বিরুদ্ধে ইহুদি জিলটদের বিদ্রোহ।
৭০: রোমক সম্রাট ভেসপাসিয়ানের পুত্র সেনাপতি টাইটাসের হাতে বিদ্রোহের অবসান ও দ্বিতীয় মন্দিরের ধবংসসাধন।
৭৩: মাসাদা দুর্গের পতন।
১৩৫-৩৯০: সিরিয়া প্যালেস্টাইনা।
৩০৬: রোমের অন্যতম সম্রাট কনস্টান্টাইন।
৩১৩-৬১৬: আরব খ্রিস্টান ফিলিস্তিন।
৩২৭: কনস্টান্টাইনের মা হেলেনা জেরুসালেমে ট্রু ক্রস ‘আবিষ্কার’ করলেন।
৩৩৫: জেরুসালেমে নির্মিত হলো চার্চ অফ দ্য হোলি সেপুলচার।
৫৭০-৬৩৩: ইসলামের নবি মুহাম্মদ (সঃ) এর জীবনকাল।
৬৩৬: আরবদের জেরুসালেম জয়।
৬৩৬-১০৭১: জুন্দ ফিলিস্তিন।
১০৭১-৯৮: সেলজুক ফিলিস্তিন।
১০৯৫: প্রথম ক্রুসেডের ডাক দিলেন পোপ আরবান।
১০৯৯: ক্রুসেডারদের হাতে জেরুসালেমের পতন, ইহুদি ও মুসলমানদের ওপর হত্যালীলা।
১১৮৭: হাত্তিনের যুদ্ধে জেরুসালেমের ক্রুসেডার রাজাকে হারালেন সালাউদ্দিন আইয়ুবী।
১২৯১-১৫২৬: মামলুক ফিলিস্তিন।
১৫২৬-১৯১৭: ওসমানী ফিলিস্তিন।
১৭৯৯: মিসর থেকে ফিলিস্তিনে নেপোলিয়ন বোনাপার্তের ব্যর্থ হামলা।
১৮৩০য়ের দশক: ফিলিস্তিনে মিসরীয় দখলদারিত্ব।
১৮৩৯-৬২: জেরুসালেমে কনস্যুলেট খুলল ইওরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র।
১৮৮২-১৯০৩: প্রথম আলিয়া: মূলত রাশিয়া থেকে ২৫ হাজার ইহুদির আগমন।
১৮৯১: লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত হলো ইহুদি উপনিবেশায়ন সমিতি (জেসিএ)।
১৮৯৪: ফ্রান্সে দ্রেইফুস ঘটনা।
১৮৯৬: প্রকাশিত হলো থিওডোর হার্জেলের দ্য জিউইশ স্টেট।
১৮৯৭: সুইজারল্যান্ডের বাসেলে প্রথম বিশ্ব জায়নবাদী কংগ্রেস। বিশ্ব জায়নবাদী সংগঠন প্রতিষ্ঠিত।
১৯০১: প্রতিষ্ঠা করা হলো ইহুদি জাতীয় তহবিল (জেএনএফ)।
১৯০৪-১৪: দ্বিতীয় আলিয়া: মূলত রাশিয়া থেকে ৪০ হাজার ইহুদির আগমন।
১৯১৩: প্রতিষ্ঠিত হলো এন্টাই-ডিফেমেশন লীগ (এডিএল)।
১৯১৪-১৮: প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।
১৯১৭: বেলফোর ঘোষণা।
১৯১৯-২৩: তৃতীয় আলিয়া: মূলত রাশিয়া থেকে ৪০ হাজার ইহুদির আগমন।
১৯২০-৪৮: ম্যান্ডেট ফিলিস্তিন।
১৯২০: প্রতিষ্ঠিত হলো ইসরায়েলে শ্রমিকদের সাধারণ সংগঠন (হিস্তাদরুত) ও জায়নবাদী প্যারামিলিটারি সংগঠন হাগান্নাহ।
১৯২২: চার্চিল শ্বেতপত্র।
১৯২৪-২৮: চতুর্থ আলিয়া: মূলত পোল্যান্ড থেকে ৮০ হাজার ইহুদির আগমন।
১৯২৯-৩৯: পঞ্চম আলিয়া: নাৎসিদের উত্থানের প্রেক্ষিতে মূলত জার্মানভাষী দেশগুলো থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার ইহুদির আগমন।
১৯৩০এর দশক: ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী ও জায়নবাদীদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি বিদ্রোহ।
১৯৩৭: পিল কমিশনের প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো পার্টিশনের সুপারিশ।
১৯৩৯: ব্রিটেনের শ্বেতপত্র প্রকাশ, ব্রিটিশ-জায়নবাদী মৈত্রীর অবসান।
১৯৩৯-৪৫: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
১৯৪০ এর দশক: হলোকাস্ট।
১৯৪৭: জাতিসংঘের পার্টিশন পরিকল্পনা।
১৯৪৮: ফিলিস্তিনে প্রতিষ্ঠিত হলো জায়নবাদী বসতিস্থাপন উপনিবেশ ইসরায়েল। নাকবা, তথা বিপর্যয়। জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের শিকার হয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হলেন ৭ লক্ষ ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি।
১৯৪৮-৪৯: প্রথম আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ।
১৯৪৯-১৯৬০ এর দশক: ১০ লক্ষেরও বেশি ইহুদি ফিলিস্তিনে বসতি স্থাপন করেন।
১৯৫৬-৫৭: দ্বিতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ।
১৯৫৯: গঠিত হলো ফাতাহ।
১৯৬৪: গঠিত হলো পিএলও।
১৯৬৭: তৃতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ, জুন যুদ্ধ নামেও পরিচিত। জর্জ হাবাশ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হলো পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি)।
১৯৬৮: নায়েফ হাওয়াতমেহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন (ডিএফএলপি)।
১৯৭০-৭১: ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর।
১৯৭২: মিউনিখ হত্যাযজ্ঞ।
১৯৭৩: চতুর্থ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ।
১৯৭৫: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব জায়নবাদকে বর্ণবাদ বলল, ১৯৯১ সালে এই প্রস্তাব বাতিল হয়।
১৯৭৮: ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি। মিসর কর্তৃক ইসরায়েলকে স্বীকৃতিপ্রদান ও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন।
১৯৭৯: প্রকাশিত হলো এডওয়ার্ড সাঈদের দ্য কোশ্চেন অফ প্যালেস্টাইন।
১৯৮২: প্রথম লেবানন যুদ্ধ ও সাবরা শাতিলা গণহত্যা।
১৯৮৭: প্রথম ইন্তিফাদা। গঠিত হলো হামাস।
১৯৮৮: ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ঘোষিত। স্বাধীন ঘোষণা করলেন ইয়াসির আরাফাত। ঘোষণাপত্রটি কবি মাহমুদ দারবিশের লেখা।
১৯৯৩: অসলো শান্তি চুক্তি।
১৯৯৪: ইসরায়েল ও জর্দানের মধ্যে শান্তি চুক্তি সই। ইয়াসির আরাফাত, আইজ্যাক রবিন, আর শিমন পেরেজ সম্মিলিতভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন।
১৯৯৬: প্রতিষ্ঠিত হলো জিউইশ ভয়েস ফর পীস (জেভিপি)।
২০০০: দ্বিতীয় ইন্তিফাদা।
২০০২: অপারেশন ডিফেন্সিভ শিল্ড, আরব লীগের শান্তি পরিকল্পনা।
২০০৩: আন্তর্জাতিক উদ্যোগে ফিলিস্তিনে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার রোড ম্যাপ’।
২০০৪: পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের তৈরিকৃত সেপারেশন ব্যারিয়ারকে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস (আইসিজে) তার পরামর্শমূলক মতামতে অবৈধ ঘোষণা করল।
২০০৫: ফিলিস্তিনে শুরু হলো বয়কট, ডাইভেস্টমেন্ট অ্যান্ড স্যাংশন মুভমেন্ট (বিডিএস)।
২০০৬: ফিলিস্তিনে সংসদীয় নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এল হামাস। ইসরায়েল গাজা উপত্যকার ওপর অবরোধ আরোপ করল। দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধ।
২০০৮: অপারেশন কাস্ট লিড।
২০০৯: গোল্ডস্টোন প্রতিবেদন।
২০১০: মাভি মার্মারা ঘটনা।
২০১২: অপারেশন পিলার অফ ডিফেন্স।
২০১৪: অপারেশন প্রটেকটিভ এজ।
২০১৫: ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিপ্রদান করল ভ্যাটিকান।
২০১৭: জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন ট্রাম্প।
২০১৯: যুক্তরাষ্ট্র সরকার জানাল, তারা পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতিগুলোকে আর অবৈধ গণ্য করে না।
২০২০: ইব্রাহিম চুক্তি: যুক্তরাষ্ট্রের মদতে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও বাহরাইন।
২০২১: শেখ জাররা আন্দোলন ও গাজায় ইসরায়েলি হামলা। ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করল কসোভো।
২০২১-২২: মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) প্রতিবেদনে ইসরায়েলকে অ্যাপার্টহেইড চর্চার দায়ে অভিযুক্ত করা হলো।
২০২২: এক ইসরায়েলি সৈনিকের গুলিতে খুন হলেন ফিলিস্তিনি-আমেরিকান ও আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ।
২০২৩: গাজা গণহত্যা।