25/04/2025
৫ই আগস্টের পরবর্তী সময়ে বিএনপি এবং জামায়াত উভয় দলই ভারতের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ বজায় রাখছে। কারণটা একেবারেই স্পষ্ট—১/১১-এর মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসানো এবং পরবর্তী ১৬ বছর তাকে টিকিয়ে রাখা শুধুমাত্র ভারতের সহায়তায়ই সম্ভব হয়েছে। এমনকি আওয়ামী লীগ নিজেরাই স্বীকার করেছে, “দিল্লি আছে তো আওয়ামী লীগ আছে।” অর্থাৎ, ভারত স্বামী আর আলগা মোমেনসহ আওয়ামী লীগ স্ত্রী।
এখন বিএনপি-জামায়াতের স্পষ্ট উপলব্ধি—ক্ষমতায় যেতে হলে এবং তা টিকিয়ে রাখতে হলে ভারতের বিকল্প নেই। ভারত যদি যেকোনো এক দলকে স্ত্রীর মর্যাদা দেয়, তাহলেই সেই দল আগামী বাংলাদেশের ক্ষমতাধর হবে। তাই দেখা যায়, উভয় দলই আজ প্রকাশ্যে বলছে—“এখন হাসিনা নেই, আমাকে তোমার বিছা*নায় নাও। আমি হাসিনার চেয়ে বেশি মজা দিতে পারব।” (এই শব্দ ব্যবহারের জন্য দুঃখিত।)
এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো—ভারত কি এদের কাউকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করবে? আওয়ামী লীগের বিকল্প ভাববে?
উত্তর: না। তবে যেহেতু এরা বিছানায় যেতে চাইছে, ভারত তাদের দিয়ে ম*জা লুটবেই। ছল-চাতুরী আর মি*থ্যা প্রেম দেখিয়ে প্রথমে ব্যবহার করবে, তারপর আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনবে। তখন বলবে—“যা বে((শ্যা, তোদের আর দরকার নেই।” কারণ, ভারত কখনো তার ‘ধর্মের আওয়ামী লীগ’ ছাড়া অন্য কাউকে বিশ্বাস করে না।
★ এখন আপনি হয়তো বলবেন—“ওই ব্যাটা, তারা ধ+র্ষিতা হতে চাইলে তোর কী?”
আসলে ভাই, তারা বা তাদের চৌদ্দগুষ্টি মজার পাত্র হলে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু ব্যাপারটা যখন রাষ্ট্রীয়, তখন একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমার সমস্যা থাকবেই।
১/ জিয়াউর রহমানের একটি রাজনৈতিক ভুল আমাদের ওপর আওয়ামী লীগকে চাপিয়ে দিয়েছে।
২/ জামায়াত আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে বিএনপিকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল—এর ভোগান্তি শুধু জামায়াত না, গোটা জাতিকেই পোহাতে হয়েছে।
এটা যদি শুধু দলীয় রাজনীতির বিষয় হতো, তাহলে কিছু বলার দরকার হতো না। কিন্তু যেহেতু এর প্রভাব আমাদের সবার ওপর পড়ছে, তাই সামান্য হলেও প্রতিবাদ আমাদের করতেই হবে।