18/01/2025
গল্প - সুহাসিনী
পর্ব ১
ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে দেখার সাথে সাথেই আমার ভিতরে উথাল পাথাল করতে আরাম্ভ করল। এ যেন কোন মানুষ নয়, এ যেন সাক্ষাৎ হুর পরী দাঁড়িয়ে আছে আমার সামনে। একটা নারী এতটা সুন্দর হয় কি করে ? নীল চোখ আর ঘন কাল কোঁকড়া চুল, তার হলুদ বর্ণ গায়ের সাথে এমনভাবে ফুটে ছিল যেন কোন শিল্পী তার এই অবয়বয় নিজ তুলি দিয়ে এঁকেছে। আমি আশ্চর্যণীত হয়ে হা করে তাকিয়ে রইলাম তার দিকে। সেও নীলাভ চোখে আমার দিকে তাকাল কয়েকবার। একটা মানুষের চোখের চাহনিতে এতটা আকর্ষণ আমি আমার এই জীবনে আনুভব করিনি কখনো।
মেয়েটার প্রতি এই আশ্চর্যবোধ আর এই আকর্ষনের পিছনে তার অপরূপ সৌন্দর্য ছাড়াও আরও রড় একটা কারণ ছিল। আর সেটা ছিল আমার ভাই রিয়াদ, যে ছিল একজন মানুষিক প্রতিবন্ধী। মানুষের জৈবিক চাহিদা বোঝাতো পরের কথা, নিজের ভাল মন্দ বোঝার ক্ষমতাটুকু ছিল না তার। এক কথায় সে ছিল পাগল। একজন সম্পূর্ণ মানসিক প্রতিবন্ধীর স্ত্রী এমন রূপবতী একটা মেয়ে কেন হতে যাবে সেই প্রশ্ন আমার মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগল। আমি এমন আশ্চর্যনিত হয়ে তাকিয়ে থেকেই তাকে জিজ্ঞাস করলাম, “তোমার নাম?” সে আমার চোখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকল তারপর বলল সুহাসিনী। ওর নামটা আমার কানে বাজতে থাকল আর ওর দৃষ্টি যেন আমার কাছে কিছু চাইতে লাগল।
“ভিতরে যাও, গিয়ে দেখ রিয়াদ কি করছে” ঠিক এমন সময় হঠাৎ পাশ থেকে আমার মা সুহাসিনীকে বেশ কড়া গলায় বললেন কথাটা। সুহাসিনীও বাধ্য মেয়ের মতন ভেতরে চলে গেল। আর আমি তার দিকে অপলক তাকিয়ে রইলাম, তার পিঠের উপর পড়ে থাকা চুল গুলো দুলতে থাকল তার একেকটা পদক্ষেপে। সুহাসিনীর প্রতি আমার জন্ম নেয়া আকর্ষনটা মুহূর্তের মধ্যেই একটা শক্ত চাহিদাতে পরিনিত হল। না চাইলেও মেয়েটিকে নিজের করে পাওয়াটার একটা চিন্তা আমার মাথায় জেপে বসল।
তুমি এখানে কেন এসেছ ফরহাদ ? সুহাসিনী ভেতরে যাবার পরপরই মা আমাকে কঠিন গলায় প্রশ্নটা করে বসলেন। আমি এখানে কেন এসেছি? এই প্রশ্নটা জানতে চাওয়া আমার মায়ের জন্য খুবই যৌক্তিক। নিজের ভাই আর মাকে ছেড়ে প্রায় ১৯ বছর আগেই আমি চলে গিয়েছি জার্মানিতে। নিজের স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে আমি ওখানেই থাকি। মাঝে মধ্যে শ্বশুর বাড়িতে দেখা করতে দেশে আসলেও এই ১৯ বছরে ওদের সাথে কখনও দেখা করিনি আমি। এমনকি নিজের বিয়েতে ওদের কে আসতে পর্যন্ত দেইনি।
রিয়াদ প্রতিবন্ধী হবার কারণে ছোট বেলা থেকে খুব বিরক্ত ছিলাম।ওকে আমি কখনই সহ্য করতে পারতাম না। সব থেকে বড় কথা ওকে আমি যতটা না অপছন্দ করতাম তার থেকে অনেক বেশী অপছন্দ করতাম আমার মাকে। ছোট বেলা থেকে তার অস্বাভাবিক কার্যক্রমগুলি আমাকে যন্ত্রণা দিত। আমার বাবার মৃত্যুর জন্য আমি মনে মনে আমার মাকেই দায়ী করি, শুধু তাই না আমি মনে করি আমার ছোট ভাই রিয়াদ প্রতিবন্ধী হবার পিছনে তার এই অস্বাভাবিক কার্যক্রমগুলিই জড়িত। একেবারে ছোট থাকতে না বুঝলেও সামান্য বড় হবার পর তার এই উদ্ভট কার্যক্রম গুলি আমার কাছে একেবারে শ্বাসরুদ্ধকর হতে লাগল।
দেশের দূর দূরান্ত থেকে বিভিন্ন মানুষ তার কাছে আসতেন তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে, আর সে তাদের সমস্যার সমাধান করতেন উদ্ভট সব উপায়ে। এদের মধ্যে আবার অনেকে মানসিক রুগীও নিয়ে আসতেন বদ আসর ছাড়াবার জন্য। তাদের দেখে আমার খুব রাগ হত, মনে প্রশ্ন জাগত, তারা কি দেখে না যে আমার মায়ের নিজের ছেলেটাই প্রতিবন্ধী। তার যদি ক্ষমতা থাকত সে তো নিজের ছেলেকেই সুস্থ করত !
কিন্তু না, আমার মতন করে তারা চিন্তা করতেন না কখনই। আমি বুঝতে পারতাম আমার মাকে তারা যতটুকু সম্মান করতেন তার থেকে অনেক বেশী ভয় পেতেন। সপ্তাহে প্রত্যেক রবিবার রাতে তার কাছে কিছু মানুষ আসতেন। মানুষগুলোর পোশাক আশাক ছিল একেবারেই ব্যাতিক্রম। আমাদের বাড়ির নিচতালার ঘরটাতে দরজা লাগিয়ে, আগরবাতি জ্বালিয়ে দিয়ে তারা কি করতেন সেটা আজও অব্ধি আমি জানি না। সেই রাত গুলিতে আগরবাতির গন্ধ আর ভয়ঙ্কর কিছু শব্দে আমি কুঁকড়ে থাকতাম। আর প্রার্থনা করতাম খোদা আমাকে তুমি এই নরক থেকে রক্ষা কর।
আমার স্পষ্ট মনে আছে সেদিনের কথা, সন্ধ্যা হবার ঠিক কিছুক্ষণ আগে খেলতে খেলতে নিচতলার এই ঘরটা খোলা পেয়ে আমি একা একাই চলে গিয়েছিলাম সেই ঘরে। ঘরের কোনার দেয়ালে উঁচু উঁচু মূর্তির ন্যায় কিছু, কাল কাপড় দিয়ে আবৃত করা ছিল। আমি মনের অজান্তেই সেগুলোর কাছে গিয়ে হাত উঁচু করে একটা কাপড় টান দিলাম। কাপড়টা সরে গিয়ে মূর্তিটা দৃশ্যমান হবার সাথে সাথে প্রচণ্ড ভঁয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলাম আমি।
যতদূর মনে পড়ে আমি বীভৎস কাল একটা মূর্তি দেখেছিলাম, রূপক কোন পিশাচ অথবা প্রেতের আদলে বানানো একটা মূর্তি। মূর্তিটার চোখ একটা লাল কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল, এই জিনিসটা আমার পরিষ্কার মনে আছে। মূর্তিটাকে আজও মনে করলে ভেতরে ভেতরে সামান্য আতঙ্ক আনুভব করি। সেদিন জ্ঞান আসার পর দীর্ঘদিন জ্বরে পড়ে ছিলাম বিছানায়। এই জ্বরে হয়ত আমি মরেই যেতাম। সেই সময় আমাকে এই নরক আর মৃত্যু থেকে উদ্ধার করেছিলেন আমার স্কুলের হেডমাস্টার ও আমার বর্তমান শ্বশুর। আমি তার হাত ধরে চলে এসেছিলাম, সেদিনের পর থেকে এই নরকে আর একটি বারের জন্য পা রাখিনি। প্রচণ্ড মেধাবী ছাত্র হবার কারণে আমাকেও আর পেছনে তাকাতে হয়নি। কয়েক বছরের মধ্যেই স্কলারশিপ নিয়ে স্ত্রী মারিয়াকে সঙ্গে করে পাড়ি দিয়েছি দেশের বাইরে জার্মানিতে। শ্বশুরকেও ঢাকাতে নিয়ে এসেছিলাম। এই নরকের আশে পাশে আমি এবং আমার কোন আপনজনের ছায়া পড়ুক সেটাও আমি চাইনি। কিন্তু আজ এত বছর পর নিজে থেকে এখানে আসা বিনা কারণে ছিল না। এই আগমনের পেছনে দুটো শক্ত কারণ ছিল।
আমি দূরে চলে গেলেও আমার সাথে ঘটে যাওয়া ছোট বেলার দুর্বিষহ স্মৃতি আমাকে ছেড়ে যায়নি। প্রায় রাতেই ভঁয়ে চিৎকার করে উঠি আমি। জার্মানিতে বেস্ট সাইকিয়েটিস্টদের সাথে বহুবার সেশন হয়েছে আমার। এই সমস্যাটা কমে আসলেও একেবারে সুস্থ হয়নি কখনই। একাধিক মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলার পর শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকে একটা সমাধানই দিয়েছেন আমাকে। আর তা হল, যে জায়গায় থেকে আমার এই ভয় শুরু হয়েছে সেখানে গিয়েই এই ভয়টাকে শেষ করতে হবে। মন না চাইলেও স্ত্রীর অকুল অনুরোধ আর এই কয় বছরে জমানো সাহস আর বাস্তবতা আমাকে নিয়ে এসেছে এখানে।
দুই নাম্বার কারণটা আমার ছোট ভাই রিয়াদ। মাকে অপছন্দ করায় তাকেও অপছন্দ করতাম। কিন্তু দূরে যাবার পর ভাইয়ের জন্য ভীষণ মন টানছিল আমার। সম্ভব হলে এই নরক থেকে ভাইকেও উদ্ধার করব, এই প্লানটা মনে মনে ভেবে রেখেছিলাম।
দেশে এসে এলাকার পূর্ব পরিচিত কয়েকজনের সাথে কথা বলে আগেই জানতে পেরেছি আমার মা আমার ভাই রিয়াদের বিয়ে দিয়েছেন। কথাটা শুনেই মেজাজ চটে গেলেও আমি জানতাম তার মতন মানুষের জন্য এটা খুবই সাধারণ একটা কাজ। মনে মনে ভেবেছিলাম যেহেতু তার এখন বয়স হয়েছে সুতরাং আগের মতন ভাইয়ের দেখাশোনা একা হাতে করতে পারছেন না, তাই নিশ্চয়ই গরিব কোন মেয়েকে টাকার লোভ দেখিয়ে এই কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু সুহাসিনীকে দেখে আমি সত্যিই বিরাট ধাক্কা খেয়েছিলাম।
“ফরহাদ…” মায়ের দ্বিতীয় ডাকে আমি আমার ঘোর ভেঙ্গে তার দিকে তাকালাম। দেখলাম সত্যিই বেশ বয়স হয়েছে তার। আগের মতন সেই তীক্ষ্ণতাটা আর নেই। আমি দাঁত কামড়ে তার চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম
“এই বাড়িটা আমার বাবার। আমি কেন এখানে এসেছি তার জবাব আপনাকে দেবার কোন প্রয়োজন নাই। যদি আমি চাই আপনাকে এখানে থাকতে নাও দিতে পারি।” কথাটা বলেই আমি তাকে উপেক্ষা করে ঘরের ভেতরে পা বাড়ালাম। একবারের জন্যেও পেছনে ফিরে তাকে দেখলাম না আমি। মনে মনে বললাম যা ইচ্ছে তাই…
এই কাজটা করে আমি বেশ প্রশান্তি বোধ করছিলাম, মনে হচ্ছিল একটা চাপা পাথর যেন আমার বুকের উপর থেকে সরে গেল। ভেতরে ভেতরে বেশ প্রফুল্লবোধ হচ্ছিল।
এখানে একটা কথা উল্লেখ করা জরুরি, আমার ভাই রিয়াদের জন্মের পর বাবা যখন বুঝতে পারলেন সে একজন প্রতিবন্ধী তখন তিনি মারা যাবার আগে তার সমস্ত সম্পত্তি আমার নামে লিখে দিয়েছিলেন। আমার বাবা মায়ের সম্পর্কটা যে ভাল ছিল না সেই স্মৃতি মনে না পড়লেও বাবার এই কাজ থেকে সেটা নিশ্চিত বোঝা যায়।
আমি বাড়ির চারপাশ দেখতে দেখতে ভেতরে যেতে থাকলাম। দীর্ঘ ১৯ বছরে এই বাড়ির তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি বললেই চলে। এতদিনের ঝাপসা স্মৃতিগুলি যেন হঠাৎ পরিষ্কার হয়ে উঠেছিল। সিঁড়ি দিয়ে উঠে আমি সোজা চলে গেলাম আমার ভাই রিয়াদের ঘরে। একটা কাঠের চেয়ারে ঠিক জড় বস্তুর মতন হাত পা ছড়িয়ে বসে ছিল সে। ঘোলা চোখ আর কাঁচা পাকা চাপ দাঁড়ি তার, দেখে একেবারে চেনার উপায়ই নেই। তার পাশেই বসে ছিল সুহাসিনী। আমি আবার তাকে দেখলাম, আমার চোখ আবার আটকে গেল ওর দিকে। চোখ যেন আর সরাতে ইচ্ছে করে না। আমাকে দেখে সেও একটা লাজুক হাসি হাসল। আমি জানি না কি, আমি বলতে পারব না কি, কিন্তু কিছু একটা ছিল সেই হাসিতে যা আমাকে অস্থির করে দিয়েছিল।
এমন সময় পেছন থেকে এক অপরিচিত কর্কশ কণ্ঠে “সুহা…আ আ” ডাক শুনে আচমকা কেঁপে উঠলাম আমি। পেছনে ফিরতেই একজন মানুষকে দেখতে পেলাম যাকে আমি আগে দেখিনি কখনও। একজন বয়স্ক বৃদ্ধ মানুষ, তিনি লাঠিতে ভর দিয়ে দরজার বাইরে আবছা অন্ধকারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমিও দরজার সামনে গেলাম ওনাকে আরও ভালভাবে দেখার জন্য। তিনি একটা কাল জুব্বা পরিহিত ছিলেন, তার সারা মুখে আর হাতে ছোপ ছোপ দাগ ছিল, ঠিক বসন্ত রুগীর দাগের মতন। বলতে খারাপ লাগলেও তিনি বেশ কুৎসিত একজন মানুষ। সুহাসিনী তার ডাকে জবাব দিল “জি বাবা”। এমন কুৎসিত একজনের মেয়ে সুহাসিনী মতন সুন্দরী কি করে হয় সেটাও আমার মাথায় আসল না কোন ভাবেই।
“বড় সাহেব কে তার ঘরটা ঘুছিয়ে দাও মা। উনি অনেক দূর থেকে এসেছেন। কিছু দিন থাকবেন মনে হয়।” লোকটা কথা বলার সময় আমার মনে হল তিনি অন্ধ। কিন্তু উনি যখন চলে যাচ্ছিলেন তখন তার হাত আর লাঠির ইশারা গুলি দেখে সেটা একেবারে নিশ্চিত হলাম আমি।
মেহমানদের ঘরটাতে থাকলে দেয়া হল আমাকে। আমি ঘরে ঢুকেই আমার স্ত্রীকে ফোন করে আমার খরব দিলাম। তার সাথে কিছুক্ষণ ভাল মন্দ কথা বলে ফোন রেখে স্নান সারলাম। আমার স্ত্রী মারিয়া বেশ সুন্দরী কিন্তু সুহাসিনীর কাছে কিছুই না। আমার স্ত্রী মারিয়া কেন, দেখার সাথে সাথে তাক লেগে যাওয়া সুন্দরী মেয়েরা পর্যন্ত সুহাসিনীকে দেখে মূর্ছা যাবে। সুহাসিনী যেন একটা রূপের অগ্নিয়গিরি। ওকে দেখে আমার এখানে আসার উদ্দেশ্যটা আমি একেবারেই ভুলে গিয়েছিলাম।
~
আমাদের বাড়ির আশে পাশে সেদিন বিকালেই বের হয়েছিলাম। লোকজন নেই বললেই চলে। আশেপাশের এলাকা গুলি শহুরে হয়ে গেলেও এই এলাকাটা এখনও আগের মতনই আছে। অপরিচিত দুজন লোকের সাথে দেখা হয়েছিল, তাদের আমার পরিচয় দিতেই বুঝতে পারলাম আমার উপস্থিতি আমার মায়ের মতন তারাও পছন্দ করছেন না। না করলে নাই, কাল থানায় যাব। আমার মা আর এই এলাকার সবার ভণ্ডামি এবার শেষ করব আমি। বিছানায় শুয়ে শুয়ে আবার ঘড়ি দেখলাম। রাত ২ টা বেজে ২৫ মিনিট। আমি প্রায় দু ঘণ্টার ও বেশী সময় ধরে ঘড়ি দেখেই চলেছি। মনটা সুহাসিনীকে দেখতে চাইছে। বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে গেলে একটা সুযোগ আছে ওর কাছে যাবার। সুহাসিনীর দৃষ্টি আমাকে এই ইঙ্গিত করেছে, আমি জানি। আর করবেই না কেন? এমন একটা মেয়ে একজন প্রতিবন্ধীর কাছে কি বা পাবে ?
বিছানা থেকে উঠে আমি আমার ঘর থেকে বের হলাম। পা টিপে টিপে রিয়াদের ঘরে গিয়ে দরজা খুলে উঁকি দিতেই চমকে উঠলাম আমি। আমার শরীরের সমস্ত লোম গুলি একসাথে দাঁড়িয়ে গেল। এমন একটা দৃশ্য যা কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ করে দিল আমাকে।
চলবে......