01/11/2025
শ্রীমঙ্গলে গভীর রাতে এম ইদ্রিস আলীকে অনৈতিক কাজের অভিযোগ এনে আটক করে এলাকাবাসী:ইদ্রিস আলীর দাবি সে তার বিবাহিত স্ত্রী
আমার সিলেট রিপোর্ট: গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে, দেখতে দেখতে আরো কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, এতে দেখা যায় শুক্রবার দিবাশেষে শনিবার রাতে প্রায় তিনটার দিকে শ্রীমঙ্গলে পরকীয়া সম্পর্কের অভিযোগে গভীর রাতে আশিদ্রোন ইউনিয়নের শিববাড়ি এলাকার শংকরসেনা গ্রামে ২ নং ভুনবীর ইউনিয়নের সাদাতপুর (আঐ) গ্রামের মৃত ছাত্তার মিয়ার ছেলে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি'র সাবেক প্রচার সম্পাদক, বর্তমান শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও আমার দেশ পত্রিকার মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি এবং স্থানীয় একটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম ইদ্রীস আলীকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ঐ গ্রামের পাখি মিয়ার বিধবা মেয়ের মায়ের ঘরে এলাকাবাসী তাকে আটক করে এবং বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকে, একপর্যায়ে তাকে রশি দিয়ে বেঁধে নেওয়ার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে টানা হেঁচড়া চলে।
এ সময় বাড়ির মালিক এক প্রৌঢ়া নারী (পাকি মিয়ার স্ত্রী) তারঘরে প্রবেশকারীদেরকে প্রথমে মেয়ের জামাই আছে বলেনি, না বললেও শেষ পর্যায়ে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে এমন দাবি করে এবং স্ত্রীর দাবিদার মহিলা (নাসরিন বেগম) এবং তার ভাই এলাকাবাসীকে বোঝানোর চেষ্টা করে দুই মাস আগে তাদের বিয়ে হয়েছে কিন্তু কেউ তা বোঝার চেষ্টা করেনি বারবার বিয়ের ডকুমেন্ট দাবি করে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, বাড়ির আশপাশের লোকজন দাবি করেন আজ থেকে একমাস পূর্বেও তার জন্য জামাই দেখা হয়েছে তাহলে বিয়ের দুই- মাস কিভাবে হলো? ভিডিওতে ইদ্রিস আলীকে যারা আটক করেছে তাদের বক্তব্যে বুঝা যায় যে তারা ইদ্রিস আলীকে নামে পরিচয় পূর্বে জানতেন না যখন সে সাংবাদিক পরিচয় দেয় তখন তারা অনেকেই তাকে চিনে ফেলেন।
এদিকে স্ত্রীর দাবিদার ত্রিশোর্ধ এক নারী প্রথমে কিছুটা হালকা ভাবে বিষয় টা বলার চেষ্টা করলেও আটককারীদের নানা প্রশ্নের ফলে একপর্যায়ে ওই নারী বিয়ে করেছে বলে জানায় এবং সময়মতো তা বলবে বলে জানান। তবে উপস্থিতিতে বিয়ের স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে ইদ্রিস আলী স্বপক্ষে ভূনবীর ইউনিয়নে দুইটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, এতে ইদ্রিস আলী সহ বক্তারা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে লেখালেখির কারণে তারা মব সৃষ্টি করেছেন বলে তিনি এবং তার স্বপক্ষের লোকেরা দাবী করেছেন। আবার অনেককে দেখা যাচ্ছে ওই প্রতিবাদের বিরোধিতা করে নানা ধরনের কমেন্টস করে যাচ্ছে।
এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে ভাইরাল হওয়া বেশ কয়েকটি ভিডিওর বিভিন্ন কমেন্টে নানা ধরনের বক্তব্য উঠে এসেছে। এতে নেটিজেনদের অনেকেই দোষারোপ করলেও কিছু লোক এর বিরোধিতাও করেছেন, তবে এর সংখ্যা কম। কেউ কেউ দাবি করছে তিনি দ্বিতীয় বিবাহ করেছেন, করতেই পারে । আবার অনেকেই সন্দেহ পোষণ করছেন যে ঘটনাটি স্ত্রী দাবিদার মহিলার একটি পাতানো খেলা হতে পারে! যাতে করে সে তার পরিকল্পিত টার্গেট সম্পন্ন করতে পারে, অনেকের ধারনা এতে সে সফল হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি নেটিজেন সহ সকলের একটি দাবি বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এক পর্যায়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে রাতেই পুলিশের একটি দল সেখানে হাজির হন। এ সময় পুলিশের এসআই সজিব আলাপ-আলোচনের মাধ্যমে তাকে উদ্ধার করে এবং তার স্বজনদের মাধ্যমে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। আটক ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে লিখিত কোন অভিযোগ না থাকায় পুলিশ থাকে থানায় নিয়ে আসেনি বলে জানান তিনি। এসআই সজিব আরো বলেন, উপস্থিতিতে ওই নারী (নাসরিন বেগম), তার মা ও ভাইয়ের জানা মতে বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেছেন তবে কোন প্রকার ডকুমেন্টস দেখাতে সক্ষম হননি। এক প্রশ্নের যেভাবে তিনি জানান ভিকটিম ও তার পরিবার জানিয়েছে প্রায় দুই মাস পূর্বে তাদের বিয়ে হয়েছে।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি রাত প্রায় আড়াইটার দিকে ফোনে জেনেছি, সংবাদ পাওয়ার পর পর আমাদের পুলিশের একটি টিম পাঠিয়েছি তারা এলাকার উত্তপ্ত পরিবেশ শান্ত করেছে এবং এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে বিষয়টি সাময়িকভাবে শেষ করা হয়।পরে আজ সকালে আমি নিজেও ওই মহিলার বাড়িতে গিয়েছি, ঘরে তালাবদ্ধ পেয়েছি, কাউকে পাইনি, এ পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিউজ আপডেট