03/03/2025
যে মেয়েটা এইমাত্র তার প্রেমিকের স্টোরি আর চোখের শীতলতার কারণ হলো, সে আমার প্রেমিকা! ছিলো! বসতে চাইলে উঠোন হতো, শুতে চাইলে কোল।
ও আমার প্রেমিকা। বর্তমান বয়স সতেরো বছর। স্কুলের গণ্ডি এখনো পেরোয়নি। পরিবারে সবার ছোট। অনেক আদুরের।
আমার কোন শার্টে কটা বোতাম ছিঁড়ে গেছে, কোন ঘড়িটার ব্যাটারি শেষ, কোন জুতাগুলো মুচির কাছে সেলাই করতে হবে, মাসের কোন সময়টাতে আমার পকেটে টাকা থাকে না,ও সব জানতো!
ও জানতো,আমি নানাবাড়িতে মানুষ! আমার বাবার জমিজমা বলতে বেঁচে থাকতে বাড়ি-ভিটে আর মরার পরে কবরস্থান ছাড়া কোনো জমি নেই, সে এটাও জানতো! আর আমিও যে ছন্নছাড়া এটাও তার অবগতির বাইরে ছিলো না।
আমি একটুতেই অনেক রেগে যাই, মাঝে মাঝে মুখ খারাপ করি, কিংবা রাগের মাথায় যে তার সাথে মিছেমিছি ব্রেকআপ করতাম, অন্য কোনো ছেলের সাথে তার চলাফেরা আমি পছন্দ করতাম না, খোলামেলা পোষাক আমার পছন্দ না, সে এটাও জানতো।
কোন ওষুধে আমার মাথাব্যথা ভালো হয়, আমার কোন বন্ধুটা স্বার্থপর, কোন বন্ধুটা সুবিধাবাদী, কোন বন্ধুটা ভালো, ও সব জানতো।
কিন্তু আমি জানতাম না! দিনের পর দিন সে প্রতারণা করেছে আমার সাথে! বন্ধুত্বের নাম দিয়ে আখের গোছাচ্ছে অন্য ছেলের সাথে! দীর্ঘ আড়াই বছরের সম্পর্কে প্রতারিত হয়েছি পদে পদে! শেষমেষ সত্যিকার অর্থেই একদিন ব্রেকআপ করলাম! আমি করলাম! কেন জানেন? সে জানতো কি করলে আমি তাকে নিজেই ছেড়ে দেবো। আগেই বলেছি, সে সব জানতো। তারপর সে সেটাই করলো। আর আমি তাকে ছেড়ে দিলাম! আমি হয়ে গেলাম প্রতারক!! এরপর সে তার ঐ প্রেমিকের সাথে একপ্রকার প্রকাশ্যেই সম্পর্ক চালু রাখলো। তার সাথে সম্পর্ক নষ্ট করার কারণে সবার কাছে পরিচিত হলাম প্রতারক, বেঈমান, স্বার্থপর হিসেবে! আর যখন তার সেই গোপন সম্পর্কের প্রমাণ গুলো তুলে ধরতে লাগলাম, তখন আমাকে আখ্যা দেওয়া হলো কুচক্রী, অপবাদকারী হিসেবে!
এতোকিছুর পরেও তাকে আমি ক্ষমা করতে পেরেছি, শুধু নিজেকে ক্ষমা করতে পারি নি! কখনো পারবোও না!
ভালো থাকুক সে।
— নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক