Sakib KN Topician

Sakib KN Topician .Topician

আহিল: উইল ইউ ম্যারি মি ঝুমুর? গালে হাত দিয়ে আহিল ঝুমুতকে উদ্দেশ্য করে প্রোপোজাল দেয়,,ঝুমুর: একি গালে হাত দিয়ে কে প্রোপোজ...
07/07/2025

আহিল: উইল ইউ ম্যারি মি ঝুমুর?

গালে হাত দিয়ে আহিল ঝুমুতকে উদ্দেশ্য করে প্রোপোজাল দেয়,,

ঝুমুর: একি গালে হাত দিয়ে কে প্রোপোজ করে।

আহিল: না মানে আবার যদি মারো।এমনি দুই দুইটা খেয়েছি আর খাবনা প্লিজ

ঝুমুর হো হো করে হাসতে লাগে আহিলের কথা শুনে,,

ঝুমুর: আচ্ছা আমি সরি আমার ভুল হয়ে গেছে 🥺

আহিল: খুব জোরে মারো তুমি।

ঝুমুর: বললাম ত সরি এবার রিংটা পরিয়ে দিন বিয়ে কি করার ইচ্ছে আছে আদৌ?

আহিল: আরে অবশ্যই আছে কি বলো হুম।

আহিল ঝুমুরকে রিং টা পরিয়ে দেয় আর বলে,,

আহিল: এই শোনো কালকে কিন্তু আমরা বিয়েটা করে নিব আগে রেজিষ্ট্রি ফেলি তোমাকে তোমার যোগ্য সম্মান দেই তারপর সুযোগ সুবিধা বুঝে একটা গ্র‍্যান্ড ওয়েডিং প্ল্যান করব।

পরেরদিন,,,

সকাল হতেই আহিল গাড়ি নিয়ে ঝুমুরের কাছে আসে।ঝুমুর একটা সুন্দর লাল টুকটুকে শাড়ি পরে আহিল ঝুমুরকে দেখে বলে,,

আহিল: মাশাল্লাহ কি সুন্দর লাগছে আমার বউকে আমি ত আবার প্রেমে পরে গেলাম।

ঝুমুর: এখনো হয়নি বউ।

আহিল: এইতো একটু পরি হয়ে যাবে।

আহিল ঝুমুর কাজী অফিসে গিয়ে বিয়েটা সেরে নেয়। বিয়ে করেই আগে তারা দাদির কাছে যায় দোয়া নিতে। দাদি তাদের আজকে তার বাসায় থাকতে বলে।

রাতে,,,,

আহিল ডিনার শেষে বারান্দায় এসে সিগারেট জ্বালাতেই ঝুমুর বলে উঠে,,

ঝুমুর: একদম এসব আজেবাজে জিনিস আমার সামনে খাবেন না আমার এসবের গন্ধে বমি আসে।

আহিল: আরে আমি সবসময় খাইনা ত শুধু,,

ঝুমুর: আপনার ত দেখছি খুব দোষ আছে মদ খান সিগারেট খান।

আহিল: এহ!! আমি মদ খাইনা শুধু সেইদিনি খেয়েছিলাম নিজেকে সামনানোর জন্য কিন্তু পরে উল্টোটা হয়ে গেছে।

ঝুমুর: আর এসব খাবেন না বলে দিচ্ছি।

আহিল: বেশ খাবনা কিন্তু তার জন্য তোমাকে পেনাল্টি দিতে হবে।

ঝুমুর: পেনাল্টি মানে?

আহিল: মানে যখন যখন আমার সিগারেটের নেশা উঠবে আমি তোমাকে কিস করব আর ততক্ষণ পর্যন্ত করব যতক্ষণ না আমার নেশা মিটে যায় এই যেমন এখন আমার খুব সিগারেটের নেশা উঠে গেছে,,,

টানা ৩ মিনিট ঝুমুরের ঠোঁট রাজত্ব করতে পেরে আহিলে ঠোঁটে চওড়া হাসি ফুটে উঠে। এইদিকে ঝুমুর আহিলের এসব উথাল পাথাল কর্মকাণ্ডে পাগল হয়ে যাচ্ছে।দুইজন কিছুক্ষণ চুপ থাকে ঝুমুর আহিলের ফিটফাট বুকের উপর তার আঙুল দিয়ে খেলতে থাকে হঠাৎ কিছু একটা মনে হতেই ঝুমুর লাফিয়ে উঠে।

আহিল: কি হলো?

ঝুমুর: একটা কথা মনে হলো হুট করে।

আহিল: কি কথা?

ঝুমুর: সেইদিন যদি নিলার জায়গায় আমি না আসতাম তাহলে আপনি নিলার সাথেই এসব করতেন আর নিলাও এখন প্রেগন্যান্ট হয়ে যেত আর....

আহিল: এই এই এই থামো থামো তুমি কই থেকে কই চলে গেলে? হঠাৎ নিলা আসলো কই থেকে?

ঝুমুর: না এটা ত সত্যি তাইনা বলুন? আপনি ত তখন জানতেন আমি নিলা।

আহিল: এই জন্যই বলে মেয়ে মানুষের ওভারথিংকিং এর কোন সীমাপরিসীমা নেই।শোনো তুমি সুন্দর তুমি এট্যাক্টিভ তাই ত তোমাকে দেখে আমি নিজেকে সামলাতে পারিনি। আমার ত শুধু প্রতিশোধ নেওয়া দিয়ে কথা ছিল এসব ত আমি ভাবিনি কিন্তু তোমাকে দেখে তখন নিজেকে সামলানো খুব মুশকিল ছিল তুমি বলেই এতকিছু হয়েছে নাহলে কে নিলা ওরে পাত্তাই দিতাম না হুম

ঝুমুর আহিলের কথা খুশি হয় মেয়ে মানুষ ত একটু তারিফ করতেই গলে গিয়াছে 🌚

ঝুমুর: একটু ত লজ্জা করুন। আপনার লজ্জা নাই থাকতে পারে আমার লজ্জা আছে সরুন আমি দাদির কাছে যাব।

আহিল: এখন আর কথা বাড়িও না জান এসো আরেকটু আদর করি।

বলেই আহিল ঝুমুরের গলায় আর ঠোঁটের স্পর্শে মাতাল করে দেয়।আরেকটু গভীরে যাওয়ার আগেই আহিলে ফোন বেজে উঠে,,

আহিল: আরেহ ইয়ার!! এইটাইমে ফোন বাজতে হয় ধুর ধরব না।

ঝুমুর: আরে না দেখো কে ফোন করেছে যদি কোন দরকার হয়।

আহিল ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও ফোনটা ধরে।

আহিল: হ্যালো কে?

পুলিশ: হ্যালো মিস্টার আহিল আমি পুলিশের হেড কোয়াটার থেকে বলছি।একটা ইনফরমেশন আপনাকে জানিয়ে রাখি।

আহিল: বলুন।

পুলিশ:ওই মারাত্মক মাফিয়া কিন্তু বাংলাদেশেই আছে এটা শিওর।আপনি ওর আগের প্ল্যান এমন ভাবে নষ্ট করে দিয়েছেন একজন সাধারণ মানুষ হয়েও ও কিন্তু প্রতিশোধ নিবেই তাই ত আপনার সাথে আমাদের ১০ জন সিক্রেট এজেন্ট দিয়েছি আপনি বাংলাদেশে এসেছেন শুনে।আপনি সেইদিন আমাদের যা সাহায্য করেছেন এটা আমার কর্তব্য ছিল। আপনি এবং আপনার ফ্যামিলি প্লিজ একটু সাবধানে থাকবেন ও কিন্তু যখন তখন যা খুশি করতে পারে আর পরিচয় চেঞ্জ করতে সে এক্সপার্ট।

আহিল: ধন্যবাদ স্যার ইনফরমেশনটা দেওয়ার জন্য। আমি সাবধানে থাকব।

কল কেটে দিয়েই আহিল বেশ চিন্তিত হয়ে যায়। ঝুমুর আহিলের চিন্তিত চেহারা দেখে বেশ ভয় পায়।

ঝুমুর: কিছু কি হয়েছে উনি কি বলছিলেন? কিসের মাফিয়া কিসের এজেন্ট প্লিজ আমাকে বলুন আমার খুব চিন্তা হচ্ছে।

আহিল ঝুমুরকে তার এক বাহুতে জড়িয়ে নিয়ে শান্ত গলায় বলে,,

আহিল: আমি যখন বিদেশে ছিলাম তখন আমার সাথে একটা ঘটনা ঘটে যার ফলে আমি একটা মাফিয়ার নজরে পরে যাই।

ঝুমুর: কি বলছেন? আর আমি একটা কথা আপনাকে বলব অনেকবার ভেবেছি কিন্তু বলা হয়নি।আপনি ত একজন বিজনেস ম্যান তাহলে আপনার সাথে এতগুলো বডিগার্ড থাকে কেন?

আহিল: ওরা আসলে বডিগার্ড নয় ওরা পুলিশের এজেন্ট। পুলিশ ওদের আমার প্রটেকশনের জন্য রেখেছে কেননা ওই মাফিয়াটা এখন এখানেই আছে।

ঝুমুর: কি!!!! আমাকে সব কিছু বলুন আহিল প্লিজ।

আহিল: বলছি বলছি শোনো।এই মাফিয়া হচ্ছে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন। সারাদেশে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা আছে ওর খুব চালাক তাই পুলিশ গোয়েন্দা ওর খোজ পায়না। ও বিভিন্ন দেশ থেকে মেয়েদের তুলে আরেক দেশে বিক্রি করে দেয়।আমি যখন লন্ডনে ছিলাম তখন সে এই কাজ করছিল একটা ট্রাকে করে মেয়েদের পাচার করছিল। সেইদিন আমার কোম্পানি থেকেও একটা ট্রাক অনেক জিনিস নিয়ে বের হয়েছিল অনেক বড় অর্ডার ছিল তাই ট্রাকের পেছনে আমিও ছিলাম গাড়ি নিয়ে গোডাউনে মালপত্র ঠিক মতো রাখা হয়না কিনা দেখার জন্য। হুট করে আমার ট্রাক আর ওই ট্রাক রাস্তায় এক্সিডেন্ট করে আমি পেছনেই ছিলাম আমি জলদি গাড়ি থেকে নেমে দেখি তেমন ক্ষতি হয়নি শুধু টাচ করে গেছে আমি ওদের বললাম যে ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমি টাকা দিব কারণ দোষ আমার ড্রাইভাররের ছিল ওরা আমার সাথে কোন কথা না বলেই সোজা গাড়ি টানে।আমি খেয়াল করেছি যে ট্রাকের পেছন থেকে গো গো শব্দ আর খেয়াল করলাম যে ট্রাক থেকে চুইয়ে চুইয়ে রক্ত পরছে। আসলে এক্সিডেন্ট এর কারনে ভেতরে থাকা কয়েকজন মেয়ের চোট লেগে রক্ত পরছিল আমার খুব সন্দেহ হওয়ার আমি গাড়ি নিয়ে ওদের পিছু নেই গিয়ে দেখি এই কাহিনি আমি চুপিসারে পুলিশের কাছে কল দেই আর পুলিশ দ্রুত এসে মেয়েদের উদ্ধার করে।পরে ওই মাফিয়াটা কিভাবে যেন জেনে যায় আমি পুলিশ ডেকেছি তাই অনেকবার আমাকে এট্যাক ও করেছিল কিন্তু তেমন ক্ষতি করতে পারেনি। আমাকে এখন আরও সাবধানে থাকা লাগবে কারণ এখন আমি একা নই আমার সাথে তুমি আছো আমাদের সন্তান আছে।

ঝুমুর আহিলকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঝুমুরের চোখে ভয় স্পষ্ট। কাপাকাপা কণ্ঠে বলে,,

ঝুমুর: আমার খুব ভয় করছে আহিল আবার কোন বিপদ আসবেনা ত।

আহিল: কিছু হবেনা ভরসা রাখো আর একা কোথাও যাবেনা সব সময় বডিগার্ড সাথে রাখবে আর এখন বাইরে যাওয়ার ই দরকার নেই।

ঝুমুর: আর তুমি?

আহিল: আমাকে নিয়ে চিন্তা করোনা আমার সাথে সবসময় বডিগার্ড থাকবে ওরা খুব দক্ষ। আমি সেদিন পুলিশের এত সাহায্য করেছিলাম তাই ওরা আমার কাছে কৃতজ্ঞ আমার ক্ষতি হতে দিবেনা তুমি ভেবোনা।

আহিলের কথা ঝুমুর সাময়িক স্বস্তি পেলেও মনের মধ্যে তার ভয় কাজ করতে থাকে।ঝুমুর আহিলকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আহিলের বুকের উপর ঘুমিয়ে যায়।

আহিল: আমাকে আরও সাবধান হতে হবে তুমি জানোনা ঝুমুর ও কতটা ভয়ংকর। আমার নিজেকে নিয়ে ভয় নেই কিন্তু তোমার কোন ক্ষতি হলে আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবনা।
________________

কালি: ডেলিভারির কিন্তু আর ১ দিন আছে। সব কিছু রেডি তো রিদয়?

রিদয়: জ্বি বস, কালকেই আমি ফাইনাল জনকে তুলে নিব তাহলেই ১০,সব প্ল্যান রেডি।

কালি: বেশ। আব মে চালতিহু।

রিদয়: বস আপনার জবাব নেই আপনি প্রায় সব দেশের ভাষাই কত সুন্দর করে বলেন।

কালি: আমাকে সব জায়গার ভাষা জানতেই হয় কেমনা আমি ওইভাবেই ডিল করে যাতে পুলিশ কেন পুলিশের বাপ ও আমাকে খুজে না পায়।

পরেরদিন রিদয় ওত পেতে থাকে ঝুমুর কখন অফিসে আসবে সেটা দেখার জন্য আজ তাকে কাজ সারতেই হবে। রিদয় হুডি টুপি করে আহিলের অফিসের সামনে দাড়িয়ে আছে তখন একটা গাড়ি এসে দাঁড়ায়। সেই গাড়ি থেকে নামে ঝুমুর সাথে ৫ জন বডিগার্ড,,,

রিদয়: একি!! ঝুমুর না ওটা? ওর সাথে এত লোক কেন দেখে ত মনে হচ্ছে ওকে প্রটেকশন দিচ্ছে। এবার কি করব আমি কিভাবে ঝুমুরকে পাব? বস ত আমাকে শেষ করে দিবে না যাই আবার নতুন কিছু ভাবতে হবে।

বলেই রিদয় চলে যাচ্ছিল তখনি কারও সাথে সজোরে ধাক্কা খেয়ে রিদয় হোচট খায়।

প্রেমা: আরে কানা নাকি চোখে দেখেন.....না!!
রিদয় তুমি?

রিদয়: একি প্রেমা তুমি এখানে কি করছ?

প্রেমা: আগে তুমি বলো ব্যাপার কি তোমার কোথায় ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছ? আমি তোমাকে ছাড়বনা আমার সব কিছু শেষ করে দিয়ে তুমি এইভাবে পালাতে পারোনা।

রিদয়: আরে তুমি শান্ত হও আমার কথা শোনো

প্রেমা: এই বাচ্চা আর আমাকে একা রেখে গেলে কিভাবে তুমি?

রিদয়: তুমি সত্যি প্রেগন্যান্ট?

প্রেমা: ত তোমার কি মনে হয়েছে আমি মজা করেছি সিরিয়াসলি?

রিদয়: তুমি সত্যি প্রেগন্যান্ট আমি বাবা হবো?

মূহুর্তেই রিদয়ের মুখটা খুশি হয়ে যায়।

প্রেমা: তুমি খুশি হচ্ছ? মানে তুমি এই বাচ্চাটাকে মেনে নিবে?

রিদয়: কেন মেনে নিবনা তোমাকে না হয় ভালোনাই বাসলাম কিন্তু আমার বাচ্চাটাকে ত আর ফেলে দিতে পারিনা।

রিদয় প্রেমার কাছে তার বাচ্চার কথা শুনে অনেক ইমোশনাল হয়ে যায় তার মধ্যে বাবা হওয়ার বাসনা জেগে উঠে।

প্রেমা,: তাহলে চলো আমরা বিয়ে করে নেই আমি তুমি আর আমাদের সন্তান এক সাথে থাকব।

রিদয়: করব কিন্তু আমাকে আজকের দিনটা সময় দাও। আজকে আমার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে সেইটা শেষ করতেই হবে আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি কাল আমরা বিয়ে করব।

প্রেমা: সত্যি ত? আবার পালিয়ে যাবেনা ত?

রিদয়: না, তুমি যে বাধনে আমাকে বেধে ফেললে আমি আর কোথায় যাব?

রিদয় প্রেমার থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়,রাস্তায় হাটতে হাটতে রিদয় খুব চিন্তিত হয়ে ভাবতে থাকে,,

রিদয়: প্রেমাকে বলে ত দিলাম ওকে বিয়ে করব কিন্তু প্রেমা যদি জানতে পারে আমি কত খারাপ একটা মানুষ আর আমার বাচ্চা!! ও যদি জানে কোনদিন যে ওর বাবা এত বড় একজন অপরাধী তখন কি হবে? না না আমি এই কাজ ছেড়ে দিব। সরে আসব এই পথ থেকে। নতুন করে বাচব, আজকের কাজটাই হবে আমার শেষ কাজ।
________________
বডিগার্ড : স্যার স্যার সর্বনাশ হয়ে গেছে।

আহিল: কি হয়েছে?

বডিগার্ড : ঝুমুর ম্যামকে কোথাও খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা।

আহিল এই কথা শুনে লাফ দিয়ে উঠে পরে চেয়ার থেকে।

আহিল: খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা মানে কি? আমি ত তোমাদের ভরসায় ওকে পাঠালাম।

বডিগার্ড : সরি স্যার ম্যাম আসলে ফিমেল ওয়াশরুমে গেছিল ওখানে ত আর আমরা যেতে পারনা। অনেকক্ষন হয়ে গেছে ম্যাম বের হচ্ছিলনা দেখে আমরা একজন মহিলাকে ভেতরে পাঠাই উনি এসে বসে ম্যাম নাকি নেই।

আহিল,: ঝুমুর!! আমাএ ঝুমুর কোথায় গেল?

আহিল পাগল পাগল করতে থাকে তার মাথা কাজ করছেনা জলদি সে পুলিশকে ফোন করে।

ওইদিকে,,,

রিদয়: ঝুমুর আমাকে ক্ষমা করে দাও এই কাজ না করলে আমি এইখান থেকে যেতে পারবনা। আমি যখন থেকে শুনেছি আমি বাবা হবো আমার মধ্যের খারাপ মানুষটা শেষ হয়ে গেছে আগে এসব কাজ কিছু মনে হতোনা কিন্তু এখন আমার হাত কাপছে তুমি এখানে থাকো ঘুমিয়ে একটু পর ওরা এসে তোমাকে নিয়ে যাবে।

ঝুমুর সহ বাকি ৯ জন মেয়েকে গাড়িতে তোলা হচ্ছে এমন সময় ঝুমুরের জ্ঞান ফিরে।ঝুমুর ছটফট করতে থাকে মুক্তির জন্য সে তার মুখের বাধন খুলে কোন মতো।

ঝুমুর: রিদয় ভাইয়া আপনি? আপনি এই নোংরা কাজগুলোর সাথে জড়িত? প্লিজ আমাদের ছেড়ে দিন প্লিজ।

রিদয়: আমাকে ক্ষমা করে দিও ঝুমুর আমি নিরুপায়।

রিদয় আবার ঝুমুরের মুখ বেধে দেয়।

কালি: এই জলদি কর আর সময় নেই।

লোকগুলো মেয়েদের জোড়পূর্বক গাড়িতে তোলে ঝুমুর কথা না শোনায় কালি ওকে একটা থাপ্পড় মারতে যাবে ঠিক তখনি,,,

আহিল: খরবদার যদি ওর গায়ে হাত দিস আমার থেকে খারাপ কেউ হবেনা।

কালি: আরেহ এ কাকে দেখছি আমি মাছ যে নিজে থেকেই বরসিতে এসে উঠেছে। তোকে কত খুজেছি আহিল চৌধুরী ফাইনালি তুই ধরা দিলি তাও নিজে থেকে বাহ।

আহিল: মেয়েগুলোকে ছেড়ে দে সাথে ঝুমুরকেও।

কালি: কে হয় তোর?প্রেমিকা না বউ?

আহিল: দুটোই

কালি: তাহলে ত ছাড়া যাবেনা।আগে তুই বলত তুই এখানে এলি কিভাবে?

আহিল: আমি জানতাম তুই কিছু না কিছু করবি তাই আমি ঝুমুরের চুলের মধ্যে জিপিএস স্ট্যাকার লাগিয়ে দিয়েছিলাম।

কালি: আরে সাবাস!! সেই বুদ্ধি ত? কিন্তু আফসোস এই বুদ্ধি দিয়ে কোন কাজ হবেনা।

আহিল: আমি পুলিশকে সব বলে দিয়েছি ওরা আসতেছে।

কালি: পুলিশ আসতে আসতে তোদের খেল খতম।
এই মার ওকে।

আহিল একা যতটুকু পেরেছে ওদের সামলাচ্ছে কিন্তু শেষে রিদয় কালির কথা মতো পেছন থেকে আহিলকে আঘাত করলে আহিল মাটিতে লুটিয়ে পরে।ঝুমুর সব দেখছে কিন্তু সে কিছু করতে পারছেনা কান্না করা ছাড়া।

কালি: এই ওকে বেধে রাখ পুলিশ আশা পর্যন্ত। পুলিশের সামনেই ওকে আর ওর বউকে বাজি রেখে আমাদের ভাগতে হবে নাহলে বিপদ।

রিদয় কালির কথা মতো আহিলকে একটা রুমে নিয়ে যায় আর বেধে দেয়।

আহিল: রিদয় প্লিজ আমাকে যা করার করো কিন্তু ঝুমুরকে ছেড়ে দাও ও এখন প্রেগন্যান্ট প্লিজ ওর ক্ষতি করোনা।

রিদয়: ঝুমুর প্রেগন্যান্ট?

আহিল: হ্যা ওকে যেতে দাও আমি তোমার পায়ে পরছি

রিদয়: অনেক পাপ করে ফেলেছি জীবনে আজকে না হয় তোমাদের মুক্ত করে কিছুটা পাপ কমাই তুমি এখানে থাকো আমি ঝুমুরকে আনছি।

রিদয় কালির চোখ ফাকি দিয়ে আহিল আর ঝুমুরকে ওখান থেকে বের করে দেয়। ঝুমুর আর আহিল কিছুটা দূরে গেলেই পুলিশের দেখা পায় ওরা পুলিশ নিয়ে বাকি মেয়েদের উদ্ধার করতে কালিদের ডেরায় যায় গিয়ে দেখে রিদয়ের রক্তাক্ত দেহটা মাটিতে লুটিয়ে আছে।

ঝুমুর: রিদয় ভাইয়া!!

আহিল: রিদয় তোমার এমন অবস্থা কে করল।

রিদয়: আমি যা করেছি তার শাস্তি হয়তো এটাই আমার জীবন!! কালি বুঝে গেছিল আমি তোমাদের বের করে দিয়েছি তাই ও আমাকে গুলি করে এখান থেকে পালায়। আমার কাছে হয়তো বেশি সময় নেই আহিল তোমার কাছে আমার একটা অনুরোধ আছে প্লিজ তুমি এটা রেখো।

আহিল: হ্যাঁ রাখব বলো।

রিদয়: প্রেমা আমার হবু স্ত্রী ও এখন প্রেগন্যান্ট কাল আমাদের বিয়ের কথা ছিল আমি ওকে প্রমিস করেছি যে কাল আমি ওকে বিয়ে করব কিন্তু আমি হয়তো আর....আহ,,,আর সেই কথা রাখতে পারব না তুমি প্লিজ ওদের একটু দেখো।

ঝুমুর: রিদয় ভাইয়া আপনার কিছু হবেনা এক্ষুনি এম্বুলেন্স চলে আসবে।

রিদয়: আমার হাতে আর সেই সময় নেই ঝুমুর আমি যে পাপ করেছি তাতে এই শাস্তি আমার জন্য কিছুই নয়। আমার প্রেমাকে দেখো আর,,,আ,,,,,

আহিল; রিদয়!! রিদয়

পুলিশ : উনি আর নেই মিস্টার আহিল প্লিজ আপনারা নিজেদের সামলান।

রিদয়ের লাশ দাফন করার আগে প্রেমাকে খবর দেওয়া হয় প্রেমা উন্মাদের মতো ছুটতে ছুটতে আসে। এসে রিদয়ের ডেড বডি দেখে প্রেমা মাটিতে ধপ করে বসে পরে। চোখ থেকে আর অশ্রুর স্রোত বয়ে চলে,,

প্রেমা: তুমি ত আমাকে কথা দিলে রিদয় তুমি আসবে। আমরা ৩ জন এক সাথে থাকব তাহলে এখন কেন তুমি আমাকে একা করে আবার পালিয়ে গেলে কেন?

প্রেমা রিদয়ের লাশের উপর ঝাপিয়ে পরে,,,প্রেমা জানেনা তার এত কষ্ট কেন হচ্ছে তার বুক ফেটে যাচ্ছে প্রেমা ত এত কষ্ট পাওয়ার মেয়ে নয় তবু তার কান্না আজ বাধ মানছে না।

ঝুমুর প্রেমাকে সামলে কোন মতো দূরে নিয়ে এলে রিদয়ের দাফন কার্য সম্পন্ন হয়।

[ বিপদ যতই আসুক না কেন আহিল ঠিক তার ভালোবাসা দিয়ে ঝুমুরকে আগলে রাখবে। অটুট থাকুক আহিল- ঝুমুরের জুটি ]

আর কিভাবে অটুট থাকে তা জানতে হলে রিয়াক্ট কমেন্ট করে সাথেই থাকুন আপনাদের একটি রিয়াক্ট কমেন্ট আমাদের লিখতে উৎসাহিত করে 🎀

#চলবে

গল্প : রোম্যাঞ্চ_বাই_মিস্টেক [রিদয়ের করুন পরিণতি
পর্ব:৭
লেখিকা: শারমিন_আক্তার_ঐশী

© By Sakib KN Topician

“দাজ্জাল” শুধু একজন ব্যক্তি না — সে একটা পূর্ণ ‘সিস্টেম’। একটা ফাঁদ। এক ভয়ংকর কন্ট্রোল মেশিন। আমরা অনেকেই হয়তো দাজ্জালকে...
07/07/2025

“দাজ্জাল” শুধু একজন ব্যক্তি না — সে একটা পূর্ণ ‘সিস্টেম’। একটা ফাঁদ। এক ভয়ংকর কন্ট্রোল মেশিন। আমরা অনেকেই হয়তো দাজ্জালকে ভবিষ্যতের কেউ মনে করি — কিন্তু তার ছায়া ইতিমধ্যেই আমাদের জীবনে ঢুকে গেছে, চোখের সামনে।

আজ একটু খোলা চোখে চিন্তা করি…

📡 RFID চিপ — শরীরে ঢোকানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে “সুবিধা হবে”। বাস্তবে? আপনার লোকেশন, অর্থ, স্বাস্থ্য, চলাফেরা সব ট্র্যাকিংয়ের আওতায়।

🤖 AI (Artificial Intelligence) — এখন শুধু প্রশ্নের উত্তর দেয় না, আপনার মন কী চায় সেটাও অনুমান করে। AI দিয়ে তৈরি হচ্ছে deepfake ভিডিও, যেখানে মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে দেখানো হচ্ছে। দাজ্জালের সেই “অগ্নি ও জান্নাতের বিভ্রান্তি” কি একে মনে পড়ে না?

💳 Centralized Banking System — এক দেশ নয়, পুরো পৃথিবীর পেমেন্ট সিস্টেম এক এক করে ক্যাশলেস হচ্ছে। আগামী দিনে বলা হবে, “RFID ছাড়া কেনাবেচা নিষিদ্ধ”। আপনি যদি দাজ্জালীয় সিস্টেম মেনে না চলেন — আপনার একাউন্ট বন্ধ।

🛰️ Satellite Surveillance + Smart City — ঘরে, রাস্তায়, গাড়িতে, অফিসে, এমনকি বাথরুমে পর্যন্ত ক্যামেরা-সেন্সর বসছে। কে কোথায়, কার সাথে, কী ভাবছে, কী খাচ্ছে, সব রেকর্ড হচ্ছে।

🧬 Genetic Engineering & Cloning — রোগ নিরাময়ের নামে DNA বদলানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে বলা হবে, “আমরা আপনাকে দুর্বলতা ছাড়া মানুষ বানাবো।” আসলে বানাবে “আত্মাহীন রোবট মানুষ” — যাদের ইচ্ছাও নিয়ন্ত্রণযোগ্য।

🔐 Personal Data = সবচেয়ে বড় অস্ত্র
আপনি কী ভয় পান, কী বিশ্বাস করেন, কখন কাঁদেন, কোথায় সফট… এসবই AI দিয়ে বিশ্লেষণ করে রাখা হচ্ছে। আর আপনি ভেবেছেন, “আমি তো ফেসবুকে শুধু মজা করি”?

💣 Nuclear Weapon Systems এখন AI দ্বারা চালিত — যদি দাজ্জালের মত একজন এগুলো হ্যাক করে বা তারই তৈরি AI এগুলো চালায়? আপনি ঠান্ডা মাথায় কল্পনা করুন — যদি মানুষ নয়, কোন “সিস্টেম” পুরো মানবজাতির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে?

🕋 Religion Elimination Plan — বলা হবে, “সব ধর্ম এক করো, নতুন এক Global Unity বানাও।”
যারা এক আল্লাহর ইবাদত করবে, নামাজ পড়বে, তারা হবে “cut-off”।
তাদের ওপর নামবে লেনদেন নিষেধাজ্ঞা, খাদ্য নিষেধ, চিকিৎসা নিষেধ।
ঠিক যেমন হাদিসে বলা হয়েছে:
“যে তার অনুসরণ করবে না, সে খেতে পাবে না, চলতে পারবে না।”

আজকের AI, Blockchain, BioChip, Surveillance Technology, Digital Currency — এগুলো কী কেবল অগ্রগতি?
না কি এগুলোই একদিন বলবে
Zain Mobin

©

সবাই বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে নিজ নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য তোরজোর করে।ঝুমুর - আহিল নতুন বর বউকে বিদায় জানায়,,আহিল: মিস্টার শ...
02/07/2025

সবাই বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে নিজ নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য তোরজোর করে।ঝুমুর - আহিল নতুন বর বউকে বিদায় জানায়,,

আহিল: মিস্টার শিহাব আপনার নতুন জীবনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন।

শিহাব: আমাকেও অভিনন্দন জানানোর সুযোগটা জলদি করে দিয়েন।আমি আর আমার বউ ধুমধাম করে আপনাদের বিয়ে দেখতে যাব।

আহিল ঝুমুরের দিকে আড় চোখে তাকিয়ে বাকা হাসি দিয়ে বলে,,,

আহিল: আপনার বান্ধুবি চাইলে খুব জলদি বিয়েটা সেরে ফেলব তাইনা ঝুমুর।

ঝুমুর চোখ গরম করে আহিলের দিকে তাকিয়ে জুতা দিয়ে আহিলের পায়ে একটা খোজা দিয়ে চলে যায়।আহিল তার পিছুপিছু ছুট লাগায়।

আহিল: আরে ঝুমুর দাড়াও, আরে আস্তে হাটো পরে যাবে।

ঝুমুর: আপনি কি শুরু করেছেন বলুন ত? আর কয়দিন এই নাটক চালিয়ে যাবেন?

আহিল: তুমি এত রিয়াক্ট কেন করছ আমিতো...

ঝুমুর: আপনার জন্য আমাকে সব জায়গায় গেলেই কথা শুনতে হচ্ছে কেন শুনব হুম?

আহিল: আচ্ছা বাবা কুল আমরা গাড়িতে বসে কথা বলি তুমি অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে আছো।

ঝুমুর: তার দরকার নেই আমি,চলে যেতে পারব।

আহিল: দেখো জেদ করোনা এত রাতে তুমি গাড়ি পাবেনা।

ঝুমুর: তাও আমি একাই যাব।

বলেই ঝুমুর হাটা শুরু করে।আহিল ঝুমুরের সামনে গিয়ে তাকে পাজাকোলা করে তুলে নেয়।

ঝুমুর: কি করছেন টা কি মানুষ দেখতেছে নামান আমাকে।

আহিল: না নামাব না।যে আমার কথা শোনেনা তাকে আমি এইভাবেই কথা শোনাই।

আহিল ঝুমুরকে গাড়িতে বসিয়ে সিট বেল্ট লাগিয়ে দেয়।

ঝুমুর: আপনি কি ভুলে যাচ্ছেন আপনি আমার বস,আর আমি আপনার বেতনভুক্ত কর্মচারী?

আহিল: সেটা অফিসে বাইরে নয়।

ঝুমুর: তাহলে বাইরে আপনার আর সম্পর্ক কি?

আহিল ঝুমুরের দিকে কিছুটা ঝুকে তাকে প্রশ্ন করে,,

আহিল: তুমি কি হতে চাও বলো।

ঝুমুর কিছুটা ভরকে যায় তোতলাতে তোতলাতে বলে,,

ঝুমুর: আমি কিছু হতে চাইনা।

আহিল: কিন্তু আমি বানাতে চাই।

ঝুমুর অবাক হয়ে আহিলের দিকে তাকায়,,

ঝুমুর: কি বানাতে চান?

আহিল: আমার তৈরি করা নাটকের নাইকা যেখানে তুমি আমার হবু বউ।

ঝুমুর অনেক আশা করে ছিল যে আহিল হয়তো তাকে পছন্দ করে কিন্তু ঝুমুরের আশাতে এক বালতি পানি ঢেলে দিয়ে আহিল খিলখিল করে হাসতে হাসতে ড্রাইভিং করতে থাকে।ঝুমুরের মধ্যে কেমন জানি হচ্ছে।ঝুমুরের অনেক খারাপ লাগছে একটু পর ঝুমুর পেটে হাত দিয়ে ব্যাথায় কুকিয়ে উঠে।আহিল তাড়াতাড়ি গাড়ি থামিয়ে দেয়।

আহিল: ঝুমুর কি হয়েছে?

ঝুমুর: আহ!! আমার পেট আমার পেটে কেমন জানি অস্বস্তি হচ্ছে।

বলতে বলতে ঝুমুরের শরীর প্রচুর ঘামতে থাকে।

আহিল: আপনি চিন্তা করবেন না আমি এক্ষুনি আপনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি।

আহিল যত তাড়াতাড়ি পারে গাড়ি চালিয়ে ঝুমুরকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

ডাক্তার : চিন্তার কিছু নেই এই সময় এমন একটু হয়ি সবে ত ২ মাস পার হলো আসতে আসতে ঠিক হয়ে যাবে।আমি এই ওষুধ লিখে দিচ্ছি আর এই ভিটামিন গুলো খাওয়াবেন।

ঝুমুর: ডাক্তার আমার বেবি ঠিক আছে ত?

ডাক্তার : চিন্তা করবেন না বেবি একদম ঠিক আছে।
আর আপনি দেখবেন উনি যেন বেশি কাজ না করে আপনার স্ত্রীর যত্ন নিবেন।

আহিল: আচ্ছা ডক্টর।

আহিল আর ঝুমুর হাসপাতাল থেকে বের হয়ে গাড়ির দিকে যায় তখন ঝুমুর আহিলকে পিছু ডাকে।

ঝুমুর: স্যার শুনুন!!

আহিল: বাইরে আমাকে স্যার বলার দরকার নেই কল মি আহিল।

ঝুমুর: আপনি এগুলো কেন করছেন? আমাকে এত সাহায্য করছেন আমাকে ডাক্তার দেখাচ্ছেন এগুলোর দায় ত আপনার নয়।

আহিল: সত্যি কি আমার নয়?

ঝুমুর কিছুটা ভরকে যায় ঝুমুর ভাবে আহিল বোধহয় সব জেনে গেছে।

ঝুমুর: মানে?

আহিল: সত্যি বলতে মানে আমিও জানিনা ঝুমুর কিন্তু আপনাকে আমার ভীষণ চেনা লাগে আর আপনার পেটে, ( আহিল ঝুমুরের পেটে হাত দিয়ে) এই বাচ্চাটার উপরও ভীষণ টান অনুভব হয় আপনাদের কাছে থাকলে আমার ভালো লাগে।

ঝুমুর: আপনার আমাকে নোংরা আর খারাপ মেয়ে মনে হয়না যে কিনা বিয়ে আগেই...

আহিল: চুপ করো। আমি এসব শুনতে চাইনা তোমার অতীত আমার জানার দরকার নেই।সবাই জীবনে জেনে না জেনে অনেক ভুল করে ( যেমন আমিও করেছি)
তাই বলে সেটা ধরে বসে থাকলে জীবন চলবে না।

ঝুমুর: হাত সরান!!

আহিল ঝুমুরের পেটের উপর থেকে হাত সরিয়ে নেয়।আহিলের কেমন জানি অনুভূতি হচ্ছে এই অনুভূতি আহিলের পরিচিত নয় এ যেন এক ভিন্ন রকম ভালো লাগা যা প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

আহিল: চলুন আপনি এখনো দূর্বল আপনাকে দাদির বাসায় রেখে আসি হলে আপনি একা যদি আবার অসুস্থ হয়ে যান।

ঝুমুর: দাদির বাসায় না না দাদি আগেই সন্দেহ করেছে আজকে গেলে শিওর বুঝে ফেলবে আর ভাববে হয়তো...

আহিল: হয়তো?

ঝুমুর: কিছুনা।

আহিল: আমি আমার বাসায়ি যেতে বলতাম কিন্তু তুমি যদি রাজি না হও।

ঝুমুর: যাব আমি।এইটুকু ভরসা আছে আমার আপনার উপর আমি অকৃতজ্ঞ নই।

আহিল: বেশ তাহলে চল।

আহিল ঝুমুরকে নিয়ে নিজের বাসায় আসে।বাসায় এসে ঝুমুরের সব রকম আরামের ব্যবস্থা আহিল করে দেয়।ঝুমুর শুধু মুগ্ধ হয়ে আহিলের কাজকর্ম দেখছে।

আহিল: আপনি যান ফ্রেশ হয়ে নিন।

ঝুমুর : কিন্তু আমি পরব কি এই জামাকাপড় পরে ত ঘুমাতেই পারব না।

আহিল তার একটা টিশার্ট আর থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট এনে ঝুমুরকে ধরিয়ে দেয়।

আহিল: এগুলো পরুন।আপনার যে হাইট তাতে এইগুলা ঠিকঠাক ই হবে।

ঝুমুর: আপনি আমার হাইট নিয়ে মজা করছেন?

আহিল: এমা মজা কেন করব কতই আর হবে ৫ ফুট?

ঝুমুর বসা থেকে উঠে দাড়িয়ে বলে,,

ঝুমুর: ৫ ফুট ৪

আহিল : আর আমার কত জানো? ৬ফুট ১

ঝুমুর: ( হুম ওই জন্যই ত হাতির মতো শরীরটার ভার আমাকে নিতে হয়েছে উফফ)

আহিল: কি হলো যান চেঞ্জ করে নিন আমি আপনার জন্য কিছু বানাচ্ছি।

ঝুমুর: না আমার পেট ভরা খাবনা।

আহিল: ওষুধ গুলো খেয়ে নিন তাহলে।

আহিল ঝুমুরকে ওষুধ আর পানি এগিয়ে দেয়।ঝুমুর মনে মনে ভাবতে থাকে,,

ঝুমুর: আহিল আপনি কত কেয়ারিং। আপনাকে কি বলে দিব সেইরাতের কথা এই বাচ্চাটা যে আপনার আমি কি বলে দিব? আপনি কি মানবেন? না না বলাব না আমি আপনি ত আমাকে প্রতিশোধ নিবেন বলে নিপা ভেবে তুলে এনেছিলেন।আপনি জানেন ওই মেয়েটা নিপা যদি আপনাকে সত্তিটা বলি আপনি আবার আমাকে সেইদিনের মতো ঘৃণা করবেন যদি আমার বাচ্চাটাকে না রাখেন।শত্রুর বোন ভেবে যদি আমার আর আমার বাচ্চার কোন ক্ষতি করে দেন। যতদিন না আমি শিওর হচ্ছি যে আপনি জেনে গেছেন ওইদিন রাতে নিপা বলে আপনি অন্য কাউকে এনেছিলেন ততদিন আমি এই বাচ্চার কথা আপনাকে বলব না। আমি সব হারিয়েছি কিন্তু এই বাচ্চাটাকে হারাতে পারব না আপনার যেই রুপ আমি সেইদিন দেখেছি তাতে আপনি যেমন ভালো মানুষ তেমন চরম হিংস্র।

আহিল: কি হলো কোম ভাবনায় ডুবে গেছে ঝুমুর।

ঝুমুর: না কিছুনা।

ঝুমুর সারারাত ধরে ভাবতে থাকে তার কি করা উচিত ভেবে ভেবে সে এটাই ঠিক করে আগে সে জানবে আহিল তার ভুলের কথা জানে কিনা যদি জানে তাহলেই সে সত্তিটা বলবে যে সেই রাতে আর কেউ নয় ঝুমুর ছিল।

[ সকালে ]

ঘুমঘুম চোখে ঝুমুর বিছানা ছেড়ে উঠে। উঠেই দেখে বিছানার পাশে মেয়েদের এক সেট পোশাক রাখা।ঝুমুর সেটা নিয়ে ওয়াশরুমে যায়।ডাইনিং এ এসে দেখে আহিল প্রপার ওয়েতে সেফ সেজে কিচেনে রান্না করছে।

আহিল: উঠে পরেছ? এসো নাস্তা করো।

ঝুমুর: আপনি নাস্তাও বানাতে পারেন?

আহিল: কি করব বলো ব্যাচেলার মানুষ বউ ত আর নেই যে রান্না করে খাওয়াবে।

আহিল ঝুমুর ব্রেকফাস্ট করে অফিসের জন্য বের হয়।আহিল ঝুমুরকে আজ মানা করেছিল অফিস যেতে কিন্তু ঝুমুর তাও যায়।
_________________

কালি: রিদয় তোকে আর কত টাইম দিব? আমার ১০ টা মেয়ে চাই আর ২ দিন পর ডেলিভারি আমি ডিলার কে কি বলব?

রিদয়: বস বস আমি চেষ্টা করছি। ওদের ডিমান্ড খুব হাই সব সুন্দরী মেয়ে লাগবে। আমি ৯ জনকে জোগাড় করে ফেলেছি শুধু একজন।

কালি: আজকে না তুই বিয়ে বাড়ি গেলি ঝুমুর না কাকে তুলতে সে কই?

রিদয়: ভেবেছিলাম ঝুমুর এখানে একা থাকে অসহায় মেয়ে ওকে তোলা সহজ হবে কিন্তু একটু সমস্যা হয়ে গেছে। ওরে আমি কলেজ লাইফ থেকেই নজরে রাখছিলাম সেই মাল প্রেমের প্রস্তাব কত দিছি মানেনি তাই ভাবলাম আপনার হাতে তুলে দেই।

কালি: সে কি রে তুই নাকি ওরে ভালোবাসিস।

রিদয়: ছাড়তো ৫ বছর পিছে ঘুরছি পাত্তা দেয়নি অন্য একজনের সাথে বিয়ে করবে নাকি কিন্তু আমি তার আগেই যে করে হোক ওকে তুলে আনব কিন্তু বস আমার একটা আবদার আছে।

কালি: কি?

রিদয়: ইয়ে মানে বুঝতেই ত পারছ ওরে এক সময় পছন্দ করতাম ওর ভালোবাসা পাওয়ার থেকে আমার বেশি আগ্রহ ওর শরীরের উপর।তাই বলছি ওকে তুলে এনে যদি আমি একটু..

কালি: বেশ কিছু দেখিস কোন দাগ বা কাটাছেড়া যেন না হয় শরীরে তাইলে কিন্তু ওরা টাকা দিবেনা।

রিদয়: ওকে বস যা করার আমি ওকে ঘুম পারিয়েই করব।

রিদয় বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাতে মদের বোতল নিয়ে ভাবতে থাকে কিভাবে সে ঝুমুরকে তুলবে। ঝুমুরকে সে সত্যি অনেক ভালোবাসে ছিল কিন্তু এখন সেই ভালোবাসার থেকেও বড় তার কাছে টাকা।ঝুমুর ছাড়া এই মূহুর্তে অন্য মেয়ের খোজ করা তাও দেখতে শুনতে সুন্দর রিদয়ের জন্য খুব মুশকিল। তাই সে নিজের ভালোবাসাকে মাটি চাপা দিয়ে নিজের অন্ধকার জগতের কাজকেই বেশি গুরুত্ব দিল।ওর শুধু ঝুমুরের শরীর পেলেই হলো ভালোবাসাটা শরীরের প্রতি মনে প্রতি নয়।

[ অফিসে ]

আহিল: মিস ঝুমুর আজকে আমার সিড উইল কি,? কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে?

ঝুমুর: জ্বি স্যার আজকে আমাদের একটা প্রোজেক্ট ফাইল করার আছে আপনাকে সেখানে যেতে হবে।

আহিল: ওকে। তাহলে একটু পর ই আমরা বের হব।

ঝুমুর: আমিও যাব?

আহিল: আপনি না গেলে আমি সামলাব কিভাবে ওখানে ত আমি কাউকেই চিনিনা।

ঝুমুর: ওকে আমি তাহলে ওদের রেডি থাকতে বলছি।

আহিল আর ঝুমুর বের হতে যাবে তখনি আহিলের ফোনে একটা ফোন আসে।

বডিগার্ড : স্যার!! আমরা মেয়েটার খোঁজ পেয়েছি উনি এখন আমাদের সাথেই আছেন।

আহিল: কি?? কোথায়

বডিগার্ড : আমরা কি ওনাকে নিয়ে অফিসে যাব?

আহিল: না তোমরা ওনাকে নিয়ে কোন ফফি শপে বসো আমি আসতেছি।

ঝুমুর: এনি প্রব্লেম স্যার?

আহিল: ঝুমুর আপনি একটু ওইদিক টা সামলে নিন আমার খুব দরকারি একটা কাজ আছে আমি যাচ্ছি হ্যাঁ।

ঝুমুর কে কিছু বলতে না দিয়েই আহিল তাড়াহুড়ো করে বের হয়ে গেল।

ঝুমুর: যা বাবা কি এমন হলো কে জানে!!

আহিল অনেক দ্রুত লোকেশনে পৌছায় গিয়ে দেখে একটা মেয়ে তার দুইজন বডিগার্ড এর সাথে বসে আসে।

আহিল: তোমরা যাও আমি ওনার সাথে একা কথা বলতে যাই।

বডিগার্ডরা যাওয়ার সাথেই মেয়েটা আহিলের পাশে এসে বসে আর আহিলের হাত ধরে বলে,,,

মেয়েটা: আমাকে চিনতে পেরেছ আমি,, আমি সেই মেয়ে যাকে তুমি ভুল করে তুলে নিয়ে গেছিলে।

আহিল: আ,,আপনার নাম?

মেয়েটা: প্রেমা। আমি আপনাকে কত খুজেছি কত খুজেছি কিন্তু কোথায় পাইনি।

বলেই মেয়েটা কান্না করতে লাগে

আহিল: দে,,দেখুন সেইদিন আসলে আমার লোকেরা।

প্রেমা: যা হওয়ার হয়ে গেছে সেসব নিয়ে আর কথা বলে লাভ নেই এখন যা আছে তাই নিয়েই কথা বলি?

আহিল: যা আছে মানে?

প্রেমা আহিলের হাত নিয়ে তার পেটে রাখে আর বলে,,

প্রেমা: আপনার বেবি

আহিল চমকে উঠে সে কি রিয়াকশন দিবে বুঝে উঠতে পারছেনা, সে খুশি হবে নাকি নাকি কি করবে ভেবেই পাচ্ছেনা।

আহিল: বাচ্চা? বাচ্চা মানে?

প্রেমা: আপনি এমন রিয়াক্ট কেন করছেন। আপনি কি এই বাচ্চাটা মানতে পারছেন না প্লিজ এমন করবেন না আমি কোথায় যাব?

আহিল : না না আপনি শান্ত হোন।আপনি কি চান আমাকে বলুন আম সব কিছু করতে রাজি।

প্রেমা: আমি শুধু আমার আর আমার সন্তানের প্রার্প সম্মান চাই ।

আহিল কি বলবে বুঝতে পারছেনা কি বলা উচিত তার। সে কিভাবে প্রেমাকে বিয়ে করব সে ত মনে মনে ঝুমুরকে ভালোবেসে ফেলেছে।

আহিল: বলছি যে আমি যদি আপনার সব রকম দায়িত্ব নেই মানে আপনার আর এই বাচ্চার ভরন পোষণ সব তাহলে কি আপনি রাজি হবেন? বিয়েটা আমি করতে পারবনা।

প্রেমা: ( বিয়ে আমিও করতে চাইনা আমার ত শুধু কোন মতে এই বাচ্চাটা পেট থেকে বের করতে পারলেই হয়।ততদিনে আপনার থেকে ইচ্ছে মতো টাকা নিয়ে আমি আমার লাইফটা সেট করে নিব আর এই বাচ্চাটা বের হয়ে গেলে তোকে আপনার কাছে ফেলে আমি বিদেশে ইয়েস)

আহিল: কি হলো কিছু বলুন প্লিজ

প্রেমা: আমি আর কি বলব আপনি যা ভালো মনে করেন।কিন্তু প্লিজ দেখবেন আমার কেউ নেই এখন আমি যেন..

আহিল: আপনি চিন্তা করবেন না আপনার কোন অসুবিধা হবেনা।এই নিন আমার ব্যাংক কার্ড যা লাগবে এইখান থেকে খরচ করবেন আর ওরা আপনাকে একটা ফ্ল্যাটে দিয়ে আসবে আপনি ওখানেই থাকবেন।

বলেই আহিল চলে যায়।

প্রেমা: ইয়েস ইয়েস উফফ আল্লাহ থ্যাংকস ভাগ্যিস ওই বডিগার্ড দুটোর কথা আমার কানে এসেছিল নাহলে ওই রিদয়ের বাচ্চা পেটে নিয়ে আমাকে ঘুরতে হতো।শালাত দায়িত্ব নিবে বলে যে পালিয়েছে আর আশার নাম নেই।

[কিচ্ছুক্ষণ আগে]

বডিগার্ড ১: কি করি বলত মেয়েটাকে কোথায় খুজি বস বলেছে খুজে পেতেই হবে।

বডিগার্ড ২: কিভাবে যে কি হইছে। কাদের যে কাজ দিয়েছিল একজনকে তুলতে গিয়ে আরেকজন কে তুলেছে।

বডিগার্ডরা এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছিল পাশেই ছিল প্রেমা। রিদয়ের খোঁজে বেরিয়েছিল সেও পথে একটা দোকানে ওদের কথা শুনছিল প্রেমা।প্রেমা রিদয়ের গার্লফ্রেন্ড ২ বছর প্রেম করে রুম ডেট করে যখন প্রেমা প্রেগন্যান্ট হয়ে যায় রিদয় তখন ওকে ছেড়ে পালায়।বডিগার্ড দুটোর কথা শুনে প্রেমার মাথায় শয়তানি বুদ্ধি আসে।বডিগার্ডরা চলে গেলে প্রেমা তাদের পিছু করে।কিছুটা দূরে গেলে প্রেমা ইচ্ছে করে তাদের সামনে আসে আর নাটক করে জানতে চায় আহিল চৌধুরীর খোঁজ তারা দিতে পারবে কিনা।

বডিগার্ড ১ : আহিল চৌধুরীর সাথে কি কাজ আমরা তার হয়ে কাজ করি বলো আমাদের।

প্রেমা তখন্ যা যা শুনেছিল তাই তাই কিছুটা বাড়িয়ে কমিয়ে বলে।

বডিগার্ডরা সাথে সাথে আহিলকে ফোন করে ডেকে আনে।

[ এ কোন ফাদে জড়িয়ে গেল আহিল? এই ফাদ থেকে কে বাচাবে আহিলকে?
তবে কি ঝুমুর আর আহিল কাছাকাছি আসার আগেই তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হবে]

জানতে হলে রিয়াক্ট কমেন্ট করে সাথেই থাকুন আপনাদের একটি রিয়াক্ট কমেন্ট আমাদের লিখতে উৎসাহিত করে ধন্যবাদ 😊

#চলবে

গল্প: রোম্যাঞ্চ_বাই_মিস্টেক [ বিপদের মুখে আহিল- ঝুমুর]
পর্ব:৫
লেখিকা : শারমিন_আক্তার_ঐশী
©

আসলে তা-ই 😁
02/07/2025

আসলে তা-ই 😁

04/03/2024

তাইতো বলি

29/02/2024

Old Islamic song

29/01/2024
12/01/2024

Virel Movie clips ( Big Fan)

এলিনা ইয়াসমিনের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলায়। বাবার মৃত্যুতে ১০ দিন আগে পাঁচ মাসের ছেলে সৈয়দ আরফানকে নিয়ে বাড়ি গিয়...
06/01/2024

এলিনা ইয়াসমিনের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলায়। বাবার মৃত্যুতে ১০ দিন আগে পাঁচ মাসের ছেলে সৈয়দ আরফানকে নিয়ে বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি।

বাবার দাফন শেষে ভাই-ভাবির সঙ্গে সন্তানকে নিয়ে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ফিরছিলেন ঢাকায়। কিন্তু রাজধানীতে ঢুকতেই ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। নিয়তির নির্মম পরিহাস। সেই আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয় এলিনার দেহ। ভাগ্যক্রমে বেঁচে আছে তার পাঁচ মাসের শিশু সৈয়দ আরফান।

ঢাকায় মিরপুর ৬০ ফিটের তাদের বাসা। এলিনার স্বামী সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন ঢাকার বাসায়ই ছিলেন।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেসে নিহত চারজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আনা হলে তার স্বজনরা ভিড় করেন। তাদের দাবি, মর্গে আনা চার মরদেহের মধ্যে তার মরদেহ রয়েছে।
©

কথা কিন্তু সত্যি!
29/12/2023

কথা কিন্তু সত্যি!

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sakib KN Topician posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category