S M Mubarok Reza

S M Mubarok Reza Well Come

07/12/2024

মৃত্যু একদিন মুছে দিবে পৃথিবীর সকল মিচে আশা।

02/07/2024
03/07/2023

🌹💙

07/04/2023

ইতিকাফ বিষয়ে ১৫টি মাসয়ালা

ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় যে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতসহকারে নিয়মিত আদায় করা হয়- এমন মসজিদে মহান আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে নিয়তসহকারে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে। ইতিকাফ সহিহ-শুদ্ধভাবে পালনের জন্য মাসয়ালা জানা জরুরি। আজ থাকছে এমন জরুরি ১৫টি মাসয়ালা।

খাবার পৌঁছে দেওয়ার মতো কেউ না থাকলে নিজের খাবার নিজে আনতে পারবেন
ইতিকাফকারীকে মসজিদে খাবার পৌঁছে দেওয়ার মতো কেউ না থাকলে খাবার আনার জন্য তিনি বাসায় যেতে পারবেন। এ কারণে ইতিকাফ ভাঙবে না। তবে খাবার আনার জন্য মসজিদ থেকে বের হয়ে অন্য কোনো কাজে বিলম্ব করা যাবে না। অন্য কাজে অল্প সময় ব্যয় করলেও ইতিকাফ ভেঙ্গে যাবে। অবশ্য ঘটনাক্রমে খাবার প্রস্তুত না হলে সেজন্য অপেক্ষা করতে পারবেন। -আল বাহরুর রায়েক: ২/৩০৩

কোনো মসজিদে একজনও ইতিকাফ না করলে পুরো মহল্লাবসাী গোনাহগার হবেন
রমজান মাসের শেষ দশ দিন ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়া। যদি কোনো মসজিদে এক জনও ইতিকাফে বসেন তাহলে এলাকাবাসী সুন্নত ছেড়ে দেওয়ার গোনাহ থেকে বেঁচে যাবেন। আর যদি একজনও ইতিকাফ না করে তাহলে ওই এলাকার সবাই গোনাহগার হবেন। -খুলাসাতুল ফাতাওয়া: ১/২৬৭

ইতিকাফ বিনিময়যোগ্য ইবাদত নয়
ইতিকাফ একটি ইবাদত, যা বিনিময়যোগ্য নয়। তাই ইতিকাফের জন্য পারিশ্রমিক নেওয়া জায়েয নয়। কাউকে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ইতিকাফ করালে সে ইতিকাফ সহিহ হবে না। অতএব এ জাতীয় ইতিকাফ দ্বারা এলাকাবাসী দায়িত্বমুক্ত হতে পারবেন না। -ফাতহুল কাদির: ২/৩০৪

ইতিকাফরত ব্যক্তি প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণে বাইরে গেলে কুশল বিনিময় করতে পারবেন
ইতিকাফরত ব্যক্তি পেশাব-পায়খানার জন্য মসজিদের বাইরে গেলে আসা-যাওয়ার পথে পথ চলতে চলতে সালাম আদান-প্রদান করতে পারবেন। তদ্রূপ এ সময় পথ চলতে চলতে কারও সঙ্গে অল্পস্বল্প কথাও বলতে পারবেন। এতে ইতিকাফের কোনো ক্ষতি হবে না। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফ অবস্থায় চলতে চলতে রোগীর কুশলাদি জিজ্ঞেস করতেন। কিন্তু এর জন্য রাস্তায় দাঁড়াতেন না। -সুনানে আবু দাউদ: ২৪৭২

তবে কারও সঙ্গে কথা বলা বা কুশলাদি জিজ্ঞাসার জন্য মসজিদের বাইরে অল্প সময়ও দাঁড়ানো জায়েজ হবে না।

মসজিদের বাথরুম না থাকলে বাসায় যেয়ে প্রয়োজন পূরণ করার সুযোগ আছে
প্রস্রাব-পায়খানার প্রয়োজন মেটাতে ইতিকাফকারীর জন্য মসজিদের বাইরে যাওয়া জায়েজ। প্রয়োজনে এ জন্য বাসা-বাড়িতেও যাওয়া যাবে। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফরত অবস্থায় ইস্তিঞ্জার প্রয়োজন ব্যতীত ঘরে প্রবেশ করতেন না। -সহিহ বোখারি: ১/২৭২

বিনিময় নিয়ে ইতিকাফ করা ও করানো নাজায়েজ
বিনিময় নিয়ে ইতিকাফ করা বা করানো সম্পূর্ণ নাজায়েজ। কারণ ইতিকাফ একটি ইবাদত। আর ইবাদতের বিনিময় দেওয়া-নেওয়া নাজায়েজ। এমন লোকের ইতিকাফ দ্বারা সুন্নতে মুয়াক্কাদা (কেফায়া) এর দায়িত্ব আদায় হবে না। -সুনানে জামে তিরমিজি: ১/৫১

বুঝমান নাবালেগের ইতিকাফ সহিহ
বুঝমান নাবালেগের ইতিকাফ সহিহ। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্য থেকেই ইতিকাফে বসা উচিত। কেননা রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা গুরুত্ব সহকারে আদায় করতেন। তাই এ ব্যাপারে উদাসীনতা মোটেই ভালো নয়। -বাদায়েউস সানায়ে: ২/২৭৪

পুরুষের ইতিকাফ শুদ্ধ হওয়ার জন্য মসজিদ হওয়া জরুরি
পুরুষের ইতিকাফ সহিহ হওয়ার জন্য শরঈ মসজিদ হওয়া জরুরি। নামাজঘরে ইতিকাফ সহিহ হবে না। তাই ইতিকাফে বসতে চাইলে মসজিদেই বসতে হবে। খানা আনা-নেওয়ার জন্য কেউ না থাকলে ইতিকাফ অবস্থায় খানা-নেওয়ার জন্য বাড়ি যেতে পারবেন। তবে খানা নিয়ে দ্রুত মসজিদে ফিরে যেতে হবে। বাইরে বিলম্ব করা যাবে না। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/২১১

নারীর ইতিকাফের জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করা জরুরি
নারীর ইতিকাফ করার জন্য বাসার একটি কক্ষকে নামাজঘর হিসেবে নির্দিষ্ট করে নিতে হবে এবং ইতিকাফের পূর্ণ সময় এ ঘরেই অবস্থান করতে হবে। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/২১১

কোনো অস্থায়ী মসজিদে ইতিকাফ শুদ্ধ হবে না
কোনো অস্থায়ী নামাজের ঘর যেহেতু ‘শরঈ মসজিদ’ নয় তাই তাতে ইতিকাফ সহিহ হবে না। ইতিকাফ সহিহ হওয়ার জন্য ‘শরঈ মসজিদ’ হওয়া জরুরি। কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা মসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় তাদের (স্ত্রীদের) সঙ্গে মিলিত হয়ো না। -সূরা বাকারা: ১৮৭

ইমাম কুরতুবি (রহ.) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, মসজিদ ছাড়া অন্যস্থানে ইতিকাফ সহিহ হবে না। -ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ৩/৪৪২

ইতিকাফের কাজা আদায়ের পদ্ধতি
কেউ রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফে বসে অসুস্থতার দরুণ শেষ পর্যন্ত পূরণ করতে পারেনি। এক্ষেত্রে তাকে একদিনের ইতিকাফ কাজা করতে হবে। আর তা রমজানেও হতে পারে। এজন্য সে কোনো একদিন সূর্যাস্তের পর থেকে পরের দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত মসজিদে ইতিকাফ করবে। অবশ্য রমজানের বাইরে ইতিকাফটি কাজা করতে চাইলে দিনের বেলা নফল রোজা রাখতে হবে। -রদ্দুল মুহতার: ২/৪৪৪-৪৪৫

ইতিকাফরত ব্যক্তি সাধারণ গোসলের জন্য বের হতে পারবে না
রমজান মাসের শেষ দশকের ইতিকাফরত ব্যক্তি সাধারণ গোসলের জন্য মসজিদ থেকে বের হতে পারবেন না। বের হলে ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। তবে ফরজ গোসলের জন্য বের হতে পারবেন। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/২১২

এক কথায়, অভ্যাসবশত দৈনিকের গোসলে জন্য মসজিদের বাইরে যাওয়া যাবে না। তবে হ্যাঁ, একান্তই যদি বেশি সমস্যা হয় তাহলে মলমূত্র ত্যাগ করে আসার সময় সুন্দরভাবে অজু করতে যে সময় লাগে ঠিক ওই সময়ের মধ্যে যদি তাড়াহুড়ো করে গোসল করা সম্ভব হয় তবে অজু না করে সময়ের এ শর্ত মেনে গোসল করা যেতে পারে। বিষয়টি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বটে। যা অত্যন্ত সতর্কতার দাবি রাখে।

আবার এর জন্য সহযোগীও দরকার যে আগে থেকেই পানির ব্যবস্থা করে রাখবে, গোসলের পরে কাপড় ধোঁয়ে দেবে। অজুখানায় শাওয়ার থাকলে বিষয়টি কিছুটা সহজ হয়।

ইতিকাফকারী জানাজার নামাজে শরিক হতে পারবেন না
জানাজার উদ্দেশ্যে মসজিদ থেকে বের হলেও ইতিকাফ থাকে না। তাই ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদের বাইরের জানাজার নামাজে শরিক হওয়া যাবে না। বের হলে সুন্নত ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। -সুনানে আবু দাউদ: ২৪৬৫

নারী ইতিকাফ শুরুর পর তার স্রাব শুরু হলে করণীয়
কোনো নারী নিজ ঘরে সুন্নত ইতিকাফ শুরুর তিন দিন পর তার মাসিক শুরু হলে ইতিকাফ ভেঙ্গে যাবে। যে দিন মাসিক শুরু হয়েছে শুধু সেই একদিনের ইতিকাফ কাজা করে নেওয়া জরুরি। এই এক দিন কাজা করার নিয়ম হলো- একদিন সূর্যাস্তের আগে ইতিকাফ শুরু করতে হবে। পরবর্তী দিন রোজা থাকতে হবে। সূর্যাস্তের পর ইতিকাফ শেষ হবে। এভাবে একদিন রোজাসহ ইতিকাফ করলেই কাজা আদায় হয়ে যাবে। পুরো দশ দিনের ইতিকাফ কাজা করতে হবে না। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/২০৭

সুন্নত ইতিকাফের জন্য রোজা রাখা শর্ত। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রোজা ছাড়া ইতিকাফ হয় না। -সুনানে বায়হাকি: ৪/৩১৭

অন্য বর্ণনায় আছে, সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ইতিকাফকারীর জন্য রোজা রাখা আবশ্যক। -মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ৬/৩০০

ইতিকাফের ফজিলতে অতিরঞ্জিত কথা কাম্য নয়
ইতিকাফের ফজিলত বলতে যেয়ে অনেকে অতিরঞ্জিত করে ফেলেন। কেউ কেউ বলেন, যে ব্যক্তি রমজানের দশদিন ইতিকাফ করল সে যেন দুই হজ ও দুই উমরা করলো। ইতিকাফের ফজিলত বলতে যেয়ে এসব বর্ণনা গ্রহণযোগ্য নয়। তাই এগুলো মানুষের মাঝে বর্ণনা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

তবে রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ সুন্নত আমল। হজরত রাসূলুল্লাহ সালালাহু আলাইহি ওয়াসালাম অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা তা প্রমাণিত। এক রমজানে কোনো কারণে তিনি ইতিকাফ করতে পারেননি। তাই পরবর্তী বছর তিনি বিশদিন ইতিকাফ করেছেন। -সুনানে আবু দাউদ: ২৪৬৮

07/04/2023

ইতিকাফ নষ্ট হয় কি কারণে এবং করণীয় কী

কি কি কারণে ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যায়?
নিম্নের কারণ সমূহে ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যায়।
১. শরীয়তের অনুমোদিত ওজরে শরয়ী ও ওজরে তবয়ী ব্যতীত ই’তিকাফকারী ইতিকাফের স্থান হতে বের হলে।

২. স্বামী স্ত্রী পরস্পর যৌন সংগমে লিপ্ত হলে। যেমন মহান আল্লাহ বলেন- ولاتباشرواهن وانتم عاكفون في المساجد
[তোমরা মসজিদে ইতিকাফকারী অবস্থায় স্ত্রীদের সাথে মিলন করিও না। (সূরা বাকারা, আয়াত নং-১৮৭)]

৩. স্বামী-স্ত্রী পরস্পর চুম্বন করলে বা কামভাব নিয়ে স্পর্শ করলে ইতিকাফ নষ্ট হয়।
৪. জানাযার নামাজ পড়তে বের হলে।
৫. রোগী দেখতে বের হলে। যেমন হাদীস শরীফে আছে-
عن عا ئشة قالت السنة علي المعتكف ان لا يعودمريضا ولايشهد جنازة ولايمس المرأة ولايباشرها و لايخرج لحاجة الا لمابدمنه – ولاا عتكاف الا بصوم ولاا عتكاف الافي مسجد جامع
[আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন- ইতিকাফকারীর জন্য বিধান হলো- তিনি কোন রোগীকে দেখতে যাবেনা, জানাযার নামাজে উপস্থিত হবে না, স্ত্রীকে স্পর্শ করবে না এবং তার সাথে মেলামেশাও করবে না। আর একান্ত প্রয়োজন ব্যতীত বের হবে না। আর রোজা ব্যতীত ইতিকাফ হয় না এবং যে মসজিদে জমাআত হয় ঐ মসজিদ ব্যতীত ইতিকাফ হয় না। (আবু দাউদ, মেশকাত পৃষ্ঠা নং-১৮৩)]

৬. পাগল হয়ে গেলে বা বেহুশ থাকাবস্থায় রোজা রাখা অসম্ভব হলে।
৭. খাবার মসজিদে নেয়া সত্বেও মসজিদের বাহিরে এসে খেলে।
৮. ওজু ও গোসলের জন্য মসজিদের ভিতর ব্যবস্থা থাকা সত্বেও বাহিরে গিয়ে অজু গোসল করলে।

ইতিকাফ ভঙ্গ হলে কি করবে?
ইতিকাফ ইচ্ছায় ভঙ্গ হউক বা ওজরে ভঙ্গ হউক যেমন অসুস্থ হলে অথবা অনিচ্ছায় যেমন মহিলার হায়েজ বা নেফাস আসে অথবা পাগলামী ও অচেতনতা দীর্ঘ সময় ধরে হয় সর্বাবস্থায় ই’তিকাফ কাজা করা ওয়াজিব। এর মধ্যে যদি কয়েকটি ভঙ্গ হয়। যেমন, ১০ দিনের মধ্যে ৩ দিন, তাহলে ১০ দিনের কাজা করতে হবে না। বরং যে কয়দিন ছুটে গেছে ঐ দিনগুলোর কাজা করলেই যথেষ্ট। আর সকল ইতিকাফ ছুটে গেলে সকল ই’তিকাফ কাজা করতে হবে। আর মান্নত ইতিকাফ ধারাবাহিক ওয়াজিব হয়ে থাকলে কাজাও ধারাবাহিক করতে হবে।

কোন কোন অবস্থায় ইতিকাফ ভঙ্গ করে কাযা করা যায়, কিন্তু গুনাহ হবে না?
নিম্নের অবস্থায় ইতিকাফ ভঙ্গ করে পরে কাযা করা যায়, কিন্তু গুনাহ হবে না।
১. ইতিকাফ পালনকালে এমন কোন রোগ সৃষ্টি হয়ে গেলো, যার চিকিৎসা মসজিদের বাইরে যাওয়া ব্যতীত হতে পারেনা, তখন ইতিকাফ ভঙ্গ করা জায়েয। (দুররে মুখতার : ৩য় খণ্ড : ৪৩৮ পৃষ্ঠা)

২. কোন মানুষ পানিতে ডুবে যাচ্ছে কিংবা আগুনে জ্বলছে, তখন ই’তিকাফ ভেঙ্গে ডুবন্ত কে উদ্ধার করবেন আর জ্বলন্ত লোকটির আগুন নির্বাপিত করবেন। (দুররে মুখতার : ৩য় খণ্ড : ৪৩৮ পৃষ্ঠা)

৩. জিহাদের জন্য সাধারণভাবে ঘোষণা দেয়া হলে (অর্থাৎ জিহাদ ফরযে ‘আইন হয়ে গেলে) ই’তিকাফ ভেঙ্গে জিহাদে শরীক হয়ে যাবেন। (দুররে মুখতার : ৩য় খণ্ড : ৪৩৮ পৃষ্ঠা)

৪. যদি জানাযা এসে যায়, অন্য কেউ নামায আদায়কারীও নেই, তাহলে ই’তিকাফ ভেঙ্গে (মসজিদের সীমানার বাইরে গিয়েও) জানাযার নামায পড়তে পারে। (দুররে মুখতার : ৩য় খণ্ড : ৪৩৮ পৃষ্ঠা)

৫. কেউ জোর করে মসজিদের বাইরে নিয়ে গেলে, যেমন সরকারের পক্ষ থেকে গ্রেফতারীর ওয়ারেন্ট এসে যায়, তাহলেও ই’তিকাফ ভঙ্গ করা জায়েয, যদি তাৎক্ষণিকভাবে অন্য মসজিদে চলে যাওয়া সম্ভব না হয়। (দুররে মুখতার : ৩য় খণ্ড : ৪৩৮ পৃষ্ঠা)

৬. যদি নিজের প্রিয়জন, মুহরিম কিংবা স্ত্রীর মৃত্যু হয়ে যায়, তবে নামাযে জানাযার জন্য ইতিকাফ ভঙ্গ করতে পারে। (কিন্তু ক্বাযা করা ওয়াজিব হয়ে যাবে।) [হাশিয়া-ই-তাহতাভী আলা মারাক্বীয়িল ফালাহ্: ৫৭৯ পৃষ্ঠা]

৭. আপনি যদি কোন মামলার সাক্ষী হন, আর আপনার সাক্ষ্যের উপরই ফয়সালা মওকূফ থাকে, তখন ই’তিকাফ ভেঙ্গে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য যাওয়া বৈধ। প্রাপকের প্রাপ্য বিনষ্ট হওয়া থেকে বাঁচান। (রদ্দুল মুখতার: ৩ খণ্ড : ৪৩৯ পৃষ্ঠা)

কি কি কাজের কারণে ইতিকাফকারীর গুনাহ হতে পারে?
নিম্নের কাজের কারণে ইতিকাফকারীর গুনাহ সংঘটিত হতে পারে।
কুদৃষ্টি, কুধারণা ও শরীয়তের অনুমতি ব্যতীত কারো মানহানি করা, মিথ্যা, গীবত-চুগলখোরী, হিংসা-বিদ্বেষ, কারো বিরুদ্ধে অপবাদ দেয়া, মিথ্যা দোষ রচনা করা, কাউকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করা, কারো মনে কষ্ট দেয়া, অশ্লীল কথাবার্তা বলা, গান-বাদ্য শোনা, গালিগালাজ করা, অন্যায়ভাবে ঝগড়া-বিবাদ করা, দাড়ি মুণ্ডানো, এক মুষ্টি অপেক্ষা কম করে ফেলা- এসবই গুনাহ। মসজিদে! তাও আবার ইতিকাফ অবস্থায়!! বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, আরো বেশী জঘন্য গুনাহ। এসব গুনাহ থেকে তাওবা, সত্যিকারভাবে তাওবা, সব সময়ের জন্য তাওবা করা চাই।

যদি কেউ ইতিকাফ অবস্থায় (আল্লাহরই পানাহ্!) কোন নেশার বস্তু রাতে সেবন করে থাকে, তবে এ কারণে তার ইতিকাফ ভঙ্গ হবেনা। নেশা করা হারাম। আর ইতিকাফরত অবস্থায় আরো বেশী গুনাহ। তাওবা করে নেয়া চাই।

02/04/2023

কথা গুলো রিদয় নারা দিবে ইনশাআল্লাহ। 💙🌹💙

অসুস্থতা কিংবা বার্ধক্যজনিত কারণে কেউ কেউ রোজা রাখতে অপারগ হয়ে যান। তখন তার করণীয় কী এবং শরিয়ত তার জন্য কী সুযোগ রেখেছে—...
16/03/2023

অসুস্থতা কিংবা বার্ধক্যজনিত কারণে কেউ কেউ রোজা রাখতে অপারগ হয়ে যান। তখন তার করণীয় কী এবং শরিয়ত তার জন্য কী সুযোগ রেখেছে— সেটা অনেকে জানেন না। অথচ রোজার মোটামুটি সবকিছু জেনে রাখা একজন মুমিনের কর্তব্য।
অক্ষমদের জন্য ফিদিয়া
কোনো ধরনের ভুলভ্রান্তি হলে শরিয়তের পক্ষ থেকে যে বিনিময় বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়— তাকে ফিদিয়া বলে। অপারগতার কারণে কোনো শারীরিক ইবাদত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ওই বিনিময়কে শরিয়তের পক্ষ থেকে বাধ্যতামূলক করা হয়।

পবিত্র কোরআনে এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন— আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদিয়া— একজন দরিদ্রকে খাবার খাওয়ানো।
(সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘যারা সওম পালনে সক্ষম নয়, তাদের জন্য একজন মিসকিনকে খানা খাওয়ানোই ফিদিয়া।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ আয়াত রহিত হয়নি। এ বিধান ওই অতিবৃদ্ধ পুরুষ ও স্ত্রীলোকের জন্য, যারা সওম পালনে অক্ষম। এরা প্রতিদিনের সওমের পরিবর্তে একজন মিসকিনকে পেট পুরে আহার করাবে।
ফিদিয়া কখন দিতে হয়
পবিত্র রমজান মাসে যারা রোজা রাখতে অক্ষম, তাদের জন্য বিকল্প বিধান রাখা হয়েছে। কারণ, আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদের ওপর অসাধ্য কিছু চাপিয়ে দেননি। তাই যদি কোনো ব্যক্তি অসুস্থতার কারণে ও অভিজ্ঞ ডাক্তারের বিবেচনায় রোজা রাখতে অক্ষম হন এবং পরে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে সুস্থ হওয়ার পর রোজার কাজা আদায় করতে হবে। ওই ব্যক্তির জন্য ফিদিয়া নয়।
আর যদি ওই অসুস্থ ব্যক্তি কাজা করার আগেই ইন্তেকাল করেন, তাহলে তার পক্ষ থেকে আত্মীয়-স্বজন ফিদিয়া আদায় করবে। কেননা মারা যাওয়ার কারণে তার আর কাজা করার সুযোগ নেই। (হেদায়া : ২/১২০)

আর যদি অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে কিংবা এমন বৃদ্ধ হন— যে কখনোই রোজা রাখার মতো সামর্থ্য ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই, তাহলে ফিদিয়া আদায় করবে। (ফাতাওয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত : ৫/৪৫৫)

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তবে তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হবে কিংবা সফরে থাকবে, তাহলে অন্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। (কাজা করে নেবে) আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদিয়া আদায় করা— অর্থাৎ একজন দরিদ্রকে খাবার খাওয়ানো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৪)
দরিদ্ররা যেভাবে ফিদিয়া দেবে
ফিদিয়া দেওয়ার ক্ষেত্রে ধনী-গরিবের মধ্যে কোনো তারতম্য নেই। তবে দারিদ্র্যের কারণে ফিদিয়া দিতে একেবারেই অক্ষম হলে- তাওবা করবে। পরে কখনো সামর্থ্যবান হলে- অবশ্যই ফিদিয়া আদায় করে দেবে। (ফাতাওয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত : ৫/৪৫৫)
ফিদিয়ার পরিমাণ
রোজার ফিদিয়ার বিষয়ে কোরআনে এসেছে, ‘আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদিয়া— একজন দরিদ্রকে খাবার খাওয়ানো।’ (সুরা বাকারা : ১৮৪)
অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি রোজা রাখতে একান্ত অপারগ হলে সে প্রতিদিন একজন দরিদ্রের পেট ভরে দুই বেলা খাবারের ব্যবস্থা করবে। কেউ চাইলে নগদ টাকাও দিয়ে দিতে পারে। প্রত্যেক রোজার জন্য ফিদিয়ার ন্যূনতম পরিমাণ হলো, সদকায়ে ফিতরের সমান। (আল ইনায়াহ : ২/২৭৩)
কাকে দেওয়া যাবে?
ফিদিয়ার হকদার হলো- গরিব-মিসকিনরা; যারা জাকাতের হকদার। ফিদিয়া কোনো দ্বীনি প্রতিষ্ঠান— যেখানে জাকাতের হকদার আছে, সেখানেও দেওয়া যাবে। (আল ইনায়াহ : ২/২৭৩)
মোবারক রেজা।

আল্লাহ তুমি কত মহান কত ভালো বন্ধু,প্রাণে তুমি, মনে তুমি, তুমি দয়ার সিন্ধু।নেই কেহ নাই ত্রি-ভুবনে তোমারই সমান,তুমি রহমান,...
08/02/2023

আল্লাহ তুমি কত মহান কত ভালো বন্ধু,
প্রাণে তুমি, মনে তুমি, তুমি দয়ার সিন্ধু।
নেই কেহ নাই ত্রি-ভুবনে তোমারই সমান,
তুমি রহমান, তুমি মেহেরবান।
দয়ালু তুমি, তুমি বিধাতা,
তুমি তো মা'বুদ, তুমি যে দাতা।
অন্ন যোগাওঁ ক্ষুধা পেলে,
মিঠা পানি তৃষ্ণা পেলে।
আমি গায় তোমার গুনগান,
তুমি রহমান, তুমি মেহেরবান।
অশেষ নিয়ামত দিয়েছ ঢেলে, পরম বন্ধুর ছায়া মেলে।
প্রশংসা শুধু তোমারি, তাইতো সদা তমায় সূরী।
আমি গায় তোমার গুনগান,
তুমি রহমান, তুমি মেহেরবান।
আল্লাহ তুমি কত মহান কত ভাল বন্ধু,
প্রাণে তুমি, মনে তুমি, তুমি দয়ার সিন্ধু।

🎤 মোবারক রেজা।

আল্লাহ তুমি কত মহান কত ভাল বন্ধু নতুন গজল Hazrat Maulana Mubarak Reza Al Qaderi মাওলানা মোবারক রেজাআসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন ভালো .....

03/02/2023

আমার প্রিয় নাতে রাসূল দঃ

Address

Dhaka

Telephone

+8801832967302

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when S M Mubarok Reza posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to S M Mubarok Reza:

Share

Category