06/08/2024
যাঁরা গণভবন থেকে লুণ্ঠন করলেন আবেগে,
একটা খরগোশ, একটা শাড়ি, একটা রাজহাঁস, একটা সুতা, একটা গাছ উপড়ে ফেললেন,
ভাইয়ারা, আপারা পড়েন👇
খায়বার যুদ্ধে এক ব্যক্তি গণিমতের মাল থেকে কিছু একটা সরিয়ে রেখেছিল। পরে সে যখন মারা যায়, রাসূল সা. তার জানাযা পড়ালেন না। সাহাবীরা এতে খুব অবাক হলেন। কারণ, সেও তাদের মতো একজন মুজাহিদ ছিল।
নবিজি সা. তখন বলেন, "সে সম্পদ আত্মসাৎ করেছে।" সাহাবীরা তল্লাসি চালিয়ে দেখলো, আসলেই সে একটি রেশমি বস্ত্র আত্মসাৎ করেছিল। (তিরমিযী, মিশকাত, পৃ. ২৪২)
আরেক হাদীসে রাসূল (সা) সরাসরি বলেছেন, "নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে সম্পদ দখল করবে, কিয়ামতের দিন তার জন্য জাহান্নাম রয়েছে।" (বুখারী, মিশকাত হা/৩৯৯৫)।
অথচ আজকে আমরা অনেকেই বিজয়ের খুশিতে উল্লাসিত হতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করছি, লুট করছি। ভুলে যাচ্ছি রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ করা কবিরা গুনাহ। এর ফলে কিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তি রয়েছে।
দ্বিতীয়ত, কেউ কেউ এই সময়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য অমুসলিমদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। এর ফলে ইসলাম এবং মুসলিমদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। অথচ হাদীসে এসেছে-
‘যে ব্যক্তি কোনো অমুসলিম নাগরিককে (অন্যায়ভাবে) হত্যা করল, সে জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না, অথচ তার সুগন্ধ ৪০ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকেও পাওয়া যায়।’ (বুখারী, হাদিস : ২৯৯৫)
বরং ঈমানের দাবী হচ্ছে, জনসাধারণের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। হাদীসে এসেছে, "যাকে মানুষ তাদের জান ও মালের জন্য নিরাপদ মনে করে সে-ই প্রকৃত মুমিন।" (তিরমিযী ২৬২৭)
তাহলে বিজয়ের খুশী কীভাবে প্রকাশ করা উচিত?
👉🏻 আল্লাহর প্রশংসাগাথায় তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করা। (সূরা নাসর)
👉🏻 শোকরানা নামাজ আদায় করা। ((জাদুল মাআদ)
👉🏻 বীর-শহীদদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ। (তিরমিযী, হাদিস: ১৯৫৫)
👉🏻 কুরআন পাঠ করা এবং দুআ করা।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বোঝার তাওফীক দিক এবং বিজয়ের আনন্দ প্রকাশের সঠিক পন্থা অবলম্বনের তাওফীক দিক।
Copy Post from Munir chy