সূফীবাদের কথা

সূফীবাদের কথা গোলাম মওলা ইয়ার হুসাইন আল-মাইজভান্ডারীয়া

ধ্যান সাধনা কেন করবেন পর্ব =২বৈদিক যুগের মুনি-ঋষিরা বলেছেন যে, কর্ম করা বন্ধন নয়, বরং কর্মের *ঝে যখন মায়া এসে উপস্থিত হয়...
28/07/2025

ধ্যান সাধনা কেন করবেন
পর্ব =২

বৈদিক যুগের মুনি-ঋষিরা বলেছেন যে, কর্ম করা বন্ধন নয়, বরং কর্মের *ঝে যখন মায়া এসে উপস্থিত হয় তখনই কর্ম বন্ধন হয়ে যায়। মায়া কর্মকে কলুষিত করে। কলুষিত কর্ম বন্ধন। মায়া বিহনে কর্ম বন্ধন নয়, বরং এবাদত। হাঁস জলের পুকুরে সারাদিন অবস্থান করে, কিন্তু সাঁঝের বেলায় হাড়পুকুর হতে যখন উঠে আসে তখন হাঁসের শরীরে আর জল থাকে না। কর্মের পুকুরে অবস্থান করো, কিন্তু মায়ার জল যেন গায়ে না লাগে। এ বড় কঠিন পরীক্ষা। এ বড় ভয়ংকর সাধনা। এ বড় প্রতিজ্ঞা নিয়ে সাধনরাজ্যে অগ্রসর হওয়া। মায়ার বন্ধন হতে মুক্তি পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়, কোনো মামুলি * বিষয় নয়, কোনো ছেলের হাতের মোয়া খাওয়ার মত নয়। তাই অতি অল্প সংখ্যক মানুষই কামিয়াব হতে পারে, তথা সিদ্ধিলাভ করতে পারে, তথা কামালিয়াত হাসিল করতে পারে। তাই পবিত্র কোরান বলছে যে, যাকে হেকমতের জ্ঞানদান করা হয় তাকে যথেষ্ট রহমত তথা কল্যাণ দান করা হয়।

এই রকম পীর তথা গুরু ধরেই মোরাকাবা-মোশাহেদার পথেই এগিয়ে যেতে হয়। পীর তথা গুরুর আচার-আচরণের বিষয়টি এখানে মুখ্য নয়, বরং মুখ্য বিষয়টি হল কেমন করে নিজের ভেতর হতে খান্নাসরূপী শয়তানটিকে তাড়িয়ে দেওয়া যায়। যে পীর বা গুরু মোরাকাবা-মোশাহেদা তথা ধ্যান-সাধনার কথাগুলো মুরিদ তথা শিষ্যদের শিখিয়ে দেয় না, অথবা শেখাবার পদ্ধতি নিজেই জানে না, সে কেমন করে পীর তথা গুরু হয়? অনুমানের গুল মারা বিদ্যা এবং মহাপুরুষদের বাণীগুলোকে অনুমানের ভিত্তিতে প্রচার করে মুরিদদেরকে ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। এই জাতীয় পীর ও গুরুদের আমরা কখনোই ব্যবসা করছে বলব না, কিন্তু এদের কাছে আসল পথটি পাওয়া বড়ই কষ্টকর। কারণ সুফিবাদ বাকিতে পাবার কথাতে বিশ্বাস করে না; তথা মরে গেলে পাবে এ রকম উদ্ভট আজগুবি কথায় সুফিবাদ বিশ্বাস করে না।

🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
👉👉👉👉👉👉 সূফীবাদের কথা 👈👈👈👈👈

ধ্যানসাধনা কেন করবেনপর্ব =১নিজের ভেতর যে খান্নাসরূপী শয়তানটি আছে, উহাকে কেমন করে তাড়াতে হবে? কী পথ ও মত অবলম্বন করলে খান...
25/07/2025

ধ্যানসাধনা কেন করবেন
পর্ব =১

নিজের ভেতর যে খান্নাসরূপী শয়তানটি আছে, উহাকে কেমন করে তাড়াতে হবে? কী পথ ও মত অবলম্বন করলে খান্নাসরূপী শয়তানটিকে তাড়িয়ে দেওয়া যায়? এই খান্নাসরূপী শয়তানটিকে তাড়িয়ে দেবার প্রেসক্রিপশন তথা ব্যবস্থাপত্রটি একমাত্র সুফিবাদই দিয়ে গেছে। সুতরাং সুফিবাদই হল ইসলামের মূল বিষয়। ইসলামের আগমন হজরত আদম (আ.) হতে এবং সকল জাতি ও সম্প্রদায়ের মাঝে আল্লাহ পাক নবী ও রসুল প্রেরণ করেছেন। আপনার ভিতরে, পরীক্ষা করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে দেওয়া, খান্নাসরূপী শয়তানটিকে কেমন করে, কী উপায় অবলম্বন করলে তাড়িয়ে দেওয়া যায় তারই ব্যবস্থাপত্রটি যুগে যুগে, কালে কালে, সর্বসময়ে তাঁরা দিয়ে গেছেন।

আজ হতে অনুমানিক সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে যমদগ্নি মুনি যখন ধ্যানসাধনা করার মধ্য দিয়ে সিদ্ধি লাভ করেন, তথা আপনার ভিতরের খান্নাসরূপী শয়তানকে তাড়িয়ে দিতে পারলেন, তখনই যমদগ্নি মুনি বলে ফেললেন, 'সোহহম সোহমী' তথা তিনিই আমি, আমিই তিনি। সুতরাং পীর তথা গুরু ধরতেই হবে। এই পীর তথা গুরুর মাধ্যমে শিষ্যকে তথা মুরিদকে শিখে নিতে হবে, জেনে নিতে হবে, কেমন করে কীভাবে কী উপায়ে নিজের ভিতরের খান্নাসরূপী শয়তানটিকে তাড়িয়ে দেওয়া যায়। আরবি ভাষায় যাকে আমরা খান্নাসরূপী শয়তান বলি উহাকেই বৈদিক যুগের মুনি ঋষিরা মায়া' বলে থাকেন। বৈদিক যুগের মুনি-ঋষিরা এই মায়ার বন্ধনকেই ছিন্ন করতে উপদেশ দিয়ে গেছেন।

👉👉👉পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন

🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
👉👉👉👉👉👉 সূফীবাদের কথা 👈👈👈👈

কামেল পীরের হাত অদৃশ্য জগত হতে দূরে নয়, তার হাত আল্লাহ্র হাত ব্যতীত আর কিছুই না।”মওলানা জালালুদ্দিন রুমি [রহঃ]🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏...
15/07/2025

কামেল পীরের হাত অদৃশ্য জগত হতে দূরে নয়, তার হাত আল্লাহ্র হাত ব্যতীত আর কিছুই না।”

মওলানা জালালুদ্দিন রুমি [রহঃ]

🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
👉👉👉👉👉👉 সূফীবাদের কথা 👈👈👈👈👈

কবরে যাবার আগে মানুষের শেষ কান্নাটির নাম কি তুমি জান? সঙ্গীত তার নাম। কারণ, সবকিছু এলোমেলো চিন্তার বাঁধনে সঙ্গীত উপহার দ...
11/07/2025

কবরে যাবার আগে মানুষের শেষ কান্নাটির নাম কি তুমি জান? সঙ্গীত তার নাম। কারণ, সবকিছু এলোমেলো চিন্তার বাঁধনে সঙ্গীত উপহার দেয় একটু বিশ্রাম, একটু জিজ্ঞাসার আড়ালে বেদনায় মিশ্রিত বুক হাল্কা করার চোখের জল, না হয় একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস। আমার কলমের দাগগুলো কারো মনে দাগ না কাটুক। কারণ, যুক্তি ও অভিজ্ঞতা আপনাকে উপহার দেবে ন্যায়ের আইন কিন্তু প্রেম ও সত্য দিতে পারবে না।

চোখ খুলে দেখা এবং চোখ বুজে দেখা এই দুটো দেখাকে আমরা ভাগ করে নেই। কারণ, খোলা চোখে দেখার নাম বাস্তব এবং চোখ বুঝে দেখার নাম হয়। কল্পনা। ব্যস্তনকে বলি সত্য এবং স্বপ্নকে বলি অবাস্তব বা মিথ্যে। দর্শন কিন্তু একই নাম দিলাম দুটি। অনেকটা সঙ্গীতের সুরের মত। শ্রবণ কিন্তু একটি। নাম নিলয় দুটি। একটি কান দিয়ে শুনা অপরটি হৃদয় দিয়ে শোনা। বেদনা কিন্তু একটি। নাম দিলাম দুটি। চোখ দিয়ে জল পড়ার বেদনা একটি, আর অপরটি হল অন্তরের ভেতর তুষের আগুন জ্বলার মত বোবা বেদনা। একটি দেখা যায় অপরটি দেখা যায় না। আর্ট কিন্তু একটি। নাম দিলাম দুটি। সাদা চোখে আর্টের এক ভাব, আর হৃদয়ের অনুভূতিতে এক ভাব।

তবে কি প্রত্যেকটিরই বাহির এবং ভিতর আছে? তবে কি চোখের দেখাটা বাহির এবং চোখ বুজে দেখাটা ভেতর? তবে কি আমি দেখি না, আমার চোখ দেখে? চোখ হল লাইটের বাল্বের মত। বাল্ব ফিউজ তথা অন্ধ হলে আলোকিত হবে না। অলোর ফোকাস বেরুবে না। চোখ ফিউজ তথা অন্ধ হলে দেহেতে জীবন থাকলেও দেখ যাবে না। চোখ এবং জীবন উভয়টি ঠিক থাকলে দর্শন হয়।

✍️চেরাগ এ জান শরীফ
ডা:কালান্দার বাবা জাহাঙ্গীর বা ইমান আল সুরেশ্বরী✍️

"যে ব্যক্তি আল্লাহকে চেনে, সে কাউকে কষ্ট দেয় না, এবং যার মধ্যে আল্লাহর প্রেম আছে, সে কখনো অহংকার করে না।"বায়েজিদ বোস্তাম...
09/07/2025

"যে ব্যক্তি আল্লাহকে চেনে, সে কাউকে কষ্ট দেয় না, এবং যার মধ্যে আল্লাহর প্রেম আছে, সে কখনো অহংকার করে না।"

বায়েজিদ বোস্তামি (রহ.)

🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
👉👉👉👉👉👉 সূফীবাদের কথা 👈👈👈👈👈

শাহ্ হাস্তে হুসায়েন, বাদশাহ্ হাস্তে হুসায়েন, দ্বীন হাস্তে হুসায়েন, দ্বীনে পানাহ্ হাস্তে হুসায়েন, সারদাদ নাদাদ দাস্ত, দার...
08/07/2025

শাহ্ হাস্তে হুসায়েন, বাদশাহ্ হাস্তে হুসায়েন, দ্বীন হাস্তে হুসায়েন, দ্বীনে পানাহ্ হাস্তে হুসায়েন, সারদাদ নাদাদ দাস্ত, দার দাস্তে ইয়াজিদ, হাক্কাকে বেনায়ে লা ইলাহা হাস্তে হুসায়েন।

অর্থাৎ রাজা হুসায়েন, রাজার রাজা হুসায়েন, ধর্ম হুসাইন, ধর্মের রক্ষক হুসায়েন-দিলেন মাথা তবুও না দিলেন হাত এজিদের হাতে, নিঃসন্দেহে 'লা ইলাহা'র স্তম্ভ হুসায়েন।

-খাজা মঈনউদ্দিন চিশতী(আ)

🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
👉👉👉👉👉 সূফীবাদের কথা 👈👈👈👈👈

ইমাম হুসাইন (আ.) এর দেহ মোবরককে যে ঘোড়াগুলো পদদলিত করেছিলইতিহাসে পাওয়া যায়, যে ঘোড়াগুলো ইমাম হুসাইন (আঃ) এর দেহ পদদলিত ক...
07/07/2025

ইমাম হুসাইন (আ.) এর দেহ মোবরককে যে ঘোড়াগুলো পদদলিত করেছিল

ইতিহাসে পাওয়া যায়, যে ঘোড়াগুলো ইমাম হুসাইন (আঃ) এর দেহ পদদলিত করেছিলো সেগুলো অন্য ঘোড়াগুলো থেকে আলাদা ছিলো। যা “আওয়াজ্জিয়া” নামে পরিচিত।এক গবেষক মাস পর মাস এটা নিয়ে গবেষণা করেছে। এর মধ্যে সে একটি জার্মানি বইয়ে পেয়েছে যার নাম World Strongest Stallion or In Stallions (মদ্দা ঘোড়া) এই ঘোড়াগুলো কোন কিছু বাটা বা পদদলিত করার কাজে ব্যবহার করা হয়। যার শুধু পায়ের ওজনই ৬৫ কেজির বেশি হয়ে থাকে।

যখন ইবনে যিয়াদের এক সৈন্য থেকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যে, তুমি কারবালায় সবচাইতে বেশি এমন কোন অত্যাচারটি দেখেছ যা কখনোই দেখনি? সে বলেছে আমি ইমাম হুসাইন (আঃ) এর পাঁজরের হাড় ভাঙার শব্দ শুনেছি। যখন আমরা ইমাম হুসাইন (আঃ) এর দেহ’র উপর দিয়ে আমাদের ঘোড়া দৌড়াতাম তখন উনার পাঁজরের হাড় ভাঙার শব্দ সারা কারবালায় গর্জে উঠত।
অনেকেই বলে যে আমরা ইমাম হুসাইন (আঃ) এর উপর এত কান্না করি কেন?তারা একটু চিন্তা করে দেখুক, ইতিহাসে পাওয়া যায় ইমাম হুসাইন (আঃ) কে ১০টি ঘোড়া দ্বারা পদদলিত করা হয়েছিলো যার একটি পায়ের ওজন ছিলো ৬৫ কেজি। একটি ঘোড়ার ৪টি পা ১০টি ঘোড়া। ৪x১০=৪০, ৪০x৬৫ = ২৬০০ কেজি। আনুমানিক ২৬০০ কেজি দারা পদদলিত হয়েছেন মাযলুম ইমাম হুসাইন (আঃ)।
ইমাম যায়নুল আবেদ্বীন (আঃ) বলেছেনঃ আমার বাবার পাঁজরের হাড় ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল। আমি যখন আমার বাবাকে দাফন করার জন্য তার জানাযা হাতে তুলেছিলাম দেখেছি উনার হাড় গুলো টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। আমি আমার বাবাকে টুকরো টুকরো অবস্থায় দাফন করেছি।
অত্যাচারী ও অত্যাচারীদের উত্তরসূরি ব্যতিরেকে সবাই এই অসীম আত্মত্যাগকে স্বরণ করে। এই আত্মত্যাগকে স্বরণ করলেই চোখ অশ্রুজলে নিমজ্জিত হয়ে যায়। যদি আজ ইসলাম জীবিত রয়েছে সেটা একমাত্র ইমাম হুসাইন (আঃ) এর এই ত্যাগের বিনিময়।
اَللّٰهُمَّ الْعَنْ اَوَّلَ ظَالِمٍ ظَلَمَ حَقَّ مُحَمَّدٍ وَ اٰلِ مُحَمَّدٍ، وَ اٰخِرَ تَابِعٍ لَهٗ عَلٰى ذٰلِكَ اَللّٰهُمَّ الْعَنِ الْعِصَابَةَ الَّتِىْ جَاهَدَتِ الْحُسَيْنَ (عَلَیْہِ السَّلَامُ) وَ شَايَعَتْ وَ بَايَعَتْ وَ تَابَعَتْ عَلٰى قَتْلِهٖ، اَللّٰهُمَّ الْعَنْهُمْ جَمِيْعًا۔
হে আল্লাহ আপনি তাদের প্রতি অভিশাপ বর্ষণ করুন যারা মুহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর আহলে বাইতগন (আঃ)’এর প্রতি প্রথম জুলুম করেছে এবং সর্বশেষ জালিম যে, প্রথম জালিমকে তার জুলুমের ক্ষেত্রে অনুসরণ করেছে। হে আল্লাহ যে লোকেরা ইমাম হুসাইন (আঃ) এর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল, তাদের উপর লানত বর্ষণ করুন। আর তাদের অনুসারী অনুগামী ও তাদের আনুগত্য স্বীকারকারীদের প্রত্যেকের উপর লানত বর্ষণ করুন।
اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَاۤ اَبَا عَبْدِ اللهِ وَ عَلَى الْاَرْوَاحِ الَّتِىْ حَلَّتْ بِفِنَاۤئِكَ عَلَيْكَ مِنِّىْ سَلَامُ اللهِ اَبَدًا مَّا بَقِيْتُ وَ بَقِيَ اللَّيْلُ وَ النَّهَارُ وَ لَا جَعَلَهُ اللهُ اٰخِرَ الْعَهْدِ مِنِّىْ لِزِيَارَتِكُمْ،
اَلسَّلَامُ عَلَى الْحُسَيْنِ
وَ عَلٰى عَلِىِّ بْنِ الْحُسَيْنِ
وَ عَلٰى اَوْلَادِ الْحُسَيْنِ
وَ عَلٰى اَصْحَابِ الْحُسَيْنِ۔
হে আবা আবদিল্লাহ! আপনার প্রতি ও আপনার পবিত্র সত্তার প্রতি সালাম, যে সত্তা সমাধিত হয়েছে। আমার পক্ষ থেকে আল্লাহর সালাম অনন্তকাল ব্যাপী, যতদিন এই দিবা-নিশি অবিচল আছে। আল্লাহ যেন এ যিয়ারতকেই আমার জীবনের শেষ যিয়ারতে পরিণত করে না দেন। ইমাম হুসাইন (আ)’র সন্তানগণ ও ইমাম হুসাইন (আ)’র সাথীদের প্রতি সালাম।

,...................................................................................
👉👉👉👉👉 সূফীবাদের কথা 👈👈👈👈👈

খাজা গরীবে নেওয়াজ (রহ:) এর দৃষ্টিতে কারবালা: এক গভীর বিশ্লেষণ।কারবালার ঘটনাকে অনেকেই নিছক একটি শোকাবহ অধ্যায় হিসেবে দেখ...
06/07/2025

খাজা গরীবে নেওয়াজ (রহ:) এর দৃষ্টিতে কারবালা: এক গভীর বিশ্লেষণ।

কারবালার ঘটনাকে অনেকেই নিছক একটি শোকাবহ অধ্যায় হিসেবে দেখেন, কিন্তু সুলতানুল হিন্দ খাজা গরীবে নেওয়াজ মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ:) এর মূল্যবান বাণীগুলো আমাদের একটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।
তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ইমাম হোসাইন (আ:) এর শাহাদাত কেবলই পানির পিপাসায় অসহায় আত্মসমর্পণ ছিল না;
বরং এটি ছিল সত্য ও মিথ্যার মাঝে এক সুস্পষ্ট বিভাজন রেখা অঙ্কন।

ইমাম হোসাইন (আ:) এর মর্যাদা ও খাজা বাবার বিনয়

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ:) ইমাম হোসাইন (আ:) এর প্রতি নিজের অপরিসীম ভক্তি ও বিনয় প্রকাশ করে বলেছেন, "ইমাম হোসাইন (আ:) এর জুলজেনা'র (ঘোড়ার নাম) পদধূলা বলতেও নিজেকে লজ্জাবোধ করি।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, যদি তিনি সেদিন কারবালার মাঠে একটি আঙ্গুল দিয়েও খোঁচা দিতেন, তাহলে আল্লাহর কসম, সঙ্গে সঙ্গে পানির নহর বয়ে যেত।
এই উক্তিটি ইমাম হোসাইন (আ:) এর আধ্যাত্মিক উচ্চতা এবং খাজা বাবার নিজের অলৌকিক ক্ষমতা সম্পর্কে একটি ইঙ্গিত দেয়, যা তিনি ইমামের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে ব্যবহার করেননি।

পৃথ্বীরাজের ঘটনা: ইয়াজিদের প্রতি ধিক্কার

ঐতিহাসিক বর্ণনা অনুযায়ী, যখন পৃথ্বীরাজ খাজা বাবার পানি বন্ধ করে দিয়েছিলেন, তখন গাউছে পাক খাজা বাবা হুঙ্কার ছেড়ে বলেছিলেন: "ওহে ইয়াজিদের বাচ্চা, তুই কি এটা কারবালা পেয়েছিস ?
হোসাইনের গোলামের পানি বন্ধ করার সাহস কার ?
তুই কি আমার পানি বন্ধ করবি ?
তোর সমগ্র রাজস্থানের পানি আমি আমার এ বাটির মধ্যে তুলে নিলাম।"
কথিত আছে, এর ফলে সমগ্র রাজস্থানের পানি শুকিয়ে গিয়েছিল, এমনকি মায়ের স্তনের দুধও শুকিয়ে যায়।
এই ঘটনাটি খাজা বাবার প্রতিপত্তি এবং ইয়াজিদের প্রতি তার তীব্র ধিক্কারের প্রমাণ।
তিনি স্পষ্ট করে দেন যে, ইমাম হোসাইন (আ:) এর পানি বন্ধ করার মতো জঘন্য কাজ কেবল ইয়াজিদের বংশধররাই করতে পারে।

ইমাম হোসাইন (আ:) কেন অলৌকিক ক্ষমতা প্রয়োগ করেননি ?

খাজা বাবা প্রশ্ন তোলেন, যার হাতে হাউজে কাওসারের কর্তৃত্ব, যিনি সমগ্র জান্নাতীদের জামে ওয়াহাদাত পান করাবেন, যিনি বেহেশতের সর্দার – সেই প্রিয় নবীজীর নয়ণের মণি, খাতুনে জান্নাতের কলিজার টুকরা ইমাম হোসাইন (আ:) কিভাবে পিপাসিত থাকতে পারেন ?
এখানে খাজা বাবা নিজেই উত্তর দিয়েছেন: তিনি ইমাম হোসাইন (আ:) এর একজন 'গোলামের গোলাম' হয়েও যে অলৌকিক কাজটি করতে পারতেন বলে কসম করে বলেছেন, ইমাম হোসাইন (আ:) কেন 'আকা' হয়ে সেই কেরামতটি দেখালেন না ?

এর কারণ অত্যন্ত গভীর। ইমামে আলী মোকাম হযরত ইমাম হোসাইন (আ:) ধৈর্য ও সবরের অগ্নি পরীক্ষায় আল্লাহর রেজাবন্দীর (সন্তুষ্টির) উপর ছিলেন সন্তুষ্ট। আল্লাহওয়ালাদের ধৈর্যের চরম পরীক্ষায় তিনি জয়ী হয়েছিলেন।
নিজের জীবন উৎসর্গ করে তিনি মোহাম্মদী ইসলাম ও সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন।
তাঁর শাহাদাত ছিল ত্যাগের এক মহিমান্বিত দৃষ্টান্ত, যা মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকতে অনুপ্রাণিত করে।

খাজা বাবার এই বাণীগুলো কারবালার শিক্ষাকে নতুনভাবে উপলব্ধিতে সাহায্য করে।
এটি কেবল একটি ঐতিহাসিক ঘটনা নয়, বরং এক চিরন্তন বার্তা – যেখানে সত্যের জয় হয় ত্যাগের মাধ্যমে, ধৈর্যের মাধ্যমে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির ওপর পরিপূর্ণ বিশ্বাসের মাধ্যমে।
.......................,.........................................................
👉👉👉👉👉👉 সূফীবাদের কথা 👈👈👈👈👈

ইমাম হোসেন (আ.)-এর শেষ ভাষণ প্রসঙ্গেকারবালার মাঠে একে একে যখন সবাই শাহাদাত বরণ করেছেন এবং হজরত ইমাম হোসেন যখন কেবল একা দ...
05/07/2025

ইমাম হোসেন (আ.)-এর শেষ ভাষণ প্রসঙ্গে

কারবালার মাঠে একে একে যখন সবাই শাহাদাত বরণ করেছেন এবং হজরত ইমাম হোসেন যখন কেবল একা দাঁড়িয়ে ছিলেন তখন তাঁর শেষ কয়টি কথার কিছু অংশ অনুবাদ করলাম:

'কেন আমাকে হত্যা করতে চাও? আমি কি কোনো পাপ অথবা অপরাধ করেছি?' এজিদের সৈন্যবাহিনী বোবার মত দাঁড়িয়ে রইলো। পুনরায় ইমাম হোসেন বললেন, 'আমাকে হত্যা করলে আল্লাহর কাছে কী জবাব দেবে? কী জবাব দেবে বিচার দিবসে মহানবীর কাছে?'

এজিদের সৈন্যবাহিনী পাথরের মত দাঁড়িয়ে আছে। আবার ইমাম হোসেন বলেন,
'হাল মিন্ নাসরিন ইয়ানসুরুনা?' 'আমাদের সাহায্য করার মত কি তোমাদের মধ্যে একজনও নেই?'

তারপরের আহ্বানটি সাংঘাতিক মারাত্মক। ঐতিহাসিকদের মতে এটাই

ইমাম হোসেনের শেষ আহ্বান।

'আলাম্ তাসমাও? আলাইসা ফিকুম মুসলিমু।'

'আমার কথা কি শুনতে পাও না? তোমাদের মাঝে কি মাত্র একটি মুসলমানও নেই?'

ইমাম হোসেনের এই শেষ ভাষণটি মাত্র একটি ছোট্ট বাক্য। অথচ এর ব্যাখ্যা যদি কাঁচ ভাঙার মত টুকরো টুকরো করে দেখাতে চাই তাহলে সেই বাক্যটি হবে খুবই বেদনাদায়ক। তাই বেশি কথা না বলে শেষ বাক্যটির সামান্য ব্যাখ্যা দিয়েই শেষ করতে চাই। খাজা বাবা যেমন বলেছেন, 'ইমাম হোসেন আসল এবং নকলের ভাগটি পরিষ্কার করে দেখিয়ে গেলেন', সে রকমই অর্থ বহন করছে ইমাম হোসেনের শেষ ভাষণটিতে। কারণ, এজিদের সৈন্যবাহিনীতে একজন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান অথবা অন্য কোনো ধর্মের কেউ ছিল না। সবাই ছিল মুসলমান। অথচ কী সাংঘাতিক এবং ভয়ঙ্কর ভাষণ 'তোমাদের মাঝে কি একটি মুসলমানও নেই?'

এজিদের সৈন্যবাহিনীর সবাই মুসলমান, এটা অধম লেখকের কথা নয় বরং যে কোন বিজ্ঞ আলেমকে প্রশ্ন করে দেখুন। অথচ ইমাম হোসেন এ কী তাক লাগানো কথা বলছেন, 'তোমাদের মাঝে কি মাত্র একটি মুসলমানও নেই?' না, একটিও সত্যিকার আসল মুসলমান ছিল না বলেই ইমাম হোসেন এই আহ্বান জানিয়ে পৃথিবীকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন। তিনি বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন যে, যারা দাঁড়িয়ে আছে তারা সবাই নকল মার্কা মুসলমান।

🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
সবাই একটি শিয়ার দিবেন

👉👉👉👉 সূফীবাদের কথা 👈👈👈👈👈👈

হে হোসাইন, যে কােজ আপনি আঞ্জাম দিয়েছেন, তা দিয়ে মোস্তফার ফুল বাগিচার বসন্ত এনে দিয়েছেন।কোন পয়গম্বর যে কাজ করার সুযোগ পায়...
03/07/2025

হে হোসাইন, যে কােজ আপনি আঞ্জাম দিয়েছেন, তা দিয়ে মোস্তফার ফুল বাগিচার বসন্ত এনে দিয়েছেন।

কোন পয়গম্বর যে কাজ করার সুযোগ পায়নি, খোদার কসম, হে হোসাইন, আপনি সে কাজ সম্পন্ন করেছেন।

হযরত খাজা মুঈনুদ্দিন চিশতি (কঃ)

সূফীবাদের কথা 🙏🙏🙏🙏🙏🙏

মহরমের চাঁদ এলো ঐ কাঁদাতে ফের দুনিয়ায় ইয়া হুসাইন ইয়া হুসাইন তারি মাতম শোনা যায়। "কাঁদিয়া জয়নাল আবেদীন বেহুঁশ হলো কারবালা...
02/07/2025

মহরমের চাঁদ এলো ঐ কাঁদাতে ফের দুনিয়ায়
ইয়া হুসাইন ইয়া হুসাইন তারি মাতম শোনা যায়। "
কাঁদিয়া জয়নাল আবেদীন বেহুঁশ হলো কারবালায়
বেহেশতে লুটিয়া কাঁদে আলী ও মা ফাতেমায়।

কাঁদে বিশ্বের মুসলিম জাতি, গাহে তারি মর্সিয়া
ঝরে হাজার বছর ধরে অশ্রু তারি শোকে ।

-- সুফী কবি কাজী নজরুল ইসলাম।🌸🌹🌸

সূফীবাদের কথা....... 🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏

আধ্যাত্মিক জগতের সম্রাট হলেন হোসেইন, বাদশা হলেন হোসেইন, ধর্ম হলেন হোসেইন, ধর্মের আশ্রয়দাতা হলেন হোসেইন।হযরত খাজা মঈনউদ্দ...
01/07/2025

আধ্যাত্মিক জগতের সম্রাট হলেন হোসেইন, বাদশা হলেন হোসেইন, ধর্ম হলেন হোসেইন, ধর্মের আশ্রয়দাতা হলেন হোসেইন।

হযরত খাজা মঈনউদ্দিন চিশতি রহঃ

সূফীবাদের কথা 🙏🙏

Address

Dhaka

Telephone

+8801749005134

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সূফীবাদের কথা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share