06/07/2025
ফেসবুকে এই প্রোফাইলে আছি ১৮ বছর, ব্লগিং ধরলে ১৯, ইয়াহু গ্রুপগুলা ধরলে দুই যুগ। মোটামুটি এই আমার অনলাইন একটিভিজম। আর যারা আমারে চিনে বা আমার কাজকর্ম ফলো করে, তারা জানে আমি মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধ এবং বঙ্গবন্ধু নিয়াই মূলত কাজ করি। পাশাপাশি আমি আওয়ামী লীগ সমর্থক, আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়া কাজ করলেই সেটা বাইডিফল্ট আওয়ামী লীগের পক্ষে যায়। গত ৫ আগস্টের পর আমি এবং সহযোদ্ধারা এটিম নিয়ে সরাসরিই লড়তেছি কোনো রাখঢাক ছাড়াই।
তো আমার প্রোফাইলে শকুনের নজর পড়ছে! শকুন যদি জামাত শিবির বা বিএনপি হইতো সমস্যা ছিলো না। আগেও বহুবার চেষ্টা হইছে আমার প্রোফাইল খাওয়ার, কিভাবে যেন টিকে আছি। আর আমার ব্লুটিকও পয়সা দিয়া কিনি নাই। যাহোক শকুনরা দেখি আওয়ামী লীগের লোক বইলাই নিজেরে পরিচয় দেয়। অনেকে নাকি আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল পেইজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অবাক হওয়ার মতো তথ্য! এরা আমার পিছনে লাগবে ক্যান? কনফ্লিক্ট অব ইনটেরেস্টটা কোথায়?
কয়েকদিন আগে সুশান্তর পেইজ ডাউন হইলো। ফেরত আসছে অবশ্য। কিন্তু পরে জানলাম এসব নাকি ফেসবুকে ওপেন লাইভ কইরা ঘোষণা দিয়া করা হইতেছে। খোজ নিয়া দেখলাম যারা এসব করতেছে তাদের মধ্যে- ৫ আগস্ট দেশ স্বাধীন হইছে বইলা স্ট্যাটাস দেয়া লোকও আছে। তখন পর্যন্ত জুলকারনাইন সায়ারের হইয়া ভাড়া খাটা লোক আছে। আওয়ামী লীগরে দুচি বইলা ঘোষণা দেওয়া লোক আছে। কারা এদের প্রমোট করতেছে? কিভাবে এরা আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল পেইজে একসেস পাইতেছে? উত্তর একটু পরে দিতেছি।
আমরা কিন্তু একা না। আওয়ামী লীগের হয়ে অনলাইনে অনেকগুলা ছোট গ্রুপ ফাইট দিতেছে। তারাও বিপন্ন! লিস্ট করে তাদের আইডি খেয়ে দিতেছে। তারপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়া জানাইতেছে। মানে লাভটা কি? তার মানে কি আওয়ামী লীগে ঘাপটি মেরে থাকা শক্তিই অনলাইনে আওয়ামী লীগ ফা্ইটারদের নিশ্চিহ্ন করার মিশন নিছে? কিছু নাম আমাদের কাছে আসছে, কারা এদের বিদেশ থেকে টাকা পাঠাচ্ছে, কারা প্রমোট করতেছে। সময় আসলে সবার নাম তথ্যপ্রমাণসহ তুলে দিবো।
তবে তার আগে একটা অফার দিতে চাই। মাসদুয়েক আগে বিভিন্ন অনলাইন ফাইটারদের সঙ্গে একটা মিটিংয়ে বসছিলাম অনলাইনে। সেখানে Kazi Mamun, Saifur Rahman মিশুসহ কয়েকজন সিনিয়র একটিভিস্ট ছিলেন। মামুনকে সর্বসম্মতিক্রমে দায়িত্ব দেওয়া হয় এদের সঙ্গে কথা বলার। অনুরোধ করা হয় এসব যেন বন্ধ করে এটা ওদের বলতে। বোঝাই যাচ্ছে এরা মামুনকে পাত্তাই দেয় নাই। সে তাদের কনভিন্স করতে ব্যর্থ। বেচারার দোষ নাই। সে নিজেই সারাদিন ব্যস্ত থাকে নানা কাজে, এইসব উটকো ঝামেলা একটা প্যারার মতোই।
আওয়ামীপন্থী ফাইটারদের অনলাইন থেকে হাওয়া করে কার কি লাভ হবে জানি না। তবে আমরা অবশ্যই দায়িত্ব নিয়ে তাদের মুখোশ উন্মোচন করবো। আমরা আওয়ামী লীগের ফান্ড নিয়ে একটিভিজম করি না। নিজের টাকায় করি। আমাদের থেকে ভালো কাজ করেন, আমরা অটোতে অফ যাবো। কিন্তু বা*লফালাইন্না একটিভিজম দিয়া নিজেরে হনু ভাববেন, আর চিন্তা করবেন এটিম বা এইসব একটিভিস্ট না থাকলে আপনাগো পোয়াবারো, তৃণমূল আপনাগো উঠতে বসতে সালাম দিবে- এই স্বপ্নদোষ থেকে বের হন।
আসেন একসঙ্গে কাজ করি। যুদ্ধটা অনেক দীর্ঘ। ঘেটুপুত্রদের থামান। নাইলে তাদের বাপ হিসেবে কিন্তু মুখোশ টিকাইতে পারবেন না আর। লাস্ট ওয়ার্নিং। প্রমাণ আছে।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ...
Omi Rahman Pial