16/07/2025
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল সত্যিই গত ১৫–১৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে নিম্নে নেমেছে। ১০০% যাচাই-বাছাই করে বিশ্লেষণ করলে প্রধান কারণগুলো হলো:
🧾 ১. পর্যাপ্ত ক্লাস হয়েছে না
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০–২০২২ সময়ে স্কুল দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা,
পাশাপাশি ২০২৪ সালের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন (মাসস আপ্রাইজিং) ও রাজনৈতিক অশান্তি—এসব মিলিয়ে প্রায় ৫ বছরের পড়াশোনার বিরতি হয়েছে, ফলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে নিয়মিত অংশ নিতে পারেনি ।
📉 ২. গণিত ও ইংরেজি দুরূহ ছিল
গণিত বিষয়ে পাস রেট উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে (ঢাকা বোর্ডে প্রায় ৭৫%),
ইংরেজিতেও পাস রেট গুরুত্বপূর্ণভাবে নেমেছে,
যেহেতু এ দুটি বিষয় বাধ্যতামূলক, তাই সামগ্রিক ফলাফলেও বড় প্রভাব পড়েছে ।
🧐 ৩. মূল্যায়ন কঠোর ছিল
এবার আর শিক্ষাবিদদের কাছে কোন "নির্দিষ্ট নির্দেশনা" (pass rate তুলতে বা inflate করতে) দেয়া হয়নি,
স্ক্রুটিনির সময় নিষ্ঠা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে কড়া মূল্যায়ন করা হয়েছে, ফলে ফল কমেছে, তবে বাস্তব প্রতিফলন ঘটেছে ।
🎓 ৪. GPA‑5 কমেছে এবং বোর্ডভিত্তি পার্থক্য
GPA‑5 পাওয়ার সংখ্যা গতবছর ১,৮২,১২৯ থেকে এবার ১,৩৯,০৩২–এ নেমে এসেছে ।
বিভিন্ন বোর্ডে পার্থক্য রয়েছে—যেমন বরিশাল বোর্ডে মাত্র ৫৬.৩৮% পাস (সর্বনিম্ন), আর রাজশাহী বোর্ডে শতকরা ৭৭.৬৩% পাস রেট দেখা গেছে ।
🔍 সারসংক্ষেপ
কারণ বিশদ
📚 শিক্ষা-বিভ্রাট কোভিড + আন্দোলনের কারণে নিয়মিত ক্লাস বলতে কিছু ছিল না
📊 কঠিন পরীক্ষা গণিত ও ইংরেজিতে কঠিন প্রশ্ন ও গঠনমূলক মূল্যায়ন
✅ কঠোর মূল্যায়ন আরেকটু সততার সাথে কড়া মার্কিং হয়েছে
🎯 বোর্ড-ভিত্তিক পার্থক্য কিছু বোর্ডে ফল অন্যদের তুলনায় যথেষ্ট খারাপ
🧭 উপসংহার
এসএসসি ২০২৫-এর ফলাফল “খারাপ” নয় — বরং এটি বাংলাদেশের এসএসসি ছাত্রছাত্রীদের বর্তমান প্রস্তুতি, বাস্তব দক্ষতা এবং নিয়মিত শিক্ষাবিভ্রাটের ফল। একদিকে কঠোর মূল্যায়ন এবং প্রশ্নপত্রের কঠিনতা, অন্যদিকে দীর্ঘ শিক্ষাগত বিরতি—অভিন্নভাবে এই ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।