05/06/2025
রকসম্রাট, মুক্তিযোদ্ধা আজম খান-এর প্রয়াণদিবসে তাঁকে শ্রদ্ধাসহ স্মরণ করি 🤘
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময়ে আজম খান পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তখন তিনি ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণের বিরুদ্ধে গণসঙ্গীত প্রচার করেন। জানা যায়, প্রথম দিকে তিনি আব্দুল লতিফের গাওয়া গণসঙ্গীত গাইতেন।
১৯৭১ সালে #মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে, তিনি পায়ে হেঁটে আগরতলা যান।
তিনি প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ভারতের মেলাঘরের প্রশিক্ষণকেন্দ্রে। সেখানে তিনি শহিদ জননী জাহানারা ইমামের জ্যেষ্ঠ পুত্র শাফী ইমাম রুমীর কাছে এলএমজি, রাইফেল চালানোসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এ সময়ে তাঁর ইচ্ছা ছিল সেক্টর ২ এ খালেদ মোশাররফ-এর অধীনে যুদ্ধে যোগদান করার। আজম খান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ২১ বছর বয়সে। তাঁর গাওয়া গান প্রশিক্ষণ শিবিরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা যোগাতো।
জানা যায়, থালা-বাটি-চামচ দিয়ে মিউজিক বাজিয়ে দুর্দান্ত গান গাইতেন তিনি সেসময় সহযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে।
যুদ্ধ প্রশিক্ষণ শেষে তিনি কুমিল্লায় সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন। কুমিল্লার সালদায় প্রথম সরাসরি যুদ্ধ করেন।
এর কিছুদিন পর তিনি পুনরায় আগরতলায় ফিরে আসেন। এরপর তাঁকে পাঠানো হয় ঢাকায় গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য। আজম খান ছিলেন দুই নম্বর সেক্টরের একটা সেকশনের ইন-চার্জ।
আর সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কর্নেল খালেদ মোশাররফ। ঢাকায় তিনি সেকশান কমান্ডার হিসেবে ঢাকা ও এর আশেপাশে বেশ কয়েকটি গেরিলা আক্রমণে অংশ নেন।
তাঁর নেতৃত্বে সংঘটিত "অপারেশন তিতাস" উল্লেখযোগ্য একটি অপারেশন। তাদের দায়িত্ব ছিল ঢাকার কিছু গ্যাস পাইপলাইন ধ্বংস করার মাধ্যমে বিশেষ করে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, হোটেল পূর্বাণী'র গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটানো। তাদের লক্ষ্য, ঐ সকল হোটেলে অবস্থানরত বিদেশিরা যাতে বুঝতে পারে যে দেশে একটা যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে তিনি তাঁর বাম কানে আঘাতপ্রাপ্ত হন। যা পরবর্তীকালে তাঁর শ্রবণক্ষমতায় বিঘ্ন ঘটায়। আজম খান তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে পুরোপুরি ঢাকায় প্রবেশ করেন ১৯৭১-এর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। এর আগে তারা মাদারটেকের কাছে ত্রিমোহনীতে সংগঠিত যুদ্ধে পাক সেনাদের পরাজিত করেন।
তিনি যে গেরিলা দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন সেই দলটি হল মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সেই দুর্দান্ত গেরিলা দল "ক্র্যাক প্লাটুন"।
।
#1971 #আজমখান