Islamer Kotha - ইসলামের কথা

Islamer Kotha - ইসলামের কথা
Khabar Wala

* Tourist places in every region of Bangladesh. (Eg: parks, mosques, buildings, temples, old ponds, etc.)

and the biographies of special people, freedom fighters, and specially talented people of every dist

04/02/2025

মুহতারাম, আসসালামু আলাইকুম।
*৬ ফেব্রুয়ারী* বৃহস্পতিবার বাদ এশা তারুণ্যের জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত *"ইসলামের কথা"* ( ইসলামিক আলোচনা অনুষ্ঠান) অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের এবারের অনুষ্ঠানে পুরুষ এবং নারীদের আলাদা বসার ব্যাবস্থা থাকবে ইনশাআল্লাহ।
স্থান: পানির পাম্প সংলগ্ন ইব্রাহিম সাহেবের বাসার নিচতলা

আলোচক: *শাইখ মাওলানা মোঃ মাহমুদুল হক*
খতিব, উত্তরা বাদশার টেক জামে মসজিদ।
মুহতামিম, মুঈনুল কুরআন মাদরাসা, মিরপুর, ঢাকা।

*সকলকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আহবান জানাচ্ছি।*

মুহতারাম, আসসালামু আলাইকুম।আগামীকাল ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাদ এশা রাত ৮:১৫ মিনিটে  তারুণ্যের জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন কর্তৃক...
13/11/2024

মুহতারাম, আসসালামু আলাইকুম।
আগামীকাল ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাদ এশা রাত ৮:১৫ মিনিটে তারুণ্যের জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত "ইসলামের কথা" ( ইসলামিক আলোচনা অনুষ্ঠান) অনুষ্ঠিত হবে।
আলোচক: মোঃ মাহমুদুল হক
সাবেক ইমাম ও খতিব সেনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ।
*
সকলকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আহবান জানাচ্ছি।

উচ্চস্বরে আমিন বলা ১০/১১১. ইমামের সশব্দে ‘আমীন’ বলা। আত্বা (রহ.) বলেন, ‘আমীন’ হল দু‘আ। তিনি আরও বলেন, ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু য...
14/10/2024

উচ্চস্বরে আমিন বলা

১০/১১১. ইমামের সশব্দে ‘আমীন’ বলা। আত্বা (রহ.) বলেন, ‘আমীন’ হল দু‘আ। তিনি আরও বলেন, ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু যুবায়র (রাযি.) ও তাঁর পিছনের মুসুল্লীগণ এমনভাবে ‘আমীন’ বলতেন যে, মসজিদে গুমগুম আওয়ায হতো। আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) ইমামকে ডেকে বলতেন, আমাকে ‘আমীন’ বলার সুযোগ হতে বঞ্চিত করবেন না। নাফি‘ (রহ.) বলেন, ইবনু ‘উমার (রাযি.) কখনই ‘আমীন’ বলা ছাড়তেন না এবং তিনি তাদের (আমীন বলার জন্য) উৎসাহিত করতেন। আমি তাঁর কাছ হতে এ সম্পর্কে হাদীস শুনেছি।

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ ইমাম যখন ‘আমীন’ বলেন, তখন তোমরাও ‘আমীন’ বলো। কেননা, যার ‘আমীন’ (বলা) ও মালাইকাহর ‘আমীন’ (বলা) এক হয়, তার পূর্বের সব গুনাহ মা‘ফ করে দেয়া হয়। ইবনু শিহাব (রহ.) বলেন, রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ‘আমীন’ বলতেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৪৪, সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭৮০) (ই.ফা. ৭৯৮ , ই.সে. ৮১০, সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৮০১) (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৯২৬, ৯২৮, সহিহ হাদিস) (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৯৩৬, সহিহ হাদিস)

ওয়ায়িল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর পেছনে সালাত আদায় করেছি। যখন তিনি সালাত আরম্ভ করতেন তখন তাকবীর বলতেন এবং তাঁর উভয় হাত দু'কান পর্যন্ত তুলতেন। এরপর সূরা ফাতিহা পাঠ করা আরম্ভ করতেন। আর তা শেষ করে '' আমীন '' বলতেন এবং তা বলার সময় তাঁর স্বর উচ্চ করতেন। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৮৭৯, সহিহ হাদিস)

ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, (সালাত আদায়কালে সূরাহ ফাতিহার শেষে) রসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন “ওয়ালাদদোয়াল্লীন” পড়তেন তখন তিনি জোরে আমীন বলতেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৯৩২, সহিহ হাদিস)

ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি রসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর পিছনে সালাত আদায় করেছেন। তাতে তিনি সশব্দে আমীন বলেছেন। তিনি ডানে ও বামে এভাবে সালাম ফিরিয়েছেন যে, আমি তাঁর গালের শুভ্রতা দেখেছি। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৯৩৩, হাসান সহিহ)

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃ) কে 'ওয়ালাদ দাল্লীন' বলার (পড়ার) পর আমিন' বলতে শুনেছি। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৮৫৪, সহিহ হাদিস)

ওয়ায়িল বিন হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি নবী (সাঃ) এর সাথে সালাত পড়লাম। তিনি "ওয়ালায যআল্লীন" বলার পর "আমীন" বলেছেন। আমরা তা তাঁকে বলতে শুনেছি। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৮৫৫, সহিহ হাদিস)

ফেরেশতার সাথে আমিন বলা মিলে গেলে সব গুনাহ মাফ

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ (সালাতে) ‘আমীন’ বলে, আর আসমানে মালাইকাহ্ ‘আমীন’ বলেন এবং উভয়ের ‘আমীন’ একই সময় হলে, তার পূর্ববর্তী সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেয়া হয়। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৪৫, সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭৮১) (ই.ফা. ৮০০ , ই.সে. ৮১২, সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৮০৩, ৮০৪) (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৯৩০, সহিহ হাদিস)

আবু হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইমাম غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ পড়লে তোমরা ‘আমীন’ বলো। কেননা, যার এ (আমীন) বলা মালাকগণের (আমীন) বলার সাথে একই সময় হয়, তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৪৬) (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭৮২) (ই.ফা. ৮০৩, ই.সে. ৮১৫, সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৮০৬) (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৯২৭, ৯২৯, সহিহ হাদিস) (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৯৩৫, সহিহ হাদিস)

আলী ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী বলেছেন, যখন ক্বারী ‘ আমীন ’ বলবে তখন তোমরাও আমীন বলবে। কারণ এ সময় ফেরেশতা আমীন বলে থাকেন। সুতরাং যার আমীন বলা ফেরেশতার আমীন বলার সঙ্গে মিলে যাবে, তার পূর্বের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪৭) (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৪০২)‎

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যখন তিলাওয়াতকারী আমীন বলে, তখন তোমরাও আমীন বলবে। কেননা, ফেরেশতাগণও আমীন বলে থাকেন। অতএব, যার আমীন বলা ফেরেশতাদের আমীন বলার মত হবে, আল্লাহ পাক তার পূর্বের পাপ মার্জনা করবেন। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৯২৫, সহিহ হাদিস) (‎সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৮৫১, ৮৫২, সহিহ হাদিস)

‎ইহুদীরা ঈর্ষান্বিত হত আমিন শুনে

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাঃ) বলেন, ইয়াহুদীরা তোমাদের কোন ব্যপারে এত বেশী ঈর্ষান্বিত নয় যতটা তারা তোমাদের সালাম ও আমীনের ব্যাপারে ঈর্ষান্বিত। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৮৫৬, সহিহ হাদিস)

অবশ্যই জানতে হবে? কাঁধে কাঁধ এবং পায়ে পা মিলিয়ে দাঁড়ানো।১০/৭৬. কাতারে কাঁধের সাথে কাঁধ এবং পায়ের সাথে পা মিলানো। নু‘মান...
13/10/2024

অবশ্যই জানতে হবে? কাঁধে কাঁধ এবং পায়ে পা মিলিয়ে দাঁড়ানো।

১০/৭৬. কাতারে কাঁধের সাথে কাঁধ এবং পায়ের সাথে পা মিলানো। নু‘মান ইবনু বশীর (রহ.) বলেন, আমাদের কাউকে দেখেছি পার্শ্ববর্তী ব্যক্তির টাখ্নুর সাথে টাখ্নু মিলাতে।

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাঃ) বলেনঃ তোমরা তোমাদের কাতার সোজা করে নাও। কেননা, আমি আমার পিছন হতেও তোমাদের দেখতে পাই। আনাস (রাঃ) বলেন আমাদের প্রত্যেকেই তার পার্শ্ববর্তী ব্যক্তির কাঁধের সাথে কাঁধ এবং পায়ের সাথে পা মিলাতাম। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৬৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬৮৯) (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭২৫)

আবূল ক্বাসিম আল-জাদালী থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, রসূলুল্লাহ (সাঃ) সমবেত লোকদের দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তিনবার বললেনঃ তোমরা তোমাদের কাতারসমুহ সোজা কর। আল্লাহর শপথ! অবশ্যই তোমরা তোমাদের কাতারসমূহ সোজা করে দাঁড়াও। অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের অন্তরে মতানৈক্য সৃষ্টি করে দিবেন। বর্ণনাকারী নু’মান (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমি এক লোককে দেখলাম, সে তার সঙ্গীর কাঁধের সাথে নিজের কাঁধ, তার হাঁটুর সাথে নিজের হাঁটু এবং তার গোড়ালির সাথে নিজের গোড়ালি মিলিয়ে দাঁড়াচ্ছে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৬৬২, সহিহ হাদিস)

জাবির বিন সামুরা আস-সুওয়ায়ী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, সাবধান! তোমরা এমনভাবে কাতারবন্দী হও যেভাবে ফেরেশতাগণ তাদের প্রভুর নিকট কাতারবন্দী হন। রাবী বলেন, আমরা জিজ্ঞেস করলাম, ফেরেশতারা তাদের প্রভুর সামনে কিভাবে কাতারবন্দী হন? তিনি বলেন, তারা প্রথম সারিগুলো আগে পূর্ণ করেন এবং সারিতে গায়ে গায়ে লেগে দাঁড়ান। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৯৯২, সহিহ হাদিস)

নতুন কেউ কাতারে প্রবেশ করা

ইবনু উমার ও আবূ শাজারাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের কাতারসমূহ সোজা করে নাও, পরস্পর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াও এবং উভয়ের মাঝখানে ফাঁক বন্ধ কর আর তোমাদের ভাইদের হাতে নরম হয়ে যাও। (তিনি আরো বলেন,) শাইত্বানের জন্য কাতারের মাঝখানে ফাঁকা জায়গা রেখে দিও না। যে ব্যক্তি কাতার মিলাবে, আল্লাহও তাকে তারঁ রহমাত দ্বারা মিলাবেন। আর যে ব্যক্তি কাতার ভঙ্গ করবে, আল্লাহও তাকে তাঁর রহমাত হতে কর্তন করবেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) আরো বলেনঃ “তোমাদের ভাইদের হাতে নরম হয়ে যাও” এর অর্থ হচ্ছে, কোন ব্যক্তি এসে কাতারে প্রবেশ করতে চাইলে প্রত্যেক ব্যক্তিই তার জন্য নিজ নিজ কাঁধ নরম করে দেবে, যেন সে সহজে কাতারে শামিল হতে পারে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৬৬৬, সহিহ হাদিস)

কাতারে শাইত্বান প্রবেশ করছে

‎আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা কাতারে পরস্পর মিশে দাঁড়াও। কাতারসমূহকে পরস্পর নিকটবর্তী রাখ এবং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াও। যাঁর হাতে মুহাম্মদের প্রাণ তাঁর শপথ! আমি শয়তানকে দেখছি ছোট ছোট বকরীর মত কাতারের মধ্যে প্রবেশ করছে। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৮১৫, সহিহ হাদিস)

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন তোমরা (সালাতের) কাতারসমূহে মিলে মিশে দাঁড়াবে। এক কাতারকে অপর কাতারের নিকট রাখবে। পরস্পর কাধেঁ কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবে। ঐ সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার জীবন! আমি চাক্ষুস দেখতে পাচ্ছি, কাতারের খালি (ফাঁকা) জায়গাতে শাইত্বান যেন একটি বকরীর বাচ্চার ন্যায় প্রবেশ করছে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৬৬৭, সহিহ হাদিস)

কাতার সোজা করা সলাতের পূর্ণতা

‎আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাঃ) বলেনঃ তোমরা তোমাদের কাতারগুলো সোজা করে নিবে, কেননা কাতার সোজা করা সালাতের সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭২৩)

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূল (সাঃ) বলেছেনঃ তোমাদের সলাতের লাইনগুলো সোজা কর। কেননা লাইন সোজা করা সলাত পুরোপুরিভাবে আদায় করার অন্তর্ভুক্ত। (ই.ফা. ৮৫৭, ই.সে. ৮৭০) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৮৬১)

আনাস ইবনু মলিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা কাতারসমূহ সোজা করবে। কারণ কাতারসমূহ সোজা করার দ্বারাই সলাত পূর্ণতা পায়। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৬৬৮, সহিহ হাদিস)

‎আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন তোমরা তোমাদের কাতারগুলো সোজা করো। কারণ কাতার সোজা করা সালাত পূর্ণ করার অন্তর্ভুক্ত। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৯৯৩, সহিহ হাদিস)

যে ব্যক্তি কাতার মিলায়

আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কাতার মিলায়, আল্লাহ তা’আলা তাকে মিলিয়ে দেন, আর যে ব্যক্তি তাকে পৃথক করে, আল্লাহ তা’আলা তাকে পৃথক করে দেন। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৮১৯, সহিহ হাদিস)

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যারা কাতারগুলো মিলিয়ে রাখে তাদের প্রতি আল্লাহ এবং তার ফেরেশতাগন রহমত বর্ষণ করেন। যে ব্যক্তি কাতারের ফাঁক বন্ধ করে, আল্লাহ তার বিনিময়ে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৯৯৫, সহিহ হাদিস)

রসূলুল্লাহ (সাঃ) পেছন থেকেও দেখেন

‎আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাঃ) বলেনঃ তোমরা কাতার সোজা করে নিবে। কেননা, আমি আমার পিছনে তোমাদেরকে দেখতে পাই। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭১৮)

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, তোমরা সলাতের লাইন পূর্ণ কর। আমি আমার পিছন দিক থেকেও তোমাদের দেখতে পাই। (ই.ফা. ৮৫৮, ই.সে. ৮৭১) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৮৬২)

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ (একদা) রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) সালাতে দাঁড়ালেন, তখন তাকবীর বলার পূর্বে আমাদের দিকে মুখ করে বললেন, তোমরা তোমাদের কাতার ঠিক কর এবং পরস্পর মিশে দাঁড়াও। আমি তোমাদেরকে আমার পেছন থেকেও দেখে থাকি। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৮১৪, সহিহ হাদিস)

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাঃ) বলতেনঃ তোমরা বরাবর হয়ে দাঁড়াও, বরাবর হয়ে দাঁড়াও, বরাবর হয়ে দাঁড়াও। যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ। আমি তোমাদের দেখছি আমার পেছন থেকে যেভাবে আমি তোমাদের দেখছি আমার সম্মুখ থেকে। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৮১৩, সহিহ হাদিস)

ফেরেশতাগণ তাঁদের প্রভুর সামনে যেভাবে দাঁড়ান

জাবির ইব্‌ন সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) আমাদের নিকট বের হয়ে বললেনঃ তোমরা কি কাতার সোজা করবে না যেরূপ ফেরেশতাগণ তাঁদের প্রভুর সামনে কাতার সোজা করে দাঁড়ান। তাঁরা বললেন, ফেরেশতাগণ তাঁদের রবের সামনে কিভাবে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়ান? তিনি বললেনঃ তারা প্রথম কাতার পূর্ণ করেন এবং কাতারে মিশে দাঁড়ান। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৮১৬, সহিহ হাদিস)

জাবির ইবনু সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ মালায়িকাহ্‌ (ফেরেশতাগণ) যেরূপ তাদের প্রতিপালকের নিকট কাতারবদ্ধ হয়ে থাকে তোমরা কি সেরূপ কাতারবদ্ধ হবে না? আমরা বললাম, মালায়িকাহ্‌ তাদের প্রতিপালকের নিকট কিরূপে কাতারবদ্ধ হয়? তিনি বললেন, সর্বাগ্রে তারা প্রথম কাতার পূর্ণ করে, তারপর পর্যায়ক্রমে পরবর্তী কাতারগুলো এবং তারা কাতারে পরস্পর মিলে মিলে দাঁড়ায়। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৬৬১, সহিহ হাদিস)

‎দুই স্তম্ভের মধ্যে দাঁড়ানো

আবদুল হামীদ ইব্‌ন মাহমূদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমরা আনাস (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। আমরা আমীরদের মধ্য থেকে এক আমীরের সঙ্গে সালাত আদায় করছিলাম। তারা আমাদের পেছনে হটিয়ে দিল। তারপর আমরা দুই স্তম্ভের মধ্যে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করলাম। আনাস (রাঃ) পিছিয়ে যেতে থাকলেন এবং বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)-এর সময়ে আমরা এটা (দুই স্তম্ভের মধ্যে দাঁড়ানো) পরিহার করতাম। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৮২১, সহিহ হাদিস)

মুআবিয়াহ বিন কুররাহ থেকে বর্ণিতঃ তার পিতা থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) -এর যমানায় আমাদেরকে দু’ খুঁটির মাঝখানে কাতারবন্দী হতে নিষেধ করা হতো এবং আমাদেরকে কঠোরভাবে বিরত রাখা হতো। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১০০২, হাসান সহিহ)

কাতারে ডানপাশে দাঁড়ানো

ইব্‌নু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, কোন একরাতে আমি নবী (সাঃ)-এর সংগে সালাত আদায় করতে গিয়ে তাঁর বামপাশে দাঁড়ালাম। তিনি আমার মাথার পিছনের দিক ধরে তাঁর ডানপাশে নিয়ে আসলেন। অতঃপর সালাত আদায় করে শুয়ে পড়লেন। পরে তাঁর নিকট মুয়াজ্জিন এলে তিনি উঠে সালাত আদায় করলেন, কিন্তু (নতুনভাবে) উযূ করলান না। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭২৬)

‎ইব্‌নু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, একরাতে আমি সালাত আদায়ের জন্য নবী (সাঃ)-এর বামপাশে দাঁড়ালাম। তিনি আমার হাত বা বাহু ধরে তাঁর ডানপাশে দাঁড় করালেন এবং তিনি তাঁর হাতের ইঙ্গিতে বললেন, আমার পিছনের দিক দিয়ে। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭২৮)

ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমি আমার খালা মায়মূনা (রাঃ)-এর নিকট রাত যাপন করলাম। রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) রাতের সালাত আদায় করতে উঠলেন। আমি তাঁর বামপাশে দাঁড়ালাম। তিনি আমাকে এই বললেন- আমার মাথা ধরে আমাকে তাঁর ডানদিকে দাঁড় করালেন। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৮০৬, সহিহ হাদিস)

প্রথম কাতার রহমতের

বারা ইব্‌ন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) কাতারের একদিক থেকে অন্যদিকে প্রবেশ করে আমাদের কাঁধ ও বুক স্পর্শ করে বলতেনঃ তোমারা কাতারে এলোমেলো হয়ে দাঁড়াবে না। তাহলে তোমাদের অন্তরে অনৈক্য সৃষ্টি হবে। তিনি বলতেনঃ আল্লাহ প্রথম কাতারের প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণও প্রথম কাতারের জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করেন। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৮১১, সহিহ হাদিস)

ইরবায ইব্‌ন সারিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি প্রথম কাতারের জন্য তিনবার (রহমত ও মাগফিরাতের) দোয়া করতেন, তারপর দ্বিতীয় কাতারের জন্য একবার। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৮১৭, সহিহ হাদিস)

ইরবাদ বিন সারিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাঃ) প্রথম কাতারের লোকের জন্য তিনবার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন এবং দ্বিতীয় কাতারের লোকের জন্য একবার। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৯৯৬, সহিহ হাদিস)

প্রথম কাতারের জন্য লটারী করত

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ যদি লোকেরা জানত যে, আওয়াল ওয়াক্তে সালাত আদায়ের কী ফযীলত, তাহলে তারা এর জন্য প্রতিযোগিতা করে আগেভাগে আসার চেষ্টা করতো। আর ‘ইশা ও ফজরের জামা’আতের কী ফযীলত যদি তারা জানত তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে উপস্থিত হতো। এবং সামনের কাতারের কী ফযীলত তা যদি জানত, তাহলে এর জন্য তারা কুর’আ ব্যবহার করতো। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭২১)

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ আযান দেয়া এবং প্রথম লাইনে দাঁড়ানোর মধ্যে যে কি মর্যাদা রয়েছে তা যদি মানুষ জানতে পারত, তবে তা পাবার জন্য তারা প্রয়োজনবোধে লটারী করত। দুপুরের সলাতের যে মর্যাদা রয়েছে তা যদি তারা জানতে পারত, তবে তারা এটা লাভ করার প্রতিযোগিতায় লেগে যেত। ইশা ও ফাজরের সলাতের মধ্যে (তাদের জন্য) কি মর্যাদা রয়েছে তা যদি জানতে পারত তবে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও এসে সলাতে উপস্থিত হত। (ই. ফা. ৮৬৩, ই. সে. ৮৭৬) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৮৬৭)

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, লোকেরা যদি জানতো যে, প্রথম কাতারে কী (মর্যাদা) আছে, তাহলে (প্রথম কাতারে দাঁড়াতে) লটারীর ব্যবস্থা করতে হতো। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৯৯৮, সহিহ হাদিস)

জ্ঞানীগণ ইমামের পিছনে দাঁড়াবে

'আবদুল্লাহ ইবনু মাস'ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ বুদ্ধিমান, বিচক্ষন ও জ্ঞানী লোকেরা আমার নিকটবর্তী হয়ে দাঁড়াবে। অতঃপর পর্যায়ক্রমে তাদের কাছাকাছি যোগ্যতাসম্পন্ন লোকেরা দাঁড়াবে। তিনি এ কথা তিনবার বলেছেন। সাবধান! তোমরা (মাসজিদে) বাজারের মত শোরগোল করবে না। (ই.ফা. ৮৫৬, ই.সে. ৮৬৯) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৮৬০)

আবূ মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) সালাতে আমাদের স্কন্ধ স্পর্শ করে বলতেনঃ তোমরা কাতারে এলোমেলো হয়ে দাঁড়াবে না। তাহলে তোমাদের অন্তর এলোমেলো হয়ে যাবে। তোমাদের মধ্যে যারা জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান, তারা আমার কাছে দাঁড়াবে। তারপর যারা তাদের কাছাকাছি এবং তারপর যারা তাদের কাছাকাছি। আবূ মাসঊদ বলেনঃ আজকাল তোমাদের মধ্যে প্রচণ্ড মতবিরোধ। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৮০৭ সহিহ হাদিস)

আবূ মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) আমাদের কাঁধ স্পর্শ করে বলতেনঃ তোমারা সোজা হয়ে দাঁড়াও, বিচ্ছিন্ন হয়ো না, তাহলে তোমাদের অন্তরে অনৈক্য সৃষ্টি হবে। আর তোমাদের মধ্যে জ্ঞানীগণ আমার সাথে মিলিত হয়ে দাঁড়াবে, তারপর যারা তাঁদের নিকটবর্তী, তারপর যারা তাঁদের নিকটবর্তী (এভাবে দাঁড়াবে)। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৮১২, সহিহ হাদিস)

পুরুষদের জন্য উত্তম কাতার

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ পুরুষদের জন্য প্রথম লাইন উত্তম এবং শেষের লাইন মন্দ। মহিলাদের জন্য শেষের লাইন উত্তম এবং প্রথম লাইন মন্দ। (ই. ফা. ৮৬৭,ই. সে. ৮৮০) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৮৭১, জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২২৪, সহিহ হাদিস, সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৮২০, সহিহ হাদিস)

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, মহিলাদের কাতারগুলোর মধ্যে (নেকীর দিক থেকে) উত্তম হলো শেষ কাতার এবং তাদের জন্য মন্দ কাতার (কম নেকীর) হলো তাদের প্রথম কাতার। পুরুষদের কাতারগুলোর মধ্যে উত্তম হলো প্রথম কাতার এবং তাদের জন্য মন্দ হলো তাদের শেষ কাতার। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১০০০, সহিহ হাদিস)

জাবির বিন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, পুরুষদের কাতারগুলোর মধ্যে উত্তম হলো তাদের সামনের (প্রথম) কাতার এবং মন্দ হলো তাদের পেছনের (শেষ) কাতার। মহিলাদের কাতারগুলোর মধ্যে উত্তম হলো তাদের পেছনের (সর্বশেষ) কাতার এবং মন্দ হলো তাদের সামনের কাতার। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১০০১, হাসান সহিহ)

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) আমাকে এবং আমার পরিবারের এক মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে সালাত আদায় করেন। তিনি আমাকে দাঁড় করালেন তাঁর ডানদিকে আর মহিলা ছিলেন আমাদের পেছনে। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৮০৫, সহিহ হাদিস)

অন্তরে অনৈক্য সৃষ্টি করে দিবেন

নু’মান ইব্‌নু বশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা অবশ্যই কাতার সোজা করে নিবে, তা না হলে আল্লাহ্‌ তা’আলা তোমাদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করে দিবেন। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭১৭)

‎আবূ মাস'ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) সলাতের সময় আমাদের কাঁধ স্পর্শ করে বলতেনঃ তোমরা সোজাসুজি দাঁড়াও এবং আগে পিছে ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে দাঁড়িও না। অন্যথায় তোমাদের অন্তর মতভেদে লিপ্ত হয়ে পড়বে। বুদ্ধিমান, অভিজ্ঞ ও জ্ঞানী ব্যক্তিরা আমার কাছাকাছি দাঁড়াবে। অতঃপর এ গুণে যারা তাদের নিকটবর্তী তারা পর্যায়ক্রমে এদের কাছাকাছি দাঁড়াবে। আবূ মাস'ঊদ (রাঃ) বলেন, কিন্তু আজকাল তোমাদের মধ্যে চরম বিভেদ-বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। (ই.ফা. ৮৫৪, ই.সে. ৮৬৭) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৮৫৮)

বারা ইব্‌ন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) কাতারের একদিক থেকে অন্যদিকে প্রবেশ করে আমাদের কাঁধ ও বুক স্পর্শ করে বলতেনঃ তোমারা কাতারে এলোমেলো হয়ে দাঁড়াবে না। তাহলে তোমাদের অন্তরে অনৈক্য সৃষ্টি হবে। তিনি বলতেনঃ আল্লাহ প্রথম কাতারের প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণও প্রথম কাতারের জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করেন। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৮১১, সহিহ হাদিস)

চেহারা পাল্টে দিবেন

নু'মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃ) -কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা (সলাতে) নিজেদের লাইনগুলো অবশ্যই সোজা করে (দাঁড়াবে) সাজাবে। অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের মুখ-মণ্ডলকে বিকৃত করে দিবেন। (ই.ফা. ৮৬০, ই.সে. ৮৭৩) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৮৬৪)

নু'মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাদের (সলাতের) লাইনগুলো সোজা করে দিতেন, মনে হত তিনি যেন কামানের কাঠ সোজা করছেন। যতক্ষণ না বুঝতে পারতেন যে, আমরা তার থেকে পুরোপুরি বিষয়টি বুঝতে পেরেছি। অতঃপর তিনি স্বস্থানে দাঁড়িয়ে তাকবীরে তাহ্‌রীমা বলতে যাবেন, এমন সময় দেখলেন এক ব্যক্তি কাতার থেকে সামনে এগিয়ে আছে, তখন তিনি বললেনঃ আল্লাহর বান্দাগণ তোমাদের লাইন সোজা কর, অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের মুখ-মণ্ডল বিকৃত করে দিবেন। (ই.ফা. ৮৬১, ই.সে. ৮৭৪) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৮৬৫)

‎নু’মান ইব্‌ন বশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) কাতার সোজা করতেন যেমন তীর সোজা করা হয়। (একদা) তিনি দেখলেন এক ব্যক্তির বুক কাতারের বাইরে চলে গেছে, তখন আমি তাঁকে বলতে শুনেছিঃ তোমরা তোমাদের কাতার সোজা কর, তা না হলে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের চেহারা পরিবর্তন করে দেবেন। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৮১০, হাসান সহিহ)

নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাদের কাতারসমূহ সমান করে দিতেন। একদিন তিনি (ঘর হতে) বের হয়ে এসে দেখলেন, এক ব্যক্তির বুক কাতারের বাইরে এগিয়ে রয়েছে। তিনি বললেনঃ তোমরা তোমাদের সারিগুলো সোজা করে দাঁড়াবে, অন্যথায় আল্লাহ তা’আলা তোমাদের মুখমণ্ডলে বিভেদ সৃষ্টি করে দেবেন। (জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২২৭, সহিহ হাদিস)

নু’মান ইব্‌ন বশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) কাতার সোজা করতেন যেমন তীর সোজা করা হয়। (একদা) তিনি দেখলেন এক ব্যক্তির বুক কাতারের বাইরে চলে গেছে, তখন আমি তাঁকে বলতে শুনেছিঃ তোমরা তোমাদের কাতার সোজা কর, তা না হলে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের চেহারা পরিবর্তন করে দেবেন। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৮১০, হাসান সহিহ)

নু’মান বিন বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাঃ) বর্শা অথবা তীরের মত স্বলাতের কাতার সোজা করতেন। রাবী বলেন, তিনি এক ব্যক্তির বুক একটু বাইরে অগ্রসর দেখতে পান। রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, তোমরা তোমাদের কাতারগুলো সোজা করো, অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের মুখমন্ডলে বিভেদ সৃষ্টি করে দেবেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৯৯৪, সহিহ হাদিস)

দেরি করে আসে ও পিছনে দাঁড়ায়

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর কতিপয় সহাবাকে প্রায়ই পিছনের লাইনে দাঁড়াতে দেখেন। তিনি তাদের বললেনঃ তোমরা সামনে এগিয়ে এসে আমার পিছনে অনুসরণ কর। তাহলে তোমাদের পূর্ববর্তীরা তোমাদের পিছনে অনুসরণ করবে। একদল লোক সবসময় দেরি করে এসে পিছনে দাঁড়ায়। আল্লাহ তাদেরকে (নিজের রহমাত থেকে) পিছনে রাখবেন। (ই. ফা. ৮৬৪, ই. সে. ৮৭৭) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৮৬৮)

কাতার সোজা হলে তাকবীর দিবে

সিমাক থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমরা সলাতের জন্য দাঁড়ালে রসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাদের কাতারসমূহ সোজা করে দিতেন। অতঃপর আমরা সমান্তরালভাবে দাঁড়িয়ে গেলে তিনি তাকবীর বলতেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৬৬৫, সহিহ হাদিস)

‎শেষের কাতার খালি থাকে

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেছেনঃ প্রথম কাতার পূর্ণ কর, তারপর পরবর্তী কাতার। যদি খালি থাকে, তবে তা থাকবে শেষ কাতারে। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৮১৮
সহিহ হাদিস)

অবশ্যই জানতে হবে, নামাজের সুতরা ব্যবহার।ইব্‌নু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আল্লাহর রসূল (সাঃ) ঈদের দিন যখন বের হতেন তখন তাঁর ...
12/10/2024

অবশ্যই জানতে হবে, নামাজের সুতরা ব্যবহার।

ইব্‌নু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আল্লাহর রসূল (সাঃ) ঈদের দিন যখন বের হতেন তখন তাঁর সম্মুখে ছোট নেযা (বল্লম) পুঁতে রাখতে নিদের্শ দিতেন। সেদিকে মুখ করে তিনি সালাত আদায় করতেন। আর লোকজন তাঁর পেছনে দাঁড়াতো। সফরেও তিনি তাই করতেন। এ হতে শাসকগণও এ পন্থা অবলম্বন করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭০) (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪৯৪)

আওন ইব্‌নু আবূ জুহাইফা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি যে, নবী (সাঃ) সাহাবীগণকে নিয়ে ‘বাতহা’ নামক স্থানে যুহ্‌রের দু’রাক’আত ও আসরের দু’রাক’আত সালাত আদায় করেন। তখন তাঁর সামনে বল্লম পুঁতে রাখা হয়েছিল। তাঁর সম্মুখ দিয়ে (সুত্‌রার বাইরে) নারী ও গাধা চলাচল করতো। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭১) (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪৯৫, ৪৯৯)

আবূ জুহায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) দ্বিপ্রহরে ‘বাতহা’ নামক স্থানে আসেন। তারপর উযু করেন এবং যোহর ও আসরের সালাত দুই রাকআত করে আদায় করেন। এ সময়ে তাঁর সামনে একটি লাঠি ছিল। (অর্থাৎ লাঠিটি সুতরা হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন)। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৪৭০, সহিহ হাদিস)

সুফিয়ান ইবনু ‘উয়াউনাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি শারীক (রাঃ)-কে দেখেছি, তিনি এক জানাযার সলাত আদায় করতে এসে আমাদের সাথে ‘আসরের সলাত আদায় করলেন। তিনি (উক্ত ফরয সালাতে সুতরা হ্ হিসেবে) নিজের টুপি (খুলে) সামনে রাখলেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৬৯১, হাদিসের মান: সহিহ মাকতু)

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাঃ) ঈদের দিন ভোরবেলা ঈদগাহে যেতেন এবং তাঁর আগে আগে একটি বর্শা বহন করা হতো। তিনি ঈদগাহে পৌছলে তাঁর সামনে বর্শাটি পুতে দেয়া হতো। তিনি সেদিকে ফিরে সালাত আদায় করতেন। এ ছিলো সেই সময়কার ঘটনা, যখন ঈদগাহ ছিলো খোলা মাঠ। তাতে এমন কিছু ছিলো না যাকে সুতরা বানানো যেত। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৩০৪, সহিহ হাদিস)

সুতরার দূরত্ব কতটুকু

সাহল ইব্‌ন আবূ হাসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন: যখন তোমাদের কেউ সুতরার দিকে মুখ করে সালাত আদায় করে, তখন সে যেন তার নিকটবর্তী হয়। তাহলে শয়তান তার সালাত ভঙ্গ করতে পারবে না। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৭৪৮, সহিহ হাদিস)

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের যে কেউ সালাত আদায় করতে চাইলে যেন সুতরা সামনে রেখে সালাত পড়ে এবং তার নিকটবর্তী হয়। সে যেন তার সামনে দিয়ে কাউকে অতিক্রম করতে না দেয়। অতএব যদি কেউ সামনে দিয়ে অতিক্রম করে, তাহলে সে যেন তার সাথে লড়াই করে। কারণ সে একটা শয়তান। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৯৫৪, হাসান সহিহ)

বিভিন্ন হাদিস বিশারদগন বলেছেন সুতরা তিন হাত দূরত্ব রেখে নামাজ পড়া।

নামাজের সামনে দিয়ে যাতায়াত করার গুনাহ

বুসর ইব্‌নু সাঈদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ যায়দ ইব্‌নু খালিদ (রাঃ) তাঁকে আবূ জুহায়ম (রাঃ) এর নিকট পাঠালেন, যেন তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করেন যে, মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারীর সম্পর্কে তিনি আল্লাহ্‌র রসূল (সাঃ) হতে কি শুনেছেন। তখন আবু জুহায়ম (রাঃ) বললেনঃ আল্লাহ্‌র রসূল (সাঃ) বলেছেনঃ যদি মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী জানতো এটা তার কত বড় অপরাধ, তাহলে সে মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করার চেয়ে চল্লিশ (দিন/মাস/বছর) দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম মনে করতো। আবুন-নাযর (রহঃ) বলেনঃ আমার জানা নেই তিনি কি চল্লিশ দিন বা মাস কিংবা চল্লিশ বছর বলেছেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৮০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮৬) (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫১০) (ই.ফা. ১০১৩, ই.সে. ১০২৪, সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১০১৯) (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৭৫৬) (জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৩৬) (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৯৪৫)

বুসর ইবনু সাঈদ থেকে বর্ণিতঃ যায়িদ ইবনু খালিদ আল-জুহানী (রাঃ) তাকে আবূ জুহায়িম (রাঃ)- এর নিকট পাঠালেন-সলাত আদায়কারীর সামনে দিয়ে গেলে কি (পরিমাণ অন্যায়) হবে এ সম্পর্কে তিনি রসূলুল্লাহ (সাঃ) থেকে যা শুনেছেন তা জিজ্ঞেস করার জন্য। আবূ জুহায়িম (রাঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ সলাত আদায়কারীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী যদি জানত যে, এ কারনে তাকে কত মারাত্মক শাস্তি ভোগ করতে হবে, তাহলে সলাত আদায়কারীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করার চেয়ে চল্লিশ (দিন) দাঁড়িয়ে থাকাও অধিকতর উত্তম মনে করত। আবূন নাদর বলেন, আমার স্মরণ নেই যে, তিনি চল্লিশ দিন, মাস, না বছর বলেছেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৭০১, সহিহ হাদিস)

‎‎নামাজের সামনে দিয়ে যাতায়াত কারীর সাথে লড়াই করা

আবু সালেহ সাম্মান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমি আবু সা’ইদ খুদরী (রাঃ) কে দেখেছি। তিনি জুম’আর দিন লোকদের জন্য সুতরা হিসেবে কোন কিছু সামনে রেখে সালাত আদায় করছিলেন। আবু মু’আইত গোত্রের এক যুবক তার সামনে দিয়ে যেতে চাইল। আবু সা’ইদ খুদরী (রাঃ) তার বুকে ধাক্কা মারলেন। যুবকটি লক্ষ্য করে দেখল যে, তাঁর সামনে দিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন পথ নেই। এজন্য সে পুনরায় তাঁর সামনে দিয়ে যেতে চাইল। এবারে আবু সাইদ খুদরী (রাঃ) প্রথমবারের চেয়ে জোরে ধাক্কা দিলেন। ফলে আবু সাইদ (রাঃ) কে তিরস্কার করে সে মারওয়ানের নিকট গিয়ে আবু সাইদ খুদরী (রাঃ) এর ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল। এদিকে তার পরপরই আবু সাইদ খুদরী (রাঃ) মারওয়ানের নিকট গেলেন। মারওয়ান তাঁকে বললেনঃ হে আবু সাইদ! তোমার এই ভাতিজার কি ঘটেছে? তিনি জবাব দিলেন আমি নবী (সাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, তোমাদের কেউ যদি লোকদের জন্য সামনে সুতরা রেখে সালাত আদায় করে, আর কেউ যদি তার সামনে দিয়ে যেতে চায়, তাহলে যেন সে তাকে বাঁধা দেয়। সে যদি না মানে, তবে সে ব্যক্তি (মুসল্লী) যেন তার সাথে লড়াই করে, কেননা সে শয়তান। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৭৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮৫) (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫০৯)

হুমায়িদ ইবনু হিলাল থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আবূ সালিহ (রহঃ) বলেছেন, আমি আবূ সাঈদ (রাঃ)-কে যা করতে দেখেছি ও বলতে শুনেছি তোমার নিকট তাই বর্ণনা করব। একদা আবূ সাঈদ আল-খূদরী (রাঃ) মারওয়ানের নিকট গিয়ে বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কেউ কোন কিছুকে সুতরা হ্ বানিয়ে সলাত আদায়কালে কেউ তা লঙ্ঘন করে তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করতে চাইলে সে যেন তার বক্ষে হাত মেরে তাকে বাধা দেয়। যদি সে না মানে, তাহলে সে যেন তার সাথে লড়াই করে। কারণ সে হচ্ছে একটা শাইত্বান। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৭০০, সহিহ হাদিস)

গাধা, মহিলা, কালো কুকুর চলাচল করলে সলাত নষ্ট হয়ে যাবে

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন সলাতে দাঁড়ায়, সে যেন হাওদার খুঁটির ন্যায় একটি কাঠি তার সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। যদি সে তার সামনে হাওদার পিছনের খুঁটির ন্যায় একটি কাঠি দাঁড় না করায়- এমতাবস্থায় তার সামনে দিয়ে গাধা, মহিলা এবং কালো কুকুর চলাচল করলে তার সলাত নষ্ট হয়ে যাবে।
আবদুল্লাহ ইবনু সামিত (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আবূ যার (রাঃ) ! কালো কুকুর কি অপরাধ, অথচ লাল ও হলুদ বর্ণের কুকুর ও তো রয়েছে? তিনি বললেন, হে ভাতিজা! তুমি আমাকে যে প্রশ্ন করেছ, আমিও রসূলুল্লাহ (সাঃ) -কে এ রকম প্রশ্ন করেছিলাম। তিনি উত্তরে বলেছেনঃ কালো কুকুর হলো একটি শাইতান। (ই.ফা. ১০১৮, ই.সে. ১০২৯) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১০২৪) (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৭০২, সহিহ হাদিস)

মুসল্লিদের সামনে দিয়ে যাতায়াত জায়েজ

আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমি একটা মাদী গাধার উপর সওয়ার হয়ে এলাম, তখন আমি ছিলাম সাবালক হবার নিকটবর্তী। আল্লাহর রসূল (সাঃ) সামনে দেয়াল ব্যতীত অন্য কিছুকে সুতরা বানিয়ে মিনায় লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করছিলেন। কাতারের কিছু অংশ অতিক্রম করে আমি সওয়ারী হতে অবতরণ করলাম। গাধীটিকে চরাতে দিয়ে আমি কাতারে শামিল হয়ে গেলাম। আমাকে কেউই এ কাজে বাধা দেয়নি। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৯) (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪৯৩)

আমর ইবনু শু’আইব থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে ‘সানিয়্যাতু আযাখির’ নামক স্থানে অবতরন করলাম। সলাতের সময় হলে তিনি দেয়ালের দিকে ক্বিবলাহমুখী হয়ে (দেয়ালকে সুতরা হ্‌ বানিয়ে) সলাত আদায় করলেন। আমরাও তাঁর পেছনে দাঁড়ালাম। ইতোমধ্যে একটি ছাগলছানা এসে তাঁর সামনে দিয়ে অতিক্রম করতে চাইলে তিনি সেটিকে এমনভাবে বাধা দিতে থাকলেন যে, শেষ পর্যন্ত তাঁর পেট দেয়ালের সাথে লেগে গেল। অবশেষে ছানাটি তাঁর পেছন দিয়ে চলে গেল। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৭০৮, হাসান সহিহ)
‎‎
পিছনের মুসল্লির নামাজ শেষ হওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে না থাকা

আল আসওয়াদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি (মাসরূক্‌) বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ) -এর সম্মুখে সলাত বিনষ্টকারী জিনিস যেমন কুকুর, গাধা এবং মহিলাদের কথা উল্লেখ করা হলো। ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, তোমরা তো আমাদেরকে গাধা ও কুকুরের সমতুল্য করে দিলে। আল্লাহর শপথ! আমি রসূলুল্লাহ (সাঃ) -কে সলাতরত অবস্থায় দেখেছি। আমি বিছানার উপর তাঁর ও কিবলার মাঝখানে শুয়ে থাকতাম। আমার উঠার প্রয়োজন দেখা দিলে (শোয়া থেকে উঠে) তাঁর সামনে বসে থাকা এবং এভাবে তাঁকে কষ্ট দেয়া আমার কাছে খারাপ লাগত। তাই আমি খাটের পায়ের দিক দিয়ে ঘেসে ঘেসে নেমে বের হয়ে যেতাম। (ই.ফা. ১০২৪, ই.সে. ১০৩৪) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১০৩০)

‎নামাজের সামনে কেউ শুয়ে থাকা

‎আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নবী (সাঃ) রাত্রি বেলায় সলাত আদায় করতেন। আমি তাঁর এবং কিবলার মাঝামাঝি জানাযার মত আড়াআড়িভাবে শুয়ে থাকতাম। (ই.ফা. ১০২১ , ই.সে. ১০৩১) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১০২৭)

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃ) -এর সামনে শুয়ে থাকতাম। আমার পা দু’টি কিবলার দিকে থাকত। তিনি যখন সাজদাহ্ করতেন, আমাকে ইঙ্গিত দিতেন এবং আমি আমার পা গুটিয়ে নিতাম। যখন তিনি দাঁড়িয়ে যেতেন, আমি আবার পা বিছিয়ে দিতাম। এ সময় ঘরে বাতি থাকত না। (ই.ফা. ১০২৬, ই.সে. ১০৩৬) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১০৩২)

স্ত্রীর মাসিক অবস্থায় নামাজের সামনে শুয়ে থাকা

নাবী (সাঃ) এর স্ত্রী মাইমূনাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) সলাত আদায় করতেন, আর আমি তাঁর পাশেই সোজা হয়ে শুয়ে থাকতাম। আমি তখন হায়িয (মাসিক ঋতু) অবস্থায় ছিলাম। কখনো কখনো সাজদাহ্ করার সময় তাঁর কাপড় আমার গায়ে এসে পড়ত। (ই.ফা. ১০২৭, ই.সে. ১০৩৭) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১০৩৩)

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নবী (সাঃ) রাত্রিতে সলাত আদায় করতেন। আমি তাঁর পাশে শুয়ে থাকতাম। আমি এ সময় ঋতুবতী ছিলাম। আমার গায়ে চাদর ছিল, এর কোন কোন অংশ তাঁর পার্শ্বদেশে ঠেকে যেত। (ই.ফা. ১০২৮ , ই.সে. ১০৩৮) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১০৩৪)

‎দাড়ি মোচ বোগল ও নিচের পশমমুসা ও হারুন (আঃ)সে বলল, ‘হে আমার সহোদর! আমার দাড়িও ধরো না, মাথার চুলও ধরো না। আমি আশংকা করেছি...
11/10/2024

‎দাড়ি মোচ বোগল ও নিচের পশম

মুসা ও হারুন (আঃ)

সে বলল, ‘হে আমার সহোদর! আমার দাড়িও ধরো না, মাথার চুলও ধরো না। আমি আশংকা করেছিলাম যে, তুমি বলবে, তুমি বনী ইসরাঈলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছ এবং আমার কথা রক্ষা করনি।
(তাহা ২০:৯৪)

দাড়ি লম্বা রাখা খুব ছোট রাখা

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা গোঁফ অধিক ছোট করবে এবং দাড়ি ছেড়ে দিবে (বড় রাখবে)। (আধুনিক প্রকাশনী- ,৫৪৬৫ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬১) (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৮৯৩)

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেন, তোমরা মুশরিকদের বিরুদ্ধাচরণ কর-মোচ কেটে ফেল এবং দাড়ি লম্বা কর। (ই.ফা. ৪৯৩, ই.সে. ৫০৯) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪৯০)

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাঃ) গোঁফ ছোট করতে এবং দাড়ি বড় করে রাখতে আদেশ করেছেন। (ই.ফা. ৪৯২, ই.সে. ৫০৮) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪৮৯) (জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৭৬৪, সহিহ হাদিস)

আবূ হুরাইরাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ্‌(সাঃ) বলেন, তোমরা মোচ কেটে ফেলো এবং দাড়ি লম্বা করে অগ্নি পূজকদের বিরুদ্ধাচরণ কর। (ই.ফা. ৪৯৪, ই.সে. ৫১০) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪৯১)

ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা দাড়ি লম্বা করবে এবং গোঁফ বিলোপ (খাটো) করবে। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫০৪৬, সহিহ হাদিস) (জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৭৬৩, সহিহ হাদিস)

উমার (রাঃ) দাড়ি রাখা

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাঃ) তিনি বলেছেন, তোমরা মুশরিকদের উল্টো করবেঃ দাড়ি লম্বা রাখবে, গোঁফ ছোট করবে। ইবনু ‘উমার (রাঃ) যখন হাজ্জ বা ‘উমরাহ করতেন, তখন তিনি তাঁর দাড়ি মুষ্টি করে ধরতেন এবং মুষ্টির বাইরে যতটুকু বেশী থাকত, তা কেটে ফেলতেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬০) (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৮৯২)

মানুষের জন্মগত স্বভাব পাঁচটি

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি নবী (সাঃ) -কে বলতে শুনেছি- ফিত্‌রাত পাঁচটিঃ খাত্‌না করা, (নাভীর নীচে) ক্ষুর ব্যবহার করা, গোঁফ ছোট করা, নখ কাটা ও বগলের পশম উপড়ে ফেলা। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৫৯) (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৮৯১, ৫৮৮৯) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪৮৫)

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাঃ)বলেছেনঃ মানুষের স্বভাবগত বিষয় হলো পাঁচটিঃ খাত্‌না করা, নাভির নীচের পশম কামানো, বগলের পশম উপড়ে ফেলা, গোফ ছাঁটা এবং (অতিরিক্ত) নখ কাটা। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৮৫৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৪৭) (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬২৯৭)

আবূ হুরাইরাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ্‌(সাঃ) বলেছেনঃ পাঁচটি কাজ ফিত্‌রাহ্‌ বা (সুষ্ঠু স্বভাব) খাতনা করা, নাভীর নিচের লোম পরিষ্কার করে ফেলা, গোঁফ ছাঁটা, নখ কাটা এবং বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা। (ই.ফা. ৪৮৯, ই.সে. ৫০৫) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪৮৬) (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৯, ১০, সহিহ হাদিস)

দশটি কাজ ফিতরাতের অন্তর্ভুক্ত

আয়িশাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেন, দশটি কাজ ফিতরাতের অন্তর্ভুক্তঃ মোচ খাটো করা, দাড়ি লম্বা করা, মিসওয়াক করা, নাকে পানি দিয়ে ঝাড়া, নখ কাটা এবং আঙ্গুলের গিরাসমূহ ধোয়া, বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নাভীর নীচের পশম মুন্ডন করা এবং পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা। (ই.ফা. ৪৯৫, ই.সে. ৫১১) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪৯২) (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫০৪০)

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ দশটি কাজ মানুষের ফিত্বরাত বা স্বভাবসুলভঃ (১) গোঁফ কাটা, (২) দাড়ি ছেড়ে দেয়া, (৩) মিসওয়াক করা, (৪) পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করা, (৫) নখ কাটা, (৬) আঙ্গুলের জোড়াসমূহ ধোয়া, (৭) বগলের পশম তুলে ফেলা, (৮) নাভির নিচের পশম চেঁছে ফেলা, (৯) পানি দিয়ে ইস্তিনজা করা। মুস‘আব বলেন, দশম কাজটি আমি ভুলে গেছি। সম্ভবতঃ সেটি হলো-কুলি করা। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫৩, হাসান হাদিস) (জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৭৫৭, সহিহ হাদিস) (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২৯৩, হাসান হাদিস)

‎চল্লিশ দিনের মধ্যে পরিষ্কার

আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) আমাদের জন্য গোঁফ ছাঁটা, নখ কাটা, নাভীর নিম্নভাগের লোম চেঁছে ফেলার ও বগলের পশম উপড়ে ফেলার মেয়াদ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন যে, আমরা যেন এ কাজগুলো চল্লিশ দিনের বেশী সময় পর্যন্ত ফেলে না রাখি। রাবী বলেন আরেকবার চল্লিশ রাতের কথাও বলেছেন। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১৪, সহিহ হাদিস)

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুলাহ (সাঃ) আমাদের জন্য সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন অন্তত চল্লিশ দিনে একবার নাভির নীচের লোম কামাতে, নখ কাটতে মোঁচ ছাঁটতে এবং বগলের লোম উপড়ে ফেলতে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪২০০, সহিহ হাদিস)

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ গোঁফ ছাঁটা, নখ কাটা এবং বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা এবং নাভীর নীচের লোম ছেঁচে ফেলার জন্যে আমাদেরকে সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছিল যে আমরা তা চল্লিশ দিনের অধিক দেরি না করি। (ই.ফা. ৪৯০, ই.সে. ৫০৬) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪৮৭) (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২৯৫, সহিহ হাদিস)

‎ইয়াহূদী ও নাসারাদের বিপরীত কাজ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেছেন, ইয়াহূদী ও নাসারারা ( দাড়ি -চুলে) রং লাগায় না। অতএব তোমরা তাদের বিপরীত কাজ কর। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৪৬২)

পুরুষের বেশ ধরে লানত

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নবী (সাঃ) ঐ সব পুরুষকে লা’নত করেছেন যারা নারীর বেশ ধরে এবং ঐসব নারীকে যারা পুরুষের বেশ ধরে। (আ.প্র. ৫৪৫৭, ই.ফা. ৫৩৫৩) (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৮৮৫)

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নবী (সাঃ) পুরুষ হিজড়াদের উপর এবং পুরুষের বেশধারী মহিলাদের উপর লা’নত করেছেন। তিনি বলেছেনঃ ওদেরকে ঘর থেকে বের করে দাও। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অমুককে বের করেছেন এবং ‘উমার (রাঃ) অমুককে বের করে দিয়েছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৫৪) (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৮৮৬)

দাড়ি তে গিঁট দেয়া

রুয়ায়ফি ইব্‌ন সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, হে রুয়ায়ফি, হয়তো তুমি আমার পর দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকবে, তুমি লোকদেরকে বলে দিবেঃ যে ব্যক্তি দাড়ি তে গিঁট দিবে বা ধনুকের ছিলা দ্বারা পশুর গলা বাঁধবে বা পশুর গোবর বা হাঁড় দ্বারা ইস্তিঞ্জা করবে, তাঁর সাথে মুহাম্মদ (সাঃ)-এর কোন সম্পর্ক নেই। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫০৬৭, সহিহ হাদিস)

জান্নাতীদের দাড়ি গোফ ও বয়স

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ জান্নাতীদের শরীরে কোন লোম থাকবে না, দাড়ি –গোঁফ থাকবে না এবং চোখে সুরমা লাগানো থাকবে। কখনো তাদের যৌবন শেষ হবে না, জামাও পুরাতন হবে না। (জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৫৩৯, হাসান হাদিস)

মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাঃ) বলেছেনঃ জান্নাতীরা জান্নাতে প্রবেশের সময় তাদের শরীরে লোম থাকবে না, দাড়ি -গোঁফও থাকবে না এবং চোখে সুরমা লাগানো থাকবে। তারা হবে ত্রিশ অথবা তেত্রিশ বছরের যুবক। (জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৫৪৫, হাসান হাদিস)

Address

Dhaka
1206

Telephone

+8801714400112

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Islamer Kotha - ইসলামের কথা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share