এসো দ্বীন শিখি ইসলাম Bangladesh

এসো দ্বীন শিখি ইসলাম Bangladesh Just Pray And Believe That🌿
Allah Can🌸
Change Your Life in 1 Second❤

All Friends Tnx for Add Hobar jono
MY time official AA ytv channel

MY time official AA ytv

"স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিল… কিন্তু স্বামী প্রতিশোধ নেয়নি, নিজেকে বদলে ফেলেছিল"নাম ছিল রমেশ।একটা সরকারি দফতরের ঝাড়ুদার।...
31/10/2025

"স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিল… কিন্তু স্বামী প্রতিশোধ নেয়নি, নিজেকে বদলে ফেলেছিল"

নাম ছিল রমেশ।

একটা সরকারি দফতরের ঝাড়ুদার। ঝাঁট, পঁচা মোছা আর বাবুদের চা পৌঁছে দেওয়াই ছিল তার কাজ। কম শিক্ষিত, সোজা-সরল, মাথা নত করত না কিন্তু জীবন তাকে মাথা নিচু করিয়ে রেখেছিল।

স্ত্রী নিধি, একই দপ্তরে এক উচ্চপদে কর্মরত। লেখাপড়ায় তুখোড়, চালচলনে ঝকঝকে, স্বপ্নে ভরা চোখ। লোকেরা বলত, “ভাগ্যবান রমেশ, এমন অফিসার স্ত্রীর স্বামী হতে পেরেছে।”

শুরুর দিকে সব কিছু ঠিকই চলছিল।

রমেশের চোখে নিধি ছিল অহংকারের বিষয়। সে যখন নিধিকে চেয়ার টেনে বসতে দেখত, বুকটা গর্বে ভরে উঠত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই গর্ব কেমন যেন ফিকে হয়ে গেল।

⛅ হাওয়া বদলাতে লাগল...

অফিসের এক শীর্ষকর্তা ছিলেন — সঞ্জীব সরকার।

নিধি রাত করে ফিরত, কখনও বলত “মিটিং ছিল”, কখনও বলত “আউটডোর ট্রিপ”। এমনকি অনেক সময় রাতেও বাড়ি ফিরত না।

রমেশ রাতে দরজা খুলে বসে থাকত — “আজ বুঝি ফিরবে?”

কিন্তু শুধু নীরবতা সাড়া দিত।

একদিন সাহস করে জিজ্ঞেস করল — "এত দেরি কেন নিধি?"

নিধি বলল: "তুমি বুঝবে না রমেশ। তুমি শুধু ঝাড়ুদার। আমার জগৎ আলাদা।"

রমেশ চুপ করে গেল… সরাসরি মাথা নিচু করেনি, কিন্তু বুকের ভিতরটা যেন ভারী হয়ে গেল।

🌃 এক সন্ধ্যা...

অফিসে এক ঘরে হঠাৎ করে ঢুকে পড়ল রমেশ। নিধি আর সঞ্জীব বসে ছিল খুব কাছাকাছি।

কোনো শব্দ হয়নি, কিন্তু চোখে সব বলে দিয়েছিল।

সেইদিনের পরদিন রমেশ অফিসে যায়নি। রাতে নিধি ফিরেছিল — কিছু বলার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু রমেশ শান্তভাবে বলেছিল:

“তোমার সম্পর্কটা নিয়ে আমার কষ্ট নেই… কিন্তু কষ্ট হয়েছে এই ভেবে, তুমি আমাকে এমন একজনের চেয়েও নিচে ভাবলে, যাকে আমি প্রতিদিন চা দিয়ে যাই।”

🌅 ছয় মাস পর...

রমেশ এখন অন্য শহরে চাকরি করছে — একই ধরনের কাজ। কিন্তু সে এখন খোলা চিঠির মতো নয়, বইয়ের পাতার মতো গুছিয়ে নিতে শিখেছে নিজেকে।

সে এখন ডিস্ট্যান্স কোর্সে বি.এ পড়ছে। নিজের জন্য, নিজের মতো করে।

আর নিধি?

সে আজও অফিসার, কিন্তু তার হেঁটে যাওয়ার ভঙ্গিতে সেই সম্মান আর নেই। সহকর্মীরা জানে — “রমেশ তাকে ছেড়ে গেছে, কিন্তু এক ফোঁটাও অপমান করেনি।”

💬 এই গল্পটা মনে করিয়ে দেয়:

মানুষের আসল মর্যাদা তার পদে নয়, তার আচরণে লুকিয়ে থাকে।

একটা সম্পর্ক ভালোবাসা দিয়ে নয়, গড়ে ওঠে পারস্পরিক সম্মান দিয়ে। আর যেখানে সম্মান নেই, সেখানে সম্পর্ক বেশি দূর টেকে না।

যারা সফলতার শিখরে উঠে অন্যকে তুচ্ছ ভাবে — তাদের বোঝা উচিত, ছোটো হওয়া মানে ছোট পদে থাকা নয়, ছোট মনোভাব রাখা।

যদি এই গল্পটা আপনাকে ছুঁয়ে যায়, কেউ একজন রমেশের মতো নীরবে ভেঙে না পড়ে — সেই আশায় একবার শেয়ার করে দিন।

সংগৃহীত

হাসপাতালের একটি নীরব কক্ষে  ৫৬ বছর বয়সী এক নারী শুয়ে আছেন। নাম মেরি হবসন। চোখে ক্লান্তি, মুখে পরাজয়ের ছাপ। একটার পর একটা...
31/10/2025

হাসপাতালের একটি নীরব কক্ষে ৫৬ বছর বয়সী এক নারী শুয়ে আছেন। নাম মেরি হবসন। চোখে ক্লান্তি, মুখে পরাজয়ের ছাপ। একটার পর একটা অসুখ, দুঃখ আর মানসিক ভাঙনের পর তিনি যেন জীবনের প্রতি সব আগ্রহই হারিয়ে ফেলেছেন। একদিন নিঃসঙ্গ দুপুরে একটু মানসিক প্রশান্তি পাবেন এই আশায় তিনি হাত বাড়ালেন পাশে রাখা একটি ম্যাগাজিনের দিকে। পাতা উল্টাতে উল্টাতে হঠাৎই চোখ আটকে গেল এক লেখায়। সেই লেখাটিই যেন তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিলো চিরদিনের জন্য।

ম্যাগাজিনের পাতায় লেখাঃ

"ফ্র্যাঙ্কলিন রুজভেল্ট ৩৯ বছর বয়সে কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত পঙ্গু হয়ে পড়েন। তবুও ৫১ বছর বয়সে তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। স্টিভ ওয়ান্ডার জন্মের পর থেকেই অন্ধ ছিলেন। তবুও ১৩ বছর বয়সেই তিনি হয়ে ওঠেন আমেরিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় শিশু শিল্পী। রিচার্ড ব্র্যানসন ডিসলেক্সিয়ায় ভুগে ১৫ বছর বয়সে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু ২৪ বছর বয়সে তিনি কোটিপতি আর ৪১ বছর বয়সে হয়ে যেন একজন সম্পদশালী বিলিওনীয়ার।

ব্যর্থতার হাজারো অজুহাত খুঁজে পাওয়া সহজ। কিন্তু সাফল্য খুঁজে নিতে হয় নিজের ভেতরের আগুনে। অনেক সময় প্রবল চাপের ভেতরেই মানুষ তার প্রকৃত আশীর্বাদ খুঁজে পায়। অনেক সময় কঠিন পরিস্থিতি মানুষের মনোবলকে শক্ত করে তোলে"।

ম্যাগাজিনের পাতায় রাখা মেরির চোখ এখন বইয়ের দিকে নয় । বরং নিজের ভেতরের দিকে। যে ওষুধ তার মনে শক্তি আনতে পারেনি, সেই কয়েকটি বাক্য যেন তার প্রাণে নতুন আশা জাগিয়ে দিলো। সেই মুহূর্তে মেরি প্রতিজ্ঞা করলেন- তিনি হার মানবেন না। তিনি লড়বেন শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত।

ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হতে শুরু করলেন। হাসপাতালের সেই বিছানা থেকে একদিন ঘরে ফিরলেন। আর তখনই সিদ্ধান্ত নিলেন যা অসম্পূর্ণ ছিল, তা আবার শুরু করবেন।

যে স্কুল থেকে তিনি ড্রপ আউট হয়েছিলেন, সেখানে আবার ভর্তি হলেন। ৫৬ বছর বয়সে তিনি ক্লাসে বসলেন চৌদ্দ পনের বছরের কিশোরদের পাশে। দুই বছর পর সফলভাবে হাইস্কুল পাস করলেন নিজ ক্লাসের সবচেয়ে সেরা ছাত্রী হিসাবে মাথা উঁচু করে।

কিন্তু গল্প এখানেই শেষ নয়।

হাইস্কুলে পড়ার সময় তিনি পড়লেন এক বিখ্যাত বই। লিও টলস্টয়ের লেখা পৃথিবীর অন্যতম একটা সেরা উপন্যাস ওয়ার এণ্ড পীস।
ইংরেজি অনুবাদ পড়ে যেন কিছুতেই তাঁর মন ভরছিল না। তিনি বুঝলেন কোনো সাহিত্যকে সত্যিকারভাবে অনুভব করতে হলে তার ভাষাটিকেই আগে ভালোভাবে জানতে হয়।

৬২ বছর বয়সে একজন রুশ অভিবাসী শিক্ষিকার কাছে তিনি রুশ ভাষা শেখা শুরু করলেন । প্রতিটি অক্ষর, উচ্চারণ, শব্দ সবকিছু একেবারে নতুন করে শেখা। তাঁর মধ্যে জেগে উঠেছিল এক শিশুর মতো কৌতূহল আর একনিষ্ঠ সাধকের মতো ধৈর্য। ভাষা শেখা সম্পর্কে সবচেয়ে সাধারণ ভুল ধারণাগুলোর একটি হলো একটি ভাষায় উচ্চ পর্যায়ের দক্ষতা বা সাবলীলতা অর্জনের জন্য খুব অল্প বয়সী হওয়া জরুরি। ৬২ বছর বয়সে এসে মেরি সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করলেন। তিনি রুশ ভাষায় পারদর্শী হয়ে ওঠলেন।

পরের ধাপে তিনি ভর্তি হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্লাভিক ভাষাতত্ত্ব বিভাগে তরুণ শিক্ষার্থীদের সাথে। বয়স যেন তার জন্য কোনো বাধাই ছিল না। ৬৫ বছর বয়সে তিনি মস্কো যান ভাষা প্রশিক্ষণের জন্য। রুশ গ্রন্থাগারে ঘন্টার পর ঘন্টা ডুবে থাকতেন এবং সেখানেই শুরু করলেন ওয়ার এণ্ড পিস এর একেবারে নিজস্ব সাবলীল অনুবাদ।

এরপর ৭৪ বছর বয়সে তিনি রুশ ভাষায় পিএইচডি অর্জন করলেন। আর হয়ে উঠলেন একজন পেশাদার সাহিত্য অনুবাদক। ইংরেজি , রুশ ভাষা ছাড়াও আরো আটটি ভাষায় আয়ত্ত করলেন যখন তার বয়স ৮৩ বছর। কী অবিশ্বাস্য ব্যাপার। এই বয়সে তিনি অনুবাদ করলেন পুশকিনের সমস্ত রচনা। নিজের কণ্ঠে রেকর্ড করলেন তাঁর লেখা কবিতার অডিওবুক । সাহিত্যে নোবেল দেয়ার জন্য জোর দাবী ওঠেছিলো। কিন্তু অনুবাদ সাহিত্যের হওয়ায় তিনি নোবেল পান নি। কিন্তু পেয়েছেন রুশ সাহিত্যের সবচেয়ে সম্মানজনক Pushkin Gold Medal ও Devotee Award।

মেরি হবসন প্রমাণ করেছেন- শেখার আগ্রহ কোনো বয়সেের সীমানায় আটকাতে পারেনা। আর দেরিতে শুরু করাও কখনো ব্যর্থতা নয়।
বরং দেরিতে শুরু করা কখনো শুরু না করার চেয়ে অনেক ভালো।

যে নারী একদিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে জীবন শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি ৯৪ বছর বয়সে পূর্ণ দীপ্তি নিয়ে কোটি মানুষের অনুপ্রেরণার উদাহরণ হয়ে জীবনের সমাপ্তি টানলেন ২০২০ সালে।

চাইলে আমরা সারাদিন নানা নেগেটিভ বিষয় নিয়ে পড়ে থাকতে পারি। আবার অনুপ্রেরণার গল্পগুলোও ছড়িয়ে দিতে পারি। কোনো ঘটনা, কোনো লেখা, কোনো গল্প আমরা জানিনা কার জীবনকে কিভাবে বদলতে দিতে পারে। যেমন বদলে দিয়েছিলো হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা মেরির জীবনকে ম্যাগাজিনের ছোট একটা পাতা।

এই ছবি আমাকে কাঁদায়😭... কেন শুনবেন?এই খাওয়ার আয়োজন আনন্দের নয়😥এটি আমাদের সমাজের একটি অসুস্থ কালচার😡মা" আমাদের ছেড়ে চলে গ...
31/10/2025

এই ছবি আমাকে কাঁদায়😭... কেন শুনবেন?
এই খাওয়ার আয়োজন আনন্দের নয়😥

এটি আমাদের সমাজের একটি অসুস্থ কালচার😡

মা" আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন, যে বাড়িতে শোকের ছায়া প্রিয়জনকে হারানোর বেদনা, শূন্যতা, সেই কষ্ট কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে, নির্মম বাস্তবতাই মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে....

আর এদিকে সকল আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত দিয়ে খাওয়াতে হবে, এটাই হলো এই সমাজের নিয়ম।

কারোর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চলছে খাওয়া-দাওয়ার আনন্দ উল্লাস ,,, 😢😥

এই প্রথাকে আমি চরমভাবে বয়কট করি ❌❌😡😡

আপনি কি এটি সমর্থন করেন???

আহারে দায়িত্ব এর চাপে এতোটুকু ছোট্ট বাচ্চার ও জীবন কতটা কস্ট দায়ক 😭♦ সংসারের দায়িত্ব যখন নিজের কাঁ'ধে ,,♦এভাবেই  দ'রিদ...
31/10/2025

আহারে দায়িত্ব এর চাপে এতোটুকু ছোট্ট বাচ্চার ও জীবন কতটা কস্ট দায়ক 😭
♦ সংসারের দায়িত্ব যখন নিজের কাঁ'ধে ,,
♦এভাবেই দ'রিদ্রতা কখনোই বয়স মানে না..!
♦ আর মানুষ দেখবে বলে মা আড়ালে দাঁড়িয়ে আছে
♦ আর এই ছোট্ট সোনামণি সংসারের দায়িত্ব পালনের
জন্য এগুলো নিয়ে একপাশে দাঁড়িয়ে এটা বিক্রি করছে।
♦ যদিও সে বুঝে না, সংসার কি ধর্ম।
♦ কিন্তু বুঝে শুধু ক্ষু'ধার য'ন্ত্রণা মায়ের চোখের পানি।

CP 👍

Thanks for being a top engager and making it on to my weekly engagement list! 🎉 Mongol Barua, Mosibul Molla, Tania Parvi...
31/10/2025

Thanks for being a top engager and making it on to my weekly engagement list! 🎉 Mongol Barua, Mosibul Molla, Tania Parvin, Pikon Molla, Mili Sahani, দুষ্টু ছেলে কিউট বউ

31/10/2025

যুদ্ধ বিরতি ভেঙে আবারও ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলা।

আদালত থেকে খলিফা হারুন অর রশিদের নিকট চিঠি এলো: শহরের বিচারক এক মাস যাবত অসুস্থ। এজন্য বিচারকাজ স্থগিত আছে। খলিফা যেন দ্...
30/10/2025

আদালত থেকে খলিফা হারুন অর রশিদের নিকট চিঠি এলো: শহরের বিচারক এক মাস যাবত অসুস্থ। এজন্য বিচারকাজ স্থগিত আছে। খলিফা যেন দ্রুত বিচারক নিয়োগের ব্যবস্থা করেন।
হারুন অর রশিদ চিঠির জবাব পাঠালেন:

অতি শীঘ্র নতুন বিচারক কাজে যোগদান করবেন।

কয়েকদিন পরের কথা। নতুন বিচারকের অধীনে বিচার কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রহরীরা একজন বৃদ্ধ মহিলাকে আসামী হিসেবে দরবারে হাজির করলেন। তার অপরাধ তিনি শহরের এক রেস্তারাঁ থেকে রুটি আর মধু চুরি করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন।

বিচারক: আপনি চুরি করেছেন?

বৃদ্ধা: (মাথা নিচু করে) জি।

– আপনি কি জানেন না চুরি করা কত বড় পাপ?

– জানি।

– জেনেও কেন চুরি করলেন?

– কারণ আমি গত এক সপ্তাহ যাবৎ অনাহারে ছিলাম । আমার সাথে এতিম দুই নাতিও না খেয়ে ছিল। আমি ওদের ক্ষুধার্ত চেহারা এবং কান্না সহ্য করতে পারিনি, তাই চুরি করেছি। আমার কাছে এ ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।

বিচারক এবার পুরো এজলাসে চোখ বুলালেন। এরপর বললেন, "কাল যেন নগর প্রধান, খাদ্যগুদাম প্রধান, বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ আদালতে উপস্থিত থাকেন। তখন এই মামলার রায় দেওয়া হবে।"

পরদিন সকালে সবাই হাজির। বিচারকও যথাসময়ে উপস্থিত হলেন। সবার সামনে তিনি রায় ঘোষণা করলেন:

বৃদ্ধা মহিলার চুরির অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ১ বছর কারাদণ্ড, ৫০টি চাবুক এবং ১০০ দিনার অর্থদণ্ড প্রদান করা হলো।

তবে অকপটে সত্য বলার কারণে কারাদণ্ডের সাজা মাফ করা হলো। বিচারক প্রহরীকে চাবুক আনার নির্দেশ দিয়ে নিচে নেমে ওই বৃদ্ধ মহিলার পাশে দাঁড়ালেন।

বিচারক বললেন, "যে নগরে একজন ক্ষুধার্ত বৃদ্ধ মহিলা না খেতে পেয়ে ক্ষুধার যন্ত্রণায় চুরি করতে বাধ্য হয়, সেখানে তো সবচেয়ে বড় অপরাধী সে দেশের খলিফা। আর আমি এসেছি খলিফার প্রতিনিধি হয়ে। আমি যেহেতু তার অধীনে চাকরি করি তাই ৫০টি চাবুকের ২০টি আমার হাতে মারা হোক। এটাই হলো বিচারকের আদেশ। আদেশ যেন অবিলম্বে পালন করা হয় এবং বিচারক হিসাবে আমার উপর চাবুক মারতে যেন কোনো রকম করুণা বা দয়া দেখানো না হয়।"

বিচারক তার হাত বাড়িয়ে দিলেন । দুই হাতে পর পর ২০টি চাবুক মারা হলো। চাবুকের আঘাতের বিচারকের হাতের তালু থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। ওই অবস্থায় তিনি পকেট থেকে একটি রুমাল বের করলেন। কেউ একজন তার তালু বাঁধার জন্য এগিয়ে গেলে তিনি হাত উঁচু করে নিষেধ করলেন।

এরপর বিচারক বললেন, "যে শহরে নগর প্রধান, খাদ্য গুদাম প্রধান ও অন্যান্য সমাজ হিতৈষীরা একজন অভাবগ্রস্ত মহিলার ভরণপোষণ দিতে ব্যর্থ হন, সেই শহরে তারাও অপরাধী। তাই বাকি ৩০টি চাবুক সমানভাবে তাদেরকে মারা হোক।"

বিচারকের আদেশ পালন করা হলো।

এবার বিচারক উপস্থিত সবাইকে বললেন, "যে সমাজ একজন বৃদ্ধ মহিলাকে চোর বানায়, যে সমাজে এতিম শিশুরা অনাহারে থাকে, সে সমাজের সবাই অপরাধী। তাই উপস্থিত সবাইকে ১০০ দিনার করে জরিমানা করা হলো।"

এই বলে তিনি নিজের পকেট থেকে ১০০ দিনার বের করে রুমালের ওপর রাখলেন। সবাই জরিমানার টাকা জমা দেবার পর গুনে দেখা গেল প্রায় ১০,০০০ দিনার হয়েছে।

তখন তিনি ওই ১০,০০০ দিনার থেকে ১০০ দিনার জরিমানা বাবদ রেখে ৫০ দিনার চুরি যাওয়া দোকানের মালিককে দিলেন। অবশিষ্ট ৮,৫০০ দিনার বৃদ্ধ মহিলাকে দিয়ে বিচারক বললেন, "এগুলো আপনার ভরণপোষণের জন্য। আর আগামী মাসে আপনি খলিফা হারুন অর রশিদের দরবারে আসবেন। খলিফা আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী!"

এক মাস পরে বৃদ্ধা খলিফার দরবারে গিয়ে দেখেন, খলিফার আসনে বসা লোকটিকে চেনা চেনা মনে হচ্ছে। মহিলা ভয়ে ভয়ে খলিফার আসনের দিকে এগিয়ে যান। কাছে গিয়ে বুঝতে পারেন লোকটি সেদিনের সেই বিচারক। খলিফা চেয়ার থেকে নেমে এসে বললেন, "আপনাকে ও আপনার এতিম দুই নাতিকে অনাহারে রাখার জন্য সেদিন বিচারক হিসেবে ক্ষমা চেয়েছিলাম। আজ দরবারে ডেকে এনেছি প্রজা অধিকার সমুন্নত করতে না পারায় অধম এই খলিফাকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য। আপনি দয়া করে আমাকে ক্ষমা করুন।"""""""

ছবিতে যাকে  দেখতেছেন এক যুবক রিক্সা চালাইতেছে।দেখে মনে হলো সে শিক্ষিতো।তাই তাকে প্রশ্ন করলাম।বললাম ভাইয়া?এতো চাকরি থাকতে...
30/10/2025

ছবিতে যাকে দেখতেছেন এক যুবক রিক্সা চালাইতেছে।দেখে মনে হলো সে শিক্ষিতো।তাই তাকে প্রশ্ন করলাম।বললাম ভাইয়া?এতো চাকরি থাকতে এই বয়সে রিকশা চালান কেনো?তিনি বললো ভাই,বাসায় বাইক রেখে,এখন শহরে এসে রিকশা চালাইতে হচ্ছে। সবই নিয়তির খেলা আর সবই আমার কপাল। আমি বললাম কেনো ভাই?কি হয়েছে?সে বললো আমি অনার্স ৩বর্ষের ছাত্র,কিন্তু আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসি সে এইবার অনার্স ১বর্ষ।তার সাথে আমার ১বছরের বেশি সময় থেকে সর্ম্পক।সে আমাকে ভালোবাসে আমিও তাকে ভালোবাসি।তার বাসায় তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে,পরে আমি আমার বাসায় বলি বিয়ের কথা।আমার বাবা মাকে খুব কষ্টে রাজি করাইয়ে তাদের বাসায় পাঠাই। কিন্তু তারা তাদের মেয়েকে আমার কাছে বিয়ে দিবে না।কারন আমি বেকার।এসব বলে আমার পরিবারকে অপমান করে বের করে দেয় তারা।পরে বাবা এসে আমাকে খুব রাগারাগি দেখায়।আমিতে নিচুপ, কারন বাবার সামনে কথা বলার সাহস আমার নেই।পরে মাকে বলি মা,জুঁথিকে ছাড়া আমি বাচঁবো না।মা বলে জুঁথিকে এই বাড়ি নিয়ে আসলে তোর বাবা মেনে নিবে না এখন।আমাকে বলে দিছে,সে যদি জুঁথিকে বিয়ে করে তাহলে আমি বেঁচে থাকতে এই বাড়িতে জায়গা হবে না।আমার ছেলে আছে সেটা ভুলে যাবো।ঐদিকে জুঁথি আমার কাছে চলে আসবে তাই পাগলামী করতে থাকে।এদিকে আমিও তাকে ভালোবাসি।পরে কিছু না ভেবে বাড়ি থেকে জুঁথিকে নিয়ে শহরে চলে আসি।এসে আমার মাকে,এবং শাশুড়ি মাকে জানিয়ে দেয় যে জুঁথি আমি বিয়ে করেছি। এর পর থেকে প্রায় দুই মাস হলো কেউ খবর নেই না।কিছুতো একটা করে খেতে হবে,তাই শহরে ছোট একটা বাসা নিছি,আর দিন হাজিরা রিকশা নেয়,ভাড়া মারি আর কোনো ভাবে জীবনটা চালিয়ে নিচ্ছি।ভাই সর্ম্পুন জীবন যে একটা শিক্ষা সেটা হারে হারে ফিল করতেছি।জানিনা সামনে আরো কতো কি করতে হবে।দোয়া করিয়েন আমাদের জন্য।আমি বললাম বেস্ট অফ লাক ব্রো। এই টাকাটা রাখেন।সে বললো সরি ভাইয়া ভাড়ার বেশি রাখতে পারবনা।ব্যক্তিত,কাজ করে খাবে তবুও করুনা নিবেনা।দোয়া রইলো ভাইয়া তোমাদের জন্য।

ছবিতে যাকে দেখতেছেন,এক যুবক অন্ধ ভাই। আমি তাকে জিঙ্গাইলাম ভাইয়া,জীবন কেমন? সে উত্তর দিলো,ভাই কে আপনি!এমন প্রশ্ন আমি জীবন...
30/10/2025

ছবিতে যাকে দেখতেছেন,এক যুবক অন্ধ ভাই। আমি তাকে জিঙ্গাইলাম ভাইয়া,জীবন কেমন? সে উত্তর দিলো,ভাই কে আপনি!এমন প্রশ্ন আমি জীবনেও শোনিনাই।কেউ কখনো এমন প্রশ্ন করে নাই।আসলেই তো জীবন কেমন!সেটা তো ভাবি নাই।আর হে!আমি তো চোখেই দেখিনা।চোখে দেখলে হয়তো বলতে পারতাম যে জীবন কেমন।আপনি কে ভাই?কিছু মনে না করলে আমার বুকে আসবেন একটু? আমি কিছু না ভেবে তার কাছে গেলাম!বুকে জড়িয়ে নিলাম।সে বললো ভাই,আল্লাহ আমাকে দুইটা চোখ দেই নাই।এতে কোনো কষ্ট নাই,,তবে জীবন মানে কি এটা যদি বুঝার তৌফিক দিতো। আমি খুশি হতাম।আর ভাই, আপনার কাছে জীবন মানে কি? জীবন কেমন বলেনতো?আমিও স্টপ হয়ে গেলাম!!কারন আমি নিজেইতো জীবনের সংঙ্গা জানিনা। পরে পাশে থাকা বন্ধুকে বললাম? জীবন কেমন? সে বললো জীবন সুন্দর।তার পর অন্ধ ভাইটা বললো,ভাই জীবনের কি আকৃতি আছে?আমি বললাম না!সে বললো জীবন কি দেখা যায়?আমি বললাম না!সে বললো তাহলে যার আকৃতি নাই,দেখা যায় না, সেটা সুন্দর হয় কীভাবে?পরে পাশে থাকা এক লোক এসব সব শোনে বললো,তোমার তো আকৃতি আছে,দেখাও যায়,তবে তুমিতো সুন্দর না কারন তুমি অন্ধ।পথচারীকে এমনি হয়রানি করা বাদ দেও তুমি তো অনেক জ্ঞানী ,জ্ঞান নিয়ে কাজ করো।সে কান্না করে দিলো!আমি পথচারীকে বললাম ভাই আপনাকে এখানে কে কথা বলতে বলেছে? আপনি আমাদের মাঝে আসলেন কেনো?হুদাই একজনকে কান্না করাইলেন কেনো? সে মেজাজ দেখায়ে বলে তোরা রাস্তা ব্লক করে গল্প করবি!মুর্খ অন্ধ থেকে জ্ঞান নিবি। তোরা তো পাগল।এটা বলে গালাগাল করতে করতে চলে গেলো।আমি আর আমার বন্ধু তাকায়ে রইলাম,অন্ধ ভাইটি বললো চলে যান ভাই,আমাদের আর কান্না করাইতে আইসেন না।

 #ফটোগ্রাফি এর ইতিহাস 💕🥰✍️দুটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি আবিষ্কারের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল: প্রথমটি হল ক্যামেরা অস্পষ্ট ইমেজ প্রজে...
30/10/2025

#ফটোগ্রাফি এর ইতিহাস 💕🥰✍️
দুটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি আবিষ্কারের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল: প্রথমটি হল ক্যামেরা অস্পষ্ট ইমেজ প্রজেকশন, দ্বিতীয়টি হল আবিষ্কার যে কিছু পদার্থ আলোর এক্সপোজার দ্বারা দৃশ্যমানভাবে পরিবর্তিত হয়[২]। 18 তম শতাব্দীর আগে হালকা সংবেদনশীল উপকরণ দিয়ে ছবি তোলার কোন প্রচেষ্টা নির্দেশ করে এমন কোন শিল্পকর্ম বা বর্ণনা নেই।
লে গ্রাস ১৮২৬ বা ১৮২৭ এ জানালা থেকে দেখা দৃশ্য, মনে করা হয় যে এটি সবচেয়ে আগে বেঁচে থাকা ক্যামেরার ছবি। [১] আসল (বামে) এবং রঙিন পুনর্নবীকরণ (ডান)।
১৭১৭ সালের দিকে, জোহান হেইনরিচ শুলজ একটি বোতলের উপর কাটা-আউট অক্ষরগুলির ছবি তুলতে হালকা সংবেদনশীল স্লারি ব্যবহার করেছিলেন। তবে এই ফলাফলগুলো স্থায়ী করার চেষ্টা করেননি তিনি। 1800 এর কাছাকাছি, থমাস ওয়েডগউড প্রথম নির্ভরযোগ্যভাবে নথিভুক্ত করেছেন, যদিও স্থায়ী রূপে ক্যামেরার ছবি তোলার ব্যর্থ প্রচেষ্টা ছিল। তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিস্তারিত আলোকচিত্র তৈরি করেছিল, কিন্তু ওয়েডগউড এবং তার সহযোগী হামফ্রি ডেভি এই ছবিগুলিকে ঠিক করার কোন উপায় খুঁজে পাননি।
1826 সালে, Nicephore Niépce প্রথম একটি ছবি ঠিক করতে সক্ষম হয়েছিল যা একটি ক্যামেরা দিয়ে ধরা হয়েছিল, কিন্তু কমপক্ষে আট ঘন্টা বা এমনকি কয়েক দিন ক্যামেরার এক্সপোজার প্রয়োজন ছিল এবং প্রাথমিক ফলাফলগুলি খুব অপরিশোধিত ছিল। নিপেসের সহযোগী লুই ড্যাগেরেরে ড্যাগেররিওটাইপ প্রক্রিয়া বিকশিত করতে শুরু করেছেন, প্রথম প্রকাশ্যে ঘোষিত এবং বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর ফটোগ্রাফিক প্রক্রিয়া। ড্যাগেররিওটাইপের ক্যামেরায় শুধুমাত্র কয়েক মিনিট এক্সপোজার প্রয়োজন, এবং পরিষ্কার, সূক্ষ্মভাবে বিস্তারিত ফলাফল তৈরি। ২ আগস্ট, ১৮৩৯ তারিখে ড্যাগেরে প্যারিসে চেম্বার অফ পিয়ারস-এ প্রক্রিয়াটির বিবরণ প্রদর্শন করেন। ১৯ আগস্ট ইনস্টিটিউট প্যালেস এ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স এবং অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস এর একটি সভায় কারিগরি বিবরণ প্রকাশ করা হয়। (জনসাধারণকে আবিষ্কারের অধিকার প্রদানের জন্য, ড্যাগেররে এবং নিপেসেকে জীবনের জন্য উদার বার্ষিকী প্রদান করা হয়। )[3][4][5] যখন মেটাল ভিত্তিক ড্যাগেররিওটাইপ প্রক্রিয়া জনসাধারণের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদর্শিত হয়েছিল, তখন কাগজ-ভিত্তিক ক্যালোটাইপ নেতিবাচক এবং লবণ প্রাই এর প্রতিযোগী পদ্ধতি
আলহ

নামাজে ভুল হলে করণীয় :1. যদি ছোট ভুল হয় (যেমন আয়াত ভুলপড়া, সুরা ভুলে যাওয়া, তাকবীরে বিলমুকরা ইত্যাদি) – তাহলে নামাজ...
29/10/2025

নামাজে ভুল হলে করণীয় :

1. যদি ছোট ভুল হয় (যেমন আয়াত ভুল
পড়া, সুরা ভুলে যাওয়া, তাকবীরে বিলমু
করা ইত্যাদি) – তাহলে নামাজ চলমান
রাখবে৷ শেষে সিজদাহ সাহু করতে হবে।

2. যদি কোনো ফরজ (যেমন রুকু,
সিজদা, কিয়াম) বাদ পড়ে যায়-তাহলে
নামাজ ভেঙে যাবে, নতুন করে নামাজ
আদায় করতে হবে৷

3. যদি ওয়াজিব (যেমন সূরা ফাতিহার
পর সূরা পড়া, কুনুত দোয়া পড়া,
তাকবিরে তাশরীক ইত্যাদি) ছুট্টে যায়
-তাহলে নামাজ শেষে সিজদাহ সাহু
করতে হবে।

সিজদাহ সাহু করার নিয়ম:

1. নামাজ শেষ করে তাশাহহুদ
(আত্তাহিয়্যাতু) পড়ার পর একবার সালাম
দিতে হবে ডান দিকে।

2. এরপর দুইটি সিজদা করতে হবে
(সাধারণ সিজদার মতো)।

3. সিজদার পর আবার তাশাহহুদ, দরুদ
ও দোয়া পড়ে সালাম দিয়ে নামাজ শেষ
করতে হবে।

উদাহরণ:

যদি ৪ রাকাতের নামাজে ভুলে ৩
রাকাত পড়ে সালাম দিয়ে দেন, পরে
মনে হলে সাথে সাথে উঠে বাকি ১
রাকাত আদায় করবেন এবং শেষে
সিজদাহ সাহু করবেন।

সূরা ফাতিহার পর সূরা না পড়ে রুকুতে
চলে গেলে, উঠে আবার সূরা পড়ার
দরকার নেই, নামাজ শেষে শুধু
সিজদাহ সাহু করবেন৷

Address

Dhaka
1206

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when এসো দ্বীন শিখি ইসলাম Bangladesh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to এসো দ্বীন শিখি ইসলাম Bangladesh:

Share