
07/07/2025
তামজিদ নামে বুয়েটের একজন ছাত্র আ ত্ম হ ত্যা করেছেন। সে বুয়েটের CSE-তে অধ্যয়নরত ছিলো।
তামজিদের বড় বোন পুলিশকে স্টেটমেন্ট দেয়ার সময় বলে,
ও নাকি সবসময়ই নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে থাকতো। মাগরিবের সময় ঘুম থেকে উঠে খাওয়া-দাওয়া করে আবার রুমের দরজা বন্ধ করে দিতো, পরের দিন ভোরে আবার খাওয়ার জন্য বের হইতো, তারপর আবার দরজা লাগায় রাখতো । ওর এই দিনের পর দিন একা একা ঘরবন্দি থাকা নাকি ওর ফ্যামিলি এক সময় স্বাভাবিক ভাবেই নেয় (আমি জানিনা এইটা কিভাবে সম্ভব!!)
এ কারণে তারা নাকি বলতেও পারতেসেনা যে তামজিদ আনুমানিক কখন আ ত্ম হ ত্যার চেষ্টা করছে বা ওর ম র দেহ কতক্ষণ ধরে ঝুলে ছিলো!!
ঘটনা ২ :
তামজিদ এর আ ত্ম হ ত্যার মূল কারণ ছিল ডিপ্রেশন, এই ডিপ্রেশনের ব্যাপারে সে তার পরিবারকে কয়েকবার জানায়, কিন্তু শুরুতে তারা পাত্তা দেয়না। উল্টা নাকি ওকে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দিতো!এই কথা গুলা ওর বড় বোন নিজেই পুলিশ কে বলে!!
আমাদের দেশে অনেকেই জানে না শুধু মাত্র ভিটামিন ডি ডেফিসিয়েন্সি এর কারনে অনেক সমস্যা হয় যেগুলোকে মানুষ মানসিক সমস্যার মতো মনে হয় । যেমন ডিপ্রেশন ; ক্লান্তি মনোযোগহীনতা ; অবসাদ ; কোন কাজ করতে ইচ্ছে না করা ; স্মরনশক্তি কমে যাওয়া। অতিরিক্ত ডি ডেফিসিয়েন্সি থাকলে ব্রেন ঠিক মতো কাজ করে না৷ এমনকি উল্টো পাল্টা কথাও বলতে পারে। মাথা ব্যাথাও হতে পারে।
যাদের রোদে বের হবার সুযোগ নেই তাদের অবশ্যই সাপ্লিমেন্ট নিতে হবে।
বর্তমানে বিশেষ করে পড়াশোনা শেষ হবার পর অনেকেই চাকরির প্রস্তুতি নিতে একেবারেই ঘরবন্দী করে ফেলে। অনেক চাকরি যেমন ব্যাংক জব এরকম চাকরি যারা করে তাদেরও রোদে বের হবার সুযোগ কম। আমাদের দেশে নরমালি বেশির ভাগ মানুষের ভিটামিন ডি ডেফিসিয়েন্সি আছে। তবে বিশাল অংশের ২৫-৪০ বয়সী মানুষের ক্ষেত্রে এর ডেফিসিয়েন্সি সম্ভবত বেশিই। কারন এই বয়সের সবাইই কাজে ব্যস্ত থাকে। মেয়রা সংসার চাকরি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। বাইরে যাওয়ার সুযোগ কম। ছেলেরা যেটুকু বের হয় মেয়েরা তাও বের হয় না।
বর্তমানে যে কথায় কথায় "ডিপ্রেশন " হয় সবার এর অন্যতম কারন ডি এর অভাব সেকেন্ড কারন রাত জাগা। রাতের ১০- ৩ টার ডিপ স্লিপ না পাওয়া।
আপুরা ভাইয়েরা রোদে বের হন।বাচ্চাদের বের করুন। মেয়েরা ছাদে গাছ লাগান। এরপর হাফ হাতার জামা পরে ছাদে গাছের পরিচর্যা করুন। শরীরে চামড়ায় রোদ লাগতে দিতে হবে। অথবা বাসায় রোদ আসলে হাটু পর্যন্ত পায়জামা উঠিয়ে পা বিছিয়ে বসে থাকুন যেখানে রোদ আসে।
একটা জেনারেশন এভাবে ডিপ্রেশন এর থাবায় ধীরেধীরে নিঃশব্দে শেষ হয়ে যাচ্ছে এটা তো হতে পারে না। আর সেকেন্ড যেটা দয়া করে রাতে ঘুমান। বাংলাদেশের মানুষের মতো বলদামি (রাত জাগা)
দুনিয়ার কোথাও কেউ করে না।
- মুনমুন জাহান