
01/06/2025
মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়েগুলো বিয়ের পর হয় স্বার্থপর, লোভি, অহংকারী এবং বে,য়াদব!
মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়েগুলো বেড়ে ওঠে একটি গন্ডির ভেতর, তাদের বিয়ের আগে থাকে না কোন স্বাধীনতা, নিজ পারিবার সবসময় তাকে নিয়ে হাজার স্বপ্ন দেখে। বড়ো ঘরে বিয়ে দিবে, জামাই এইটা করবে ওইটা করবে, এখানে যাবে সেখানে যাবে। এবং বিয়ের আগে তার জন্য ঘরগুলো আনা হয়ও সেইরকম, যেন সে বহু কষ্টে লালিত এক কোরবানির পশু যা দেখে শুনে বেশি দরে বিক্রির প্রচেষ্টা। বেশিভাগ বিয়ের ঘরগুলো থাকবে এইরকম, ১৮ বছরের মেয়ের জন্য ৪০ বছরের প্রবাসী পাত্র, বড়োলোকের বখে যাওয়া পাত্র, নয়তো সংসার ও ব্যাবসায় সময় দিয়ে বুড়িয়ে যাওয়া কোন ধনী ব্যাবসায়ী। এবার এসব রিজেক্ট করলেই শুরু হয় গঞ্জনা। তোর বাপের কি আছে, সাত জনমের ভাগ্য গুণে এমন ঘর পেয়েছিস, ফকিরের মেয়ের আবার নায়কের সাধ ইত্যাদি। আর কথাগুলো দূরের কেউ বলে না, বলে তার অতি আপন জন এমনকি তার গর্ভধারিনী মা!
এতকিছুর পরও যদি সে নিজ ইচ্ছায় কোন ছেলেকে বিয়ে করে তাহলে সেখানে তাকে অসুখী করার জন্য উঠেপড়ে লাগে স্বয়ং তার নিজের বাপেরবড়ির মানুষগুলো। অমুকের জামাই এইরকম এইটা কিনে দিছে ওইটা আনছে, শশুর বাড়ি মিষ্টি আনে ১০ কেজি ইত্যাদি। আবার পোশাকে আসাকে কম্পেয়ার। কিন্তু এইটা ভাবে না যে তাকে বাপেরবড়ি থেকে কি দেয়া হয়েছে! সে যেখানে আছে সেটা পরের বাড়ি, সেখানে এত মধুর জীবন সে পার করছে না। হয়তো এখনি অনেকে বলবেন নিজে পছন্দ করে বিয়ে করলে এমনি হয়। তাদেরকে বলি, আমি ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি এমন কোন বাপের মেয়ে নাই যে বলতে পারবে যে সে শশুর বাড়িতে সবাইকে খুশি রাখতে পেরেছে অথবা তার কোন ভুল ধরা হয়নি। এটাই নিয়ম এবং সেখানেও ওই একজনই, গর্ভধারিণী!
মেয়েরা বাপেরবড়ি থেকে কিছু পাক বা না পাক, সে বাপেরবড়িতে উপহার, মা বাবাকে সামান্য খরচ বা দায়িত্ব থেকে একটু দূরে গেলে বলবে,
ওম্মা! জামাইয়ের এত কিছু আছে আর মেয়ের হাতে সামান্য কিছু ওঠে না!
আসলে তারা কোনকালে ভেবেই দেখেনাই যে মেয়েটি কি আদৌ জামাইয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মা বাবাকে দিতে পারে না কি এটা তার এক এক করে জমানো টাকা যা সে বিভিন্ন সময় নিজের শখ বলি দয়ে জমিয়েছে?
তখন সে স্বার্থপর!
মেয়েটি যখন বাবার বাড়িতে উত্তরাধিকার দাবি করে তখন, তোর স্বামীর এতকিছু আর তুই এই সামান্য জিনিসের জন্য লোভ করিস, তুই লোভী, তুই স্বার্থপর! কিন্তু এটা ভাবে না যে সে ওইসব কি আসলেই নিয়ে চলে যাবে নাকি নিজের সিকিউরিটির জন্য রেখে দিবে।
যখন সে মুখ ছিলা, সব বলে দেয়, নিজের কষ্টগুলোর কথা প্রকাশ করে, খোটা গুলোর ওপর সেল্ফ ডিফেন্স করে তখন সে হয় বেয়াদব!
ভাই এতকিছুর পরও আপ্নারা মধ্যবিত্ত মেয়েগুলোকে বাঁচিয়ে রাখেন কেন? জন্মের পর গলা টি,পে মে,রে ফেলবেন।