21/05/2023
চাইল্ড পর্ণগ্রাফির সাথে যুক্ত তিনজন কিশোর অপরাধী গ্রেফতার করেছে সিটি- সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ডিজিটাল ফরেনসিক টিম।
ইন্সটাগ্রাম থেকে ফারহিন নাম এর একজন ক্লাস ফাইভ এ পড়া মেয়েকে প্রেম এর প্রস্তাব দিলে ফারহিন তা প্রত্যাখান করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফেইক ইন্সটাগ্রাম আইডি ইকরা_ফারহিন থেকে ফারহিন নামের মেয়েটিকে বলা হয় যে কাপড় বদল করার সময় তার কিছু নগ্ন ছবি কেও তুলেছে এবং সেগুলো তাদের হাতে চলে আসায় মেয়েটিকে সোশ্যাল মিডিয়াতে তার নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখানো হয়। ফারহিনকে বলা হয় যে এই ছবিগুলো তার পরিচিত মানুষ তুলেছে এবং তাদের কাছে এইসব ছবি চলে এসেছে। ভাইরাল যেন না হতে হয়, সেইজন্য ক্লাস ফাইভে পড়া মেয়েটির কাছে নগ্ন ভিডিও চাওয়া হয় এবং এনোনিমাস নাম এর আর একটি ইন্সটাগ্রাম আইডিতে ভিডিওগুলো দিতে বলা হয়। ফারহিন ব্যাপারটি মান সম্মান এর ভয়ে কাওকে না বলে ভিডিও পাঠিয়ে দেয়। এরপর থেকেই প্রতিনিয়ত চাপ দেয়া হয় যেন আরো নগ্ন ভিডিও দেয়া হয় তাদের। এক পর্যায়ে ফারহিন কে প্রস্তাব করা হয় যেন ফারহিন তার মা এর নগ্ন ভিডিও তাদের কাছে দেয় নতুবা তার ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করা হবে। ফারহিন তার মা কে ঘটনাটি বলার পর তার মা বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় পর্ণগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইন, ২০১২ এর অধীন একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত কিশোরদের সকলেই স্কুল পড়ুয়া এবং পর্ণগ্রাফিতে আসক্ত। তাদের গাজিপুর এবং চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে সিটি-সাইবার ক্রাইম ডিভিশন এর ডিজিটাল ফরেনসিক টিম। অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এর নেতৃত্বে এই অভিযানে অভিযুক্তদের কাছ থেকে যে মোবাইল ডিভাইস জব্দ করা হয়, সেখান থেকে ইন্সটাগ্রাম ছাড়াও টেলিগ্রাম এর অনেক প্রাইভেট চ্যানেল এর তথ্য সাইবার পুলিশের হাতে এসেছে। ইন্সটাগ্রাম থেকে তথ্য প্রাপ্তির উপর ভিত্তি করে এই তিনজন কিশোর অপরাধী সনাক্ত করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট এর সাইবার পুলিশ। ইন্সটাগ্রাম এবং টেলিগ্রাম এর এই সকল চাইল্ড পর্ণগ্রাফি চ্যানেল এবং গ্রুপ এর উপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং এই সকল চ্যানেল এবং গ্রুপ এর মেম্বারদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
সাইবার ক্রাইম তথা চাইল্ড এবিউজ প্রতিরোধে অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার অভিভাভকদের অধিক সচেতন হতে পরামর্শ দিয়েছেন তথা সন্তানের ডিজিটাল ডিভাইস প্রতিনিয়ত চেক করার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকতে বলেছেন।