21/07/2025
চ্যাটজিপিটকে জিজ্ঞেস করেছিলাম একটা বাচ্চা আগুনে পুড়ে মারা গেলে ঠিক কতটা কষ্ট পেতে পারে.?
উত্তর দিলো-
১। সাধারণত আমরা যে পিঁয়াজু ভাজি তখন তেলের তাপমাত্রা হয় ১৬০-১৮০° সেলসিয়াস। এতেই পিঁয়াজু টগবগ করে ফুটতে থাকে।
কিন্তু বিমান দূর্ঘটনার আগুন সাধারণত ৯০০-১২০০° সেলসিয়াস হয়। একটা বাচ্চা এ তাপমাত্রার আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার সময় পিঁয়াজু ভাজার চেয়ে ৯ গুণ বেশি ছটফট করতে থাকে।
তার মনে হতে থাকে তার পুরো শরীর উত্তপ্ত গরম তেলে কেউ ভাজতেছে।
২। পুড়ে যাওয়ার সময় শরীর থেকে মাংস গলে গলে পড়তে থাকে। তখন পুড়ে যাওয়া বাচ্চাটা অনুভব করতে থাকে তার শরীর থেকে কেউ বোধহয় ধারালো ছুরি দিয়ে একটু একটু করে মাংস কেটে নিচ্ছে।
৩। শরীরের সবগুলো হাড় একসাথে ভেঙে ফেললে যতটা কষ্ট হবে পুড়ে মারা যাওয়ার সময় একটা বাচ্চাও সেরকম কষ্ট অনুভব করতে থাকে। তার পুরো শরীর মোচড়াতে থাকে শুধু।
৪। অতিরিক্ত পুড়ে গেলে সবার আগে ফুসফুস পুড়ে যায়। তাই শ্বাস নেওয়া যায় না। তখন পুড়ে যাওয়া বাচ্চাটার কাছে হতে থাকে তাকে গভীর সমুদ্রে কেউ ১০-১৫ মিনিট যাবত চুবিয়ে রেখেছে।
একটুখানি বাতাসের জন্যে সে হাহাকার করতে থাকে শুধু।
একটু আগেই ডাক্তাররা প্রেস ব্রিফিং করে জানিয়েছে উত্তরায় যে কজন পুড়ে মারা গিয়েছে তাদের প্রায় সবাই ই শিশু। কেউ ক্লাস থ্রীতে পড়ে, নয়তো ফোরে। বয়স খুব বেশি হলে হবে নয় কিংবা দশ।
এরা সবাই ই উপরের দেয়া বর্ণনাগুলোর মতই নিদারুণ কষ্ট পেয়ে কুঁকড়ে কুঁকড়ে মারা গিয়েছে।
হাসপাতালেও পোড়া অর্ধমৃত একটা বাচ্চা মারা যাওয়ার আগে বারবার পানি পানি বলে চিৎকার করছিল। মনে হচ্ছিল যেন কত বছর ধরে পানি খায়নি। এরপর গোঙাতে গোঙাতেই মারা গেল বাচ্চাট।
না জানি কত কষ্ট পেয়ে মারা গিয়েছে বাচ্চাটা!
এই বাচ্চাগুলো হয়তো কোনদিন আগুনের এত কাছে যায়নি। হাতে আগুনের একটু ছোঁয়া লাগলেই মায়ের কাছে দৌঁড়ে ছুটে যেত। মা হাতে বরফ লাগিয়ে দিতো।
কিন্তু আজকে ওরা ৯০০-১২০০° সেলসিয়াসের মতো তীব্র তাপমাত্রা সহ্য করতে করতে মারা গেল। বরফ লাগিয়ে দেয়ার জন্যে মাকে কাছে পায়নি, বাবাকেও পায়নি।
এতটুকুন বাচ্চা হয়তো মারা যাওয়ার সময়ও মা মা বলেই চিৎকার করছিল, কিংবা চিৎকার করার সময়টাও পায়নি তার আগেই সবশেষ!
বেঁ*চে থাকলে তাদের এখন স্কুলের হোমওয়ার্ক করার কথা ছিল কিন্তু ফুলের মতো এই নিষ্পাপ বাচ্চাগুলো এত তীব্র যন্ত্রণা সহ্য করতে করতে কত অবলীলায় মা*রা গেল 😭