Omar Ali Imran

Omar Ali Imran Enjoy listening to the Holy Quran.

Amin
04/06/2025

Amin

একটা এনজিও থেকে ফোন এসেছে, উনারা একটা  সেমিনার করবেন। আমাকে অতিথি করতে চান। আমি বললাম, হাদিয়া কি পরিমাণ হবে তার উপর নির্...
02/06/2025

একটা এনজিও থেকে ফোন এসেছে, উনারা একটা সেমিনার করবেন। আমাকে অতিথি করতে চান।

আমি বললাম, হাদিয়া কি পরিমাণ হবে তার উপর নির্ভর করবে থাকা না থাকা।

বললেন, কী নোট স্পিকারের জন্য ত্রিশ হাজার আর তিনজন অতিথি কথা বলবেন তাদের জন্য জনপ্রতি ১৫ হাজার। আপনি অতিথি বক্তা হিসেবে ১৫ হাজার সম্মানি পাবেন।

১৫ হাজার শুনে একটু নড়েচড়ে বসলাম।

কল্পনায় দেখলাম ফাইভ স্টার হোটেল, বুফে লাঞ্চ, আনলিমিটেড ক্যাপাচিনো কফি এবং হাল্কা মুডে বুদ্ধিজীবী বুদ্ধিজীবী ভাব নিয়ে থিওরি কপচানো। এবং শেষ করে ১৫ হাজার টাকার একটা খাম পকেটে পুরে বের হওয়া।

অতি আনন্দদায়ক ব্যাপার। তাছাড়া ফেসবুকের পোস্ট দিয়ে হাজার লাইক কমেন্ট কামানোর সুযোগ ত আছেই৷

জিজ্ঞাসা করলাম, টপিক কি? কোন বিষয় নিয়ে সেমিনার?

জানালেন, কিছুটা তর্ক বিতর্ক টাইপের।

কি রকম তর্ক?

এই ধরেন ছা গল নিয়ে।

ছাগল নিয়ে? ছাগ ল কি সেমিনারে থাকবে?

আরে না ভাইজান । এই যে ছা গলকে কুরবানি দেওয়া হয় কিন্তু কু কুরকে আদর করে বাসায় বাড়িতে রাখা হয় এটা নিয়ে সেমিনার।

বুঝিয়ে বলুন প্লিজ।

ছা গল অতি নিরীহ একটা প্রাণী। তাকে আপনারা কুরবানি দেন অথচ কু কুরকে আদর করেন এটা বৈষম্য। ২৪ এর বিপ্লবের পর এই বৈষম্য মেনে নেওয়া যায়না। এর পক্ষে বিপক্ষে কথা হবে। আপনি আপনার বক্তব্য দিবেন। বিরোধী পক্ষ তাদের বক্তব্য দিবে৷ জাস্ট সচেতনতা মূলক একটা সেমিনার। প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে হবে প্রোগ্রাম৷ আপনি আপনার পছন্দমতো আরও দুজনকে নিয়ে আসতে পারবেন স্যার।

ওর উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখন আমি পুরোপুরি ক্লিয়ার হলাম। প্রতি বছর কুরবানির টাইম এলে এদের প। শুপ্রেম জাগ্রত হয়৷ চিনি এদেরকে ভালো ভাবেই।

বললাম, এই সেমিনারের আদর্শ স্থান হচ্ছে সুলতান ডাইন । শুনেছিলাম ওখানে ছাগলের সাথে কু। ত্তার মাংসও বিক্রি হত। যদিও পরে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। কিন্তু ওখানেই করলে ভালো হবে৷ চিন্তা করে দেখেন প্লিজ। ছা গ ল ও কু। কুর একসাথে পাওয়া যাবে।

বেচারা এবার একটু বিভ্রান্তিতে পড়ে গেলো।

কিছুক্ষণ নিরবতা অপর পার্শ্বে।

বললো, স্যার আপনার পরামর্শ উর্ধতন কর্মকর্তার নিকট পৌছাব৷ সিদ্ধান্ত উনারা নিবেন।

আমি বললাম, আরেকটা কথা আপনার উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানাবেন।

কি কথা স্যার?

যেখানে করবেন নিশ্চয়ই ওই রেস্টুরেন্টে বা হোটেলে ওয়াশরূম আছে?

কি বলেন স্যার। তা থাকবেনা কেনো? আমরা দামি রেস্টুরেন্টেই করে থাকি। আর সোনারগাঁ তো ফাইভ স্টার।

কর্মকর্তাকে বলবেন, ওইদিন সেমিনার কক্ষে সবাই হাগামুতা করব এবং ওয়াশরূমে সেমিনার করব।

এবার বেচারাকে মনে হলো পুরোপুরি বিভ্রান্ত। হাসবে না কাদবে বুঝতে পারছিলোনা৷

বললো, এ কেমন কথা স্যার? আর এটা আমি উর্ধতন স্যারকে বলব কিভাবে? উনি খুব রাগী মানুষ।

বললাম, হলরূমে শুধু সেমিনার করবেন আর ওয়াশরূমে অন্য কাম সারবেন তা হতে পারেনা। এটা বৈষম্য। বৈষম্য ভাঙতে হলে অন্তত একদিন সেমিনারটা টয়লেটে করুন। সেমিনার হাইলাইট হবে। ভাইরাল হবে..

আমার কথার মাঝখানে কিছু না বলেই এনজিও কর্মকর্তা ওপাশ থেকে ফোনের লাইন কেটে দিলেন।

কল্পনায় দেখতে পেলাম খামভর্তি পনেরো হাজার টাকা পকেট থেকে অটোমেটিক ভাবে বের হয়ে চলে যাচ্ছে।

চোখ জুড়ানো দৃশ্য। ❤️❤️
02/06/2025

চোখ জুড়ানো দৃশ্য। ❤️❤️

ইহাকেই বলে আদু ভাই
01/06/2025

ইহাকেই বলে আদু ভাই

কক্সবাজার। লাসভেগাস বা পাতায়া বিচের মতো এটাও একটা পাপের নগরী। দোকানে দোকানে কনডমের ছড়াছড়ি।প্রথম প্রথম গিয়ে আসল ঘটনা বুঝত...
01/06/2025

কক্সবাজার। লাসভেগাস বা পাতায়া বিচের মতো এটাও একটা পাপের নগরী। দোকানে দোকানে কনডমের ছড়াছড়ি।

প্রথম প্রথম গিয়ে আসল ঘটনা বুঝতাম না। পরে বুঝলাম এখানকার হোটেলগুলোতে দেদারসে অসতী মেয়েদের শরীর বিক্রি হয়।

একা একা কক্সবাজার গিয়েছি কয়েকবার। একটু চিপ রেটের কটেজ ভাড়া নিতে গেলে কটেজের ম্যানেজার বলতো, গেস্ট লাগলে বইলেন। সব ব্যবস্থা আছে। বুঝতে বাকি থাকতো না সে কি বোঝাতে চাচ্ছে। ম্যানেজার ভাবত একা এসেছি মেয়ে নিয়ে ফূর্তী করতে। তাই কটেজের ভাড়াও চাইতো থ্রি স্টার হোটেলের মতো। সরাসরি বলতাম, আমার ওসব দরকার নেই। আমি এসেছি ঘুরতে। এরপর তাচ্ছিল্যের একটা হাসি দিয়ে চলে আসতাম।

মূল সড়কের ওপরে থাকা কিছু ভালো মানের হোটেলে অবশ্য কাপলদের ম্যারেজ সার্টিফিকেটের কপি চায়। এটা একটা ভালো দিক। তবে অধিকাংশ হোটেলই এসব নিয়ম মানে না।

পকেটের ওপর চাপ ফেলে হলেও একটু ভালো মানের হোটেলে উঠতাম। ভালো মানের হোটেলে অবশ্য এরকম ঝামেলা নেই। তবে চড়া মূল্যের পতিতারা গার্লফ্রেন্ড সেজে আসে কোনো ধনাঢ্য ব্যক্তির সাথে। পাঁচ তারকা হোটেলে গিয়ে ওঠে। কেউ হয়তো গার্লফ্রেন্ড থাকা সত্ত্বেও বন্ধুবান্ধবদের সাথে এসে পতিতা নিয়ে শোয়। কেউ হয়তো ঘরে বউ রেখে এখানে এসে পতিতা নিয়ে রঙ্গলীলায় মাতে। অর্থ-বিত্ত যেকোনো পুরুষকে পশুতে পরিণত করে। চরিত্রবান ও সৎ পুরুষ এই সমাজে অল্পই আছে।

আমি সবসময় সৈকতের নির্জন জায়গায় বসি। গভীর রাত পর্যন্ত সাগরের তীরে বসে থাকি। সেখানেও পতিতারা ছদ্মবেশে ঘোরাঘুরি করে। বডি ম্যাসাজের নামে খদ্দের খোঁজে।

মানুষ কতটা কুৎসিত হতে পারে! মহান সৃষ্টিকর্তার সুনিপুণ সৃষ্টি প্রকৃতির এই অপার্থিব সৌন্দর্য উপভোগের নামে নোংরামো করে বেড়ায়।

রাষ্ট্রের পরিচালক ও প্রশাসনও নিশ্চুপ এসব ব্যাপারে। এই সমাজ এত সহজে বদলাবে মনে হয়? গণতন্ত্র, সুষ্ঠু নির্বাচন আর সংস্কার ধুয়ে পানি খেলেও এসব বদলাবে না। এখানে দরকার শরীয়ার শাসন।

মা'য়েদের কখনো মারা যাওয়া উচিৎ নয়।
01/06/2025

মা'য়েদের কখনো মারা যাওয়া উচিৎ নয়।

Alhamdulillah
01/06/2025

Alhamdulillah

Innalillah 😭
31/05/2025

Innalillah 😭

পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টির তৎপরতায় বাম ছাত্রসংগঠন ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, সুস্থধারা ও সহাবস্থানের রাজনীতি ন...
29/05/2025

পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টির তৎপরতায় বাম ছাত্রসংগঠন

ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, সুস্থধারা ও সহাবস্থানের রাজনীতি নস্যাৎ করতে বামপন্থি সন্ত্রাসী ছাত্রসংগঠনগুলো পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের এমন তৎপরতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ও সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল আজ (২৯ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার) এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সহযোগী বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলো ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সভাপতি এটিএম আজহারুল ইসলামকে দেওয়া আদালতের রায়ের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং ক্যাম্পাসে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। গত ২৭ মে রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা উস্কানিতে শাহবাগবিরোধী ছাত্রঐক্যের মিছিলে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট’ হামলা চালিয়ে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে।"

নেতৃবৃন্দ বলেন, “ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বাম সন্ত্রাসী ছাত্রসংগঠনগুলো ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং দেশের সামগ্রিক স্থিতিশীলতার পথে বারবার বাঁধা সৃষ্টি করেছে। ১৯৮২ সালে ছাত্রশিবিরের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ৪ জন কর্মীকে শহীদ করার পাশাপাশি অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে মারাত্মকভাবে আহত করে। ১৯৮৫ সালে শিবির নিধন ও হত্যার কর্মসূচি দিয়ে হলে হলে তাণ্ডব চালায়, ১৯৮৮ সালে ভর্তি সহায়তা বুথে হামলা করে, ১৯৮৯ সালের রাকসুর প্রচারণায় হামলা চালায়, ১৯৯৩ সালে কলা ভবনে বোমা হামলাসহ শত শত অপরাধের সাথে বাম সন্ত্রাসীদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মেলে। বামপন্থিরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ জন কর্মীকে নির্মমভাবে শহীদ করে, আহত করে পাঁচ শতাধিক কর্মীকে। এসব গর্হিত কাজে নেতৃত্ব প্রদান করে বামপন্থি নেতা ফজলে হোসেন বাদশা, মনোয়ারুল হক, সাইফুল ইসলাম, লিয়াকত আলী লিকু, রাগিব আহসান মুন্না প্রমুখ।

অন্যদিকে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার ভিত্তি তৈরি এবং তাদের সকল গুম, খুন, গণহত্যার বৈধতা উৎপাদন করেছিল এই বামপন্থি চক্র। গণজাগরন মঞ্চের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিকতার পরিবর্তে তারা যে মব কালচার তৈরি করেছিল, তা পুনরায় ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আদালতের রায়ের বিপরীতে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ থাকলেও তারা সে পথে না হেঁটে ক্যাম্পাসগুলোকে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীল করার প্রয়াস চালাচ্ছে। ফ্যাসিস্টদের সুরে সুর মিলিয়ে তারা একসময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরকে 'হত্যা ও নিধন' করার স্লোগান দিতো, এখন তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্লেগান দেয় 'বাঁশের লাঠি মশাল হবে, শিবির তোমার মৃত্যু হবে'। 'আবরার ফাহাদকে হত্যা করা জায়েজ ছিল' বলে ঘোষণা দিয়ে তারা ক্যাম্পাসে পুনরায় লাশের রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে পাঁয়তারা চালাচ্ছে।”

সচেতন ছাত্রসমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, "শুধু অস্ত্র ও ষড়যন্ত্রনির্ভর রাজনীতি নয়, বাম সংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে ফ্রি মিক্সিং, যৌন স্বাধীনতা ও সমকামিতার মতো বিপথগামী সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিচ্ছে। পতিত আওয়ামী লীগের পতনের পরও ক্যাম্পাসের ছাত্রবান্ধব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিনষ্ট করে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে এই চিহ্নিত বামচক্র। তারা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে। আমরা আশঙ্কা করছি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস তাদের ষড়যন্ত্র থেকে নিরাপদ নয়। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নস্যাৎ করার যেকোনো অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”

29/05/2025

দলীয় সহকর্মীদের উদ্দেশে-

দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি, সিদ্ধান্ত ও শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করলে সংগঠন তার কোনো দায় নেবে না এবং এ বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে কাউকে কোনো ছাড়ও দেওয়া হবে না — ব্যক্তি তিনি যেই হোন না কেন।

অতএব, সবাইকে দলীয় শৃঙ্খলা, সিদ্ধান্ত ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য বজায় রেখে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

এর কোনো ভিন্নতা যেখানেই ঘটুক, সংগঠন অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেবে।

Address

Dhaka
Dhaka
1200

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Omar Ali Imran posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Omar Ali Imran:

Share