Tablig News24

Tablig News24 দাওয়াত ও তাবলীগ বিষয়ে উম্মাতে মুসল?

18/10/2025

বাংলাদেশে সাদ সাহেবের সন্ত্রাসী গুন্ডা বাহিনী অর্থাৎ সাদপন্থি সাদিয়ানীরা গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ দিবাগত রাতে টুঙ্গি ময়দানে তবলীগের সাথিদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মুসলমানদের হত‍্যা ও আহত করার পর পরদিন সকালে তাদের আপোষে চরম ভয় ও উত্তেজনার সহিত নিজেদের অপরাধ হারে হারে স্বীকার করা।

ভিডিওর শুরুই দেখতে পাবেন, সাদপন্থি সন্ত্রাসী কিছু লোকেরা সকালে মাঠ ছেড়ে পালাতে চাচ্ছে কিন্তু অন‍্য কিছু সাদপন্থি সাথিরা যারা গেটে পাহারায় তারা প্রচন্ড রাগ ও উগ্র ভাষায় তাহাদেরকে মানা করছে না কেউ মাঠ ছাড়তে পারবে না, আমরা দিব না মাঠ ছাড়তে, আভরা গেট খুলবো না বড়দের মাসওয়ারা হয়েযে যাদের মধ্যে সেই উগ্র সাদপন্থি সন্ত্রাসীটা সাদপন্থি নেতা মুয়াজ বিন নূরের নাম নিয়েছে, যে মুফতী মুয়ায সাহৃব সহ সবাই ফয়সালা করছে কেউ মাঠ ছাড়বে না। এতোটাই উগ্রভাবে বাধা দিচ্ছো সেই সন্ত্রাসী সাদপন্থি তার আরেক সন্ত্রাসী সাদপন্থিকে যেন এখনি আক্রমণ করে হলেও বাধা দিব।

এমনকি সেই বাইকে বসা সাদপন্থি বললোও যে, এর মানে আপনি জোর (জবরদস্তি) করবেন আমাদের উপর, সেই সাদপন্থি বললো হে আমরা জোর (জবরদস্তি) করবো।

১ - এই উগ্র সন্ত্রাসী সাদপন্থি গোষ্ঠীর এই আক্রমণাত্মক ভঙ্গির মূল কারণ হচ্ছে গতরাতে (১৭ ডিসে দিবাগত) তারা টুঙ্গি ময়দানে তবলীগের সাথি ও সাধারণ মুসলমানদের হত‍্যা করেছে যেই উগ্রতা ও হিংস্রতা নিয়ে তার প্রভাব সকালেও তাদের নিজেদের লোকের উপরও প্রকাশ পাচ্ছে।

২- তারা এতোটাই উগ্র ও হিংস্রতায় জড়িয়ে ছিল যে, তারা তাদের বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নেতা ভাই ওয়াসিফুল ইসলামের সিদ্ধান্তের ব‍্যাপারে উগ্রতার সাথে বলে, ওয়াসিফ ভাইকে এখানে এসে বলতে বলেন আমরা ওয়াসিফ ভায়ের মোবাইলের ফয়সালা মানি না।

৩- তাদের উগ্র ও হিংস্রতা নিজের সাথির উপরই ফেতনা করার অপবাদ দিতে বাধা করলো।

৪- সেখানে আরেক সাদপন্থি সন্ত্রাসী এসে বলে বসলো, ভাই বড়রা বলেছে সাথিদের নিরাপত্তাহীনতার কারণে যারা যাইতে চায় তারা চলে যেতে পারবে।

আশ্চর্যের বিষয়, অথচ সাদপন্থি সন্ত্রাসী দাবী করেছে তারা খুব আখলাক ও একরামুল মুসলিমীনের সাথে, প্রত‍্যেক মাকলুকের হক আদায় করে, আমলের সহিত, তাহাজ্জুদ ও যিকির ফিকিরেয সাথে (রাত তিনটায়) টুঙ্গি ময়দানে প্রবেশ করেছে। তাহলে এতো নিরাপত্তাহীনতার ভয় ও আতঙ্ক কেন তাদের মধ্যে? মানুষ তো চুরি করলে, ডাকাতি করলে, হত‍্যা করলে এমন নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে আতঙ্কিত থাকে, কিন্তু তাদের দাবী তো হলো তারা আথবের সাথে আমলের সাথে ময়দানে প্রবেশ করেছে, এইস আমলের জন‍্য তো কেউ নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে আতঙ্কিত থাকে না। এর মানে হচ্ছে কাহিনী উল্টোটা।

৫- পরে সাদপন্থি সন্ত্রাসীদের আপোষের সেই উগ্র পরিবেশে পুলিশ এসে তাদের শীর্ষ নেতা ওয়াসিফ ভায়ের ফয়সালা শুনায় মোবাইলেই।

৬- তারপর সেখানে উপস্থিত হোন সাদপন্থি সন্ত্রাসী ফেরকার নেতা মুয়ায বিন নূর, এসে বক্তব্য দিয়ে ফয়সালা শূনান,

৭- সে তার বক্তব্য বলে, (প্রশাসন) আমাদেরকে নিরাপত্তার সাথে নিরাপদে কামাড়পাড়া পর্যন্ত পৌছে দিবে তারপর সেখান থেকে আমাদের নিরাপত্তার জন‍্য কি করা লাগবে....

আজিব তো নেতা মুয়াজও নিরাপত্তার ব‍্যাপারে আতঙ্কে আছে, এবং সেই নিরাপত্তাহীনতার কথা বলছে। যেই সাদপন্থি সন্ত্রাসীরা গভীর রাতের অন্ধকারে চোরের মতো সেই দূর দূর থেকে টুঙ্গি ময়দানে এসেছে, সেই সাদপন্থি সন্ত্রাসীদের ঠিক তার পরের দিন সকালে দিনের আলোতে দিন দুপুরে ময়দান দেকে কামাড়পাড়া পর্যন্ত যাইতেই সাদপন্থি সন্ত্রাসীদের প্রশাসনের নিরাপত্তা লাগবে, আজীব রহস্যময় কথা। সেই অর্ধেক রাতেই সাদপন্থি সন্ত্রাসী কতো বড় ও জঘন্যতম অপরাধ করেছে এবার চিন্তা করুন।

৮ - তারপর সাদপন্থি সন্ত্রাসী নেতা মুয়ায বিন নূর নিজেই পরোক্ষভাবে স্বীকার করলো যে, "রাতে আসার সময় আমাদের কোন দোষ ছিলনা", (অর্থাৎ রাতে আসার সময় তারা কোন হত‍্যা ও আক্রমণ করেনি তাই তাদের কোন দোষ ছিলনা এজন্যই তারা গভীর রাতের অন্ধকারেও সেই দূরদূরান্ত থেকে চোরের মত টুঙ্গি ময়দানে আসতে পেরেছে)

৯ - "তবে আজকে আমাদের গায়ে অনেকগুলো অপবাদের চিহ্ন ও দাগ লেগে গেছে"

অর্থাৎ তারা যে বিগত রাতে মুসলমানদের রক্তে নিজেদের হাত রঞ্জিত করে জঘন্যতম অপরাধ করেছে তার দাগ ও চিহ্ন তাদের উপর স্পষ্ট আছে তা তারা স্বীকার করছে ও খুব ভালো করেই জানে তাই এখন দিনের আলোতে ময়দান থেকে কামাড়পাড়া পর্যন্ত যাইতেও প্রশাসনের নিরাপত্তা লাগছে।

১০ - ঠিক তারপর সে বলে, "এইযে তাজা রক্তের হিংস্রতা নেশা, তারা যদি আপনাদের রাস্তায় রাস্তায় পায় তাহলে নিরাপত্তার সাথে পার করে দিবে নাকি কিভাবে হিংস্র হায়েনার মতো আক্রান্ত করবে",

অর্থাৎ এখানে সে বদলা নেওয়ার কথা বলছে, যেভাবে তারা গতরাতে সাধারণ তবলীগি ও মুসলমান উপর হিংস্র হায়েনার মতো ঝাপিয়ে তাদের তাজা রক্ত ঝরিয়ে হত‍্যা ও আক্রমণ করেছে ঠিক এভাবেই যদি তবলীগের সাথিরা তাদের সাথে হিংস্রা হায়েনার মতোই আক্রমণ করে যদি তাদের তাজা রক্ত ঝরানোর নেশায় বদলা নেয়, তার জন‍্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তারা।

১১ - তারপর সে বলে, "এবার যদি আমরা মাঠ ছেড়ে দেই, তাহলে আপনি টুঙ্গি ময়দান, কাকরাইল মসজিদ, ইস্তেমা ও জোড় এই নামগুলো আর কোন দিন নিতে পারবেন কিনা এগুলো একটু চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিবেন"কার্যক্রম

অর্থাৎ সাদপন্থি সন্ত্রাসীরা বুঝতে পেরেছে যে গতরাতে তারা যেই জঘন্যতম অপরাধ ও ঘটনা ঘটিয়েছে তারপর আর তারা তাদের কোন ধরনের কার্যক্রম করতে পারবে কিনা তা চিন্তা করতে বলছে নিজের লোকদের।

তারাও এটা স্পষ্টই বুঝেছে যে, তারা যেই জঘন্য অপরাধ ঘটিয়েছে তার পর তারা তাদের কোন ধরনের করার উপযুক্ত নহে।

১২ - তারপর নেতা মুয়ায তাদের ২০১৮ সালে টুঙ্গি ময়দান হামলা করার একটি পরিণতি প্রকাশ করে বলে, "২০১৮ পর ২- আড়াই বছর আমাদের সাথিরা মসজিদে মেহনত করতে পারেনাই, আড়াই বছর যাবত বাসা থেকে বের হতে পারে নাই"।

অর্থাৎ ২০১৮ পহেলা ডিসেম্বরে টুঙ্গি ময়দানে তবলীগের সাথি ও মাদ্রাসার উলামা তোলাবার উপর সন্ত্রাসী হামলা করে সন্ত্রাসী ও হত‍্যাকারি অপরাধের কারণে চোরের মতো দূরদূরান্তে ঘরের মধ্যে লুকিয়ে থেকেছে, এলাকার লোক সাদপনথি সন্ত্রাসী সেই নেতা ও চেলাদের খুজেছে তবে পায়নি এবং তাই মসজিদে আমলও করতে পারেনি।

১৩ - তারপর মুয়ায বলে, "আজকের পর থেকে আমাদের কী ফয়সালা হবে, মহল্লায় কিভাবে থাকবো, কি নিরাপত্তার বিধান হবে, এগুলো মাথায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন"

অর্থাৎ ২০১৮ তে তো একটা হত‍্যা করে ২/২½ বছর সন্ত্রাসী বেষে চোরের মতো পালিয়ে পালিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে থাকা লাগছে, এখন এইবার তো তারা ৩ টা মুসলমান সাধারণ তবলীগের সাথির প্রাণ নিয়েছে হত‍্যা করেছে এবং হাজারো সাথিকে প্রচণ্ডরকম আঘাত করে আহত করেছে এখন ত আরো বড় অপরাধ করেছে তাই এখন মহল্লায় কেমনে থাকবেন সেই চোরের মতোই গতবারকার ন‍্যায় লুকিয়ে থাকবেন, নাকি চিল্লার নাম দিয়ে সফরে পারিয়ে থাকেবেন, মসজিদে মসজিদে মুসলমানদের হত‍্যা করে মসজিদে মুখ দেখাইবেন কেমনে, তারা তো হত‍্যা ও আহত করে দিছে এখন যাদের লোককে হত‍্যা ও আহত করেছে তারা যদি বদলায় নেয় তাহলে নিরাপত্তার কি ব‍্যবস্থা করবেন তা চিন্তা করার জন‍্য বলছে।

১৪ - তারপর নেতা মুয়াযের সাথে সেই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা বাইকের লোকের পাথে কথা কাটা কাটি হয়,
নেতা মুয়ায বলে, "আমি কি গেট বন্ধ করতে বলছি,
সে বলে- তারা তো আপনার দিকে দেখাচ্ছে,
মুয়ায- আমি কি গেট বন্ধ করতে বলেছি?
সে লোক- তারা ত বলে আপনি বলেছেন,
মুয়ায- যে যাই বলুক আমি গেট বন্ধ করতে বলেছি নাকি,

অর্থাৎ নেতা মুয়ায বুঝে ফেলে গত রাতেয আধারে যেই জঘন্যতম ঘটনা ঘটিয়েছি মুসলমানদের হত‍্যা করে এখন যদি কোন কিছুর জিম্মাদারিতে নাম আসে ফাইসা যামু, তাই দায়ভার সরিয়ে নিতে চাচ্ছে, যদিও ময়দানে হামলা করার মেন উস্কানিদাতার মধ্যে একটি নাম এই নেতা মুয়ায।

১৫ - তারপর মুয়ায মাঠ ছেড়ে পালাতে চায়, তখন সাথিরা থেকে বলে, "আপনার পা ধরে বলছি, আপনি একটু থাকুন, আপনি আমাদের গার্ডিয়েন বা অভিভাবক, আপনি চলে গেলে সাথিরাও চলে যাভে আপনি থাকলে আমরাও থাকবো"

অর্থাৎ সাদপন্থি সন্ত্রাসী নেতা মুয়ায পালানোর জন‍্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো ঠিক তখনই সাদপন্থি সাথিরা তাকে অনুরোধ করে যেন তিনি মাঠ ছেড়ে না পালান, কারণ তার উস্কানিতেই তারা ময়দানে মুসলমানদের হত‍্যা ও আহত করেছে।

এই ভিডিও থেকে একদম স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ রাতে সাদ সাহেবের সন্ত্রাসী গুন্ডা বাহিনী পূর্ব পরিকল্পনা করে টুঙ্গি ময়দানে মুসলমানদের হত‍্যা ও আহত করেছে এজন্যই তারা প্রচন্ড রকম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে ও ভয়ে আতঙ্কে আছে যে যাদের লোককে হত‍্যা করেছি তারা যদি আমাদের থেকে কেসাস নেয় তাহলে আমরাদের কি হবে।

এতো স্পষ্ট প্রমান থাকার পরও যদি কিছু মুসলমান নির্বোধের মতো আচরণ করে এবং সাদপন্থি সন্ত্রাসীদের নির্দোষ মনে করে তাহলে তাদের অন্ধত্ব আল্লাহর নিকট সুপুর্দ করলাম।

আল্লাহ তায়ালা এই সন্ত্রাসী সাদপন্থিদের বিচারের ফয়সালা করুন এবং মুসলমানদেরকে এদের হিংস্রতা থেকে হেফাজত করুন... আমীন

প্রশাসনের নিকট অনুরোধ দয়া করে হত‍্যাকারি ও উস্কানিদাতাদের উপযুক্ত বিচারের ব‍্যবস্থা করুন।

বিঃদ্রঃ - ভিডিওটি কালের কন্ঠ প্রকাশ করেছিল, কপিরাইট যেন না হয় তাই ভিডিও টার সাউন্ড ও কালার ইডিট করা হয়েছে কেউ ভিডিওর অরজিনালটা দেখতে চাইলে ইনশাআল্লাহ দেওয়া যাবে।

15/10/2025

বাংলাদেশের সাদপন্থি সাদিয়ানী ফেরকার লোকেরা বলে, সাদ সাহেবের ব‍্যাপারে শুধু বাংলাদেশের উলামায়ে কেরামেরই যতো মাথা ব‍‍্যথ‍্যা,

অথচ সাদ সাহেবের গোমরাহী ও দ্বীন বিকৃতির মতো জঘন্যতম অপরাধের বিরুদ্ধে প্রথম লিখিত সর্ব সম্মত অবস্থান সামনে এসেছে ভারত থেকেই, সেটাও আবার শীর্ষ উপমহাদেশের শীর্ষ দ্বীনি প্রতিষ্টান উম্মুল মাদারিস দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে।

এবং দেওবন্দের সেই সর্ব সম্মত অবস্থানের পরিপূর্ণ সমর্থন ভারতের সমস্থ হক্কপন্থি দ্বীনি মাদারিস করেছে, দু এক জন বিচ্ছিন্ন।

হযরত মাওলানা তাহমিদুল মাওলা সাহেব (দাঃবাঃ) ভারতের একজন শীর্ষ আলেমে দ্বীনের লেখনি দ্বারা প্রমাণ করেছেন যে সাদ সাহেবের গোমরাহী ভূলদৃষ্টি ভঙ্গির উপর শুধুই বাংলাদেশের উলামায়ে কেরাম পেরেশান নহে বরং প্রতিবেশি দেশ ভারতের উলামায়ে কেরাম আরো বেশি পেরেশান ও চিন্তিত।

ভারতের শীর্ষ আলেমে দ্বীন যিনি মাযাহেরুল উলুম সাহারানপুর মাদ্রারও আকাবির এবং দারুল উলুম নদওয়াতুল ওলামা মাদ্রাসারও আকাবির এবং সিনিয়র ও প্রবীণ উস্তাদুল হাদিস ও ফিকহ, হযরত মুফতী যায়েদ মাযাহেরী নদভী সাহেব (দাঃবাঃ), তাহার লেখা "জাওয়াবাত কি হাকীকাত" কিতাবে স্পষ্ট সব মওজুদ আছে।

বিঃদ্রঃ - কেউ চাইলে ইনশাআল্লাহ মুফতী যায়েদ মাযাহেরী নদভী (দাঃবাঃ) এর সেই কিতাবের মূল কপিরপিডিএফ দেওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ, এবং হযরত মাওলানা তাহমিদুল মাওলা সাহেব হুযুরের উক্ত বক্তব্যেরও পরিপূর্ণ বয়ান দেওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।

সাদপন্থি সাদিয়ানী ফেরকার লোকেরা চরম মিথ‍্যা, ধোকা, প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে, আল্লাহ উম্মাহকে হেফাজত করুন তাদের ফেতনা থেকে ... আমীন

10/10/2025

১৫ নভেম্বর ২০২৪ জুমআর দিন, সাদপন্থি এতায়াতী সন্ত্রাসীদের টুঙ্গি ময়দানে হামলার ঠিক ১ মাস পূর্বে। কাকরাইলে সাদপন্থিরা যেই জোড় করেছিল সেই জোড়ে জুমআর নামাজের পূর্বে সাদপন্থি সন্ত্রাসী বাহিনীর শীর্ষ নেতা ভাই ওয়াসিফুল ইসলাম একটি বয়ান করেছিলেন।

সেই বয়ানে জনাব ওয়াসিফ স বের হওআর জন‍্য যেই তাশকিল করেছিলেন তার চেয়ে বেশি জোর দিয়ে আরেক তাশকিল করেছিলেন, গোমরাহ সাদ সাহেবকে বাংলাদেশে আনার জন‍্য এক মার্দে মুজাহিদদের (কট্টর হাতাহতি হিংস্র) জামাতের তাশকিল।

জামাতে বের হওয়ার জন‍্য তাশকিল করার সময় প্রথমে বললেন নাম লিখতে, তারপর সাথে সাথে বললেন আচ্ছা নাম লেখা লাগবে না, আপনারা পুরান সাথি সিড়ির ওইখানে সবাই চলে যাবেন ওখানে তাশকিলেয জামাত আছে।

তারপর শুরু হয় আসল (মারমুখী) জামাতের তাশকীল। তাশকিলের শুরেত বললেন,

আমাদের হযরতজী (গোমরাহ সাদ সাহেব) ছয় বছর যাবত আসেন না, আপনারা এটাতে খুশি নাকি? আপনারা কি চান?

সাথে সাথে মজমা থেকে কয়েকজন কট্টর সাদপন্থি এতায়াতী জোর গলায় হিংস্রতার সাথে উচ্চকণ্ঠে বলে উঠলো, জান লাগলে জান দিবো ইনশাআল্লাহ (নাউযুবিল্লাহ) এটা তবলীগের নামে মজমা হচ্ছে সাদিয়ানী সন্ত্রাসীদের।

তারপর তরগীব দিতে গিয়ে বললেন, আমাদের কিছু ভাই ছয় মাস যাবত সফরেই চলছেন শুধুমাত্র এজন্য যে হযরতজী যতদিন না আসেন ততদিন সফরেই থাকবেন তারা। (নাউযুবিল্লাহ)

অর্থাৎ তাদের সফর আর আল্লাহ তায়ালাকে রাজিখুশি করা, নিজের ইসলাহ সংশোধন, ও দ্বীন এর নিসবতে ও নিয়তে নহে বরং (গোমরাহ) ব‍্যক্তি মোহাম্মদ সাদ সাহেবকে বাংলাদেশে আনার জন‍্য ( নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)

তারপর তাশকিল শুরু করলেন, দেখিত কোন কোন মার্দে মো জা হেদ আছে এখানে উনাদের মতো যতোদিন হসরতজী (গোমরাহ সাদ সাহেব) না আসেন ততোদিন জামাতে চলবো?

তারপর বললেন ঘাবরায়েন না উনি আসতেছেন জানুয়ারিতে।

তারপর খুব মনোযোগ সহকারে খুব মজবুতির সাথে তাশকিল করলেন, সামনের মজমা থেকে, উপরেয মজমা থেকে নাচের মজমা থেকে।

তারপর যারা দাড়িয়েছে এই বিশেষ মার্দে মো জা হিদ জামাতে তাদেরকে খুব সম্মানের সাথে সামনে ডাকাইলেন, সাথিদের বললেন রাস্তা ছেড়ে দাও। আর এই তাশিলের পূর্বের তাশকিলে যেই জামাত চিল্লা তিন চিল্লার সফরে যাবে তাদের নাম পর্যন্ত লিখলেন না বরং বললেন নাম লেখা লাগবে না আপনারা ত পুরান সিড়ির নিচে চলে যাবেন। আর এই বিশেষ মার্দে মো জা হিদ জামাতকে বিশেষভাবে সম্মান দিয়ে কাছে ডাকাইলেন, শুধুই কি এইটুকু? নাহ বরং,

বিশেষ সম্মান দিয়ে সামনে ডাকার পর বিশেষ ট্রেনিং এর জন‍্য সেই মার্দে মো জা হিদ (কট্টরপন্থি) দের জুমআর নামাজের পূর্বে উপরে নিয়ে আসতে বললেন।
বললেেন, এখন তাকাযা হচ্ছে হসরতজীকে (গোমরাহ সাদ সাহেবকে) (যেভাবেই হোক) আনতে হবে।

অর্থাৎ সাদপন্থি সন্ত্রাসী ফেরকার মেহনত আল্লাহকে রাজি করার জন‍্য হয়না, দ্বীন শিখা ও শিখানোর জন‍্য হয়না, নিজের ও উম্মতের সংশোধনের জন হয়না বরং হয় ব‍্যক্তি সাদ সাহেবকে বাংলাদেশ যেকোন মূল্যে আনার এবং অন্ধ হয়ে তার অনুসরণ ও পুজা করা। (নাউযুবিল্লাহ)

তাদের সেই মূল‍্যে হলো মুসলমানদের জীবন ছিনিয়ে নেওয়া। যা ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ সারা বাংলাদেশের মানুষ দেখলো টুঙ্গিতে। সাদপন্থি সন্ত্রাসীদের হাতে মুসলমানদের, তবলীগের সাথিদের হত‍্যা করা।

তারপর বিশেষ তাকাযা ও মেহনতের নকশা বলে দিলেন যে মহল্লায় মহল্লায় কাদের উপর মেহনত করবে, বললেন,

আপনারা এলাকায় গিয়ে যতো অফিসার আছে, যতো রাজনৈতিক লোক আছে সবাইকে গাস্ত করবেন যে আমরা হসরতজীকে (গোমরাহ সাদ সাহেবকে) চাই।

তাদের মেহনতের এই নকশা নিজেদের আগামীর অপরাধকে চাপা দেওয়ার জন‍্য বৈ কিছুই নহে।

সাদপন্থি সন্ত্রাসীদের সেই বিশেষ জামাতের আমল টুঙ্গি ময়দানে হামলার দ্বারা প্রতিয়মান ও সফল হয়। যা তাদের হামলার একটি সূক্ষ পরিকল্পনার প্রমাণ বহন করে।

বিঃদ্রঃ- ভাই ওয়াসিফুল ইসলামের এই বক্তব্য আমাদের নিকট সম্পূর্ণটা আছে আলহামদুলিল্লাহ্, কেউ চাইলে ইনশাআল্লাহ দেওয়া যাবে।

02/10/2025

ভারতের ইউপি মোযাফফার নগর এর একজন বিজ্ঞ আলেমে দ্বীন হযরত মুফতী আরশাদ দেহলি ওয়ালা সাহেব (দাঃবাঃ) এর বক্তব্য মাওলানা সাদ সাহেব ও তাহার গোমরাহ ও বাতিল দৃষ্টিভঙ্গির উপর।

হযরতের পুরা বয়ান আছে, যদি কেউ শুনতে চান তাহরে ইনশাআল্লাহ দেওয়া যাবে।

30/09/2025

জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়া বিননূরী টাউন করাচি এর স্পষ্ট ফতোয়া সাদ সাহেবের গোমরাহীর উপর।

ফতোয়া...

(সাদ সাহেবের মতো) এমন লোকদের বয়ান শুনা থেকে দুরে থাকা এবং এড়িয়া চলা উচিত।

(সাদ সাহেবের মতো) যারা আসলাফ পূর্বশূরিদের পথ বা তরিকা থেকে বিচ‍্যুত, এবং নিজের মনগড়া ও ভুল তাহকীক বা গবেষণা ধারণ করে এমন বয়ান থেকে বেচে থাকা উচিত।

এমন বয়ান যা মুসলমানদের জন‍্য ফায়েদা না হয়, উপকারি না হয়, এবং মুসলমান বোধগম্য না হয়, বুঝেই না আসে এমন বয়ান থেকে বেচে থাকা উচিত।

এ ফতোয়ায় সাদ সাহেবের দুটি আপত্তিকর বিষয়ে জামিয়া বিননূরীয়ার দারুল ইফতায় প্রশ্ন করা হয়েছে। প্রথমটা হলো, গাস্ত ছাড়া ঈমান পরিপূর্ণ হয় না। আর দ্বিতীয় বিষয় হল সাহাবায়ে কেরামের সাথে গায়েবি সাহায্য গুলো তাহাদের ঈমানের কামাল নহে বরং এতায়াতের কামাল ছিল।

উত্তরে জামিয়া বিননূরীয়ার মুফতীয়ানে কেরামগন বলেন,

ঈমানের জন‍্য গাস্ত করাকে জরুরী মনে করা বা বলা গলত ও ভুল। আবার এটাও উত্তরে বলেন যে, এটাও বলা ভুল যে সাহাবায়ে কেরাম এর সহিত গায়েবী সাহায্য এটা ঈমানের কামাল নহে বরং এতায়াতের কামাল ছিল। এমনটাও বলা গলত।

সেই ফতোয়ায় এটা বলা হয়েছে যে, গাস্ত ব‍্যত‍্যিত আরো বহু নেক আমল আছে, শুধুমাত্র গাস্ত করাকে ঈমানের কামালকে নির্ভর সীমাবদ্ধ করা ঠিক নহে।

তারপর বলেন,

এমন বয়ান যা মুসলমানদের জন‍্য ফায়েদা না হয়, উপকারি না হয়, এবং মুসলমান বোধগম্য না হয়, বুঝেই না আসে এমন বয়ান থেকে বেচে থাকা উচিত।

(সাদ সাহেবের মতো) যারা আসলাফ পূর্বশূরিদের পথ বা তরিকা থেকে বিচ‍্যুত, এবং নিজের মনগড়া ও ভুল তাহকীক বা গবেষণা ধারণ করে এমন বয়ান থেকে বেচে থাকা উচিত।

বিঃদ্রঃ- ভিডিওতে মাদ্রাসার নাম লেখা আছে জামিয়া বিননূরীয়া আলামিয়া অথচ সঠিক নাম হবে জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়া বিননূরী টাউন।

উক্ত ফতোয়া দারুল ইফতার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট লিংক ও ফতোয়া নাম্বার কেউ চাইলে ইনশাআল্লাহ দেওয়া যাবে।

এবং সাদ সাহেবের সেই বিভ্রান্তিকর বক্তব্যও দেওয়া যাবে।

নিচে ফতোয়ার উর্দু লেখা দেওয়া হলো।

دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن

سوال: ایک تبلیغی امیر (مولوی سعد صاحب) نے یہ بیان دیا ہے بھرے مجمع میں کہ گشت کے بغیر ایمان مکمل نہیں ہو گا،گشت کے بغیر ایمان مکمل کیسے ہو سکتا ہے؟ جو ضرورت ایمان کی ہے وہی ضرورت گشت کی ہے،اسی امیر صاحب نے اسی بیان میں یوں کہا ہے کہ حضرات صحابہ کرام کے ساتھ جو غیبی مدد آئی تھی وہ ان کے ایمان کا کمال نہیں تھا،بلکہ اطاعت کا کمال تھا اب لوگوں میں طرح طرح کی چے میگوئیاں ہو رہی ہیں،کیا مدارس والے،خانقاہ والے،دین کے دیگر شعبے ہیں وہ گشت نہیں کرتے،تو کیا ان کا ایمان مکمل نہیں؟

جواب

ایمان کے لیے گشت کرنے کو ضروری قرار دینا غلط ہے،نیز واضح رہے کہ کوئی بھی اطاعت ایمان کے بغیر قبول نہیں ہوتی،لہٰذا یہ کہنا بھی غلط ہے کہ" حضرات صحابہ کرام کے ساتھ جو غیبی مدد آئی تھی وہ ان کے ایمان کا کمال نہیں تھا،بلکہ اطاعت کا کمال تھا"اس لیے کہ اطاعت کرنے اور شریعت کےاحکام پر عمل کرنے کا درجہ ایمان کے بعد ہے اور ایمان میں ( کیفیت کے اعتبار سے ) کمال شریعت کے احکام پر عمل کرنے سے ہوتا ہے،گشت بھی ایک نیک عمل ہے،گشت کے علاوہ اور بھی بہت سارے نیک اعمال ہیں،صرف گشت کرنے پر ایمان کے کمال کو منحصر اور محدود کرنا درست نہیں ہے۔
ایسے بیانات جس سے عامۃ المسلمین کو فائدہ نہ ہو،اسی طرح جو سادہ لوح مسلمانوں کو سمجھ میں نہ آئے اور جو اسلاف کے طریقے سے ہٹ کر اپنی ذاتی رائے اور غلط تحقیق پر مشتمل ہو اس طرح کے بیانات سننے سے احتیاط کریں اور تبلیغ والے بڑے حضرات کو چاہیے کہ ایسے لوگوں کو بیان کرنے سے روک دیں۔
فقط واللہ اعلم

فتوی نمبر : 144404100873

29/09/2025

সাদপন্থি সাদিয়ানি ফেরকার আমীর বিল জাবর মাওলানা সাদ সাহেব হাদাহুল্লাহ এর তারাবীহ নামাজে কুরআনে কারীম তেলাওয়াতের হাফজার মজবুতি।

রেকর্ডিং যিনি করেছেন আল্লাহ জানেন তাহার রেকর্ডিং শুরু করার পূর্বে কেমন হাফজার পরিচয় দিয়েছেন। আল্লাহু য়া'লাম।

এখানে সাদ সাহেব সুরা আলে ইমরান এর ১৩০ নং আয়াত থেকে ১৪০ নং আয়াত পর্যন্ত তেলাওয়াত আছে। আপনারা এই আয়াতগুলো সামনে রেখে সাদ সাহেবের তেলাওয়াত শুনেন তাহলে আরো একটু ভালো ভাবে সাদ সাহেবের হাফজার মজবুতি অনুধাবন করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

বিঃদ্রঃ- এখানে আরো একটি বিষয় খেয়াল করার আছে সেটা হলো, মাওলানা সাদ সাহেব মাইকে তারাবীহ নামাজ পড়াচ্ছেন।

যদিও সাদ সাহেবের নিজের বক্তব্য হলো মাইকে নামাজ পড়া ও পড়ানো সুন্নতের খেলাফ। এটার মতো আরো বহু বিষয় আছে যেগুলো সাদ সাহেব শুধু খুব জোর গলায় বয়ান করেন, নিজে আমল করার প্রশ্নই আনেন না। অর্থাৎ আরো বহু বিষয়ে সাদ সাহেবের কওল ও ফেয়ল ভিন্ন।

কেউ চাইলে সেই বয়ানও আমরা আপলোড দিয়েছি, প্রয়োজন পড়লে ইনশাআল্লাহ দেওয়া যাবে।

28/09/2025

মাওলানা সাদ সাহেব তার বয়ানে বলেন, এহসান এর (বা উপকারের) সবচেয়ে 'ঘাটিয়া' ও সবচেয়ে নিম্ন স্তরের এহসান হলো কোন এহসান করনেওয়ালার উপর ওহসান করা। তারপর বলেন, "অবশ্যই কোরআনে হুকুম আছে" তারপর কোরআনে কারীমের সুরা নিসার ৮৬ নং আয়াত তেলাওয়াত করলেন।

তেলাওয়াত করে (তরজুমা করলেন) বললেন, "যদি কেউ তমার উপর এহসান করে, তোমাদেরও উচিত তার উপর এহসান করা, বা তেমনই কিছুই দাও বা তারচেয়ে উত্তম কিছু দাও"।

ঠিক তার পরেই বললেন, "অথচ আমি আপনাদেরকে বলতে চাই এটা এহসান (বা উপকারের) সবচেয়ে 'ঘাটিয়া' স্তর।

আল্লাহ তায়ালা সুরা নিসার ৮৬ নং আয়াতে বলেন,

وَ إِذَا حُيِّيْتُمْ بِتَحِيَّةٍ فَحَيُّوا بِأَحْسَنَ مِنْهَا أَوْ رُدُّوهَا إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ حَسِيبًا

সঠিক তরজুমা- যখন কেউ তোমাদেরকে সালাম করে, তখন তোমরা (তাকে) তদপেক্ষাও উত্তমরূপে সালাম দিয়ো কিংবা (অন্ততপক্ষে) সেই শব্দেই তার জবাব দিয়ো। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছুর হিসাব রাখেন।

(তাফসীরে তাওযীহুল কোরআন)

এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা সালাম ও সুপারিশের বিধান বর্ণনা করেছেন। এবং তাফসীরে উসমানিতে এমনও উল্লেখ আছে যে, যার সুপারিশ করা হয়েছে তাকে সুপারিশকারির সঙ্গে সদ্ব্যবহার ও প্রত‍্যুপকারের আদেষ করা হয়েছে।

অর্থাৎ যে এহসান করেছে বা উপকার করেছে তার প্রতিও সদ্ব্যবহার ও উপকার করার কথা আল্লাহ বলেছে।

যেমন পর্যায় বা স্তরের সে উপকার করেছে তেমন পর্যায় ও স্তরের উপকারও করতে পারে তবে উত্তম হলো তারচেয়ে আরো ভালো বা উচু পর্যায়ের বা উচু স্তরের উপকার করা।

যেমনটা আয়াতেই আল্লাহ তায়ালা সালামের বিধান দ্বারা বুঝালেন। অর্থাৎ কেউ সালামে আসসালামু আলাইকুম বললে, জওয়াবে ওয়ালাইকুমুস সালামও বলা যাবে, তবে উত্তম হলো আরো ভালো রূপে অর্থাৎ ওয়া রহমাতুল্লাহ বাড়িয়ে জওয়াব দেওয়া। আবার কেউ "ওয়া রহমাতুল্লাহ" সহ সালাম দিলে তাকে সেভাবেই জওয়াবও দেওয়া যাবে কোন অসুবিধা কোন সমস্যা নহে তবে আরো উত্তম ভাবে জওয়াব দেওয়া যেমন ওয়া বারকাতুহু বাড়িয়ে বলা আরো উত্তম।

মোটকথা হলো, যে যতটুকু সালাম, সুপারিশ বা এহসান উপকার করেছে ততটুকুই সালাম, সুপারিস, বা এহসান উপকার করা আল্লাহ তায়ালাই কোরআনে হুকুম করেছেন বলা ও করা যাবে।

তারপর আরো উত্তম পন্থা বললেন যে তার সালাম, সুপারিস বা এহসান উপকার আরো বাড়িয়ে বা উত্তম রূপে তাকে ফেরত দেওয়া।

এখন যেহেতু উভয়টার কথা আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং নিজেই হুকুম করেছেন, কোরআনে উভয় কথা বিধান আছে তাহলে প্রথম বিধানের ব‍্যাপারে 'ঘাটিয়া' শব্দ ব‍্যবহার করা সেটাকে হেয় করা আল্লাহ পাকের একটি হুকুম ও কোরআনের বিধানকে হেয় করা নহে কী?

যদি সাদ সাহেব তার দাবীর পক্ষ‍্যে শুধু সর্বনিম্ন শব্দ ব‍্যবহার করতেন তাহলে শুনতে এতোট খারাপ মনে হতো না, কারণ তিনি যেই বিধানকে অর্থাৎ উপকারির বা এহসান করনেওয়ালার উপর উপকার করা বা এহসান করা এই বিধান আল্লাহ তায়ালাই দিয়েছে, এই বিধান কোরআনে কারীমেও আছে তাহলে কোন সাহসে সাদ সাহেব এই বিধানের ব‍্যাপারে 'ঘাটিয়া' শব্দ ব‍্যবহার করলেন!!

সাদ সাহেব এর জবান যে আল্লাহ, রাসুল, নবী, কোরআন সুননাহ, সীরত সাহাবাদের ব‍্যাপারে নিয়ন্ত্রণহীন এটা তারও একটি স্পষ্ট প্রমাণ।

আল্লাহ তায়ালা সাদ সাহেবের সব ধরনের বিচ‍্যুতি ও গোমরাহী থেকে উম্মাহকে হেফাজত করুন... আমীন

25/09/2025

শরিয়তে জানাযায় শরিক হওয়া লোকদেরকে তরগীব দিয়েছে খুব চিন্তা ও ভয়ের সাথে জানাযা শরিক হতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ নিজের মউতের চিন্তা আনবে এবং আখেরাতের স্মরণে থাকবে।

অথচ আমরা খেয়াল করলাম গতকাল বাংলাদেশের সাদপনৌই সাদিয়ানী ফেরকার একজন শীর্ষ মুরব্বীর জানাযায় আরেক শীর্ষ মুরব্বীর ছেলে জানাযায় শরিক হয়েছে এমনকি লাশের (গাড়ির) পাশে দাড়িয়ে কোন বিষয়ে হাসছে, এমনকি তাহার হাসিতে তাহার দাঁত খানা প্রকাশ পাচ্ছে।

অর্থাৎ সাদপন্থি শীর্ষ নেতাদের একজন জনাব ওয়াসিফ সাহেবের ছেলে সাদপন্থি আরেক নেতা জনাব ওসামা ইসলাম জানাযায় লাশের পাসে দাড়িয়ে কোন বিষয়ে এমন হাসি দিচ্ছেন যেন তার সবগুলো দাঁতের সহীত তাহার মনের প্রফুল্লতাও প্রকাশ পাচ্ছে।

কি বিষয়ে ওসামা ইসলাম এত খুশি যে জানাযায় শরিক হয়ে লাশের পাশে দাড়িয়েও ৩৬ টা দাঁত বের করে হাসি খুশি প্রকাশ করছেন।

এটা আবার এই বিষয়ে খুশি নয়তো যে, এখন আর তার বাবা জনাব ওয়াসিফুল ইসলাম সাহেএর বাংলাদেশের সাদপন্থিদের একার নেতৃত্ব নেওয়ার পথ খুলে গেছে!

নাকি এখন তার বাবা জনাব ওয়াসিফ সাহেবের বাংলাদেশের অটো আমীর হওয়ার দাবী সহজ হয়ে যাবে?

এবং কোন ধরনের কামড়া কামড়ি ছাড়া একাই সাদপন্থিদের নেতৃত্ব তাদের বংশে চলে এসেছে।

একটি বিষয় এখানে খেয়াল করার আছে, ঠিক বাংলাদেশের শূরাদের মতো এভাবেই অবশিষ্ট দুই জনের একজন মারা গিয়েছিলেন ভারতের নিজামুদ্দীনের মারকাযের শূরার সদস্য ২০১৪ সালে। অর্থাৎ হযরত মাওলানা যুবাইরুল হাসান রহঃ

সেখানেও কি সাদ সাহেব অবশিষ্ট থেকে যাওয়াই এমনই খুশি হয়েছিলেন যেমন গতকাল রাতে ওসামা ইসলাম ভাই খুশি হয়েছে তার বাবা অবশিষ্ট একজন থাকায়?

আল্লাহই ভালো জানেন। তবে ওসামা ইসলামের জানাযায় লাশের পাশে দাড়িয়ে দাঁত বের করে একটা বড় পাওয়া অনেক চিন্তা ও আশ্চর্যের বিষয়।

কমেন্টে একটি স্ক্রিন শটও আছে

22/09/2025

সাদপন্থি বা সাদিয়ানীরা যেভাবে লোকদেরকে ধোকা দেয় যে, হুযুরদের কোন কাম নাই আমাদের তবলীগের আমাদের ঘরের বিষয় আপনারা ঘরের বাহিরের লোক হয়ে কেন তবলীগ নিয়ে কথা বলেন,

আরে আল্লাহর বান্দা কোরআন সুন্নাহর খেলাফ যদি আমার বাবাও চলে তাহলে দ্বীনের ব‍্যাপারে আমি আমার বাবাকেউ অনুসরণ করবো না। কোন আলেম কোন পীর সে যে কেউই হোক না কেন কোরআন সুন্নাহর বিরুদ্ধে চলবে তাকে কোন মতেই দ্বীনের ভিত্তিতে অনুসরণ করবো না মানবো না।

যেই ব‍্যক্তি নবী আলাইহিমুস সালম দের সমালোচনা করে সে কখনো আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারী হতে পারে না।

সাদ সাহেব প্রথমে উলামায়ে কেরামগনের ভুল ধরছেন, তারপর মুজতাহিদিন দের ভুল ধরেছেন, তারপর সাহাবায়ে কেরাম (রাদিঃ) দের ভুল ধরেছেন, তারপর আরো একটু অগ্রসর হয়ে নবীদেরও ভুল ধরেছেন, এমনকি শেষমেষ প্রিয় নবী হযরত মোহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভুল ধরেছেন।

পুরো আলেম সমাজকে আপনারা (সাদপন্থিরা) প্রতিপক্ষ বানিয়ে নিয়েছে যে পুরা আলেম সমাজ দ্বীন ও দাওয়াত বুঝেনা বুঝেন শুধু আপনারা।

পুরো আলেম সমাজ তবলীগ বুঝেনা বুঝেন শুধু আপনি, পুরা আলেম সমাজ কারো অন্তরে ইসলামের মায়া ও উম্মতের জন‍্য দরদ ফিকির নাই সব মায়া দরদ ফিকির শুধু আছে আপনাদের, আসলে সাদ সাহেব ও সাদপন্থি সাদিয়ানীরা দ্বীন ও দাওয়াত বেশি বুঝেনা বরং কাহিনী অন‍্য কিছু!!!

আসলে তমরা আপদমস্তক শয়তান তাই তমরা আলেম দের মর্যাদা বুঝো না।

সাদপনথি সাদিয়ানীরা আমার সাদ সাহেবের চরম পর্যায়ের এই ভুলগুলোর পক্ষ‍্যে জালিয়াতি ভরা একটি কিতাবও লিখেছে ভুল গুলো কি আসলে ভুল নাম।

যদি আপনারা আপনাদের নেতাঈ আমিরজী সাদ সাহেবের ভুলগুলোকে গোমরাহী গুলোকে নবীর অবমাননাকর বক্তব্যগুলোকে সহীহ মনে করে থাকেন তাহলে আপনারা নিঃসন্দেহে পথভ্রষ্ট, আপনারা আর দেওবন্দিয়াতের পরিচয় বিক্রি করে চলবেন না।

সাদ সাহেব দ্বীন ও দাওয়াত এতো বুঝেন যে বুঝতে বুঝতে উনি নবীদের বুঝেরও উপরে উঠে গেছেন তাই নবীদেরও ভুল ধরনে নাউযুবিল্লাহ।

হযরত মুফতী রেজাউল করিম আবরার সাহেব (দাঃবাঃ) এর কথার সারসংক্ষেপ।

আল্লাহ তায়ালা উম্মতকে সাদ সাহেব ও তাহার অনুসারীদের গোমরাহী ও ফেতনা থেকে হেফাজত করুন... আমীন

মুফতী আজম পাকিস্তান শাইখুল ইসলাম হযরত মুফতী মোহাম্মদ শফী সাহেব (রহঃ) তাহার তাফসীর গ্রন্থ "মারেফুল কুরআন" এ বলেছেন, যে ব‍...
21/09/2025

মুফতী আজম পাকিস্তান শাইখুল ইসলাম হযরত মুফতী মোহাম্মদ শফী সাহেব (রহঃ) তাহার তাফসীর গ্রন্থ "মারেফুল কুরআন" এ বলেছেন, যে ব‍্যক্তি তাফসীর বির রায় করে তাহার (মজমায়) দরস ও তাফসীরে (বয়ানে) যাওয়া জায়েয নহে, এমনকি সওয়াবের পরিবর্তে গোনাহ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

আর দারুল উলুম দেওবন্দ ও উম্মতের আকাবিরীন উলামা ফোকাহা স্পষ্ট বলেছেন, মাওলানা সাদ সাহেবের (চিন্তাধারা, দৃষ্টিভঙ্গি,ও) বয়ানে তাফসীর বির রায় পাওয়া যায়।

মাওলানা সাদ সাহেব কোরআন-সুন্নাহ শরিয়ত ও সীরতে মনগড়া তাফসীর ও ব‍্যাখা করেন।

আল্লাহ তায়ালা উম্মতকে দ্বীনের সঠীক পথের উপর অবিচল রাখুন... আমীন।

20/09/2025

দাওয়াত ও তবলীগের কর্ণধার ও বড় হযরতজী, হযরত মাওলানা ইলিয়াস সাহেব (রহঃ) তবলীগের মেহনত শুরু করা এবং এই মেহনতের পথ চলাটা পুরোপুরি উলামায়ে দেওবন্দের হাতে ধরেই করেছেন।

দেওবন্দের মুকিম হযরত পীর আব্দুল মালেক সিদ্দিকী সাহেব (রহঃ) হযরতজী মাওলানা ইলিয়াস (রহঃ) এর কাধে প্রথম বেডিং উঠিয়ে দেন।

- মাওলানা পীর যুলফিকার আহমেদ নকশবন্দী (দাঃবাঃ) এর জবানে।

তবলীগের একদম সূচনালগ্নে দাওয়াত তবলীগের মেহনত বৃদ্ধি পাচ্ছিল এবং ব‍্যাপক থেকে ব‍্যাপকতর হচ্ছিলো ততই নিজের ব‍্যাপারে এবং কাজের বিষয়ে হযরতজী মাওলানা ইলিয়াস রহ.-এর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি পাচ্ছিল। তিনি বারবার উলামায়ে কেরামের কাছে নিবেদন করতেন, যাতে কাজের ব্যাপারে তাঁকে সুষ্ঠু পরামর্শ দিয়ে উপকৃত করা হয় এবং ভুল-ত্রুটি নজরে এলে সংশোধন করে দেওয়া হয়।

হযরতজী মাওলানা ইলিয়াস রহ. এক পত্রে শাইখুল হাদীস হযরত মাওলানা যাকারিয়া রহ. এব মাযাহেরুল উলুম সাহারানপুরের নাযেম হযরত মাওলানা আব্দুল লতিফ সাহেব (রহঃ) কে সম্বোধন করে লেখেন-

'প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় হযরত শাইখুল হাদীস এবং হযরত মুহতারাম জনাব নাযেম সাহেব (রহঃ) আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি

ওয়াবারাকাতুহু।

আশা করি কুশলেই আছেন। রমযানের আগের সময়গুলোতে অন্তরে একি বিষয়ে খুবই গুরুত্ব অনুভব করছিলাম। কিন্তু নিজের মানবীয় ও ঈমান দুর্বলতার কারণে তা একেবারেই ভুলে গিয়েছিলাম। সেটা এই যে, আল্লাহ অশেষ অনুগ্রহে বর্তমানে কাজের উত্তরোত্তর উন্নতি ও জনপ্রিয়তার এ ব্যাপকতা দেখে নিজের ব্যাপারে আমি খুবই শঙ্কাগ্রস্ত। কে জানে কখন এ দুষ্ট নফস অহংকার ও আত্মতুষ্টির শিকার হয়ে পড়ে।

সুতরাং আমি আপনাদের মতো হক্কানী আলেমের কঠোর শাসন ও নেগরানি ভীষণ মুখাপেক্ষী। আপনারাও আমাকে আপনাদের সার্বক্ষণিক নেগরানি মুহতাজ মনে করবেন। কাজের কল্যাণকর বিষয়ে দৃঢ় থাকার এ অকল্যাণকর বিষয় পরিহার করার জন্য আমাকে কঠোরভাবে তাকিদ করবেন। (২২ রমযান ১৩৬২ হি. মোতাবেক ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৪৩৯ -মাওলানা ইলিয়াস রহ. আওর উনকী দ্বীনী দাওয়াত ২১৭

এখানে লক্ষণীয় বিষয় হল, হযরত শাইখুল হাদীস যাকারিয়া সাহেব (রহঃ) এবং মাওলানা আব্দুল লতিফ সাহেব (রহঃ) সরাসরি আমলীভাবে এই কাজে শরিক ছিলেন না। সত্ত্বেও হযরতজী মাওলানা ইলিয়াস রহ. তাদের কাছে আবেদন করেছেন, যাতে কাজের মধ্যে অকল্যাণকর কোনো কিছু দেখলে সংশোধন করে দেন।

অথচ হযরতজী মাওলানা ইলিয়াস রহ. নিজেও ছিলেন কুরআন সুন্নাহর একজন বিজ্ঞ আলেম।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tablig News24 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Tablig News24:

Share

Tablig News24 - দাওয়াত ও তাবলীগ বিষয়ক সঠিক বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ

Tablig News24 - দাওয়াত ও তাবলীগ বিষয়ক সঠিক বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনা করাই এই গ্রুপের মুখ্য উদ্দেশ্য। দাওয়াত ও তাবলীগ বিষয়ে উম্মাতে মুসলিমার এই ফিৎনার জামানায় সঠিক দ্বীনি রাহবারি প্রাপ্তি আমাদের প্রত্যাশা।