18/10/2025
বাংলাদেশে সাদ সাহেবের সন্ত্রাসী গুন্ডা বাহিনী অর্থাৎ সাদপন্থি সাদিয়ানীরা গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ দিবাগত রাতে টুঙ্গি ময়দানে তবলীগের সাথিদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মুসলমানদের হত্যা ও আহত করার পর পরদিন সকালে তাদের আপোষে চরম ভয় ও উত্তেজনার সহিত নিজেদের অপরাধ হারে হারে স্বীকার করা।
ভিডিওর শুরুই দেখতে পাবেন, সাদপন্থি সন্ত্রাসী কিছু লোকেরা সকালে মাঠ ছেড়ে পালাতে চাচ্ছে কিন্তু অন্য কিছু সাদপন্থি সাথিরা যারা গেটে পাহারায় তারা প্রচন্ড রাগ ও উগ্র ভাষায় তাহাদেরকে মানা করছে না কেউ মাঠ ছাড়তে পারবে না, আমরা দিব না মাঠ ছাড়তে, আভরা গেট খুলবো না বড়দের মাসওয়ারা হয়েযে যাদের মধ্যে সেই উগ্র সাদপন্থি সন্ত্রাসীটা সাদপন্থি নেতা মুয়াজ বিন নূরের নাম নিয়েছে, যে মুফতী মুয়ায সাহৃব সহ সবাই ফয়সালা করছে কেউ মাঠ ছাড়বে না। এতোটাই উগ্রভাবে বাধা দিচ্ছো সেই সন্ত্রাসী সাদপন্থি তার আরেক সন্ত্রাসী সাদপন্থিকে যেন এখনি আক্রমণ করে হলেও বাধা দিব।
এমনকি সেই বাইকে বসা সাদপন্থি বললোও যে, এর মানে আপনি জোর (জবরদস্তি) করবেন আমাদের উপর, সেই সাদপন্থি বললো হে আমরা জোর (জবরদস্তি) করবো।
১ - এই উগ্র সন্ত্রাসী সাদপন্থি গোষ্ঠীর এই আক্রমণাত্মক ভঙ্গির মূল কারণ হচ্ছে গতরাতে (১৭ ডিসে দিবাগত) তারা টুঙ্গি ময়দানে তবলীগের সাথি ও সাধারণ মুসলমানদের হত্যা করেছে যেই উগ্রতা ও হিংস্রতা নিয়ে তার প্রভাব সকালেও তাদের নিজেদের লোকের উপরও প্রকাশ পাচ্ছে।
২- তারা এতোটাই উগ্র ও হিংস্রতায় জড়িয়ে ছিল যে, তারা তাদের বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নেতা ভাই ওয়াসিফুল ইসলামের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে উগ্রতার সাথে বলে, ওয়াসিফ ভাইকে এখানে এসে বলতে বলেন আমরা ওয়াসিফ ভায়ের মোবাইলের ফয়সালা মানি না।
৩- তাদের উগ্র ও হিংস্রতা নিজের সাথির উপরই ফেতনা করার অপবাদ দিতে বাধা করলো।
৪- সেখানে আরেক সাদপন্থি সন্ত্রাসী এসে বলে বসলো, ভাই বড়রা বলেছে সাথিদের নিরাপত্তাহীনতার কারণে যারা যাইতে চায় তারা চলে যেতে পারবে।
আশ্চর্যের বিষয়, অথচ সাদপন্থি সন্ত্রাসী দাবী করেছে তারা খুব আখলাক ও একরামুল মুসলিমীনের সাথে, প্রত্যেক মাকলুকের হক আদায় করে, আমলের সহিত, তাহাজ্জুদ ও যিকির ফিকিরেয সাথে (রাত তিনটায়) টুঙ্গি ময়দানে প্রবেশ করেছে। তাহলে এতো নিরাপত্তাহীনতার ভয় ও আতঙ্ক কেন তাদের মধ্যে? মানুষ তো চুরি করলে, ডাকাতি করলে, হত্যা করলে এমন নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে আতঙ্কিত থাকে, কিন্তু তাদের দাবী তো হলো তারা আথবের সাথে আমলের সাথে ময়দানে প্রবেশ করেছে, এইস আমলের জন্য তো কেউ নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে আতঙ্কিত থাকে না। এর মানে হচ্ছে কাহিনী উল্টোটা।
৫- পরে সাদপন্থি সন্ত্রাসীদের আপোষের সেই উগ্র পরিবেশে পুলিশ এসে তাদের শীর্ষ নেতা ওয়াসিফ ভায়ের ফয়সালা শুনায় মোবাইলেই।
৬- তারপর সেখানে উপস্থিত হোন সাদপন্থি সন্ত্রাসী ফেরকার নেতা মুয়ায বিন নূর, এসে বক্তব্য দিয়ে ফয়সালা শূনান,
৭- সে তার বক্তব্য বলে, (প্রশাসন) আমাদেরকে নিরাপত্তার সাথে নিরাপদে কামাড়পাড়া পর্যন্ত পৌছে দিবে তারপর সেখান থেকে আমাদের নিরাপত্তার জন্য কি করা লাগবে....
আজিব তো নেতা মুয়াজও নিরাপত্তার ব্যাপারে আতঙ্কে আছে, এবং সেই নিরাপত্তাহীনতার কথা বলছে। যেই সাদপন্থি সন্ত্রাসীরা গভীর রাতের অন্ধকারে চোরের মতো সেই দূর দূর থেকে টুঙ্গি ময়দানে এসেছে, সেই সাদপন্থি সন্ত্রাসীদের ঠিক তার পরের দিন সকালে দিনের আলোতে দিন দুপুরে ময়দান দেকে কামাড়পাড়া পর্যন্ত যাইতেই সাদপন্থি সন্ত্রাসীদের প্রশাসনের নিরাপত্তা লাগবে, আজীব রহস্যময় কথা। সেই অর্ধেক রাতেই সাদপন্থি সন্ত্রাসী কতো বড় ও জঘন্যতম অপরাধ করেছে এবার চিন্তা করুন।
৮ - তারপর সাদপন্থি সন্ত্রাসী নেতা মুয়ায বিন নূর নিজেই পরোক্ষভাবে স্বীকার করলো যে, "রাতে আসার সময় আমাদের কোন দোষ ছিলনা", (অর্থাৎ রাতে আসার সময় তারা কোন হত্যা ও আক্রমণ করেনি তাই তাদের কোন দোষ ছিলনা এজন্যই তারা গভীর রাতের অন্ধকারেও সেই দূরদূরান্ত থেকে চোরের মত টুঙ্গি ময়দানে আসতে পেরেছে)
৯ - "তবে আজকে আমাদের গায়ে অনেকগুলো অপবাদের চিহ্ন ও দাগ লেগে গেছে"
অর্থাৎ তারা যে বিগত রাতে মুসলমানদের রক্তে নিজেদের হাত রঞ্জিত করে জঘন্যতম অপরাধ করেছে তার দাগ ও চিহ্ন তাদের উপর স্পষ্ট আছে তা তারা স্বীকার করছে ও খুব ভালো করেই জানে তাই এখন দিনের আলোতে ময়দান থেকে কামাড়পাড়া পর্যন্ত যাইতেও প্রশাসনের নিরাপত্তা লাগছে।
১০ - ঠিক তারপর সে বলে, "এইযে তাজা রক্তের হিংস্রতা নেশা, তারা যদি আপনাদের রাস্তায় রাস্তায় পায় তাহলে নিরাপত্তার সাথে পার করে দিবে নাকি কিভাবে হিংস্র হায়েনার মতো আক্রান্ত করবে",
অর্থাৎ এখানে সে বদলা নেওয়ার কথা বলছে, যেভাবে তারা গতরাতে সাধারণ তবলীগি ও মুসলমান উপর হিংস্র হায়েনার মতো ঝাপিয়ে তাদের তাজা রক্ত ঝরিয়ে হত্যা ও আক্রমণ করেছে ঠিক এভাবেই যদি তবলীগের সাথিরা তাদের সাথে হিংস্রা হায়েনার মতোই আক্রমণ করে যদি তাদের তাজা রক্ত ঝরানোর নেশায় বদলা নেয়, তার জন্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তারা।
১১ - তারপর সে বলে, "এবার যদি আমরা মাঠ ছেড়ে দেই, তাহলে আপনি টুঙ্গি ময়দান, কাকরাইল মসজিদ, ইস্তেমা ও জোড় এই নামগুলো আর কোন দিন নিতে পারবেন কিনা এগুলো একটু চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিবেন"কার্যক্রম
অর্থাৎ সাদপন্থি সন্ত্রাসীরা বুঝতে পেরেছে যে গতরাতে তারা যেই জঘন্যতম অপরাধ ও ঘটনা ঘটিয়েছে তারপর আর তারা তাদের কোন ধরনের কার্যক্রম করতে পারবে কিনা তা চিন্তা করতে বলছে নিজের লোকদের।
তারাও এটা স্পষ্টই বুঝেছে যে, তারা যেই জঘন্য অপরাধ ঘটিয়েছে তার পর তারা তাদের কোন ধরনের করার উপযুক্ত নহে।
১২ - তারপর নেতা মুয়ায তাদের ২০১৮ সালে টুঙ্গি ময়দান হামলা করার একটি পরিণতি প্রকাশ করে বলে, "২০১৮ পর ২- আড়াই বছর আমাদের সাথিরা মসজিদে মেহনত করতে পারেনাই, আড়াই বছর যাবত বাসা থেকে বের হতে পারে নাই"।
অর্থাৎ ২০১৮ পহেলা ডিসেম্বরে টুঙ্গি ময়দানে তবলীগের সাথি ও মাদ্রাসার উলামা তোলাবার উপর সন্ত্রাসী হামলা করে সন্ত্রাসী ও হত্যাকারি অপরাধের কারণে চোরের মতো দূরদূরান্তে ঘরের মধ্যে লুকিয়ে থেকেছে, এলাকার লোক সাদপনথি সন্ত্রাসী সেই নেতা ও চেলাদের খুজেছে তবে পায়নি এবং তাই মসজিদে আমলও করতে পারেনি।
১৩ - তারপর মুয়ায বলে, "আজকের পর থেকে আমাদের কী ফয়সালা হবে, মহল্লায় কিভাবে থাকবো, কি নিরাপত্তার বিধান হবে, এগুলো মাথায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন"
অর্থাৎ ২০১৮ তে তো একটা হত্যা করে ২/২½ বছর সন্ত্রাসী বেষে চোরের মতো পালিয়ে পালিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে থাকা লাগছে, এখন এইবার তো তারা ৩ টা মুসলমান সাধারণ তবলীগের সাথির প্রাণ নিয়েছে হত্যা করেছে এবং হাজারো সাথিকে প্রচণ্ডরকম আঘাত করে আহত করেছে এখন ত আরো বড় অপরাধ করেছে তাই এখন মহল্লায় কেমনে থাকবেন সেই চোরের মতোই গতবারকার ন্যায় লুকিয়ে থাকবেন, নাকি চিল্লার নাম দিয়ে সফরে পারিয়ে থাকেবেন, মসজিদে মসজিদে মুসলমানদের হত্যা করে মসজিদে মুখ দেখাইবেন কেমনে, তারা তো হত্যা ও আহত করে দিছে এখন যাদের লোককে হত্যা ও আহত করেছে তারা যদি বদলায় নেয় তাহলে নিরাপত্তার কি ব্যবস্থা করবেন তা চিন্তা করার জন্য বলছে।
১৪ - তারপর নেতা মুয়াযের সাথে সেই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা বাইকের লোকের পাথে কথা কাটা কাটি হয়,
নেতা মুয়ায বলে, "আমি কি গেট বন্ধ করতে বলছি,
সে বলে- তারা তো আপনার দিকে দেখাচ্ছে,
মুয়ায- আমি কি গেট বন্ধ করতে বলেছি?
সে লোক- তারা ত বলে আপনি বলেছেন,
মুয়ায- যে যাই বলুক আমি গেট বন্ধ করতে বলেছি নাকি,
অর্থাৎ নেতা মুয়ায বুঝে ফেলে গত রাতেয আধারে যেই জঘন্যতম ঘটনা ঘটিয়েছি মুসলমানদের হত্যা করে এখন যদি কোন কিছুর জিম্মাদারিতে নাম আসে ফাইসা যামু, তাই দায়ভার সরিয়ে নিতে চাচ্ছে, যদিও ময়দানে হামলা করার মেন উস্কানিদাতার মধ্যে একটি নাম এই নেতা মুয়ায।
১৫ - তারপর মুয়ায মাঠ ছেড়ে পালাতে চায়, তখন সাথিরা থেকে বলে, "আপনার পা ধরে বলছি, আপনি একটু থাকুন, আপনি আমাদের গার্ডিয়েন বা অভিভাবক, আপনি চলে গেলে সাথিরাও চলে যাভে আপনি থাকলে আমরাও থাকবো"
অর্থাৎ সাদপন্থি সন্ত্রাসী নেতা মুয়ায পালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো ঠিক তখনই সাদপন্থি সাথিরা তাকে অনুরোধ করে যেন তিনি মাঠ ছেড়ে না পালান, কারণ তার উস্কানিতেই তারা ময়দানে মুসলমানদের হত্যা ও আহত করেছে।
এই ভিডিও থেকে একদম স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ রাতে সাদ সাহেবের সন্ত্রাসী গুন্ডা বাহিনী পূর্ব পরিকল্পনা করে টুঙ্গি ময়দানে মুসলমানদের হত্যা ও আহত করেছে এজন্যই তারা প্রচন্ড রকম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে ও ভয়ে আতঙ্কে আছে যে যাদের লোককে হত্যা করেছি তারা যদি আমাদের থেকে কেসাস নেয় তাহলে আমরাদের কি হবে।
এতো স্পষ্ট প্রমান থাকার পরও যদি কিছু মুসলমান নির্বোধের মতো আচরণ করে এবং সাদপন্থি সন্ত্রাসীদের নির্দোষ মনে করে তাহলে তাদের অন্ধত্ব আল্লাহর নিকট সুপুর্দ করলাম।
আল্লাহ তায়ালা এই সন্ত্রাসী সাদপন্থিদের বিচারের ফয়সালা করুন এবং মুসলমানদেরকে এদের হিংস্রতা থেকে হেফাজত করুন... আমীন
প্রশাসনের নিকট অনুরোধ দয়া করে হত্যাকারি ও উস্কানিদাতাদের উপযুক্ত বিচারের ব্যবস্থা করুন।
বিঃদ্রঃ - ভিডিওটি কালের কন্ঠ প্রকাশ করেছিল, কপিরাইট যেন না হয় তাই ভিডিও টার সাউন্ড ও কালার ইডিট করা হয়েছে কেউ ভিডিওর অরজিনালটা দেখতে চাইলে ইনশাআল্লাহ দেওয়া যাবে।