05/11/2025
প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধিতে রাজবাড়ীতে সনাকের গণশুনানী অনুষ্ঠিত --
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম ঃ রাজবাড়ীতে প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) আয়োজিত গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর ২০২৫) সকালে রাজবাড়ী সদর উপজেলার সিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সনাক রাজবাড়ীর সভাপতি প্রফেসর মোঃ নুরুজ্জামান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ তবিবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সনাক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
সনাক সদস্য সৌমিত্র শীল চন্দনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জামাল উদ্দিন খান, জেলা সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি বাচ্চু রহমান, সহকারী অধ্যাপক (অবঃ) শফিউদ্দিন, সনাক সদস্য কমল কান্তি সরকার ও মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
গণশুনানীতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি ও এলাকাবাসী অংশ নেন। উপস্থিত নাগরিকগণ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণ, বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা পরিচ্ছন্ন রাখা, প্রাত্যহিক সমাবেশ পুনরায় চালু, ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থা, স্কুল ড্রেস ও ব্যাগ বিতরণ, কোচিং বন্ধ, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, বিদ্যালয় মাঠে গবাদি পশুর বিচরণ বন্ধ এবং শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধসহ নানা সমস্যা তুলে ধরেন ও সমাধানের দাবি জানান।
প্রধান অতিথি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ তবিবুর রহমান অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্ন ও সমস্যার বিষয়গুলো মনোযোগসহ শুনে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, “স্থানীয় পর্যায়ে যেসব সমস্যা সমাধানের সুযোগ রয়েছে, সেগুলো দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে। আর যেসব সমস্যা কেন্দ্রীয় পর্যায়ের অনুমোদন বা নিয়োগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, সেগুলোর বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার মানোন্নয়নে শুধু সরকারি বরাদ্দ বা অবকাঠামোই যথেষ্ট নয়, বরং স্থানীয় নাগরিকদেরও স্কুল রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিবেশ উন্নয়নে সহযোগিতা করতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গুণগত শিক্ষার পরিবেশ তৈরি সম্ভব।”
অন্যান্য বক্তারা বলেন, সন্তানের শিক্ষার প্রতি অভিভাবকদের বিশেষ করে বাবাদেরও আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। তারা মনে করেন, বাড়িতে পড়াশোনার উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করলে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব।
গণশুনানীতে প্রায় ২৫০ জন অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় নাগরিক অংশগ্রহণ করেন।