22/02/2025
★ মেয়েদের কারও লা'শের স্তন পাইনি, যো'নিপথ ক্ষত-বিক্ষত এবং পিছনের মাংস কা'টা দেখেছি। মেয়েদের লা'শ দেখে মনে হয়েছে - তাদের হ'ত্যা করার পূর্বে স্তন জোরপূর্বক টেনে ছিঁড়ে নেয়া হয়েছে, যো'নিপথে বন্দুকের নল বা লোহার রড ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে"/- ঢাকা পৌরসভার ছন্নুডোম, ২৯ মার্চের অভিজ্ঞতা বর্ননার অংশবিশেষ! /"
★ " আমাদের সংস্থায় আসা ধ'র্ষণের শিকার নারীদের প্রায় সবারই ছিল ক্ষত - বিক্ষত যৌ'নাঙ্গ।
বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ছিরে ফেলা রক্তাক্ত যোনিপথ, দাঁত দিয়ে ছিরে ফেলা স্তন, বেয়োনেট দিয়ে কেটে ফেলা স্তন-উরু এবং পশ্চাৎদেশে ছরির আঘাত নিয়ে নারীরা পুনর্বাসন কেন্দ্রে আসতো।"
- মালেকা খান, যুদ্ধের পর পুনর্বাসন সংস্থায় ধ'র্ষণের শিকার নারীদের নিবন্ধীকরণে যুক্ত সমাজকমী'।
★ "যুদ্ধ শেষে ক্যাম্প থেকে কয়েকটি কাঁচের জার উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে ফরমালিনে সংরক্ষিত ছিল মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন অংশ। অংশগুলো কা'টা হয়েছিলো খুব নিখুঁতভাবে। "
-ডা: বিকাশ চত্রুবতী', খুলনা।
★ "কোনো কোনো মেয়েকে পাকসেনারা এক রাতে ৮০ বারও ধ'র্ষণ করেছে।"
-সুসান ব্রাউনি মিলার (এগেইনেস্ট আওয়ার উইল: ম্যান, উইম্যান এন্ড রেপঃ ৮৩) .
★ "এক একটি গণধ'র্ষণে ৮/১০ থেকে শুরু করে ১০০ জন পাকসেনাও অংশ নিয়েছে।"
-ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির গ্রন্থ “যুদ্ধ ও নারী”★ " মার্চে' মিরপুরের একটি বাড়ী থেকে পরিবারের সবাইকে ধরে আনা হয় এবং কাপড় খুলতে বলা হয়। তারা এতে রাজি না হলে বাবা ও ছেলেকে আদেশ করা হয় যথাক্রমে মেয়ে ও মাকে ধ'র্ষণ করতে। এতেও তারা রাজি না হলে প্রথমে বাবা ও ছেলেকে টুকরো টুকরো করে হ'ত্যা করা হয় এবং মা মেয়ে দুজনকে দুজনের চুলের সাথে বেধেঁ উলঙ্গ অবস্থায় টানতে টানতে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।"
- মো: নরুল ইসলাম, বাটিয়ামারা কুমারখালি।.
★ উলঙ্গ মেয়েদেরকে গরুর মত লাথি মা'রতে মা'রতে, পশুর মত পি'টাতে পি'টাতে উপরে হেডকোয়ার্টারে দোতলা, তেতলা ও চারতলায় উলঙ্গ অবস্থায় দাঁড় করিয়ে রাখা হতো। পাঞ্জাবী সেনারা চলে যাওয়ার সময় লাথি মা'রতে মা'রতে আবারো কামরার ভেতর ঢুকিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখতো। বহু যুবতীকে হেডকোয়ার্টারের ওপরের তলার বারান্দায় মোটা লোহার তারের ওপর চুলবেধেঁ ঝুলিয়ে রাখা হতো। পাঞ্জাবীরা সেখানে নিয়মিত যাতায়াত করতো। এসে ঝুলন্ত উ'লঙ্গ যুবতীদের কোমরের মাংস বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করতো; কেউ তাদের বক্ষের স্তন কে'টে নিয়ে যেত; কেউ হাসতে হাসতে তাদের যো'নিপথে লাঠি ঢুকিয়ে দিয়ে বিকৃত আনন্দ উপভোগ করতো; কেউ ধারালো চাকু দিয়ে কোন যুবতীর পাছার মাংস আস্তে আস্তে কাঁ'টতো; কেউ চেয়ারে দাঁড়িয়ে উন্নত বক্ষ নারীদের স্তনে মুখ লাগিয়ে ধারালো দাঁত দিয়ে স্তনের মাংস কামড়ে তুলে নিয়ে আনন্দে অট্টহাসি করতো !!! কোনো মেয়ে এসব অত্যাচারে চিৎকার করলে তার যোনিপথে লোহার রড ঢুকিয়ে দিয়ে তৎক্ষণাৎ হ'ত্যা করা হতো। প্রতিটি মেয়ের হাত পিছনের দিকে বাধা থাকতো। মাঝে মাঝে পাকিস্তানি সৈন্যরা সেখানে এসে উলঙ্গ ঝুলন্ত মেয়েদেরকে এলোপাতাড়ি বেদম প্রহার করতো। প্রতিদিনের এমন বিরামহীন অত্যাচারে মেয়েদের মাংস ফেটে রক্ত ঝরছিল; কারও মুখেই সামনের দিকে দাঁত ছিল না; ঠোঁটের দুদিকের মাংস কামড়ে এবং টেনে ছিড়ে ফেলা হয়েছিল; লাঠি ও লোহার রডের বেদম পি'টুনিতে মেয়েদের আঙুল, হাতের তালু ভেঙে থেঁতলে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল ! এসব অত্যাচারিত ও লাঞ্ছিত মেয়েদেরকে প্রস্রাব পায়খানা করার জন্যেও হাত ও চুলের বাঁধন খুলে দেয়া হতো না। এমন ঝুলন্ত আর উলঙ্গ অবস্থাতেই তাদের প্রস্রাব পায়খানা করতো হতো। আমি প্রতিদিন সেখানে গিয়ে এসব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতাম "/ - সুইপার রাবেয়া, ৭১ এর অভিজ্ঞতা বর্ননায় ! /"
★ একদিন রাজাকারদের হাতে ধরা পড়ল এক বিধবা পল্লীবালা ভাগীরথী। তাকে নিয়ে এল পিরোজপুর সামরিক ক্যাম্পে। খান সেনারা এবার ভাগীরথীর উপর তাদের হিংস্রতার আয়োজন করল।
এক হাট বারে তাকে শহরের রাস্তায় এনে দাড় করানো হল জনবহুল চৌমাথায়। সেখানে প্রকাশ্যেতার অংগাবরন খুলে ফেলল কয়েকজন খান সেনা। তারপরদু'গাছি দড়ি ওর দু'পায়ে বেধে একটি জীপে বেধে জ্যান্ত শহরের রাস্তায় টেনে বেড়াল ওরা মহাউৎসবে। ঘন্টাখানেক রাজপথ পরিক্রমার পর আবার যখন ফিরে এল সেই চৌমাথায় তখনও তার দেহে প্রাণের স্পন্দন রয়েছে। এবার তারা দুটি পা দু'টি জীপের সাথে বেধে নিল এবং জীপ দুটিকে চালিয়ে দিল বিপরীত দিকে। ভাগীরথী দু'ভাগ হয়ে গেল। সেই দু'ভাগ দু'জীপে আবার শহর পরিক্রমা শেষ করে জল্লাদ খানরা আবার ফিরে এল সেই চৌমাথায় এবং এখানেই ফেলে রেখে গেল সেই বিকৃত মাংসগুলো।
একদিন-দুদিন করে মাংসগুলো ঐ রাস্তার সাথেই একাকার হয়ে গেল একসময়। বাংলা মায়ের ভাগীরথী আবার এমনিভাবে মিশে গেল বাংলার ধুলিকণার সাথে। কেবল ভাগীরথী নয়, আরো দু' জন মুক্তিযোদ্ধাকে ওরা এভাবেই হ'ত্যা করেছে পিরোজপুর শহরে।“
—দৈনিক আজাদ, ৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭২।★ পাঞ্জাবী, বিহারী ও পশ্চিম পাকিস্থানী পুলিশ জিভ চাটতে চাটতে ট্রাকের সামনে এসে মেয়েদের টেঁনে হিঁচড়ে নামিয়ে নিয়ে তৎক্ষণাৎ কাপড় চোপড় খুলে নিয়ে উল'ঙ্গ করে আমাদের চোখের সামনেই মাটিতে ফেলে কুকুরের মত ধ'র্ষণ করতো। সারাদিন নির্বিচারে ধ'র্ষণ করার পর বিকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার বিল্ডিং এর ওপর উ'লঙ্গ করে লম্বা লোহার রডের সাথে চুল বেধে রাখা হতো। রাতে এসব নিরীহ বাঙালী নারীর ওপর অবিরাম ধ'র্ষণ চালানো হতো। গভীর রাতে মেয়েদের ভয়াল চিৎকারে ঘুম ভেঙে যেত। ভয়ংকর, আতঙ্কিত আর্তনাদ ভেসে আসতো- ‘বাঁচাও, আমাদের বাঁচাও, পানি দাও, একফোঁটা পানি দাও, পানি...
পানি....’!!!"/ - রাজারবাগ পুলিশ লাইনের আর্মস্ এসআই, বিআরপি সুবেদার খলিলুর রহমান।★ বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে লাখের বেশি শহীদের রক্তের বিনিময়ে, বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে লাখের বেশি মা বোন বীরাঙ্গনার ইজ্জতের বিনিময়ে। বাংলাদেশের জন্মের সাথেই পাকিস্তান ও পাকিস্তানের দালাল বিহারী, জামায়াত - শিবির - রাজাকারদের প্রতি ঘৃনা ছিলো, আছে এবং থাকবে।
সুতরাং পাকিস্তান ও পাকিস্তানের দালালদের জন্য যার ঘৃণা নেই সে বাংলাদেশী নয় এবং সে বাংলাদেশী হতেও পারবেনা কোনোদিন।
_____________
লিখেছেনঃ
★ সাইন্সার এক্সক্লুভাস রুমেল,
( গবেষক, উদ্ভাবক ও বিজ্ঞানী। )
______________
তথ্যসূত্রঃ
★ [উৎস: বই::
১) মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র
২) বীরাঙ্গনা ১৯৭১