13/11/2024
"বিদ্রোহী"- কাজী নজ্রুল ইসলাম
বল বীর বল উন্নত মম শির।
শির নেহাড়ি আমারি
নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির।
১৯২২ সালের ৬ই জানুয়ারি 'বিজলী' পত্রিকায় ১ম কবিতাটি প্রকাশ পায়।
এই কবিতাটি ৩ খনকার সময়ের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী প্রতিবাদ।
১৯২০ দশকের প্রথম দিকে শান্তি নিকেতন থেকে প্রত্যাবর্তন এর পর নজল্লুল ৩/৪ সি, অমতলা লেনের বাড়িতে মুজাফফর আহমদ ও তার রাজনৈতিক সহকর্মীরা ভারতের কমিনিস্ট পার্টি গঠন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এতে কাজী নজ্রুল ইসলাম কবিতা লিখতে অনুপ্রাণিত হয়।
নজরুল 'বিদ্রোহী' কবিতা লেখার আগে ২টি কবিতা লিখেন-
১। আনোয়ার
২।কামাল পাশা
যা 'বিদ্রোহী' কবিতার প্রেক্ষাপটে ভূমিকা রেখেছিলেন।
বিদ্রোহী কবিতাটি বিদ্রোহ এবং প্রতিবাদের প্রতীক। কবিতায় শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের মুক্তির আকাঙ্কা প্রতিফলিত হয়েছে।
কাজী নজ্জ্বল ইসলাম নিজে একজন বিপ্লবী কবি ছিলেন। তার ব্যক্তিজীবন ছিল সংগ্রাম, দুঃখ, যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা। তিনি কবিতার পাশাপাশি গান, প্রবন্ধ, গল্প এবং নাটকের 'মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। তার বিদ্রোহী চেতনা, মুক্তির আকাঙ্ক্ষা , কণ্ঠস্বর আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে। প্রতিটি মানুষের মধ্যে বিদ্রোহের এক সত্তা রয়েছে, যা শৃঙ্খল ভেঙ্গে মুক্তির পথ খুঁজে পায়।
বিদ্রোহী কবিতার প্রধান বিষয় হলো বিদ্রোহ, সাধিনতা, মুক্তি এবং মানবতার চিরন্তন সংগ্রাম।
কবিতাটি আমাদেরকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়ানোর প্রেরণা দেয় এবং মানবতার মুক্তির স্বপ্ন দেখায়।
আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজ্রুল ইসলাম বিদ্রোহী চেতনা আজও সমান প্রাসঙ্গিক এবং প্রেরনাদায়ক।
ধন্যবাদ ।
