মুক্ত হাওয়া

মুক্ত হাওয়া Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from মুক্ত হাওয়া, Media/News Company, Dhaka.

ক্লাস ফাইভে পড়েছিলাম সম্ভবত।এখনও কি আছে এই কবিতা?মনে হয় নেই। থাকলে শিক্ষকদের অপমান করার সাহস কেউ পেতো না। বিদ্যমান ব্যর্...
30/08/2024

ক্লাস ফাইভে পড়েছিলাম সম্ভবত।
এখনও কি আছে এই কবিতা?
মনে হয় নেই। থাকলে শিক্ষকদের অপমান করার সাহস কেউ পেতো না। বিদ্যমান ব্যর্থ শিক্ষাব্যবস্থার ফলাফল সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো। শিক্ষক পরিবারের সন্তান হিসেবে আমি ব্যথিত। আরেকবার পড়ে নিতে পারেন। 'জেনারেশন ওয়াই' নিশ্চিতভাবে নস্টালজিয়ায় ভুগবেন।
বাদশাহ আলমগীর-
কুমারে তাঁহার পড়াইত এক মৌলভী দিল্লীর।
একদা প্রভাতে গিয়া
দেখেন বাদশাহ- শাহজাদা এক পাত্র হস্তে নিয়া
ঢালিতেছে বারি গুরুর চরণে
পুলকিত হৃদে আনত-নয়নে,
শিক্ষক শুধু নিজ হাত দিয়া নিজেরি পায়ের ধুলি
ধুয়ে মুছে সব করিছেন সাফ্ সঞ্চারি অঙ্গুলি।
শিক্ষক মৌলভী
ভাবিলেন আজি নিস্তার নাহি, যায় বুঝি তার সবি।
দিল্লীপতির পুত্রের করে
লইয়াছে পানি চরণের পরে,
স্পর্ধার কাজ হেন অপরাধ কে করেছে কোন্ কালে!
ভাবিতে ভাবিতে চিন্তার রেখা দেখা দিল তার ভালে।
হঠাৎ কি ভাবি উঠি
কহিলেন, আমি ভয় করি না’ক, যায় যাবে শির টুটি,
শিক্ষক আমি শ্রেষ্ঠ সবার
দিল্লীর পতি সে তো কোন্ ছার,
ভয় করি না’ক, ধারি না’ক ধার, মনে আছে মোর বল,
বাদশাহ্ শুধালে শাস্ত্রের কথা শুনাব অনর্গল।
যায় যাবে প্রাণ তাহে,
প্রাণের চেয়েও মান বড়, আমি বোঝাব শাহানশাহে।
তার পরদিন প্রাতে
বাদশাহর দূত শিক্ষকে ডেকে নিয়ে গেল কেল্লাতে।
খাস কামরাতে যবে
শিক্ষকে ডাকি বাদশা কহেন, ”শুনুন জনাব তবে,
পুত্র আমার আপনার কাছে সৌজন্য কি কিছু শিখিয়াছে?
বরং শিখেছে বেয়াদবি আর গুরুজনে অবহেলা,
নহিলে সেদিন দেখিলাম যাহা স্বয়ং সকাল বেলা”
শিক্ষক কন-”জাহপানা, আমি বুঝিতে পারিনি হায়,
কি কথা বলিতে আজিকে আমায় ডেকেছেন নিরালায়?”
বাদশাহ্ কহেন, ”সেদিন প্রভাতে দেখিলাম আমি দাঁড়ায়ে তফাতে
নিজ হাতে যবে চরণ আপনি করেন প্রক্ষালন,
পুত্র আমার জল ঢালি শুধু ভিজাইছে ও চরণ।
নিজ হাতখানি আপনার পায়ে বুলাইয়া সযতনে
ধুয়ে দিল না’ক কেন সে চরণ, স্মরি ব্যথা পাই মনে।”
উচ্ছ্বাস ভরে শিক্ষকে আজি দাঁড়ায়ে সগৌরবে
কুর্ণিশ করি বাদশাহে তবে কহেন উচ্চরবে-
”আজ হতে চির-উন্নত হল শিক্ষাগুরুর শির,
সত্যই তুমি মহান উদার বাদশাহ্ আলমগীর।”

অভিজ্ঞতা আর মাইনকার চিপা। ১. ওয়ান ইলেভেনের সময় একজন উর্ধতন কর্মকর্তা গ্রেফতার হলেন। সাথে তাঁর স্ত্রী। এসময় তাঁদের সম্পদে...
29/06/2024

অভিজ্ঞতা আর মাইনকার চিপা।
১. ওয়ান ইলেভেনের সময় একজন উর্ধতন কর্মকর্তা গ্রেফতার হলেন। সাথে তাঁর স্ত্রী। এসময় তাঁদের সম্পদের তদন্ত করা হচ্ছিলো। দায়িত্ব প্রাপ্ত টাস্ক ফোর্সের সদস্য হিসেবে ভদ্রমহিলাকে আমি জিজ্ঞেস করলাম,এ বিপুল সম্পদ জোগাড়ের উৎস সম্পর্কে আপনার কিছু বলার আছে?
তিনি উত্তর দিলেন, আমার হ্যাজবেন্ডকে জিজ্ঞেস করুন। তাঁকে আপনারা জেলে দিন, ফাঁসি দিন, কিন্তু আমাকে নিয়ে টানাটানি করছেন কেন?
আমি বললাম, কিন্তু আপনি তো তাঁর সম্পদের সুবিধাভোগী ---
কথা শেষ হওয়ার আগেই তিনি বললেন, আমি তাঁকে বলিনি চুরি করে আমাকে সম্পদ বানিয়ে দিতে। সে দিয়েছে,আমি এনজয় করেছি। আমার কী দোষ? তাঁকে শাস্তি দিন, আমাকে নয়। তাঁর পাপের শাস্তি আমাকে কেন দেবেন?
২. আরেকজন।
বাড়ির সংখ্যা কুড়ির ওপর। জিজ্ঞেস করলাম, ভাই, এত বাড়ি কেন করলেন? কার জন্য? কয়টা বাড়ি এক জীবনে লাগে? অন্তত একটি জায়গায় এসে থামতে তো পারতেন!
তিনি উত্তর দিলেন, স্যার, প্রথম বাড়িটি করার পর কেমন নেশার মতো হয়ে গেলো। কেন এত বাড়ি করলাম নিজেও জানি না।
এর কিছুদিন পর জামিনে থাকা অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
কয়েক দিন পর তাঁর আইনজীবী মৃত্যুর খবর দেওয়ার জন্য অফিসে এলেন। তখন শুনলাম ভয়ংকর এক কাহিনী।
ভদ্রলোকের নাকি দুই বিয়ে ছিলো। তাঁর লাশ উঠানে ফেলে দুই পক্ষ তীব্র ঝগড়ায় মাতলো সম্পত্তির বিলি বন্টন নিয়ে। উভয় পক্ষের জিদ তাঁকে দাফন করার আগেই এ বন্টন নিশ্চিত করতে হবে। অনেকে বুঝালেন যা হবে আইন অনুযায়ী হবে। কে শোনে কার কথা। উভয় পক্ষের দাবী তাঁদের প্রাপ্যতা বেশি।
তাঁরা ঝগড়া করছেন আর সম্পদ উপার্জনকারীর লাশ উঠানে পিঁপড়ায় খাচ্ছে!
৩. অন্য আরেকজন। অতি পদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন।
আমার সাথে দেখা এ শতকের প্রথম দিকে। তখন তাঁর বয়স প্রায় পঁচাশি। আমি একবার জিজ্ঞেস করলাম, স্যার, কিছু মনে করবেন না, এ বয়সে আপনার কি এতো ঝামেলা করে অফিসে অফিসে ঘুরার দরকার আছে? বাড়িতে আর কেউ নেই?
তাঁর চেহারা কুঁচকে গেলো, সেখানে কিলবিল করতে লাগলো হতাশা। তিনি বললেন, আপনি আমার পুত্র না, নাতির বয়সী। আপনাকে একটি কথা বলি, চাকুরি জীবনে আমি প্রয়োজনের চাইতে বেশি কামিয়েছিলাম। সেটিই আমার জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি মাত্র ছেলে। পড়াশুনা করেনি। সারাদিন ঘুমায় আর সন্ধ্যা হলে ক্লাবে গিয়ে মদ নিয়ে বসে। মাঝরাতে পাঁড় মাতাল হয়ে বাড়ি ফিরে আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। ভোরের দিকে ঘুমায়। তারপর সারাদিন বিছানায়। বিয়েশাদিও করাতে পারি নাই।
বলতে বলতে তিনি কাছে ঝুঁকে বললেন, ভাই, আমার ছেলে মানুষ হয় নাই কেন জানেন?
আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে আছি।
তিনি বলতে লাগলেন, কারণ সে জানে তাঁর বাবার টাকা এক জন্মে খেয়ে সে শেষ করতে পারবে না। আমি যদি প্রয়োজনের বেশি উপার্জন না করতাম তাহলে এটা হতো না। সন্তান 'অমানুষ' হওয়ার মতো কষ্ট আর কিছুতে নেই ভাই।
৪. এবার একদম নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলি। একবার আমি আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা, আমার উপার্জনে যদি কোনো কালো দাগ থাকে তুমি কি তার দায়ভার নেবে?
আমার স্ত্রী কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললেন, আমি জানি আমার উত্তরে তুমি মন খারাপ করবে, তবু সত্য কথাটা বলি।
তাহলো, পরিবার প্রধান হিসেবে আমাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব তোমার, কিন্তু সে উপার্জনের দায়ভার ইহকালে বা পরকালে আমি বা অন্য কেউ কখনোই নেবে না। অতীতেও কেউ নেয়নি,ভবিষ্যতেও নেবে না। কেউ চাইলেও নিতে পারবে না। একই ভাবে আমি যে রোজগার করি তার দায়িত্ব তুমি নেবে না।ইউ মাস্ট ডাইজেস্ট দিস বিটার ট্রুথ।
একদম বুকে ধাক্কা দেওয়ার মতো সত্য কথা, তাই না?
#বাদল_সৈয়দ_স্যার

লেওরার, রাসেল বাইপারের যেইভাবে প্রচারনা চলতেছে, মনে হয় মাটিতে পা ফেললেই রাসেল ভাইপার কিলবিল কিলবিল করে। এই লেওরার জ্বালা...
23/06/2024

লেওরার, রাসেল বাইপারের যেইভাবে প্রচারনা চলতেছে, মনে হয় মাটিতে পা ফেললেই রাসেল ভাইপার কিলবিল কিলবিল করে। এই লেওরার জ্বালায় ফেইসবুকে ঢুকা যায়না, মনে হয় ফেইসবুকেও এই বুঝি ছোবল মারল। এমন বিষধর সাপ আমাদের দেশে কোন কালে অভাব ছিল নাকি, সেইটাই মাথায় ঢুকে না।
হুজুগে বাঙালি 😡😡😡যা পায় তারে টাঙে তুলে ছাড়ে 😡😡😡

আপনি জানেন কি?ধর্ম হিসেবে ইসলামের উত্থান এবং তার বিস্তার সুনির্দিষ্ট কিছু জনপদের পুরো চিত্রই পাল্টে দিয়েছিল। বিশেষ করে ম...
11/06/2024

আপনি জানেন কি?
ধর্ম হিসেবে ইসলামের উত্থান এবং তার বিস্তার সুনির্দিষ্ট কিছু জনপদের পুরো চিত্রই পাল্টে দিয়েছিল। বিশেষ করে মসজিদ কেন্দ্রিক ওযুখানা প্রতিষ্ঠা, অসহায় মানুষের বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ এমনকি মুসাফিরদের অন্তত ঘুমিয়ে একটা রাত পার করার সুযোগ ইসলাম ধর্মকে বিশেষত্ব দান করেছিল।
বিশ্বের নানা দেশের বিপরীতে বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারের প্রাথমিক যুগের মসজিদগুলো ছিল আরেক ধাপ উপরে। বিশেষ করে সুফি সাধকদের খানকাহ সংলগ্ন মসজিদে একটি লঙ্গরখানা সব সময় থাকতো। সেখানে হিন্দু মুসলিম তথা জাতি-ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রবেশাধিকার এবং খাবার খাওয়ার সুযোগ ছিল।
সময়ের আবর্তে সেই মসজিদের চাকচিক্য বেড়েছে বহুগুণে। তবুও প্রতিদিন চলে নানাভাবে চাঁদা আদায়।
আর এইভাবে একটা পর্যায়ে গণমানুষের সঙ্গে তৈরি হয়ে গেছে মসজিদের দূরত্ব।
ভয়ানক হলেও সত্য যে, মানুষ পেট ফেটে মরে গেলেও প্রস্রাব কিংবা টয়লেট করার কাজে বেশিরভাগ আলিশান মসজিদের ওয়াশরুম আর ব্যবহার করতে পারে না এখন।
কিংবা এই প্রচণ্ড গরমে ঝলসে গেলেও সাধারণ মানুষ মসজিদের এসি তো দূরের কথা ফ্যান ছেড়ে ঠাণ্ডা বাতাসে একটু আরাম করে বসতেও পারে না। সেই সুযোগ নেই। নামাজের সময় ছাড়া বাকি পুরোটা সময় মসজিদগুলো তালা মারা থাকে।
অথচ, আমরা সবাই কমবেশি কিন্তু জানি মসজিদ কমিটির বাপের টাকায় এই মসজিগুলো তৈরি হয় না। এখানে আমার আপনার সবার টাকা থাকে। আমাদের পকেট থেকে প্রতি সপ্তাহে যে টাকা সেখানে গেছে তার থেকেই কেনা হয়েছে টাইলস, লাগানো হয়েছে ফ্যান ও এসি। তারপর অতিরিক্ত একটা তালাও কিনে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে গেইটে।
প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কেন সপ্তাহান্তে মসজিদে টাকা দিচ্ছি !!
এই প্রশ্নের উত্তর কি কেউ দিতে পারবেন?
আমরা দিচ্ছি কমিটির কিছু লোকের বিলাসিতা আর বাহাদুরির জন্য??ওয়াক্ত শেষ হতে না হতেই দেখি বেশিরভাগ মসজিদের গেইটে তালা ঝুলে!!
আমার মনে হয়, বিষয়টি নিয়ে ভাবার এবং বলার সময় এসেছে। নচেৎ মসজিদের এই জনবিচ্ছিন্নতা পরবর্তীকালে মুসলিম উম্মাহর অনেক বড় ক্ষতি করে দিবে।
লেখক : মারজুক

প্রমাণ আপনার চোখের সামনে। গাছের তলায় তাপমাত্রা 36 ডিগ্রি, ফাঁকা জায়গায় 40 ডিগ্রি। আজ মানুষ অনুভব করছে খুব গরম, কিন্তু কত...
20/04/2024

প্রমাণ আপনার চোখের সামনে। গাছের তলায় তাপমাত্রা 36 ডিগ্রি, ফাঁকা জায়গায় 40 ডিগ্রি। আজ মানুষ অনুভব করছে খুব গরম, কিন্তু কতোদিন তারা AC এর সাহায্য নেবে, আজ পুরো বাংলাদেশে 300 কোটি গাছের প্রয়োজন। এটা তো সবে শুরু 45°C থেকে 49°C থেকে 55°C থেকে 60°C হতে বেশি সময় লাগবে না।
56°C হলে মানুষের বাঁচা মুশকিল হবে। আমাদের এখন থেকে চারা গাছ রোপন করতে হবে। কারণ একটি গাছ মোটামুটি বড়ো হতে পাঁচ থেকে সাত বছর সময় লাগে।
আপনার বাসায় ছাদে বাগান করে আপনার বাসাকে এই তাপমাত্রা থেকে রক্ষা করুন এবং সতেজ ও সবুজের মধ্যে থাকুন।
এখন বৃষ্টি আসতে চলেছে, অবশ্যই দুটি গাছ লাগাবেন সরকারের উপর সব ছেড়ে দেবেন না।

গাছই জীবন ❤️

© ভালো কাজের অংশীদার

কি খাবেন, কেন খাবেন-----------------------------------‌মিছা কথা কমু না, রং দিছি ' দূরপাল্লার বাস ছুটছে রাজধানীর সায়দাবাদ...
20/04/2024

কি খাবেন, কেন খাবেন
-----------------------------------
‌মিছা কথা কমু না, রং দিছি '

দূরপাল্লার বাস ছুটছে রাজধানীর সায়দাবাদ থেকে কুমিল্লার দিকে। গত মাসের শেষ দিককার ঘটনা। কাঁচপুর ব্রিজের কাছে ২৫/৩০ প্যাকেট খিরা নিয়ে বাসে উঠলো হকার। তৃৃষ্ণার্ত মুখে আকর্ষণ তৈরির মতো কচি, সবুজ' কয়েক প্যাকেট খিরা হাতে তার। কয়েকজন যাত্রী কয়েক প্যাকেট শসা নিয়ে নিলেন। হকারের কাছ এক প্যাকেট চাইতেই সহযাত্রী উন্নয়নকর্মী সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন পাশের সিট থেকে বলে উঠলেন, আরে এসব খিরা খাইয়েন না, এগুলোতে রং দেওয়া।' শোভনের কথা শেষ হতে না হতেই হকারও কোনো রাখঢাক না করে বলল, জ্বী স্যার রং দিসি, মিছা কথা কমু না।'

হকার রশিদ। দীর্ঘদিন কাঁচপুর এলাকায় মেৌসুমি ফল বিক্রি করেন যানবাহনে। বাসের পেছন অংশ থেকে শসা বিক্রি করে রশিদ যখন সামনের অংশে আবার আসে তখন ছবি তুলতে চাইলেই স্যার এইট্যা কইরেন না, এইটা কইরেন না' বলতে বলতে তাড়াহুড়া করে বাস থেকে ছুটে নেমে চলে গেল।

খাদ্যে নানান রকম ভেজালের কথা এতদিন শোনা গেলেও এভাবে তৃণমূল ব্যবসাতে খিরা-শসা-আমড়ায় রং মেশানোর কারণ অনুসন্ধানে চলে আসে অনেক না জানা কাহিনী। টানা প্রায় ১৫ দিন থেকে থেকে রাজধানীর সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত বাসপথ, ঢাকা থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত বাস পথ, মহাখালী, ফার্মগেইট, মগবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে পুরো নগরী এবং এর আশপাশে বিষাক্ত ডাইংয়ের রং মিশিয়ে মানুষের হাতে শসা, খিরা, আমড়া তুলে দি"েছ হকাররা।

যাত্রাবাড়িতে কথা হয় হকার জামসেদের সাথে। জামসেদ অকপটে জানায় শসায় রং মাখানোর আদ্যোপান্ত কাহিনী।

জামসেদ জানায়, রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রং মাখানো খিরা, শসা, আমড়া বিক্রির বেশ কয়েকটি আড়ত গড়ে উঠেছে। সেসব আড়তে সারা দিনে কয়েক মন শসা, খিরা, আমড়া দিনে কাটা হয়। এরপর বড় কোনো পাত্রে তাদের ভাষায় Èমিষ্টি রং' মিশিয়ে রাখা হয়। হকাররা সেসব আড়ত থেকে প্রতি প্যাকেট ৫ টাকা দরে এসব শসা-খিরা-আমড়া কেনেন। তারপর যাত্রীদের কাছ থেকে বিক্রি করেন ৮ থেকে ১০ টাকা দরে প্রতিটি প্যাকেট।

জামসেদ কাছাকাছি একটি আড়তের দিকে নিয়ে গেল। বেশ অনেকটা দূরে দাঁড়িয়ে বলেন, Èভেতরে যাবেন না, ছবি তুলবেন না। এইখানে কারও মাস্তানি খাটে না। জানে মাইরা ফেলবো টের পাইলে।'

অনুসন্ধানের পথ ধরে পরিবর্তন অনুসন্ধানী দল পিছু নেয় হকার এরশাদের। টানা দুই দিন নানাভাবে কথা বলার পর রাজি হয় শসা-খিরা-আমড়াতে রং মিশিয়ে তাজা রাখার প্রণালী বিস্তারিত হাতেনাতে দেখাতে।

এরশাদের পিছু ধরে কাঁচপুর ব্রিজ থেকে উত্তরের জনবসতিপূর্ণ বাজার মহল্লা পেরিয়ে কিছু দূর গিয়ে এরশাদ একশত টাকা চায়। একটু অপেক্ষা করতে বলে ছুটে গিয়ে খানিক পরই হাতে কাগজে মোড়া ছোট একটি পুটলি নিয়ে আসে। জানায় রং কেনা হয়েছে। এরশাদ জানান, এই এলাকার অনেক দোকানেই এই রং পাওয়া যায়।

এরশাদ নিয়ে যায় তার ছোট মেস বাড়িতে। সেখানে কয়েকটি শসা নিয়ে বসে সে। ছোট এক বালতিতে আধা বালতি পানি নেয়। কাগজের পুটলি থেকে রং বের করে। কমলা রং এর গুঁড়া। এক চিমটি রং নিয়ে বালতির পানিতে ছাড়ার সাথে সাথে পানির রং গাঢ় সবুজ আকার ধারণ করে। তাতে কাটা কয়েকটি শসা দিয়ে আবার সাথে সাথে তুলে নেয়। এরশাদ জানায়, কাজ হয়ে গেছে। এভাবেই কয়েক সেকেন্ড রং পানিতে চুবিয়ে নিলে ৪/৫ ঘণ্টা এই শসা তাজা সতেজ সবুজ থাকবে।

এরশাদের রং মাখানো খিরা আর রং ছাড়া কয়েক টুকরো হাতে নিয়ে বোঝা যায় যে রং মাখানো খিরা তুলনামূলক একটু শক্ত। কিনÈ খুব ভাল করে খেয়াল না করলে বিষয়টি বোঝা যায় না।

এরশাদ কয়েকবার তার এই রং মাখানোর কেৌশল দেখাতে দেথাতে জানান, শুধু কাঁচপুর ব্রিজ এলাকাতেই তারা একশ' হকার আছেন। প্রত্যেকে রং মেশানো ফল সবজি বিক্রি করে। এরশাদ আরও বলেন, প্রত্যেকে দিনে ৮০ থেকে ১২০/৩০ প্যাকেট শসা, খিরা, আমড়া বিক্রি করেন। প্রায় সবাই সব সময় রং মাখায়। এসবে যে রং মাখানো তা ক্রেতারাও অনেকে জানেন, জেনেও খান। কারণ রং না মাখালে কাটা খিরা, শসা, আমড়া কিছুক্ষণ পরই চুপসে ফ্যাকাসে হয়ে যায়। তা ক্রেতারা পছন্দ করে না।

পুলিশ কিছু বলে না?-জানতে চাইলে এরশাদ দম্ভের সাথে বলেন, পুলিশ তাদের ভয় পায়। Èপুলিশ আাটকাইলে মাইরা সব হকার মিইলা ভর্তা বানাইয়া দিবো'- বলেন এরশাদ।

তিনি জানান, এই এলাকায় কেন সব জায়গাতেই হকারদের কেউ কিছু বলেতে পারবে না। কারণ আওয়ামী লীগ বা বিএনপির যে কোনো সমাবেশ শত শত হকার দরকার হয়। তারা সব দলের সমাবেশেই ভাড়ায় খাটেন। সব এলাকায় হকারের একজন সর্দার থাকেন। সর্দারই সব ম্যানেজ করেন। পুলিশ টাকা চাওয়ারও সাহস পায় না।

অবলীলায় এরশাদ স্বীকার করে যান, তিনিও জানেন এই রং মাখানো শসা খেলে বেশি ক্ষতি হয় শিশুদের। এমনকি শিশুদের কিডনিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

মাঠের এই অনুসন্ধান ধরে কথা হয় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন পবা'র সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুস সোবহানের সাথে। এই সংগঠনটি (পবা) দীর্ঘ দিন ধরে মাঠ পর্যায়ে খাদ্যে ভেজাল, ফরমালিন ও রাসয়নিক ব্যাবহার নিয়ে গবেষণা ও চিহ্নিতকরণের কাজ করছে।

আবদুস সোবহান বলেন, তারা খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, শসা খিরা বা আমড়ায় ব্যবহূত রংটি শরীরে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিকারী রাসায়নিক রং। যা ডাইং এবং সুতা কারখানায় কাপড় রং করার কাজে ব্যবহার হয়। এটি খাবারকেও ভিন্ন রং ধারণ করাতে পারে।

আবদুস সোবহান মনে করেন, এ ধরনের রং আমাদানি, বাজারজাতকরণ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের হাতের নাগালে যাওয়া এখনই ঠেকাতে না পারলে সামনে ভয়াবহ বিপর্যয় অপেক্ষা করছে।

পবা সূত্র জানায়, অনেকটা কাপড় সাদাকরণ রাসায়নিক হাইডঙ্রে কাছাকাছি রসায়নিক ফল-সবজিতে ব্যবহার করা হয়।

রাজধানীর নামীদামিসহ অনেক রেস্টুরেন্টেও সালাদ করার জন্য যে শসা- খিরা ব্যবহার করা হয় তাও তাজা, কচি বোঝাতে বিষাক্ত ডায়িং কালার ব্যবহার করার অভিযোগ আছে পবা'র কাছে।

মানুষের শরীরে এইসব রং কি ধরনের ক্ষতি করতে পারে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও খাত্যিমান চিকিতসক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, এ ধরনের রং থেকে লিভারের জটিল রোগ, কিডনির সমস্যাসহ শরীরের নানান রকম মৃত্যুঘাতী রোগ হতে পারে। এই রং শরীরে ঢুকে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগের জন্ম দিতে পারে। তাছাড়া জন্ডিস, টায়ফয়েডের মতো রোগ হওয়া খুবই স্বাভাবিক।

ডা. স্বপ্নীল বলেন, স্বল্প সময়ে এই রংয়ের প্রভাব টের পাওয়া না গেলেও দীর্ঘ মেয়াদে এর বিরূপ প্রভাব পরবেই।

খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ এবং রাসায়নিক বন্ধে মূল দায়িত্ব পালন করার কথা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই)। এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মো. সাইফুল হাসিব কোনো আশার কথা তো শোনাতে পারেননি। (পরিবর্তন ডট কমের সেৌজন্যে)

 #নেশা_এবং_বাস্থবতা🥲🥲🥲ছেলেকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা বাবা নামের মানুষটির আকুতি! েশা_মাদক_কি_বন্ধ_হবে_সোনার_বাংলা_থ...
04/04/2024

#নেশা_এবং_বাস্থবতা🥲🥲🥲
ছেলেকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা বাবা নামের মানুষটির আকুতি!
েশা_মাদক_কি_বন্ধ_হবে_সোনার_বাংলা_থেকে?
২৫ বছর বয়সের বুকের ধন ছেলে কাউসার বাগমারকে মাদকের জন্য অতিষ্ট হয়ে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার পর বাবা নামের ওই মানুষটির কতোই-না আকুতি!
বুধবার (৩ এপ্রিল ২০২৪) ভোরে গাজীপুরের কালীগঞ্জের জামালপুর এলাকায় ছেলে কাউসারের মরণছোবল নেশার আসক্তের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে বাবার পাশের রুমে গভীর ঘুমে থাকা ছেলেকে কুড়াল দিয়ে কোপাতে থাকেন। কুড়ালের আঘাতে ছেলে বলতে থাকে বাবা তুমি আমারে আর মাইরো না, আর কোপ দিওনা, আমি আর নেশার টাকা চাইমু না তোমগোর কাছে!
আর্তনাদের এমন চিৎকারে ছেলের উপর বাবার কুড়াল দিয়ে কোপানী থেমে যায় মুহূর্তেই। রক্তাক্ত ছেলেকে আপন করে কোলে জড়িয়ে ধরে হাউ-মাউ করে কাঁদতে থাকেন বাবা নামের ওই মানুষটি। কাঁদতে থাকেন আর বলতে থাকেন বাবা তুই আমার আদরের ধন, কলিজার টুকরো, মানিক-রতন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ততোক্ষণে ছেলের নিথর দেহটি বাবার কোলে ঘুমিয়ে পড়েছে চিরদিনের জন্য। আশপাশ থেকে ছুটে আসা মানুষজন ছেলে হত্যাকারী বাবাকে বলতে থাকেন, আপনি পালিয়ে যান, পুলিশ আসবে আপনাকে ধরে নিয়ে যাবে। আপনার ফাঁসি হবে, কারোর কথা-ই শুনছেন না বাবা। বাবা বলছেন, আমার বাবাডারে আমি অনেক ভালোবাসি। আমার বাবাডারে ছাইড়া আমি কই যামু, আমার আর বাইচ্চা থাইক্কা লাভ নাই! ছেলের লাশের কাছে বসে বাবার এমন আকুতি আর্তনাথে আশপাশের মানুষজনরা চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি!
ঠিক এমন সময় বেরশিক পুলিশ হাজির। ছেলের মৃত্যু শোকে বাবা হাউ-মাউ করে বলতে লাগলেন আমি আমার পোলারে মাইরা ফালাইছি, নেশার টাকা জোগাড় কইড়া দিতে না পারায়। আমারে জেল দেন, ফাঁসি দেন। আমারে থানায় লইয়া যান!
এ সময় নিজ ইচ্ছায় পুলিশের সাথে রওনা দেওয়ার সময় বাবা ছেলের শরীর জড়িয়ে ধরে আবারও হাউ-মাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকেন- বাবা তোমারে আমি মারতে চাই নাই! তোমারে আমি কথা দিয়া গেলাম, সরকারের আদালতে গিয়া আমি কমু আমার বাবাডার হত্যাকান্ডের বিনিময়ে হলেও যেন দেশে মরননেশা মাদকের রাজ্য বন্ধ করে সরকার!
বাবা আমার খুব কষ্ট লাগতাছে, বাবা আমার বুকটা ছিড়া যাইতাছে তোমার লেইগা। তোমারে কই পামু আমি বাবা। তোমারে ছাড়া আমি জেলের মধ্যে কেমনে থাকমু একলা একলা? পুলিশের গাড়িতে উঠতে উঠতে বাবার এমনসব কথা আর দুইচোখ ভরা কান্নায় কেঁদেছেন উপস্থিত সবাই...
হে মহান রব আপনি আমাদের জাতিকে এই ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করুন (আমিন)

কোনরকম দুষ্টুমি আর করব না মা কভুদোহাই লাগে লক্ষী মেয়ে আয় ফিরে আয় তবু।আজ থেকে তোর সকল কথা শুনব আমি মাসন্ধ্যার আগেই ভাঙ...
17/02/2024

কোনরকম দুষ্টুমি আর করব না মা কভু
দোহাই লাগে লক্ষী মেয়ে আয় ফিরে আয় তবু।

আজ থেকে তোর সকল কথা শুনব আমি মা
সন্ধ্যার আগেই ভাঙব খেলা ডাকতে হবে না।

যেথায় তুমি খেলতে মানা করতে বারংবার
আজ থেকে সেই পুকুর পাড়ে খেলব না মা আর।

যে পাখি তোর চোখের জ্বালা তাও দেব মা ছেড়ে
লক্ষ্মী মা গো আমার কাছে আয়না এবার ফিরে।

তোর লাগি মা অনেক বড় খুশির খবর আছে
ফুল ধরেছে তোর লাগানো ঝিঙ্গে, শসা ,গাছে।

এত সুন্দর হয়েছে মা তোর লাগানো পুঁই
নিজের চোখে দেখলে মা গো উঠবে হেসে তুই।

লাল গাভীটা বাছুর দিছে ছা*গল দিছে ছা
মান অভিমান রেখে ওদের আয়রে দেখে যা।

কালকে আমি রেঁধেছি মা চড়ুইভাতির ভাত
ভাতগুলো মা হয় নি খারাপ পুড়ে ও নি মোর হাত।

এখন আমি রাঁধতে জানি কাটতে জানি শাক
এখন থেকে আমিই তোমার করব সকল পাক ।

সারাটা দিন থাকব আমি তোমার সাথে কাজে
তোমার সাথে মাজব কাপড় মাজব ঘরের মেঝে।

লক্ষীমেয়ে এবার উঠে আয় না তাড়াতাড়ি
তোরে ছাড়া ফিরতে আমি পারব না মা বাড়ি।

তোরে ছাড়া কেমন করে ফিরব রে মা বল
তুই ছাড়া মা কার আঁচলে মুচব চোখের জল।

তোমার মত আদর করে লইবে কে আর কোলে
রাত্রে আমি ঘুমাব মা কার গায়ে পা তুলে।

আদর করে কে শোনাবে ঘুম পাড়ানির গান
কাঁদলে আমি তোমার মত কে ভাঙ্গাবে মান।

এই জগতে যায় না থাকা মাগো তোমায় ছাড়া
আমিও যাব তোর সাথে মা একটুখানি দাঁড়া।

বিষাদ বিয়োগ
ফেরদৌস আহমেদ।

 :চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সিডিএ বায়তুল আমিন জামে মসজিদের দীর্ঘদিনের খতিব এবং ইমামকে ছোট একটা বাচ্চা কুকুর আঁচড় দিয়েছিলো।আঁচ...
11/01/2024

:
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সিডিএ বায়তুল আমিন জামে মসজিদের দীর্ঘদিনের খতিব এবং ইমামকে ছোট একটা বাচ্চা কুকুর আঁচড় দিয়েছিলো।আঁচড় টা নরমাল ছিলো তাই তিনি এতোটা পাত্তা দেয় নাই বিষয় টা। রেবিস হওয়ার পর ডাক্তারা ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছিলো কিন্তু তিনি তার আগেই মারা গেছেন। তার মৃত্যু আমি সরাসরি দেখেছি কি ভয়ানক মৃত্যু। রেবিস রোগী মৃত্যুর আগে পাগলের মত আচরণ করে তখন ডাক্তাররা বুজে যায়। সে দিন এই ইমাম সাহেব যখন শেষ পর্যায়ে তখন দেখলাম নার্সরা রুম থেকে সবাইকে বের করে দিয়েছে,আর রুম কে তালা মেরে দিয়েছে,কারন শেষ মুহূর্তে তারা পাগল হয়ে যায় সামনে যাকে পাবে তাকে কামড় বা আঁচড় দিবে,এই রোগী যাকে কামড় দিবে তারও মৃত্যু ১০০০% নিশ্চিত হয়ে যাবে। দরজা তালা মেরে দেওয়ার পর বাঁচার জন্য কি করলো,কত চাইলো রুম থেকে বের হতে,রুমের ভিতর দৌড়া,দৌড়ি করতে লাগলো আর শুধু ধাক্কা খাচ্ছিলো দেওয়াল আর চৌকির সাথে,এটা দেখে তাদের আত্নীয়রা নার্সদের থেকে অনুমতি চাইলো দরজা খুলে তাকে একটু ধরে রাখবে যাথে ধাক্কা না খাই।কিন্তু নার্সরা অনুমতি দিলো না,তারা বললো তিনি আর ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে মারা যাবে অপেক্ষা করুন,ওনার জন্য তো আমরা আপনাদের মৃত্যুর মুখে ফেলে দিতে পারি না।একটা দেশি মুরগী জবাই দেওয়ার পর মুরগী যেভাবে চটপট চটপট করে মৃত্যু হয় জলাতঙ্ক রোগীর মৃত্যু একদম সেম ভাবে হয়।।।
১৪০০শ বছর আগে আমাদের প্রিয় নবী বলে গিয়েছেন কুকুর নাপাক প্রানী।।১৪০০ বছর পর মেডিকেল সায়েন্স বলছে জলাতঙ্ক ভেকসিন করা নাই ঐ ধরনের কুকুরকে আপনি হাত দিয়ে স্পর্শ করলে আপনারও হয়ে যেথে পারে জলাতঙ্ক,কুকুর স্পর্শ করে আমরা যদি আমাদের শরীর চুলকায় বা আমাকের শরীরের কোন ক্ষত স্থানে সে হাত লেগে যায় তাহলেও রিক্স থাকে জলাতঙ্কের,রেবিস ভাইরাস রক্তের মাধ্যম আমাদের শরীরে প্রবেশ করে না,রেবিস ভাইরাস আমাদের চামড়ার নিচে যে সাদা একটা চর্বির আস্তর থাকে সেই চর্বি থেকে মাথায় চলে যায়,প্রথমে আমাদের ব্রেন আক্রমন করে ব্রেন ইনজুরি করে দেয়,পরে আস্তে আস্তে আমাদের গলাতে নামতে শুরু করে,আমাদের গলার যে নার্ভ থাকে সে নার্ভকে ধ্বংস করে দেয়,গলার নার্ভের মাধ্যমে আমরা পানি খেয়ে থাকি বা অন্যন্য খাবার খেয়ে থাকি।নার্ভ যখন পুরাপুরি বিকল হয়ে যায় তখন এই রোগী গলা দিয়ে কোন পানি বা খাবার খেতে পারবে না,গলাতে কিছু গেলেই তার শ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে কারন যেই নার্ভ খাবার গিলতে সাহায্য করে তা আর কাজ করছে না,তাই সে পানির পিপাসায় একটা সময় মারা যায়। তারা পানি দেখলেই ভয় পাই কারন পানি গলায় গেলে সে আর শ্বাস নিতে পারে না, যদি আপনি জলাতঙ্ক ভেকসিন না নিয়ে থাকেন।আমাদের একটা ভুল ধারনা আছে,আমরা মনে করি কুকুর কামড়ালে বা আছড় দিলে রেবিস ভেকসিন দিতে হয়,মেডিকেল সায়েন্স বলছে,কুকুরের লালা তে সবচেয়ে বেশি জলাতঙ্ক ভাইরাস রেবিস থাকে,কুকুর তার জিহবা দিয়ে তার শরীল চাটে,এই চাটার কারনে কুকুরের পুরা শরীলে রেবিস জীবানু থাকার রিক্স থাকে মনে রাখবেন যদি দেখেন কুকুরের শরীল পানি ধারা ভেজা সে ভেজা কুরুর আপনার হাত স্পর্শ হয় বা পায়ে স্পর্শ হয় তাহলে সাথে সাথে এই স্থান কাপড় কাঁচা সাবান নিয়ে ১৫ মিনিট ওয়াশ করবেন।।তাই সকলে কুকুর থেকে সাবধানে থাকবেন।কুকুর আপনার শরীল স্পর্শ করলে সাথে সাথে ১৫ মিনিট কাপড়কাচার সাবান দিয়ে পরিষ্কার করবেন। তারপর বেরিস ভেকসিন দিয়ে দিবেন,আর রেবিস ভেকসিন কখনো সরকারি মেডিকেল ছাড়া অন্য যায়গায় দিবেন না,যে কোন টিকা সরকারি মেডিকেল ছাড়া অন্য যায়গায় দিবেন না,আমরা অনেকে ফার্মেসিতে ভেকসিন বা টিকা দিয়ে থাকি এটা উচিত না,একজন ফার্মেসির কাজ ঔষধ বিক্রি করা টিকা দেওয়া না,ভেকসিন দেওয়ার নিয়মই তারা জানে না,,রেভিস ভেকসিন নিদিষ্ট তাপমাত্রায় রাখা লাগে না হয় সেই ভেকসিন কাজ করবে না ,।মেডিকেল সায়েন্স বলছে ৯৯ % জলাতঙ্ক রোগ ছড়ায় কুকুর।।বিড়ালেরও জলাতঙ্ক হয় যদি সেই বিড়াল কুকুরের কামড় খায় বা কুকুর যে যায়গায় খাবার খাই একই যায়গায় বিড়াল মুখ দেয় তাহলে সে বিড়ালও জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়।তাই বিড়ালের কামড় বা বিড়ালের আচড় বা বিড়াল আপনার পা চেটে দিয়েছে তাহলেও আপনাকে ভেকসিন দিতে হবে।একবার আপনার শরীলে রেবিস ভাইরাস ঢুকে গেলে নিশ্চিত মৃত্যু, কারন জলাতঙ্ক রোগের কোন চিকিৎসা নাই।আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুক।।। জলাতঙ্ক রোগীর মৃত্যু হয় অনেক কষ্টদায়ক ভাবে।।২/৩ টা জলাতঙ্ক রোগীর মৃত্যু নিজ চোখে দেখার পর আমি শপথ নিয়েছি এই বিষয়ে আমি সবাইকে সতর্ক করবো।।
আমার পোষ্টটা সবাই শেয়ার করবেন যাথে সবাই একটু সতর্ক হয়।রেবিস ভেকসিন সকল টপিক্যাল সরকারি হাসপাতালে সম্পূর্ণ ফ্রিতে দেওয়া হয়।কেউ যদি কখনো কুকুরের আক্রমণে আক্রান্ত হন আমার সাথে যোগাযোগ করবেন,ইনশাআল্লাহ আমি আমৃত্যু সবাইকে সাহায্য করবো,আমি চাইনা এই করুণ মৃত্যু আর কোন ব্যক্তির হোক।।কুকুরের আক্রমণের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভেকসিন দিতেই হবে।আপনারা ইউটিউবে জলাতঙ্ক রোগী দিয়ে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন এই রোগ কতটা ভয়াবহ।
আমরা রাস্তার কুকুরকে পাত্তাই দেইনা, সবাই দয়া করে একটু সচেতন হন।।। মহান আল্লাহ্ সবাইকে হেফাজত করুক....আমীন
#সংগৃহীত

09/01/2024

যেই শিক্ষা মানুষকে মানুষ হিসাবে সম্মান করতে শিখায় না, তাকে কিভাবে শিক্ষা বলি 😭😭😭
শিক্ষা মানে হয়ে গেছে শুধু সার্টিফিকেট, সেখানে মনুষ্যত্বের কোন মূল্য নেই।

14/12/2023

এদেশে বাপে খেদানো, মায়ে তাড়ানো, মাদকাসক্ত, অকর্মণ্য, বেকার ছেলেদের মধ্যে মেয়েরা কী পায় কেউ কি বুঝিয়ে বলবেন?

এসব ছেলের সাথেই অধিকাংশ মেয়ে প্রেম করে। প্রেমের পরিণতিতে বিয়ে করে। ক'মাস পর ঘোর কেটে যায়। এরপর মামলা করতে কোর্টে আসে!

আদালতে আমি তাদের জিজ্ঞেস করি, কী দেখে বিয়ে করলেন?

তারা জবাব দেয়, স্যার ভেবেছিলাম আমি ওকে বদলে দেব!

রাগ করেই বলি, 'আমি বুঝি না ওনাকে বদলানোর দায়িত্ব আপনাকে কে দিলো? আপনি কি রিহ্যাব সেন্টার? যাকে তার মা, বাবা, শিক্ষক, আত্নীয় স্বজন, বন্ধুরা বদলাতে পারেনি তাকে আপনি বদলে ফেলবেন!'

মেয়েরা তখন কিছু বলে না। তাই জানা হয় না। কেউ কি আমাকে একটু বুঝিয়ে বলবেন?

আমি জুবায়ের মাহমুদ তারেক। বর্তমানে পটুয়াখালী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছি।২০১৪ সালে আমি আবিষ্কার করেছিলাম এমন...
14/12/2023

আমি জুবায়ের মাহমুদ তারেক।
বর্তমানে পটুয়াখালী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছি।
২০১৪ সালে আমি আবিষ্কার করেছিলাম এমন একটা যন্ত্র, যেটার সাহায্যে রক্ষা পেতে পারতো অনেক দুর্ঘটনা।
আমার আবিষ্কারটা ছিলো এমন একটা সেন্সর যেটার প্রতি পিছের আওতায় থাকবে ৫ টা স্টেশন। রেললাইন থেকে যখন কোনো রেল বিচ্ছিন্ন করা হবে, সাথে সাথেই আওতায় থাকা ৫ টি স্টেশনে ইমার্জেন্সি সেন্সরটা বেজে উঠবে, আর স্টেশনে থাকা সমস্ত কর্মি সতর্ক হয়ে যাবে, যে তাদের আন্ডারে থাকা কোথাও রেললাইন বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
তৎক্ষণাৎ যে কোনো ট্রেনকে নিউজটা দিয়ে ট্রেনটি কে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব ছিলো।
আমি এই আবিষ্কারের ফলে জেলা ভিত্তিক ২য় তম হই।
ভেবেছিলাম বড়দের নজরে আসবে বিষয়টা, কিন্তু ধুলোর আড়ালে হারিয়ে গেলো আমার সেই আবিষ্কারটা।
সেইদিন মনে ক্ষোভে বলেছিলাম এই দেশে অনেক কিছু আবিষ্কার করার মানুষ আছে কিন্তু কদর করার কেউ নেই,
অথচ আজকে সকালের দুর্ঘটনার কারণটা এটাই,
হয়তো আমার সেই যন্ত্রটার উসিলায় আজকে এই দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতো মোহনগঞ্জ ট্রেনটি।
এছাড়াও আরো অহরহ রেললাইন খুলে ফেলা, ভেঙে ফেলার ফলে দুর্ঘটনা হচ্ছে।
নতুন নতুন ট্রেন চালু করলেই যে রেল যোগাযোগ উন্নত হয় তা কিন্তু না, রেললাইন এবং রেল এ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলেই রেল যোগাযোগ উন্নতি করা সম্ভব।
তাই সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ, নতুন ট্রেন চালু না করে রেললাইন ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রেন ও মানুষের জীবনের ঝুঁকি কমিয়ে দিন।
লেখায়: মধুমতি এক্সপ্রেস পেজ।
আবিষ্কারক: জুবায়ের মাহমুদ তারেক।
পটুয়াখালী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, অনার্স ফাইনাল ইয়ার ।
©️Rail crush

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মুক্ত হাওয়া posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share