30/06/2025
৪৪তম বিসিএস নিয়ে অনিয়মের গুঞ্জন এবং সরকারের বিভিন্ন পক্ষের করণীয়:
গত ২-৩ ধরে বিসিএস-এর রেজাল্ট টেম্পারিং নিয়ে নানা ধরণের গুঞ্জনের কথা শুনছি। কেউ বলছে ৮০ জনের লিস্ট, কেউ বলছে ১০০ জনের লিস্ট, ৩০০ জনের লিস্ট ___ এই রকম নানান লিস্টির কথা হোয়াটস-আপ গ্রুপগুলোতে সয়লাব। ফেসবুকেও আসছে কিছু কিছু।
এইসব লিস্ট পাঠানোর অভিযোগ আসছে: একটি দলের বিরুদ্ধে নয়; বরং অন্তত ৩টি দলের বিরুদ্ধে। লিস্ট তত্ত্ব ছাড়াও ভাইভার সময় অনিয়ম, রেজাল্ট প্রস্তুত হয়ে আছে বলে নানা রকম আপডেট, পদ-বৃদ্ধি নিয়ে নানা-প্রকার গুঞ্জন, হঠাৎ কোটা-প্রয়োগ নিয়ে প্রার্থীদের মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।
যারা লিস্ট তত্ত্ব প্রচার করছেন আর ঘন্টায়-ঘন্টায় মিনিটে মিনিটে নানা-প্রকার আপডেট প্রসব করছেন: তারা রেফারেন্স দিচ্ছেন বিপিএসসির অমুক পরিচালক, অমুক সদস্যের পিএস, অমুক সচিব তমুক আমলা___ এই রকম নানান হাতি-ঘোড়া, রাঘব-বোয়ালের সূত্র থেকে।
এসব আপডেট দাতা, সবজান্তা ত্রাতারা সেই আইয়ামে ফ্যাসিবাদী আমল থেকেই আপডেটকর্মে পারদর্শী। নানা সময়ে তাদের আপডেট মিলেছে বা কাছাকাছি পর্যায়ে গেছে বলে, প্রার্থীদের বড় অংশের চিন্তাকে প্রভাবিত করার দারুণ সক্ষমতা তাদের জন্ম নিয়েছে।
যাহোক, আমরা যারা সাধারণ প্রার্থী, তাদের কাছে তো আর কোনো রাঘব-বোয়ালের যোগাযোগ নাই। তাই, এইসব গুঞ্জনের সত্য-মিথ্যা যাচাই করারও উপায় নাই। এইসব শুনে আমরা বিমর্ষ হয়ে যাই, বিক্ষুব্ধ হয়ে যাই, বিহ্বল হয়ে যাই।
ঘটনা যদি এমনও হতে পারে যে: এক দল আরেকদলের বিরুদ্ধে এইসব গুঞ্জন ছড়াচ্ছে, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য। আবার, এমনও হতে পারে, পলাতক দল ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢালছে__ কোনো ফায়দা লোটার আকাঙ্ক্ষায়।
কিন্তু, ঘটনাটা যেভাবেই হোক, যে প্রকারেই হোক ঘটে যাচ্ছে; এবং এর প্রভাব শুরু হয়ে গেছে আমাদের তরুণ-প্রাণের আবেগ-সমুদ্রের অতল গভীর হতে দীঘল জোয়ারের সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
অনিয়মের অভিযোগের বাস্তবতা যাই হোক না কেন, এটা নিয়ে প্রচারণার প্রভাব কতটুকু এবং অনিয়ম যদি সত্যি প্রমাণিত হয়, তার প্রভাব কী হতে পারে__ সেইটা একটু পর্যালোচনা করে আসি চলুন।
এইসব গুঞ্জনের প্রথম প্রভাব পড়ছে, আমাদের প্রার্থীদের চিন্তায়, মননে-মগজে। বিশেষ করে গত ৩ দিনের গুঞ্জন আমাদের ১১,০০০+ ফলপ্রত্যাশীর সবার মানসিক শান্তি কেড়ে নিয়েছে। পড়াশুনা শিকেয় উঠেছে সবার।
দ্বিতীয়ত, অন্যান্য বিসিএস-এর প্রার্থী, ফল-প্রত্যাশী তরুণদের মনে হতাশা-আতঙ্কের শুকনো কাঠ উষ্ণ হয়ে উঠছে।
এইরকম মনস্তাত্ত্বিক পরিবেশে যদি সত্যি কোনো অঘটনের প্রমাণ বেড়িয়ে যায়, শুকনো কাঠে আগুন লেগে বিরাট স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি করতে সক্ষম।
প্রথমত, অনিয়ম হোক বা না হোক অনিয়মের এই গুঞ্জন মারাত্মকভাবে আমাদের মানসিক শান্তি নষ্ট করছে। পড়াশুনা শিকেয় উঠেছে ১১০০০+ প্রার্থীর সবার।
ক্ষতিগ্রস্ত যে শুধু আমরা প্রার্থীরা হচ্ছি, তা না। এই ধরণের গুঞ্জন রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে আবির্ভূত হতে চলেছে।
বিসিএস-এ নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের গুঞ্জনটা এখন আপাতত প্রার্থীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে। প্রার্থীরাও এই ব্যাপারে সকলে নিসন্দেহ/ নিশ্চিত নয়: আসলে কী ঘটছে।
অনেকে ভাবতে পারেন, আমি কাব্য করে কীসব লিখলাম। ভাষাটা আমার কাব্য হতে পারে; কিন্তু ভেতরের কথাগুলো গবেষণাপত্রের মতো বস্তুনিষ্ঠ সত্য। জুলাই গণঅভ্যুত্থান, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, ৭ কলেজ আন্দোলন প্রভৃতি গণআন্দোলনের একজন সক্রিয় অংশগ্রহণ ও গভীর পর্যক্ষেণ থেকেই আমি এটা অনুভব করতে পারছি।
যাঁরা ভাবছেন, ৪৪তম বিসিএস-এর এই ১১,০০০+ প্রার্থী কী এমন করতে পারে! তাদেরকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান থেকেই উদাহরণটা দিচ্ছি। গত ৫ জুন যখন ৫৬% কোটা পুনর্বহালের আদেশ দেয় আওয়ামী হাইকোর্ট, তখন আমাদের ভাইভা চলছিল। এই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স লাইব্রেরীর সামনে যে ভাইভা প্রস্তুতির আসর পরিণত হয়ে যায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে জনমত গঠনের আসর। এই সময়ও কিন্তু আমাদের সাথে খুব কম লোকই ছিল। সায়েন্স লাইব্রেরী আর সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে জনমত গঠনের জন্য যখন প্রচারণা চালানো হয়, দেখা গেলো যার সাথেই কথা বলি সেই সমর্থন দেয়, তবে সবাই কিন্তু মাঠে আসে নাই। যদি সমর্থন দেয় ১০০ জন, মাঠে আসে ২০ জন, আর সামনে আসে ২ জন। আপনারা শুধু সামনে আসা ২জনকে চেনেন, আর মাঠে আসা ২০জনকে দেখেছেন, কিন্তু মাঠের বাইরে থেকেই মাঠে থাকা যে আরো ৮০ জন ছিল, এদের কাজ সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনুমানও করতে পারেন না।
কদাচিত মাঠে এসেও এই ৮০ জন এমন কিছু কাজ করেছে, যার প্রভাব সম্পর্কে আপনার ওয়াকিবহাল নন। দেশের সমস্ত প্রান্তরে জনতার আবেগকে আলোড়িত করা, বিশ্বের দরবারে ‘বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর’-এর অনন্ত আবেগ মাখা অনাবিল ঝড় পৌঁছে দেওয়ার জন্য লিখে, এঁকে, অনুবাদ করে বিনা-বেতনে অনাদিরাত্রি পরিশ্রম করেছে যেসব অনন্ত আত্মারা তাদের সবার খবর কিন্তু আপনারা রাখেন না।
আপনারা যাঁরা এই ১১,০০০+ প্রার্থীর সংখ্যা-স্বল্পতাকে তাচ্ছিল্য করছেন, তারা জুলাই আন্দোলনে Chaos Theory – Butterfly effect কীভাবে কাজ করেছে, কিংবা Tipping-point theory কীভাবে কাজ করেছে, চ্যাট জিপিটিকে জিগ্যাসা করবেন। Zia Hassan ভাই এই ব্যাপারে একটি পোস্ট লিখেছেন, দুর্দান্ত। উনার আইডি থেকে পোস্টটা দেখে নিতে পারেন। আমি কমেন্টে দিয়ে রাখবো। Poliar Wahid ভাইও এমন একটি লেখা লিখেছেন।
আপনারা যারা ৪৪তম বিসিএস-এর ১১,০০০+ প্রার্থীর সংখ্যাকে উপেক্ষা করতে চাইছেন, তারা আরব বসন্তের কাহিনীটা পড়তে পারেন, কীভাবে এক মুহাম্মাদ বুয়াজিজির জীবন তিউনিস হতে আগুন জেলে কায়রো, আলজিয়ার্স, সানা ও দামাশক পুড়িয়ে দিয়েছিল। কীভাবে রিয়াদ, বাগদাদ, আম্মান, হয়ে সমগ্র আরব জাহান কাঁপিয়ে দিয়েছিল।
প্রিয় বাংলাদেশ-ভাগ্য-বিধাতা,
আমরা বাংলাদেশের অস্তিত্বের স্বার্থেই চাই, বাংলাদেশে এমন আগুন না লাগুক। আমরা আমাদের অস্তিত্বের স্বার্থেই চাই: আমাদের ভাগ্য সমুন্বত হোক। আপনারা যারা শুভশক্তি, আমাদের শুভ-কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে আমরা এই দেশের হাজারো প্রাণ প্রস্তুত। আর যেইসব অপশক্তি স্বীয় হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার প্রয়াসে আমাদের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে কাজ করছে, তাদের প্রতিহত করতে আমরা জেগে আছি লক্ষ প্রাণ।
প্রিয় জাতীয় অভিভাবকবৃন্দ,
আপনাদের দৃষ্টির অগোচরে যদি অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটে, যদি এমন কিছু ঘটে যা শত্রুর ষড়যন্ত্রকে সত্য-প্রমাণিত করে দেয়, যদি নিয়োগে আদতেই কোনো অনিয়মের ঘটনা ঘটে, রেজাল্ট প্রকাশের পর সেটার আলামত স্পষ্ট হয়ে উঠবে। তখন বঞ্চিত প্রার্থীদের বিহ্বলতা বিক্ষুব্ধতায় পরিণত হতে পারে। এই বিক্ষুব্ধতার বায়ুতরঙ্গ তখন প্রবাহিত হবে সমগ্র যুবসমাজে, চাকরির প্রস্তুতিগ্রহণকারী ৩০-৪০ লক্ষ তরুণ-তরুণীর প্রাণে; কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০-২৫ লক্ষ শিক্ষার্থীর অন্তর-প্রান্তরে।
ক্ষোভের কারণ জেনুইন হলে তা মুহূর্তে প্রবাহিত দুর্গন্ধ বায়ুর মতো।
ক্ষোভের কারণ জেনুইন হলে তা মুহূর্তে আলোড়িত করে সমগ্র জনপদ।
চব্বিশে চাকরির দাবিতে প্রাণদানকারী হাজার তরুণের জান-কোরবানের বিহ্বল আকাঙ্ক্ষা এখনো বেঁচে আছে লাখো তরুণের প্রাণে।
সেই চাকরি নিয়ে কোনোরূপ অনিয়মের গন্ধ পেলে প্রাণ-বিসর্জন-পাগল লাখো তরুণের শহিদী আত্মা আবারো জেগে উঠবে প্রাণ দেওয়ার নেশায়।
আর সেইসব শহিদদের রক্তসাগরে ভেসে উঠবে নতুন সূর্য।
কীভাবে এতো কিছু ঘটে যায়, সেসব টের পাবেন ঘটে যাওয়ারও অনেক অনেক পরে। হয়তোবা ঘটে যাওয়ার পরেও আপনারা অনেকে টেরও পাবেন না__ কীভাবে কীসব হয়ে গেলো।
যাহোক, ক্ষোভের কারণ যদি জেনুইন হয় এক মোহাম্মাদ বুয়াজিজি’র (তিউনিশিয়া) আগুন সমগ্র আরব জাহানে দাবানল সৃষ্টি করতে পারে।
ক্ষোভের আগুণ যদি জেনুইন হয়, তবে এক বুয়াজিজির আগুন জাইন-এল-আবেদিন, হোসনি মোবারক, মনসুর হাদি আর বাশার আল আসাদের গদিতে আগুন ধরাতে পারে।
অতএব, জেনুইন আগুনকে ভয় করাটা বিজ্ঞদের কাজ।
গুঞ্জন সত্য হোক, মিথ্যা হোক গুঞ্জনের ফলে আমাদের সাধরণ প্রার্থীদের মনে যে বিরূপ মানসিক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে, তা প্রশমিত করা আপনাদের পবিত্র দায়িত্ব।
অনিয়মের অভিযোগ সত্য হোক বা অসত্য হোক, সমস্ত অনিয়মের সম্ভাব্য সকল জানালা বন্ধ করে সর্বোচ্চ পরিমাণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা আপনাদের পবিত্র দায়িত্ব।
আপনাদের দায়িত্ব-পালন যেন সহজ হয়, এই সঙ্কট নিরসনে আপনারা যেন সফল হন, এই প্রত্যয়ে আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের প্রয়াসে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন ও মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের সদয় বিবেচনার জন্য নিম্নরূপ করণীয় খুঁজে পেলাম।
অনুগ্রহপূর্বক, জাতির বৃহত্তর কল্যাণে নিম্নরূপ করণীয়সমূহ আপনারা ভেবে দেখতে পারেন:
Bangladesh Public Service Commission-এর করণীয়
(১) শত চাপ উপেক্ষা করে স্বচ্ছ ও বিশুদ্ধ ফলাফল । বিশুদ্ধ ফল দিতে না পারলে রেজাল্টই দিয়েন না। প্রয়োজনে পদত্যাগ করে ইতিহাসের নিকট নায়ক হবার সুযোগ গ্রহণ করুন।
(২) আর যদি রেজাল্ট বিশুদ্ধই থাকে, আপনার উপর যেসব চাপের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, যেসব অনিয়মের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, এগুলো যদি মিথ্যে হয়; তবে এই ব্যাপারে একটা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আমাদের অশান্ত অন্তরাত্মাকে আরাম দেবার বন্দোবস্ত করুন।
(৩) চূড়ান্ত ফলাফলের সাথে সকল প্রার্থীর প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভার ফলাফল প্রকাশ করুন। সেটা আজ করা সম্ভব না হলে, আজ চূড়ান্ত ফল দিয়ে ঘোষণা করুন: আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে সকল প্রার্থীর প্রিলিমিনারি-লিখিত ও ভাইভার নম্বর প্রকাশ করা হবে।
(৪) বিপিএসসির সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের বার্ষিক সম্পদের সঠিক হিসাব মন্ত্রণালয়ে আপলোডের ব্যবস্থা করুন। এবং এগুলো নিয়মিত তদারকির অন্তর্ভূক্ত করুন।
(৫) ৪৫তম বিসিএস থেকেই জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন শুরু করুন।
(৬) ভাইভায় কোনপ্রার্থী কোন বোর্ডে পড়বেন, সেই লটারি প্রতিদিন সকাল ৯:৩০টায় প্রার্থীদের উপস্থিতিতে সম্পন্ন করুন।
Chief Adviser GOB Muhammad Yunus + of Public Administration
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের করণীয়:
(১) ৪৪তম বিসিএস-সহ প্রতিটি বিসিএস-এর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পর উক্ত বিসিএস-এর নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয়েছে কি না, তা যাচাইয়ের জন্য দুদক, সিআইডি ও অডিট সংস্থার মাধ্যমে ৩টি পৃথক অডিট সম্পন্ন করার বিধান করুন।
(২) বিগত ১৬ বছরে হাসিনার আমলে যেসব অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রশ্নফাঁস, তদবির ও নিয়োগ-বাণিজ্য সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচারের জন্য একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করুন।
(৩) প্রশ্নফাঁস, তদবির, রেজাল্ট টেম্পারিং ও নিয়োগ-বাণিজ্যের সর্বোচ্চ শাস্তি ‘মৃত্যুদণ্ড’ রেখে অধ্যাদেশ জারি করুন।
(৪) ৪৪তম বিসিএস-এর প্রার্থীগণের নামে অধিযাচনকৃত ৮৭০ পদ ৪৪তম বিসিএস-এর প্রার্থীগণকে দিন। দীর্ঘ ৪ বছরের সংগ্রামের এই সারথিগণকে এই পদগুলো দিলে সেটা দেশের কল্যাণই বয়ে আনবে, অকল্যাণ নয়।
আপনারা অশেষ অভিজ্ঞতায় অভিজ্ঞ। আশা করি, আপনাদের প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা আমার প্রদত্ত সুপারিশের চেয়ে উত্তম প্রক্রিয়ায় কাজ করবে।
তবুও, একজন প্রার্থী হিসেবে এবং বিগত কয়েকটি আন্দোলনের অভিজ্ঞতার আলোকে এই লেখাটি লিখলাম এই কারণে যে; আমার অভিজ্ঞতালদ্ধ কোনো জ্ঞান/ পরামর্শ জাতির বৃহত্তর কল্যাণার্থে কাজে লাগলেও লাগতে পারে। যদি জাতির কোনো কাজে লাগে, তবে কোনোরূপ স্বীকৃতি বা মূল্যায়ন ছাড়াই আমি আরো শ্রম দিতে চাই, এই লেখাটির মতন।