Stay with Noor

Stay with Noor I share personal vlogs and fun reaction videos for joy and good vibes. Feel free to send some blessings my way too! His grand mission?

"In the mystifying circus of creativity, behold the spectacle that is "Stay with Noor," the brainchild of the one and only Hossain Noor, a visionary with a flair for the absurd. Rewind the clock to the uproarious year of 2013, when our eager-beaver Noor was on a quest to win over his 'more than a friend' using a deluge of videos that were as cleverly crafted as they were side-splitting. Little did

he suspect that tucked away in the corners of his soul was a divine Gift of God—the uncanny knack to bewitch and amuse the masses. As the hourglass of hilarity was flipped, Noor's epiphany took center stage, turning his comedic capers into a cosmic comedy. No longer content with just being the local laugh-maker, he felt a higher calling—a call to unleash his unique brand of humor upon the world. And so, the adventure began, with Noor, the maestro of life's theatrical absurdities, stealing the limelight. To guide us through the tangled web of our bizarre emotional escapades, all while wearing a grin wider than a Cheshire cat's and a zest for life that's more infectious than a comedy club flu!"

 #ফটোগ্রাফি—শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে কোনো দৃশ্য, কোনো মুখ, কোনো মুহূর্ত। কিন্তু এই দৃশ্যধারণের প্রযুক্তি ও শিল...
30/10/2025

#ফটোগ্রাফি—শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে কোনো দৃশ্য, কোনো মুখ, কোনো মুহূর্ত। কিন্তু এই দৃশ্যধারণের প্রযুক্তি ও শিল্পের পেছনে রয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দীর অনুসন্ধান, ব্যর্থতা, আবিষ্কার, আর মানুষের এক গভীর আকাঙ্ক্ষা—সময়কে থামিয়ে রাখার, স্মৃতিকে ধরে রাখার।

🕰️ আদি ধারণা: আলো ও ছায়ার খেলা
ফটোগ্রাফির শিকড় খুঁজতে হলে ফিরে যেতে হয় প্রাচীন গ্রিস ও চীনে, যেখানে দার্শনিকরা আলো ও প্রতিফলনের রহস্য নিয়ে চিন্তা করতেন। "ক্যামেরা অবস্কিউরা" নামক একটি যন্ত্র—একটি অন্ধকার বাক্স যার ভেতরে বাইরের দৃশ্য উল্টোভাবে প্রতিফলিত হতো—এই ধারণার প্রথম বাস্তব প্রয়োগ। যদিও তখনও দৃশ্যকে স্থায়ীভাবে ধরে রাখার কোনো উপায় ছিল না, তবুও এটি ছিল ফটোগ্রাফির প্রথম পদক্ষেপ।

🧪 আধুনিক যুগের সূচনা: নিয়েপস ও দাগুয়ের
১৮২৬ সালে ফরাসি উদ্ভাবক জোসেফ নিসেফোর নিয়েপস প্রথম যে স্থায়ী ছবি তুলেছিলেন, তা ছিল একটি ধাতব পাতায় আলোক সংবেদী পদার্থের সাহায্যে তৈরি। এই ছবিটি তৈরি হতে সময় লেগেছিল প্রায় ৮ ঘণ্টা! এরপর ১৮৩৯ সালে লুই দাগুয়ের দাগুয়েরোটাইপ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন, যা ফটোগ্রাফিকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। এই পদ্ধতিতে ছবির সূক্ষ্মতা ছিল চমৎকার, কিন্তু পুনরুৎপাদন সম্ভব ছিল না।

🎞️ ফিল্মের যুগ: স্মৃতির রোল
১৮৮৮ সালে জর্জ ইস্টম্যান "কোডাক" ক্যামেরা বাজারে আনেন, যা ফিল্ম ব্যবহারের মাধ্যমে ছবি তোলাকে সহজ ও গণমুখী করে তোলে। "You press the button, we do the rest"—এই স্লোগান দিয়ে ফটোগ্রাফি ঢুকে পড়ে সাধারণ মানুষের জীবনে। এরপর কালার ফিল্ম, এসএলআর ক্যামেরা, পোলারয়েড—প্রতিটি প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ফটোগ্রাফিকে আরও ব্যক্তিগত, আরও শক্তিশালী করে তোলে।

💻 ডিজিটাল বিপ্লব: পিক্সেলের ভাষা
১৯৯০-এর দশকে ডিজিটাল ক্যামেরার আবির্ভাব ফটোগ্রাফিকে এক নতুন যুগে নিয়ে যায়। ছবি এখন আর কেবল ফিল্মে নয়, মেমোরি কার্ডে, ক্লাউডে, স্মার্টফোনে। ফটোগ্রাফি হয়ে ওঠে তাৎক্ষণিক, বহুমাত্রিক, আর সামাজিক। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, গুগল ফটো—সবই ফটোগ্রাফিকে এক সামাজিক ভাষায় রূপান্তরিত করে।

🧠 এআই ও ভবিষ্যৎ: স্মৃতি নয়, বোধের প্রতিচ্ছবি
আজকের দিনে ফটোগ্রাফি শুধু দৃশ্যধারণ নয়, এটি হয়ে উঠেছে চিন্তার, প্রতিবাদের, শিল্পের, এমনকি সত্যের এক অস্ত্র। এআই প্রযুক্তি এখন ছবি থেকে আবেগ, প্রসঙ্গ, ইতিহাস বিশ্লেষণ করতে পারে। ফটোগ্রাফি এখন আর শুধু চোখের কাজ নয়—এটি হৃদয়ের, বিবেকের, আর সমাজের ভাষা।

️⃣ #আলোকছবির_আত্মজীবনী

️⃣ #দাগুয়েরথেকেডিজিটাল

️⃣ #স্মৃতির_রোল

️⃣ #পিক্সেলের_বিপ্লব

️⃣ #ছবিরমধ্যেসমাজ

গ্রামের শেষ মাথায় একটা ছোট্ট টিনের ঘর। সেখানে থাকতেন রেহানা—একজন শিক্ষিত মা, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স ...
30/10/2025

গ্রামের শেষ মাথায় একটা ছোট্ট টিনের ঘর। সেখানে থাকতেন রেহানা—একজন শিক্ষিত মা, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স করেছিলেন। জীবন তাঁকে শহর থেকে গ্রামে ফিরিয়ে এনেছিল, কিন্তু তাঁর স্বপ্নগুলো কখনো গ্রাম্য হয়নি।

রেহানার স্বামী মারা যান হঠাৎ এক সড়ক দুর্ঘটনায়। তখন তাঁর ছেলে রাফি মাত্র পাঁচ বছরের। চারদিকে অভাব, সমাজের কটাক্ষ, আত্মীয়দের মুখ ফিরিয়ে নেওয়া—সবকিছু সয়ে রেহানা একটা সিদ্ধান্ত নেন: “আমি ছেলেকে মানুষ করব, বইয়ের আলোয়, ভালোবাসার আলোয়।”

তিনি স্কুলে পড়াতেন, সন্ধ্যায় টিউশন করতেন, আর রাতে নিজের ছেলেকে পড়াতেন। রাফি যখন ক্লাস সেভেনে, তখন একদিন বলেছিল, “মা, তুমি তো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছো, এখন কেন এত কষ্ট করো?” রেহানা হেসে বলেছিলেন, “তোমার ভবিষ্যতের জন্য আমি অতীত ভুলে থাকতে পারি।”

রাফি বড় হয়, মেডিকেলে চান্স পায়। ভর্তি হওয়ার দিন রেহানা তাঁর পুরনো শাড়ির ভাঁজে লুকানো টাকা বের করেন—বছরের পর বছর ধরে জমিয়ে রাখা। ছেলের হাতে টাকা দিয়ে বলেন, “এই টাকায় তোমার প্রথম বই কিনো, আর আমার জন্য একটা কলম। আমি আবার লিখতে চাই।”

রাফি ডাক্তার হয়। মা তখনো সেই টিনের ঘরেই থাকেন। একদিন শহরের এক বড় হাসপাতালে রাফি তাঁর মাকে নিয়ে যান। সেদিন রেহানা প্রথমবার নিজের ছেলের নামের নিচে “MBBS” দেখে কাঁদেন। চোখে জল, মুখে হাসি—তিনি বলেন, “আজ আমি আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম, তোমার হৃদয়ে।”

🌾 শেষ কথা

রেহানার গল্প কোনো কল্পনা নয়, এমন হাজারো মা আছেন যাঁরা নিজের স্বপ্নকে সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য উৎসর্গ করেন। তাঁদের শিক্ষিত মন, সাহসী হৃদয়, আর নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আমাদের সমাজের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়।

#মা #ভালোবাসা #গল্প

রাসুল আমার ভালোবাসা❤️🌹😍
29/10/2025

রাসুল আমার ভালোবাসা❤️🌹😍

একটা সময় ছিল, যখন কুমিল্লার মুরাদনগরের ডালপা গ্রামের মাটিতে এক শিশু হাঁটতে শিখছিল। তার নাম ছিল সাইফুর রহমান  #ত্বকী। খুব...
28/10/2025

একটা সময় ছিল, যখন কুমিল্লার মুরাদনগরের ডালপা গ্রামের মাটিতে এক শিশু হাঁটতে শিখছিল। তার নাম ছিল সাইফুর রহমান #ত্বকী। খুব সাধারণ এক পরিবার, বাবা একজন মাদরাসা শিক্ষক, মা গৃহিণী। কিন্তু সেই শিশুর চোখে ছিল এক অদ্ভুত দীপ্তি—যেন কোনো অদৃশ্য আলো তাকে টেনে নিচ্ছে আল্লাহর কালামের দিকে।

ত্বকী যখন মাত্র সাত বছরের, একদিন তার বাবা তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন মসজিদে। #ইমাম সাহেব কোরআনের তিলাওয়াত করছিলেন। হঠাৎ ত্বকী কাঁদতে শুরু করে। সবাই অবাক। বাবা জিজ্ঞেস করলেন, “কেন কাঁদছো?” ত্বকী বলেছিল, “আব্বু, আমি জানি না কেন, কিন্তু এই শব্দগুলো আমার বুকের ভেতর কাঁপন ধরিয়ে দেয়। আমি কোরআনকে ভালোবাসি।”

সেই #ভালোবাসা ছিল নিখাদ, নির্মল, এবং গভীর। এরপর শুরু হয় তার হিফজের যাত্রা। মারকাযুত তাহফিজে ভর্তি হয়, আর কোরআনের আয়াত আয়াত তার হৃদয়ে গেঁথে যেতে থাকে। প্রতিটি আয়াত সে শুধু মুখস্থ করত না, অনুভব করত। তার তিলাওয়াতে ছিল কান্না, ছিল প্রেম, ছিল আল্লাহর প্রতি এক অদ্ভুত নিবেদন।

একবার, বাহরাইনের একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়েছিল ত্বকী। প্রতিযোগিতার দিন সকালে সে ঘুম থেকে উঠে বলেছিল, “আজ আমি কোরআনকে এমনভাবে পড়ব, যেন আকাশও থেমে শুনে।” সত্যিই, তার তিলাওয়াতের সময় পুরো হল নিঃশব্দ হয়ে গিয়েছিল। বিচারকরা চোখ মুছছিলেন। শেষে ঘোষণা আসে—ত্বকী প্রথম হয়েছে। বাংলাদেশের পতাকা তখন ওড়ছিল বাহরাইনের আকাশে, আর ত্বকী সেজদায় পড়ে কাঁদছিল।

এই ছিল ত্বকী। বিনয়ী, শান্ত, অথচ কোরআনের প্রতি তার প্রেম ছিল আগুনের মতো। সে বলত, “আমি চাই, আমার কণ্ঠে কোরআন এমনভাবে বাঁচুক, যেন কেউ শুনে আল্লাহর দিকে ফিরে যায়।”

কিন্তু সেই কণ্ঠ আজ আর নেই।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পর তার শরীর ভেঙে পড়তে থাকে। হাসপাতালে নেওয়া হয়। লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। কিন্তু আল্লাহ যাকে ভালোবাসেন, তাকেই দ্রুত ডেকে নেন। মঙ্গলবার সকালে, মুগদা হাসপাতালে, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে ত্বকী। মাত্র ২৫ বছর বয়সে থেমে গেল এক আলোকিত জীবন।

তার শিক্ষক হাফেজ নেছার আহমদ আন-নাছিরী বললেন, “ত্বকী ছিল কোরআনের এক জীবন্ত আয়াত। সে চলে গেছে, কিন্তু তার তিলাওয়াত এখনো বাতাসে ভেসে বেড়ায়।”

আজ তার পরিবার শোকে ভেঙে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাজারো মানুষ কাঁদছে। কেউ লিখছে, “ত্বকী ভাই, আপনি ছিলেন আমাদের গর্ব।” কেউ বলছে, “আপনার কণ্ঠে কোরআন শুনে আমি নামাজে ফিরে গিয়েছিলাম।”

ত্বকীর মৃত্যু আমাদের মনে করিয়ে দেয়—কোরআনের প্রেমে যারা জীবন বিলিয়ে দেয়, তারা কখনো মরে না। তারা রয়ে যায় মানুষের হৃদয়ে, বাতাসে, কান্নায়, এবং সেজদায়।

#আল্লাহ #হাফেজ ত্বকীকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।
আমরা যেন তার মতো কোরআনকে ভালোবাসতে পারি।
আমিন।

চ্যালেঞ্জ কেউ পারবে না বলতে এর নাম কি👍
28/10/2025

চ্যালেঞ্জ কেউ পারবে না বলতে এর নাম কি👍

অধিকাংশ মানুষ আজ প্রথম দেখলো এটা। নাম বলতে পারা তো পরের কথা😁
27/10/2025

অধিকাংশ মানুষ আজ প্রথম দেখলো এটা। নাম বলতে পারা তো পরের কথা😁

গ্রামের নাম রামনগর। ধূলিধূসরিত পথ, কাঁচা বাড়ি, আর মানুষের মুখে মুখে গল্পের মতো ঘুরে বেড়াতো এক নাম—আবুল কালাম। জন্মের পরই...
27/10/2025

গ্রামের নাম রামনগর। ধূলিধূসরিত পথ, কাঁচা বাড়ি, আর মানুষের মুখে মুখে গল্পের মতো ঘুরে বেড়াতো এক নাম—আবুল কালাম। জন্মের পরই ধরা পড়ে তার ডান পায়ের হাড়ে জটিলতা। চিকিৎসা হয়নি, হয়নি সহানুভূতি। প্রতিবন্ধী শব্দটা তার নামের আগে বসে গেল স্থায়ীভাবে।

শৈশবটা ছিল এক যুদ্ধক্ষেত্র। স্কুলে যেতে হতো বাঁশের তৈরি ক্রাচে ভর দিয়ে। সহপাঠীরা হাসতো, কেউ কেউ বলতো—"এই ছেলে দিয়ে কিছু হবে না।" কিন্তু কালামের চোখে ছিল এক ধরনের নীরব আগুন। সে জানতো, তার জীবনটা অন্যদের মতো নয়, কিন্তু তাতে কি? তার স্বপ্ন তো অন্যদের চেয়ে বড়।

🧵 একটি সেলাই মেশিনের গল্প

মাধ্যমিক পাশ করার পর চাকরির খোঁজে অনেক দরজায় কড়া নাড়েন। কেউ বলেন, "তুমি তো ঠিকমতো হাঁটতেই পারো না!" কেউ বলেন, "আমরা দুঃখিত, আমাদের জায়গা নেই।" একদিন, স্থানীয় এক এনজিওর কর্মী তার গল্প শুনে তাকে একটি পুরনো সেলাই মেশিন দেন। কালাম তখনও জানতেন না, এই যন্ত্রটাই একদিন তার জীবন বদলে দেবে।

প্রথম দিন, তিনি কাপড় কাটতে গিয়ে হাত কেটে ফেলেন। দ্বিতীয় দিন, সেলাইয়ের ফিতাটা ছিঁড়ে যায়। তৃতীয় দিন, তিনি হাল ছাড়েন না। ধীরে ধীরে, তার হাতের কাজ নিখুঁত হতে থাকে। গ্রামের মানুষ বলতে শুরু করে—"কালামের সেলাই ভালো হয়।"

🏠 দোকান, সম্মান, স্বপ্ন

একটি ছোট টিনের ঘরে তিনি খুলে ফেলেন নিজের দোকান—"প্রতিবন্ধী আবুল কালামের দোকান"। নামটা তিনি নিজেই রেখেছেন, যেন সমাজকে চোখে আঙুল দিয়ে বলতে পারেন, "হ্যাঁ, আমি প্রতিবন্ধী। কিন্তু আমি ব্যর্থ নই।"

দোকানে এখন দুইজন তরুণ কাজ করেন, যারা নিজেরাও শারীরিকভাবে সীমাবদ্ধ। কালাম তাদের শেখান, সাহস দেন, বলেন—
“আমরা যদি নিজেদের বিশ্বাস করি, তাহলে সমাজও একদিন আমাদের বিশ্বাস করবে।”

👨‍👧 একজন বাবা, একজন শিক্ষক

তার মেয়েটি এখন স্কুলে পড়ে। কালাম প্রতিদিন তাকে স্কুলে পৌঁছে দেন, তারপর দোকানে বসেন। বিকেলে মেয়ের পড়া নেন। রাতে দোকানের হিসাব করেন। তার জীবন এখন সময়ের মতো সাজানো—কিন্তু প্রতিটি মুহূর্তে থাকে সংগ্রামের ছাপ।

🌟 শেষ দৃশ্য: একদিনের গল্প

একদিন, এক শহুরে সাংবাদিক তার দোকানে আসেন। ছবি তোলেন, গল্প শোনেন। কালাম বলেন—
“আমার জীবনে অনেক কষ্ট ছিল। কিন্তু আমি কষ্টকে সেলাই করে শক্তি বানিয়েছি।”

সাংবাদিকের চোখে জল আসে। তিনি বলেন, “আপনার গল্পটা আমি ছাপবো। মানুষ জানুক, কীভাবে একজন মানুষ শুধু ইচ্ছাশক্তি দিয়ে জীবন বদলে দিতে পারে।”

🎬 শেষ কথা

আবুল কালামের গল্প কোনো সিনেমার চিত্রনাট্য নয়। এটি বাস্তব, রক্ত-মাংসের মানুষের জীবন। তার দোকানের প্রতিটি সেলাই, প্রতিটি কাপড়ের ভাঁজে লুকিয়ে আছে সাহস, সম্মান, আর এক অদম্য আত্মা।

 #জীবন কখনোই একরকম থাকে না। কখনো সে হাসায়, কখনো কাঁদায়। কখনো বুকভরা আনন্দ, কখনো নিঃস্বতা। কিন্তু একটা কথা চিরন্তন সত্য—দ...
26/10/2025

#জীবন কখনোই একরকম থাকে না। কখনো সে হাসায়, কখনো কাঁদায়। কখনো বুকভরা আনন্দ, কখনো নিঃস্বতা। কিন্তু একটা কথা চিরন্তন সত্য—দুঃখের পরেই সুখ আসে। এই কথাটা শুধু মুখের বুলি নয়, এটা সময়ের নিয়ম, প্রকৃতির ছন্দ, জীবনের গভীরতম শিক্ষা। যখন আমরা ভেঙে পড়ি, তখনই আমাদের ভেতরে জন্ম নেয় নতুন শক্তি। যখন সবকিছু হারিয়ে যায়, তখনই শুরু হয় খোঁজ—নিজেকে ফিরে পাওয়ার, নতুন করে গড়ার, আবার দাঁড়ানোর।

দুঃখ আমাদের ছোট করে না, বরং বড় করে তোলে। এটা আমাদের চোখে জল আনে, কিন্তু সেই জলেই একদিন আমরা নিজের মুখ ধুয়ে নতুন আলোয় জ্বলে উঠি। যে মানুষটা আজ কাঁদছে, সে-ই একদিন সবচেয়ে সুন্দরভাবে হাসবে। যে আজ একা, সে-ই একদিন কারো আশ্রয় হবে। যে আজ হেরে গেছে, সে-ই একদিন জয়ের গল্প বলবে। কারণ দুঃখ কখনোই চিরস্থায়ী নয়। এটা একটা সময়, একটা অধ্যায়, একটা পরীক্ষা—যেটা পেরিয়ে গেলেই শুরু হয় নতুন গল্প, নতুন আলো, নতুন জীবন।

আপনি যদি এখন কষ্টে থাকেন, যদি মনে হয় কেউ নেই, যদি মনে হয় এই অন্ধকার আর কাটবে না—তবুও বিশ্বাস রাখুন। আপনি টিকে আছেন, আর সেটাই সবচেয়ে বড় বিজয়। আপনি যদি আজ ভেঙে পড়েন, তবে জেনে রাখুন, এই ভাঙনই একদিন আপনার ভিত হবে। আপনি যদি আজ নিঃস্ব বোধ করেন, তবে বিশ্বাস রাখুন, এই শূন্যতাই একদিন পূর্ণতায় রূপ নেবে। দুঃখের পরেই সুখ আসে—এটা শুধু প্রবাদ নয়, এটা প্রকৃতির নিয়ম, সময়ের সত্য, জীবনের অমোঘ বাস্তবতা।

সুখ আসে না হঠাৎ করে। সে আসে ধৈর্যের হাত ধরে, সাহসের পায়ে হেঁটে, বিশ্বাসের আলোয় ভেসে। তাই নিজেকে ছোট ভাববেন না, দুর্বল ভাববেন না। আপনি একজন যোদ্ধা, আপনি একজন আশ্চর্য সৃষ্টি, যার ভেতরে আছে পাহাড় ভাঙার শক্তি, সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার সাহস। আপনি শুধু একটু ধৈর্য ধরুন, একটু বিশ্বাস রাখুন, একটু ভালোবাসুন নিজেকে। কারণ আপনার জন্যও সুখ আসবে—হয়তো একটু দেরি করে, কিন্তু সে আসবেই। আর যখন সে আসবে, তখন আপনি বুঝবেন—এই দুঃখগুলোই ছিল আপনার সবচেয়ে বড় শিক্ষক, সবচেয়ে বিশ্বস্ত সঙ্গী, সবচেয়ে গভীর আশীর্বাদ।

একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ সাহাবিদের নিয়ে বসে ছিলেন। হঠাৎ তিনি বললেন,  > “তোমরা জানো কি গীবত কী?”সাহাবিরা বললেন, “আল্লাহ ও তাঁর...
26/10/2025

একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ সাহাবিদের নিয়ে বসে ছিলেন। হঠাৎ তিনি বললেন,
> “তোমরা জানো কি গীবত কী?”

সাহাবিরা বললেন, “আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন।”

তিনি বললেন,
> “গীবত হলো—তোমার ভাই সম্পর্কে এমন কিছু বলা, যা সে অপছন্দ করে।”

এক সাহাবি জিজ্ঞেস করলেন, “যদি তা সত্যিই তার মধ্যে থাকে?”

রাসূল ﷺ বললেন,
> “তাহলে তুমি তাকে গীবত করেছ। আর যদি তা না থাকে, তাহলে তুমি তার উপর অপবাদ দিয়েছ।”

এরপর তিনি একটি ঘটনা বর্ণনা করলেন—

একবার দুই নারী রোজা রেখেছিলেন। কিন্তু সারাদিন তারা অন্যদের নিয়ে পরনিন্দা করছিলেন। সন্ধ্যায় তারা এতটাই দুর্বল হয়ে পড়লেন যে মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গেলেন। সাহাবিরা রাসূল ﷺ-কে জানালে তিনি একটি পাত্র আনতে বললেন এবং তাদের বমি করতে বললেন।

তারা বমি করল, আর পাত্রটি ভরে গেল রক্ত ও গোশতের টুকরায়।

রাসূল ﷺ বললেন,
> “তারা রোজা রেখেছিল, কিন্তু অন্যদের মাংস খেয়েছে—গীবতের মাধ্যমে।”

⚠️ গীবতের ভয়াবহতা

- গীবত করা মানে হলো মরা ভাইয়ের গোশত খাওয়া, যা কুরআনে স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ (সূরা হুজুরাত ৪৯:১২)
- রোজা, নামাজ, দান—সব নেক আমল নষ্ট হয়ে যেতে পারে যদি কেউ নিয়মিত গীবত করে
- গীবত নীরব ঘাতক, যা সমাজে সম্পর্ক নষ্ট করে, আত্মিক শান্তি কেড়ে নেয়।

পাবনার সুজানগরের এক নিভৃত গ্রামে বাস করতেন হযরত আলী নামের এক গরীব কৃষক। বয়স পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই, মুখে সাদা দাড়ি, চোখে এক ধরন...
25/10/2025

পাবনার সুজানগরের এক নিভৃত গ্রামে বাস করতেন হযরত আলী নামের এক গরীব কৃষক। বয়স পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই, মুখে সাদা দাড়ি, চোখে এক ধরনের শান্তি—যা শুধু আল্লাহর উপর ভরসা রাখা মানুষদের চোখেই দেখা যায়।

হযরত আলীর সংসারে ছিল স্ত্রী আর একমাত্র মেয়ে রাহেলা। জমি বলতে ছিল মাত্র এক বিঘা, তাও খরা আর নদীভাঙনে প্রায় অনাবাদি। তবুও তিনি কখনো কারো কাছে হাত পাতেননি। নামাজে কখনো ফাঁকি দেননি, রোজা কখনো ভাঙেননি, আর মিথ্যা তো দূরের কথা—অন্যায় দেখলেও চোখের পানি ফেলতেন।

এক বছর রমজানের সময়, এমন এক দুর্দিন এলো—ঘরে এক মুঠো চালও নেই। স্ত্রী বলল, “এইবার তো রোজা রাখা সম্ভব না হুজুর, মেয়েটার মুখের দিকে তাকান।” হযরত আলী মাথা নিচু করে বললেন, “আল্লাহ রিজিকদাতা। আমরা রোজা রাখবো, আর তিনি দেখবেন।”

সেই রাতে ইফতারের সময়, শুধু পানি আর এক টুকরো শুকনো রুটি ছিল। হঠাৎ দরজায় কড়া নাড়ল এক অচেনা ভিক্ষুক। বলল, “মামা, তিনদিন কিছু খাইনি। একটু খাবার দিন।” হযরত আলী স্ত্রীর দিকে তাকালেন। স্ত্রী চোখে পানি নিয়ে বলল, “আপনি যা ভালো বুঝেন।”

তিনি সেই এক টুকরো রুটিটাও ভিক্ষুককে দিয়ে দিলেন। নিজে শুধু পানি খেয়ে বললেন, “আজকের ইফতার আল্লাহর সঙ্গে।”

রাত গভীর হলে, হঠাৎ গ্রামের মসজিদের মাইকে ঘোষণা এলো—“সুজানগরের এক প্রবাসী ভাই গোপনে দান করেছেন, যাদের ঘরে খাবার নেই, তারা যেন মসজিদে এসে চাল-ডাল নিয়ে যান।”

হযরত আলী গেলেন না। বললেন, “যদি আল্লাহ চান, উনি নিজেই পাঠাবেন।”

সকালে দরজায় আবার কড়া নাড়া। এক অপরিচিত লোক দাঁড়িয়ে, হাতে বিশ কেজি চাল, ডাল, তেল, আর এক খাম। বলল, “ভাই, আমি ভুল করে আপনার নামে পাঠানো এক চালান নিয়ে এসেছি। পরে বুঝলাম, ঠিক ঠিক আপনাকেই দিতে বলা হয়েছিল। এই নিন।”

খামে ছিল দশ হাজার টাকা আর একটি চিরকুট—
“আপনার ঈমানের গল্প শুনেছি। আপনি আল্লাহর জন্য যা দিয়েছেন, তিনি তার চেয়ে অনেক বেশি ফিরিয়ে দেবেন। দোয়া করবেন।”

হযরত আলী চুপচাপ চোখ মুছলেন। স্ত্রী বলল, “দেখলেন? আল্লাহ কাউকে নিরাশ করেন না।”

তিনি শুধু বললেন,
“যে আল্লাহ পিপাসার মাঝে পানি দেন, তিনি ক্ষুধার মাঝে রিজিক দিতে পারেন না—এমন ভাবা কুফরি।”

আলহামদুলিল্লাহ 🥰❤️🤲
25/10/2025

আলহামদুলিল্লাহ 🥰❤️🤲

 #ফটোগ্রাফি এর ইতিহাস 💕🥰✍️দুটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি আবিষ্কারের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল: প্রথমটি হল ক্যামেরা অস্পষ্ট ইমেজ প্রজে...
25/10/2025

#ফটোগ্রাফি এর ইতিহাস 💕🥰✍️

দুটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি আবিষ্কারের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল: প্রথমটি হল ক্যামেরা অস্পষ্ট ইমেজ প্রজেকশন, দ্বিতীয়টি হল আবিষ্কার যে কিছু পদার্থ আলোর এক্সপোজার দ্বারা দৃশ্যমানভাবে পরিবর্তিত হয়[২]। 18 তম শতাব্দীর আগে হালকা সংবেদনশীল উপকরণ দিয়ে ছবি তোলার কোন প্রচেষ্টা নির্দেশ করে এমন কোন শিল্পকর্ম বা বর্ণনা নেই।
লে গ্রাস ১৮২৬ বা ১৮২৭ এ জানালা থেকে দেখা দৃশ্য, মনে করা হয় যে এটি সবচেয়ে আগে বেঁচে থাকা ক্যামেরার ছবি। [১] আসল (বামে) এবং রঙিন পুনর্নবীকরণ (ডান)।
১৭১৭ সালের দিকে, জোহান হেইনরিচ শুলজ একটি বোতলের উপর কাটা-আউট অক্ষরগুলির ছবি তুলতে হালকা সংবেদনশীল স্লারি ব্যবহার করেছিলেন। তবে এই ফলাফলগুলো স্থায়ী করার চেষ্টা করেননি তিনি। 1800 এর কাছাকাছি, থমাস ওয়েডগউড প্রথম নির্ভরযোগ্যভাবে নথিভুক্ত করেছেন, যদিও স্থায়ী রূপে ক্যামেরার ছবি তোলার ব্যর্থ প্রচেষ্টা ছিল। তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিস্তারিত আলোকচিত্র তৈরি করেছিল, কিন্তু ওয়েডগউড এবং তার সহযোগী হামফ্রি ডেভি এই ছবিগুলিকে ঠিক করার কোন উপায় খুঁজে পাননি।
1826 সালে, Nicephore Niépce প্রথম একটি ছবি ঠিক করতে সক্ষম হয়েছিল যা একটি ক্যামেরা দিয়ে ধরা হয়েছিল, কিন্তু কমপক্ষে আট ঘন্টা বা এমনকি কয়েক দিন ক্যামেরার এক্সপোজার প্রয়োজন ছিল এবং প্রাথমিক ফলাফলগুলি খুব অপরিশোধিত ছিল। নিপেসের সহযোগী লুই ড্যাগেরেরে ড্যাগেররিওটাইপ প্রক্রিয়া বিকশিত করতে শুরু করেছেন, প্রথম প্রকাশ্যে ঘোষিত এবং বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর ফটোগ্রাফিক প্রক্রিয়া। ড্যাগেররিওটাইপের ক্যামেরায় শুধুমাত্র কয়েক মিনিট এক্সপোজার প্রয়োজন, এবং পরিষ্কার, সূক্ষ্মভাবে বিস্তারিত ফলাফল তৈরি। ২ আগস্ট, ১৮৩৯ তারিখে ড্যাগেরে প্যারিসে চেম্বার অফ পিয়ারস-এ প্রক্রিয়াটির বিবরণ প্রদর্শন করেন। ১৯ আগস্ট ইনস্টিটিউট প্যালেস এ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স এবং অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস এর একটি সভায় কারিগরি বিবরণ প্রকাশ করা হয়। (জনসাধারণকে আবিষ্কারের অধিকার প্রদানের জন্য, ড্যাগেররে এবং নিপেসেকে জীবনের জন্য উদার বার্ষিকী প্রদান করা হয়। )[3][4][5] যখন মেটাল ভিত্তিক ড্যাগেররিওটাইপ প্রক্রিয়া জনসাধারণের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদর্শিত হয়েছিল, তখন কাগজ-ভিত্তিক ক্যালোটাইপ নেতিবাচক এবং লবণ প্রাই এর প্রতিযোগী পদ্ধতি
আলহ

Address

Dhaka
1000

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Stay with Noor posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Stay with Noor:

Share