14/06/2025
আবাসিক হোটেলের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক হেনস্থা
পতিতাবৃত্তির এক হোটেলে সাংবাদিকের নামে মিথ্যা অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পতিতাবৃত্তির অভিযোগে এক হোটেলে সাংবাদিকরা গেলে তাদের নামে উল্টা ডাকাতির লিখিত মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় রিভিউ হোটেলের ম্যানেজার সহ একটি অসাধু চক্র। ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটায় নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোড কাঁচপুর ব্রিজের ঢালে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকে এখন পর্যন্ত পূর্বে
( সাজেদা হাসপাতাল )যা বর্তমানে রিভারভিউ নামকরণ দিয়ে নিচে খাবার হোটেল,উপরে অবৈধ ব্যবসা,বর্তমানে নাম দিয়েছে আবাসিক হোটেল,নেই কোন সাইনবোর্ড, এই অবৈধ ব্যবসা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে যেমন :ভিজিটিং কালারিং কার্ড।আবাসিক হোটেল এবং শুধু নাম্বার রাস্তাঘাটে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের হাতে পৌঁছে দেয়, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় এই প্রতিষ্ঠানের মালিক আশুলিয়া মাছের আড়তের ব্যবসা পরিচালনা করেন, হোটেলের মালিক ভাড়া দিয়েছেন আবাসিক হোটেল হিসেবে, হোটেল পরিচালনা করেন মো:জাহিদ মিয়া ও মো:শরিফুল ইসলাম, এবং পার্টনার হিসেবে আরো অনেকেই জড়িত রয়েছেন,স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায় পূর্বে ডিবি পুলিশ এই হোটেলের দেহ ব্যবসা নারীসহ হোটেল পরিচালক কারীদের কয়েকবার গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনেও বন্ধ করতে পারেনি এই অনৈতিক দেহ ব্যবসা,এই হোটেলে থাকা দালালেরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সুকৌশলে হোটেলের আশপাশ থেকে পথযাত্রীদের অনৈতিক কাজের জন্য আহ্বান করে থাকে,এলাকাবাসীর দাবি এই রকমের একটি অনৈতিক অসামাজিক কার্যকলাপ এটি বন্ধ হওয়া উচিত,এবং এই অনৈতিক অপকর্মের সাথে জড়িতদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ও জানান তারা,গত বৃহস্পতিবার ৫ জুন সন্ধ্যা সাড়ে আটটার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল ট্রাক স্টেশনের চিটাগাং রোড কাঁচপুর ব্রিজের ঢালের পাশে রিভিউ নামে এক আবাসিক হোটেলে প্রতিদিন পতিতাদের দিয়ে অবৈধ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এরকম একটি অভিযোগ এলাকা বাসির মাধ্যমে সাংবাদিকদের কাছে আসে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে সিআইএন টিভি ২৪ এর জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক মুক্ত খবর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার,হোটেলের পাশে থাকা স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকার কয়েকজন সাংবাদিকদের সমন্বয়ে হোটেলের সামনে তথ্য নেওয়ার জন্য যায়।
স্থানীয়রা আরো জানান এই হোটেলে যাতে অনৈতিক কার্যক্রম না চলে তার জন্য তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপ কামনা করে। আর প্রমাণস্বরূপ হোটেল এলাকার অভিযোগকারীদের গোপনে ধারণ করা পতিতাবৃত্তির কিছু ভিডিও ক্লিপ সাংবাদিকদেরকে দেখায়। এতে দেখা যায় এখানে পতিতাবৃত্তি চলছে রমরমা ভাবে। এতে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ। আর স্থানীয়রা এরকম খারাপ কাজ যাতে না হয়, তার জন্য সাংবাদিক ও প্রশাসনকে বিষয়গুলো জানায়।
স্থানীয়রা জানান, হোটেলটি ঢাকা থেকে কুমিল্লা মুখী কাঁচপুর ব্রিজের ঢালে চিটাগাং রোডের পাশে অবস্থিত।
এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে,আদৌ ওখানে এই নামের কোন হোটেল এবং অনৈতিক কার্যকলাপ হয় কিনা এটি ছায়া তদন্তের জন্য এই হোটেলের সামনে কিছু সাংবাদিক গিয়ে পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিক দূর থেকে চলে আসে, পরবর্তীতে হোটেল কর্তৃপক্ষ এবং হোটেল থেকে সুবিধাভোগী একটি চক্র উল্টো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করে,যেটাকে বলা হয় চোরের মায়ের বড় গলা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকরা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাকে বিষয়টি মৌখিকভাবে বিস্তারিত অবগত করে।এবং প্রচলিত আইনের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিবকে বিষয়টি অবগত করেন
ইতিমধ্যে গতকাল হাইকোর্ট থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে সাংবাদিকরা যে কোনো জায়গায় তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যেতে পারবে। এতে কারো কোনো কিছু বলার থাকবে না।
এবং আরো জানা গেছে যে উক্ত রিভিউ হোটেলের ম্যানেজার মো.তৌয়বুর রহমান বাদি হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সোর্স ইকবাল হোসেন (৩৫) কে প্রধান অভিযুক্ত করে অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
যেটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং উদ্দেশ্য প্রবন। (পুলিশের সোর্স) সাংবাদিকরা জানায়,পুলিশের সোর্স ইকবাল গত ছয় মাস যাবত পুলিশের সোর্স হিসাবে কাজ করেন না। বর্তমানে তিনি পল্লী টিভির একজন সাংবাদিক হিসাবে প্রায় পাঁচ মাস যাবত কর্মরত আছেন।
ভুক্তভোগী পুলিশের সোর্স সাংবাদিক ইকবাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আমরা সেদিন ছায়া তদন্তের জন্য সেই আবাসিক হোটেলে যাই। আবাসিক হোটেলের কোনো ব্যক্তির সাথে আমাদের ফোনে অথবা সরাসরি কোন কথা হয়নি,যেহেতু আমরা ছায়া তদন্তের জন্য গিয়েছি, প্রাথমিক ধাপ যাচাই-বাছাই করনের পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় অবশ্যই আমরা থানা পুলিশকে অফিসিয়াল এসাইনমেন্ট সহ এখানে তথ্য সংগ্রহ করব
অথচ আমাদেরকে ,উদ্দেশ্য প্রবণভাবে অপরাধীরা নিজেদের অপরাধকে আড়াল করার জন্য একটি অসাধু চক্রের সমন্বয়ে নীল নকশা তৈরি করে এটি আমাদের পেশাগত সততা ও স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি আঘাত হানে। আর আমাদের এই বিষয়গুলো এক পর্যায় নারায়ণগঞ্জের এসপি এস এম শফিউল্লাহ শফি সাহেবকে অবগত করা হয়। এবং পুরো বিষয়টির তথ্য রেকর্ড প্রমাণ সহ সংগ্রহ করা হয়
স্থানীয় ও সাংবাদিকরা জানান এখানে আওয়ামী লীগের আমল থেকে এখন পর্যন্ত অবৈধ কাজ চলে আসছে।আর এটি দেখভাল করে প্রভাবশালী একটি মহল আর নামধারী কিছু কথিত সাংবাদিক।এরা তাদেরকে উপঢৌকন পাঠিয়ে দিয়ে এই অবৈধ কার্য পরিচালনা করে। যাতে এই কাজ কেউ বাধা দিতে না পারে এবং একটি মহল ইকবাল (৩৫)কে শুরু থেকেই বিভিন্ন রকমের হামলা মামলার ভয় দেখিয়ে মানসিক মানিপুলেশন করে আসছে,যাতে তাদের এই অনৈতিক অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ রিপোর্ট অথবা মুখ খুলতে না পারে। নিঃসন্দেহে এ ধরনের অনৈতিক কাজ এটি সামাজিক অবক্ষয়,যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তাই অচিরেই এটি বন্ধ হওয়া জরুরি। এবং এই ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ এর সাথে জড়িতদের প্রত্যেকেই আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা এটাই এলাকাবাসীর জোর দাবি।