23/10/2024
WE WON ABRAR BHAI!
বাংলাদেশ সরকার "সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন "বাংলাদেশ ছাত্রলীগ"-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ এ "বাংলাদেশ ছাত্রলীগ" নামক ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে। এবং এই ঘোষণা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
খু*ন, নি*র্যা*ত*ন, গণরুম কেন্দ্রিক নি*পী*ড়*ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজী, ধ*র্ষ*ণ, যৌন নি*পী*ড়*নসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যাতে ছাত্রলীগ সাংগঠনিক ভাবে জড়িত ছিল না। এসম্পর্কিত তথ্য প্রমাণ সকলের কাছেই রয়েছে এবং বিভিন্ন সময়ে পাপেট আদালতেও তাদের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।
দেশজুড়ে জুলাই বিপ্লব চলাকালীন ছাত্রলীগের হায়েনারা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণের উপর বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে হাজার হাজার মুক্তিকামী মানুষকে হত্যা করেছে, আহত করেছে। শহীদের মিছিল আজও বন্ধ হয়নি। মানুষরূপী শয়তান গুলোর হাত থেকে নিষ্পাপ শিহুও রেহাই পায়নি।
বাংলাদেশ সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে ০৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উস্কানিমূলক কর্মকান্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যের সাথে জড়িত রয়েছে।
এসব কারণে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ছাত্রলীগ আজ হতে একটি নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন। যেকোনো মাধ্যম, এমনকি অনলাইনেও ছাত্রলীগকে সমর্থন দেওয়া বা ছাত্রলীগের কাজকে এনডোরসড করাও দেশীয় আইনে নিষিদ্ধ একটা স*ন্ত্রা*সী সংগঠনকে বৈধতা প্রদানের কাজ করা, যেটা স্পষ্টতই মারাত্বক অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
এই যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর কোনো নিরপরাধ মানুষের প্রাণ না ঝরুক লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির বলি হয়ে। আর কোনো মায়ের কোল খালি না হোক। চিরশান্তিতে থাকুক আবরার, বিশ্বজিৎ সহ সকল আত্মারা।
- অহর্নিশ ১৯