15/06/2025
প্লেন জার্নির ক্ষেত্রে বোয়িং ৭৮৭ আমার প্রথম পছন্দ। কারণ এটা প্লেনের নতুন মডেলগুলোর একটা। একটা কনফিডেন্ট কাজ করে যে এটাতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কম। এমনকি আমার নেক্সট ফ্লাইটের টিকেটও ৭৮৭ এ করে রেখেছি।
আগের মডেলগুলোতে যত ভুল, সব সমাধান করে এটা বানানো হয়েছে। সকল আধুনিক প্রযুক্তি এতে যুক্ত করা হয়েছে।
বোয়িং কি? এয়ার ইন্ডিয়া কি?
বোয়িং হলো প্লেন নির্মানকারী কোম্পানী।
আমাদের দেশের যে বাসগুলো আছে। যেমন গ্রীণ লাইন, সোহাগ পরিবহন। এরা কিন্তু বাস বানায় না। বিদেশী বিভিন্ন কোম্পানী থেকে বাস কিনে এনে নিজেদের লোগো লাগিয়ে রাস্তায় চালায়।
তেমনি বিভিন্ন এয়ারলাইন্স কোম্পানী বোয়িং থেকে প্লেন কিনে এনে নিজেদের নাম লোগো বসিয়ে চালায়। এয়ার ইন্ডিয়া হলো একটা এয়ারলাইন্স কোম্পানী। যার মালিক ইন্ডিয়ার টাটা গ্রুপ।
পৃথিবীতে দুইটা বড় প্লেন নির্মান কোম্পানী আছে। একটা হলো বোয়িং। অন্যটা এয়ারবাস।
বোয়িং আমেরিকার। আর এয়ারবাস হলো ইউরোপের কোম্পানী।
বোয়িং এর বড় ও আধুনিক প্লেন হলো 787 মডেলের এই প্লেন। যেটা গতকাল এক্সিডেন্ট করেছে।
এই প্লেনে দারুন একটা ফিচার আছে। বাইরে থেকে রোদ এলে কষ্ট করে জানালার কপাট আটকাতে হয় না। সুইচে চাপ দিলে পুরো গ্লাসটাই কালো হয়ে অন্ধকার যায়। আবার অন্য সুইচে চাপ দিলে সাদা।
এই প্লেনে ৩০০ যাত্রী ধরে।
আমাদের বিমান বাংলাদেশের বহরে ৬টা ৭৮৭ মডেলের প্লেন আছে। একেকটা প্লেনের দাম প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।
এমন না যে, আজকে টাকা দিলাম, কালকেই প্লেন হাজির। অর্ডার করলে কয়েক বছর লাগে বানিয়ে ডেলিভারি দিতে।
বিশ্বের গরীব এয়ারলাইন্সগুলো নতুন প্লেন কিনতে না পেরে অন্য এয়ারলাইন্স থেকে ১৫ বছর - ২০ বছর পুরোনো প্লেন কিনে নিয়ে আসে। রং করে নতুন করে চালায়।
অনেকে আবার অন্য এয়ারলাইন্স থেকে ভাড়া এনে চালায়।
আমাদের বেসরকারি একটা এয়ারলাইন্স, যে প্লেনে ২শ যাত্রী ধরে, সে প্লেনের সিটগুলো বাদ দিয়ে ৩০০ সিট লাগায়। বুঝেন অবস্থা। মোটামুটি লোকাল বাস।
একটা মজার বিষয় হলো, পৃথিবীর কোন প্লেনেই ১৩ নাম্বার সিট নেই। আনলাকি থার্টিন, তাই ১২ এর পর ১৪ নং সিট।
প্লেনকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ বাহন। প্লেন খুব কম এক্সিডেন্ট হয়। কিন্তু এক্সিডেন্ট হলে সব শেষ।
আমাদের বিমান বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারী যাত্রা শুরু করে। ১৯৮৪ সালে এফ ২৭-৬০০ মডেলের একটি প্লেন পতেঙ্গা থেকে ঢাকায় ল্যান্ড করার সময় পানিতে বিধ্বস্ত হয়ে প্রথম মহিলা পাইলট কানিজ ফাতেমা রোকসানা সহ ৪৯ জন মারা যায়।
ইউএস বাংলা ২০১৮ সালে নেপালে ক্র্যাশ করে ৫১ জন মারা গিয়েছিল।