13/10/2024
বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো ইবাদত
বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো তথা যাবতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ আল্লাহর পক্ষ থেকে পৃথিবীবাসীর প্রতি সতর্কবার্তা নিয়ে আসে। আল্লাহতায়ালা এসবের মাধ্যমে জগৎবাসীকে পরীক্ষা করে থাকেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ দুর্বিপাকে বিপর্যস্ত মানুষদের প্রতি সচ্ছল নিরাপদ মানুষদের কিছু দায়বদ্ধতা রয়েছে। আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে যাওয়া প্রতিটি বিবেকবান মানুষের অবশ্য কর্তব্য। ইসলামে রয়েছে এ ক্ষেত্রে অসাধারণ কার্যকরী দিকনির্দেশনা।
আর্তমানবতার সেবায় ইসলামের ভূমিকা সর্বাগ্রে। বিপদগ্রস্তের সাহায্য ও অসহায়ের সহযোগিতা করা ইসলামের মহৎ ও মৌলিক শিক্ষা।
প্রিয় নবী সা:কে আল্লাহতায়ালা মানবজাতির করুণাস্বরূপ পাঠিয়েছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন,
‘আমি আপনাকে সমগ্র সৃষ্টির জন্য রহমত হিসেবেই প্রেরণ করেছি।’ (সূরা আম্বিয়া-১০৭)
বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়ানো ও তাদের সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দেওয়া বিবেকের দাবি ইসলামের শিক্ষা। টাকা-পয়সা, খাদ্য, বস্ত্র, পানি, ওষুধসহ যার যা কিছু আছে তা নিয়েই স্বতঃস্ফূর্তভাবে বন্যাদুর্গতদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যের বিপদে সাহায্যের হাত বাড়ানোর প্রতিদান ইসলামে সওয়াবের কাজ। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহতায়ালা বলেন,
‘যারা নিজেদের ধন-সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে তাদের দানের দৃষ্টান্ত হলো- যেমন একটি শস্যবীজ বপন করা হলো এবং তা থেকে সাতটি শীষ উৎপন্ন হয়েছে আর প্রত্যেক শীষে রয়েছে ১০০টি শস্যকণা। এমনিভাবে মহান আল্লাহতায়ালা যাকে চান তাকে প্রাচুর্যতা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় জ্ঞানময়। (আল কোরআন, সুরা বাকারা, আয়াত : ২৬১)।
প্রখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
‘আল্লাহর বান্দা যতক্ষণ তার ভাইকে সাহায্য করবেন, মহান আল্লাহতায়ালা ততক্ষণ তাকে সাহায্য করতে থাকবেন। ’ (মুসলিম)।
এ হাদিসের ব্যাখ্যায় বিশেষজ্ঞরা বলেন, বান্দা যেভাবে ভাইয়ের বিপদের সাহায্যকারী হয়েছেন, মহান আল্লাহতায়ালা ও তার বিপদে দুনিয়া আখেরাতে উত্তম সাহায্যকারী হবেন। সাধ্যমতো মানবসেবায় নিজেকে উৎসর্গ করা সব ধর্ম ও মানবিকতার দৃষ্টিতে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ কাজ। মানবসেবাই পরম ধর্ম। সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
‘যে ব্যক্তি মানবসেবায় তার ভাইয়ের সঙ্গে চলে, ওই কাজ না করা পর্যন্ত আল্লাহতায়ালা ৭৫ হাজার ফেরেশতা দিয়ে তাকে ছায়াদান করেন। তারা তার জন্য রহমত ও মাগফিরাতের জন্য দোয়া করতে থাকেন। তার প্রত্যেক কদমে একটি গুনাহ মাফ হয় এবং একটি মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। (আত তারগিব)।
সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
‘তোমরা পৃথিবীবাসীর প্রতি দয়া করো। আকাশের মালিক আল্লাহতায়ালা তোমাদের প্রতি দয়া করবেন। (মুসতাদরাক আলাস সহিহাইন)।
সাহাবি হজরত উসামা ইবনে যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
‘নিশ্চয়ই! মহান আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেন, যে তার বান্দাদের প্রতি দয়া করে। ’ (বুখারি ও মুসলিম)।
সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
‘মানুষের সেবা ও উপকারের জন্য মহান আল্লাহতায়ালা কিছু নিবেদিতপ্রাণ সৃষ্টি করেছেন। মানুষ বিপদে পড়লে তাদের শরণাপন্ন হয়। এসব রহম দিল ব্যক্তিরা আল্লাহর শাস্তি থেকে নিরাপদ থাকবে। (আত-তারগিব)।
যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় বিপদগ্রস্ত ও দুস্থ মানবতার কল্যাণের জন্য দান-খয়রাত, জাকাত-সদকা, ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সাহায্য-সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন না; সমাজের অসহায় বিপন্ন, বন্যাদুর্গত ও ক্ষতিগ্রস্ত নিঃস্ব অর্ধাহারি-অনাহারি নিরন্ন গরিব মানুষের অভাব দূর, ক্ষুধা নিবারণ ও দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টা করেন না; ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজে অংশ নেয় না; তিনি কখনোই আল্লাহ ও রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয়ভাজন হতে পারেন না।
তাই আসুন! আমরা আমাদের চারপাশে মানুষদের অসহায় বিপদগ্রস্ত দেখে পাশ কেটে চলে যাব না। তাদের দিকে এগিয়ে যাব। মানুষকে বিপন্ন রেখে তাদের দিক মুখ ফেরানোর পরিণাম খুবই ভয়াবহ। হজরত লোকমান তার ছেলেকে উপদেশ দিয়ে বলেছিলেন, ‘প্রিয় সন্তান! তুমি মানুষকে দেখে অহংকার কিংবা তাচ্ছিল্যভরে তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না। ’
বন্যার আভাস পাওয়া মাত্রই সাধ্যানুসারে তাদের ত্রাণ পৌঁছাতে হবে। আমার দ্বারা যদি একজন বানভাসিরও উপকার হয় এটাই আমার স্বার্থকতা। আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা ভাইবোনদের সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি আমরা সবাই খাদ্যপানীয় অনুদান প্রদান করব, ইনশা আল্লাহ। মানুষের কষ্ট লাঘবে টাকাপয়সা, খাদ্য, বস্ত্র, পানি, ওষুধসহ যার যা কিছু আছে তা নিয়েই স্বতঃস্ফূর্তভাবে বন্যাদুর্গতদের সাহায্যে এগিয়ে আসার এখনই সময়। পবিত্র কুরআন কারিমে এরশাদ হয়েছে-
‘তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি তথা তার আহবানে সাড়া দিয়ে দরিদ্র, এতিম ও বন্দিদের খাদ্য দান করে’। (সূরা দাহর : ৮)।
আল্লাহ আরও এরশাদ করেন-
‘তাদের (বিত্তশালী) ধনসম্পদে অভাবগ্রস্তও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে। (সূরা জারিয়াত : ১৯)।
হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন-
‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দুনিয়াতে মানুষকে খাদ্য দান করেছে, কেয়ামতের দিন তাকে খাদ্য দান করা হবে। যে আল্লাহকে খুশি করার জন্য মানুষকে পানি পান করিয়েছে, তাকে কেয়ামতের দিন পানি পান করানো হবে’। (আবু দাউদ : ১৩৪৬)।
রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন-
‘অসুস্থ লোকের সেবা করো, ক্ষুধার্তকে অন্ন দাও এবং বন্দিকে মুক্ত করো। (বোখারি : ৫৬৪৯)।
হজরত রাসূল (সা.) আরো বলেন-
যে ব্যক্তি দুনিয়াতে অপরের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০ প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন’। (মুসলিম : ২৫৬৬)।
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও এরশাদ করেন,
মোমিনরা পারস্পরিক ভালোবাসা ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে এক দেহের মতো। দেহের কোনো অঙ্গ আঘাতপ্রাপ্ত হলে পুরো দেহ সে ব্যথা অনুভব করে’। (বোখারি : ৬০১১)।
তুলনামূলক বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে সাহায্য করার বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা সর্বোচ্চ প্রতিদান দেবেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
‘যারা আল্লাহর পথে তাদের সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উপমা একটি বীজের মতো, যা উৎপন্ন করল সাতটি শীষ। প্রতিটি শীষে রয়েছে একশ দানা। আর আল্লাহ যাকে চান তার জন্য বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’ (সূরা বাকারা-২৬১)
দরিদ্রক্লিষ্ট বনি আদম ও অসহায় নারীদের সাহায্য করতে প্রিয় নবী সা: অনেক বেশি উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিধবা ও অসহায়কে সাহায্যকারী ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর সমতুল্য।’ তিনি আরো বলেন এবং সে ওই নামাজ আদায়কারীর মতো যার ক্লান্তি নেই এবং ওই রোজা পালনকারীর মতো, যার রোজায় বিরাম নেই।’ (বুখারি-৬০০৭)
অসহায়, পীড়িত, ক্ষুধার্ত-তৃষ্ণার্ত ও বিপদাক্রান্ত মানুষকে সহযোগিতা করলে আল্লাহ উভয় জগতে প্রতিদান দেবেন। আবু সাইদ খুদরি রা: থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল সা: বলেছেন,
‘যে মুমিন কোনো মুমিনের ক্ষুধা নিবারণ করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে কেয়ামতের দিন জান্নাতের ফল খাওয়াবেন। যে মুমিন কোনো মুমিনের তৃষ্ণা দূর করেছে, আল্লাহ তায়ালা তাকে কেয়ামতের দিন মোহরাঙ্কৃত জান্নাতি সুধা থেকে পান করাবেন। যে মুমিন কোনো মুমিনকে বস্ত্র দান করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতের উন্নতমানের সবুজ কাপড় পরাবেন। (তিরমিজি-২৩৮৬)
মানবসেবা, দুস্থদের সাহায্য ও অসহায়ের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে ইসলামের বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা রয়েছে।
‘কেয়ামতের দিন নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা বলবেন, ‘হে আদম সন্তান, আমি অসুস্থ হয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমার শুশ্রƒষা করোনি।’ বান্দা বলবে, ‘হে আমার রব। আপনি তো বিশ্বজাহানের প্রতিপালক, কিভাবে আমি আপনার শুশ্রষা করব? তিনি বলবেন, ‘তুমি কি জানতে না যে, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ হয়েছিল, অথচ তুমি তার সেবা করোনি। তুমি কি জান না, যদি তুমি তার শুশ্রষা করতে তবে তুমি তার কাছেই আমাকে পেতে? হে আদম সন্তান, আমি তোমার কাছে খাবার চেয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমাকে খাবার দাওনি।’ বান্দা বলবে, ‘হে আমার রব, আপনি তো বিশ্বজাহানের প্রতিপালক, কিভাবে আপনাকে আহার করাব?’ তিনি বলবেন, ‘তুমি কি জান না, আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে খাবার চেয়েছিল, কিন্তু তুমি তাকে খাবার দাওনি। তুমি কি জান না যে, তুমি যদি তাকে খাবার খাওয়াতে আজ তা পেতে? ‘হে আদম সন্তান, তোমার কাছে আমি পানীয় চেয়েছিলাম, অথচ তুমি আমাকে পানীয় দাওনি।’ বান্দা বলবে, ‘হে আমার প্রভু, আপনি সমগ্র জগতের প্রতিপালক, কিভাবে আপনাকে পান করাব?’ তিনি বলবেন, ‘তোমার কাছে আমার অমুক বান্দা পানি চেয়েছিল, কিন্তু তাকে তুমি পান করাওনি। তাকে যদি পান করাতে, তবে নিশ্চয়ই আজ তা পেতে।’ (মুসলিম-৬৭২১)
আর্তমানবতার সেবায় ইসলামের ভূমিকা সর্বাগ্রে। ইসলাম এক্ষেত্রে জোর তাগিদ ও উৎসাহ দিয়েছে। বিপদগ্রস্তের সাহায্য ও অসহায়ের সহযোগিতা করা ইসলামের মহৎ ও মৌলিক শিক্ষা। মানবতাবোধ, সহমর্মিতা, স্বার্থহীন পরোপকার ও সহানুভূতি ইত্যাদি—ইসলামের বুনিয়াদি শিক্ষা।
বন্যা সৃষ্টিকর্তার এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। হযরত নুহ আ. এর উম্মতদেরও আল্লাহ তায়ালা বন্যার প্লাবনে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। নুহ আ. এর কিশতির ঘটনা আজও ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে। নাফরমানি, সুদ, যেনা-ব্যাভিচার বেড়ে গেলে আল্লাহ তায়ালা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাধ্যমে বান্দাদের শাস্তি দিয়ে থাকেন। সতর্ক করেন পাপ পঙ্কিলতার। বন্যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেও বন্যায় আক্রান্ত অসহায় মানুষদের সেবায় এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দিয়েছে ইসলাম। বিপদ আপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানো ইসলামের চিরকালীন শিক্ষা। আর্ত মানবতার সেবায় মুসলিম শাসকরা রাতের আঁধারে ঘুরে ঘুরে অনাহারীদের মুখে খাবার জুটিয়েছেন। ইসলামের ইতিহাসে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন মুসলিম শাসকরা।
কোনো মুসলমানই বিপদগ্রস্ত মানুষকে দেখে মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারে না। বিপদগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া অশেষ নেকির কাজ। হাদিস শরিফে দুনিয়াতে ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত মানুষকে অন্ন ও বস্ত্র দানের পরকালীন প্রতিদান ঘোষণা করে রাসুল সা. বলেছেন,
‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দুনিয়াতে মানুষকে খাদ্য দান করেছে, কেয়ামতের দিন তাকে খাদ্য দান করা হবে। যে আল্লাহকে খুশি করার জন্য মানুষকে পানি পান করিয়েছে, তাকে কেয়ামতের দিন পানি পান করানো হবে। যে মানুষকে বস্ত্র দান করেছে, তাকে কেয়ামতের দিন বস্ত্র পরিধান করিয়ে তার লজ্জা নিবারণ করা হবে।’ (আবু দাউদ)।
ভারী বর্ষণ ও অতিবৃষ্টির সময় পড়ার সুন্নত দোয়া
হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) অধিক বৃষ্টি ও ভারী বর্ষণের সময় এই দোয়া পড়তেন,
হে আল্লাহ! এই ঝড়, তুফান ও ভারী বর্ষণ আমাদের আশপাশ থেকে সরিয়ে নিন, দয়া করে আমাদের ওপর ঝড়, তুফান ও ভারী বর্ষণ দেবেন না। হে আল্লাহ, এই ভারী বর্ষণ দিন টিলা-পর্বতে, উঁচু ভূমিতে, উপত্যকায়, বনভূমি ও চারণ ভূমিতে। (বুখারি শরিফ ও মুসলিম শরিফ)।
সংগৃহীত