প্রিয় কবিতারা

প্রিয় কবিতারা জীবন যদি করে প্রতারণা, কবিতা দেবে
ঠাঁই।

20/07/2025

অধ্যাপক চোদার টাইম নাই
- সাইয়েদ জামিল

গোরু-ছাগল-হাঁস-মুরগি এবং কুকুর,
আমার শ্রদ্ধা জানবেন।
শ্রদ্ধা জানবেন গাছপালা, কীট-পতঙ্গ,
ছোটো-ছোটো লাল-কালো পিঁপড়ে সকল
আর উঁচু-নিচু বুকঅলা প্রভূত নারী।
শ্রদ্ধা জানবেন ঘোড়া-গাধা, পাইক-পেয়াদা
এবং প্রাজ্ঞ কবি। আপনারা আমার শিক্ষক;
প্রণতি জানাই। আর ইত্যবসরে ব’লে
রাখি, বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে মুখ ক’রে
মুতি আমি। আমার টাইম নাই খোঁপে-আটকা
অধ্যাপক চোদার। আমি জানি, অধ্যাপকেরা
শিক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করা কলোনিয়াল খাটাশ।

20/07/2025

মুহররম
কাজী নজরুল ইসলাম

নীল সিয়া আসমান লালে লাল দুনিয়া –
আম্মা লাল তেরী খুন কিয়া খুনিয়া,
কাঁদে কোন ক্রন্দসী কারবালা ফোরাতে?
সে কাঁদনে আঁসু আনে সিমারের ও ছোঁরাতে।
রূদ্ধ মাতম ওঠে দুনিয়া দামেস্কে –
জয়নালে পরালো এ খুনিয়ারা বেশ কে ?
হায় হায় হোসেনা ওঠে রোল ঝঞ্ঝায়,
তলোয়ার কেঁপে ওঠে এজিদের-ও পান্জায়
উন্মাদ দুলদুল ছুটে ফেরে মদিনায়
আলীযাদা হোসেনের দেখা হোথা যদি পায় !

মা ফাতিমা আসমানে কাঁদে খুলি কেশপাশ
বেটাদের লাশ নিয়ে বধুদের শ্বেতবাস
রণে যায় কাশিম ঐ দু’ঘড়ির নওশা
মেহেদির রং টুকু মুছে গেল সহসা –
হায় হায় কাঁদে বায় পূরবী ও দখিনা
কঙ্কন-পৈঁচী খুলে ফেল সকিনা

কাঁদে কে রে কোলে করে কাশেমের কাটা শির
খান খান খুন হয়ে ক্ষরে বুক ফাঁটা নীর
কেঁদে গেছে থামি হেথা মৃত্য ও রুদ্ধ
বিশ্বের ব্যাথা যেন বালিকা এ ক্ষুদ্র
গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদে কচি মেয়ে ফাতিমা
আম্মাগো পানি দাও ফেঁটে গেল ছাতি মা
নিয়ে তৃষা সাহারার দুনিয়ার হাহাকার
কারবালা প্রান্তরে কাঁদে বাছা আহা কার !
দুই হাত কাটা তবু শের-নর আব্বাস
পানি আনে মুখে হাঁকে দুশমন-ও ‘সাব্বাস’ ।

দ্রিম দ্রিম বাজে ঘন দুন্দুভী দামামা
হাকে বীর ‘শীর দেগা নেহী দেগা আমামা’
কলিজা কাবাব সম ভূনে মরু রোদ্দুর
খাঁ খাঁ করে কারবালা নাই পানি খজ্জুর্র
মার স্তনে দুধ নাই বাচ্চারা তড়পায়
জিভ চুষে কচি জান থাকে কিরে ধড়টায় ?
দাউ দাউ জ্বলে শিরে কারবালা ভাষ্কর
কাঁদে বানু পানি দেও মরে যাদু আসগর
পেলনা তো পানি শিশু পিয়ে গেল কাঁচা খুন
ডাকে মাতা ‘পানি দেব ফিরে আয় বাছা শোন -‘

পুত্র হীনা আর বিধবার কাঁদনে
ছিড়ে আনে মর্মের বত্রিশ বাঁধনে
তাম্বুতে সিজদায় কাঁদে একা জয়নাল
দাদা তেরী ঘর কিয়া বরবাদ পয়মাল
হায়দরী হাঁক হাঁকে দুল দুল আসওয়ার
শমশের চমকায় দুশমনে ত্রাসবার
খসে পড়ে হাত হতে শত্রুর তরবার
ভাসে চোখে কিয়ামতে আল্লার দরবার।

নিঃশ্বেষ দুশমন – ও কে রণশ্রান্ত
ফোরাতের নীরে নেমে মুছে আখি প্রান্ত?
কোথা বাবা আসগর শোকে বুক ঝাঁঝরা
পানি দেখে হোসেনের ফেঁটে যায় পাঁজরা
ধুঁকে ম’লো আহা তবু পানি এক কাতরা
দেয়নি রে বাছাদের মুখে কম-জাতরা
অঞ্জলী হতে পানি পড়ে গেল ঝর ঝর
লূটে ভূমে মহাবাহু খন্জর জর্জর।
হলকুমে হানে তেগ ওকে বসে ছাতিতে ?
আফতাব ছেয়ে গেল আধীয়ার রাতিতে !

আসমান ভরে গেল গোধুলীতে দুপুরে
লাল নীল খুন ঝরে ফোরাতের উপরে
বেটাদের লহুরাঙ্গা পীরহান হাতে আহ্
আরশের পায়া ধরে কাঁদে মাতা ফাতেমা
এয়্ খোদা বদলাতে বেটাদের রক্তের
মার্জনা কর গোনা পাপী কম বখতের !

কত মোহররম এল গেল চলে গেল বহু কাল
ভুলিনি গো আজো সেই শহীদের লহু-লাল
মুসলিম তোরা আজ জয়নাল আবেদীন
ওয়া হোসেনা ওয়া হোসেনা কেঁদে তাই যাবে দিন ?
ফিরে এল আজ সেই মহরম মাহিনা
ত্যাগ চাই মর্সিয়া ক্রন্দন চাহিনা।
উষ্ণীষ কোরআনের হাতে তেগ আরবীর
দুনিয়াতে নত নয় মুসলিম কারো শির।
তবে শোন ঐ শোন বাজে কোথা দামামা !
শমশের হাতে নাও বাঁধ বুকে আমামা
বেজেছে নাকাড়া হাঁকে নাকিবের তুর্য
হুশিয়ার ইসলাম ডুবে তব সুর্য্য
জাগো ওঠো মুসলিম হাঁকো হায়দরী হাঁক
শহীদের দিনে সব লালে লাল হয়ে যাক।

নওশার সাজ নাও খুন খচা আস্তিন
ময়দানে লুটাতে রে লাশ, এই খাস দিন
হাসানের মত পিব পিয়ালা সে জহরের
হোসেনের মত নিব বুকে ছুরি কহরের
আসগর সম দিব বাচ্চারে কোরবান
জালিমের দাঁদ নেব দেব আজ গোর জান
সখিনার শ্বেত বাস দেব মাতা কন্যায়
কাশিমের মত দেব জান, রূধি অন্যায়
মহরম কারবালা কাঁদে হায় হোসেনা
দেখ মরূ সুর্য্য এ খুন যেন শোষেনা !

18/07/2025

ছোটন ঘুমায়
_সুফিয়া কামাল

গোল কোরো না, গোল কোরো না
ছোটন ঘুমায় খাটে।
এই ঘুমকে কিনতে হলো
নওয়াব বাড়ির হাটে।
সোনা নয় রূপা নয়
দিলাম মোতির মালা
তাই তো ছোটন ঘুমিয়ে আছে
ঘর করে উজালা।

18/07/2025

"তোমায় আমি"
-জীবনানন্দ দাশ

তোমায় আমি দেখেছিলাম ব’লে
তুমি আমার পদ্মপাতা হলে;
শিশির কণার মতন শূন্যে ঘুরে
শুনেছিলাম পদ্মপত্র আছে অনেক দূরে
খুঁজে খুঁজে পেলাম তাকে শেষে।

নদী সাগর কোথায় চলে ব’য়ে
পদ্মপাতায় জলের বিন্দু হ’য়ে
জানি না কিছু-দেখি না কিছু আর
এতদিনে মিল হয়েছে তোমার আমার
পদ্মপাতার বুকের ভিতর এসে।

তোমায় ভালোবেসেছি আমি, তাই
শিশির হয়ে থাকতে যে ভয় পাই,
তোমার কোলে জলের বিন্দু পেতে
চাই যে তোমার মধ্যে মিশে যেতে
শরীর যেমন মনের সঙ্গে মেশে।

জানি আমি তুমি রবে-আমার হবে ক্ষয়
পদ্মপাতা একটি শুধু জলের বিন্দু নয়।
এই আছে, নেই-এই আছে নেই-জীবন চঞ্চল;
তা তাকাতেই ফুরিয়ে যায় রে পদ্মপাতার জল
বুঝেছি আমি তোমায় ভালোবেসে।

18/07/2025
13/07/2025

কী বেদনাময় এই অনিশ্চয়তা !
কী বিভৎস এই ভালোবাসাহীনতা !
কী নির্মম এই স্বপ্নহীনতা!

কবিতা তো কৈশোরের স্মৃতি। সে তো ভেসে ওঠা ম্লানআমার মায়ের মুখ; নিম ডালে বসে থাকা হলুদ পাখিটিপাতার আগুন ঘিরে রাতজাগা ভাই-বো...
11/07/2025

কবিতা তো কৈশোরের স্মৃতি। সে তো ভেসে ওঠা ম্লান
আমার মায়ের মুখ; নিম ডালে বসে থাকা হলুদ পাখিটি
পাতার আগুন ঘিরে রাতজাগা ভাই-বোন
আব্বার ফিরে আসা, সাইকেলের ঘণ্টাধ্বনি—রাবেয়া রাবেয়া—
আমার মায়ের নামে খুলে যাওয়া দক্ষিণের ভেজানো কপাট!

কবিতা তো ফিরে যাওয়া পার হয়ে হাঁটুজল নদী
কুয়াশায়-ঢাকা-পথ, ভোরের আজান কিম্বা নাড়ার দহন
পিঠার পেটের ভাগে ফুলে ওঠা তিলের সৌরভ
মাছের আঁশটে গন্ধ, উঠোনে ছড়ানো জাল আর
বাঁশঝাড়ে ঘাসে ঢাকা দাদার কবর

কবিতা তো ছেচল্লিশে বেড়ে ওঠা অসুখী কিশোর
ইস্কুল পালানো সভা, স্বাধীনতা, মিছিল, নিশান
চতুর্দিকে হতবাক দাঙ্গার আগুনে
নিঃস্ব হয়ে ফিরে আসা অগ্রজের কাতর বর্ণনা।

কবিতা চরের পাখি, কুড়ানো হাঁসের ডিম, গন্ধভরা ঘাস
ম্লান মুখ বউটির দড়ি ছেঁড়া হারানো বাছুর
গোপন চিঠির প্যাডে নীল খামে সাজানো অক্ষর
কবিতা তো মক্তবের মেয়ে চুলখোলা আয়েশা আক্তার।

শুভ জন্মদিন,
আল মাহমুদ

প্রতিদান- জসীম উদ্‌দীন-আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা, আমি বাঁধি তার ঘর,আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।যে মোরে করিল প...
26/06/2025

প্রতিদান
- জসীম উদ্‌দীন-
আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা, আমি বাঁধি তার ঘর,
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।
যে মোরে করিল পথের বিবাগী, -
পথে পথে আমি ফিরি তার লাগি।
দীঘল রজনী তার তরে জাগি ঘুম যে হরেছে মোর ;
আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা আমি বাঁধি তার ঘর।

আমার এ কুল ভাঙিয়াছে যেবা আমি তার কুল বাঁধি,
যে গেছে বুকেতে আঘাত হানিয়া তার লাগি আমি কাঁদি;
সে মোরে দিয়েছে বিষে ভরা বাণ,
আমি দেই তারে বুকভরা গান;
কাঁটা পেয়ে তারে ফুল করি দান সারাটি জনম ভর,
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।

মোর বুকে যেবা কবর বেঁধেছে আমি তার বুক ভরি,
রঙিন ফুলের সোহাগ-জড়ান ফুল-মালঞ্চ ধরি ।
যে মুখে সে কহে নিঠুরিয়া বানী
আমি লয়ে সখি, তারি মুখখানি,
কত ঠাঁই হতে কত কি যে আনি, সাজাই নিরন্তর,
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।

আষাঢ়– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরনীল নবঘনে আষাঢ়গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে।ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।বাদলের ধারা ঝরে ঝরঝর,আউশ...
23/06/2025

আষাঢ়
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে।
ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।
বাদলের ধারা ঝরে ঝরঝর,
আউশের ক্ষেত জলে ভরভর,
কালি-মাখা মেঘে ও পারে আঁধার ঘনিছে দেখ্ চাহি রে।
ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।।

ওই ডাকে শোনো ধেনু ঘনঘন, ধবলীরে আনো গোহালে।
এখনি আঁধার হবে বেলাটুকু পোহালে।
দুয়ারে দাঁড়ায়ে ওগো দেখ্ দেখি
মাঠে গেছে যারা তারা ফিরিছে কি,
রাখালবালক কী জানি কোথায় সারা দিন আজি খোয়ালে।
এখনি আঁধার হবে বেলাটুকু পোহালে।।

শোনো শোনো ওই পারে যাবে বলে কে ডাকিছে বুঝি মাঝিরে।
খেয়া-পারাপার বন্ধ হয়েছে আজি রে।
পুবে হাওয়া বয়, কূলে নেই কেউ,
দু কূল বাহিয়া উঠে পড়ে ঢেউ,
দরদর বেগে জলে পড়ি জল ছলছল উঠে বাজি রে।
খেয়া-পারাপার বন্ধ হয়েছে আজি রে।।

ওগো, আজ তোরা যাস নে গো, তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে।
আকাশ আঁধার, বেলা বেশি আর নাহি রে।
ঝরঝর ধারে ভিজিবে নিচোল,
ঘাটে যেতে পথ হয়েছে পিছল,
ওই বেণুবন দুলে ঘনঘন পথপাশে দেখ্ চাহি রে।
ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।।

Address

Dhaka

Telephone

+8801734301718

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when প্রিয় কবিতারা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to প্রিয় কবিতারা:

Share

Category