Golper Diary - গল্পের ডায়েরি

Golper Diary - গল্পের ডায়েরি সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার

 #প্রাণনাশিনী (সামাজিক+ রোমান্টিক +গ্রাম্য ) #পর্ব০১https://www.facebook.com/61561368555773/posts/122153288516378951/?mi...
29/06/2025

#প্রাণনাশিনী (সামাজিক+ রোমান্টিক +গ্রাম্য )

#পর্ব০১

https://www.facebook.com/61561368555773/posts/122153288516378951/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

#পর্ব০২

https://www.facebook.com/61561368555773/posts/122153528366378951/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

#পর্ব০৩

https://www.facebook.com/61561368555773/posts/122154366434378951/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

#পর্ব০৪

https://www.facebook.com/61561368555773/posts/122155022924378951/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

#পর্ব০৫

https://www.facebook.com/61561368555773/posts/122155381718378951/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

#পর্ব০৬

https://www.facebook.com/61561368555773/posts/122155873328378951/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

#পর্ব০৭

https://www.facebook.com/61561368555773/posts/122156775644378951/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

#পর্ব০৮

https://www.facebook.com/61561368555773/posts/122157321128378951/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

#পর্ব০৯ ( প্রথম অংশ)

https://www.facebook.com/61561368555773/posts/122158629410378951/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

#পর্ব০৯ (দ্বিতীয় অংশ )

https://www.facebook.com/61561368555773/posts/122159124902378951/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

#পর্১০

https://www.facebook.com/61561368555773/posts/122160156830378951/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

#পর্ব০১১

https://www.facebook.com/61561368555773/posts/122160689186378951/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

#পর্ব১২

https://www.facebook.com/61561368555773/posts/122161463774378951/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

#পর্ব১৩

https://www.facebook.com/61561368555773/posts/122161999172378951/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

#পর্ব১৪

https://www.facebook.com/61561368555773/posts/122162652206378951/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

#পর্ব১৫

https://www.facebook.com/61561368555773/posts/122163243494378951/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

#পর্ব১৬

https://www.facebook.com/61561368555773/posts/122163367466378951/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

#পর্ব১৭

https://www.facebook.com/61561368555773/posts/122164167422378951/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

#অন্তিম_পর্ব

https://www.facebook.com/61561368555773/posts/122164196084378951/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

সমাপ্ত......

--"ছোডু আম্মু, ঐদিক দিয়া যাইয়েন না! আমনে রাস্তা ঘুইরা বেলতলার ঘাট দিয়া যান।"

রফিক মিয়ার কথায় কপালে ভাঁজ পড়ে ষোড়শী কন্যা সুবহার। সদ্য দশম শ্রেণিতে উঠেছে সে। বই পুরোনো হলেও নতুন ক্লাস, নতুন বছর সব কিছুতেই একরকম উচ্ছ্বাস।স্কুলে খেলা চলছে। তবে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী সুবহার আজ কোচিংয়ে পরীক্ষা আছে জামান স্যার এর। বান্ধবী শিউলির সঙ্গে স্কুলে যাচ্ছে সে।

আজ সকালে দেরি হয়ে গেছে তাদের। তাইতো শর্টকাট হিসেবে সোজা পথটাই বেছে নিয়েছে। যদিও ইদানীং এই রাস্তা দিয়ে আর আগের ন্যায় যাতায়াত করেনা সুবহা। তবু আজ দেরি হওয়ায় এই পথটা বেঁচে নিয়েছিলো তারা। তবে রফিক মিয়ার হঠাৎ সতর্কবার্তায় থমকে যায়। সুবহা।

--"কেন চাচা, এই রাস্তায় কী হইছে? আমাদের এমনিতেই আজ দেরি হয়ে গেছে। আর বেলতলার ঘাট দিয়ে গেলে তো সময় আরও বেশি লাগবে!"

রফিক মিয়া গম্ভীর স্বরে বলল,

--"হোক, কিন্তু অন্তত সুস্থভাবে তো স্কুলে পৌঁছাইতে পারবা! এই পথ দিয়া যাইও না আজ। বেশি দেরি হইলে বরং স্কুলে যাওন লাগতো নাহ। বাড়ি ফিরা যাও।"

সুবহার চোখে উদ্বেগের ছাপ ফুটে ওঠে। পরীক্ষা বাদ পড়লে জামান স্যার তো রেহাই দেবে না! কপালে ভাঁজ ফেলে বলে,

--"কিন্তু চাচা, আজ আমাদের কোচিং পরীক্ষা আছে। না দিলে স্যার আমাদের খবর করে ছাড়বে !"

রফিক মিয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলে। এক মুহূর্ত চুপ করে থেকে বলল,

--"তাইলে যাও, কিন্তু সাবধানে যেয়ো। এলাকার পরিস্থিতি ভালো না।"

--"কেন কাকা, কী হয়েছে?"

শিউলির প্রশ্নে রফিক মিয়ার চোখেমুখে উৎকণ্ঠার ছাপ পড়ে। গলা ভারী করে বলে,

--"আর কী হইবো! চেয়ারম্যানের পোলায় টং দোকানের উজ্জ্বলরে পিটাইতাসে। দুই দলের লোক নিয়া মারামারি লাগছে। অবস্থা ভালো না। তোমার চাচি শিপনরে দিয়া আমারে ডাকাইয়া নিতাসে বাড়ি।"

সুবহা আতঙ্কিত চোখে শিউলির দিকে তাকায়। স্পষ্ট কিছু না বললেও চোখের ইশারাতেই বুঝিয়ে দেয় সে এই পথ দিয়ে যাবে না। শিউলিরও কিছু বলার সুযোগ হয় না। রফিক মিয়া বেশি কিছু না বলে দ্রুত পা চালিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেয়। সুবহা ফিসফিস করে বলে,

--"শিউলি এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া লাগবে নাহ। আজ বাড়িতে ফিরে যাই। এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে।"

শিউলি মুখ বাঁকিয়ে বলে,

--"আরে বলদী, এত ভয় পাস কেন সবসময়? মুরগির বাচ্চার মতো কলিজা নিয়া এই গ্রামে চলা যায় নাকি?"

সুবহার চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ ফুটে ওঠে।

--"আমায় ওনাকে দেখলেই ভয় লাগে। মনে নেই, দুই বছর আগে আমারে অকারণে এক থাপ্পড় দিছিলো? এক সপ্তাহ জ্বরে ভুগেছিলাম ! আমি যাবো না, তুই যা।"

শিউলি হাসল। যেন ব্যাপারটা তেমন গুরুতর কিছুই না।

--"তখন তুই ছোট ছিলি। এখন তো বড় হয়েছি আমরা। ক্লাস টেন এ পড়ি! আমাদের গায়ে হাত তুলতে আসবে কোন দুঃখে শুনি?"

সুবহা মাথা নাড়ে।

--"ওনার মারার জন্য কোনো কারণ লাগে নাকি? অকারণেই গায়ে হাত তোলে! দেখলি না চাচা বলল উজ্জ্বলকে ভাইকে মারতাসে। আমি যাবো না, বোন। তুই যা।"

শিউলি সুবহার কথা কানে তোলে না। বরং তার হাত ধরে টেনে নিয়ে এগোতে থাকে। বুক ফুলিয়ে সাহস সঞ্চয় করে বলে,

--"শুনেছিস সুবি? আযহার ভাই নাকি আগের চেয়েও বেশি সুদর্শন হয়ে গেছে! গতকাল রাসেল ভাইরা বলাবলি করতাসিলো শুনলাম। !"

শিউলির কথায় সুবহার চোখের মণি বিস্ফারিত হয়! মুখে কিছু না বললেও মনের মধ্যে তোলপাড় চলে। এর মাঝেই শিউলি ফেরফের করে বলে,

--"মনি আপা তো নাওফিক ভাইয়ার নাম শুনলেই পাগল! দুই বছর দেশে ছিল না, এই জন্যই নাকি এখনো বিয়ে বসেনি। শুনছি, কত ভালো ভালো সম্বন্ধ এসেছে মনি আপার জন্য, কিন্তু সব ফিরিয়ে দিয়েছে! আর তুই মাইয়া, ওনাকে দেখলেই এত ভয় পাস কেন বুঝি না!"

শিউলির কথায় কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায় না সুবহা। কী বলবে সে? কেমন করে বোঝাবে?
এই দুই বছর ছিল তার জীবনের সবচেয়ে নির্ভার, শান্তির, আরামের দিন। রাস্তায় বের হতে হলে বুকের ভেতর আর শঙ্কার কাঁপুনি ধরত না। ভয় নিয়ে এক পা দু’পা ফেলে চলতে হত না। যেন মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নেওয়ার মতো এক স্বস্তির সময় ছিল সেটুকু।

এই পথ দিয়েই তো কতবার গিয়েছে সুবহা। যেদিনতার বাবা এসে বলেছিল চেয়ারম্যানের বড় ছেলে দেশে ফিরে আসছে" সেদিন থেকেই এই রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে সুবহা। ভুলেও এই পথে পা বাড়ায় নাহ সে।

*

পিচঢালা সরু পথ। দুপাশে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকা পাটখেত। সবেমাত্র চারা গজিয়েছে। নরম সবুজ পাতাগুলো বাতাসে দোল খাচ্ছে দক্ষিনা বাতাসের তালে তালে। সকালের সোনালী কিরণে পাতাগুলো চিকচিক করছে। সুবহা চুপ করে আছে। মুখ ফুটে কিছুই বলছে না। শুধু শিউলির কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে যাচ্ছে সে। মেয়েটা একবার বলতে নিলে আর থামে না। পাশের মানুষ কি শুনলো না শুনলো না সেসব আর ভাবে। বলতেই থাকে।

পরনে নীল রঙা স্কুলের ড্রেস। দুপাশে ওড়নার মতো আরা আড়াআড়িভাবে রাখা ক্রস-বেল। পিঠে ঝুলছে নেভি-ব্লু রঙের ব্যাগ। এই ব্যাগটা গত মাসে তার বাবা শহর থেকে এনে দিয়েছিল। ব্যাগের জিপারের সাথে ছোট্ট একটা পুতুলের রিং ঝুলিয়ে রেখেছে সুবহা। স্কুলের পাশের লাইব্রেরি থেকে কিনেছিলো ওটা টিফিনের আঁকা জমিয়ে।

চুলগুলো বেনুনি করে রাখা। সকালে সুবহার দাদি বেনুনি টা করে দিয়েছিলো স্কুলে আসার সময়। কয়েকটা আলগা গোছা কপালের ধারে নেমে এসেছে। গোলগাল চেহারা, টুকটুকে ফর্সা গায়ের রং। যে দেখবে এক মুহূর্তের জন্য ভেবে বসতে পারে এই মেয়েটা বুঝি মানব আকৃতি ধারকৃত কোনো জীবন্ত পুতুল! যাকে অনেক সাধনা করে অনেক শ্রম দিয়ে বানিয়েছে কেউ।

তার মা শ্যামবর্ণা। বাবা-ও তেমনি। অথচ সুবহার গায়ের রং যেন দুধে-আলতা মেশানো। প্রথম দেখায় অনেকেই বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে।গ্রামে এমন মেয়ে দেখা বিরল। কেউ কেউ তো রসিকতা করে বলে, “এই মেয়েটার পূর্ব পুরুষ নিশ্চয়ই কোনো ইংরেজ ছিল!”

সুবহা এসব কথায় অভ্যস্ত। ছোট বেলা থেকেই এসব শুনতে শুনতে বড় হয়েছে সে। তার রং, তার চেহারা সবকিছু নিয়ে লোকের এত কথা! কিন্তু সে কখনো কিছু মনে করে না। তার দুনিয়াটা এখন স্কুলের ব্যাগ, বইখাতা, বান্ধবী শিউলি আর তার নিজের ছোট্ট স্বপ্নগুলোর মধ্যেই বন্দী।

আর মিনিট পাঁচেক হাঁটলেই সুবহার স্কুল। তবে তার আগেই পরে গ্রামের বাজার। আর সেই বাজারেই নাকি এখন চলছে তুমুল মারামারি।
বাজারের সামনে আসতেই হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় সুবহার। শিউলির হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে। সামনে যতই এগোয় কোলাহল ততই স্পষ্ট হয়।

অবশেষে বাজারের সামনে এসে থামে তারা।
বাজারজুড়ে এক অদ্ভুত উত্তেজনা। টং দোকানের পাশের সেই পুরোনো আমগাছের নিচে একজন আম গাছের সাথে বেঁধে রাখার সেই দৃশ্য তাদের চোখে পরে। ছেলেটির নাম উজ্জ্বল। মুখের কোণে র"ক্ত জমাট বাঁধা, শরীরটা অবশ হয়ে ঝুলে পড়েছে। চারপাশে লোকজন ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। কেউ আগ্রহভরে দেখছে তো কেউ দূর থেকেই পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছে। সামনে এগুনোর সাহস নেই কারো।

তার সামনেই রাখা একটা চেয়ার। আর সেই চেয়ারে বসে আছে এক মানব। পা তুলে আয়েশী ভঙ্গিতে হেলান দিয়ে আছে। চোখে একরকম অবজ্ঞা। যেন এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তার কাছে কোনো নাটকের দৃশ্যমাত্র।

সুবহার হৃদস্পন্দন মুহূর্তেই দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
বিগত দুই বছর ধরে যে মানুষটিকে সে এড়িয়ে চলেছে আজ হঠাৎ করেই সামনে দেখতে পেয়ে ভয়ের মাত্রা বাড়ে। অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে। ভেতরে ভেতরে এক অজানা আতঙ্ক গেঁথে বসে তার শরীরে। আরো শক্ত করে শিউলির হাত চেপে ধরে মনে মনে দোয়া দুরুদ পড়তে শুরু করে দেয়। এই যাত্রায় বেঁচে গেলে আর কোম্মিনকালেও এই পথের মুখোমুখি হবেনা সে।

এই মানুষটাকে দেখলেই শরীর শিউরে ওঠে তার। ছোটবেলা থেকেই এমনটা হয়ে আসছে। কারণ লোকটড় সঙ্গে যখনি দেখা হয়েছে, তখনই কোনো না কোনো অঘটন ঘটেছে সুবহার জীবনে।

শিউলি থমকে দাঁড়ায়। তবে তার চোখ বাঁধা উজ্জ্বলের দিকে নয়, বরং চেয়ারে বসে থাকা ব্যক্তির ওপর আটকায়। রাসেল ভাই তাহলে ঠিকই বলেছে। লোকটা যেন দিনদিন আরো যুবকে পরিণত হচ্ছে। অন্যদিকে, শিউলির এই অন্যমনস্কতা দেখে সুবহার শঙ্কা আরও বাড়ে। ইশারায় বোঝাতে চায় এখান থেকে চলে যেতে।
কিন্তু শিউলি অনড়। এক সময় উল্টো সুবহার ধরে রাখা হাত ছেড়ে পুরোপুরি থেমে দাঁড়ায়।

সুবহা বুঝতে পারে না, সে কি এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি সোজা ফিরে যাবে বাড়িতে? দ্বিধার দোলাচলে দুলতে দুলতে পেছন থেকে হঠাৎ ঘেউ ঘেউ শব্দে চমকে ওঠে সুবহা।

এর মাঝেই পিছন থেকে বাজারের একটি কুকুর এসে ঘেউ ঘেউ শুরু করে দেয়। আচানক কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দে সুবহা ভড়কে যায়। দ্রুত কুকুরটিকে তাড়ানোর জন্য চেঁচাতে থাকে সে। পরোক্ষনে চোখ পরে এটা তো তাদের বাজারের কুকুর নয়? দেখতেও অনেকটা বিদেশি কুকুর দেড় মতোই। এই আজব প্রাণী আবার কোথা থেকে উদয় হয়েছে তাদের গ্রামে? এর আগে তো কখনো দেখেনি সুবহা একে।

নিজের পোষা কুকুরের ডাক শুনেই চেয়ারে বসে থাকা মানুষটি দৃষ্টি ফেরায় সেদিকে। শিউলির আড়ালে থাকা সুবহার দিকেই চোখ পড়তেই ডেকে উঠে,

--"মিলো, কাম হেয়ার।"

অবাক করার মতোই ঘটনা ঘটে। কুকুরটি কি বুঝল, কে জানে। একবার ডাকতেই কী সুন্দর লেজ নাড়িয়ে চলে গেল তার কাছে। সুবহা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। মনে মনে ভাবে হয়তো লোকটা তাকে দেখতে পায়নি। কিন্তু তার শ্বাস পুরোপুরি ফেলার আগেই আবারও গম্ভীর কণ্ঠস্বর ভেসে আসে,

--"অভাবে চোরের মতো লুকিয়ে আছিস কেন? বেরিয়ে আয় সামনে।"

সুবহার মাথা ঝিম ধরে। বুকের ভেতর ঢিপ ঢিপ করে ওঠে। লোকটা তাহলে তাকে দেখেই ফেলেছে! এই পুরো ঘটনার জন্য দায়ী শুধু এই শিউলি! কতবার বলেছিল, আজ না হয় স্কুলে না-ই যায়। কিন্তু এই শিউলির বাচ্চা শুনলে তোহ! শেষমেশ এখন ফেঁসে গেল সে!

--"কিরে! তোকে ডাকছি না? এদিকে আয়।"

ভয়ার্ত পায়ে শিউলির আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে সুবহা। ছোট ছোট কদমে এগিয়ে যায় সামনে। মাথা নিচু করে রাখা। চোখ তুলে তাকানোর সাহসটুকুও যেন অবশিষ্ট নেই শরীরে। চেয়ারে বসে থাকা লোকটি এক নজরে পরখ করে নেয় সুবহাকে।

মাত্র দুই বছর আগে এই মেয়েটা কতটুকুন ছিল! অথচ এখন এক লহমায় কেমন যেন বড় হয়ে গেছে! গম্ভীর স্বরে প্রশ্ন করে,

--"স্কুলে যাচ্ছিস?"

--"জি... জি হ!"

--"কোন ক্লাসে?"

--"টেন..."

--"নিউ টেন?"

--"জ... জি।"

লোকটা তার দিকে কিছুক্ষণ স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। সেই দৃষ্টির ভারে সুবহার আরও অসহায় হয়ে পরে। হাঁসফাঁস লাগে। অস্থিরতা বাড়ে। যেন মাটি ফুঁড়ে হারিয়ে যেতে পারলেই সে সবচেয়ে স্বস্তি পেতো এই মুহূর্তে!

--"সামনের বছর তাহলে কলেজে উঠবি?"

সুবহা বুঝতে পারেনা লোকটা তার সঙ্গে কী বোঝাপড়া করতে চাচ্ছে। সে ফেল ফেল করে তাকায় লোকটির দিকে। সাথে সাথে চোখা চোখি হয় দুজনের। তৎযলদি চোখ নামিয়ে নেয় সুবহা। ইতোমধ্যেই লোকটা উঠে দাঁড়িয়েছে। রোদের তাপে তার স্পষ্ট অবয়ব এক অজানা আভাস ফেলে সুবহার ছোট্ট অন্তকরণে। সুবহার নজরে পড়ে লোকটা একটুও বেশিই লম্বা। পরনে জুতাগুলো রোদের তাপে চকচকে ঝিলমিল করছে। জুতায় আবার কিসের যেন একটা অক্ষর লেখা।সুবহা শুনেছে এই লোকের সৌখিনতা সম্পর্কে। সবকিছু নাকি ব্রান্ডের জিনিস ব্যবহার করে। হয়তো জুতা টাও কোনো ব্রান্ডের হবে। নামি দামি কোনো ব্র্যান্ড।

--"বয়স কত রে তোর এখন?"

সরাসরি এমন প্রশ্নে একটু বিব্রত হয়ে পরে সুবহা। নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করে কাপা কাপা গলায় আওড়ায়,

--"জি!"

তবুও লোকটি বিরত না হয়ে পুনরায় জিজ্ঞাসা করে,

--"তোয় বয়স কত চলছে?"

--"ষোলো!"

--"১৭ ও হয়নি এখনো?"

--"সামনের মাসে হবে।"

লোকটা আর কিছু বলল না। চোখের দৃষ্টি আরও গভীর হয়ে এল সুবহার উপর। একবার ভালো করে তাকিয়ে ঠান্ডা গলায় শুধালো,

--"বাড়ি ফিরে যা। আজ স্কুলে যাওয়া লাগবে না।"

সুবহা যেন এই অপেক্ষাতেই ছিল। বলা মাত্রই এক মুহূর্তও দেরি না করে পিছন ফিরে হাঁটা দেয়। তবে তার যাওয়ার আগেই লোকটা একদম কাছে এসে দাঁড়ায়। মাথা টা একটুও নিচু নামিয়ে ফিসফিসিয়ে বলে,

--"কাল থেকে স্কুলে যাওয়ার সময় শরীরে এক্সট্রা ওড়না পরবি। মাথায় হিজাব পেচাবি। চাচাকে বলবি, বোরকা কিনে দিতে। এরপর যদি বোরকা ছাড়া তোকে বাড়ির বাইরে দেখি তাহলে পা ভেঙে হাতে ধরিয়ে দেবো। এখন বাড়ি যা।"

শরীরের সমস্ত র"ক্ত যেন জমে যায় সুবহার। গা শিউরে উঠে। মুহূর্তে যেন নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে চাইল। মাথা নিচু করে সে আর দাঁড়ায় না। এক দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসে। এমনকি শিউলিকেও ডাকে না সে। মেয়েটার জন্যই আজ এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হলো তাকে। ফাজিল মেয়ে কোথাকার! বাড়ি গিয়ে ইচ্ছেমতো ধোলাই দেবে ওকে!

হাঁটতে হাঁটতে বুকের ভেতর ধুকপুকানি কমার বদলে যেন আরও বেড়ে যায়। এই দু'বছর সে কতটা শান্তিতে ছিল! অথচ আজ আবার সেই দুঃস্বপ্নের বাস্তবতায় ফিরে এসেছে। সেই পুরোনো আতঙ্ক। সেই চেপে আসা নিঃশ্বাস। সেই দৃষ্টির দগদগে আগুন! তেজওয়ান নাওফিক চৌধুরী!

#সূচনা_পর্ব
#প্রাণনাশিনী
#সুহাসিনি_মিমি

(আমি হলাম মেন্টাল মানুষ। মনের ভিত্বে একবার যেটা ঢুকবো ঐটা না করা পর্যন্ত খুট খুট হয় সারাক্ষন। না লিখলে শান্তি পাচ্ছিলাম নাহ। আপনারা বললে এটা কন্টিনিউ করবো সিজন ২ এর পাশাপাশি। সপ্তাহে দু পর্ব করে পাবেন। যদি চান তাহলেই। কেমন লাগলো জানাবেন।)

এই বৃষ্টির মৌসুমে পারফেক্ট আপনার জন্য 🥰 #বৃষ্টিভেজা_আলাপন সকল পর্ব: #ফাতেমা_তুজ_নৌশি(১)https://m.facebook.com/story.php?...
11/05/2025

এই বৃষ্টির মৌসুমে পারফেক্ট আপনার জন্য 🥰
#বৃষ্টিভেজা_আলাপন সকল পর্ব:
#ফাতেমা_তুজ_নৌশি
(১)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=260659866494915&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(২)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=261304166430485&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(৩)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=261975799696655&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(৪)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=262593129634922&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(৫)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=263120339582201&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(৬)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=263650439529191&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(৭)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=264184706142431&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(৮)
https://www.facebook.com/100076527090739/posts/264714479422787/?app=fbl
(৯)
https://www.facebook.com/100076527090739/posts/265263846034517/?app=fbl
(১০)
https://www.facebook.com/100076527090739/posts/265854755975426/?app=fbl
(১১)
https://www.facebook.com/100076527090739/posts/266440712583497/?app=fbl
(১২)
https://www.facebook.com/100076527090739/posts/266945782532990/?app=fbl
(১৩)
https://www.facebook.com/100076527090739/posts/267514292476139/?app=fbl
(১৪)
https://www.facebook.com/100076527090739/posts/268086955752206/?app=fbl
(১৫)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=268647485696153&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(১৬)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=269190802308488&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(১৭)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=269786242248944&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(১৮)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=270394925521409&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(১৯)
https://www.facebook.com/100076527090739/posts/270946895466212/?app=fbl
(২০)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=271552022072366&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(২১)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=272120982015470&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(২২)
https://www.facebook.com/100076527090739/posts/272785978615637/?app=fbl
(২৩)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=273392608554974&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(২৪)
https://www.facebook.com/100076527090739/posts/274017208492514/?app=fbl
(২৫)
https://www.facebook.com/100076527090739/posts/274702028424032/?app=fbl
(২৬)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=275306775030224&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(২৭)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=275841214976780&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(২৮)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=277107641516804&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(২৯)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=278199468074288&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(৩০)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=279155774645324&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(৩১)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=280174121210156&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(৩২)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=281244681103100&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(৩৩)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=282303647663870&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(৩৪)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=283529794207922&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(৩৫)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=285244800703088&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(৩৬)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=287064060521162&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(৩৭)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=288310827063152&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(৩৮)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=290148510212717&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(৩৯)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=291759556718279&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(৪০)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=293435516550683&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(৪১)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=295512999676268&id=100076527090739&mibextid=Nif5oz
(৪২)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=297603669467201&id=100076527090739&mibextid=2JQ9oc
(৪৩)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=299671249260443&id=100076527090739&mibextid=2JQ9oc
(৪৪)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=301713309056237&id=100076527090739&mibextid=2JQ9oc
(৪৫)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=303232895570945&id=100076527090739&mibextid=2JQ9oc

~সমাপ্ত~

"এই মেয়ে ভেজা কাপড়ে দাঁড়িয়ে আছ কেন?"

দেড় ঘন্টা বৃষ্টিতে ভিজে হসপিটালে পৌছাল উষশী। ঠান্ডায় থর থর করে কাঁপছে সে। তার দৃষ্টি এদিক সেদিক লু ট পাট চালাচ্ছে। সে হাতের ইশারায় সামনের দিকে দেখাল। সামনে থাকা ব্যক্তিটি অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে বলল,"ভেজা কাপড় নিয়ে সামনে যাওয়া যাবে না। চেঞ্জ করে আসবে।"

অভিরাজের কথাকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে করিডর দিয়ে ছুটে চলল কিশোরী। এক মুহূর্তের জন্য বোকা বনে গেল ছেলেটা। পর পর হাক ছেড়ে ডাকতে লাগল।
"গার্ড,গার্ড কোথায় আপনারা? হসপিটালে কি হচ্ছে এসব!"

অভিরাজের কণ্ঠ পেয়ে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এল দুজন গার্ড। ব্যস্ত হয়ে শুধাল,"কি হয়েছে স্যার?"

"আপনাদের চোখ কোথায় থাকে? ভেজা কাপড় নিয়ে একটা মেয়ে হসপিটালে ঢুকে গেল আর আপনারা বসে বসে ঝিমুচ্ছেন!"

"সরি স্যার। গেটের কাছটা অনেক ভীড় ছিল তাই দেখতে পাই নি আমরা।"

"নেক্সট যেন এমন কিছু না হয়। এটা একটা হসপিটাল, চিরিয়াখানা নয়। মেয়েটাকে খোঁজার ব্যবস্থা করুন।"

কথা শেষে লম্বা কদমে চলে এল অভিরাজ। এমনিতেই আজ মেজাজ গরম। তারপর আবার এইসব কান্ড!

উন্মাদের মতো ছুটে চলেছে উষশী। তার আচরণ খেই হারা মাঝি'র মতো। সব যেন শেষ হয়ে এসেছে। চুল থেকে টপটপ করে পানি ঝরছে। পরনের হাঁটুসম ফ্রকটা শরীরের সাথে লেপ্টে আছে। কাঁধ সমান বাদামি চুল আর ঘোলাটে চোখের মনি। শুভ্র রঙের উষশী যেন সদ্য প্রস্ফুটিত ফুলের উপর এক বিন্দু শিশির কণা। পায়ে থাকা স্লিপার থেকে চপ চপ শব্দ হচ্ছে। আরেকটু ছুটতে যাবে ওমন সময় একজন লেডি গার্ড খপ করে হাতটা ধরে ফেলল। কিশোরী নিজের হাত ছাড়ানোর প্রয়াসে বলল,"ছাড়ো,ছাড়ো আমার হাত।"

লেডি গার্ড হাত ছাড়লেন না বরং টেনে নিয়ে যেতে লাগলেন। উষশী'র শ্বেত রঙা মুখ লাল হয়ে এসেছে। দীর্ঘ সময় বৃষ্টির জল মাথায় করে ছুটে এসেছে সে। শরীরটাও অনেকটা অবশ হয়ে এসেছে। হাত ছাড়াতে না পেরে রাগ হচ্ছে। রাগের কারণে তার ঠোঁট দুটোয় কম্পন ধরে গেল। মেয়েটি'র দু চোখ রক্তিম। ঠিক যেন কৃষ্ণচূড়া! লেডি গার্ডের শক্তির নিকট হেরে গিয়ে বুদ্ধি খাটাল সে। চকচকে তীক্ষ্ণ দাঁতের কামড়ে ছাড়তে বাধ্য হলেন তিনি। উষশী সময় ব্যায় না করে পুনরায় ছুটতে লাগল। ছোট্ট,উন্মাদ কিশোরী এবার ধাক্কা খেল এক শক্তপোক্ত দেহের সাথে। ছিটকে পড়তে পড়তে সামলে নিল নিজেকে। রাগে দুঃখে দুটি চোখ ভরে উঠেছে নোনা জলে। কিছু বলবে ওমন সময় মিউ মিউ আওয়াজটা কানে এল। সব রাগ উবে গেল যেন। ছোট্ট দেহটাকে নাড়িয়ে পাশ ঘুরে তাকাল। পরমুহূর্তেই একরাশ আনন্দ এসে ভর করল তার চোখে মুখে। অত্যন্ত আনন্দের সাথে ডাকল।
"কোকো! কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলে তুমি।"

অভিরাজ বোকার মতো তাকিয়ে। ক্ষণে ক্ষণে অবাক হচ্ছে সে। হসপিটালে বিড়াল ও ঢুকে গেছে! লেডি গার্ড ছুটে এসে বললেন,"স্যার এই তো মেয়েটা। শ য় তা ন মেয়ে আমায় কামড়ে পালিয়েছে।"

শ য় তা ন শব্দটি কানে এল উষশী'র। সে তার কোকো নামক বিড়ালের শরীরে হাত বুলিয়ে দিচ্ছিল।
"কি বাজে তুমি!"

লেডি গার্ড অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে কিছু বলতে যাবে ওমনি থামিয়ে দিল অভিরাজ। চোখের ইশারায় চলে যেতে বলে সামনে তাকাল। উষশী তার ছোট্ট সাদা বিড়ালটিকে নিয়ে খেলতে শুরু করেছে। বিড়ালটিও পরম আদরে শুয়ে আছে। অভিরাজ হুট করেই ধমকে উঠল,"এই মেয়ে। পাগল তুমি?"

পাগল শব্দটি উষশী'র কানে পৌছাতেই খেপে গেল সে।
"আপনি পাগল।"

"হোয়াট!"

দ্বিতীয় বারের মতো অভিরাজকে উপেক্ষা করে চলে গেল উষশী। মেয়েটির এসব কান্ডে চরম বিরক্ত সে। কিছুটা এগিয়ে পুনরায় পিছিয়ে এল মেয়েটি। তার ভেজা চুল গুলো কানের পিঠে গুজে নিয়ে শুধাল,"বের হব কি করে?"

পৌ শা চিক আনন্দ পেল অভি। মেয়েটিকে এত সময় পর ঠিকঠাক খেয়াল করল। রোগা পাতলা গড়নের বাচ্চা এক মেয়ে। দেখতে অনেকটা বেবি ডলের মতো।
"কানে শুনেন না আপনি?"

রেগে গেল অভিরাজ। কানে শুনে না মানে কি?
"যেভাবে এসেছ সেভাবে চলে যাও।"

"কোন দিক দিয়ে এসেছি মনে নেই।"

"তো?"

"বের হবার রাস্তা বলেন।"

"পারব না।"

"কেন?"

"আমার ইচ্ছে।"

পর পর জবাবে রাগ হলো উষশী'র। এসির হাওয়া এসে তার শরীর আরো শীতল করে তুলেছে। সে বুঝতে পারছে এই মুহূর্তে হাঁচি উঠবে। অভিরাজ অন্যদিক ফিরতেই পর পর দু বার হাঁচি দিল সে। যার দরুণ লাল হয়ে উঠল তার নাকের ডগা। অভি কিছু বলার পূর্বেই ডানে বামে তাকিয়ে ছুট লাগাল কিশোরী। ঝড়ের মতো এসে ঝড়ের মতোই পালিয়ে গেল বাচ্চাটি। কতক্ষণ ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থেকে রেগে গেল অভিরাজ। হসপিটালের সব নিয়মকানুন উধাও হয়েছে নাকি! কোনো কিছুতেই মনোযোগ নেই এদের।

হসপিটাল থেকে বেরিয়ে এসে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছে উষশী। এখানকার ট্রান্সপোর্ট সম্পর্কে একদমই জানে না সে। এমনকি টাকাও নেই তার কাছে। ফিরবে কেমন করে জানা নেই। এদিকে বিকেল নেমে এসেছে। কোথাও একটা স্মার্ট ওয়াচটা ফেলে এসেছে। লোকেশনও জানে না। খুব কান্না পেল ওর। চারপাশে ব্যস্ত মানুষজন। কোকো একটু পর পর মিউ মিউ করে ডাকছে। সেই সকালে বের হয়েছে। নিশ্চয়ই ক্ষিধে পেয়েছে। কোকোর খাওয়ার কথা চিন্তা করে ওর নিজের ও ক্ষিধে পেয়ে গেল। পেটের ভেতর ইঁদুর নাচছে যেন।
"কোকো খুব ক্ষিধে পেয়েছে? একটু সহ্য করো সোনা।"
বাক্য শেষে ডানে বামে তাকাল সে। যান চলাচল খুব বেশি। বৃষ্টির সময় একদম খালি ছিল রাস্তা। তাই আসতে অসুবিধা হয়নি। এখন তো পার হতেও ভয় হচ্ছে। দু একবার চেষ্টাও করল কিন্তু ব্যর্থ হতে হলো। মন খারাপ করে এপাশ থেকেই চলতে লাগল। ফের বৃষ্টি শুরু হলো। ক্ষিধের চোটে কোকো সমানে চেচামেচি করছে। মানুষজন ছুটোছুটি করে বৃষ্টির জল আড়াল করছে। আর উষশী,মুখ গোমড়া করে পথ চলছে। ভরা বৃষ্টিতে তার পা যুগল চুলকোচ্ছে। সে তবু হেঁটে চলেছে। চপ চপ শব্দ করে আরেকটু চলতেই জুতো ছিঁড়ে গেল। রাগে দুঃখে সেটাকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলল। কোকো ভাবল এটা বোধহয় কোনো খেলা। সে লাফানোর প্রয়াস করতেই নরম,হতাশ কণ্ঠে বলল উষশী।
"ওটা আর কাজে লাগবে না কোকো। জানি না ফিরব কেমন করে।"

কোকো কি বুঝল কে জানে। অত্যন্ত আবেগী সুর তুলে দু বার মিউ মিউ ডাকল। একটুখানি হেসে উষশী হাত বুলিয়ে দিল। সূর্য প্রায় নেমে এসেছে। আকাশ কিছুটা লাল আভায় মিশে গেছে। পরিবেশ খুব সুন্দর লাগলেও উষশী'র মনে বিষাদ। সে কি করে বাড়ি ফিরবে বুঝতে পারছে না। এদিকে আরো কয়েকবার হাঁচি দিল। শীতে কুকরে গেছে কোকো। মায়া হচ্ছে খুব। বাস স্ট্যান্ড গুলো খালি পড়ে আছে। একটা মানুষের দেখা নেই। তবে কিছু নেড়ি কুকুর রয়েছে। দু একটা ঘেউ ঘেউ শব্দ করে ডাকছে। উষশী নজর ঘুরাল। তার শরীর অবশ মনে হচ্ছে। উদাস দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল ইট কংক্রিটের বৃষ্টিভেজা রাস্তাতে। সন্ধ্যার আজান পড়ে গেছে। এবার উষশী'র খুব কান্না পেল। সে হয়ত কেঁদেই ফেলত। ঠিক তখনি একটা সুন্দর মেয়ে ডাকল,"বাবু,এখানে বসে আছ কেন?"

উষশী নজর ঘুরাল। শরীরে এপ্রোন দেখে বুঝল মেয়েটি ডাক্তার। সে কিছু বলত তবে পেছনে থাকা পুরুষটিকে দেখে চুপসে গেল। বে য়া দ ব লোকটার কপালে ভাঁজ পড়েছে। বোঝা যাচ্ছে কতটা বিরক্ত সে।
"তুমি তো কাঁপতে শুরু করেছ! এভাবে জ্বর হবে। কিছু বলো বাবু।"

উষশী কিছু না বলে উঠে হাঁটা লাগাল। অভি রাগ মিশ্রিত কণ্ঠে বলল,"দেখলি,নাম্বার ওয়ান ঘাড়ত্যাড়া।"

"তুই বেশি করছিস। ও তো একটা বাচ্চা।"

"বেশি বকছি না। আস্ত বেয়াদব।"

"অভি প্লিজ। মেয়েটা হয়ত ভয় পেয়েছে।"

"ভয়! হা,ওর মধ্যে কোনো ভয় নেই। বরং অন্যকে জ্বালিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।"

লাবণ্য কথা বাড়াল না। পায়ের গতি বাড়িয়ে উষশীর পথ আটকাল।
"তুমি রাগ করেছ?"

এবার ও কথা বলল না উষশী। অভি তাচ্ছিল্য হাসল।
"ভয় পাচ্ছ?"

"না।"

"তাহলে।"

"পথ ছাড়ো।"

"কিন্তু তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে রাস্তা চিনো না। বার বার একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছ।"

"চিনি।"

"আমার দিকে তাকাও।"

"কেন?"

"তুমি কি হারিয়ে গেছ?"

"না।"

"তাহলে?"

"কিছু না।"

হাঁপিয়ে উঠল লাবণ্য। মেয়েটি আসলেই ঘাড়ত্যাড়া। কিন্তু এভাবেও ছেড়ে দেওয়া যায় না। ততক্ষণে অভিও চলে এসেছে।
"বাচ্চা হলে কি হবে,তেজ দেখেছিস?"

"অভি তুই!"

উষশী চোখ মেলে তাকাল। তার ঘোলাটে চোখে পানি চিকচিক করছে। লাবণ্য সেটা দেখতে পেয়ে বলল,"বাবু কাঁদে না।"

"পথ ছাড়ো আমার।"

"তুমি ওর কথায় রাগ করেছ?"

"বদ লোক।"

"কি বললে..."

"অভি,প্লিজ থাম একটু। তুই ও কি বাচ্চা হয়ে গেলি?"

কিছু বলতে যেতেই লাবণ্য সরিয়ে দিল। খুব যত্ন নিয়ে উষশীর মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,"বাসা কোথায় তোমার?"

"খুঁজে পাচ্ছি না।"

"এখানে এলে কি করে?"

"গুগল ম্যাপ দেখে।"

"দেখি।"

"হারিয়ে ফেলেছি।"

"তুমি ঠিকানা বলতে পারবে?"

"মনে নেই।"

লাবণ্য বুঝতে পারছে না কি করবে। অভি একটু দূরে সরে এসেছে। হাতের ইশারায় ডাকল তাকে।
"কি?"

"ও সম্ভবত এখানে নতুন।"

"তো?"

"কোনো ভাবে হারিয়ে গেছে। ঠিকানাও বলতে পারছে না। এখন কি করি বল তো।"

"কিছু করার দরকার নেই।"

"অভি!"

"যে তেজ,শুনবে কোনো কথা।"

"শুনবে,তুই শুধু শুধু এমন করছিস।"

"বল আমাদের সাথে যাবে কি না। না গেলে আর একটা শব্দও করবি না। আস্ত শ য় তা ন মেয়ে।"

লাবণ্য চোখ রাঙিয়ে পুনরায় উষশী'র কাছে এল। মেয়েটি এবার সত্যিই ভয় পাচ্ছে।
"তোমার নাম কি?"

"উষশী।"

"আচ্ছা উষশী,তুমি তো তোমার ঠিকানা বলতে পারলে না। এই রাতে রাস্তায় থাকাও ঠিক নয়। তুমি কি আমাদের সাথে যাবে?"

উষশী ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এদিকে অভি বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে। মেয়েটির খুব রাগ হলো।
"এই লোকটাও যাবে?"

"হ্যাঁ।"

"যাব না।"

"কেন?"

"লোকটা বাজে।"

ক্ষেপে গেল অভিরাজ। টেনে নিয়ে যেতে লাগল লাবণ্যকে। উষশী'র নাকের ডগা লাল হয়ে গেছে। তার খুব অসহায় লাগছে। সে কোকো কে কোলে তুলে নিয়ে সামনের দিকে ছুটতে লাগল। এদিকে লাবণ্য অভিরাজের সাথে তর্ক জুড়ে দিল।
"পাগল হয়ে গেলি তুই?"

"আমি না তুই পাগল হয়ে গেছিস। এমন তেজ ওয়ালা মেয়েকে কোথায় নিবি তুই?"

"বাচ্চা একটা মেয়ে।"

"শুধু বাচ্চা না। বল বদমেজাজি বাচ্চা।"

"সে যাই হোক,তুই বুঝার চেষ্টা কর। একা একটা মেয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়ালে পরদিন অবধি ঠিক থাকবে?"

এতক্ষণে টনক নড়ল অভিরাজের। সে তবু বিরক্ত হয়ে বলল,"যা ইচ্ছে কর।"

লাবণ্য সামনে ঘুরে দেখল মেয়েটি আগের জায়গায় নেই। ভ্রু কুচকে গেল।
"কোথায় গেল মেয়েটা!"

"কোথায় গেল মানে?"

"নেই তো।"

চারপাশে নজর বুলাল অভিরাজ। সত্যিই কোথাও দেখা যাচ্ছে না। এবার সত্যিই ভয় হচ্ছে ওর। রাত হয়ে এসেছে। বৃষ্টির মধ্যে কোথায় চলে গেল মেয়েটা?

#বৃষ্টিভেজা_আলাপন (১)
কলমে~ফাতেমা তুজ নৌশি
চলবে....

**পাঠকদের রেসপন্স আশা করছি। গল্পটা আপনাদের মনকে স্পর্শ করবে বলেই আমার বিশ্বাস।**

পরবর্তী পর্ব পেতে পেজে ফলো ও পাঠকমহলে জয়েন করুন।

পেজ : https://www.facebook.com/fatematuz.storyofficial

গ্রুপ :
https://facebook.com/groups/2944711092471263/

24/04/2025

#ভয়_আছে_পথ_হারাবার ~
ফারিশতা_রাদওয়া(ছদ্মনাম)
#কাজিন_রিলেটেড
সব পর্বের লিংক
১.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/112833227727188/?app=fbl
২.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/113311404346037/?app=fbl
৩.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/113928200951024/?app=fbl
৪.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/115620874115090/?app=fbl
৫.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/117105923966585/?app=fbl
৬.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/117551997255311/?app=fbl
৭.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/118366387173872/?app=fbl
৮.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/118770950466749/?app=fbl
৯.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/119916150352229/?app=fbl
১০.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/120287716981739/?app=fbl
১১.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/121404643536713/?app=fbl
১২.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/121749826835528/?app=fbl
১৩.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/122498750093969/?app=fbl
১৪.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/123042666706244/?app=fbl
১৫.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/123902223286955/?app=fbl
১৬.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/124289933248184/?app=fbl
১৭.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/124985346511976/?app=fbl
১৮.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/125326143144563/?app=fbl
১৯.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/125961889747655/?app=fbl
২০.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/126293203047857/?app=fbl
২১.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/126874476323063/?app=fbl
২২.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/127227652954412/?app=fbl
২৩.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/127495112927666/?app=fbl
২৪.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/128330102844167/?app=fbl
২৫.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/128405022836675/?app=fbl
২৬.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/128970962780081/?app=fbl
২৭.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/129258999417944/?app=fbl
২৮.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/129524646058046/?app=fbl
২৯.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/129754389368405/?app=fbl
৩০.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/130464292630748/?app=fbl
৩১.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/130597642617413/?app=fbl
৩২.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/130796209264223/?app=fbl
৩৩.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/131114345899076/?app=fbl
৩৪.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/131339982543179/?app=fbl
৩৫.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/131526032524574/?app=fbl
৩৬.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/131598505850660/?app=fbl
৩৭.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/131826912494486/?app=fbl
৩৮.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/132071355803375/?app=fbl
৩৯.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/132328949110949/?app=fbl
৪০.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/133270382350139/?app=fbl
৪১.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/133462132330964/?app=fbl
৪২.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/133751495635361/?app=fbl
৪৩.
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/134497622227415/?app=fbl
৪৪. শেষ
https://www.facebook.com/112777294399448/posts/134581885552322/?app=fbl

 #আমার_প্রেমিক_ধ্রুব (সম্পূর্ণ শেষ হওয়া গল্প)  #অবন্তিকা_তৃপ্তি গল্পটা বখাটে ধ্রুবর এবং ওর সঙ্গে হঠাৎ জড়িয়ে পরা অদিতি...
05/04/2025

#আমার_প্রেমিক_ধ্রুব (সম্পূর্ণ শেষ হওয়া গল্প)
#অবন্তিকা_তৃপ্তি
গল্পটা বখাটে ধ্রুবর এবং ওর সঙ্গে হঠাৎ জড়িয়ে পরা অদিতির!

সকল পর্বের লিংক-

সূচনা পর্ব - https://www.facebook.com/share/p/GGG9ARmcEFcKKB5c/?mibextid=WC7FNe

২য় পর্ব - https://www.facebook.com/share/p/6Z49TFCKHMGDX6Vc/?mibextid=WC7FNe

৩য় পর্ব - https://www.facebook.com/share/p/2DhBsTNCrfFetwrG/?

পর্ব ৪- https://www.facebook.com/61555987826360/posts/122183610698199594/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

পর্ব ৫- https://www.facebook.com/61555987826360/posts/122184251192199594/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

পর্ব ৬- https://www.facebook.com/61555987826360/posts/122184849230199594/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

পর্ব ৭- https://www.facebook.com/61555987826360/posts/122185744430199594/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

পর্ব ৮- https://www.facebook.com/61555987826360/posts/122186259386199594/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

পর্ব ৯- https://www.facebook.com/61555987826360/posts/122187062990199594/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

পর্ব ১০– https://www.facebook.com/61555987826360/posts/122187887996199594/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

পর্ব ১১- https://www.facebook.com/61555987826360/posts/122188450652199594/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

পর্ব ১২– https://www.facebook.com/61555987826360/posts/122189369924199594/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

পর্ব ১৩– https://www.facebook.com/61555987826360/posts/122190386024199594/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

পর্ব ১৪– https://www.facebook.com/share/p/19dz3b8TGu/?mibextid=WC7FNe

পর্ব ১৫– https://www.facebook.com/share/p/1AuusjKiFq/?mibextid=WC7FNe

পর্ব ১৬– https://www.facebook.com/share/p/15F3hN4DKM/?mibextid=WC7FNe

পর্ব ১৭– https://www.facebook.com/share/p/14c3YZo48F/?mibextid=WC7FNe

পর্ব ১৮– https://www.facebook.com/share/p/19iX9jAtXK/?mibextid=WC7FNe

পর্ব ১৯- https://www.facebook.com/share/p/156oACQbKx/?mibextid=WC7FNe

পর্ব ২০- https://www.facebook.com/61555987826360/posts/122195023034199594/

পর্ব ২১– https://www.facebook.com/61555987826360/posts/122195644430199594/

পর্ব ২২– https://www.facebook.com/61555987826360/posts/122196254654199594/

পর্ব ২৩– https://www.facebook.com/61555987826360/posts/122197016078199594/

পর্ব ২৪– https://www.facebook.com/61555987826360/posts/122197756286199594/

পর্ব ২৫(স্পেশাল)— https://www.facebook.com/61555987826360/posts/122198655386199594/

পর্ব ২৬– https://www.facebook.com/61555987826360/posts/122199526574199594/

পর্ব ২৭– https://www.facebook.com/61555987826360/posts/122200082900199594/

পর্ব ২৮- https://www.facebook.com/61555987826360/posts/122200685342199594/

পর্ব ২৯– https://www.facebook.com/61555987826360/posts/122201728334199594/

পর্ব ৩০– https://www.facebook.com/share/p/1TuUGGzdzg/?mibextid=wwXIfr

পর্ব ৩১– https://www.facebook.com/share/p/1AteqgkPaH/?mibextid=wwXIfr

পর্ব ৩২ ( সারপ্রাইজ পর্ব ) —-https://www.facebook.com/share/p/19k3EYqZzd/?mibextid=wwXIfr

পর্ব ৩৩—-https://www.facebook.com/share/p/1BB2KmPqxy/?mibextid=wwXIfr

পর্ব ৩৪—https://www.facebook.com/share/p/1ERf2s52wg/?mibextid=wwXIfr

পর্ব ৩৫—https://www.facebook.com/share/p/17fvzNfDh7/?mibextid=wwXIfr

পর্ব ৩৬–https://www.facebook.com/share/p/15pUcJCR21/?mibextid=wwXIfr

পর্ব ৩৭–https://www.facebook.com/share/p/15CAa3CQqC/?mibextid=wwXIfr

পর্ব ৩৮–https://www.facebook.com/share/p/1C6tnqaJUb/?mibextid=wwXIfr

পর্ব ৩৯–https://www.facebook.com/share/p/19wUp2cavd/?mibextid=wwXIfr

পর্ব ৪০– https://www.facebook.com/share/p/1ABRScaMQe/?mibextid=wwXIfr

পর্ব ৪১– https://www.facebook.com/share/p/1MMEMzJLBx/?mibextid=wwXIfr

পর্ব ৪২– https://www.facebook.com/share/p/1ANufaT1ZQ/?mibextid=wwXIfr

শেষ পর্ব—https://www.facebook.com/share/p/1AV44u76Ng/?mibextid=wwXIfr

বাকি পর্ব পোস্ট করা হলে এড করা হবে।

২ য় পর্ব - https://www.facebook.com/share/p/DhkYnY8b5mLLRNcx/?mibextid=WC7FNe

‘খাদ্য মন্ত্রীর বখাটে ছেলে ধ্রুবর সঙ্গে ম্যাথ ডিপার্টমেন্টের ভীতু মেয়ে অদিতির গভীর প্রেম চলছে, যাকে বলে বিছানায় শুয়ে পরা টাইপ প্রেম।’

কথাগুলো যেন মুহূর্তেই ধোঁয়ার ন্যায় উড়ে উড়ে চষে বেড়ালো পুরো ভার্সিটি। এক কান-দু কান করে এই নোংরা কথাগুলো অদিতির কান অব্দি পৌঁছালো। অদিতি যেদিন এসব শোনেছে, সেদিন থেকে লজ্জায়-অপমানে ওর ছোট দুনিয়াটা ভেঙ্গে পড়েছে। সেদিন সারারাত অদিতি ওসব কথা ভেবে কেঁদেছিল। ভীষণ ছোট এক অজপাড়া গ্রাম থেকে এসেছে ও এই ঢাকা শহরে। তাদের ওই ছোট গ্রামে মেয়ে-ছেলে একসঙ্গে দেখলেই বিয়ে পরিয়ে দেওয়া হয়। সেই ভয়ে গ্রামে কেউ প্রেম করলেও দূর গ্রামে গিয়ে দেখা করে। আর অচেনা ছেলে-মেয়ে তো গ্রামে মুরুব্বিদের সামনে একসঙ্গে দাঁড়ায় অব্দি না। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে- বিয়ে করিয়ে দিলে তো ভালো। কিন্তু না, বরং মোটেও ভালো না ওদের এই নিয়ম। কারণ; যেসব ছেলে-মেয়ে প্রেম করে ধরা খায়, তাদের নিয়ে পুরো গ্রামে পঞ্চায়েত জড়ো করে সালিশ বসে। অপমানিত হতে হয় দুই পরিবারের বাবা-মা-আত্মীয়কে! ওদের গ্রামে সবার মধ্যে এই প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে বিদ্বেষ একটা আছে।

সেই ছোট গ্রাম থেকে উঠে এসেছে অদিতি। পড়াশোনায ছোট থেকেই বড্ড চালাক, তাই ঢাকা ভার্সিটিতে চান্সও হয়েও যায়। তারপর? তারপর অদিতি-ওর মা এবং বাবার সঙ্গে লাগে মহাযুদ্ধ।

যুদ্ধততে অদিতি এবং ওর মা ফাহিমা ছিলেন এক পক্ষে, বিপক্ষে ওর বাবা তোফাজ্জল। সে কি ভয়াবহ বিতি-কেচ্ছা! অদিতি এখন ওসব ভাবতেও চায়না। যেভাবেই হোক, শেষ অব্দি স্বপ্নের ভার্সিটিতে পড়তে পেরেছে ও। এখানে আসার পর, নিজের খরচ কটা টিউশনি করিয়ে চালানো হয়। গ্রাম থেকে টাকা যেগুলো আসে, ওগুলো বই-একাডেমিক জিনিস কিনতেই ব্যয় হয়। থাকা-খাওয়ার খরচ ও নিজে চালায়। বাকি টাকা জমা করে, ভেবেছে কিছু টাকা জমলে এবারের ওর বাবার জন্যে একটা পাঞ্জাবি কিনবে, আর মায়ের জন্যে একটা স্বর্ণের চিকন চেইন! এটুকু আপাতত ওই ছোট গ্রামের অদিতির ইচ্ছে-স্বপ্ন!

ওই ছোট-ছোট স্বপ্নগুলোই অদিতিকে বাঁচিয়ে রাখছে এতদিন যাবৎ! স্বপ্ন দেখতে দেখতে এতদূর আসা অদিতি জানতেই পারে না- ওর জন্যে অপেক্ষা করছে ভয়াবহ কেউ, বখাটে-অশৃঙ্খল এক পুরুষ- নাম ধ্রুব, ধ্রুব ইয়ামিন! নামটা ভীষণ সুন্দর, সে দেখতেও খারাপ নয়। শ্যামলা গড়নের লম্বা-উঁচু ছেলে! পড়াশোনার ধার কখনোই ধারেনি। বন্ধু বান্ধব মিলে সারাক্ষণ টো-টো করে বেড়ানোই ওর কাজ। ধ্রুব ইয়ামিন-সম্পূর্ণ বিপরীত চরিত্র অদিতি হায়াতের।

তবে এই বিপরীত চরিত্র-দুটোর যেন কি থেকে কি হয়ে গেল- ছোটমটো গ্রাম থেকে আসা ভীতু অদিতির নামের সঙ্গে জড়িয়ে গেল বখাটে ধ্রুব ইয়ামিনের নামটা।

সেদিনের কথা- বন্ধুরা মিলে আজ একজনের ক্লাসমেটের বার্থডে সেলিব্রেট করেছিল। শহরের ওই ছেলেপেলেগুলো যেভাবে সেলিব্রেশন করে, ওভাবেই ঘটল সব। ওরা কেক খেলো না, বরং একে অপরের মুখে লাগিয়ে দিতে থাকল। অদিতি এসব চেনে না, ও বারবার মানা করার পরও তানিয়া দৌড়ে এসে, হেসে মজার ছলে কেক হাতের থাবায় নিয়ে মাখিয়ে দিল অদিতির মুখে, উল্লাসে মেতে উঠল পুরো ক্লাসরুম।

অদিতি বোকার মতো ওদের এসব কাজ দেখছে, ওর মুখটা তৈলাক্ত হয়ে গেছে কেকের ক্রিমে। অদিতিকে এমন চেহারা করতে দেখে তানিয়ে হেসে বললো—‘কি রে? এমন করে তাকাচ্ছিস কেন? তোকে কেক অবস্থায় সুন্দর লাগছে,সাদা ভূত।

তানিয়া হেসে হেসে অদিতির কাধ জড়িয়ে ওর গায়ে লুটিয়ে পড়লো। বলতে লাগল। অদিতি হাসার চেষ্টা করলো ওর দিকে চেয়ে। এমন একটা অবস্থায় কি রিয়েকশন দিতে হয় অদিতি জানে না। তবুও ও কাউকে কষ্ট দিতে চায়না। বলা যায় না- ও কচু বলে উঠলেই ওরা মজা ভুলে ফুসে উঠবে অদিতির উপর। সে জন্যে সবাইকে পাশ কাটিয়ে চলে যায় ওয়াশরুমে। ওয়াশরুমে তখন আগে থেকেই ধ্রুব দাড়িয়ে সিগারেট ফুঁকছিল। অদিতির চোখে-মুখে ক্রিম লেগে থাকায় ও ধ্রুবকে লক্ষ‍্য করেনি।

অদিতি বেসিনে মুখ ঝুঁকিয়ে মুখে পানি ছেটাতে থাকে, মুখ ঘষতে ঘষতে মুখের তৈলাক্ত ভাব যাচ্ছেই না। অদিতির সুন্দর-গোলগাল মুখটা এত ঘষা সহ‍্য করলো না, রক্তিম হয়ে গেল! অদিতি হাল ছেড়ে আয়নার দিকে তাকালো! দেখতে পেল, ওর পেছনে একটা ছেলে! হাতে সিগারেট,ওর দিকে কিছু একটা বাড়িয়ে আছে। অদিতি আঁতকে উঠে পেছনে তাকালো!

‘টিস‍্যু ইউজ করো, চলে যাবে।’

পাশ থেকে ওই ছেলেটা হাতে টিস‍্যু দলাই-মলাই করে এগিয়ে দিল অদিতির দিকে। অদিতি বাঁকা চোখে আশেপাশে তাকাল! একা ওয়াশরুমে ধ্রুবকে দেখে ভয়ে সেঁটিয়ে আশেপাশে তাকাল। কেউই নেই, শুধু ওরা দুজন- ওরা, একটা ছেলে-একটা মেয়ে! অদিতি বুক ধ্বক করে উঠল। ও টিস‍্যু নিল না। শুকনো মুখে অস্ফুট স্বরে শুধু বলল-‘লাগবে না।’

বলে ব্যাগ নিয়ে দ্রুত পায়ে বেরিয়ে গেল ওয়াশরুম থেকে। পেছনে ধ্রুব টিস‍্যু হাতে ভুরু কুচকে ওর দিকে যাওয়ার দিকে চেয়ে রইল। টয়লেট থেকে সুমন বেরিয়ে এলো, ধ্রুব দরজার দিকে ঠাঁই চেয়ে আছে দেখে ও হাত ধুত ধুতে জিজ্ঞেস করলো -‘কি ররে? কাকে দেখিস খালি দরজার দিকে তাকিয়ে?’

ধ্রুব টিস‍্যু মেঝেতে ফেলে দিল, পা দিয়ে ওগুলো পিষে নির্বিকার ভঙ্গিতে বলল -

‘একটা মেয়ে ছিলো।’
________
সেদিন একজন দেখে অদিতির সঙ্গে ধ্রুবকে একা ওয়াশরমে দেখে ফেলেছে। সেইমুহূর্তে ধ্রুব ভীষণ কাছাকাছি ছিলো অদিতির। যেহেতু ধ্রুব ভার্সিটির ফেইমাস ছেলে, মুহূর্তেই পাঁচ কান হয়ে গেল কথাটা। ওরা ভেবেই নিয়েছে- দুজনের মধ্যে কিছু আছে।

হয়তো যে প্রথম দেখেছে ও সবাইকে বলেছে- দুজনের মধ্যে প্রেম হচ্ছে মনেহয়। কিন্তু বাকিরা যারা এ কথা ছড়াচ্ছে, ওরা এক্সট্রা মশলা মিশিয়ে বলে বসেছে-ধ্রুবর বিছানায় শুয়ে পড়েছে অদিতি।

এখন ভার্সিটির অন্যান‍্য ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মজা নিতে গিয়ে, ধ্রুবর বন্ধুরাও অদিতিকে দেখলে ভাবি-ভাবি বলে চেঁচায়।
অদিতি আজকাল টিএসসির ওদিকে যেতেই পারেনা, ওর বন্ধুরা দেখলেই ক্ষেপায় ওকে। অদিতি লজ্জায়-অপমানে কদিন ভার্সিটিই গেল না।

তারপর একদিন! অদিতিদের ভরা ক্লাসরুমে ধ্রুবর একজন জুনিয়র ভক্ত ঈশান সবার সামনে অদিতিকে জিজ্ঞেস করে বসে -‘এই অদিতি, ধ্রুবভাই এত হ্যান্ডসাম, এত রাগী বাপরে। তুই উনারে কেমনে পটাইলি ভাই বল। টিপস দে আমাদের, আমরাও মেয়ে পটাইতে কাজে লাগাবো।’

অদিতি চোখ রাঙিয়ে তাকাল ঈশানের দিকে। ঈশান হাসে, ওর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাসছে বাকিরাও। ঢাকা শহরে সবাই ভার্সিটিতে প্রেম, এসব জিনিস ভীষণ স্বাভাবিক হিসেবেই দেখে।এসব টুকটাক এ-ওর সঙ্গে নাম মেলানো, এসব ভীষণ কমন এখানে। কেউ তো আর অদিতি নয়। যে এই মজার ছলে করা প্রশ্নটায়ও ভয়ে কেপে উঠবে। আতকে উঠবে, যদি কোনোভাবে বাবা জেনে যায় এগুলো? কি হবে অদিতির?

অদিতি ঈশানকে এবার চোখ রাঙিয়ে , বললো—‘আমার তার সঙ্গে কিছুই নেই, ঈশান। অযথা প্লিজ উনার সঙ্গে আমার নাম মেলাস না।’

‘ধুর, তুই ঢপ মারছিস।’ ঈশান বড্ড বিরক্ত ভঙ্গিতে বলে উঠল!

অদিতি জোরে একটা শ্বাস ফেলল! এরা কেই অদিতির কথা বিশ্বাস করছেই না। না; আজ এর একটা বিহিত করতে হবে! অদিতি দ্রুত ব্যাগ হাতে বিয়ে বেরিয়ে এলো ক্লাসরুম থেকে। উদ্দেশ্য ধ্রুবদের আড্ডাখানায় যাবে।

অদিতি দেখে- ওই যে ধ্রুব বসে আছে সবার সঙ্গে! ওর একটা হাত কাঁধ ধরে রেখেছে আরেকটা ছেলের। অপর হাতে নিজের কোমর ধরে গল্প করছে বাকিদের সঙ্গে। আজও ব্ল্যাক শার্ট পড়েছে, যার উপরের দুটো বোতাম খুলে নির্লজ্জের মতো বুকটা দেখিয়ে বেড়ানো। অদিতি ভয় পাচ্ছে ওতগুলো ছেলের সামনে যেতে। ও কখনোই এসবে জড়ায় নি, প্রয়োজন পড়েইনি কোনোদিন।

অদিতিকে হঠাৎ ধ্রুবর বন্ধু সুমন দেখতে পেল। সঙ্গেসঙ্গে সুমন চেঁচিয়ে উঠল-‘আরে ভাবি নাকি? আসেন, আসেন ভাবি।ভাই এখানেই আছে।’

সুমনের সঙ্গে সঙ্গে বাকিরাও একসঙ্গে ডাকতে লাগল অদিতিকে।হইচই লেগে গেল ওই জায়গা জুড়ে। ওই লোকটা এবার সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে জিন্সের পকেটে হাত ঢুকিয়ে তীক্ষ্ম চোখে অদিতিকে দেখে যাচ্ছে। অদিতি জোরে শ্বাস টানল, আতঙ্কে ওর রূহ অব্দি কাঁপছে!

অদিতি ধীর পায়ে এগিয়ে গেল। প্রথমবারের মতো অদিতির ধ্রুবর দিকে এগিয়ে যাওয়ায়, ধ্রুবর বন্ধুরাও এবার অবাক হলো। যে মেয়ে সবসময় ভাবি ডাক শুনলেই চোখে-মুখ ঢেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়, আজ এই মেয়েই ওদের সামনে চোখ-মুখ কুঁচকে দাঁড়িয়ে আছে। অদ্ভুত! সুমন বাঁকা চোখে অদিতিকে দেখল একবার, আরেকবার ধ্রুবকে। ভেবেছিল ধ্রুব নিজেও অবাক হবে, কিন্তু ও স্বাভাবিক। শুধু দেখেই যাচ্ছে সামনে পা কাঁপিয়ে দাড়িয়ে থাকা ভীতু অদিতিকে।

অদিতি সোজা ধ্রুবর সামনে গিয়ে দাঁড়াল। ধ্রুব এবার পকেট থেকে হাত বের করে সোজা হয়ে দাড়ালো। অদিতি জোরে শ্বাস টানল। তারপর থেমে থেমে বললো—

-‘এ-একটা ক-কথা বলতে এসেছি আমি।’

সুমন পাশ থেকে টিটকারি দিয়ে বললো-‘ কথা বলবেন, সমস্যা কি? কিন্তু ভাবি আপনি তোতলাচ্ছেন কেন? ভাই কিন্তু আপনার উপর এতটাও রাগ দেখাবে না,ভয় পাবেন না।’
ধ্রুব সুমনের দিকে তাকাল, ধ্রুবর ওই স্বাভাবিক, নির্বিকার চাওনি দেখে সুমন চুপ হয়ে গেলো মুহুর্তেও, মুখে কিছুই বলা লাগলো না ধ্রুবর। ধ্রুবর ওই দু-চোখ যেন কাউকে শাসানোর জন্যে যথেষ্ট।

অদিতি ধ্রুবর চোখে চোখ রাখছে না। মাথাটা নিচু করে অস্বস্তিতে কাধের ব্যাগের ফিতে চেপে রেখেছে। ধ্রুব এবার অদিতির নিচু করে রাখা মুখটার দিকে একটু ঝুঁকে মেয়েটাকে দেখল, তারপর অদিতির থরথর করে কেপে উঠা ঠোঁটের দিকে চেয়ে গম্ভীর গলায় বললো-

‘চোখে চোখ রেখে কথা বলো, আমি শুনছি।’

#চলবে

গল্পের নাম- #আমার_প্রেমিক_ধ্রুব - সূচনা পর্ব
লেখনীতে- #অবন্তিকা_তৃপ্তি

#আমার_প্রেমিক_ধ্রুব -২য় পর্ব:

https://www.facebook.com/share/p/DhkYnY8b5mLLRNcx/?mibextid=WC7FNe

পরের পর্ব কবে দিব সেটা আমার গ্রুপে জানিয়ে দিব, গ্রুপ লিংক-

https://www.facebook.com/share/g/pMDcgFv7H3eumozR/?mibextid=K35XfP

এই গল্পটা ডিলিট করা হবে না, নিশ্চিন্তে পড়তে পারেন। এন্ড এটা হ্যাপি এন্ডিং, যারা আমার স্যাড এন্ডিং গল্প পড়ে দুঃখের সাগরে ডুবে গেছেন তাদের জন্যে এই গল্পটা উপহার হিসেবে থাকল!

ছবিয়াল- j.a.y.a(instagram)

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Golper Diary - গল্পের ডায়েরি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share